22/05/2025
ডেসটিনি নিয়ে ষড়যন্ত্র: সচেতনতার আহ্বান
ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ ও প্রতীক্ষার পর যখন কোম্পানির উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সেই মুহূর্তে কিছু অসাধু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি—যাঁরা ভেতরে ও বাইরে থেকে ডেসটিনির অংশ—ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে উঠেছে। তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার: লক্ষ লক্ষ মানুষের কষ্টার্জিত আমানতের উপর হাত বাড়ানো।
এই মুহূর্তে কোম্পানির ভেতরের যেকোনো বিভেদ কিংবা বিশৃঙ্খলা শুধুমাত্র ডেসটিনির কার্যক্রমের পুনরারম্ভকেই বিলম্বিত করবে না, বরং সাধারণ ডিস্ট্রিবিউটরদের আমানত ফেরতের প্রক্রিয়াকেও মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করবে।
উদ্দেশ্যমূলকভাবে গুজব ছড়ানো, বানোয়াট অভিযোগ তোলা এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে—যার মাধ্যমে তারা তৃতীয় পক্ষকে (যেমন রাজনৈতিক শক্তি বা প্রশাসন) ঢুকিয়ে দিতে চাচ্ছে। এতে করে পরিস্থিতি এমন এক জায়গায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে যেখানে 'বিড়াল আর বানরের রুটি ভাগাভাগি'র মতো অবস্থা হবে।
আমরা সবাই জানি, বিগত স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনার আমলে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডেসটিনির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কোম্পানির ব্যাংক হিসাব, সম্পদ, এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যা এখনো বিদ্যমান । কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও এমডি জনাব মোহাম্মদ রফিকুল আমীন সাহেবকে নির্মমভাবে আটক করে জেল হাজতে রাখা হয়েছিল, যেখানে তাকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কারাবাসের দীর্ঘ সময়েও তিনি দেশের বাইরে পালিয়ে যাননি এবং কোনো অর্থ বিদেশে পাচারও করেননি। বরং এখনো তিনি আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি বিশ্বাস করেন, আপনাদের ধৈর্য ও আস্থাই তাকে এই কঠিন পথ পাড়ি দিতে সাহায্য করেছে।
আমরা যারা এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শুরু থেকে রয়েছি, তাদের উচিত এখন একতাবদ্ধ থেকে তার পাশে দাঁড়ানো। কারণ কোম্পানির ব্যাংক হিসাব ও স্থাবর সম্পত্তি এখনো আদালতের অধীনে ও পুলিশ কমিশনারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে, এবং সেটি এখনও ডেসটিনির ব্যবস্থাপনায় পুরোপুরি ফিরে আসেনি।
যেহেতু ডেসটিনির গঠন, দিকনির্দেশনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মূল রূপকার জনাব রফিকুল আমীন সাহেব, তাই এই প্রতিষ্ঠানের হাল ধরার যোগ্যতাও একমাত্র তার মধ্যেই রয়েছে। এই অবস্থায় কেউ যদি বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য শুধু নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি, আর তা আমাদের সকলের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
সুতরাং আমরা ডেসটিনির সম্মানিত সকল সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি:
যারা জনাব রফিকুল আমীন সাহেবের সততা ও আত্মত্যাগকে উপেক্ষা করে, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদেরকে চিনে রাখুন। এদেরকে বর্জন করুন, কারণ তারা আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও ধৈর্যের বিনিময়ে গঠিত ডেসটিনিকে ধ্বংস করতে চাইছে।
এখন সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ থাকার, ধৈর্য রাখার এবং সেই নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখার, যে নেতৃত্ব ১২ বছর ৩ মাস ৫ দিন নির্জন কারাবাসের মধ্যেও আপনাদের কথা ভুলে যাননি। তিনি আজ একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছেন, যেখান থেকে এই সকল, অন্যায়, অবিচার, জুলুমের প্রতিবাদ করা এবং আপনাদের আমানত ফেরত দেওয়ার লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছেন।
শীঘ্রই এমন একটি প্ল্যাটফর্ম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে প্রত্যেক বিনিয়োগকারী সরাসরি জনাব রফিকুল আমীন সাহেবের সাথে মতবিনিময় করতে পারবেন, এবং নিজের সংশয় ও প্রশ্নের সমাধান পেতে পারবেন।
আসুন, আমরা বিভক্ত না হয়ে, ষড়যন্ত্রকারীদের বর্জন করি, আমাদের সম্মিলিত প্রয়াসে ডেসটিনির গৌরবময় ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি।
゚