28/09/2025
Power Of Silence : মৌনতার শক্তি
একটি জটাংক উপলব্ধি.....................................................................................................
কারো আচরনে বিরক্ত হলে কী করেন?
মুখের উপরে দুটো কথা শুনিয়ে দেন নিশ্চয়।
কেউ আগ্রাসী ভঙ্গীতে যদি আপনার উপরে রাগ ঝাড়তে থাকে, আপনি হয়তো বসে থাকবেন না; প্রতিবাদী হয়ে উঠবেন। আর বাবা-মা বংশ নিয়ে কেউ গালাগালি দেয়, তাহলে তো কথাই নেই। আজ তার একদিন কী আপনার একদিন। স্বাভাবিক, এই পৃথিবীতে যাবতীয় অনিয়ম, অপবাদ আর অবিচারের বিপরীতে কঠিন জবাব দেয়ার অধিকার আপনার আছে।
কিন্তু সেটা কতক্ষন? মানে আঘাত আর আঘাতের জবাব দিতে দিতেই যদি আমরা একটা জীবন পার করে ফেলি তাহলে নিজের কাজটা করবো কখন?এই জায়গাটিতে এসেই জ্ঞানীরা একটা প্রাচীন সমাধান খুঁজে নেন। সেটা হলো, মৌনতা বা নীরবতা। যাইহোক; চলুন চট করে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজি।
প্রশ্ন-১: আমরা যখন নীরব থাকি, তখন আমাদের ভেতরে এবং বাইরে কী ঘটে?
উত্তর:
আমরা যখন নীরব থাকি, তখন প্রথম কয়েক মিনিট বিক্ষিপ্ত চিন্তা মাথায় আসতে থাকে। ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে মন ও মস্তিষ্কের সংযোগটা শক্ত হতে থাকে। এই অবস্থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘ব্রেনের ডিফল্ট মোড নেটওয়ার্ক’ সক্রিয় হওয়া।
নীরব থেকে যদি ৩০ মিনিট পার করেন, আপনার পর্যবেক্ষন ক্ষমতা বেড়ে যাবে। আপনার মনে পড়বে আজ ঠিক কোন কাজটা করার কথা ছিল যেটা করা হয়নি।
আপনি যদি চ্যালেঞ্জ নিয়ে ঘন্টাখানেক নীরব থাকতে পারেন, দেখবেন আপনার লোকালয় ভালো লাগছে না। মানে শব্দ নিতে পারছেন না। বেশীর ক্ষেত্রে এই সময় আপনার ঘুম পাবে। বা ঝিমুনি আসবে।
যদি এমন হয় যে আপনি নির্জন কোনো জায়গায় অন্তত ৪০দিন এক ঘন্টার জন্য চুপ থাকতে পারছেন; তখন চারটি স্তরের মধ্যে ঘুরতে থাকবেন।
১) স্মৃতিচারণ
২) ভুল:
৩) ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
৪) ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার দরজা। .................................................................................
প্রশ্ন-২: কীভাবে শুধু চুপ থেকেই জীবনের জটিল সমস্যাগুলোর সমাধান করা যায় ?
উত্তর:
দেখুন আমাদের সমস্যার বেশীরভাগের জন্মই হয় নেতিবাচক অনুভূতি থেকে। মানে একটা ঘটনা আপনার সাথে ঘটে যাবার পর আপনি যখন ফিল করেন, এটা আপনাকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে, আপনাকে পিছিয়ে দিচ্ছে আপনি তখনই ক্ষোভে ফেটে পড়েন, প্রতিক্রিয়া জানানো শুরু করেন। সমস্যটা তৈরি হয় তখনই। এখানে কিন্তু আমাদের দোষ নেই, কারণ আমরা বেশীরভাগ মানুষই মনে করি সব সমস্যার সমাধান শব্দের মধ্যে লুকানো। চুপ থেকেও যে টেবিলটা ঘুরিয়ে দেয়া যায়, এটা আমাদের মাথায় আসেনা। ..................................................................................
প্রশ্ন-৩: নীরবতা কীভাবে মনের সাথে আত্মার সংযোগ ঘটায়? এসময় নিজের ভেতরে ডুবে কোন কাজগুলো করবেন?
উত্তর:
এক্ষেত্রে আধ্যাত্ব্যবাদ থেকে কিছু পরামর্শ খুব কাজে আসে।
যেমন,
বুক ভরে নি:শ্বাস নেয়া এবং নি:শ্বাসের দিকে মনোযোগ দেয়া প্রতিটি শ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগ লক্ষ্য করা। এরপর চিন্তাকে পর্যবেক্ষণ করা।
দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে কৃতজ্ঞতা চর্চা।
তৃতীয় কাজটি হলো ধ্যান বা Meditation. অরণ্য, নদী বা মোমবাতির শিখার দিকে তাকিয়ে চুপচাপ বসে থেকেও ধ্যানের স্তরে পৌঁছতে পারেন আপনি। আপনার এই নীরবতায় মন আর আত্মাকে এক করে দেবে।
..................................................................................
প্রশ্ন- ৪: সবশেষে প্রতিদিনের জীবনে ‘নীরবতা’ ব্যবহারের কয়েকটা টেকনিক
সকালবেলা ৩০ মিনিট ফোন ছাড়া সময় কাটান। ব্যবহার শেষ হলে ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন। এভাবে দিনে কিছু সময় ডিজিটাল ডিটক্স করুন।
সময় পেলেই নিশ্বাসের মনোযোগ দিন। ভাবুন ভেতর শান্তি টেনে নিচ্ছেন। মৌনতা মানে শুধু মুখ বন্ধ করা নয়—মনকেও প্রশিক্ষণ দেওয়া ।
কানে প্রবেশ করা শব্দগুলোর মধ্যে থেকে ফিল্টার করে নেগেটিভ শব্দগুলো পরিহার করা।
রাগ হলে Pause দিন, প্রতিক্রিয়া নয়।
জ্ঞানের জন্য স্পঞ্জ হও, কথার জন্য নয়।
আমাদের যেমন ভাষা আছে, ঠিক তেমনই আমাদের আত্মা বা রূহেরও একটা ভাষা আছে। এই ভাষার নামই নীরবতা। এটা এমন এক দরজা, যার একপাশে মন আরেক পাশে আত্মা। নীরবতার দরজা যখন খুলে যায়, তখন মন আর আত্মার একটা গভীর সংযোগ ঘটে। আপনার জীবনের সব টক্সিক মানুষের জন্য একটা কাজই করবেন-নীরবতা। আপনার এই নীরবতায় উপযুক্ত জবাব।
লেখা : জটাংক
……………………………....................................
Disclaimer:1......................
The ideas, analysis, and examples presented in this video are intended for educational and reflective purposes only. This content does not represent any religious decree, medical advice, or personal attack. Viewers are encouraged to interpret the topics based on their own beliefs, knowledge, and experiences.