ভাঁ জ প ত্র

ভাঁ জ প ত্র Always Keep faith of Allah, He is the best planner ❤️

15/08/2025

কালচারাল ফ্যাসিজম বলতে আমি শাকিব খান, শবনম ফারিয়া, এসপি ক্রিয়েশনের সিয়াম বা আরশ খানদেরকে বুঝি না। এরা কালচারের অংশই না।

এরা সবাই দেহভোগী, দেহব্যবসায়ী, চোট্টার দল। কালচার করবে কখন, লাগাইয়াই কুল পায়না জীবনের।

আর্টসেলের লিঙ্কন ডি কস্তারা আরেকটু এলিট। কিনতু কালচারাল এন্টিটির অংশ না।

রাহুল আনন্দরা কালচার জানে, বানায়। সেইজন্য ফ্রান্স থেকে এসে ম্যাক্রোরাও আনন্দের সাথে ‘ডিল’এ যায়।

চঞ্চল চৌধুরী, তাপস, অর্ণবরা কালচারাল ফ্যাসিস্ট হইতে পারে। সেই সেন্স ও যোগ্যতা ওদের আছে। কোক স্টুডিওর মত প্লাটফর্ম কিংবা গান বাংলা।

২.
আমার বন্ধু মুমিন একটা ভালো পয়েন্ট বলছে। ‘আজকে মুজিবরে নিয়া কান্নাকাটি করা কেউই পেইড না। সবাই কট খাওয়া মাল। সহজ করে বললে, সবার ল্যাংটা ভিডিও বা ফাইল আছে আওয়ামী লীগের কাছে। মুজিবের প্রতি যেহেতু স্টিল পাবলিক সিম্প্যাথি গেইনের সুযোগ আছে কিছুটা, ফ্লাট আর মাগী সার্ভিস হোল্ডারদের দিয়া আজকে কিছু একটা করা গেলেও যাইতে পারে।

সো, মৃত্যুদিবসেও যদি মুজিবরে নিয়া পোস্ট না দেয় ফিল্ম/মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির এসব হোর অ্যান্ড হোরফাকার এলিটক্লাস, ওদের কুকীর্তির ভিডিও চলে আসবে নেটে।’

এই কথা শতভাগ ট্রু।

ঘটে যাওয়া দুইটা তিনটা ঘটনার এক্সাম্পল দিই।

(ক)
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকে কনসার্ট ছিল আর্টসেলের। ১৫ই আগস্ট শোক দিবস পালন না কইরা গানাবাজা করার ঔদ্ধত্য দেখানোয় আর্টসেলকে বয়কট করে লিঙ্কনের ন্যুড ভিডিওর ফটোকার্ড বানিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী এতিমরা।

আর্টসেল ইমিডিয়েটলি কনসার্ট ক্যান্সেল করে দিছে! এরপরেই লিঙ্কন এসে ফেসবুকে পোস্ট দিছে সেক্সমুজিবরে নিয়া। এক ফটোকার্ডেই তলা ভিজে নদী হয়ে গেছে।

(খ)
এসপি ক্রিয়েশন নামের যেই ক্রিঞ্জ সিয়াম, ও আজকে পোস্ট দিছিলো মুজিবের মৃত্যু নিয়া ফান করে। কমেন্টে সিয়ামকে থ্রেট দেয়া হয় পোস্ট ডিলিট করতে। যদি পোস্ট ডিলিট না করে, ওর বউ ও বোনকে রেইপ করার থ্রেট দেয় আওয়ামী লীগের কুত্তার বাচ্চারা।

সিয়াম পোস্ট ডিলিট করে দেয় সাথে সাথে। শুধু তাই না, এক ঘন্টার মধ্যে ১৫ই আগস্ট মুজিবের মৃত্যুর শোকপ্রকাশ করে পোস্ট করে রীতিমতো।

What does drive him to do such thing?

: ফাইল। ন্যুড ফাইল। আকামের ফাইল। ম্যাক্রো লেভেল ইনফ্লুয়েসারদের লাগানোর কাফফারা। পোস্ট না করলেই ডিবি হারুনের তিনিঞ্চি ভাইরাল হয়ে যাবে।

৩.
অতএব আপনারা এত ভয় পায়েন না। মুজিববাদ জাগ্রত হয় নাই। যা হইছে তা হইলো স্রেফ লুঙ্গি বাঁচানো।

বড় অংকের টাকাও ঢালা হয় নাই। জাস্ট একটা করে থ্রেট দেয়া হইছে, ‘পোস্ট কর। আর না হয় ল্যাংটা করে দেবো কিন্তু!’ সুতরাং , এইগুলা কালচারাল ওয়ার না।

৪.
তবে ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ’ বলে আর ফেসবুকে হুংকার দিয়েও মুজিববাদের কবর রচনা হবেনা। ইডিওলোজির বিরুদ্ধে লড়তে হলে দীর্ঘ পরিকল্পনা ও ফার্ম ডেডিকেশন লাগবে। লজিস্টিকস লাগবে।

আমি বিশ্বাস করি,
সব হবে ইনশাআল্লাহ। আগামী পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের রাজনীতির দিক ঠিক করে দেবে মুজিববাদ ও উগ্র ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী অংশ। সেই দিক নির্ধারণের প্রসঙ্গে আমরা যারা ইমানদারির সাথে চলবো, তারাই জিতবো।

মৌমাছিরা মৃত্যুর জন্য মোটেও ভয় পায় না। একজন মানুষকে মারতে হলে প্রায় ১১০০ হুলের বিষ প্রয়োজন। আনুমানিক ১ কেজি মধু সংগ্রহের...
19/06/2025

মৌমাছিরা মৃত্যুর জন্য মোটেও ভয় পায় না। একজন মানুষকে মারতে হলে প্রায় ১১০০ হুলের বিষ প্রয়োজন। আনুমানিক ১ কেজি মধু সংগ্রহের জন্য ১১০০ মৌমাছি প্রায় ৯০ হাজার মাইল পথ ঘুরতে হয়। যা কিনা চাঁদের কক্ষপথের প্রায় তিনগুণ!

ফুলের হিসাব করলে দেখা যায় ১ কেজি মধু সংগ্রহের জন্য প্রায় ৪০ লক্ষ ফুলের পরাগরেণু স্পর্শ করতে হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে ভালো মৌসুমে প্রায় ৫৫ কেজি মধু জমা হয়। এসব তথ্য থেকে আমরা বুঝতে পারি কর্মী মৌমাছি কি পরিমাণ পরিশ্রমী।

অপরদিকে রাণী মৌমাছি শুধু খায় আর ডিম পাড়ে! রাণী প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ২৫০০ ডিম দেয়। পুরুষ মৌমাছির স্বভাব বেশ অদ্ভুত। এরা জীবনেও কোন কাজ করে না, এমনকি কর্মী মৌমাছিকে এদের খাবার পর্যন্ত মুখে তুলে দিতে হয়। এদের জীবনের একমাত্র লক্ষ হলো রাণী মৌমাছির সাথে মিলিত হওয়া!

মিলন মৌসুমে প্রতিদিন দুপুরবেলা চাকের সর্বাধিক সক্ষম পুরুষ মৌমাছিগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে ভিড় জমায় যাকে বলা হয় পুরুষ ধর্মসভা!

ঠিক একই সময়ে চাক থেকে রাণী মৌমাছি ঘুরতে বের হয়, যাকে বলা হয় “দি মিটিং ফ্লাইট”।

রাণী মৌমাছি হঠাৎ করে ঢুকে পড়ে পুরুষ ধর্মসভা এলাকায়। সে এসেই এক বিশেষ ধরণের গন্ধ ছড়িয়ে দেয়, যার ফলে শত শত পুরুষ মৌমাছি উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এর পরপরই রাণী মৌমাছি উড়ন্ত অবস্থায় পছন্দমত পুরুষের সাথে মিলন করে। রাণী মৌমাছি একেবারে পর্যায়ক্রমে ১৮-২০টা পুরুষ মৌমাছির সাথে মিলিত হতে পারে!

অদ্ভুত ব্যাপার হল, যৌন মিলনের সময় পুরুষ মৌমাছির এন্ডোফেরাস বা যৌনাঙ্গ ভেঙ্গে যায় এবং তখনই মারা যায় পুরুষ মৌমাছি। এজন্যই এই মিলনকে বলা হয় “দি ড্রামাটিক সেক্সুয়াল সুইসাইড”।

একটি মৌচাক একটি মাত্র রাণী স্ত্রী মৌমাছি থাকে। রাণীকে কেন্দ্র করেই মৌচাক গড়ে ওঠে।

যদি কোন ডিম থেকে স্ত্রী মৌমাছির জন্ম হয় সে শিশু স্ত্রী মৌমাছিকে কর্মী মৌমাছিরা লুকিয়ে রাখে যেন রাণীর নজরে না আসে। রাণীর নজরে পড়লে ঐ শিশু স্ত্রী মৌমাছির নিশ্চিত মৃত্যু। শিশু রাণী মৌমাছিটি বড় হলে দুই রাণীর মধ্যে যুদ্ধ হয়। এতে দুটি পথ খোলা থাকে। হয় যুদ্ধে মৃত্যু ( একজন অপর জনকে হত্যা করে মৌচাকের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে) না হয় দুজন আলাদা হয়ে পৃথক দুটি মৌচাক গড়ে তোলা।

অনাকাঙ্খিতভাবে যদি কোন রাণী মৌমাছি মারা যায় তবে সে খবর ১৫ মিনিটের মধ্যে সকল কর্মী মৌমাছি জানতে পারে এবং সম্মিলিতভাবে নতুন রাণী মৌমাছি তৈরি করার উদ্যোগ নেয়।

আরো কিছু অদ্ভুত বিষয় রয়েছে, যা জানলে আপনারা অবশ্যই অবাক হবেন,,, ৫০০ গ্রাম মধু তৈরিতে ২০ লক্ষ ফুল লাগে। শ্রমিক বা কর্মী মৌমাছি সারা জীবনে আধা চা চামচ মধু তৈরি করতে পারে। আরো একটা মজার ব্যাপার হলো, পৃথিবীতে মধু একমাত্র খাদ্য যা কখনোই পচে না!

🐝🐝🐝

05/06/2025

আচ্ছা, বিদায় হজের ভাষণ আমাদের পড়াশোনার ভেতর তেমন চর্চিত হয় কি? মানবসভ্যতার ইতিহাসে যেই ভাষণ বা বক্তৃতাগুলোর কালজয়ী বহুমাত্রিক তাৎপর্য রয়েছে, আমার মূল্যায়নে সেগুলোর ভেতর শীর্ষস্থানীয় একটা হলো বিদায় হজের ভাষণ। আমি কিন্তু শুধু রিলিজিয়াস পয়েন্ট অব ভিউ থেকে বলছি না, হিউম্যান সিভিলাইজেশনের সামগ্রিক সবকিছুর বিবেচনাতেই কথাটা বলছি।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো বর্তমান জেনারেশনের বহু মানুষ হয়ত বিদায় হজের এই ভাষণের নামটাও জানে না, আবার স্রেফ নাম জানলেও, এই ভাষণের কনটেন্ট কী ছিল, সে সম্পর্কে হয়ত কোনদিনই জানার চেষ্টা করে না। সাধারণ মানুষের কথা বাদই দিলাম, মুখে মুখে ধর্ম চর্চা করা বহু তথাকথিত ধার্মিকেরাও এই ভাষণের শিক্ষা ধারণ করার
চেষ্টা ঠিকঠাক করে বলে মনে হয়না।

দশম হিজরিতে (৬৩২ খ্রিস্টাব্দ) রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রায় সোয়া লাখ সাহাবিকে সঙ্গে নিয়ে হজ পালন করেন। এই হজই ছিল নবীজি (সা.)-এর জীবনে পূর্ণাঙ্গ প্রথম হজ এবং এটাই ছিল তার জীবনের শেষ হজ। এর মাত্র দুই মাস কয়েকদিন পর ১২ রবিউল আউয়াল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই কারণে এই হজ ইতিহাসে 'বিদায় হজ' নামে পরিচিত।

ওই বছর হজে রাসূল (সা.) সেখানে সমবেত প্রায় সোয়া লাখ সাহাবির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তা বিদায় হজের ভাষণ নামে পরিচিত। এটি ছিল তাঁর জীবনের সর্বশেষ আনুষ্ঠানিক ভাষণ, যা তিনি দশম হিজরি সনের নবম জিলহজ আরাফার দিনে মসজিদে নামিরাতে ও জাবালে রহমতের ওপরে এবং পরদিন দশম জিলহজ ঈদ ও কোরবানির দিন মিনাতে প্রদান করেছিলেন।

রাসূল(সা.) ভাষণ শুরুই করেছিলেন এভাবে— “হে জনতা, আমার কথাগুলো গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনো, আমি জানি না, এবারের পর তোমাদের সঙ্গে এই জায়গায় আর একত্র হতে পারব কিনা।”

এই বাক্যটি ভালোমতো বিশ্লেষণ করলেই বুঝবেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) অনেকটা ইঙ্গিত করেই দিয়েছিলেন যে তিনি হয়ত এরপর আর বেশিদিন বাঁচবেন না।

রাসূল(সা.) এর ইতিহাসপ্রসিদ্ধ ওই ভাষণ থেকে আমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কয়েকটা পয়েন্ট খুবই সংক্ষিপ্তকারে নিচে তুলে ধরছি—

১. হে মানবমণ্ডলী, স্মরণ রাখো,আল্লাহ এক,তাঁর কোনো শরিক নেই। মনে রেখো,একদিন তোমরা আল্লাহর নিকট হাজির হবে, সেদিন তোমাদের কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে।

২. কোনো অনারবের ওপর আরবের কিংবা কোনো আরবের ওপর কোনো অনারবের কোনই শ্রেষ্ঠত্ব নেই। ঠিক একইভাবে শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের এবং কৃষ্ণাঙ্গের ওপর শ্বেতাঙ্গের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই।

৩. জাহেলি যুগের সুদ রহিত করা হলো। এখন থেকে সকল ধরনের সুদ হারাম করা হলো।

৪. জাহেলি যুগের যত রক্তের দাবি, তা সব রহিত করা হলো। সর্বপ্রথম আমি রবিয়া ইবনে হারিস ইবনে আবদুল মুত্তালিবের শিশুপুত্রের রক্তের দাবি রহিত করলাম।

৫. তোমাদের কারও কাছে যদি কোনো আমানত গচ্ছিত থাকে, তা তার প্রাপকের কাছে অবশ্যই পৌঁছে দেবে। কারও কাছে ঋণ থাকলে, সেই ঋণ অবশ্যই পূরণ করবে।

৬. স্ত্রীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। কেননা আল্লাহর আমানতস্বরূপ তোমরা তাদের গ্রহণ করেছ। নিশ্চয়ই তোমাদের স্ত্রীদের ওপর তোমাদের অধিকার রয়েছে
এবং তোমাদের ওপরও তাদের অধিকার আছে।

৭. নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক প্রাপকের জন্য তার অংশ (উত্তরাধিকার সম্পত্তি) নির্ধারণ করে দিয়েছেন, সেগুলো আদায় কোরো। একজন মুসলিম অন্য একজন মুসলিমের ভাইস্বরূপ। কারো হক নষ্ট কোরো না, কারো প্রতি জুলুম কোরো না।

৮. তোমাদের অধীনস্থদের প্রতি খেয়াল রাখবে, তোমরা যা খাবে, তাদেরকেও তা-ই খাওয়াবে, তোমরা যা পরিধান করবে, তাদেরকেও তা-ই পরাবে।

৯. আমি তোমাদের কাছে এমন দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি,যা দৃঢ়ভাবে ধারণ করলে পথভ্রষ্ট হবে না। একটি হলো আল্লাহর কিতাব আর অন্যটি হলো আমার সুন্নাহ।

১০. হে মানবজাতি, ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করবে না। কেননা অতীতের অনেক জাতি এ বাড়াবাড়ির কারণে ধ্বংস হয়েছে। নিজের ধর্মকে অন্যদের ওপর জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে না।

আরও কিছু কিছু ব্যাপারে আলোচনা ছিলো। আমি সংক্ষিপ্ত আকারে আমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দশটা মেইন পয়েন্ট আলোচনায় তুলে ধরলাম।

রাসূল(সা.) এই আহ্বান জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন—

“ উপস্থিত ব্যক্তিদের দায়িত্ব হবে আমার এ কথাগুলো অনুপস্থিত লোকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। হয়তো অনেক অনুপস্থিত লোক উপস্থিত এই শ্রোতাবৃন্দ অপেক্ষাও অধিক হেফাজতকারী হবে।”

একটু ভালোমতো লক্ষ্য করে দেখুন, শুধুমাত্র ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই যে এই ভাষণ গুরুত্ববহ ছিল, এমনটা নয়। বর্তমান পৃথিবীর আদর্শিক জায়গা থেকে হিউম্যান রা ই ট সের কথাই বলুন, সাম্যের কথা বলুন কিংবা পারস্পরিক দায়বদ্ধতা ও সহমর্মিতার কথাই বলুন— প্রতিটা সেক্টরকেই এই ভাষণ
কাভার করে। সামাজিক,অর্থনৈতিক কিংবা রাজনৈতিক প্রতিটা পরিমণ্ডলেই তাই এই বিদায় হজের ভাষণের একটা ইউনিক ও চমকপ্রদ তাৎপর্য আছে। একটা পুরো হিউম্যান সিভিলাইজেশন কীভাবে স্মুথলি ফাংশন করতে পারে তার
পূর্ণাঙ্গ বেসিক এসেন্স এই ভাষণে অন্তর্নিহিত আছে।

বিদায় হজের ভাষণের যে মাল্টিডিসিপ্লিনারি তাৎপর্য আছে, সেটা কি সবাই ঠিকমতো অনুধাবন করে কিংবা ঠিকমতো জানার সুযোগ পায়? ইতিহাস এবং ধর্মীয় শিক্ষার বইতে তো বটেই, আমার মনে হয় এই ভাষণের কপি প্রিন্ট করে প্রতিটা মসজিদে টাঙিয়ে রাখা উচিত ছিল, অন্তত আমাদের এই বাংলাদেশের মত দেশে, যেখানে প্রতিটা সেক্টরেই ঘুষখোর, সুদখোর, ভণ্ড, প্রতারক,ধর্মব্যবসায়ী কিংবা বিদ্বেষী আর অন্যের হক মেরে খাওয়া লোকজন দিয়ে ঠাঁসা চারদিক!

Post: Saiyed Abdullah

18/05/2025

কতগুলো বছর চলে গেলো
অথচ মনে হয় জীবন শুরু হলো না এখনো!

With Daily lifestyle – I'm on a streak! I've been a top fan for 8 months in a row. 🎉
11/05/2025

With Daily lifestyle – I'm on a streak! I've been a top fan for 8 months in a row. 🎉

11/05/2025

ভালোবাসা সত্যিই অন্ধ হয়! কারন আমার মা না দেখেই আমাকে ভালবাসতে শুরু করেছিল!

আমার মায়ের কথা মনে পড়লে তার শৈশবের কথা মনে পড়ে, কৈশোরের কথা মনে পড়ে। আমার মা ছিলেন গ্রামের মেয়ে। তার শৈশব, কৈশোর আমি দেখিনি তবু ভেবে নিতে পারি তা কতটা দুরন্ত ছিল। আমার মা জন্ম থেকেই মা ছিলেন না। তার একটা উত্তাল শিশুবেলা ছিল, ইশকুল ছিল, ইশকুলের মাঠ ছিল, গায়ের পুকুর ছিল, বর্ষার পানি কিংবা জলে ভাসা শাদা শাদা শাপলা ছিল। আশাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কয়েকশ ছেলেমেয়ের মাঝে আমার মা ছিলেন। আমার তাকে মনে পড়ে।

আমার মাকে মনে পড়লেই আমার ঈশ্বরের কথা মনে হয়। আমি এখনও ঈশ্বরের বিশালতার উদাহরণ হিসেবে আমার মা'কেই খুঁজে পাই। আমার শৈশব, কৈশোরে মা মাঝে মাঝেই আমাকে নিয়ে গ্রামে যেতেন, আমার নানাবাড়ি, খালাবাড়ি আরও কতশত আত্মীয়। নদীতে ইঞ্জিন চালিত নৌকোতে উঠলেই আমার মা পাল্টে যেতেন। আমার মা আমার খেলার সাথী হয়ে উঠতেন। গ্রামে পৌছাবার পর ভ্যানে মা বসতেন পা ঝুলিয়ে, আমি তার দেখাদেখি পা ঝুলিয়ে বসে ভ্যানের দুলুনির তালে পা দোলাতাম। তারপর একসময় দেখতাম আমার তিনিও আমার সাথে পা দুলাচ্ছেন।

আমার সবুজ ভালো লাগত, মাটি ভালো লাগতো হয়ত তাই গ্রামে গেলে আমার আবারও জন্ম হত ধূলোর সাগরে, কাদায় অথবা ঘাসে। এক শরীর ধুলো-বালি নিয়ে বাড়ি ফিরে এলে পরে মা চিৎকার চেঁচামেচি করে আমাকে পাখির মত ছোঁ দিয়ে তুলে চলে যেতেন পুকুর ঘাঁটে। মায়ের পিঠে আমি শক্ত করে আটকে আছি। আমার দু হাত মায়ের গলায় আর দু পা মায়ের কোমরে আটকে রাখতাম আর আমাকে পিঠে নিয়ে মা পুকুরময় সাতার কাটতেন, পানিতে ডুব দিতেন, আমার খালাতো বোনেদের সাথে পাল্লা লড়তেন, তার বোনেদের সাথে পাল্লা লড়তেন। আর জিতে যাবার পর আমার মনে হত মা একা জেতেন নি, জিতেছি আমিও তাই সে আনন্দ আমাকেও আন্দোলিত করত। তখন আমার মা'কে কেবল মা মনে হতোনা বরং খেলার সাথীই মনে হত।

আমার মায়ের কথা মনে পড়ে। তিনি আমাদের আমি ও ছোট বোন পাশাপাশি বয়স হওয়ায় একসাথে কোলে নিতেন যেন এটা কোনো খেলা যদিও আমরা এখনও জানিনা যে এটা আদৌ কোনো খেলা কিনা নাকি একজনকে কোলে নিলে আরেকজন মন খারাপ করব তাই মা এই কাজ করতেন। তখন মা'কে শুধু মা মনে হতোনা, মনে হতো যেন মস্ত বীর। মনে হত মায়ের হাতে পৃথিবীর সব শক্তি লুকিয়ে আছে। আমার মা হয়ে ওঠেন আমার সবচেয়ে প্রিয় বীর তাই আমার আর সোহরাব-রুস্তমের গল্প শুনতে ভালো লাগতোনা বরং মায়ের কোলে উঠতেই বেশি ভালো লাগতো।

আমার সবসময় মায়ের কথা মনে পড়ে, আমি তাকে ভালোবাসি, সবচাইতে বেশী ভালবাসি। আমি তার কাছে গেলে তার আঁচলে মুখ মুছি, মায়ের কোলে মাথা রাখি, তিনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন, আমার চুলে তেল দিয়ে চুল আচড়ে দেন আর সে রাতে আমার গভীর ঘুম হয়, মহাকাশের চেয়েও দীর্ঘ সে ঘুম। তবু আমি কখনও মা'কে বলিনি ভালোবাসি, মা'ও বলেননি কখনও। আমরা কেউ কাউকে বলিনি আমাদের এই নিগূঢ় ভালোবাসার কথা তবু আমাদের এই ভালোবাসা বেড়ে চলেছে সময়ের চেয়েও দ্রুত গতিতে। কারণ আমরা কেবলই ভালোবাসি, আমি কেবলই ভালোবাসি, তিনি কেবলই ভালোবাসেন, এখানে কোনো স্বীকারোক্তির জায়গা নেই, এখানে প্রমাণের জন্য আদালত নেই, এমনকি নেই কোন পরিমাপক যন্ত্র হাতে বিচারক।

মা এবং আমার কিংবা আমাদের ভালোবাসার কথা কখনও কেউ জানতে চায়নি, চাইবেনা। কারণ আমরা সবাই জানি কেবল এবং কেবলমাত্র এই ভালোবাসাই ঈশ্বরের চেয়েও সত্য। মিথ্যাকেই কেবল বারবার উচ্চারিত হতে হয়।

#বিশ্ব_মা_দিবস

শ্রমজীবীদের হাত ধরেই গড়ে উঠছে আগামীর উদ্ভাসিত বাংলাদেশ। সচল থাকছে অর্থনীতির চাকা, এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। মহান মে দিবসে সকল শ্...
01/05/2025

শ্রমজীবীদের হাত ধরেই গড়ে উঠছে আগামীর উদ্ভাসিত বাংলাদেশ। সচল থাকছে অর্থনীতির চাকা, এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। মহান মে দিবসে সকল শ্রমজীবী মানুষকে জানাই সশ্রদ্ধ সালাম।


কাশ্মিরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত পাকিস্তান মধ্যকার টেনশনের জন্য  আমরা খুব চমৎকার একটা জিনিস মিস করতেছি। কি সেটা? একবিংশ...
26/04/2025

কাশ্মিরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত পাকিস্তান মধ্যকার টেনশনের জন্য আমরা খুব চমৎকার একটা জিনিস মিস করতেছি। কি সেটা? একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় জিও-ইকোনমিক সংঘর্ষ । চীন বনাম আমেরিকা।

আপনারা জানেন রিসেন্টলি আমেরিকা চীনা পণ্যের উপর ১৩৫% পর্যন্ত ট্যারিফ আরোপ করেছে। চীনও চুপ করে বসে থাকেনি। পাল্টা জবাবে তারা ১৪৫% পর্যন্ত রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ চাপিয়েছে আমেরিকান পণ্যে।

কিন্তু আসল খেলা শুরু হয়েছে লাক্সারি মার্কেটকে কেন্দ্র করে। কি রকম খেলা?

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি লাক্সারি ব্র্যান্ড প্রোডাকশন হয়ে থাকে চীনে। যেমন: Luis Vuitton, Dior, Chanel, Hermes, Gucci, Armani, Prada, Balenciaga, Burberry, Yves Saint Laurent, এমনকি Apple, Samsung, Sony-এর যন্ত্রাংশ পর্যন্ত ম্যানুফ্যাকচার হয় চীনেই।

তাহলে চীন কী করছে?

শুধু ট্যারিফেই নয়, তারা একটা সাইকোলজিক্যাল ও মার্কেটিং বোমা ফাটিয়েছে। লাক্সারি ব্র্যান্ডগুলোর রিয়েল প্রোডাকশন কস্ট এক্সপোজ করে দিয়েছে। টিকটক খুললেই দেখতে পারবেন কি পরিমাণ মার্কেটিং তারা চালাচ্ছে।

ধরেন:

যে Hermes Birkin Bag বিক্রি হয় $25,000 ডলারে, চীনে সেটার প্রোডাকশন কস্ট মাত্র $180।

Dior-এর একজোড়া হিল বিক্রি হয় $1200-এ, অথচ ফ্যাক্টরি কস্ট $40।

Gucci Belt যা বাজারে $700, চীনে প্রোডাকশন কস্ট $25 । Gucci -র একটা টি শার্ট বাজারে $400 কিন্তু চীনে প্রডাকশন কস্ট - $20

এমনকি আইফোনের মডিউলার পার্টস—প্রতি সেটের কস্ট মাত্র $100 । ক্যান ইউ ইম্যাজিন? শুধু সফটওয়্যার ইনস্টল দিয়ে ওরা আইফোনের প্রাইস বানাই দিচ্ছে $1000- $1500.

মজার বিষয় হচ্ছে চীন শুধু এটা এক্সপোজ করেই থেমে থাকেনি। তারা সরাসরি রিয়েল প্রাইস-এ ওই প্রোডাক্টগুলোর OEM (Original Equipment Manufacturer) ভার্সন বিক্রির জন্য অনলাইন মার্কেটপ্লেস পর্যন্ত খুলতেছে।

এই সাইটগুলোতে এখন আপনি ১০,০০০ ডলারের স্যুট পাবেন ১০০ ডলারে। একই মেটেরিয়াল, একই ফিনিশিং, পার্থক্য শুধু লোগোতে। অর্থাৎ লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে আপনি উৎকৃষ্ট মানের প্রোডাক্ট কেনেন না আপনি কেনেন ব্রান্ডের লোগো।

চীনের এই কৌশল শুধু মার্কেট ডিসরাপ্ট করছে না, বরং আমেরিকার ব্র্যান্ড ইকুইটির উপর বড় ধরনের থ্রেট তৈরি করছে। এটা নিঃসন্দেহে একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় Economic Warfare - যেখানে চীন সরাসরি আমেরিকান কনজ্যুমার মার্কেটের পারসেপশন অফ ভ্যালু ভেঙে দিচ্ছে।

চীন বুঝিয়ে দিচ্ছে—Luxu

23/04/2025

ডক্টর ইউনুস স্যার ১৮ কোটি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য চেয়ারে বসেছেন। টেম্পু স্ট্যান্ড দখলকারীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য নয়।

কি সুন্দর মনোরম দৃশ্য🇧🇩🇵🇸গা শিউরে উঠছে।
12/04/2025

কি সুন্দর মনোরম দৃশ্য🇧🇩🇵🇸
গা শিউরে উঠছে।

ঢাকার ৮০ জন বিখ্যাত ডাক্তার এর নাম,চেম্বার ও সিরিয়াল নাম্বার প্রদান করলাম। অনেকের উপকারে আসতে পারে।
30/01/2025

ঢাকার ৮০ জন বিখ্যাত ডাক্তার এর নাম,চেম্বার ও সিরিয়াল নাম্বার প্রদান করলাম। অনেকের উপকারে আসতে পারে।




শহীদ ইসমাইল। রিকশাচালক। রামপুরার ডেল্টা হেলথ কেয়ারের সামনে পুলিশের গুলি খেয়ে আছড়ে পড়ে সে। হামাগুড়ি দিয়ে সহযোগিতা চ...
17/01/2025

শহীদ ইসমাইল। রিকশাচালক। রামপুরার ডেল্টা হেলথ কেয়ারের সামনে পুলিশের গুলি খেয়ে আছড়ে পড়ে সে। হামাগুড়ি দিয়ে সহযোগিতা চায় হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীদের (গেট দারোয়ান) কাছে। The saddest part of the story is গেট দারোয়ানরা সেদিন গেট খুলে দেয়নি।

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সিঁড়ির উপরেই প্রাণ হারায় শহীদ ইসমাইল। ফটোগ্রাফার তোলেন ছবি। পুলিশ চেয়ে চেয়ে দেখে ইসমাইলের মৃত্যু, বুলেটের বিজয়।

এই পুলিশ কিন্তু এখনো বাইরে। শহীদ ইসমাইলের হাড় মিশে যাবে মাটিতে, কবরে জেগে উঠবে বাঁশের ঝাড়। কিন্তু পুলিশ ঘুরবে লোকালয়ে, স্বাধীনভাবে, খুনের দায় নিয়ে।

ছবি তুলেছেন: রাকিব হাসান

Address

Dhaka

Telephone

+8801623106292

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ভাঁ জ প ত্র posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share