15/08/2025
কালচারাল ফ্যাসিজম বলতে আমি শাকিব খান, শবনম ফারিয়া, এসপি ক্রিয়েশনের সিয়াম বা আরশ খানদেরকে বুঝি না। এরা কালচারের অংশই না।
এরা সবাই দেহভোগী, দেহব্যবসায়ী, চোট্টার দল। কালচার করবে কখন, লাগাইয়াই কুল পায়না জীবনের।
আর্টসেলের লিঙ্কন ডি কস্তারা আরেকটু এলিট। কিনতু কালচারাল এন্টিটির অংশ না।
রাহুল আনন্দরা কালচার জানে, বানায়। সেইজন্য ফ্রান্স থেকে এসে ম্যাক্রোরাও আনন্দের সাথে ‘ডিল’এ যায়।
চঞ্চল চৌধুরী, তাপস, অর্ণবরা কালচারাল ফ্যাসিস্ট হইতে পারে। সেই সেন্স ও যোগ্যতা ওদের আছে। কোক স্টুডিওর মত প্লাটফর্ম কিংবা গান বাংলা।
২.
আমার বন্ধু মুমিন একটা ভালো পয়েন্ট বলছে। ‘আজকে মুজিবরে নিয়া কান্নাকাটি করা কেউই পেইড না। সবাই কট খাওয়া মাল। সহজ করে বললে, সবার ল্যাংটা ভিডিও বা ফাইল আছে আওয়ামী লীগের কাছে। মুজিবের প্রতি যেহেতু স্টিল পাবলিক সিম্প্যাথি গেইনের সুযোগ আছে কিছুটা, ফ্লাট আর মাগী সার্ভিস হোল্ডারদের দিয়া আজকে কিছু একটা করা গেলেও যাইতে পারে।
সো, মৃত্যুদিবসেও যদি মুজিবরে নিয়া পোস্ট না দেয় ফিল্ম/মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির এসব হোর অ্যান্ড হোরফাকার এলিটক্লাস, ওদের কুকীর্তির ভিডিও চলে আসবে নেটে।’
এই কথা শতভাগ ট্রু।
ঘটে যাওয়া দুইটা তিনটা ঘটনার এক্সাম্পল দিই।
(ক)
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকে কনসার্ট ছিল আর্টসেলের। ১৫ই আগস্ট শোক দিবস পালন না কইরা গানাবাজা করার ঔদ্ধত্য দেখানোয় আর্টসেলকে বয়কট করে লিঙ্কনের ন্যুড ভিডিওর ফটোকার্ড বানিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী এতিমরা।
আর্টসেল ইমিডিয়েটলি কনসার্ট ক্যান্সেল করে দিছে! এরপরেই লিঙ্কন এসে ফেসবুকে পোস্ট দিছে সেক্সমুজিবরে নিয়া। এক ফটোকার্ডেই তলা ভিজে নদী হয়ে গেছে।
(খ)
এসপি ক্রিয়েশন নামের যেই ক্রিঞ্জ সিয়াম, ও আজকে পোস্ট দিছিলো মুজিবের মৃত্যু নিয়া ফান করে। কমেন্টে সিয়ামকে থ্রেট দেয়া হয় পোস্ট ডিলিট করতে। যদি পোস্ট ডিলিট না করে, ওর বউ ও বোনকে রেইপ করার থ্রেট দেয় আওয়ামী লীগের কুত্তার বাচ্চারা।
সিয়াম পোস্ট ডিলিট করে দেয় সাথে সাথে। শুধু তাই না, এক ঘন্টার মধ্যে ১৫ই আগস্ট মুজিবের মৃত্যুর শোকপ্রকাশ করে পোস্ট করে রীতিমতো।
What does drive him to do such thing?
: ফাইল। ন্যুড ফাইল। আকামের ফাইল। ম্যাক্রো লেভেল ইনফ্লুয়েসারদের লাগানোর কাফফারা। পোস্ট না করলেই ডিবি হারুনের তিনিঞ্চি ভাইরাল হয়ে যাবে।
৩.
অতএব আপনারা এত ভয় পায়েন না। মুজিববাদ জাগ্রত হয় নাই। যা হইছে তা হইলো স্রেফ লুঙ্গি বাঁচানো।
বড় অংকের টাকাও ঢালা হয় নাই। জাস্ট একটা করে থ্রেট দেয়া হইছে, ‘পোস্ট কর। আর না হয় ল্যাংটা করে দেবো কিন্তু!’ সুতরাং , এইগুলা কালচারাল ওয়ার না।
৪.
তবে ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ’ বলে আর ফেসবুকে হুংকার দিয়েও মুজিববাদের কবর রচনা হবেনা। ইডিওলোজির বিরুদ্ধে লড়তে হলে দীর্ঘ পরিকল্পনা ও ফার্ম ডেডিকেশন লাগবে। লজিস্টিকস লাগবে।
আমি বিশ্বাস করি,
সব হবে ইনশাআল্লাহ। আগামী পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের রাজনীতির দিক ঠিক করে দেবে মুজিববাদ ও উগ্র ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী অংশ। সেই দিক নির্ধারণের প্রসঙ্গে আমরা যারা ইমানদারির সাথে চলবো, তারাই জিতবো।