13/05/2025
ঢাকায় হঠাৎ করেই আবহাওয়াবিদ নয়, একজন প্রেস সচিব পূর্বাভাস দিলেন: "বিদেশি বিনিয়োগ এলেই বাংলাদেশে জবের বন্যা বয়ে যাবে!"
খবরটা শুনেই দেশের লাখো বেকার তরুণ ছাতা না নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ল—ভাবল বুঝি চাকরির বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে! কিন্তু আফসোস, মেঘ উঠলো না, বৃষ্টিও হলো না—হলো শুধু “ব্যানার” আর “সেমিনার”।
এই "জবের বন্যা"র কল্পনায় ভাসতে ভাসতে হঠাৎ বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বললেন, “আসলে বিনিয়োগ কমছে।”
মানে, লোকটা যেন ছাতা নিয়ে এসে বলল, “মাফ করবেন ভাই, বৃষ্টি তো হবে না—আসলে খরা চলছে!”
সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, তারা 'ফ্যান্টাসি জব ওয়ার্ল্ড'-এর স্ক্রিপ্ট লিখছেন। সেখানে বিদেশি বিনিয়োগ মানেই চাকরি, চাকরি মানেই হ্যাপিনেস, আর হ্যাপিনেস মানেই ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ!
কিন্তু বাস্তবে কী?
পাশের বাসার রিফাত ভাই এমবিএ শেষ করে এখন ফুডপান্ডায় ডেলিভারি দেন। আর রুম্মান, যিনি কম্পিউটার সায়েন্স পড়ে চারটা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানেন, এখন গুগল ম্যাপে লোকেশন দেন: "মামার দোকান, চায়ের পাশে বসা।"
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের শ্রমবাজারে যে বন্যা চলছে, সেটা আসলে বেকারত্বের জলোচ্ছ্বাস। চাকরি খুঁজতে খুঁজতে অনেকে এখন "জব-সার্চিং" না করে "জব-সার্কাস" চালিয়ে যাচ্ছেন।
এক গবেষণায় জানা গেছে, প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী ডিগ্রি শেষ করে বাজারে নামছে—তাদের জন্য অপেক্ষা করছে না কোনো “জবের বন্যা”, বরং একগাদা “জব না থাকা” রিপোর্ট আর কিছু প্রতিশ্রুতির ঘূর্ণিঝড়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রেস সচিব বলছেন, “চাকরির জোয়ার আসছেই... একটু ধৈর্য ধরুন।”
আর বেকার তরুণরা বলছেন, “ধৈর্য তো ধরেছি ভাই, এখন তো ধ্যান শুরু করবো!”
নিউজ সোর্স : https://www.jugantor.com/national/939053