19/07/2025
ভাই ও বোনেরা,
দেশ আজ এক ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও আমরা এখনও গণতন্ত্রের শ্বাস নিতে পারি না — কারণ একটি দল, আওয়ামী লীগ, রাষ্ট্রযন্ত্র, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন—সবকিছুকে পকেটস্থ করে ফেলেছে। জনগণ ভোট দিতে পারে না, বলতে পারে না, বাঁচতে পারে না।
তাই আজ প্রশ্ন একটাই — আওয়ামী লীগ ছাড়া কি বাংলাদেশ কল্পনা করা যায়? আমার উত্তর হলো, হ্যাঁ! অবশ্যই যায়। বরং ওদের ছাড়া বাংলাদেশই হবে সত্যিকারের বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগকে মুছে ফেলা মানে —
* দখলদারিত্বের অবসান,
* রাতের ভোটের জিঞ্জিরা ছিঁড়ে ফেলা,
* পুলিশি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধ হওয়া,
* ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুণ্ডামির অবসান,
* বিরোধী কণ্ঠর স্বাভাবিক পথচলা নিশ্চিত হওয়া।
আমরা আর কোনো সাজানো নির্বাচনের নাটক দেখতে চাই না। আমরা আর কোনো “গণতন্ত্রের মুখোশধারী স্বৈরাচার” চাই না।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আওয়ামী লীগবিহীন — এটি কোনো কল্পনা নয়, এটি এখন জনগণের একমাত্র দাবি।
👉 এই লড়াই কারো বিরুদ্ধে নয়, এটা জনগণের পক্ষে।
👉 এই সংগ্রাম ক্ষমতার লোভের জন্য নয়, এটা মানুষের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা, বাঁচার অধিকার রক্ষার জন্য।
আজকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে — আপস নয়, প্রতিরোধ। সংলাপ নয়, বিদ্রোহ। সমঝোতা নয়, চূড়ান্ত বিচ্ছেদ। আওয়ামী লীগকে বিদায় জানাতেই হবে!
এই দেশ কারো বাপের নয় — এই দেশ ১৮ কোটি মানুষের। খমতা এবার জনতার কাঁধে ফিরবে।
নতুন বাংলাদেশ, নতুন নেতৃত্ব, নতুন রাজনীতি — আওয়ামী লীগ ছাড়া একটা স্বাধীন, সাহসী, সংবেদনশীল বাংলাদেশ গড়ে তুলতেই হবে।
পরবর্তী ক্ষমতা হবে জনগণের, ক্ষমতা নেমে আসুক জনগণের কাঁধে, জনগণের কাঁতার দিয়ে!