দৈনিক সময়ের সংবাদ

দৈনিক সময়ের সংবাদ Official page of Shomoyer Shangbad, the Bengali news media of Bangladesh in both print.

অবৈধ রাসায়নিক গুদাম নির্মাণের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনের আহ্বানপ্রাণঘাতী দুর্ঘটনা রোধে অবৈধ রাসায়নিক গুদাম নির্মাণের বির...
15/10/2025

অবৈধ রাসায়নিক গুদাম নির্মাণের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনের আহ্বান

প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা রোধে অবৈধ রাসায়নিক গুদাম নির্মাণের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।

রাজধানীর মিরপুরে শিয়ালবাড়ি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ আহবান জানান।

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি আরও বলেন, অবৈধ রাসায়নিক গুদাম স্থাপনের বিরুদ্ধে সবাইকে আওয়াজ তুলতে হবে। এধরনের গুদাম চিহ্নিত করে প্রশাসন বা ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় সেগুলো উচ্ছেদ করার আহ্বানও জানান তিনি।

মঙ্গলবারের অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব অবৈধ রাসয়নিক গুদাম বন্ধ হলে কিছু মানুষ হয়তো ক্ষতির মুখোমুখি হবেন, তবে বহু সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষা হবে।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামাল জানান, মিরপুরের রাসায়নিক গুদামের আগুন পুরোপুরি নেভাতে আরও দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে।

তিনি বলেন, আগুন বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সম্পূর্ণ নেভাতে আরও সময় লাগবে। সম্প্রতি টঙ্গীতে রাসায়নিক গুদামের আগুন নেভাতে গিয়ে তিন ফায়ারফাইটার প্রাণ হারিয়েছেন।

দুর্ঘটনাকবলিত গোডাউনটি এখনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলেও সতর্ক করেন ফায়ার সার্ভিসের ডিজি। সেখান থেকে সবাইকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

মঙ্গলবার মিরপুরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় একটি পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার পর কারখানা থেকে এ পর্যন্ত ১৬টি মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডে আরও আটজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন বর্তমানে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হেফাজতে ১৫ সেনা কর্মকর্তা‘গুম ও মানবতাবিরোধী অপরাধে’ জড়ানোর অভিযোগে সেনাবাহিনীর যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপর...
12/10/2025

হেফাজতে ১৫ সেনা কর্মকর্তা

‘গুম ও মানবতাবিরোধী অপরাধে’ জড়ানোর অভিযোগে সেনাবাহিনীর যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৫ জনকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কপি গতকাল শনিবার পর্যন্ত হাতে পায়নি সেনা সদর। গতকাল বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মামলাসংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এ তথ্য জানান।

‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংবিধানস্বীকৃত দেশের সব আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল’—এ কথা জানিয়ে মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে সেনা হেফাজতে রয়েছেন।

আমরা মোট ১৬ জনকে সেনা হেফাজতে আসার জন্য বলেছিলাম, তাঁদের মধ্যে ১৫ জন এসে হেফাজতে রয়েছেন।’

তিনি জানান, তিনটি মামলায় ২৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে অবসরে ৯ জন, এলপিআরে একজন আর কর্মরত আছেন ১৫ জন।

তিনি বলেন, মেজর জেনারেল কবির আত্মগোপনে গেছেন।

তিনি যাতে বিদেশে চলে যেতে না পারেন, সে জন্য তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘গত ৮ অক্টোবর আইসিটিতে প্রথম দুটি চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর তৃতীয় আরেকটি চার্জশিট জমা পড়ে। এই সংবাদটি আসা শুরু করেছে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে।

আমরা টিভি স্ক্রলের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, চার্জশিট জমা পড়েছে এবং ট্রাইব্যুনালে গ্রহণ করা হয়েছে। চার্জশিটগুলোর মধ্যে একটি ছিল গুমসংক্রান্ত—যাঁরা তখন ডিজিএফআইয়ে কর্মরত ছিলেন তাঁদের একটা বড় অংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। আরেকটি ছিল র‌্যাবের টিএফআই নিয়ে। আরো একটি অভিযোগ ছিল ৪-৫ আগস্টের রামপুরার ঘটনা নিয়ে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে গেল।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর তা নিয়ম অনুযায়ী আইজিপির কাছে চলে যায় এবং এ ক্ষেত্রে ২২ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো চার্জশিটের কপি কিংবা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাইনি। চার্জশিটে প্রায় ২৫ জন সেনা কর্মকর্তার নাম এসেছে। এর মধ্যে অবসরে আছে ৯ জন, এলপিআরে আছেন একজন ও কর্মরত আছেন ১৫ জন কর্মকর্তা। যাঁরা অবসরে চলে গেছেন তাঁদের প্রতি আমাদের সেনা আইন ওভাবে খাটে না।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংবিধানস্বীকৃত বাংলাদেশের সব আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ তারিখে কর্মরত ১৫ ও এলপিআরে থাকা একজন সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে আসার জন্য একটি আদেশ সংযুক্তি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আদেশে তাঁদের বলা হয়েছে, ৯ তারিখে তাঁরা যেন ঢাকা সেনানিবাসে সেনা হেফাজতে চলে আসেন। আমরা কিন্তু এখনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাইনি বা পুলিশও আমাদের কিছু জানায়নি। এর পরও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কারণে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এসব কর্মকর্তাকে হেফাজতে আসার জন্য আদেশ দিয়ে দেয়।’

মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘আমরা যাঁদের হেফাজতে আসতে বলেছি তাঁদের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই রেসপন্স করেছেন। ওই একজন কর্মকর্তা ৯ তারিখ পর্যন্ত কোনো রেসপন্স করেননি। পরে ১০ তারিখে আমরা তাঁর সঙ্গে আবার যোগাযোগের চেষ্টা করি এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করি। আমরা জানতে পারি, উনি ৯ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন একজন আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে। কিন্তু পরে আর বাসায় ফেরত আসেননি। এরপর তাঁর সঙ্গে এবং তাঁর পরিবারেরও মোবাইল ফোনে কোনো যোগাযোগ স্থাপন হয়নি। তিনি হলেন মেজর জেনারেল কবির।’

সিটিআইবি ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক কবীর আহাম্মদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে ইলিগ্যাল অ্যাবসেন্ট হিসেবে ঘোষণা করি। এরপর গত ১০ অক্টোবর এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আরো কিছু অফিশিয়াল কাজ সম্পন্ন করি। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ডিজিএফআই, এনএসআই ও বিজিবিকে বলেছি, তোমরা যে যেখানে আছ স্থলবন্দর, বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে যেন উনি অবৈধভাবে দেশের বাইরে না যেতে পারেন। উনার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়ও আমরা লোক পাঠিয়েছি। উনি দেশের বাইরে চলে যেতে পারেন—এ বিষয়টি মাথায় রেখেও আমরা খোঁজ নিয়েছি। উনি যাতে দেশের বাইরে না যেতে পারেন, সে জন্য আমি নিজে ডিজি ডিজিএফআই, ডিজি এনএসআই ও ডিজি বিজিবির সঙ্গে কথা বলেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখন যেসব সেনা কর্মকর্তার কথা বলা হচ্ছে, ঘটনার সময় তাঁরা র‌্যাব কিংবা ডিজিএফআইয়ে দায়িত্বে ছিলেন। সেনাবাহিনীতে নয়। র‌্যাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে, সেনাবাহিনীর অধীনে নয়, র‌্যাব কিভাবে ফাংশন করে তা সেনা সদরে রিপোর্টিং করে না। ডিজিএফআই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর অফিসের অধীন। এখনো সেনা সদরের অধীন নয়। এখন ডিজিএফআই সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার অফিসের অধীন। তাদের সব কিছুই আলাদা। তবে যেহেতু তাঁরা আমাদেরই সদস্য ও ইউনিফর্মধারী, সুতরাং তাঁরা আমাদের হেফাজতে আছেন। এখন আলাদাভাবে কে কতটুকু জড়িত ছিলেন, সে বিষয়টি আমাদের কাছে এখন নাই। চার্জশিটসহ বিস্তারিত আসবে, তখনই শনাক্ত করা যাবে।’

হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের নাম সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয়নি। মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান বলেন, এই সেনা কর্মকর্তাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে ‘আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে’ এবং ‘প্রয়োজন অনুযায়ী’ তাঁদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, ওয়ারেন্টভুক্তদের ২২ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ আছে, আইনি ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে এই ওয়ারেন্ট নিয়ে। কাজেই ২২ অক্টোবর এঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার বিষয়ে আইনের ব্যাখ্যা পাওয়া সাপেক্ষে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান বলেন, পুরো জাতি এখন নির্বাচনমুখী। ১৩-১৪ মাস ধরে সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করছে। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নয়নে সেনা সদস্যরা বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পরিমাণ তিন গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হবে বলে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ট্রেনিং, পোস্টিং, প্রমোশনসহ সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে। এমন সময় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ঘটনাটি সেনা সদস্যদের মনোবলে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। তবে সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে আমরা সব সময় ন্যায়ের পক্ষে থাকব।

তিনি আরো জানান, গুমের শিকার হওয়া প্রতিটি পরিবারের প্রতি সেনাবাহিনী সহানুভূতিশীল। সব অপরাধের বিচারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে সেনাবাহিনী বিচারপ্রক্রিয়া ও গুম কমিশনকে সহায়তা করে যাচ্ছে।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো তদন্ত হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘গুম কমিশন কাজ করছে। আর্মি আরেকটা কমিশন করলে সেটাকে আন্ডারমাইন্ড করা হবে। এই কমিশনকে যতটুকু সাহায্য করার সেটা করছি। সেনাপ্রধান আবারও জানিয়েছেন, ‘উইল রিমেইন স্ট্যান্ড ফার্স্ট উইথ দ্য জাস্টিস, ইভেন উইথ কম্প্রোমাইজ আওয়ার সামথিং, বাট...ইনসাফে কোনো কমতি হবে না। আমরা জাস্টিসের পক্ষে, নো কম্প্রোমাইজ উইথ ইনসাফ।’

সাবেক কর্মকর্তাদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাবেক কর্মকর্তারা সেনা আইনের আওতায় পড়েন না। তবে তাঁরা চাইলে সেনাবাহিনীর হেফাজতে আসতে পারেন অথবা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন। পুলিশ চাইলে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পারে বলেও জানান তিনি।

অভিযুক্তদের বিচার সামরিক আইনে নাকি আইসিটি আইনে হবে—এ বিষয়ে কোনো সাংঘর্ষিক অবস্থান আছে কি না। এ ছাড়া অভিযুক্তরা সাজা পাওয়ার আগে তাঁদের চাকরি থাকবে কি না—এ ধরনের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইসিটি আইন বনাম সেনা আইন, এটা ‌ মুখোমুখি বিষয়টি না বলাই ভালো। দ্বিতীয়ত, যে বিষয়টি হচ্ছে আইসিটি আইনে বলা আছে যে, অভিযোগপত্রের নাম উঠলে চাকরি চলে যাবে। এখানে প্রথম বিষয়টি হচ্ছে যে অভিযুক্ত সে কি আসলে সাজাপ্রাপ্ত? সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরও ওই ব্যক্তির আপিলের সুযোগ থাকে। আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার পর যদি সাজা বহাল থাকে তখন তাঁকে আমরা সাজাপ্রাপ্ত বলতে পারব। আবার দেখা যাবে এই বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন খালাস পেয়ে গেলেন। খালাস পেয়ে গেলে ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী তিনি আবার তাঁর সার্ভিসে ফিরে যেতে পারবেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো, এর ভেতর দিয়ে তাঁর যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক...দেখা গেল, অনেকে মানসিক চাপ সহ্য না করতে পেরে অসুস্থ হয়ে গেলেন বা কেউ হার্ট অ্যাটাক করে ফেললেন, এগুলোর কী হবে? এগুলো কি বলা হচ্ছে মানবাধিকার?’

তিনি বলেন, ‘এখন সেনাবাহিনীতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। কোনো কর্মকর্তার বিচার চলাকালে সেনাবাহিনীর নিয়মে বয়স শেষ হয়ে গেলে তিনি তো অবসর চলে যাবেন। তখন সে খালাস হলেও তো তাঁকে আমরা চাকরিতে নিতে পারব না। তাই ট্রাইব্যুনালের ওই আইনের বিষয়ে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে এর ব্যাখ্যা চাইব।’

ট্রাইব্যুনাল একটি নির্দিষ্ট ডেট দিয়েছেন অভিযুক্তদের হাজির করার জন্য। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখানে যেটা আইনগতভাবে হওয়ার কথা সেটা হবে।

কিন্তু সেই আইনগত প্রক্রিয়াটা কী হবে এবং ২২ তারিখে তাঁদের আদালতে হাজির করা যাবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইনের বিষয়ে আমরা একটি ব্যাখ্যা চাইব। ব্যাখ্যা পাওয়ার পর ২২ তারিখের বিষয়টা আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেব।’

ডিজিএফআই নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি উল্লেখ করেন, এই সংস্থাটি সম্পূর্ণই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তাই অভিযুক্তরা সেনা কর্মকর্তা হলেও সেখানে তাঁদের কথা বলার এখতিয়ার নেই।

মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘এ রকম না হলেও অনেক সেনসিটিভ কেসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৫৪ বছর পার করে এসেছে। যাঁদের নামে অভিযোগ ওঠে প্রথমে তাঁদের আমরা হেফাজতে নিয়ে নিই। তখন বিভিন্ন কোর্ট মার্শাল হয়। কোর্ট মার্শালের রায় অনুযায়ী তখন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।’

জানা যায়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরতরা হলেন মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, কর্নেল কে এম আজাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত বুধবার মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। প্রথম মামলায় র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটক ব্যক্তিদের নির্যাতনের অভিযোগে ১৭ জন এবং দ্বিতীয় মামলায় জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) নির্যাতনের ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

উভয় মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, যিনি জুলাইয়ের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। মামলায় আরো আসামিদের মধ্যে রয়েছেন তাঁর প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক।

ডাকসু, বৈছাআ ও ইনকিলাব মঞ্চের দাবি : গুম, খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা এবং এ কাজে সম্পৃক্ত সামরিক, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) ও ইনকিলাব মঞ্চ। এ বিষয়ে ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করারও দাবি জানায় সংগঠনগুলো। গতকাল শনিবার ডাকসু ও বৈছাআ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া গতকাল ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় ইনকিলাব মঞ্চ।

গত ১০ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬ হাজার, মৃত্যু ২৬ জনেররোদ আর বৃষ্টির মধ্যে এডিস মশার লার্ভা ছড়িয়ে পড়ছে অ...
11/10/2025

গত ১০ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬ হাজার, মৃত্যু ২৬ জনের

রোদ আর বৃষ্টির মধ্যে এডিস মশার লার্ভা ছড়িয়ে পড়ছে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। ফলে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর ভিড় বাড়ছে। মৃত্যুও ঘটছে প্রতিদিন। গত বছর সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছিল অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে। সে সময় নভেম্বরই সবচেয়ে বেশি রোগী ধরা পড়ে। এবার চলতি মৌসুমে সবচেয়ে বেশি রোগী ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সেপ্টেম্বরে। অক্টোবরেও ডেঙ্গুর ভয়াবহতা অব্যাহত আছে। মাসের প্রথম ১০ দিনে প্রায় ৬ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ডেঙ্গু নিয়ে। সরকারি হিসাবে, এ সময়ে মারা গেছেন ২৬ জন।

চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৫৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে অন্তত ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টি এভাবে চলতে থাকলে অক্টোবরেই সেপ্টেম্বরের চেয়ে বেশি রোগী ও মৃত্যু হতে পারে। সেসঙ্গে ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর বিস্তার থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলেছেন, এই রোদ, এই বৃষ্টি- এমন অস্থির আবহাওয়া এডিস মশার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করছে। থেমে থেমে বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, পলিথিন, খাবারের প্যাকেট, ডাবের খোসা, ছোট পাত্র-যেখানেই পানি জমে, সেখান থেকেই এডিস মশার বিস্তার ঘটছে।

তাদের মতে, রোগী বাড়লে মৃত্যুও বাড়ে। চলতি বছরে ডেঙ্গু বাড়তে শুরু করে মে মাস থেকে। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসেও উচ্চঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলেছেন, নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাসাবাড়ি পরিষ্কার রাখতে হবে। তিন দিনের বেশি জমে থাকা পানি ফেলে দিতে হবে। মশারি ব্যবহার করতে হবে। জ্বর অনুভব করলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, জুন মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ৫ হাজার ৯৫১ জন, মৃত্যু ১৯ জনের। জুলাইয়ে ভর্তি ১০ হাজার ৬৮৪ জন, মৃত্যু ৪১ জনের। আগস্টে ভর্তি ১০ হাজার ৪৯৬, মৃত্যু ৩৯ জনের। সেপ্টেম্বরে ভর্তি সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৮৬৬, মৃত্যু ৭৬ জনের। অক্টোবরের প্রথম ১০ দিনে ভর্তি ৫ হাজার ৮৫১ জন, মৃত্যু ২৬ জনের।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ‘মাঝখানে ডেঙ্গু কিছুটা কমেছিল। এখন বৃষ্টি হওয়ায় আবার বেড়েছে। অক্টোবরেও বাড়তে থাকবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০১৯ সালে আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৭৪ জন, মৃত্যু ১৬৪ জনের। ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন আক্রান্ত, মৃত্যু ১০৫ জনের। ২০২২ সালে আক্রান্ত ৬২ হাজার ৩৮২, মৃত্যু ২৮১ জনের। ২০২৩ সালে ভয়াবহ রূপ নেয় ডেঙ্গু, আক্রান্ত ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯, মৃত্যু ১ হাজার ৭০৫ জন। ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন আক্রান্ত, মৃত্যু ৫৭৫ জনের। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ৫৩ হাজার ১৯৩, মৃত্যু ২২৪ জনের।

বয়স অনুযায়ী দেখা গেছে, এ বছর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা। সংখ্যাটি সাড়ে ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বয়সসীমার মানুষ কর্মজীবী ও বেশি চলাফেরা করেন, তাই তারা মশার বেশি সংস্পর্শে আসছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক ও জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি এখনো হচ্ছে। যতদিন বৃষ্টি থাকবে, ততদিন ডেঙ্গুর ঝুঁকি থাকবেই। কারণ জমা পানিতে এডিস মশার লার্ভা জন্মায়।’

তিনি বলেন, ‘গত বছরও অক্টোবর-নভেম্বরে পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল। এ বছরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন। আগামী তিন মাস পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তাই জরুরি ভিত্তিতে মশা নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় জোর দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাসাবাড়িতে ফুলের টব বা কোনো পাত্রে যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘সব জ্বরের রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে এসে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হবে। ডেঙ্গু ধরা পড়লে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। অনেকেই দেরি করে হাসপাতালে আসছেন, এতে চিকিৎসা জটিল হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘অল্প অবহেলাতেও বড় ক্ষতি হতে পারে।’

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন একটি দিন পার হয়েছে; কিন্তু ওই দিনও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩০৮ জন। এ পর্যন্ত চলতি বছর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৩ হাজার ১৯৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ২২৪ জনের।

গতকালের ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ঢাকা মহানগরের ৮৭ জন, বরিশালের (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১১৫, চট্টগ্রামের ৮৫, ময়মনসিংহের ২১ জন। ২০২৫ সালে ডেঙ্গুতে মৃত ২২৪ জনের মধ্যে ১১৭ জন পুরুষ ও ১০৭ জন নারী। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মোট রোগীদের মধ্যে ৬১ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।

প্রবীণদের আত্মনির্ভরশীল জীবনের সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টাপ্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ম...
07/10/2025

প্রবীণদের আত্মনির্ভরশীল জীবনের সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রবীণদের জন্য একটি আত্মনির্ভরশীল ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের সুযোগ তৈরি করতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে আমরা এগিয়ে চলেছি, তা বাস্তবায়নে প্রবীণদের অন্তর্দৃষ্টি ও কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগাতে হবে। প্রবীণরা যেন বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে সামাজিক সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারেন, সে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।”

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসের এ শুভক্ষণে আমি আমাদের সকল শ্রদ্ধেয় প্রবীণ নাগরিককে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘ওল্ডার পারসনস ড্রাইভিং লোকাল এন্ড গ্লোবাল এ্যাকশন : আওয়ার এস্পিরেশনস, আওয়ার ওয়েল-বিইং, আওয়ার রাইটস’-যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “প্রবীণরা কোনো সমাজের বোঝা নন, তাঁরা হলেন জীবন্ত ইতিহাস। তাঁদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতায় নিহিত রয়েছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অমূল্য দিকনির্দেশনা। আমরা স্বপ্ন দেখি একটি দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী গড়ার, যেখানে প্রতিটি মানুষের কর্ম ও মর্যাদা নিশ্চিত হবে। এই স্বপ্ন পূরণে প্রবীণরাই হতে পারেন অন্যতম চালিকাশক্তি। তাঁদের অভিজ্ঞতা আমাদের সংকটে পথ দেখাবে, তাঁদের দিকনির্দেশনা তরুণদের করবে আত্মবিশ্বাসী।”

তিনি বলেন, “আসুন, আজকের এই দিনে আমরা প্রবীণদের আমাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের সক্রিয় অংশীদার হিসেবে বরণ করে নিই। গড়ে তুলি এমন এক পৃথিবী, যেখানে প্রতিটি মানুষ তার সর্বোচ্চ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সম্মানিত ও পরিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে।”

নির্বাচনের সময় জনগণের মাঝেই থাকব : তারেক রহমানআগামী নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে তখন জনগণের মাঝেই থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন...
06/10/2025

নির্বাচনের সময় জনগণের মাঝেই থাকব : তারেক রহমান

আগামী নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে তখন জনগণের মাঝেই থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান এ কথা বলেন।

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো দেশে ফেরেননি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, কিছু সঙ্গত কারণে হয়তো ফেরাটা হয়ে উঠেনি এখনো, তবে সময় তো চলে এসেছে মনে হয়, ইনশাআল্লাহ দ্রুতই ফিরে আসব।

দেশে ফেরার প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক কর্মীর একটি ওতপ্রোত সম্পর্ক।

তিনি বলেন, রাজনীতি যখন করি, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, যখন জনগণের প্রত্যাশিত একটি নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের সময় কেমন করে দূরে থাকব? আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে, আগ্রহ থাকবে জনগণের সেই প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে, তখন জনগণের সাথে, জনগণের মাঝেই থাকবো ইনশাল্লাহ।

গণমাধ্যমে কথা না বলার প্রসঙ্গে কথা প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময় কোর্ট থেকে রীতিমতো একটি আদেশ দিয়ে আমার কথা বলার অধিকারকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমি যদি গণমাধ্যমকে কিছু বলতে চাইতাম, হয়ত গণমাধ্যমের ইচ্ছা ছিল তা ছাপানোর, কিন্তু তারা তা করতে পারত না।

তিনি বলেন, আমি একবার প্রেস ক্লাবে কথা বলেছিলাম।

পরদিন দেখলাম, তখনকার প্রেস ক্লাবের যারা সদস্য ছিলেন বা কমিটি ছিল, তারা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিলো যে, আইনের দৃষ্টিতে আমাকে ফেরারি হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল, তাই সেরকম ব্যক্তিকে প্রেস ক্লাবে কথা বলতে দেওয়া হবে না। এভাবেই তারা চেষ্টা করেছিল আমার কথা বন্ধ করে রাখতে। আমি কথা বলেছি। সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন পন্থায়; আমি মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি এবং ইনশাল্লাহ পৌঁছিয়েছিও।

কাজেই গণমাধ্যমে যে কথা বলিনি তা নয়, আমি কথা বলেছি। হয়ত আপনারা তা নিতে পারেননি বা শুনতে পারেননি, ইচ্ছা থাকলেও ছাপাতে বা প্রচার করতে পারেননি। কিন্তু আমি বলেছি এবং আমি থেমে থাকিনি।

উলামায়ে কেরামের মধ্যে জাতি ইস্পাতকঠিন ঐক্য চায় : ডা. শফিকুর রহমানজামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, যারা মসজ...
05/10/2025

উলামায়ে কেরামের মধ্যে জাতি ইস্পাতকঠিন ঐক্য চায় : ডা. শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, যারা মসজিদে নামাজে নেতৃত্ব প্রদান করেন, তাদের সমাজের সকল ভালো কাজেও নেতৃত্ব দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের উলামায়ে কেরাম যখন জাতির নেতৃত্ব প্রদান করবেন, তখনই জাতি, দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্র কল্যাণের পথে এগিয়ে যাবে এবং একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র ও সমাজ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারস্থ আল-ফালাহ মিলনায়তনে বিশিষ্ট দাঈ ও ওয়ায়েজ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৯০ দশমিক ০৮ ভাগ মানুষ মুসলমান। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ সুখ-শান্তিতে সম্প্রীতির সঙ্গে পাশাপাশি বসবাস করে আসছে। আমরা ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজিত করার পক্ষে নই।

ইসলামী দল ও শক্তির ঐক্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ইসলামী দল ও শক্তিসমূহের ঐক্য দেশবাসীর কাম্য। এ ক্ষেত্রে ঐক্য বিনষ্ট এবং বিভেদ-বিভ্রান্তি তৈরি করে এমন যে কোনো বক্তব্য পরিহার করার জন্য তিনি উপস্থিত বিশিষ্ট ওয়ায়েজ ও দাঈদের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় উলামা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জামেয়া-ই-কাসেমিয়া নরসিংদীর সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরী, গোপালগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় উলামা বিভাগীয় কমিটির সেক্রেটারি ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে সারাদেশ থেকে আসা বিশিষ্ট ওয়ায়েজ ও দাঈরা অংশগ্রহণ করেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আপনারা যারা দাঈ-ইলাল্লাহ, তাদের অবশ্যই বিনয়ী হতে হবে। আল্লাহ বিনয়ী লোকদের ভালোবাসেন। মানুষও বিনয়ী লোকদের ভালোবাসে। কোনোভাবেই বাহাস বা আত্মঘাতী কোনো বিতর্কে লিপ্ত হওয়া যাবে না। আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, আমরা সবাই দায়িত্বশীল। আল্লাহর দ্বীনের দিকে মানুষকে দাওয়াত দেওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমাদের দায়িত্বের ব্যাপারে আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে। আমাদের সকলের মধ্যে এ জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের জাতিকে জাগ্রত করার দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ জন্য আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সবাইকে পারদর্শী হতে হবে। আমাদের রাসূল (সা.) যেভাবে দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন, আমাদেরও তাঁর দেখানো পথেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের বিবেককে জাগ্রত করতে হবে।

তিনি বলেন, আল্লাহর দেওয়া বিধান ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। কুরআনের এ বিধানকে সকলের সামনে তুলে ধরতে হবে। সকলের নিকট ইসলামের শাশ্বত বিধান তুলে ধরে দাওয়াত দিতে হবে। তার সঙ্গে সঙ্গে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সেবা করতে হবে। আল্লাহর রাসূল (সা.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সমাজে সকল মানুষের অধিকার ছিল। কাউকেই তাঁর অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হত না। আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। আমাদেরও সবাইকে ভালোবাসতে হবে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমাদের সকলের কথা ও কাজে মিল থাকতে হবে। আমাদের কথা ও কাজে মিল না থাকলে আমাদের কথার কোনো প্রভাব মানুষের মনে পড়বে না। কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে মানুষের নিকট ইসলামের সঠিক দাওয়াত পেশ করতে হবে। মানুষের সামনে বুদ্ধিবৃত্তিক, বিশ্লেষণধর্মী দাওয়াত পেশ করতে হবে এবং মানুষের বিবেককে জাগ্রত করতে হবে।

বিতর্কিত বক্তব্য পরিহার করে জিহাদ, ইসলামী শরিয়াহ ও দ্বীন সম্পর্কে সঠিক বক্তব্য মানুষের সামনে উপস্থাপন করার জন্য তিনি ওয়ায়েজীনদের প্রতি আহ্বান জানান।

দেশের গণতন্ত্র উত্তরণ প্রক্রিয়ায় সারা বিশ্বের সমর্থন রয়েছে : মির্জা ফখরুলমির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের মা...
04/10/2025

দেশের গণতন্ত্র উত্তরণ প্রক্রিয়ায় সারা বিশ্বের সমর্থন রয়েছে : মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র উত্তরণ প্রক্রিয়ায় সারা বিশ্বের সমর্থন রয়েছে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে এদিন তিনি দেশে ফেরেন।
বিমান বন্দরের টার্মিনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের বার্তা একটাই, আমাদেরকে এখন গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেইভাবে আমরা আমাদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেব।
গণতন্ত্র উত্তরণের এই বিষয়টাতে গোটা পৃথিবীর সমর্থন রয়েছে। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমর্থনটা এখানে সম্পূর্ণভাবেই রয়েছে।
জাতিসংঘের অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আপনার আলাপ হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সবার সঙ্গেই আলাপ হয়েছে। আর যারা গিয়েছেন তাদের সঙ্গে তো অবশ্যই আলাপ হবে, এটাই তো স্বাভাবিক।
জাতিসংঘের সফর সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আমরা জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তার সফরসঙ্গি হয়েছিলাম। সেখানে আমাদের যতটুকু দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল সেই দায়িত্ব পালন করেছি। আমাদের এই সফর সফল হয়েছে। বাংলাদেশের কথা বিশ্বের কাছে পৌঁছে গেছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি যেসব সভা হয়েছে, এটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ভালো হয়েছে, সর্বোপরি গণতন্ত্রের জন্য ভালো হয়েছে।’
নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে অবতরণের পরে হেনস্তা হওয়ার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমরা এগুলোকে খুব বড় মনে করি না। এটা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের একটা কালচার এই সব ঘটনা তৈরি করা।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সফরসঙ্গি হিসেবে নিউইয়র্ক যান মির্জা ফখরুল। প্রধান উপদেষ্টা ২ অক্টোবর দেশে ফেরেছেন।
বিএনপি মহাসচিব যুক্তরাষ্ট্রে দলীয় একটি অনুষ্ঠান শেষে একদিন পর দেশে ফিরলেন।
প্রধান উপদেষ্টার এই প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।

03/10/2025

গরু ছাড়াই ৩০ বছর ধরে ঘানি টানছেন স্বামী-স্ত্রী
#দৈনিক সময়ের সংবাদ #সময়ের সংবাদ বাংলা

বিদেশি কর্মী ও সাহায্যবাহী ১৩টি নৌকা আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনীইসরায়েলি বাহিনীকে এড়িয়ে গাজায় প্রায় ৩০টি ফ্লোটিলা জাহাজ গ...
02/10/2025

বিদেশি কর্মী ও সাহায্যবাহী ১৩টি নৌকা আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী

ইসরায়েলি বাহিনীকে এড়িয়ে গাজায় প্রায় ৩০টি ফ্লোটিলা জাহাজ গাজা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছেছে। তবে বিদেশি কর্মী ও সাহায্যবাহী ১৩টি নৌকা আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছেন ফ্লোটিলা আয়োজকরা।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যাত্রী এবং সুইডিশ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে আটক করেছে উসরায়েলি সেনারা।

সেনারা তাকে ঘিরে রেখেছে এবং তিনি জাহাজের ডেকের ওপর বসে আছেন। রয়টার্স ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলার বেশ কয়েকটি জাহাজ থামিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের যাত্রীদের একটি ইসরায়েলি বন্দরে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। গ্রেটা এবং তার বন্ধুদের সুস্থ এবং নিরাপদ রাখা হয়েছে।

’ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহর গাজায় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও খাদ্য পাঠানোর উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। ৪০টিরও বেশি বেসামরিক নৌকায় প্রায় ৫০০ জন সংসদ সদস্য, আইনজীবী এবং কর্মী নিয়ে রওনা হয়েছে।



ফ্লোটিলার পক্ষ থেকে টেলিগ্রামে কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন নৌকার যাত্রীরা তাদের পাসপোর্ট হাতে নিয়ে দাবি করেছেন যে তাদের জোর করে আটক করা হয়েছে এবং ইসরায়েলে নিয়ে আসা হয়েছে।

তারা মানবিক উদ্দেশ্যে গাজায় যাচ্ছিলেন। গাজার অবরোধের বিরুদ্ধে একটি প্রধান প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে এই ফ্লোটিলা আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তুরস্ক, স্পেন এবং ইতালিসহ অনেক দেশ নৌকা অথবা ড্রোন পাঠিয়েছিল, যাতে তাদের নাগরিকরা সাহায্য পায়। যদিও ইসরায়েল তাদের বারবার ফিরে যেতে সতর্ক করেছিল।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের এই আক্রমণকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বলে অভিহিত করেছে এবং এটি নির্দোষ মানুষদের জীবনকে বিপন্ন করেছে বলে মন্তব্য করেছে।

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো বুধবার ইসরায়েলের পুরো কূটনৈতিক মিশনকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে ফ্লোটিলায় দুই কলম্বিয়ান নাগরিককে আটক করা হয়। ইসরায়েল কলম্বিয়ায় গত বছর থেকে কোনো রাষ্ট্রদূত রাখেনি।
এদিকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার ইব্রাহিম বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের ফ্লোটিলা আটকের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনী আটজন মালয়েশিয়ান নাগরিককে আটক করেছে।’ আনওয়ার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘একটি মানবিক মিশনকে আটকে রেখে ইসরায়েল শুধু ফিলিস্তিন জনগণের অধিকার নয়, বরং পৃথিবীর বিবেককেও তাচ্ছিল্য করেছে।’

ইসরায়েলের ফ্লোটিলা আটকের ঘটনায় ইতালি ও কলম্বিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক সাহায্য ফ্লোটিলার প্রতি সংহতি জানাতে ইতালীয় শ্রমিক ইউনিয়ন শুক্রবার সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ইসরায়েল নৌবাহিনী পূর্বে ফ্লোটিলাকে সতর্ক করেছিল যে তারা একটি সক্রিয় যুদ্ধ অঞ্চল অভিমুখে যাত্রা করছে এবং বৈধ অবরোধের বিরুদ্ধে এগিয়ে যাচ্ছে। নিরাপদভাবে গাজায় সাহায্য সরবরাহ করার জন্য শান্তিপূর্ণ চ্যানেল ব্যবহারের প্রস্তাব করেছিল।

সূত্র : রয়টার্স

আজ থেকে শুরু হচ্ছে টানা ৪ দিনের ছুটিব্যাংকসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আজ বুধবার থেকে টানা চার দিন বন্ধ থাকবে। সা...
01/10/2025

আজ থেকে শুরু হচ্ছে টানা ৪ দিনের ছুটি

ব্যাংকসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আজ বুধবার থেকে টানা চার দিন বন্ধ থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি মিলিয়ে আগামী শনিবার পর্যন্ত ছুটি পাবেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ছুটি শেষে আগামী রবিবার থেকে কর্মস্থলে ফিরবেন তাঁরা। এর মধ্যে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।


তবে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আগামী শনিবার খোলা থাকায় কর্মীরা চার দিনের পরিবর্তে এক দিন কম ছুটির সুবিধা পেতে যাচ্ছেন। সূত্র জানায়, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১ অক্টোবর (বুধবার) নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে। ২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিজয়া দশমী উপলক্ষে এক দিন ছুটি থাকবে। এরপর ৩ অক্টোবর (শুক্রবার) এবং ৪ অক্টোবর (শনিবার) সাপ্তাহিক বন্ধ।

তবে এই ছুটিতে খোলা থাকবে জরুরি সেবাগুলো। এসব সেবায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঞ্চিত হবেন ছুটি থেকে। জরুরি পরিষেবা, যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবেন। হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবেন।


চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীরা এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটি ভোগ করবেন না। একই সঙ্গে জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসগুলো এই ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবে। একই সঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে, ছুটি শেষে আগামী রবিবার সকাল ১০টা থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে। ব্যাংকের কার্যক্রমও এদিন থেকে শুরু হবে।

এদিকে দুর্গাপূজাসহ বেশ কয়েকটি ধর্মীয় উৎসবের কারণে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকেই ছুটিতে আছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধনানা প্রয়োজনে মানুষ দোকানপাট ও মার্কেটে যায়। কিন্তু তীব্র যানজট পেরিয়ে গিয়ে যদি দেখতে...
30/09/2025

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

নানা প্রয়োজনে মানুষ দোকানপাট ও মার্কেটে যায়। কিন্তু তীব্র যানজট পেরিয়ে গিয়ে যদি দেখতে পান সব দোকানপাট বন্ধ, তাহলে বিফলে যাবে সব। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক মঙ্গলবার রাজধানীর কোন কোন এলাকায় দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।

বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার দোকানপাট
কাঁঠালবাগান, হাতিরপুল, মানিক মিয়া এভিনিউ, রাজাবাজার, মণিপুরিপাড়া, তেজকুনীপাড়া, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, নীলক্ষেত, কাঁটাবন, এলিফ্যান্ট রোড, শুক্রাবাদ, সোবহানবাগ, ধানমণ্ডি, হাজারীবাগ, জিগাতলা, রায়েরবাজার, পিলখানা, লালমাটিয়া।

বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
বসুন্ধরা সিটি, মোতালেব প্লাজা, ইস্টার্ন প্লাজা, সেজান পয়েন্ট, নিউ মার্কেট, চাঁদনী চক, চন্দ্রিমা মার্কেট, গাউসিয়া, ধানমণ্ডি হকার্স, বদরুদ্দোজা মার্কেট, প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার, গাউসুল আজম মার্কেট, রাইফেলস স্কয়ার, অরচার্ড পয়েন্ট, ক্যাপিটাল মার্কেট, ধানমণ্ডি প্লাজা, মেট্রো শপিং মল, প্রিন্স প্লাজা, রাপা প্লাজা, কারওয়ান বাজার ডিআইটি মার্কেট, অর্কিড প্লাজা।

শারজায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৯ রানে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল নেপাল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি তাদের প্রথমবারের মতো কোনো পূর্ণ সদস্য দ...
28/09/2025

শারজায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৯ রানে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল নেপাল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি তাদের প্রথমবারের মতো কোনো পূর্ণ সদস্য দলের বিপক্ষে জয়। ২০১৪ সালে তারা আফগানিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে হারালেও তখন আফগানিস্তান ছিল আইসিসির সহযোগী দল।

জয়টা একপাশে রাখলেও, দিনটি নেপালের জন্য ছিল ঐতিহাসিক।

প্রথমবার তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলল, আবার সেটিই ছিল পূর্ণ সদস্য দলের বিপক্ষে তাদের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সিরিজের সূচনা। আর সেই মঞ্চকেই তারা আরো বিশেষ করে তুলল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সব বিভাগে হারিয়ে। পুরোপুরি দলীয় প্রচেষ্টায় জয় ছিনিয়ে আনে নেপাল— ছয় ব্যাটার মারেন অন্তত একটি করে ছয়, ছয় বোলার নেন অন্তত একটি করে উইকেট, আর ফিল্ডিং ছিল একেবারে নিখুঁত।

প্রথমে ব্যাট করে নেপাল সংগ্রহ করে ১৪৮ রান।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন অধিনায়ক রোহিত পাওডেল, কুশল মাল্লা খেলেন ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে অভিষিক্ত নাভিন বিদাইসি ৩ উইকেট নিলেও শেষদিকে হোল্ডারের এক ওভারের তিন উইকেট নেপালকে থামাতে পারেনি।

রান তাড়ায় শুরুটা ভালো করলেও নেপালের স্পিন জালে আটকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা।

ফিল্ডিংয়েও দারুণ নৈপুণ্য দেখায় নেপাল, রান আউট ও ক্যাচে কেটে দেয় ক্যারিবীয়দের ভরসা।

শেষদিকে আকিল হোসেন ও ফাবিয়ান অ্যালেন লড়াই চালালেও জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলতে পারেননি। নির্ধারিত ওভারে ক্যারিবীয়রা থামে ১২৯ রানে। নেপাল জয় পায় ১৯ রানে।

Address

224 Fakirapool 1st Lane
Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দৈনিক সময়ের সংবাদ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to দৈনিক সময়ের সংবাদ:

Share

সবার আগে খবর জানতে দৈনিক সময়ের সংবাদ অফিসিয়াল ফেসবুক ফ্যান পেজ লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন ।

সবার আগে খবর জানতে দৈনিক সময়ের সংবাদ অফিসিয়াল ফেসবুক ফ্যান পেজ লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন ।