24/10/2025
জামায়াতের কারবালা আর যায়যায়দিন এর "জীবন ডিগবাজি আমার মরণ ডিগবাজি...!"
অনেকেই যায়যায়দিন পত্রিকার ২৫শে জুলাই ১৯৯৫ সালের এই ছবিটি পোষ্ট করে বুঝাতে চাচ্ছেন, জামায়াতে ইসলামী সর্বদা ডিগবাজির খেলাই খেলেছেন।
মূলত যেভাবেই হউক, বিএনপি’র প্রকৃত রাজনীতি বুঝার জন্যে ৩০ বছর আগের পত্রিকার এই হেডিং, বর্তমানে কিভাবে প্রাসঙ্গিক তা বুঝার জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে! সময় থাকলে পোষ্টটি পড়ার আহবান রইল।
সবার আগে শফিক রেহমান সম্পর্কে কিছু জানা দরকার। ১৯৮০ দশকে শফিক রেহমানের যায়যায়দিন একটি অতি জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ছিল। তিনি এরশাদ সরকারের চরম বিরোধী ছিলেন এবং ক্ষেত্র বিশেষে বিদ্রোহী আচরণ করতেও পিচপা হয় নাই।
সংসদের নতুন আইনে ৩০ জন নারী এমপির সুযোগ এরশাদ সরকার চালু করে! শফিক রেহমান বলেন, এসব মহিলা সাংসদের কোন কাজ নাই। সংসদের শোভা বর্ধনের জন্য তারা ৩০ সেট গহনা হিসেবে সৌন্দর্য বাড়াবে বলে বিদ্রূপ করেন।
এই মন্তব্যের সূত্র ধরে শফিক রেহমানের উপরে গ্রেফতারী পরোয়ানা আসে। যায়যায়দিন পত্রিকা বন্ধ হয়ে যায় তিনি পালিয়ে লন্ডনে নির্বাসিত হন।
১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ১৪০ আসন পায়, জামায়াতে ইসলামী পায় ১৭ আসন। ১৫১ আসন না হওয়ায় সরকার গঠন করতে পারছিল না বিএনপি। অবশেষে জামায়াতে ইসলামীর নিঃশর্ত সমর্থনে খালেদা জিয়া প্রথম বারের মত প্রধানমন্ত্রী হন এবং সরকার গঠন করেন। দলের বামপন্থি নেতারা গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় পদে ভূষিত হন।
১৯৯২ সালে শফিক রেহমান দেশে ফিরে আসেন এবং পুনরায় যায়যায়দিন পত্রিকা চালু করেন। শফিক রেহমান লেখার যাদুকর। যথেষ্ট যোগ্য ব্যক্তি! তিনি খালেদা জিয়াকে সাহসী নেত্রী হিসেব তার পত্রিকায় সদা প্রশংসা করতেন।
এর ফলও আসে তড়িৎ। শফিক রেহমান খালেদা জিয়ার কাছে গুরুত্ব পেতে থাকেন। তিনি তার ব্যক্তিগত পরামর্শক হয়ে উঠেন। খালেদা জিয়ার বক্তব্য বিবৃতি লিখে দিতেন। বক্তব্য কেমন হওয়া চাই ধারণা দিতেন। নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে খালেদা জিয়া তার কাছে বুদ্ধি চাইতেন। শফিক রেহমান কূটনৈতিক মহলে খালেদা জিয়ার হয়ে, যোগাযোগ রক্ষা করতেন। খালেদা জিয়া প্রাঞ্জল বক্ত্যব্যের জন্যে আলোচিত ছিলেন, তার পিছনের মুল ব্যক্তি ছিলেন এই শফিক রেহমান।
১৯৯১ সালে জামায়াতের নিঃশর্ত সমর্থনে বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে, সংগোপনে একটি কাজ করেন। এর পরে যাতে আর কখনও জামায়াত কিংবা অন্য কোন ধর্মীয় দলের কাছে, সংসদীয় ভোটের জন্যে হাত পাততে না হয়, সেটার একটা বিহিত ব্যবস্থা করেন।
সংসদে ৩০টি নারী আসন আছে, সেখান থেকে জামায়াতকে ২টি দিয়ে বাকী ২৮টি বিএনপি নিয়ে নেয়। ফলে বিল পাশ করার জন্যে, সামনের ৫ বছরের মধ্যে, জামায়াত কে আর বিএনপির দরকার রইল না!
ফলে জামায়াত বিএনপির জন্যে এক বেদরকারী সাহায্যকারী হয়ে যায়। সোজা বাংলায় চিটিংবাজি করে! বিএনপি তখনই স্হায়ী শত্রু নিধনে, জামায়াতের বিরুদ্ধে ভিন্ন এক চক্রান্তে মনোনিবেশ করে।
বিএনপি সরকারের গোপন সহযোগিতায় সরকারের বাইরের বামপন্থী দলগুলোকে সর্বপ্রকার সহযোগিতা দিয়ে একটি মোর্চা বানায়! তাদেরকে দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধীদের বিচার কার্যকরের দাবিতে মাঠে নামায়।
১৯৯২ সালের ১৯শে জানুয়ারি “ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নামে” একটা বানানো আন্দোলনে মাঠে নামায়। এই কাজে ভূমিকা রাখে, কর্নেল নুরুজ্জমান, শাহরিয়ার কবির, ড. কামাল হোসেন, ড. আসিফ নজরুল, জাহানারা ঈমাম, মুশতারী শফি সহ কিছু তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা! যাদের সবার সংবাদ পত্রে লেখার যোগ্যতা-দক্ষতা ছিল।
এই আন্দোলনে দলীয় ভাবে তাপ দিচ্ছিল রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, কাজী আরেফ আহমেদ সহ সকল বাম ঘরানার নেতারা। তবে আওয়ামীলীগ এই ইস্যুতে একেবারে চুপ থাকে!
তখন বিএনপির দুইটি চোখ সৃষ্টি হয়। একটি হল জামায়াতের সাথে রাজনৈতিক সখ্যতা নামক নাটক করার চোখ। অন্যটি হল স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে প্রচার করিয়ে জামায়াতের ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্যতাকে ধুলোয় মিঠায়ে দেবার কর্কশ চোখ।
বিএনপি তখন দুই ফিল্ডে জামায়াতের বিরুদ্ধে লেগে যায়। ১৯৯২ সালের শুরু থেকে বিএনপির প্রশ্রয়ে জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে বিষেধাগার শুরু হয়। তারা জামায়াত কে সরকার, সংসদ ও রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব থেকে দূর করতে উছিলা বানাতে থাকে।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আবদারে জামায়াত আমীর অধ্যাপক গোলাম আজমকে ১৯৯২ সালের ২২শে মার্চ গ্রেফতার করেন। গোলাম আজমের দল জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন নিয়ে বিএনপির ক্ষমতার স্বাদ তখন মাত্র বছর খানেক হয়েছে।
এত দ্রুতই চোখ পাল্টানোর দৃশ্যে জামায়াত ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করে। কিন্তু বিএনপি তো জামায়াতের ধৈর্য শক্তির পরীক্ষা চাইছিল না, তারা চাচ্ছিল বিরোধিতা, শক্ত প্রতিরোধ, রাস্তায় ভাঙচুর, ইত্যাদি কিন্তু সেটা জামায়াত করছিল না। বিএনপি তাদের নির্ধারিত ছক আঁকতেই থাকে। ১৯৯২ সালের ১৭ই আগস্ট এক মহা-সুযোগ এসেও যায়।
বামপন্থি নেতা রাশেদ খান মেননের উপর তোপখানা রোডে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বোমা হামলা হয়। তার বোন তখন আবার বিএনপির নেত্রী। মিডিয়া জুড়ে রব উঠে ওঠে, এটা ধর্মীয় মৌলবাদী দলগুলোর কাজ। তাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে। ঢাকায় গণ্ডগোল ভাঙচুর, সারা শহর স্থবির।
সন্ধ্যা নাগাদ কথার পরিবর্তন হয়ে যায়। এটা জামায়াত শিবিরের কাজ। ওদের কঠোর হস্তে দমাতে হবে। পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিতে হবে। বিবিসি, রয়টার, ভোয়া গুরু-গাম্ভীর্য ধারা বিবরণী দিতে থাকে।
জামায়াত-শিবিরকে আর বাড়তে দেওয়া যায়না বলে বিএনপির বাম-রাম গোষ্ঠীর কয়েকজন বলে ফেলে! কেউ বলে জামায়াতের খুনি বৃত্তি এবারই দমাতে হবে!
জামায়াত তখনও বিএনপির সহযোগী শক্তি কিন্তু বিএনপি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে, তারা জামায়াতের অপকর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে! এটার একটা বিহিত করতেই হবে। মূলত বিএনপি তো একটি ইস্যুর জন্যে তক্কে তক্কে ছিল। তারা মৃতপ্রায় রাশেদ খান মেননকে উন্নত চিকিৎসার জন্যের রাষ্ট্রীয় খরচে ইংল্যান্ড পাঠিয়ে দেন। তার পুরো কলিজাটাই নাই হয়ে গিয়েছিল।
কয়েক বছরের রাজকীয় চিকিৎসা শেষে, নতুন কলিজা যোগ, পুরাতন কলিজা মেরামত পূর্বক দেশে ফিরে আসেন। অতঃপর প্রমাণিত হয় রাশেদ খান মেননকে তার দলীয় কর্মীরাই হামলা করেছে, তারা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় কিন্তু ততদিনে রাজনৈতিক পরিস্থিতি জামায়াতের অনেক প্রতিকুলে চলে যায়।
জামায়াত বিনাশর্তে বিএনপিকে ভোট দেবার সময় বলেছিল, জামায়াত কেয়ারটেকার সরকারের জন্যে একটি বিল আনবে, সেটা যাতে বিএনপি সংসদে বিরোধিতা না করে এবং পাশ করার জন্যে সহযোগিতা করে। বিএনপি তখন জামায়াতের আগ্রহের উপর ‘নোট অব ডিসেন্ড” (পড়ুন কথা) দিয়েছিল। পরে জামায়াত নোট অব ডিসেন্ডের জ্বালা হাঁরে হাঁরে বুঝেছিল।
জামায়াত কেয়ার টেকার সরকারের বিল নিয়ে কথা তুললে পর, বিএনপির পুরো দলটি জামায়াতের উপর আক্রোশ ফেটে পড়েন! ব্যক্তিগত ভাবে খালেদা জিয়াও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। সোজা বলে দেন, জামায়াত যদি কেয়ার টেকার সরকার বিল উত্থাপন কর, বিএনপি সেটা মানবে না, সংসদে বিরোধিতা করবে। জামায়াত তার শক্তি মত যা ইচ্ছা, তা তারা করতে পারে।
এর পরেই বিএনপির ছাত্র সংগঠন ‘ছাত্রদল’ হঠাৎ করে সারাদেশে এক যোগে ছাত্র শিবিরের উপরে হামলে পড়ে। দেশ জুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ হতে থাকে। ছাত্র সংঘর্ষ মফস্বল শহর গুলোতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
বিএনপি নেতারা দেশের সকল পলিটেকনিক গুলোর কর্তৃত্ব নিয়ে ফেলে। নাম করা কলেজ গুলো চেষ্টা করে যাচ্ছিল যাতে ক্যাম্পাসে ছাত্র সংঘর্ষ না হয়। কিন্তু সংঘর্ষ ছাড়া তো কাহিনী জমে না। ইস্যু তৈরি হয় না! ফলে সংঘর্ষ গুলো ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৯৯৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর খুলনা বিএল কলেজের জিএস ও কলেজ সভাপতি মুন্সী আবদুল হালিম মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে পর, বিনা উস্কানিতে প্রথমে মসজিদে বোমা মেরে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে, তাকে মসজিদ থেকে বের করে, বারান্দাযর গেইটে এনে জবাই করে হত্যা করা হয়।
ফলে নির্মম নিষ্ঠুর পরিকল্পিত হামলার জেরে জামায়াত শিবির পরিষ্কার বুঝে নেয় যে, বিএনপি ইচ্ছে করেই এসব ঘটাচ্ছে। যেন এই মুর্হতে তাদের নিকট থেকে দূর হয় এবং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মনোনিবেশ করে। ততদিনে সারা দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ, পলিটেকনিক সহ সর্বত্রই শিবির বনাম ছাত্রদলের হাঙ্গামা-গণ্ডগোল ছড়িয়ে পড়ে। শিবিরের নামে একপক্ষীয় মামলা হতে থাকে, তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব হারাতে থাকে।
এটা ছিল জামায়াতের জন্যে খুবই সঙ্গীণ ও অবলম্বন হারা সময়। বিএনপি নৃশংসতা, জাতীয় পার্টির অসাধুতা, ইসলামী দলগুলোর বৈরিতা, বামপন্থীদের হীনতা এবং আওয়ামীলীগের মৌনতার মধ্যে পড়ে জামায়াত হয়ে পড়ে দিশেহারা।
ঠিক এই সময়ে আওয়ামীলীগ তাদের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক চালটি খেলে। শেখ হাসিনা সরাসরি জামায়াতকে অফার দেয়, আমরা আপনাদের কেয়ারটেকার সরকার বিলকে সমর্থন দিব। বিএনপি সরকারকে তা পালন করতে বাধ্য করব নয় আন্দোলন করে হলেও আদায় করব।
জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সময়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যে দ্বিতীয় কোন রাস্তা অবশিষ্ট ছিল না। তাছাড়া আওয়ামীলীগ জামায়াতের সাথে ভিড়েছে, জামায়াতের শর্ত মানার উছিলায়! জামায়াত আওয়ামীলীগের শর্ত মানতে যায়নি। মূলত এখানে বামপন্থীরা উভয় দলের জন্যে ধনিয়া পাতার ভূমিকা রাখে! জামায়াতের ক্ষতি সবার লাভ!
প্রশ্ন উঠতে পারে, তাহলে কেন বিএনপি জামায়াতকে আওয়ামীলীগের কাছে ভিড়তে দিল?
এটাই ছিল ওদের রাজনৈতিক দৈন্যতা। জামায়াত বহুবার চেষ্টা করেছে, বিএনপির সাথে দূরত্ব কমাতে। কিন্তু বিএনপির প্রবল আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছিল যে, পরবর্তী টার্মের নির্বাচনে জামায়াত, আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি মিলে এক জোট হলেও, বিএনপি ২০০ এর অধিক আসন পাবে। এই ধারণা তারা ভারতীয় থিংক ট্যাংক থেকে নিয়েছিল।
ফলে জামায়াতে ইসলামী শেষ বারের মত বিএনপি সভাপতির দ্বারস্থ হয়, তিনি কথা না বাড়িয়ে স্পষ্ট-ভাষায় বলে দেন, আপনাদের কথা শুনব তো দূরের কথা; এই মুখে সেই (কেয়ারটেকার, তত্ত্বাবধায়ক) শব্দটি দ্বিতীয়বার উচ্চারিত হবে না! যার সোজা সাপটা বাংলা, আরে এখনও দুর হও নাই! যেদিকে পথ দেখ, সেদিকেই যাও।
এই পরিস্থিতির আলোকে যখন জামায়াতে ইসলামী ও আওয়ামীলীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল আদায়ের জন্যে ঐক্যবদ্ধ হয় ও মাঠে নামে! তখনকার বিএনপি পন্থি সাময়িকী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রিয় গান, জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ গানের লিরিক অনুসারে, ‘যায়যায়দিন’ টিসকারী করে শিরোনাম দিয়েছিল, ‘জীবন ডিগবাজি আমার মরণ ডিগবাজি’ শিরোনামে।
সম্ভবত শফিক রেহমান বুঝাতে চেয়েছিলেন যে, জামায়াতের মৃত্যু তো অনিবার্য। মৃত্যুই যেহেতু হবে, সেই মৃত্যু আওয়ামীলীগের হাতের চেয়ে বিএনপির হাতে হওয়া অধিকতর উত্তম। পরিণামে বিএনপি লজ্জাজনক ভাবে ক্ষমতা শেষ করে। জনগণের কাছে অস্বস্তিকর হয়ে উঠে। আন্দোলনে দেশের অর্থনীতির যথেষ্ট ক্ষতি সাধন হয়, একটি তামাশার নির্বাচন করতে হয় শুধুমাত্র তত্ত্বাবধায়ক বিল পাশ করার জন্যে এবং সেই নির্বাচনে তারা শোচনীয় ভাবে হারে।
জামায়াতও নির্বাচনে কম সংখ্যক আসন নিয়ে হারে! কিন্তু জিতলেও তাদের কি লাভ হতো? যা বিএনপি থেকে শিখেছে। তবে জামায়াতের নির্বাচনে হারার চেয়েও জল্লাদের শানিত তরবারি থেকে যে কিছুদিন স্বস্তি পেয়েছে, সেটাই তাদের জন্যে যথেষ্ট ছিল।
আমার দেশ পার্টির নেতা মুজিবুর রহমান মনজু বলেছেন, এবার বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় গেলে সেই ১৯৯১ সালের স্টাইলে জামায়াতের উপর নিধন শুরু করবে এবং বিএনপি বহু নেতা ইদানীং জনসভায় হুমকি ধমকি দেওয়াও শুরু করেছেন। যা হবে আওয়ামীলীগের চেয়েও আরো দুর্বিসহ ও কঠিন।
নজরুল ইসলাম টিপু