Candi ক্যন্ডি

Candi  ক্যন্ডি রাসুল সাঃ বলেন,
গোটা দুনিয়ায়টাই সম্পদ দিয়ে ভরপুর আর এই দুনিয়ার সবচেয়ে দামি সম্পদ হচ্ছে নেককার স্ত্রী

29/06/2025

◑ বীর্যের_মন্দ
যৌনেন্দ্রিয় মহান স্রষ্টার অন্যতম নিয়ামত। যৌবনকাল সম্বন্ধে কাল কিয়ামতে মানুষ জিজ্ঞাসিত হবে।
বৈধ বিবাহের মাধ্যমে তারও সঠিক ব্যবহার চাই। নচেৎ কঠিন প্রশ্নের উত্তর কঠিন হয়ে যাবে।
'তুমি কে? তুমি মদোন্মত্ত মানবের যৌবন,
তুমি বারিদের বারিধারা মহাগিরির প্রস্রবণ।'
যৌবনের উত্তেজনা ও উন্মাদনাকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে নানা পাপ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ব্যভিচার, পরকীয়া, সমকাম, হস্তমৈথুন ইত্যাদি যৌন উন্মাদনার কুফল। বিশেষ ক'রে বর্তমান নেটের যুগে এর অনিষ্টকারিতা চরম তুঙ্গে। যা গোপনীয় ছিল, তা আজ সম্পূর্ণ উন্মুক্ত। কিশোর-কিশোরীরা যৌবনকাল আসার আগেই এঁচোড়-পাকা হয়ে যাচ্ছে। দুশ্চরিত্র ও লম্পটদের সংখ্যা বেড়েছে। শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের আধিক্যও সুস্থ সমাজের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। বাঁধভাঙ্গা সর্বনাশিতার দিকে ধেয়ে চলেছে যুবসমাজ।
বীর্যকে সঠিক জায়গায় পাত না করলে সীমালংঘন হয়।
মহান আল্লাহ মু'মিনদের গুণ বর্ণনায় বলেছেন,
وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ () إِلاَّ عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ () فَمَنْ ابْتَغَى وَرَاءَ ذَلِكَ فَأُوْلَئِكَ هُمْ الْعَادُونَ ()
“যারা নিজেদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে। নিজেদের পত্নী অথবা অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত; এতে তারা নিন্দনীয় হবে না। সুতরাং কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে, তারা হবে সীমালংঘনকারী।” (মু'মিনূনঃ ৫-৭, মাআরিজ ২৯-৩১)
বীর্য তথা যৌনাঙ্গের হিফাযত ঠিকমতো না হলে জান্নাতের নিশ্চয়তা নেই।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
(( مَنْ يَضْمَنْ لِي مَا بَيْنَ لَحْيَيْهِ وَمَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ أَضْمَنْ لَهُ الجَنَّةَ ))।
“যে ব্যক্তি দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী (অঙ্গ জিভ) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী (অঙ্গ গুপ্তাঙ্গ) সম্বন্ধে নিশ্চয়তা দেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব।” (বুখারী ৬৪৭৪নং)
(( مَنْ وَقَاهُ اللهُ شَرَّ مَا بَيْنَ لَحْيَيْهِ ، وَشَرَّ مَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ دَخَلَ الجَنَّةَ )) ।
“যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তার দুই চোয়ালের মধ্যস্থিত অঙ্গ (জিহ্বা) ও দু'পায়ের মাঝখানের অঙ্গ (লজ্জাস্থান)এর ক্ষতি থেকে মুক্ত রাখবেন, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (তিরমিযী ২৪০৯, হাসান)
অবশ্য মন্দ বীর্যের আরো একটা অর্থ বলা হয়েছে, ঐ বীর্য থেকে কুসন্তান ও নেমকহারাম আওলাদের জন্ম। অবাধ্য ছেলেমেয়ে ৗরষে আসা হল মন্দ বীর্যের ফল।
সে যাই হোক, যৌনাঙ্গ ও বীর্যপাতের ব্যাপারে সংযত হতে চেষ্টা করুন। আর সেই সাথে মহান আল্লাহর কাছে দুআ করুন। যাতে বীর্যজনিত কোন মন্দ আচরণে আপনি লিপ্ত না হয়ে যান।
এ ব্যাপারে মুনাজাতের জন্য দুআ করুন এই বলে,
اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِيْ وَمِنْ شَرِّ بَصَرِيْ وَمِنْ شَرِّ لِسَانِيْ وَمِنْ شَرِّ قَلْبِيْ وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّيْ।
উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন শার্রি সামঈ, ওয়া মিন শার্রি বাস্বারী, ওয়া মিন শার্রি লিসা-নী, ওয়া মিন শার্রি ক্বালবী, ওয়া মিন শার্রি মানিইয়্যী।
অর্থঃ- হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট আমার কর্ণ, চক্ষু, রসনা, অন্তর এবং বীর্য (যৌনাঙ্গে)র অনিষ্ট থেকে শরণ চাচ্ছি।
শাকাল বিন হুমাইদ (রায্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, এই দুআ তাঁকে নবী ﷺ শিখিয়েছিলেন।
(আবূ দাঊদ ১৫৫৩, তিরমিযী ৩৪৯২, নাসাঈ ৫৪৫৬নং)
কোন কোন বর্ণনামতে এই দুআ মহানবী ﷺ নিজেও করতেন।
আর ভেবে দেখুন, উক্ত দুআর শব্দগুলি কীভাবে বিন্যস্ত হয়েছে,
'হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট আমার
কর্ণ,
চক্ষু,
রসনা,
অন্তর
এবং বীর্য (যৌনাঙ্গে)র অনিষ্ট থেকে শরণ চাচ্ছি।'
যেভাবে কর্ণ, চক্ষু, রসনা এবং অন্তর বেয়ে ক্রমান্বয়ে ব্যভিচার বা বীর্যপাত ঘটে থাকে।
আর মহানবী ﷺ বলেছেন,
(( كُتِبَ عَلَى ابْن آدَمَ نَصِيبُهُ مِنَ الزِّنَا مُدْرِكُ ذَلِكَ لاَ مَحَالَةَ : العَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ ، وَالأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الاسْتِمَاعُ ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الكَلاَمُ ، وَاليَدُ زِنَاهَا البَطْشُ ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الخُطَا ، وَالقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى ، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الفَرْجُ أَوْ يُكَذِّبُهُ )) ।
“নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা আদম সন্তানের জন্য ব্যভিচারের অংশ লিখে দিয়েছেন; যা সে অবশ্যই পাবে। সুতরাং চক্ষুদ্বয়ের ব্যভিচার (সকাম অবৈধ) দর্শন। কর্ণদ্বয়ের ব্যভিচার (অবৈধ যৌনকথা) শ্রবণ, জিভের ব্যভিচার (সকাম অবৈধ) কথন, হাতের ব্যভিচার (সকাম অবৈধ) ধারণ এবং পায়ের ব্যভিচার (সকাম অবৈধ পথে) গমন। আর হৃদয় কামনা ও বাসনা করে এবং জননেন্দ্রিয় তা সত্য বা মিথ্যায় পরিণত করে।” (মুসলিম ৬৯২৫, বুখারী ৬২৪৩, ৬৬১২নং)
(বইঃ আল্লাহর পানাহ)

10/06/2025

মৌমাছিরা মৃত্যুর জন্য মোটেও ভয় পায় না। একজন মানুষকে মারতে হলে প্রায় ১১০০ হুলের বিষ প্রয়োজন। আনুমানিক ১ কেজি মধু সংগ্রহের জন্য ১১০০ মৌমাছি প্রায় ৯০ হাজার মাইল পথ ঘুরতে হয়। যা কিনা চাঁদের কক্ষপথের প্রায় তিনগুণ!

ফুলের হিসাব করলে দেখা যায় ১ কেজি মধু সংগ্রহের জন্য প্রায় ৪০ লক্ষ ফুলের পরাগরেণু স্পর্শ করতে হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে ভালো মৌসুমে প্রায় ৫৫ কেজি মধু জমা হয়। এসব তথ্য থেকে আমরা বুঝতে পারি কর্মী মৌমাছি কি পরিমাণ পরিশ্রমী।

অপরদিকে রাণী মৌমাছি শুধু খায় আর ডিম পাড়ে! রাণী প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ২৫০০ ডিম দেয়। পুরুষ মৌমাছির স্বভাব বেশ অদ্ভুত। এরা জীবনেও কোন কাজ করে না, এমনকি কর্মী মৌমাছিকে এদের খাবার পর্যন্ত মুখে তুলে দিতে হয়। এদের জীবনের একমাত্র লক্ষ হলো রাণী মৌমাছির সাথে মিলিত হওয়া!

মিলন মৌসুমে প্রতিদিন দুপুরবেলা চাকের সর্বাধিক সক্ষম পুরুষ মৌমাছিগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে ভিড় জমায় যাকে বলা হয় পুরুষ ধর্মসভা!

ঠিক একই সময়ে চাক থেকে রাণী মৌমাছি ঘুরতে বের হয়, যাকে বলা হয় “দি মিটিং ফ্লাইট”।

রাণী মৌমাছি হঠাৎ করে ঢুকে পড়ে পুরুষ ধর্মসভা এলাকায়। সে এসেই এক বিশেষ ধরণের গন্ধ ছড়িয়ে দেয়, যার ফলে শত শত পুরুষ মৌমাছি উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এর পরপরই রাণী মৌমাছি উড়ন্ত অবস্থায় পছন্দমত পুরুষের সাথে মিলন করে। রাণী মৌমাছি একেবারে পর্যায়ক্রমে ১৮-২০টা পুরুষ মৌমাছির সাথে মিলিত হতে পারে!

অদ্ভুত ব্যাপার হল, যৌন মিলনের সময় পুরুষ মৌমাছির এন্ডোফেরাস বা যৌনাঙ্গ ভেঙ্গে যায় এবং তখনই মারা যায় পুরুষ মৌমাছি। এজন্যই এই মিলনকে বলা হয় “দি ড্রামাটিক সেক্সুয়াল সুইসাইড”।

একটি মৌচাক একটি মাত্র রাণী স্ত্রী মৌমাছি থাকে। রাণীকে কেন্দ্র করেই মৌচাক গড়ে ওঠে।

যদি কোন ডিম থেকে স্ত্রী মৌমাছির জন্ম হয় সে শিশু স্ত্রী মৌমাছিকে কর্মী মৌমাছিরা লুকিয়ে রাখে যেন রাণীর নজরে না আসে। রাণীর নজরে পড়লে ঐ শিশু স্ত্রী মৌমাছির নিশ্চিত মৃত্যু। শিশু রাণী মৌমাছিটি বড় হলে দুই রাণীর মধ্যে যুদ্ধ হয়। এতে দুটি পথ খোলা থাকে। হয় যুদ্ধে মৃত্যু ( একজন অপর জনকে হত্যা করে মৌচাকের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে) না হয় দুজন আলাদা হয়ে পৃথক দুটি মৌচাক গড়ে তোলা।

অনাকাঙ্খিতভাবে যদি কোন রাণী মৌমাছি মারা যায় তবে সে খবর ১৫ মিনিটের মধ্যে সকল কর্মী মৌমাছি জানতে পারে এবং সম্মিলিতভাবে নতুন রাণী মৌমাছি তৈরি করার উদ্যোগ নেয়।

আরো কিছু অদ্ভুত বিষয় রয়েছে, যা জানলে আপনারা অবশ্যই অবাক হবেন,,, ৫০০ গ্রাম মধু তৈরিতে ২০ লক্ষ ফুল লাগে। শ্রমিক বা কর্মী মৌমাছি সারা জীবনে আধা চা চামচ মধু তৈরি করতে পারে। আরো একটা মজার ব্যাপার হলো, পৃথিবীতে মধু একমাত্র খাদ্য যা কখনোই পচে না!
এ ধরনের অদ্ভুত তথ্য জানতে আমার পেইজটি ফলো করুন।

30/05/2025

⚠️প,র্নোগ্রাফি দেখা, হ,স্তমৈথুন- ঘষাঘষি করা, যৌ,নাঙ্গ চু-ষা, স,মকামিতায় লিপ্ত হওয়া, অ,শ্লীল ভিডিও দেখা, লুলিয়ে ভুলিয়ে পটিয়ে সে,ক্স করা, ফোন সে,ক্স করা, টাকার বিনিময়ে পতিতালয়ে গমন, গো,পনাঙ্গ দেখা কোনটাই ভালো কাজের পর্যায়ে পরে না। তাছাড়া পড়ালেখা বাদ দিয়ে, আল্লাহর কথা ভুলে গিয়ে ভাইরাল লিংকের পিছনে ছোটাছুটি করা, অ,শ্লীলতা ছড়ানো, অন্যের ব্যক্তিগত ভিডিও দেখা খুব জঘন্য ও গর্হিত কাজ।

♥️অনুমান করছি খুব আনন্দ নিয়ে এসব দেখছেন আর নিজের হিতাহিত জ্ঞান ক্ষয় করছেন।। ভালো মন্দ বুঝার সক্ষমতা নেই আপনার মস্তিষ্কের।।

😇কী লাভ হয় এসব পাহাড়, পর্বত, নদী নালা ও প,ম প,ম দেখে?? কী এমন তৃপ্তি পান??

⚠️বি-ষ পান করছেন আপনি আর মনের আনন্দে ভাবতেছেন বাসার তেলাপোকা, ইদুর গুলো মরছে। আসলেই কী তাই?? মিয়া মানুষ হবেন কবে???? সুবুদ্ধির উদয় হবে কবে???

➡️এসব ন্যাং:টা মেয়ের নাচ, গান, টিকটিক, প,র্নোগ্রাফি দেখে উত্তেজনার ঠেলার করছেন হ,স্তমৈথুন। ফলে নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে শরীরে।। যা বুঝার আগেই আপনার যৌ,বন ধ্বংস হচ্ছে। যেমন:- ধ্ব,জভঙ্গ, দ্রুত বী,র্যপাত, লি,ঙ্গ কম শক্ত হওয়া, বী,র্য পরিমাণে কম ও পাতলা, সে,ক্স হরমোন টে,স্টোস্টেরন হ্রাস পাওয়া, স্মৃতি শক্তি কমা, যৌ,ন চাহিদা কমে যাওয়া, লি,ঙ্গ প্রবেশের আগেই বী,র্যপাত বা সাথে সাথে বী,র্যারোহণ, শরীর স্বাস্থ্য শুকিয়ে যাওয়া, মাথার চুল পরা বা উঠা, কাজের স্পৃহা কমে যাওয়া, ibs সহ নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে।।

⚠️খারাপ অভ্যাস একবার হয়ে গেলে সহজে সে অভ্যাস দূর হয় ন।। আসক্তি এমন ভয়ংকর। কোন সাজেশন, পরামর্শ কাজে আসবে না। ধোঁকে ধোকে মৃত্যু। না পারবেন শয়তে, না পারবেন কয়তে।। যদি অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় তাহলে জীবন শেষ।।। সময় থাকতে বের হোন।।।

কী লাভ হয় এসব পাহাড়, পর্বত, নদী নালা, খাল বিল দেখে?? ফলাফল ধা,তুক্ষয়, ধ্ব,জভঙ্গ, দ্রুত বী,র্যারোহণ।

🏔️আপনাদের কী স্মরণে নেই আল্লাহ সব দেখছে??? এত পাপের বুঝা বহন করা কঠিন।।। আখিরাতের ভয় নেই?? জাহান্নামের কথা ভুলে গেছেন???

♥️কেন মা বাবর সপ্নগুলোর সাথে প্রথারনা করছেন?? আপনাকে জন্ম দিয়ে তারা ভুল করেছে??? পাগলেতো নিজেরটা বুঝে।।।

♥️আপনার থাকার কথা পড়ালেখা নিয়ে পড়ার টেবিলে, থাকার কথা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে মসজিদে। আসছেন এসব ফালতু ভিডিও দেখতে।।।

⚠️ধ্ব,জভঙ্গ এমন জটিল যৌন রোগ একবার হলে সহজে আরোগ্য হয় না।। জীবন যৌবনের সাথে সংসারও যাবে। যখন বউ চলে যাবে অপূর্ণ চাহিদা রেখে তখন সমাজে মুখ কেমনে দেখাবেন??

⚠️যৌ-ন সমস্যা যত পুরাতন হয় আরোগ্য হতেও তত সময় লাগে।। বেশ ধৈর্য ধরে চিকিৎসা করতে হয়। সাথে টাকা পয়সাও খরচ হয়।

একবারও ভাবলেন না যৌ,বনের কথা?
লজ্জা থাকা দরকার।
♥️আমি চাই আপনি আলোর পথে আসুন। জীবনকে রাঙিয়ে তুলেন সফলতার আলোয়

⚠️এই কমেন্ট দেখেই উড়াধুড়া ইনবক্সে আসবেন,,, না,,,🙏প্লিজ👏
এই আইডির টাইম লাইন থেকে ৮-১০ টা পোস্ট পড়ে নিয়ম গুলো জেনে নেন আগে। নিয়ম পছন্দ হলে, রুচিসম্মত মনে হলে, ভালো লাগলে পরে ইনবক্সে ঝাপ দেন।
⚠️নিয়মের কারনে ঘাপলা হোক চাই না।

24/05/2025

🥰 সেভ করে রাখুন কাজে লাগবে 🥰
পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত ১৩০টি শব্দের অর্থের তালিকা
খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত অনেক শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ রয়েছে। কিছু শব্দ খুব কম ব্যবহৃত হয়। যারা পুরাতন দলিলের শব্দের অর্থ বোঝেন না, তাদের জন্য বিস্তারিত ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো —

১) মৌজা: গ্রাম
২) জে.এল. নং: মৌজা নম্বর/গ্রামের নম্বর
৩) ফর্দ: দলিলের পাতা
৪) খং: খতিয়ান
৫) সাবেক: আগের/পূর্বের
৬) হাল: বর্তমান
৭) বং: বাহক (যিনি নিরক্ষর ব্যক্তির নাম লেখেন)
৮) নিং: নিরক্ষর
৯) গং: অন্যান্য অংশীদার
১০) সাং: সাকিন/গ্রাম
১১) তঞ্চকতা: প্রতারণা
১২) সনাক্তকারী: বিক্রেতাকে চিনেন এমন ব্যক্তি
১৩) এজমালি: যৌথ
১৪) মুসাবিদা: দলিল লেখক
১৫) পর্চা: প্রাথমিক খতিয়ানের নকল
১৬) বাস্তু: বসতভিটা
১৭) বাটোয়ারা: সম্পত্তির বণ্টন
১৮) বায়া: বিক্রেতা
১৯) মং: মোট
২০) মবলক: মোট পরিমাণ
২১) এওয়াজ: সমমূল্যের বিনিময়
২২) হিস্যা: অংশ
২৩) একুনে: যোগফল
২৪) জরিপ: ভূমি পরিমাপ
২৫) চৌহদ্দি: সীমানা
২৬) সিট: মানচিত্রের অংশ
২৭) দাখিলা: খাজনার রশিদ
২৮) নক্সা: মানচিত্র
২৯) পিং: পিতা
৩০) জং: স্বামী
৩১) দাগ নং: জমির নম্বর
৩২) স্বজ্ঞানে: নিজের জ্ঞানের ভিত্তিতে
৩৩) সমুদয়: সব কিছু
৩৪) ইয়াদিকৃত: পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু
৩৫) পত্র মিদং: পত্রের মাধ্যমে
৩৬) বিং: বিস্তারিত
৩৭) দং: দখলকারী
৩৮) পত্তন: সাময়িক বন্দোবস্ত
৩৯) বদলসূত্র: জমি বিনিময়
৪০) মৌকুফ: মাফকৃত
৪১) দিশারী রেখা: দিকনির্দেশক রেখা
৪২) হেবা বিল এওয়াজ: বিনিময়সূত্রে জমি দান
৪৩) বাটা দাগ: বিভক্ত দাগ
৪৪) অধুনা: বর্তমান
৪৫) রোক: নগদ অর্থ
৪৬) ভায়া: বিক্রেতার পূর্বের দলিল
৪৭) দানসূত্র: দানকৃত সম্পত্তি
৪৮) দাখিল-খারিজ: মালিকানা পরিবর্তন
৪৯) তফসিল: সম্পত্তির বিবরণ
৫০) খারিজ: পৃথক খাজনা অনুমোদন
৫১) খতিয়ান: ভূমির রেকর্ড
৫২) এওয়াজসূত্র: বিনিময় সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি
৫৩) অছিয়তনামা: উইল/মৃত্যুকালীন নির্দেশ
৫৪) নামজারি: মালিকানা হস্তান্তরের রেকর্ড
৫৫) অধীনস্থ স্বত্ব: নিম্নস্তরের মালিকানা
৫৬) আলামত: মানচিত্রে চিহ্ন
৫৭) আমলনামা: দখলের দলিল
৫৮) আসলি: মূল ভূমি
৫৯) আধি: ফসলের অর্ধেক ভাগ
৬০) ইজারা: নির্দিষ্ট খাজনায় সাময়িক বন্দোবস্ত
৬১) ইন্তেহার: ঘোষণাপত্র
৬২) এস্টেট: জমিদারি সম্পত্তি
৬৩) ওয়াকফ: ধর্মীয় কাজে উৎসর্গকৃত সম্পত্তি
৬৪) কিত্তা: ভূমিখণ্ড
৬৫) কিস্তোয়ার জরিপ: কিত্তা ধরে ভূমি পরিমাপ
৬৬) কায়েম স্বত্ব: চিরস্থায়ী মালিকানা
৬৭) কবুলিয়ত: স্বীকারোক্তি দলিল
৬৮) কান্দা: উচ্চভূমি
৬৯) কিসমত: ভূমির অংশ
৭০) খামার: নিজস্ব দখলীয় ভূমি
৭১) খিরাজ: খাজনা
৭২) খসড়া: প্রাথমিক রেকর্ড
৭৩) গর বন্দোবস্তি: বন্দোবস্তবিহীন জমি
৭৪) গির্ব: বন্ধক
৭৫) জবরদখল: জোরপূর্বক দখল
৭৬) জোত: প্রজাস্বত্ব
৭৭) টেক: নদীর পলি জমে সৃষ্টি ভূমি
৭৮) ঢোল সহরত: ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা
৭৯) তহশিল: রাজস্ব এলাকা
৮০) তামাদি: নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত
৮১) তফসিল: সম্পত্তির বিবরণ
৮২) নামজারি: মালিকানা হস্তান্তর
৮৩) নথি: রেকর্ড
৮৪) দেবোত্তর: দেবতার নামে উৎসর্গকৃত
৮৫) দখলী স্বত্ব: দখলের ভিত্তিতে মালিকানা
৮৬) দশসালা বন্দোবস্ত: দশ বছরের বন্দোবস্ত
৮৭) দাগ নম্বর: জমির ক্রমিক নম্বর
৮৮) দরবস্ত: সব কিছু
৮৯) দিঘলি: নির্দিষ্ট খাজনা প্রদানকারী
৯০) নক্সা ভাওড়ন: পূর্ব জরিপের মানচিত্র
৯১) নাম খারিজ: পৃথককরণ
৯২) তুদাবন্দি: সীমানা নির্ধারণ
৯৩) তরমিম: সংশোধন
৯৪) তৌজি: চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত রেকর্ড
৯৫) দিয়ারা: নদীর পলিতে গঠিত চর
৯৬) ট্রাভার্স: জরিপের রেখা পরিমাপ
৯৭) খাইখন্দক: জলাশয় বা গর্তযুক্ত ভূমি
৯৮) চর: নদীর পলি জমে গঠিত ভূমি
৯৯) চৌহদ্দি: সম্পত্তির সীমানা
১০০) খাস: সরকারি মালিকানাধীন জমি

শেষ কথা:
এই শব্দগুলো পুরাতন দলিল পড়ার সময় আপনাকে দারুণ সহায়তা করবে। সেভ করে রেখে দিন — প্রয়োজনে অমূল্য হয়ে উঠবে।

📌 পর্ন- এক নীরব মহামারি, নির্দোষ আনন্দ, নীল অন্ধকার জগত ও ভয়ংকর মহামারী । তাই পর্ন এবং পর্ন আসক্ত ব্যক্তির সম্পর্কে ভয়ঙ্...
02/04/2025

📌 পর্ন- এক নীরব মহামারি, নির্দোষ আনন্দ, নীল অন্ধকার জগত ও ভয়ংকর মহামারী । তাই পর্ন এবং পর্ন আসক্ত ব্যক্তির সম্পর্কে ভয়ঙ্কর কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো ;

১/ পর্ন একটা মুভি মাত্র । এখানে অভিনয়-ই হচ্ছে মূল । ১০ মিনিটের একটা ভিডিও ১০ দিন শ্যুট করা হয় । তারপর সেগুলো ইডিট করে লং টাইমে ক্যাপচার করা হয় । সবকিছুই ফেইক । এক্সপ্রেশনটাও ফেইক ।

২/ পর্নের নারীর শরীর সম্পূর্ণ আর্টিফিশিয়াল (কৃত্রিম ভাবে তৈরী) । পুরো শরীর সার্জারি করে ফুলানো হয় বিশেষ অঙ্গগুলি । অপরদিকে বাস্তব জীবনে একজন নারী পড়াশুনা করে, চাকরি করে, সংসার করে, ছেলে-মেয়ের দেখা শুনা করে, কত হাজার দায়িত্ব পালন করে ।

একজন সাধারণ নারীর পক্ষে সার্জারি করে তার শরীরের অঙ্গগুলি পরিবর্তন করা সম্ভব?কখনই নাহ । তাছাড়া এটাতে হিউজ রিস্ক থাকে ।

ক্যান্সারের প্রবল সম্ভাবনা থাকে । তাই যখন একজন পর্ন আসক্ত দেখে তার বউয়ের শরীর পর্নের নারীর শরীরের মতো নাহ, তখন আর বউকে ভালো লাগে নাহ ।

পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে, পতিতালয়ে যেতেও দ্বিধাবোধ করে নাহ । অথচ সে জানেই না পর্নের নারীর শরীর সার্জারি করা ফেইক একটা বডি । ❌

৩/ যখন একজন পর্ন আসক্ত ব্যক্তি তার বউয়ের শরীর পর্নের নারীর আর্টিফিশিয়াল & সার্জিকাল শরীরের সাথে তুলনা করে, তখন ঐ নারীর মন ভেঙ্গে যায় ।

৪/ পর্ন ইন্ডাস্ট্রির মেয়েদের কি পরিমাণ অত্যাচার করা হয় জানেন? ওদের পিটিয়ে বাধ্য করা হয় । ভিডিও শুরুর আগে ওদের ড্রাগ ইনজেক্ট করা হয় । ওদের যোনীপথ ও পায়ুপথে কোকেইন ঢালা হয় যাতে কোন ব্যথা না পায় ।

ওদের জরায়ু কিডনি পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গেছে । ক্যান্সারে মারা যায় শেষ পর্যন্ত । তাদের স্বীকার করতে বাধ্য করা হয় যে, তারা নিজের ইচ্ছায় পর্নে কাজ করছে । নাহলে তো পর্ন ইন্ডাস্ট্রির ধান্ধা বন্ধ হয়ে যাবে ।

৫/ অলমোস্ট সকল রেইপিস্ট স্বীকার করেছে তারা পর্ন দেখে রেইপ করার জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছে ।

৬/ সিগারেট থেকে নেশার শুরু যেমন কোকেইনে গিয়ে শেষ হয়, তেমনি দীর্ঘদিন পর্ন দেখলে নরমাল পর্নে আর কাজ হয় না । আগের মতো ডোপামিন-অক্সিটোসিন ক্ষরণ হয় নাহ । তখন আরো কড়া ডোজ দরকার হয় । এক্সট্রিম ইনোভেটিভ পর্ণ দরকার হয় । ঐ কড়া ডোজের জন্য রেইপ পর্ন, শিশু পর্ন দেখতে শুরু করে ।

৭/ পর্ন আসক্ত ব্যক্তির সেল্ফ কনফিডেন্স থাকেনা । মেয়েদের সাথে ঠিকমতো কথাও বলতে পারে না । মেয়েদের চোখের দিকে তাকানোর বদলে অন্যান্য এবং আকর্ষিত অঙ্গগুলোর দিকে তাকায় । এমনকি নিজের মা বোনের দিকেও তাকাতে পারে না । লজ্জায় মাথা হেট হয়ে থাকে ।

৮/ একজন ড্রাগ এডিক্ট এর মস্তিষ্ক এবং একজন পর্ন এডিক্ট এর মস্তিষ্কের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই ।

৯/ একজন পর্ন আসক্ত পর্ন দেখার জন্য ক্লাস,আড্ডা,স্টাডি ট্যুর, ফ্যামিলি ট্রিপ সেক্রিফাইস করতে পারে ।

১০/ পর্নে আমাদের পরিচিত পরিবেশ-রুম-পেশা-ড্রেসআপ ব্যবহার করা হয় । যাতে আমরা যেকোন জায়গায় পর্নের দৃশ্য নিয়ে চিন্তা করতে থাকি ।

১১/ স্ট্রেসের ঠুনকো বাহানা দিয়ে একটু শান্তির জন্য পর্নের দুনিয়ায় হারিয়ে যায় । কোন কারণে মন খারাপ হলে দ্রুত মন ভালো হওয়ার জন্য পর্ন দেখে । এতে পর্ন আসক্ত ব্যক্তি তার স্বাভাবিকভাবে খুশি হওয়ার যে ক্ষমতা সেটা হারিয়ে ফেলে ।

১২/ পর্ন আসক্তদের স্মৃতিশক্তি লোপ তো পায়ই, বুদ্ধিমত্তাও কমে যায় । মেজাজ খিটখিটে থাকে সবসময় । সুন্দর কিছু চিন্তাও করতে পারে নাহ । ব্রেইন আর ভালো কাজে ইউজ করতে পারে নাহ । অকালে বুড়ো হয়ে যায় । [আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি]

১৩/ অনেকেই মনে করছেন বিয়ে করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে । ভুল চিন্তা । একটু ইন্টারনেটে পর্ন এডিক্টদের সাক্ষাৎকার দেখুন । বিয়ের পরেও পর্ন এডিক্টদের উত্তেজিত হওয়ার জন্য পর্ন দেখতে হয় । কারণ তারা ঐ কৃত্তিমভাবে ফুলানো বডিটা দেখেই উত্তেজিত হয় । রক্ত মাংসে গড়া বউয়ের শরীরে আর কাজ হয় নাহ তখন ।

১৪/ পর্ন-মাস্টারবেশন সম্পর্কটা চা-বিস্কুটের মতো । একটা ছাড়া আরেকটা জমে নাহ । মাস্টারবেশনে উত্তেজিত হওয়ার জন্য পর্ন দেখে । আর পর্ন দেখার পর মাস্টারবেশন করে ।

১৫/ যখন পর্ন দেখে মাস্টারবেশন করে তখন চেষ্টা করে কতো দ্রুত অরগাজম করে চরম সুখ পাওয়া যায় । কেও দেখে ফেলার আগে কত দ্রুত অরগাজম করা যায় । এভাবে দ্রুত অরগাজম ব্রেইনে সেট হয়ে যায় । একসময় গিয়ে দেখে সে ১ সেকেন্ডও পারফর্ম করতে পারছে না । এটাই অকালস্থলন (Premature Ej*******on) । এছাড়া আপনি আপনার পুরুষত্ব পর্যন্ত হারিয়ে ফেলতে পারেন ।

১৬/ আপনি যত বেশি পর্ন দেখছেন ততবেশি মেয়ে কিডন্যাপ হচ্ছে । হবেই তো । আপনার চাহিদা মেটাতে নতুন নতুন মেয়ে লাগবে নাহ? এক মেয়ের ভিডিও দেখে তো আপনি আর উত্তেজিত হচ্ছেন না ।

১৭/ রক্ত মাংসের পার্টনার থেকেও কৃত্তিম এবং সার্জিকাল আর্টিফিশিয়াল বডিই বেশি ভালো লাগে । পড়াশোনা, ক্যারিয়ার, চাকরি জীবন, সংসার জীবন, ব্যক্তিগত জীবন সব গোল্লায় যাবে ।
১৮/ বউকে পর্ন দেখিয়ে বাধ্য করে পর্নের নারীর মতো সেক্স করতে । পর্ন আসক্ত চিন্তা করে এভাবেই হয়তো তার বউ সুখ পাবে । হয়ে উঠে হিংস্র জানোয়ার ।

১৯/ যে ছেলেটা রাতে ছাত্র-শিক্ষিকা পর্ন দেখে পরেরদিন স্কুলে যায়, সে তার স্কুলের ম্যাডামের দিকে স্বাভাবিক চোখে তাকাতে পারবে?

২০/ আমাদের জেনারেশনের উপর পর্ন একটা এক্সপেরিমেন্ট মাত্র । সরকার নয়, আমরাই পর্ন ব্যান করবো ইন শা আল্লাহ । কিভাবে? উত্তর খুবই সহজ : আপনি সেচ্ছায় পর্ণ দেখা বন্ধ করুন । কারন যদি কেওই পর্ন না দেখে তাহলে ওদের ধান্ধা বন্ধ হয়ে যাবে । হারিয়ে যেও না ভাই, ভালবাসা নাও । পর্ন-মাস্টারবেশন থেকে বাঁচার উপায় অবশ্যই আছে । এসমস্ত অন্ধকার জগত থেকে মহান আল্লাহ আমাদের সকল যুবক-যুবতীদের হেফাজত করুন, আমীন ।

© Copied & Correction

প্রশ্ন: ইসলামী শরীয়তে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি কি? স্ত্রী গর্ভবতী হলে সহবাসে কোন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কি? সহবাসের...
19/01/2025

প্রশ্ন: ইসলামী শরীয়তে স্ত্রী সহবাসের সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি কি? স্ত্রী গর্ভবতী হলে সহবাসে কোন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কি? সহবাসের নিষিদ্ধ কোন সময় আছে কি?
▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬
ভূমিকা: মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করার সাথে সাথে তার জীবন ধারণের জন্য কিছু চাহিদা দিয়েছেন এবং চাহিদা মিটানোর পদ্ধতিও বলে দিয়েছেন। মানব জীবনে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ন্যায় জৈবিক চাহিদাও গুরুত্বপূর্ণ। এই চাহিদা পূরণের জন্য ইসলাম বিবাহের বিধান দিয়েছে। ইসলামের প্রতিটি কাজের সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সহবাস তার ব্যতিক্রম নয়। ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে দিবারাত্রে স্বামী-স্ত্রীর যখন সুযোগ হয়, তখনই সহবাস বৈধ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেত স্বরূপ। সুতরাং তোমরা তোমাদের ক্ষেতে যেভাবে ইচ্ছা গমন কর।’(সূরা বাক্বারাহ; ২/২২৩)। উক্ত আয়াতের তাফসিরে ইবনুল মালিক বলেন, স্ত্রীর পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম সকল ধর্মেই নিষিদ্ধ। কিন্তু পশ্চাৎদিক থেকে সম্মুখের দ্বারে সঙ্গত হওয়া মোটেও নিষিদ্ধ নয়। ইয়াহূদীদের বিশ্বাস ছিল যে, পশ্চাদ্বিক থেকে সঙ্গত হলে তাতে কোনো সন্তান জন্মগ্রহণ করলে সে হবে ট্যারা, এটি একটি কুসংস্কার ও ভ্রান্তধারণা। এই ভ্রান্তধারণা অপনোদনের জন্য আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করেন, ‘‘তোমাদের স্ত্রীগণ হলো তোমাদের শষ্যক্ষেত্র স্বরূপ; অতএব তোমরা যেভাবে ইচ্ছা স্বীয় ক্ষেত্রে গমন কর।’’ আয়াতে স্ত্রীগণ দ্বারা বিবাহিত ও মালিকানা স্বত্বের দাসীই কেবল উদ্দেশ্য। তাদেরকে ক্ষেতের সাথে তুলনা করা হয়েছে; ক্ষেত যেমন বীজ থেকে ফসল উৎপন্ন করে তদ্রূপ স্ত্রীগণও মানব সন্তানের উৎপাদন ক্ষেত্র। আর এর উপযোগী পন্থা হলো সম্মুখ পথে সঙ্গম হওয়া। পশ্চাৎদ্বার হলো মলের পথ। তা (সন্তান) উৎপাদনের ক্ষেত্রও নয়, উপরন্তু এটি ঘৃণিত ও কদর্য কর্ম। ‘‘তোমরা যেভাবে ইচ্ছা স্বীয় ক্ষেত্রে গমন কর’’ এর অর্থ হলো দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে অথবা সম্মুখভাগ হতে অথবা পিছন দিক হতে যেভাবেই ইচ্ছা স্ত্রী গমন তোমাদের জন্য বৈধ, তবে কর্ম সম্পাদন করতে হবে কেবল সম্মুখ দ্বার দিয়ে। আর এতে তোমাদের এবং এর মাধ্যমে জন্মগ্রহণকৃত সন্তানের কোনই ক্ষতির আশংকা নেই। শারহুস্ সুন্নাহ্ গ্রন্থাকার বলেন; সমস্ত ইমাম ও মুহাদ্দিস একমত যে, পুরুষ যে পন্থা ও প্রক্রিয়াই হোক না কেন সম্মুখদ্বারে সঙ্গত হলেই তা বৈধ। অত্র আয়াত তার দলীল। ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ)-বলেন, স্ত্রীকে ক্ষেতের সাথে তুলনা করার দ্বারা ইশারা করা হয়েছে এই দিকে যে, উৎপাদন ক্ষেত্র হলো সম্মুখদ্বার, আর তা যেন লঙ্ঘিত না হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সে ব্যক্তি অভিশপ্ত যে তার স্ত্রীর পশ্চাতদ্বার দিয়ে সঙ্গত হয়। সুতরাং তা সর্বসম্মত হারাম। (ফাতহুল বারী ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৫২৮; শারহে মুসলিম ৯/১০ম খন্ড, হাঃ ১৪৩৫; মিরকাতুল মাফাতীহ হা/, ৩১৮৩)
মহান আল্লাহ স্ত্রীদের সাথে সংগমের কোন সময়, দিন তারিখ বা নিয়মনীতি বেঁধে দেননি।তবে শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত কয়েকটি নিষিদ্ধ সময় আছে, যাতে স্ত্রী সম্ভোগ বৈধ নয়। সেটা শেষে উপস্থাপন করবো। তার পূর্বে সহবাসের সুন্নাহ সম্মত প্রদ্ধতি আলোচনা করছি ইনশাআল্লাহ। যেমন:-

▪️(১)- স্ত্রী সহবাসের প্রথমে নিয়ত খালেস করে নেয়া। অর্থাৎ, কাজটির মাধ্যমে নিজেকে হারাম পথ থেকে বিরত রাখার, মুসলিম উম্মাহর সংখ্যা বৃদ্ধি করার এবং সাওয়াব অর্জনের নিয়ত করা। (এ মর্মে হাদীস দেখুন, সহীহ মুসলিম ১০০৬, আহমাদ ২১৪৮২, সিলসিলা সহীহা ৪৫৪,মিশকাত,১৮৯৮)

▪️(২)- সহবাসের সময় শৃঙ্গার তথা চুম্বন, আলিঙ্গন, মর্দন ইত্যাদি করা। হাদিসে এসেছে, كان رسول الله ﷺ يُلاعبُ أهله ، ويُقَبلُها রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আলিঙ্গন, চুম্বন ইত্যাদি করতেন। (সহীহ বুখারী ১৯২৭, মুসলিম ১১০৬, আবু দাঊদ ২৩৮২, তিরমিযী ৭২৯, যাদুল মা’আদ ৪/২৫৩)

▪️(৩)- সহবাসের শুরু করার সময় দোয়া পড়া– بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَ جَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا ‘আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ! আমাদেরকে তুমি শয়তান থেকে দূরে রাখ এবং আমাদেরকে তুমি যা দান করবে (মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবে) তা থেকে শয়তানকে দূরে রাখ। (সহীহ বুখারী হা/১৪১, ৫১৬৫; মুসলিম হা/১৪৩৪; বুলূগুল মারাম হা/১০২০)

▪️(৪)- যেকোনো আসনে স্ত্রী সহবাসের অনুমতি ইসলামে আছে। মুজাহিদ রহ. نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّىٰ شِئْتُمْ (তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেতস্বরূপ; অতএব তোমরা যেভাবেই ইচ্ছা তোমাদের ক্ষেতে গমণ কর।)-এই আয়াতের তফসিরে বলেন, قَائِمَةً وَقَاعِدَةً وَمُقْبِلَةً وَمُدْبِرَةً فِي الْفَرْجِ ‘দাঁড়ানো ও বসা অবস্থায়, সামনের দিক থেকে এবং পিছনের দিক থেকে উপরের দিক থেকে বা নিচের দিক থেকে সেটা হোক স্বামী অথবা স্ত্রী (সব দিক থেকে সঙ্গম করতে পারে, তবে তা হতে হবে) স্ত্রীর যোনিপথে অন্য পথে নয়। (তাফসীর তাবারী ২/৩৮৭-৩৮৮ মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবা ৪/২৩২)

▪️(৫)- স্ত্রী সহবাসের পর ঘুমানোর পূর্বে ওযু করা: সহবাসের পরে ঘুমাতে ও পানাহার করতে চাইলে কিংবা পুনরায় মিলিত হতে চাইলে মাঝে ওযু করে নেওয়া সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তিন ব্যক্তির কাছে ফেরেশতা আসে না; কাফের ব্যক্তির লাশ, জাফরান ব্যবহারকারী এবং অপবিত্র ব্যক্তি যতক্ষণ না সে ওযূ করে।’(আবু দাউদ হা/৪১৮০, সহীহ আত-তারগীব হা/১৭৩, সনদ হাসান)

▪️(৬)- একবার সহবাসের পর পুনরায় সহবাস করতে চাইলে অজু করে নেয়া মুস্তাহাব। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস করার পর আবার সহবাস করতে চায় তখন সে যেন এর মাঝখানে ওযু করে নেয়। কেননা, এটি দ্বিতীয়বারের জন্য অধিক প্রশান্তিদায়ক।(সহীহ মুসলিম হা/৩০৮ মিশকাত হা/৪৫৪)। তবে গোসল করে নেয়া আরো উত্তম। কেননা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, هَذَا أَزْكَى وَأَطْيَبُ وَأَطْهَرُ এরূপ করা অধিকতর পবিত্র, উত্তম ও উৎকৃষ্ট। (মুসনাদে আহমেদ হা/২৩৩৫০, আবু দাউদ হা/২১৯, মিশকাত হা/৪৭০)

▪️(৭)- সহবাসের সময় স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের গোপনাঙ্গের দিকে তাকানো জায়েয আছে। এতে স্বাস্থ্যগত কোন ক্ষতিও নেই। (আবু দাঊদ হা/৪০১৯ তিরমিযী হা/২৭৯৪, আল মুগনী ৭/৭৭ ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৭৬৬)

▪️শরী‘আতে সহবাসের কিছু শিষ্টাচার ও নীতিমালা নির্দেশ করা হয়েছে। সেই নির্দেশনার আলোকে স্ত্রী সহবাসের নিষিদ্ধ সময়গুলো হলো;
_________________________________
🔸(ক). প্রসবোত্তর স্রাব অথবা ঋতু স্রাব থাকাকালীন স্ত্রী সহবাস করা হারাম। (সূরা আল-বাক্বারাহ; ২/২২২)
নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঋতুবতী নারীর সাথে সহবাস করে সে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা (কুরআন) অবিশ্বাস করে।’(তিরমিযী হা/১৩৫; ইবনু মাজাহ হা/৬৩৯, সনদ সহীহ)। তবে এমতাবস্থায় শুধু সহবাস ছাড়া অন্যান্য সব কাজ করা যাবে। (সহীহ মুসলিম, হা/৩০২)। কিন্তু কেউ যদি এই অবস্থায় জেনে বুঝে সহবাস করে, তাহলে তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে। এমন অবস্থায় তওবার পাশাপাশি কাফফারা স্বরূপ এক দীনার বা অর্ধ দীনার গরীব-মিসকীনকে দান করতে হবে। (তিরমিযী, আবু দাঊদ হা/২৬৪; ইরওয়া হা/১৯৭; মিশকাত হা/৫৫৩)। আর এক দীনার হলো ৪.২৫ গ্রাম স্বর্ণের সমপরিমাণ। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩৫/৩৮ হাজার টাকা। তবে শারঈ বিধান না জেনে অজ্ঞতাবশতঃ কিংবা ভুলক্রমে স্ত্রীর মাসিকের সময় সহবাস করে ফেললে তওবা করাই যথেষ্ট হবে। কাফফারা দিতে হবেনা ইনশাআল্লাহ। (সহীহ মুসলিম ১২৬; ইবনুল উসাইমীন আশ-শারহুল মুমতি; ১/৫৭১)

🔸(খ). স্ত্রীর পায়ুপথে সঙ্গম করা হারাম। বর্তমানে যাকে ‘এন্যাল সেক্স’ বা পায়ু সেক্স বলে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِيْ دُبُرِهَا فَقَدْ بَرِئَ مِمَّا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‘যে তার স্ত্রীর পশ্চাদদ্বারে সঙ্গম করে, সে যেন আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর নাযিলকৃত দ্বীন হতে মুক্ত হয়ে গেল।’(আবু দাঊদ হা/৩৯০৪; তিরমিযী, হা/১৩৫; ইবনু মাজাহ হা/৬৩৯)। অপর বর্ণনায় এসেছে, আল্লাহ তা‘আলা তার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন না এবং সে অভিশপ্ত। (তিরমিযী হা/১১৬৬; ইবনু মাজাহ হা/১৯২৩, সনদ হাসান; আবু দাঊদ হা/২১৬২, মিশকাতুল মাসাবিহ হা/৩১৯৩-৯৪)। অতএব স্ত্রীর পায়ুপথে সঙ্গম করা কোনক্রমেই বৈধ নয়। এটা অসভ্য ও বিজাতীয়দের ঘৃণ্য অপকর্ম।

🔸(গ). স্বামী-স্ত্রীর লজ্জাস্থানে মুখ লাগানো উচিত নয়। যাকে বর্তমানে ‘ওরাল সেক্স’ বলে। মুখ গহ্বর কিংবা জিহ্বা দ্বারা একে অপরের যৌনাঙ্গ চুষা (ঝঁপশ) বা লেহন করা। যা কোন সভ্য ও রুচিশীল মানুষের আচরণ হতে পারে না। এটা অপবিত্র এবং অন্যজন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ আল্লাহ তা‘আলা অপবিত্র বস্তুসমূহকে হারাম করেছেন। (সূরা আল-আরাফ; ৭/১৫৭)। অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘নিজের কোন অনিষ্টতা বা ক্ষতি এবং পরস্পরে কারোর ক্ষতি করা যাবে না।’(ইবনু মাজাহ হা/২৩৪০, ২৩৪১, সহীহুল জামে, হা/৭৫১৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৫০; বিস্তারিত দ্র. ইসলাম ওয়েব, ফাতাওয়া নং-২১৪৬, ৫০৭০৮)। এটা রুচিহীন, বিকারগ্রস্ত বেহায়া জাতির অপকর্ম।

🔸(ঘ). রামাযান মাসের দিনের বেলায় সিয়াম থাকাবস্থায় সহবাস করা হারাম। (সূরা আল-বাক্বারাহ,২/১৮৭)। কেউ যদি সিয়াম অবস্থায় সঙ্গম করে,তাহলে সিয়ামের কাযা কাফফারা ওয়াজিব, এতে স্বামী স্ত্রী উভয়ের সম্মতি থাকলে তাদের তাহলে উভয়ের উপর কাযা, কাফফারা অপরিহার্য হবে। কিন্তু যদি শুধু স্বামী জোর করে সহবাস করে তাহলে শুধু স্বামীর উপর কাযা কাফফারা ওয়াজিব হবে স্ত্রী শুধু উক্ত সিয়ামের কাযা আদায় করবে। (সহীহ বুখারী হা/১৯৩৬; মুসলিম হা/১১১১; মিশকাত হা/২০০৪; আব্দুল্লাহ বিন বায, মাজমূ ফাতাওয়া ১৫/৩০৭)। কাফফারার বিষয়গুলোর ধারাক্রম নিম্নরূপ। [অর্থাৎ একটি আদায় করতে সক্ষম না হলে অপরটি করতে হবে প্রথমটির সামর্থ্য থাকলে দ্বিতীয়টি গ্রহন করা জায়েজ নেই।] (১). একটি রোজার বিনিময়ে একটি দাস মুক্ত করা। [বর্তমান যুগে যেহেতু দাস-দাসীর প্রথা নেই তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।] (২). একটানা [বিরতি হীনভাবে] ৬০টি রোজা রাখা। (৩). তাও সম্ভব না হলে ৬০জন মিসকিন তথা গরিব-অসহায় মানুষকে একবেলা পেট পুরে খাবার খাওয়ানো অথবা প্রতিটি রোজার বিনিময়ে অর্ধ সা তথা সোয়া বা দেড় কিলোগ্রাম চাল দেয়া। –টাকা দেয়া সুন্নাহ পরিপন্থী, তাই টাকা দেয়া যাবেনা। – একজন মিসকিনকে ৬০ বেলা খাবার‌ খাওয়ানো যেমন জায়েজ তেমনি ৬০জন মিসকিনকে এক বেলা খাওয়ানোও জায়েজ। (কাফফারা প্রসঙ্গে একটি প্রসিদ্ধ হাদিস সহীহ বুখারী হা/১৯৩৬, সহীহ মুসলিম হা/১১১১, মিশকাত হা/২০০৪)

🔸(ঙ). হজ্জ বা উমরাহর ইহরাম অবস্থায় সহবাস হারাম। মহান আল্লাহ বলেন, “সুবিদিত মাসে (যথাঃ শাওয়াল, যিলক্বদ ও যিলহজ্জে) হজ্জ হয়। যে কেউ এই মাস গুলোতে হজ্জ করার সংকল্প করে, সে যেন হজ্জ এর সময় স্ত্রী সহবাস (কোন প্রকার যৌনাচার), পাপ কাজ এবং ঝগড়া বিবাদ না করে। (সূরা আল-বাক্বারাহ: ১৯৭)। কেননা যৌনমিলনের ফলেই ইহরাম বাতিল হবে

🔸(চ). স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলনের গোপন রহস্য অন্যের কাছে ফাঁস করা হারাম। কেনন এই সম্পর্কে হাদীসে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। (সহীহ মুসলিম, হা/১৪৩৭; বিস্তারিত দ্র. ইসলাম সুওয়াল জাওয়াব, ফাতাওয়া নং-৫৫৬০)

▪️উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন সময়ে সহবাস করা যাবেনা মর্মে সমাজে যা কিছু চালু আছে তার শারঈ কোন দলিল নেই। সবই নিজেদের বানানো মনগড়া কথা। যেমন:-
_____________________________________________
🔹(১).গর্ভবতী নারীর সাথে সহবাসের ক্ষেত্রে প্রথম তিন মাস, শেষ তিন মাস বা এর মধ্যবর্তী সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মিলন উচিত নয়। করলে যমজ সন্তান জন্মগ্রহণ করে, এতে উভয় সন্তানই দুর্বল হয়। ট্যারা হয় ইত্যাদি মর্মে যা বলা হয়, এই বক্তব্যের শারঈ কোন দলিল নেই এগুলো নিজেদের তৈরি করা কথা। বরং শারঈ নিষিদ্ধ সময় ব্যাতিত সর্বদা সহবাস করা যায়। যদি গর্ভকালীন অবস্থা স্বাভাবিক ভাবে চলমান থাকে তাহলে সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত সহবাস করা যায়। সহবাসের সময় স্বাভাবিক নড়াচড়া গর্ভের শিশুর কোন ক্ষতি করে না। তবে এ ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা নিঃসন্দেহে উত্তম। যেমন এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, আমি স্ত্রীসহবাসের সময় ‘আযল করি। এতে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কেন এটা কর? উত্তরে সে বলল, আমি তার সন্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ায় এটা করি। এতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এতে যদি কোনো প্রকার ক্ষতি হতো তাহলে পারস্যবাসী (ইরান) ও রোমকগণও ক্ষতিগ্রস্ত হতো।(সহীহ মুসলিম হা/১৪৪৩, মিশকাতুল মাসাবিহ হা/৩১৮৮)। উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় শাফি‘ঈ মাযহাবের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, ইমাম মুহিউদ্দীন বিন শারফ আন-নববী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬৭৬ হি.] বলেছেন, প্রাচীন আরব সমাজের মানুষের ধারণা ছিল, গর্ভবতী স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে যমজ সন্তান জন্মগ্রহণ করে, এতে উভয় সন্তানই দুর্বল হয়। অথবা গর্ভাবস্থায় কোনো দুগ্ধপোষ্য শিশু থাকলে এবং সেটি দুগ্ধ পান করলে শিশুর ভীষণ ক্ষতি হয়। গর্ভস্থিত সন্তান হোক, দুগ্ধপোষ্য সন্তান হোক অথবা উভয় সন্তানই হোক তার ক্ষতির আশংকা করে জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে হাদীসে উল্লেখিত প্রশ্ন করলে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন তাকে বললেন, তোমার এই ধারণাই যদি সত্য হতো অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় অথবা দুগ্ধদানকালীন সময়ে স্ত্রীর সাথে সহবাস যদি ঐ সন্তানদের ক্ষতিই হতো তাহলে রোম এবং পারস্যের নারীদের সন্তানগণ অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হতো, কেননা তারা গর্ভাবস্থায় তাদের সন্তানদের দুগ্ধ পান করে থাকে এবং তাদের সাথে সহবাসও করিয়ে থাকে। (শারহে মুসলিম ৯/১০ম খন্ড, হাঃ ১৪৪৩;)

🔹(২). স্বামী-স্ত্রীর একে অন্যের লজ্জাস্থান দেখতে নেই। যেমন বলা হয়, আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কক্ষনো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করিনি। বা উলঙ্গ হয়ে গাধার মত সহবাস করো না, বা উলঙ্গ হয়ে সহবাস করলে সন্তান অন্ধ হবে। সঙ্গমের সময় কথা বললে সন্তান তোৎলা বা বোবা হয় ইত্যাদি বলে যে সব হাদীস বর্ণনা করা হয়, তার একটিও সহীহ ও শুদ্ধ নয়। (দেখুন, ইবনু মাজাহ ৬৬২, ১৯২২,মিশকাতুল মাসাবিহ হা/৩১২৩, তুহফাতুল আরুশ ১১৮ –১১৯ পৃঃ)

🔹(৩). শুক্রবারে মিলিত হওয়ার ব্যাপারে আলী (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি ‘মুনকার’ তথা যঈফ। (সিলসিলা যঈফাহ হা/৬১৯৪)

🔹(৪). বিভিন্ন দিনে মিলনের বিভিন্ন ফযীলত সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে, তা শী‘আদের তৈরী জাল বর্ণনা মাত্র। (খোমেনী, তাহরীরুল ওয়াসায়েল, বিবাহ অধ্যায়)

🔹(৫). স্ত্রীর সাথে রাতের প্রথম প্রহরে সহবাস করলে সন্তান মেয়ে হয় আর শেষ প্রহরে করলে সন্তান ছেলে হয় এই কথার কোন শারঈ ভিত্তি নেই। কেননা ছেলে-মেয়ে দেয়ার মালিক কেবল মাত্র আল্লাহ। আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন, যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। (সূরা শূরা, ৪২/৪৯-৫০)

🔹(৬). পশ্চিম দিকে মাথা রেখে স্ত্রী সহবাস নাজায়েজ মর্মে সমাজে যে বক্তব্য চালু আছে তার কোন ভিত্তি নেই। কেননা এ বিষয়ে শরী‘আতে কোন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখিত হয়নি। (ফাতাওয়া ইমাম নববী ১৯০-১৯১ পৃ)। এছাড়াও এর বাহিরে যা কিছু সমাজে প্রচলিত রয়েছে তার সবই ভিত্তিহীন।

🔹(৭). স্ত্রীকে উপুড় করে পিছনের দিক থেকে যদি তার সাথে সঙ্গম করা হয়,তাহলে (সেই সঙ্গমে সন্তান জন্ম নিলে) তার চক্ষু টেরা হয়। এই ধারণার কোন ভিত্তি নেই। যার প্রমাণে মহান আল্লাহ বলেন, তোমাদের স্ত্রী তোমাদের ফসলক্ষেত্র। সুতরাং, তোমরা তোমাদের ফসলক্ষেত্রে গমন কর, যেভাবে চাও। (সূরা বাকারাহ; ২/২২৩)
অবশেষে, মহান আল্লাহ সবাইকে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামী বিধি-নিষেধ পালন করার তৌফিক দিন এবং সমাজে প্রচলিত যাবতীয় কুসংস্কার থেকে হেফাজত করুন,,,আমীন।(মহান আল্লাহই অধিক জ্ঞানী)❛❛আদর্শ বিবাহ বন্ধন❞ ধারাবাহিক ১৮ তম পর্ব। পূর্বের পর্বগুলো কমেন্টে দেখুন।

05/10/2024

🙂🥀

02/10/2024

🙂🙂

01/10/2024

নারী ফিতনা থেকে
সালাফরা যেভাবে নিজেদের আত্মরক্ষা করতেন!

মোহাম্মদ বিন সীরীন রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
আল্লাহর কসম! আব্দুল্লাহর আম্মু (তার স্ত্রী) ছাড়া আমি অন্য কোন মহিলার দিকে দৃষ্টি দেইনি। জাগ্রতাবস্থায়ও না আর ঘুমন্তাবস্থায়ও না। স্বপ্নে আমি কোন মহিলাকে দেখলে মনে করছি, এটাতো আমার জন্য হালাল না। অতঃপর তার থেকে আমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়েছি।
( সাহমু ইবলিস ওয়া কাওছিহ)।

রাবী বিন খায়ছাম রাহিমাহুল্লাহ তার দৃষ্টিকে অবনত রাখতেন। আর মহিলাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম কালে নিজের চোখকে একদম নীচে নামিয়ে রাখতেন, তখন মহিলারা মনে করতো তিনি অন্ধ। অতঃপর তারা আল্লাহর কাছে অন্ধত্ব থেকে বাঁচার জন্য আশ্রয়প্রার্থনা করত।
(যাম্মুল হাওয়া, ৮০)।

আতা রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
আমাকে যদি বাইতুল মালের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে আমি বিশ্বস্ত হতে পারব। তবে কুৎসিত বিকৃত দাসীর ক্ষেত্রেও আমি নিজেকে নিরাপদ মনে করিনা। ইমাম যাহাবী বলেন তিনি সত্যই বলেছেন।
(সিয়ারু আলামিন নুবালা, ৫/৮৭-৮৮)।

আহনাফ বিন ক্বাইস রাহিমাহুল্লাহ বলেন, তোমরা আমাদের বৈঠকগুলোতে খাবার ও নারী সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করা থেকে বিরত থাকবে। আমি ঐ ব্যক্তিকে ঘৃণা করি, যে নিজের লজ্জাস্থান ও পেটের বিবরণ দেয়।
(সিয়ারু আলামিন নুবালা, ৪/৯৪)।

সাঈদ বিন মুসাইয়িব রাহিমাহুল্লাহুর বয়স ৮৪ বছর, তখন তার এক চোখ নষ্ট, আরেকটির দৃষ্টিশক্তিও একেবারে দুর্বল, এমতাবস্থায় তিনি বললেন, আমার কাছে নারীর চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর আর কিছু নেই।
(সিয়ারু আলামীন নুবালা, ৪/২৩৭)।

অন্যত্র তিনি বলেন,
আমি নিজের উপর নারীকে ভয়ের মত অন্য কোন কিছুকে এত ভয় পাই না। তাঁরা বললেন, হে আবু মুহাম্মদ! আপনার মত বুড়ো মানুষ তো আর মহিলাদেরকে চাইবে না, আর না মহিলারা আপনাকে চাইবে। তিনি বললেন, সেটাই আমি তোমাদের বলছি। ( কেউ কাউকে চাইবে না, তারপরও আমার এত ভয়)। অথচ সে সময় তিনি ছিলেন ক্ষীণদৃষ্টি সম্পন্ন বৃদ্ধ এক লোক।
(সিয়ারু আলামীন নুবালা, ৪/২৩৭)

আল -আলা বিন যিয়াদ (রাহ.) বলেন,
কোন মেয়ের উড়নার উপর যেন তোমার দৃষ্টি না পড়ে। কারণ এই দৃষ্টিই অন্তরে কামনা-বাসনা জাগিয়ে তুলে।
(আহমাদ, যুহুদ, ৩১১)।

আবু হাকীম রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
হাসসান বিন আবু সিনান একদিন ঈদগাহে গেলেন। অতঃপর ঈদগা থেকে ফিরলে তার স্ত্রী তাকে বললেন, আজ কতইনা সুন্দরী রমণীকে তুমি অবলোকন করেছ। বারবার একই কথা বলার পর তিনি বললেন, তোমার জন্য আফসোস!

Address

Dhanmondi

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Candi ক্যন্ডি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category