18/01/2024
আসিফাকে গণধর্ষণ ও হত্যার ৬ বছর - ১৭ই জানুয়ারী ২০১৮
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের অন্তর্গত কাঠুয়ার রাসানা গ্রামে মন্দিরে আটকে রেখে চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয় ৮ বছর বয়সী শিশু আসিফাকে।
মন্দিরের পুরোহিত সঞ্জিরাম, তার ছেলে, ভাগ্নে এবং দীপক খাজুরিয়া নামে এক পুলিশও আসিফাকে ধর্ষণ করে। আসিফাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ফলে তার যোনি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তাকে গলা টিপে, পাথর দিয়ে মাথা থেতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
এর পেছনে হিন্দুদের উদ্দেশ্য ছিল মুসলিম সম্প্রদায়কে আতঙ্কিত করা এবং গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া।
আসিফাকে তাদের বাকেরওয়াল গোষ্ঠীর লোকেরা নিজ ভিটেতে দাফন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আসিফার লাশ দাফন করতে গেলেও হি ;ন্দু;ত্ব;বাIদী;রI বাধা দেয়।
পরে পায়ে হেঁটে সাত মাইল দূরের আরেকটি গ্রামে আসিফাকে দাফন করা হয়। আসিফার আইনজীবীকেও হত্যা ও ধর্ষনের হুমকি দেয় হি ;ন্দু;ত্ব;বাIদী;রI।
২০১৯ সালের ১০ জুন, সঞ্জিরাম (মন্দিরের পুরোহিত), দীপক খাজুরিয়া (পুলিশ অফিসার) এবং পারভেশ কুমার (পুলিশ অফিসার) ২৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।
তিলক রাজ (হেড কনস্টেবল), আনন্দ দত্ত এবং সুরেন্দ্র ভার্মাকে প্রমাণ লোপাটের দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে, দুই অপরাধী - প্রাক্তন সাব-ইন্সপেক্টর আনন্দ দত্ত এবং হেড কনস্টেবল তিলক রাজকে জামিনে মুক্তি দিয়েছিল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট ।