08/08/2024
গুমে থাকতে তিন বেলায় খুব বাজে দূর্গন্ধ যুক্ত বাটিতে পঁচা খাবার দেয়া হত। মনে হত কেউ খেয়ে মাখিয়ে আমাদের দিয়েছে। প্রথম প্রথম খেতে পারতাম না। পরে বাধ্য হতাম।
দেখলাম যে রোজা রাখলে দুপুরের খাবারের বদলে ছোলাবুট দেয়। মাঝে মাঝে সাথে একট পেয়েজু বা অন্য কিছু থাকে। আর সকালের খাবারের বদলে রাতেই দুইটা রুটি দেয়। তাই আগেই বলে রাখতে হয়।
তো আমি করলাম কি, লাগাতার রোজা রাখার চেষ্টা করতাম। একে তো সাওয়াব। তার সাথে সাথে তিন বেলা তিন রকমের খাবার। আর ওই দূর্গন্ধযুক্ত বাটি থেকে কিছুটা মুক্তি। ইফতার করতাম, আর রাতেই সেহরীর জন্য দেয়া রুটি খেয়ে নিতাম। মাঝে মাঝে রুটি এত বাজে পড়তো, মনে হত যেন কেমিক্যাল মিশিয়ে দিয়েছে।
একবার এমন হয়েছে যে, রুটি বাদ, সেহেরীর জন্যও ভাত-তরকারী। পঁচা মাছ দিলে আমি সেটা খেয়ে নিতে পারতাম। কিন্তু সেটাও বাদ দিয়ে মাছের মাথার কাটা দিয়ে কি একটা বিভৎস তরকারী দিত। তাও আবার রাতে দুইবার। দ্বিতীয়টা সেহেরীর জন্য। আমি একবার আইয়ামে বীজের তিন রোজা রাখার জন্য টানা তিনদিন শুধু ইফতার করেছি, আর কিছু খাই নি। শেষ দিন বাধ্য হয়ে জীবনের প্রথমবারের মত ওই নোংরা ভাতগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে, এরপর খেয়েছি - পানি মিশিয়ে। কি যে স্বাদ লেগেছিল।
তাদের ক্যান্টিনের যেসব মাছ বিক্রি হতো না। সেগুলো ভেজে আমাদেরকে দিতো। আমাদের জন্য পার মিল যত টাকা বরাদ্দ ছিল, সেগুলোর ১০ ভাগের এক ভাগও আমাদের জন্য ব্যবহার করতো না। সেইটা তারা নিজেদের পকেটই ঢুকাতো।
এরপরও বেশী বেশী রোজা রাখতে চাইলে এদের অনেকে গালমন্দ করতো। একবার একটা বলে আমরা কি মুসলমান না? আমরা জানি না রোজা কি, কয়ডা রাখতে হয়?- এই টাইপের কথা।
ওইটাকেই যাক্কুম বৃক্ষের মত বলা হয়েছিল।
যাক্কুম বৃক্ষের ঘটনাটা নিশ্চয়ই পড়েছেন?
- প্রতিটি লাইনে আমার চোখের অশ্রু ঝরেছে, মানুষ এতো নির্মম কিভাবে হয়? ক্ষমতায় টিকে থাকতে একজন মানুষ কতটা নির্মম হতে পারে, কিভাবে তিনি নামাযের কথা বলতেন???
- তিনি কি মুসলমান???
- এক মুসলমান কিভাবে অন্য মুসলমানকে কষ্ট দিতে পারে????
কপি পোস্ট