19/02/2023
***পোস্ট টি পড়***
এইচ এস সি ও ভর্তি পরিক্ষা যারা দিবেন।
১: আফসোস, আক্ষেপ, টেনশনের পরিমাণ বা গভীরতা নিয়ে পরীক্ষায় কোন প্রশ্ন আসবে না। তাই ডেইলি ১ ঘন্টার বেশি টেনশন করা যাবে না। শুধু বিকাল ৫.০০থেকে ৬.০০(সন্ধ্যা হওয়ার আগের ১ ঘন্টা) রাস্তায় হেঁটে হেঁটে ইচ্ছে মতো টেনশন করতে পারবা। তবে সূর্য ডোবার সাথে সাথে টেনশনের চ্যাপ্টার ক্লোজ।
২: যারা ফার্স্ট-সেকেন্ড হয় তারা সারাদিন কুত্তার মতো পড়ালেখা করে (যাকে বলে ডগ ফাইট)। তুমি ফার্স্ট সেকেন্ড না হইলেও পরীক্ষার আগ পর্যন্ত তাদের মতো দুনিয়াদারি ভুলে সারাদিনে পড়ার পিছনে লেগে থাকতে হবে।
৩: ফেইসবুক, ভাইবারের চ্যাটিং নির্ভর রিলেশনকে টাটা বাই বাই করতে হবে। আবেগের কাতুকুতু লাগলে প্রেমের ঘাটুর ঘুটুর ১ ঘন্টার মধ্যে শেষ করবে। তারপরেও প্রিয়জন খুব বেশি প্রেসার দিলে তাকে কিছুদিনের জন্য এক্স বানায় রাখো। পরীক্ষার পরে থাকলে থাকবে, না থাকলে নাই।
৪: ঘুম থেকে উঠে, দাঁত ব্রাশ করে, নাস্তা খাওয়ার পরেই যে পড়তে বসা যাবে এমন কোন কথা নাই। মাঝে মধ্যে ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথেই পড়া শুরু করে দিবা। এক ঘন্টা পড়ে, দাঁত ব্রাশ করতে যাবা। আরো এক ঘন্টা পড়ে নাস্তা করতে যাবা। একইভাবে “বাইর থেকে এসে জামা কাপড় খুলে, ঘাম শুকানোর আগে পড়া যাবে না”- এমন কোন আইন নাই। তাই ক্লাস, ল্যাব বা বাইর থেকে এসে ডাইরেক্ট পড়তে বসে যাও। পড়তে পড়তেই ঘাম শুকিয়ে যাবে।
৫: সকাল ৭.০০ এর মধ্যেই ঘুম থেকে উঠে যেতে হবে। ক্লাস, কোচিং, প্রাকটিক্যাল না থাকলে বাথরুমে যাওয়া ছাড়া দুপুর ১২.০০ এর আগে রুম থেকে বের হওয়া যাবে না। কোন একটা জিনিস নিয়ে একটানা ৪৫ মিনিট পড়ার টার্গেট নিয়ে পড়া শুরু করবা। শেষ না হইলে আরেকটু বেশি সময় নিয়ে হলেও টার্গেট শেষ করতে হবে। তারপর ১৫ মিনিট ব্রেক।
৬: কোন কিছু পড়া শেষের ১৫ মিনিটের ব্র্রেক অবশ্যই এনালগ ব্রেক হতে হবে। কোন প্রকারের ল্যাপটপ, মোবাইল, ফেইসবুক, ভাইবার, জন্মদিনের উইশ করা যাবে না। দরকার হলে বাথরুমে যাও, মুখে পানি দাও, হাঁটাহাঁটি করো। আর হাটতে হাটতে এতক্ষণ যা পড়ছিলা সেটা মনে মনে রিভাইজ দিতে থাকো।
৭:.দুপুর ১২.০০ এর দিকে গোসল করো, খাওয়া দাওয়া করো, নামাজ পড়ো। দরকার হলে আধা ঘন্টা রেস্ট নাও। কোন অবস্থাতেই দুপুরে দেড়-দুই ঘন্টার আয়েশি ঘুম দেয়া যাবে না।
৮: দুপুরে ক্লাস, কোচিং না থাকলে, ১.৩০ থেকে বিকাল ৪.৩০ পর্যন্ত সকালের মতো ৪৫ মিনিট টার্গেট নিয়ে পড়বা। টার্গেট এচিভ হলে ১৫ মিনি