Mst Shahanaj Begum

Mst Shahanaj Begum I am a professional Digital Marketer expert.I have been workings successfully for 5 years.I 've exper

🥰 ছাত্র  জীবনে ফ্রিল্যান্সিং করলে কি কি লাভ!! 🤔১/ নিজের খরচ নিজে চালাতে পারবেন ২/ নিজে স্বাধীন মত চলতে পারবেন ৩/ যেটা খু...
03/04/2024

🥰 ছাত্র জীবনে ফ্রিল্যান্সিং করলে কি কি লাভ!! 🤔

১/ নিজের খরচ নিজে চালাতে পারবেন
২/ নিজে স্বাধীন মত চলতে পারবেন
৩/ যেটা খুশি সেটা কিনতে পারবেন
৪/ যেখানে মন চায় সেখানে ঘুরতে পারবেন
৫/ পরিবারকে আর্থিকভাবে হেল্প করতে পারবেন।

#ছাত্র_জীবনে ফ্রিল্যান্সিং করলে এই সুবিধা গুলো পাবেন ইনশাআল্লাহ, 🤲🤲

নাহলে আপনি #প্রতিদিন বাবার কাছে টাকা চাচ্ছেন বাবা বলছে প্রতিদিন এত #টাকা কি করিস, #কইফিয়ত দিতে হয়, ইনশাআল্লাহ আপনি ফ্রিল্যান্সিং করুন আপনার টাকার #অভাব দুর হবে..!!
কাওকে আপনার কইফিয়ত দিতে হবে না.|

🤗 নিজের লাইফ #স্টাইল নিজেই গড়তে পারবেন...এখানে অনেক কাজ করা যায় #মোবাইল ফোন দিয়ে তাই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন #ইনশাআল্লাহ আপনি সাকসেসফুল হবেন, |

🤗 না হলে কেউ কেউ বাবার টাকাই চলে আবার বলে মাই লাইফ মাই স্টাইল মাই এটিটিউট...

এই কথা গুলো তখনি মানাই যখন নিজের টাকাই চলি #আলহামদুলিল্লাহ। 🥰

Mst Shahanaj Begum


 # **গিগ র‍্যাঙ্ক করার ব্যাপারে,আমার বেস্ট টিপ্স-****১.গিগ টাইটেলঃ**আপনার গিগ টাইটেল যেন ছোট এবং এট্রাক্টিভ হয়।আপনি যা প...
30/03/2024

# **গিগ র‍্যাঙ্ক করার ব্যাপারে,আমার বেস্ট টিপ্স-**

**১.গিগ টাইটেলঃ**

আপনার গিগ টাইটেল যেন ছোট এবং এট্রাক্টিভ হয়।আপনি যা পারেন, তাই অল্প তে ভাল করে বুঝিয়ে লিখেন।

**২.সার্চ ট্যাগঃ**

সার্চ ট্যাগ যেন গিগ টাইটেলের সাথে পারালাল থাকে।আই মিন টাইটেলের ফোকাস কিওয়ার্ড যেন সার্চ ট্যাগে থাকে।

ফর এক্সাম্পল-

Title:-"I will do guest post on Home Improvement Blog"

Search Tag:-"guest post","home improvement guest post/guest"

**৩.ডেস্ক্রিপশনঃ**

আপনার ডেস্ক্রিপশন যেন আপনার মত করে লেখা হয়,এদিকে খেয়াল রাখবেন।কোন কপি পেস্ট করবেন না।

আপনি অনেক ভাল ভাল গিগ দেখে আইডিয়া নিতে পারেন, বাট কপি করবেন না।এতে আপনার গিগের স্বকীয়তা হারাবে।

**৪.বেশি বেশি অনলাইনে থাকার চেষ্টা করাঃ**

টাইটেল দেখে ভড়কাবেন না,সলিউশন আছে-

আপনি আপনার এন্ড্রয়েড ফোনে ফাইভার এপ্স নামাবেন এবং এতে ডাটা চালু রেখে অনলাইন মুড দিয়ে রাখবেন।বায়ার আপনাকে মেসেজ দিলে সহজেই আন্স্যার দিতে পারবেন।

এতে করে আপনার গিগ র‍্যাঙ্কেও থাকবে এবং এভারেজ রেসপন্স টাইম ও ভাল থাকবে।আর আপনি আপনার অন্য কাজও সহজে চালিয়ে নিতে পারবেন।

**৫.গিগ এডিট করবেন নাঃ**

ভুলেও গিগ এডিট করবেন না।এটা মহা পাপ,এটা করলে আপনার গিগ র‍্যাঙ্ক হারাবে ১০০% শিওর।বেটার ওয়ে হচ্ছে-

গিগ বানানোর আগে অনেক টাইম নিয়ে গিগ বানান,যত টাইম লাগে লাগুক।বাট ভাল করে বানান,যাতে এডিট করা না লাগে।

**৬.অন টাইম ডেলিভারিঃ**

আপনি কাজ নেয়ার পর সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে-

কাজটি যেন অন টাইমে ডেলিভারি দিতে পারেন।

**"L-A-T-E"**

মানেই আপনি ধরা খেয়ে গেলেন,এদিকে ভালভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

আর সর্বোপরি কথা হচ্ছে-

আপনার গিগ টা যেন ওভার অল এট্রাক্টিভ হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আশাকরি উত্তরটি পেয়েছেন।

ধন্যবাদ।

🔥🔥 যদি ফেসবুক চালানো হয়ে থাকে আপনার নিত্যদিনের " নেশা " 📲 তাহলে সেই ফেসবুককে আজ থেকে বানিয়ে নিন উপার্জনের " পেশা "💰💸💵🔥 আ...
20/03/2024

🔥🔥 যদি ফেসবুক চালানো হয়ে থাকে আপনার নিত্যদিনের
" নেশা " 📲
তাহলে সেই ফেসবুককে আজ থেকে বানিয়ে নিন উপার্জনের
" পেশা "💰💸💵

🔥 আমাদের এই ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স টা নারী এবং পুরুষ সবাই করতে পারবে জব করার পাশাপাশি এবং পড়াশুনার পাশাপাশি সবাই করতে পারবে ঘরে বসে। 💯💯

☑️ শিক্ষিত বেকার না হয়ে, হয়ে উঠুন সফল ফ্রিল্যান্সার।
🔥 ঘরে বসে সহজ কিছু কাজের মাধ্যমে আপনার সময় কে কাজে লাগিয়ে Smart IT এর সাথে গড়ে তুলুন আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার।
আমরা আপনাকে সহজ কিছু ক্লাস ও কাজের মাধ্যমে গড়ে তুলব বেসিক থেকে এডভান্স লেভেলের ফ্রিল্যান্সার হিসেবে।
Smart IT সাথে যুক্ত হোন Smart IT প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স শুরু হয়েছে |

আমাদের এখানে কোর্স করলে যা যা সাপোর্ট পাচ্ছেন : 🔥💯

☑️ লাইফ টাইম সাপোর্ট। 💯
☑️ ১০০% কাজের নিশ্চিয়তা। 💯
☑️ ৩৮+ টি লাইভ ক্লাস। 💯
☑️ কাজ শিখার পাশাপাশি ইনকাম করার সুযোগ আছে স্কলারশিপ এ এডমিশন কনফার্ম করলে। ( এটা কিন্তু কোথাও দিতেছেনা আমাদের এখানে দিতেছে। 💯
☑️ মেন্টর সাপোর্ট। 💯
☑️ পেমেন্ট পদ্ধতি। 💯
☑️ সাপ্তাহিক লাইভ সাপোর্ট ক্লাস। 💯
☑️ লাইভ ক্লাসের পাশাপাশি প্রতিটি ক্লাস এর রেকর্ডেড ভিডিও পাবেন। 💯

বিস্তারিত আলোচনার জন্য আমরা আয়োজন করেছি একটি ফ্রি মেগা ক্লাস- ফ্রি মেগা ক্লাস টি করতে চাইলে ইনবক্সে মেসেজ করুন।

যোগাযোগ নাম্বার :০১৯২১২২১৭৬২

17/03/2024

বিলাসবহুল জীবন যাপন করতে চাইলে প্রথমে জানতে হবে যে, বর্তমানে কোন কোন পেশার মানুষের ইনকাম বেশী। যেমনঃ
১) একজন ফুড ব্লগারের মাসিক ইনকাম ১০ লাখ টাকা!

২) হিরো আলমের বাৎসরিক ইনকাম ২ কোটি টাকা!

৩) স্কুলে না যাওয়া অপু ভাই নামের এক বাংলাদেশ থেকে দুবাই নিয়ে যায়, কোটি টাকার গাড়ি দিয়ে বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করে শোরুম উদ্ভোদন করার জন্য!

৪) ডিসেন্ট গুগল, মাইক্রোসফটের ইঞ্জিনিয়ারও মাসে ১০ লাখ টাকা পায় না!

৫) মেডিকেলে পড়া ডাক্তাররা মাসে ২৫ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে রাস্তায় পুলিশের মাইর খায়!

৬) বুয়েট থেকে পাশ করা ছেলেটাও শুরুতে ৫০ হাজার টাকা বেতনের একটা জব পায় না!

বিঃদ্রঃ বর্তমান সমাজ ও বিশ্ব-ব্যবস্থায় পড়ালেখা, জ্ঞান অর্জন খুব রিস্কি ইনভেস্টমেন্ট মনে হচ্ছে!

আমার বিশ্বাস আগামীর দিনগুলোতে আমাদের ছেলে মেয়েরা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী হওয়ার পরিবর্তে ফুড অ্যাপ্পি, Rafsan The Chotobhai, Hero Alom, Salman Muqtadir, Tawhid Afridi বা কাপল ব্লগার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন!✅

তাহলে আর দেরি না করে এখনই ভর্তি হয়ে যান ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সে | লাইভ ক্লাসে সব কিছু শিখানো হয় | বিস্তারিত -০১৯২১২২১৭৬২.

#ইতিহাস_তৈরি_করা_কিছু_মানুষের_গল্প

17/03/2024

Hi EveryOne .....!

✅বর্তমান সময় ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের একটা বিশাল বাজার। ✅উন্নত দেশগুলো কাজের মূল্য কমানোর জন্য আউটসোর্সি...
13/03/2024

✅বর্তমান সময় ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের একটা বিশাল বাজার।
✅উন্নত দেশগুলো কাজের মূল্য কমানোর জন্য আউটসোর্সিং করে থাকে।
✅আমরাও যদি ফ্রিল্যান্সিং এর বিশাল বাজারের সামান্য অংশ কাজে লাগাতে পারি তাহলে এটি হতে পারে আমাদের অর্থনীতি মজবুত করার শক্ত হাতিয়ার।
✅ শুরুটা এভাবেই শুরু করতে পারেন |
✅ বিশ্বাস থাকলে success সময়ের ব্যাপার মাত্র |

13/03/2024

✅আমরা ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চাই বাট টাকা দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাই না | তাহলে আরো বসে থাকেন | দেখেন 👀👁️

✅ আমিও ফ্রিল্যাসিং শিখে ইনকাম করছি | এতটুকু উপলব্ধি করতে পারি না যে এখান থেকে আমি ক্যারিয়ার নিশ্চিত করেছি আপনিও পারবেন ?💸💸🤲

✅ আমার প্রিয় ভাই/ বোন যেকোনো ভালো কিছু অর্জন করতে হলে পরিশ্রম করা লাগবে এবং ত্যাগ স্বীকার করা আবশ্যক💸💸

✅ পরিশ্রম করলে সব কিছু অর্জন সম্ভব না হলে কখনো সফল হতে পারবে না!


09/03/2024

আল্লাহ বলেন, আমি ৬টি জিনিসকে লুকিয়ে রেখেছি ৬টি স্থানে। কিন্তু মানুষ তা খুঁজে বেড়ায় ভিন্ন জায়গায়।

১. আমি দ্বীন ইসলামকে রেখেছি ক্ষুধা, দারিদ্রতা ও ধৈর্যের মধ্যে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে উদরপূর্তি ও দুনিয়ার স্বচ্ছলতার মধ্যে।

২. আমি সম্মান রেখেছি শেষ রাতের ইবাদতে, কিন্তু মানুষ খোঁজে, শাসক ও ক্ষমতাবানের সাহচর্যে।

৩. আমি সুখ স্বাচ্ছন্দ্য রেখেছি জান্নাতে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে দুনিয়াতে।

৪. আমি বড়ত্ব রেখেছি বিনয় ও নম্রে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে অহংকারে।

৫. আমি ধনী হওয়া রেখেছি অল্প তুষ্টিতে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে লোভ- লালসার মধ্যে।

৬. আমি দোয়া কবুল হওয়াকে নিহিত রেখেছি হালাল উপার্জনের মধ্যে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে হারাম উপার্জনে।

আল্লাহ পাক আমাদেরকে সঠিকভাবে আমল করার তাওফিক দান করুন,
আ-মীন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড: আতিউর রহমান স্যারের বাস্তব জীবনী এটা। লেখাটা আগে আপনার ছেলে মেয়েকে পড়ান,তারপর আপনি নিজ...
07/03/2024

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড: আতিউর রহমান স্যারের বাস্তব জীবনী এটা। লেখাটা আগে আপনার ছেলে মেয়েকে পড়ান,তারপর আপনি নিজে পড়ুন।।
টাকা থাকলেই জীবনে বড় হওয়া যায় না।ইচ্ছা থাকলে সন্মান, টাকা আপনার কাছে নিজে থেকে ধরা দিবে।সেহেতু হতাশ হবেন না।
..............................................................

আমার জন্ম জামালপুর জেলার এক অজপাড়াগাঁয়ে। ১৪ কিলোমিটার দূরের শহরে যেতে হতো পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চড়ে। পুরো গ্রামের মধ্যে একমাত্র মেট্রিক পাস ছিলেন আমার চাচা মফিজউদ্দিন। আমার বাবা একজন অতি দরিদ্র ভূমিহীন কৃষক। আমরা পাঁচ ভাই, তিন বোন। কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো আমাদের।

আমার দাদার আর্থিক অবস্থা ছিলো মোটামুটি। কিন্তু তিনি আমার বাবাকে তাঁর বাড়িতে ঠাঁই দেননি। দাদার বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে একটা ছনের ঘরে আমরা এতগুলো ভাই-বোন আর বাবা-মা থাকতাম। মা তাঁর বাবার বাড়ি থেকে নানার সম্পত্তির সামান্য অংশ পেয়েছিলেন। তাতে তিন বিঘা জমি কেনা হয়। চাষাবাদের জন্য অনুপযুক্ত ওই জমিতে বহু কষ্টে বাবা যা ফলাতেন, তাতে বছরে ৫/৬ মাসের খাবার জুটতো। দারিদ্র্য কী জিনিস, তা আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছি- খাবার নেই, পরনের কাপড় নেই; কী এক অবস্থা !

আমার মা সামান্য লেখাপড়া জানতেন। তাঁর কাছেই আমার পড়াশোনার হাতেখড়ি। তারপর বাড়ির পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। কিন্তু আমার পরিবারে এতটাই অভাব যে, আমি যখন তৃতীয় শ্রেণীতে উঠলাম, তখন আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলো না। বড় ভাই আরো আগে স্কুল ছেড়ে কাজে ঢুকেছেন। আমাকেও লেখাপড়া ছেড়ে রোজগারের পথে নামতে হলো।

আমাদের একটা গাভী আর কয়েকটা খাসি ছিল। আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওগুলো মাঠে চরাতাম। বিকেল বেলা গাভীর দুধ নিয়ে বাজারে গিয়ে বিক্রি করতাম। এভাবে দুই ভাই মিলে যা আয় করতাম, তাতে কোনরকমে দিন কাটছিল। কিছুদিন চলার পর দুধ বিক্রির আয় থেকে সঞ্চিত আট টাকা দিয়ে আমি পান-বিড়ির দোকান দেই। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানে বসতাম। পড়াশোনা তো বন্ধই, আদৌ করবো- সেই স্বপ্নও ছিল না !

এক বিকেলে বড় ভাই বললেন, আজ স্কুল মাঠে নাটক হবে। স্পষ্ট মনে আছে, তখন আমার গায়ে দেওয়ার মতো কোন জামা নেই। খালি গা আর লুঙ্গি পরে আমি ভাইয়ের সঙ্গে নাটক দেখতে চলেছি। স্কুলে পৌঁছে আমি তো বিস্ময়ে হতবাক ! চারদিকে এত আনন্দময় চমৎকার পরিবেশ ! আমার মনে হলো, আমিও তো আর সবার মতোই হতে পারতাম। সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাকে আবার স্কুলে ফিরে আসতে হবে।

নাটক দেখে বাড়ি ফেরার পথে বড় ভাইকে বললাম, আমি কি আবার স্কুলে ফিরে আসতে পারি না ? আমার বলার ভঙ্গি বা করুণ চাহনি দেখেই হোক কিংবা অন্য কোন কারণেই হোক কথাটা ভাইয়ের মনে ধরলো। তিনি বললেন, ঠিক আছে কাল হেডস্যারের সঙ্গে আলাপ করবো।

পরদিন দুই ভাই আবার স্কুলে গেলাম। বড় ভাই আমাকে হেডস্যারের রুমের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ভিতরে গেলেন। আমি বাইরে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট শুনছি, ভাই বলছেন আমাকে যেন বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগটুকু দেওয়া হয়। কিন্তু হেডস্যার অবজ্ঞার ভঙ্গিতে বললেন, সবাইকে দিয়ে কি লেখাপড়া হয় ! স্যারের কথা শুনে আমার মাথা নিচু হয়ে গেল। যতখানি আশা নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম, স্যারের এক কথাতেই সব ধুলিস্মাৎ হয়ে গেল। তবু বড় ভাই অনেক পীড়াপীড়ি করে আমার পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি যোগাড় করলেন। পরীক্ষার তখন আর মাত্র তিন মাস বাকি। বাড়ি ফিরে মাকে বললাম, আমাকে তিন মাসের ছুটি দিতে হবে। আমি আর এখানে থাকবো না। কারণ ঘরে খাবার নেই, পরনে কাপড় নেই- আমার কোন বইও নেই, কিন্তু আমাকে পরীক্ষায় পাস করতে হবে।

মা বললেন, কোথায় যাবি ? বললাম, আমার এককালের সহপাঠী এবং এখন ক্লাসের ফার্স্টবয় মোজাম্মেলের বাড়িতে যাবো। ওর মায়ের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। যে ক’দিন কথা বলেছি, তাতে করে খুব ভালো মানুষ বলে মনে হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমাকে উনি ফিরিয়ে দিতে পারবেন না।

দুরু দুরু মনে মোজাম্মেলের বাড়ি গেলাম। সবকিছু খুলে বলতেই খালাম্মা সানন্দে রাজি হলেন। আমার খাবার আর আশ্রয় জুটলো; শুরু হলো নতুন জীবন। নতুন করে পড়াশোনা শুরু করলাম। প্রতিক্ষণেই হেডস্যারের সেই অবজ্ঞাসূচক কথা মনে পড়ে যায়, জেদ কাজ করে মনে; আরো ভালো করে পড়াশোনা করি।

যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু হলো। আমি এক-একটি পরীক্ষা শেষ করছি আর ক্রমেই যেন উজ্জীবিত হচ্ছি। আমার আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাচ্ছে। ফল প্রকাশের দিন আমি স্কুলে গিয়ে প্রথম সারিতে বসলাম। হেডস্যার ফলাফল নিয়ে এলেন। আমি লক্ষ্য করলাম, পড়তে গিয়ে তিনি কেমন যেন দ্বিধান্বিত। আড়চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছেন। তারপর ফল ঘোষণা করলেন। আমি প্রথম হয়েছি ! খবর শুনে বড় ভাই আনন্দে কেঁদে ফেললেন। শুধু আমি নির্বিকার- যেন এটাই হওয়ার কথা ছিল।

বাড়ি ফেরার পথে সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। আমি আর আমার ভাই গর্বিত ভঙ্গিতে হেঁটে আসছি। আর পিছনে এক দল ছেলেমেয়ে আমাকে নিয়ে হৈ চৈ করছে, স্লোগান দিচ্ছে। সারা গাঁয়ে সাড়া পড়ে গেল ! আমার নিরক্ষর বাবা, যাঁর কাছে ফার্স্ট আর লাস্ট একই কথা- তিনিও আনন্দে আত্মহারা; শুধু এইটুকু বুঝলেন যে, ছেলে বিশেষ কিছু একটা করেছে। যখন শুনলেন আমি ওপরের কাসে উঠেছি, নতুন বই লাগবে, পরদিনই ঘরের খাসিটা হাটে নিয়ে গিয়ে ১২ টাকায় বিক্রি করে দিলেন। তারপর আমাকে সঙ্গে নিয়ে জামালপুর গেলেন। সেখানকার নবনূর লাইব্রেরি থেকে নতুন বই কিনলাম।

আমার জীবনযাত্রা এখন সম্পূর্ণ বদলে গেছে। আমি রোজ স্কুলে যাই। অবসরে সংসারের কাজ করি। ইতোমধ্যে স্যারদের সুনজরে পড়ে গেছি। ফয়েজ মৌলভী স্যার আমাকে তাঁর সন্তানের মতো দেখাশুনা করতে লাগলেন। সবার আদর, যত্ন, স্নেহে আমি ফার্স্ট হয়েই পঞ্চম শ্রেণীতে উঠলাম। এতদিনে গ্রামের একমাত্র মেট্রিক পাস মফিজউদ্দিন চাচা আমার খোঁজ নিলেন। তাঁর বাড়িতে আমার আশ্রয় জুটলো।

প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে আমি দিঘপাইত জুনিয়র হাইস্কুলে ভর্তি হই। চাচা ওই স্কুলের শিক্ষক। অন্য শিক্ষকরাও আমার সংগ্রামের কথা জানতেন। তাই সবার বাড়তি আদর-ভালোবাসা পেতাম।

আমি যখন সপ্তম শ্রেণী পেরিয়ে অষ্টম শ্রেণীতে উঠবো, তখন চাচা একদিন কোত্থেকে যেন একটা বিজ্ঞাপন কেটে নিয়ে এসে আমাকে দেখালেন। ওইটা ছিল ক্যাডেট কলেজে ভর্তির বিজ্ঞাপন। যথাসময়ে ফরম পুরণ করে পাঠালাম। এখানে বলা দরকার, আমার নাম ছিল আতাউর রহমান। কিন্তু ক্যাডেট কলেজের ভর্তি ফরমে স্কুলের হেডস্যার আমার নাম আতিউর রহমান লিখে চাচাকে বলেছিলেন, এই ছেলে একদিন অনেক বড় কিছু হবে। দেশে অনেক আতাউর আছে। ওর নামটা একটু আলাদা হওয়া দরকার; তাই আতিউর করে দিলাম।

আমি রাত জেগে পড়াশোনা করে প্রস্তুতি নিলাম। নির্ধারিত দিনে চাচার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে রওনা হলাম। ওই আমার জীবনে প্রথম ময়মনসিংহ যাওয়া। গিয়ে সবকিছু দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ ! এত এত ছেলের মধ্যে আমিই কেবল পায়জামা আর স্পঞ্জ পরে এসেছি ! আমার মনে হলো, না আসাটাই ভালো ছিল। অহেতুক কষ্ট করলাম। যাই হোক পরীক্ষা দিলাম; ভাবলাম হবে না। কিন্তু দুই মাস পর চিঠি পেলাম, আমি নির্বাচিত হয়েছি। এখন চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে যেতে হবে।

সবাই খুব খুশি; কেবল আমিই হতাশ। আমার একটা প্যান্ট নেই, যেটা পরে যাবো। শেষে স্কুলের কেরানি কানাই লাল বিশ্বাসের ফুলপ্যান্টটা ধার করলাম। আর একটা শার্ট যোগাড় হলো। আমি আর চাচা অচেনা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলাম। চাচা শিখিয়ে দিলেন, মৌখিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমি যেন দরজার কাছে দাঁড়িয়ে বলি: ম্যা আই কাম ইন স্যার ? ঠিকমতোই বললাম। তবে এত উচ্চস্বরে বললাম যে, উপস্থিত সবাই হো হো করে হেসে উঠলো।

পরীক্ষকদের একজন মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ এম. ডাব্লিউ. পিট আমাকে আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে সবকিছু আঁচ করে ফেললেন। পরম স্নেহে তিনি আমাকে বসালেন। মুহূর্তের মধ্যে তিনি আমার খুব আপন হয়ে গেলেন। আমার মনে হলো, তিনি থাকলে আমার কোন ভয় নেই। পিট স্যার আমার লিখিত পরীক্ষার খাতায় চোখ বুলিয়ে নিলেন। তারপর অন্য পরীক্ষকদের সঙ্গে ইংরেজিতে কী-সব আলাপ করলেন। আমি সবটা না বুঝলেও আঁচ করতে পারলাম যে, আমাকে তাঁদের পছন্দ হয়েছে। তবে তাঁরা কিছুই বললেন না। পরদিন ঢাকা শহর ঘুরে দেখে বাড়ি ফিরে এলাম। যথারীতি পড়াশোনায় মনোনিবেশ করলাম। কারণ আমি ধরেই নিয়েছি, আমার চান্স হবে না।

হঠাৎ তিন মাস পর চিঠি এলো। আমি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছি। মাসে ১৫০ টাকা বেতন লাগবে। এর মধ্যে ১০০ টাকা বৃত্তি দেওয়া হবে, বাকি ৫০ টাকা আমার পরিবারকে যোগান দিতে হবে। চিঠি পড়ে মন ভেঙে গেল। যেখানে আমার পরিবারের তিনবেলা খাওয়ার নিশ্চয়তা নেই, আমি চাচার বাড়িতে মানুষ হচ্ছি, সেখানে প্রতিমাসে ৫০ টাকা বেতন যোগানোর কথা চিন্তাও করা যায় না !

এই যখন অবস্থা, তখন প্রথমবারের মতো আমার দাদা সরব হলেন। এত বছর পর নাতির (আমার) খোঁজ নিলেন। আমাকে অন্য চাচাদের কাছে নিয়ে গিয়ে বললেন, তোমরা থাকতে নাতি আমার এত ভালো সুযোগ পেয়েও পড়তে পারবে না ? কিন্তু তাঁদের অবস্থাও খুব বেশি ভালো ছিল না। তাঁরা বললেন, একবার না হয় ৫০ টাকা যোগাড় করে দেবো, কিন্তু প্রতি মাসে তো সম্ভব নয়। দাদাও বিষয়টা বুঝলেন।

আমি আর কোন আশার আলো দেখতে না পেয়ে সেই ফয়েজ মৌলভী স্যারের কাছে গেলাম। তিনি বললেন, আমি থাকতে কোন চিন্তা করবে না। পরদিন আরো দুইজন সহকর্মী আর আমাকে নিয়ে তিনি হাটে গেলেন। সেখানে গামছা পেতে দোকানে দোকানে ঘুরলেন। সবাইকে বিস্তারিত বলে সাহায্য চাইলেন। সবাই সাধ্য মতো আট আনা, চার আনা, এক টাকা, দুই টাকা দিলেন। সব মিলিয়ে ১৫০ টাকা হলো। আর চাচারা দিলেন ৫০ টাকা। এই সামান্য টাকা সম্বল করে আমি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হলাম। যাতায়াত খরচ বাদ দিয়ে আমি ১৫০ টাকায় তিন মাসের বেতন পরিশোধ করলাম। শুরু হলো অন্য এক জীবন।

প্রথম দিনেই এম. ডাব্লিউ. পিট স্যার আমাকে দেখতে এলেন। আমি সবকিছু খুলে বললাম। আরো জানালাম যে, যেহেতু আমার আর বেতন দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাই তিন মাস পর ক্যাডেট কলেজ ছেড়ে চলে যেতে হবে। সব শুনে স্যার আমার বিষয়টা বোর্ড মিটিঙে তুললেন এবং পুরো ১৫০ টাকাই বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিলেন। সেই থেকে আমাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এস.এস.সি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে পঞ্চম স্থান অধিকার করলাম এবং আরো অনেক সাফল্যের মুকুট যোগ হলো।

আমার জীবনটা সাধারণ মানুষের অনুদানে ভরপুর। পরবর্তীকালে আমি আমার এলাকায় স্কুল করেছি, কলেজ করেছি। যখন যাকে যতটা পারি, সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতাও করি। কিন্তু সেই যে হাট থেকে তোলা ১৫০ টাকা; সেই ঋণ আজও শোধ হয়নি। আমার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করলেও সেই ঋণ শোধ হবে না!

(অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমানের নিজের ভাষায় তাঁর জীবন কথা)
#ইতিহাস_তৈরি_করা_কিছু_মানুষের_গল্প

মানুষের জীবনের জন্য অতীব জরুরী গল্প শোনা | কারন অনুপ্রেরনা পেতে গল্প অনেক সাহায্য করে | আচ্ছা গল্পটি হল,✅একদিন দুটি ব্যা...
28/02/2024

মানুষের জীবনের জন্য অতীব জরুরী গল্প শোনা | কারন অনুপ্রেরনা পেতে গল্প অনেক সাহায্য করে | আচ্ছা গল্পটি হল,
✅একদিন দুটি ব্যাঙ ঘুরতে ঘুরতে একটি গর্তের মধ্যে পড়ে গেল। গর্তের ভিতর আরও অনেক ব্যাঙ ছিল যারা কোন না কোন ভাবে গর্তে পড়ে গেছে।
✅এবার নতুন ব্যাঙ দুটি খুব লাফাতে শুরু করলাে ওই গর্ত থেকে বেরােনাের জন্য। তখন ওই পুরনাে ব্যাঙ গুলি চিৎকার করে বলতে লাগলাে এই গর্ত থেকে বেরােনাে অসম্ভব।
✅তবুও দুটি ব্যাঙ কারাে কথা শুনল না চেষ্টা চালিয়ে গেল। আর এদিকে পুরনাে ব্যাঙ গুলি ও সমান ভাবে চিৎকার করে বলতে লাগলাে গর্ত থেকে বেরােনাে অসম্ভব।
✅পুরনাে ব্যাঙ গুলির কথা শুনে দুটি ব্যাঙ এর মধ্যে একটি ব্যাঙ লাফানাে বন্ধ করে দিল। কিন্তু আর একটি ব্যাঙ আরাে জোরে জোরে লাফাতে শুরু করলাে। ✅অবশেষে আরাে কিছুক্ষণ চেষ্টা করার পর ওই ব্যাঙ টি লাফিয়ে বাইরে যেতে সক্ষম হল। এবার আপনি ও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে দ্বিতীয় ব্যাঙ টি লাফানাে বন্ধ করলাে না কেন ?
✅আসলে দ্বিতীয় ব্যাঙ টি কানে শুনতে পেত না।
তাই যখন সব ব্যাঙ হাত-পা নাড়িয়ে চিৎকার করে বলছিল এটা অসম্ভব তখন সে ভাবছিল সবাই তাকে উৎসাহিত করছে আরাে জোরে লাফানাের জন্য।
✅ তাই সে আরাে জোরে লাফাতে শুরু করেছিল।
আমাদের জীবনেও সফলতা পাওয়ার জন্য মাঝে মাঝে কান বন্ধ রাখা উচিত যাতে লােকের নেগেটিভ কথা আমাদের কানে না পৌঁছায়
✅এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা সফল হচ্ছি ততক্ষণ পর্যন্ত যেন লেগে থাকতে পারি। ইনশাআল্লাহ সাপোর্ট করবেন |


#ইতিহাস_তৈরি_করা_কিছু_মানুষের_গল্প

15/02/2024

শুভ রাত্রি বন্ধুরা |

 #ইতিহাস_তৈরি_করা_কিছু_মানুষের_গল্প "আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করতে পারিনি.."                         -বিল গেটস"আমি জুতা সে...
14/02/2024

#ইতিহাস_তৈরি_করা_কিছু_মানুষের_গল্প

"আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করতে পারিনি.."
-বিল গেটস
"আমি জুতা সেলাই করতাম...."
-আব্রাহাম লিংকন
"আমি বাসের কন্ডাকটর ছিলাম"
-রজনী কান্ত
"আমি পেট্রোল পাম্পে কাজ করতাম"
-ধীরু ভাই আম্বানী
"ক্লাস টেন এ ফেল করে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলাম"
-সচীন টেন্ডুলকার
"আমি ক্লাসের বেঞ্চে ঘুমিয়ে যেতাম এবং ২০ টাকা ধার নিয়ে ফিল্ম সিটি যেতাম.."
-শাহরুখ খান
"আমি ফুটবল ট্রেইনিং এর ফিস যোগানোর জন্য দিন-রাত এক করে ঘাম ঝরাতাম"
-কিংবদন্তি ফুটবলার (মেসি)

👉জীবন আসলে সেটা নয় যা তুমি পেয়েছো..
জীবন তো সেটাই,যা তুমি তোমার মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে তৈরি করেছো!!🖤🤍❤️

সেই আদি আমল থেকে কচ্ছপ আর খরগোশের গল্প আমরা সবাই জানি। কিন্তু মজার বিষয় হল আমরা ১ম অধ্যায়টাই বেশি শুনেছি। কিন্তু এই গল...
07/02/2024

সেই আদি আমল থেকে কচ্ছপ আর খরগোশের গল্প আমরা সবাই জানি। কিন্তু মজার বিষয় হল আমরা ১ম অধ্যায়টাই বেশি শুনেছি। কিন্তু এই গল্পের আরো ৩ টি অধ্যায় আছে। যা হয়তো আমরা কেউ শুনেছি, কেউ শুনিনি।

১ম অধ্যায়ঃ এই অধ্যায়ে খরগোশ ঘুমিয়ে যায়, আর কচ্ছপ জিতে যায়। প্রথমবার হেরে যাওয়ার পর খরগোশ বিশ্লেষণ করে দেখল তার পরাজয়ের মূল কারণ 'অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস।' তার মানে অতি আত্মবিশ্বাস যে কারো জন্যই ক্ষতিকর। আর কচ্ছপ বুঝল, লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই!

২য় অধ্যায়ঃ হেরে যাওয়ার পর এবার খরগোশ আবারো কচ্ছপকে দৌড় প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জ করল আর কচ্ছপও রাজী হল। এবার খরগোশ না ঘুমিয়ে দৌড় শেষ করল এবং জয়ী হল। খরগোশ বুঝল, মন দিয়ে নিজের সামর্থের পুরোটা দিয়ে কাজ করলে দ্রুত সফল হওয়া যায়। আর কচ্ছপ বুঝল, ধীর স্থিরভাবে চলা ভালো, তবে কাজে উপযুক্ত গতি না থাকলে প্রতিযোগীতামূলক পরিবেশে জয়ী হওয়া অসম্ভব!

৩য় অধ্যায়ঃ কচ্ছপ এবার খরগোশকে আরেকবার দৌড় প্রতিযোগিতার আমন্ত্রন জানালো। খরগোশও নির্দ্বিধায় রাজী হয়ে গেল। তখন কচ্ছপ বলল, "একই রাস্তায় আমরা ২ বার দৌড়েছি, এবার অন্য রাস্তায় হোক।" খরগোশও রাজী। অতএব নতুন রাস্তায় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হল। যথারীতি খরগোশ জোরে দৌড় শুরু করে দিল। কচ্ছপও তার পিছন পিছন আসতে শুরু করল। কচ্ছপ যখন খরগোশ এর কাছে পৌঁছাল, দেখল খরগোশ দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু দৌড়ের শেষ সীমানায় যেতে পারেনি। কারন দৌড়ের শেষ সীমানার আগে একটি খাল আছে। কচ্ছপ খরগোশ এর দিকে একবার তাকালো, তারপর তার সামনে দিয়ে পানিতে নেমে খাল পার হয়ে দৌড়ের শেষ সীমানায় পৌছে প্রতিযোগিতা জিতে গেল। খরগোশ বুঝল, শুধু নিজের শক্তির উপর নির্ভর করলেই হবে না, পরিস্থিতি আর বাস্তবতা অনুধাবন করাও ভীষণ প্রয়োজনীয়! আর কচ্ছপ বুঝল, প্রথমে প্রতিযোগীর দূর্বলতা খুজে বের করতে হবে, তারপর সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে।
গল্প কিন্তু এখানেই শেষ নয়

চতুর্থ অধ্যায়ঃ এবার খরগোশ কচ্ছপকে আরেকটি দৌড় প্রতিযোগিতার জন্য আহবান জানালো এই একই রাস্তায়। কচ্ছপ ও রাজী। কিন্তু এবার তারা ঠিক করল, প্রতিযোগী হিসেবে নয়, বরং এবারের দৌড়টা তারা দৌড়াবে সহযোগী হিসেবে!
শুরু হল প্রতিযোগিতা। খরগোশ কচ্ছপকে পিঠে তুলে দৌড়ে খালের সামনে গিয়ে থামলো। এবার কচ্ছপ খরগোশ এর পিঠ থেকে নেমে খরগোশকে নিজের পিঠে নিয়ে খাল পার হল। তারপর আবার কচ্ছপ খরগোশ এর পিঠে উঠে বাকী দৌড় শেষ করল আর এবার তার দু'জনই একসাথে জয়ী হল।
আমরা শিখলাম, ব্যক্তিগত দক্ষতা থাকা খুবই ভালো। কিন্তু দলবদ্ধ হয়ে একে অপরের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারলেই আসে সত্যিকারের সাফল্য যেখানে সবাই বিজয়ীর হাসি হাসতে পারে।
©
আল্লাহ হাফেজ
আসসালামু আলাইকুম

05/02/2024

না বেলা রুটি খুবই পছন্দ আমার বাচ্চাদের |

26/01/2024

🤲🧡💙♥️🤲

26/01/2024

♥️💙🧡💙🧡🤲⏰✅

🌹🕒✅ফুলটা ফুল বাগানে
24/01/2024

🌹🕒✅ফুলটা ফুল বাগানে

      ower
22/01/2024

ower

21/01/2024

ঈমাম মাহাদি আগমনের পূর্বে প্রকাশিত হবে এমন কিছু লক্ষন মনে রাখা প্রয়োজন | প্রয়োজনে শেয়ার করে নিজের টাইম লাইনে রেখে দিন | সকলকে জানাতে চাইলে.......

শচীন টেন্ডুলকার জীবনে যতবার আউট হয়েছেন আপনি হয়তো ততবার ক্রিকেট খেলাও খেলেননি। কিন্তু দিনশেষে আজ শচীনকে পুরো বিশ্ব ক্রি...
18/01/2024

শচীন টেন্ডুলকার জীবনে যতবার আউট হয়েছেন আপনি হয়তো ততবার ক্রিকেট খেলাও খেলেননি। কিন্তু দিনশেষে আজ শচীনকে পুরো বিশ্ব ক্রিকেট নক্ষত্র হিসেবেই জানে।

মার্ক জুকারবার্গকে যখন তার গার্লফ্রেন্ড সকল সোশ্যাল সাইট থেকে ব্লক করে দেয়, তখন সে জেদ করে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইট ফেসবুক তৈরি করে, যার মাধ্যমে সে পৃথিবীর সেরা পাঁচ ধনীদের একজন।
আর আপনি হলে কী করতেন? শেভ করা ছেড়ে দিয়ে,দুই দিন না খেয়ে বিছানায় শুয়ে থাকতেন আর গলা ছেড়ে গান গাইতেন- বেঁচে থেকে লাভ কি বলো.....!!!

টমাস আলভা এডিসন একটা বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করতে গিয়ে যতবার ব্যর্থ হয়েছেন এই পৃথিবীর ইতিহাসে তত বছর কেউ বাঁচেওনি।
৯৯৯ বার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। আর আপনি? সফল হওয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন কতবার চেষ্টাটা করতে পারবেন?

সাইকেল গ্যারেজে কাজ করা রাইট ভ্রাতৃদ্বয় যতবার পরিকল্পনা করে বিমান উড়াতে চেষ্টা করে করে ব্যর্থ হয়েছেন, আপনি ততবার পরিকল্পনা করে পাখির উড়াও দেখেননি। তবু তিনি বিমানটা আবিষ্কার করেই ছাড়লেন।

সৃষ্টিকর্তাকে একবার জানান দেন সাফল্য না আসার আগ পর্যন্ত আপনি থামবেন না, হেরে গেলেও না, বারবার ব্যর্থ হলেও না। ছোটবেলায় যেভাবে একবার হাঁটতে না পারলে আবার চেষ্টা করতেন, পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়ে কান্না করতে করতে আবার কোন কিছুর সহযোগিতায় বা কোন কিছু ধরে হাঁটতে চাইতেন,এখন সময় এসেছে আবার দাঁতে দাঁত চেপে নাছোড়বান্দার মত লেগে থাকার। যে যাই বলুক, যে যা করুক, আপনি শুধু লেগে থাকেন। বাকিটা পদ্ধতিগতভাবে সৃষ্টিকর্তা আপনাকে দিয়ে দিবেন। সময় আপনার হবেই।শুধু ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকতে হবে।

ইসমে আজম পড়ে দোয়া করলে সে দোয়া বিফলে যায় না। সবাই  ১ বার করে ইসমে আজম পড়ে দোয়া করে দাও, যাতে আল্লাহ আমার মনের আশা এবং দু...
15/01/2024

ইসমে আজম পড়ে দোয়া করলে সে দোয়া বিফলে যায় না।
সবাই ১ বার করে ইসমে আজম পড়ে দোয়া করে দাও, যাতে আল্লাহ আমার মনের আশা এবং দুআগুলো পূরণ করে দেয়।

"আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা-ইলাহা ইল্লা আংতাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্, ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়্যুম "

আর ১বার করে দোয়া ইউনুস পড়ে দিন,
"লা ইলাহা ইল্লা আংতা সুবাহানাকা ইন্নি কুংতু মিনায যোয়ালিমিন "

পড়া শেষে, আমিন লিখবেন।
🕧🕧🕒🕢🌹🌹🌹🌹🌹✅💛🩷💜🧡❤️‍🩹♥️

১০০% right .
11/01/2024

১০০% right .

Family time
08/01/2024

Family time

Harbour IT Institute এর সম্মানিত শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্চে ফ্রিল্যান্সিং জগতের ইন্টারন্যাশনাল ও ন্যাশনাল মা...
07/01/2024

Harbour IT Institute এর সম্মানিত শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্চে ফ্রিল্যান্সিং জগতের ইন্টারন্যাশনাল ও ন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে যেকোনো সাপোর্ট পেতে একজন হার্বার আইটির সম্মানিত স্টুডেন্ট হিসেবে আপনি যে চার ভাবে ইনিস্টিউট থেকে সাপোর্ট পাবেন।

১- হার্বার আইটি অফিশিয়াল ফেইসবুক সাপোর্টিং গ্রুপ।
২- হার্বার আইটি হেল্পলাইন সাপোর্ট।
৩- আপনার ব্যাচের ইন্সট্রাক্টর সাপোর্ট।
৪- সাপ্তাহিক লাইভ ক্লাস সাপোর্ট।
সে সাথে Lifetime server support তো থাকবেই।

ধন্যবাদ।

05/01/2024

হে নতুন সূর্য, ভুলিয়ে দাও, আছে যত দূঃখ বেদনা। তোমার সোনালি আলোয়। হে নতুন সকাল, উড়িয়ে নিয়ে যাও, না পাওয়ার বেদনা। তোমার স্নিগ্ধ হাওয়ায়। হে নতুন বছর, তুমি নিয়ে এসো সুখ-আশা-স্বপ্ন আর ভালবাসার অফুরন্ত ঝুরি লয়ে।


✅"নারীরাও হতে পারেন সফল ফ্রিল্যান্সার"✅🟥নারীদের ঘরে-বাইরে দুদিকে সামলাতে হয়।  সেক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং নারীকে নিজের রুটি...
01/01/2024

✅"নারীরাও হতে পারেন সফল ফ্রিল্যান্সার"✅

🟥নারীদের ঘরে-বাইরে দুদিকে সামলাতে হয়। সেক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং নারীকে নিজের রুটিন নিজে মত করে সাজিয়ে নেবার সুযোগ দিচ্ছে। ১০ টা থেকে ৫টা অফিস করতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা ফ্রিল্যান্সিং এ নেই। নারীরা প্রথাগত চাকরির চেয়ে অনেক বেশি স্বাধীনতা ও সুবিধা পেয়ে থাকেন ফ্রিল্যান্সিং এ। পরিবার ও শিশুকে সময় দিয়েও আত্মনির্ভরতার সুযোগ করে দেয় ফ্রিল্যান্সিং।

এগিয়ে যাবার পথে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে নারী স্বাধীনতার এক অনন্য উপায়।



29/08/2023
সফলতার জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম, বার বার ব্যর্থ হয়ে ও আবার ট্রাই করে যাওয়া👍আপনি যদি আসলেই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চ...
20/08/2023

সফলতার জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম, বার বার ব্যর্থ হয়ে ও আবার ট্রাই করে যাওয়া👍

আপনি যদি আসলেই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে এই রকম কোন প্লাটফর্মে ইনভেস্ট না করে একটা স্কিলের উপর ইনভেস্ট করেন।

স্কিল ডেভেলাপ করেন যেকোনো একটি বিষয়ের ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, এফিলিয়েট মার্কেটিং এগুলোর উপর কাজ করেন সঠিক ভাবে, লেগে থাকেন সৎ ভাবে, একবার ট্রাই করে ব্যর্থ হয়ে ক্রাই না করে কয়েক বার ট্রাই করেন তাহলে আপনি সফল হবেন ইনশা-আল্লাহ |

marketing

12/08/2023

I've received 100 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉

Address

Dinajpur
5200

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mst Shahanaj Begum posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mst Shahanaj Begum:

Videos

Share


Other Dinajpur media companies

Show All

You may also like