13/09/2025
▌আল্লাহ সূরা আল-বাকারাহতে মুমিনদের বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন:
وَمِنۡهُم مَّن يَقُولُ رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِى ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةً وَفِى ٱلۡأَخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ
“আর তাদের মধ্যে এমনও আছে, যারা বলে, হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন। আর আখিরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন।” [২:২০১]
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম আল-বাগাভী (রহ.) লিখেছেন:
واختلفوا في معنى الحسنتين قال علي بن أبي طالب رضي الله عنه في الدنيا حسنة امرأة صالحة وفي الآخرة حسنة الجنة . وقال الحسن : في الدنيا حسنة العلم ، والعبادة وفي الآخرة حسنة : الجنة والنظر . وقال السدي ، وابن حيان : ( في الدنيا حسنة ) رزقا حلالا وعملا صالحا ، ( وفي الآخرة حسنة ) المغفرة والثواب . وقال قتادة : في الدنيا عافية وفي الآخرة عافية وقال عوف في هذه الآية من آتاه الله الإسلام والقرآن وأهلا ، ومالا فقد أوتي في الدنيا حسنة وفي الآخرة حسنة
"তারা (মুফাসসিরগণ) এই দুই 'কল্যাণ'-এর অর্থ নিয়ে মতভেদ করেছেন।
আলী ইবনে আবি তালিব (রা.) বলেছেন: দুনিয়ার কল্যাণ হলো একজন সৎ স্ত্রী এবং আখিরাতের কল্যাণ হলো জান্নাত।
আল-হাসান (রহ.) বলেছেন: দুনিয়ার কল্যাণ হলো ইলম (জ্ঞান) ও ইবাদাত, এবং আখিরাতের কল্যাণ হলো জান্নাত ও আল্লাহর সাক্ষাৎ (দিদার)।
আস-সুদ্দি ও ইবনু হইয়ান (রহ.) বলেছেন: দুনিয়ার কল্যাণ বলতে হালাল রিজিক ও নেক আমল, এবং আখিরাতের কল্যাণ বলতে ক্ষমা ও পুরস্কার।
কাতাদাহ (রহ.) বলেছেন: দুনিয়ার কল্যাণ হলো বিপদ-মুসীবত থেকে নিরাপত্তা, আর আখিরাতের কল্যাণও হলো বিপদ-মুসীবত থেকে নিরাপত্তা।
আওফ (রহ.) এই আয়াত সম্পর্কে বলেছেন: যাকে আল্লাহ ইসলাম, কুরআন, পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ দান করেছেন, তাকে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতের কল্যাণই দান করা হয়েছে।"
📚 [তাফসির আল-বাগাভী ১/২২৩ (সংক্ষিপ্তসার: মুখতাসার তাফসির আল-বাগাভী, পৃঃ ৭৭)]