Your Shyon Chondro

Your Shyon Chondro মানুষ চিরকালই অসহায়—অন্ধকারের মতো বিপদে নিজের ছায়াও তো পালায়।

—সব্যসাচী ❤️‍🩹🗣️🖊️
Student || Voice Artist || Storyteller
(1)

রিয়েলাইজেশন'ই আপনার মানসিকতা বদলে দিতে পারে৷ কল্পনা করুন, কিছুসংখ্যক মানুষ সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে গেছে৷  যখন সিনেমা শুর...
19/08/2025

রিয়েলাইজেশন'ই আপনার মানসিকতা বদলে দিতে পারে৷

কল্পনা করুন, কিছুসংখ্যক মানুষ সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে গেছে৷ যখন সিনেমা শুরু হলো, পর্দায় শুধু একটি সাদা ছাদ। কোনো শব্দ নেই, পরিবর্তন নেই। এক মিনিট… দুই মিনিট… তিন মিনিট… ছয় মিনিট কেটে গেলো, তবুও একই দৃশ্য। দর্শকরা বিরক্ত হয়ে উঠলো। কেউ বললো, এটা কী হচ্ছে! কেউ উঠে গেলো। কারণ একটানা কয়েক মিনিট ধরে একই ছাদ দেখা সত্যিই অসহ্য।

কিন্তু হঠাৎ ক্যামেরা ধীরে ধীরে নিচে নামলো। দেখা গেল, একটি অসুস্থ শিশু বিছানায় শুয়ে আছে। তার মেরুদণ্ডে সমস্যা, সে নড়তে পারে না, ঘাড় ঘোরাতে পারে না। তার জন্য সেই সাদা ছাদই পৃথিবীর একমাত্র দৃশ্য। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর।

যেটা দর্শকরা কয়েক মিনিটও সহ্য করতে পারলো না, সেই দৃশ্যটাই একটি শিশুর প্রতিদিনের বাস্তবতা।

একটু ভেবে দেখুন, আমরা প্রায়ই নিজেদের কষ্টকে সবচেয়ে বড় মনে করি। কিন্তু অন্যের জীবন দেখলে বোঝা যায়, আমাদের অসহ্য মনে হওয়া জিনিসই কারও কাছে প্রতিদিনের স্বাভাবিক জীবন।

কেউ মাসের পর মাস হাসপাতালে থেকে সাদা দেয়াল দেখে, কেউ সারাজীবন অন্ধকারে, চোখের আলোহীন, কেউ বিছানায় শুয়ে শুধু ছাদটাই দেখে যায় বছরের পড় বছর।

আমাদের চোখ, আমাদের হাঁটার ক্ষমতা, পরিবার এসবই বিশাল নিয়ামত। অথচ এগুলোকে আমরা অবহেলা করি, কৃতজ্ঞতা করতে ভুলে যাই। কিন্তু এক মুহূর্তের জন্য এসব কেড়ে নিলে জীবন কতটা অসহায় হয়ে পড়বে, তা হয়তো এখন বুঝা যায় না।

আমাদের উচিত কৃতজ্ঞ থাকা।ছোট ছোট নিয়ামতের জন্য শুকরিয়া আদায় করা। আর নিজের দুঃখের চেয়ে বড় দুঃখে যারা আছে, তাদের দিকে সহানুভূতির চোখে তাকানো। 🌸💖

✍️ সাইন্টিস্ট মাহফুজ



10/08/2025

- এই পেজের কোনো Active ফলোয়ার আছেন? 🙂❤️‍🩹🖊️

05/08/2025
05/08/2025
একটি সাদা থান পড়া ছোট্ট ৬/৭ বছরের মেয়ে দৌড়ে এসে বাবাকে বলছে........."বাবা বাবা,  মা কে বলোনা, আমার খুব খিদে পেয়েছে। দাদা...
02/08/2025

একটি সাদা থান পড়া ছোট্ট ৬/৭ বছরের মেয়ে দৌড়ে এসে বাবাকে বলছে.........
"বাবা বাবা, মা কে বলোনা, আমার খুব খিদে পেয়েছে। দাদারা লুচি খাচ্ছে, আর আমি চাইলেই মা বলছে, 'ছিঃ আজ একাদশী না।খাবার কথা বলতে নেই মা।' কিন্তু বাবা,আমি সকাল থেকে কিচ্ছু খাইনি। একটু জল পর্যন্ত না। তুমি, মা, দাদারা কেউ একাদশী করোনা। আমায় কেন করতে হবে! আমার বুঝি খিদে পায়না?"

সালটা ১৮৫৩। হুগলী বর্ধমান সীমান্ত অঞ্চলে দশঘরার কাছে এক অভিজাত বাড়ি।বেলা ১১টা হবে। ঘরের মধ্যে আয়োজন করা হয়েছে এক আলোচনা সভার। পাড়ার গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত, রয়েছেন গৃহকর্তা স্বয়ং। জলখাবারের লুচি ছোলার ডাল নানা মিষ্টি পরিবেশিত হচ্ছে। সুখাদ্যের সুঘ্রানে ঘর মাতোয়ারা। আহার সমাপনে হবে আলোচনা। বিষয়বস্তু একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা যাতে মেয়েদের জন্যও শিক্ষার সুযোগ থাকবে। গৃহকর্তা উদার মানসিকতা সম্পন্ন। তিনি খুবই উদ্যোগী এই ব্যাপারে। কিন্তু গ্রামের মানুষেরা মেয়েদের বাইরে আসতে দিতে নারাজ। তাই আজ তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে আমন্ত্রন জানিয়ে এনেছেন মানুষকে বোঝানোর জন্য। চলছে তারই প্রস্তুতি।

এমন সময় একটি সাদা থান পড়া ছোট্ট ৬/৭ বছরের মেয়ে দৌড়ে এলো ঘরে।

"বাবা বাবা, মা কে বলোনা, আমার খুব খিদে পেয়েছে। দাদারা লুচি খাচ্ছে, আর আমি চাইলেই মা বলছে, 'ছিঃ আজ একাদশী না।খাবার কথা বলতে নেই মা।' কিন্তু বাবা,আমি সকাল থেকে কিচ্ছু খাইনি। একটু জল পর্যন্ত না। তুমি, মা, দাদারা কেউ একাদশী করোনা। আমায় কেন করতে হবে! আমার বুঝি খিদে পায়না?"

সকলের সামনে লজ্জায়, আর মেয়ের প্রতি মায়ায় করুন হয়ে ওঠে জমিদার বাবুর মুখ। আস্তে করে বলেন,

*"এখানে সভা চলছে মা, তুমি ঘরে যাও।"*

করুন দৃষ্টিতে সকলের পাতের দিকে তাকিয়ে বিফল মুখে ভেতরের ঘরে ঢুকে যায় একরত্তি অভাগা মেয়েটি। আর তার পরেই রূপোর থালা বাটিতে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্য সুখাদ্য সাজিয়ে ঘরে আসে বামুন ঠাকুর। বিদ্যাসাগর বলেন,

*"শরীরটা ঠিক নেই, আমি খাবোনা কিছু। নিয়ে যাও৷"*

বামুন ঠাকুর নিয়ে যান থালা ধরে। গৃহকর্তার অনুরোধ উপরোধেও দাঁতে কাটেন না কিচ্ছু।

শুরু হয় সভা। গ্রামের মানুষদের কাছে প্রথমেই তিনি তুলে ধরেন নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা। সমাজে নারীদের অবদানের কথা। ইতিহাসের পাতা থেকে তুলে ধরেন পশুপালন, কৃষিকাজ সবকিছুরই সূত্রপাত নারীদের হাত ধরে, সেই অমুল্য তথ্য। এক এক করে বলে চলেন ইউরোপে কিভাবে শিক্ষিত নারীরা বিপ্লবে, সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে তার উদাহরন। জোরালো আপত্তি ওঠে গ্রামের মানুষগুলির কাছ থেকে।ইউরোপের কথা বাদ দিন, আমাদের ধর্মে সমাজে নারীদের বাইরে বেরনো, শিক্ষা নেওয়া পাপ। ব্রহ্মাস্ত্র ছাড়েন বিদ্যাসাগর। কালিদাস কার বরপুত্র?শিক্ষার জন্য আমরা কার কাছে প্রার্থনা করি? দেবী সরস্বতী, তিনি একজন নারী। এর পরেও বলবেন পাপ?তারপর বেদের পাতা থেকে তুলে আনেন অপালা, ঘোষা, গার্গী, লোপামুদ্রাদের। নারী শিক্ষা বিষয়ে শ্লোকগুলি বলতে থাকেন একের পর এক। তীক্ষ্ণ যুক্তি, উদাহরন আর বাগ্মীতার সামনে ভেঙে পড়ে সংস্কারের দেওয়াল। সকলে সম্মত হন নারী শিক্ষার বিষয়ে। বিদ্যাসাগর মহাশয় উপলব্ধি করেন, _ইউরোপ নয়, সংস্কার ভাঙতে হবে বেদ কে হাতিয়ার করেই।গৃহকর্তার মুখে তখন বিজয়ীর গৌরব।_

সকলে চলে যাবার পর গৃহকর্তা বলেন,

*"এবার আপনার ভোজনের ব্যবস্থা করি। একাদশী তাই অন্নের ব্যবস্থা নেই। এইবার লুচি খান কয়েকটা। শরীর আশাকরি সুস্থ হয়েছে।"*

বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেন,

*"শরীর আমার সুস্থই আছে, ক্ষত আমার মনে। আমি নারীদের শিক্ষার জন্য ছুটছি, কিন্তু এই বিধবা নারীরা, তাদের দুঃখ, তাদের প্রতি এই ধর্মীয় অমানবিকতা -- এই দিকে সম্পূর্ণ উদাসীন ছিলাম আমি। ছিঃ ছিঃ, ভাবতেই আমার গ্লানি হচ্ছে। রামমোহন রায় মহাশয় তাদের বাঁচিয়ে ছিলেন জ্বলন্ত চিতা থেকে। কিন্তু ওরা মরছে, রোজ জ্বলছে খিদেয়, অবহেলায়, অমানবিকতায়। আপনার কন্যা আজ চোখ খুলে দিয়েছে। আচ্ছা, আপনি পারেন না, মেয়ের পুনর্বিবাহ দিতে? ওর সামনে তো সারা জীবনটা পড়ে আছে। ও বাঁচুক নতুন করে। বিদেশে তো কতো হচ্ছে। আপনি শুরু করুন।"*

গম্ভীর হয়ে উঠলো গৃহকর্তার মুখ। তিনি বললেন,

*"প্রথমত সমাজ মানবে না। আমাদের প্রাচীন ধর্মেও এর কোন স্বীকৃতি নেই। তারপর হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টেও রি-মেরেজের কোন আইন নেই। তাই ওর কপাল নিয়েই ওকে এইভাবেই বাঁচতে হবে। আমি নিরুপায়।"*

বিদ্যাসাগর মহাশয় বললেন,

*"স্ত্রী শিক্ষার পাশাপাশি আমার নতুন লড়াই শুরু হোল। এদেশের ছোট ছোট অসহায় বিধবা কন্যাদের বাঁচানোর লড়াই। সমাজ এবং আইন দুটোই পরিবর্তন করবো। শপথ নিলাম আজ। আমায় বিদায় দিন।"*

জলগ্রহন না করে বেরিয়ে পরলেন তিনি।

শুরু হোল লড়াই, আক্ষরিক অর্থেই লড়াই। একদিকে কলেজে অধ্যাপনা,বই ছাপানোর কাজ, তাঁর গড়ে তোলা বিদ্যালয়ের জন্য অর্থ সংগ্রহ, সেগুলিকে তো আর বন্ধ হতে দেওয়া যায়না, তার সঙ্গে রাতের পর রাত জেগে বেদ উপনিষদ পুরান মনু সংহিতা ঘেঁটে চলা, কোথায় আছে নারীর পুনর্বিবাহের বিধান। সিন্ধুর থেকে মুক্তো তোলার মতোই কঠিন সে অনুসন্ধান। দিনের পর দিন,রাতের পর রাত।অবসরের সময় কই? এর সঙ্গে কলকাতার শিক্ষিত সমাজের স্বাক্ষর সংগ্রহ, সরকারের কাছে বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য পিটিশন জমা দেওয়া।

এদিকে শুরু হয়েছে নতুন বিপত্তি। কলকাতার রক্ষনশীল দল, পুরোহিত সমাজ বিধবা বিবাহের ঘোর বিপক্ষে। তারা কিছুতেই মেনে নেবেনা এই অনাচার। তারা পাল্টা আবেদন করেছে সরকারের কাছে, ধর্মবিরোধী এই আইন চালু হলে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে তারা। বিদ্যাসাগরের বাড়ির সামনে চলছে প্রতিবাদ ব্যঙ্গ বিদ্রুপের ঝড়। নারীদের প্রতি তাঁর সহানুভুতি নিয়ে অশ্লীল কটূক্তি। বাড়িতে যখন তখন পড়ছে ঢিল, ময়লা, আবর্জনা। একদিন বিদ্যাসাগরকে হামলার মুখেও পড়তে হয়েছে রাস্তায়। বঙ্কিমচন্দ্র বিষবৃক্ষ উপন্যাসে সূর্যমুখীকে দিয়ে বলালেন-

*"যে বিধবা বিবাহের ব্যবস্থা করে, সে যদি পণ্ডিত হয়, তবে মূর্খ কে!"*

এইসব কটাক্ষেও কিন্তু বিদ্যাসাগর অনড়। লড়াই তাঁর জীবনে। যিনি ওই দারিদ্র কাটিয়ে কলকাতায় ছাপাখানার ব্যবসা খুলতে পারেন, যিনি উত্তাল নদী সাঁতরে পার হতে পারেন দুর্যোগের রাত্রে, যিনি নিজ খরচে ২১টি বালিকা বিদ্যালয় চালানোর সাহস দেখান, যিনি স্পর্ধা রাখেন ব্রিটিশের সামনে জুতো পড়া পা তুলে ধরার, তার কাছে কোন বাধাই বাধা নয়। কিন্তু বড়লাটের দপ্তর বলেছে বেদ পুরানে কী কোন উদাহরন আছে পুনর্বিবাহের? না হলে আইন পাশ করা মুশকিল। রক্ষনশীলদের চটিয়ে কিছু করার ইচ্ছা নেই ডালহৌসির।

তাই রাতের পর রাত জেগে পুঁথি পত্র পড়ছেন তিনি। কম আলোয় চোখের সমস্যা হচ্ছে, ক্লান্তিতে অনিদ্রায় শরীর ভেঙে পড়ছে, হতাশা আসছে মনে। কিন্তু পরক্ষনেই চোখে ভাসছে ওই একরত্তি বিধবা মেয়েটির করুণ মুখখানি, সারা দেশের হাজার হাজার বিধবা নাবালিকার অসহনীয় জীবনের দীর্ঘশ্বাস শুনতে পাচ্ছেন তিনি। আবার শুরু হচ্ছে তাঁর অন্বেষণ। তারপর, তারপর পাওয়া গেলো সেই মুক্তো। পরাশর সংহিতার অমর সেই শ্লোক

*"নষ্টে মৃতে প্রবরজিতে ক্লীবে চ পতিতে পতৌ/ পচস্বাপতসু নারীনাং পতিরন্যো বিধয়তে।"(স্বামী মারা গেলে, সন্ন্যাস নিলে, নিখোঁজ হলে, সন্তানগ্রহনে অক্ষম হলে, অধার্মিক ও অত্যাচারী হলে পত্নী আবার বিবাহ করতে পারে।)*

তিনি ছুটলেন সরকারের দ্বারে। প্রমান করলেন বিধবা বিবাহ শাস্ত্রসম্মত। আর বাধা রইলো না কিছুই। ১৮৫৬ সালের ১৬ই মতান্তরে ২৬ শে জুলাই পাশ হোল বিধবা বিবাহ আইন। লক্ষ লক্ষ বাল্য বিধবা পেলো মুক্তির আশ্বাস। শুধু চালু করেই ক্ষান্ত থাকলেন না। নিজের পুত্রের বিধবার সাথে বিবাহ দিয়ে দেখিয়ে দিলেন সমাজকে। এখানেই তিনি অনন্যসাধারন। সিংহহৃদয় এর মধ্যে কুসুমকোমল অনুভুতির প্রকাশ। আমরা আজ বহু বছর পরেও যে সংস্কার কাটিয়ে উঠতে পারলাম না, তিনি সেই যুগে দাঁড়িয়ে করে দেখালেন তা।

তিনি চলে গেছেন সেই ১৮৯১ সালে। কিন্তু রয়ে গেছে তাঁর লড়াই, তাঁর আদর্শ, তাঁর অবদান। যে আদর্শ আলো দেখিয়েছে আপামর বাঙালিকে। যার হাত ধরে আমাদের অক্ষর চিনতে শেখা। সেই মহামানবকে জানাই শত প্রনাম।

"বেঁচে থাকো বিদ্যাসাগর চিরজীবী হয়ে।

এটা দেবারতি মুখোপাধ্যায় এর "ঈশ্বরের অন্তিম শ্বাস বই থেকে নেওয়া। "

সংগৃহীত

জাহাজ ডুবে যায় না‼️কারণ...
30/07/2025

জাহাজ ডুবে যায় না‼️
কারণ...

- এই প্রথম ইউটিউব চ্যানেল এ এটা ১.১k ছাড়িয়েছে ❤️‍🩹🙂
30/07/2025

- এই প্রথম ইউটিউব চ্যানেল এ এটা ১.১k ছাড়িয়েছে ❤️‍🩹🙂

❤️‍🩹🖊️💐
30/07/2025

❤️‍🩹🖊️💐

শিক্ষিকা মাহেরীন মিস আর বেঁচে নেই। নিজের ৮০% দ*গ্ধ শরীর নিয়ে ২০ জন শিশুকে বাঁচিয়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত তিনি না ফেরার দেশে চ...
22/07/2025

শিক্ষিকা মাহেরীন মিস আর বেঁচে নেই। নিজের ৮০% দ*গ্ধ শরীর নিয়ে ২০ জন শিশুকে বাঁচিয়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেন।নিজের বাঁচার কথা ভাবেন নি।
মা-বাবার পরে শিক্ষকের স্থান এটাই তার বড় উদাহরণ।
স্যালুট মিস।
পরপারে ভালো থাকবেন। 🙏

20/07/2025
ভালো ছাত্র, জিনিয়াস — এই মনগড়া ভ্রান্ত ধারণাগুলো এখনো কেন প্রচলিত আছে, তা আমি জানি না। আমি একটি স্বনামধন্য ক্যাডেট কলেজে...
20/07/2025

ভালো ছাত্র, জিনিয়াস — এই মনগড়া ভ্রান্ত ধারণাগুলো এখনো কেন প্রচলিত আছে, তা আমি জানি না। আমি একটি স্বনামধন্য ক্যাডেট কলেজে ক্লাসের দ্বিতীয় শেষ ছাত্র ছিলাম। ক্লাস এইট থেকে নাইন ওঠার সময় অঙ্কে ১২, বিজ্ঞানে ১৭, আর ইংরেজিতে ২৩ পেয়েছিলাম। আমার পরে যে ছেলে ছিল, সে পরীক্ষাই দিতে পারেনি অসুস্থতার কারণে। নইলে আমিই শেষ হতাম।

ক্যাডেট কলেজে খারাপ রেজাল্টের যে কী পরিমাণ অপমান, তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানে। আমার কারণে পুরো ক্লাসের সামগ্রিক ফল খারাপ হলো। সিনিয়ররা র‌্যাগিং করল, বন্ধুরা তিরস্কার করল, আর কলেজ কর্তৃপক্ষ করল অপমানের চূড়ান্ত। কলেজ থেকে বের করে না দিলেও আমাকে সায়েন্স গ্রুপ থেকে বাদ দিয়ে জোর করে আর্টসে দিয়ে দিল।

বাবা বলছেন, সায়েন্স নিয়ে পড়তে। আমিও চাই। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিল — সায়েন্স পড়ার যোগ্যতা আমার নেই। অপমান, প্রত্যাখ্যান, এবং নিঃসঙ্গতার ভারে পিষ্ট হয়ে ১৪ বছরের এক কিশোর গিয়ে দাঁড়াল ভাইস প্রিন্সিপালের সামনে। কাঁদলাম, হাত-পা ধরলাম। কিন্তু তাতে লাভ হলো না। অনেক অনুরোধের পর লিখিত মুচলেকা দিলাম, যদি সায়েন্স পড়তে দিলে এসএসসি ও এইচএসসিতে অন্তত ফার্স্ট ডিভিশন পাব।

এরপরও অপমান আর টিটকারি চলতেই থাকল। কত দিন যে বাথরুমে, ছাদে, অন্ধকারে কেঁদেছি! সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া একটা ছেলের সহ্যশক্তি কতটুকুই বা থাকে? একদিন ঠিক করলাম —আর না, এই অসম্মানের সমুচিত জবাব দিতে হবে।

তখন থেকেই শুরু করলাম। সবকিছু ছেড়ে দিলাম। বন্ধুবান্ধব, টিভি, সিনেমা, আত্মীয়স্বজন সব গোল্লায় যাক। আমার পৃথিবী শুধু বই আর পড়াশোনা। কী আছে এর মধ্যে, সেটা জানার জন্য পাগল হয়ে উঠলাম। অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বাংলার নোট তৈরি করলাম বিশ্বভারতীর বই ঘেঁটে। অঙ্কের পারমুটেশন-কম্বিনেশন-ইন্টিগ্রেশন কীভাবে বাস্তবে কাজ করে তা বুঝতে লাইব্রেরিতে কাটালাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ইংরেজি কবিতার কবির রচনার উঁচু ক্লাসের সমালোচনা পড়লাম, শুধুমাত্র একটি প্রশ্নের উত্তর তৈরি করতে।

চার বছর ধরে প্রতিদিন ১৪-১৬ ঘণ্টা কেটেছে বই, রেফারেন্স আর খাতার সঙ্গে। এমনকি ছুটির দিনও আমার সময় কেটেছে পড়াশোনার টেবিলে। বাবা-মা বলতেন, "এইবার থাম," আর বন্ধুরা বলত, "তুই মারা যাবি!" কিন্তু আমার লক্ষ্য পরিষ্কার ছিল — অপমানের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে।

ইন্টারমিডিয়েটের দুই বছরে আমি এইচএসসি সিলেবাস শেষ করেছি সাতবার। বিশ্বাস না হলে আমার কিছু করার নেই।

অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ! আমার এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলো। ক্লাসের দ্বিতীয় শেষ ছাত্র, অঙ্কে ১২ পাওয়া, সায়েন্স গ্রুপের অযোগ্য বলা সেই ছেলেটি মেধা তালিকায় পুরো বোর্ডে প্রথম! দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম! প্রধানমন্ত্রী ডাকলেন, টিভিতে সাক্ষাৎকার, পত্রিকায় ছবি ছাপা হলো।

এটা ছিল আমার মিষ্টি প্রতিশোধ, এরপর আর পেছন ফিরে তাকাইনি।

এই অভিজ্ঞতায় আমি শিখেছি "ভালো ছাত্র" বা "জিনিয়াস" — এসব কিছুই না। আসল কথা হলো কঠোর পরিশ্রম। আমি যদি সত্যিই কিছু পেতে চাই, তাহলে সেটি পাবই। না পাওয়া মানে আমি মন থেকে চাইনি।

আপনি বিসিএসে প্রথম হতে চাননি বলেই হননি।
ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাননি? কারণ, আপনি হৃদয় থেকে চাননি।
আপনার কোটি কোটি টাকা নেই? সেটাও আসলে আপনি চাননি।

আমরা সাফল্যের ফলটা দেখি, কিন্তু এর পেছনের শ্রম, ত্যাগ, কষ্ট — এসব দেখিনা। যদি কিছু পেতে চান, তবে সেটা পাওয়ার জন্য পাগলের মতো চেষ্টা করুন। দ্বিতীয় কোনো বিকল্প রাখবেন না। ব্যর্থতা গ্রহণযোগ্য নয়। সফল হোন, নতুবা চেষ্টা করতে করতে হারিয়ে যান।

সৃষ্টিকর্তা আমাদের শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, আমাদের চেয়ে শক্তিশালী কেউ নেই। আর শ্রেষ্ঠ জীব কখনো হারতে পারে না।

(সত্য ঘটনা অবলম্বনে)

Slightly modified from the original by Shabbir Ahsan

Address

স্বপ্নপুরী
Dinajpur
PSMSHYON

Telephone

+8801885243635

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Your Shyon Chondro posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Your Shyon Chondro:

Share