21/06/2025
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে, বাংলাদেশের জন্য করণীয় হবে খুবই সংবেদনশীল, কৌশলী এবং আন্তর্জাতিকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ একটি অবস্থান নেওয়া। নিচে সম্ভাব্য করণীয় কিছু দিক তুলে ধরা হলো:
🔹 ১. নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখা (Diplomatic Neutrality)
যুদ্ধের পক্ষে বা বিপক্ষে সরাসরি অংশ না নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়া।
জাতিসংঘের নির্দেশনা ও আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করা।
বিশ্বশক্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা।
🔹 ২. জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করা
সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা।
সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা।
🔹 ৩. অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা
খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তোলা।
আমদানি-রপ্তানি বিকল্প খুঁজে বের করা।
কৃষি ও স্বনির্ভর উৎপাদনে জোর দেওয়া।
🔹 ৪. মানবিক প্রস্তুতি নেওয়া
আশ্রয়প্রার্থী (refugees) আসলে তাদের জন্য জরুরি ব্যবস্থাপনা।
নাগরিকদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র, চিকিৎসা ও খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
🔹 ৫. তথ্য ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে রাখা
গুজব ও ভুয়া তথ্য রোধে তথ্য সচেতনতা বাড়ানো।
দায়িত্বশীল সংবাদ প্রচার নিশ্চিত করা।
🔹 ৬. আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি
SAARC, OIC, UN, ASEAN এর মতো সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ রাখা।
মানবিক সহায়তা ও আন্তর্জাতিক সাহায্য পাওয়ার কৌশল নির্ধারণ।
🔹 ৭. জনসচেতনতা তৈরি
জনগণকে সচেতন ও প্রস্তুত রাখতে মিডিয়া ও সরকারি প্রচারণা চালানো।
যুদ্ধকালীন জীবনযাপনের নির্দেশিকা প্রস্তুত ও প্রচার করা।
মোটকথা :
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ একটি বৈশ্বিক সংকট হবে। বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ, উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় যুদ্ধ এড়িয়ে চলা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখাই হবে সবচেয়ে বিচক্ষণ পদক্ষেপ।
👉 সবচেয়ে বড় শক্তি হবে — কূটনীতি, প্রস্তুতি, ও জনগণের ঐক্য।