26/07/2023
আগামী ২৮ শে জুলাই চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে।
ব্যক্তিগতভাবে লক্ষ্য করলাম,পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অধিকাংশেরই ফলাফল নিয়ে চরম উত্তেজনা।কয়েকজনের মুখের কথা তুলে ধরা হলোঃ ' এ প্লাস না পেলে মান সম্মান থাকবে না','আশেপাশের মানুষের সামনে বাপ মা মুখ দেখাতে পারবে না','রাস্তায় বের হতেই পারব না','বাবা-মা বলেছে আর পড়াবেই না' ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাদের কথা শুনে বুঝলাম যে তারা খুবই চিন্তায় আছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ফলাফল নিয়ে তারা তাদের অবস্থা শেয়ার করছে।
"কেউ চায় এ প্লাস আর কেউ চায় শুধু পাস"
নবম-দশম মোট দুবছর সময়। শিক্ষার্থীরা প্রায় নয়/দশ মাস শ্রেনিকার্যক্রম বন্ধ ছিল।ক্লাস কম পাওয়ার কারনে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
যেহেতু সামনে ফলাফল,পরিবার,স্বজন,প্রতিবেশীরা চাপ দিচ্ছে এ প্লাসতো হবে? পাস কি হবে?
শিক্ষার্থীরা কি বলবে তা অনেকের মুখেই আসছে না।ইতিবাচক কিছু এটা বলছে তাদের।
আমাদের প্রায় অবিভাবকেরা তাদের সন্তানদের একপ্রকার জিম্মি করে রাখে সেটা দেখা যায়।ঘরের বাইরে যেতে দেয় না,কারো সাথে মিশতে দেয় না,সারাদিন পড়তে বলে,পরীক্ষায় ফলাফল ভালো করতে বলে ইত্যাদি ইত্যাদি।সন্তানদের ক্যারিয়ার আগে থেকে বানিয়ে ফেলে।সন্তানদের রোবটের মতো তৈরি করে।এমন শিক্ষার্থীও আমি দেখেছি।
একটা সন্তানের সবচেয়ে বড় ভরসা তার পরিবার।যখন সে পরিবার থেকে ইতিবাচক কিছু পায়না তখন হতাশা বিরাজ করে মনে।
অবিভাবকেরা সন্তানদের উৎসাহ প্রদান করলে আশাকরি তাদের এমন অবস্থা হয় না।পরিবার থেকে পুরোপুরি সমর্থন পেলে শিক্ষার্থীরা হতাশায় ভুগবে না।অবিভাবকেরাই যদি সন্তানদের বোঝায় ফলাফল যেমন আসুক তাতে সন্তুষ্ট থাকবে।যদি বলে,আশেপাশের মানুষের কথা কান না দিতে।সন্তানকে চাপ প্রয়োগ করা অনুচিত,সন্তানের ধারন ক্ষমতা বুঝতে হবে পিতামাতার।ফলাফলের পূর্বে মানসিক সুস্থতা জরুরি।এটি পরিবার দিতে পারবে।
"সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি না করতে পারলে অবিভাবক পুরোপুরি অসফল থাকবেন সারাজীবন।"
অভি রায়
25 জুলাই ২০২৩