Various blog Items

Various blog Items Life is beauty
(4)

আন্তর্জাতিকইসরায়েলকে রুখতে বৈঠকে বসছে বাংলাদেশসহ ২০ দেশআন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহ...
13/07/2025

আন্তর্জাতিক
ইসরায়েলকে রুখতে বৈঠকে বসছে বাংলাদেশসহ ২০ দেশ

আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাংলাদেশসহ আন্তত ২০টি দেশ বৈঠকে বসতে যাচ্ছ

কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতাতে আগামী ১৫ থেকে ১৬ জুলাই ‘জরুরি সম্মেলন’ হবে। সেখানেই দখলদারদের বিরুদ্ধে ‘সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ’ ঘোষণা করা হবে।

সম্মেলনটির আয়োজক ‘দ্য হেগ গ্রুপ’। সহ-আয়োজক কলম্বিয়ার সরকার। ‘দ্য হেগ গ্রুপ’র সহসভাপতি হিসেবে ইসরায়েলের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও আইনি সহায়তা করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বিজ্ঞাপন
সম্মেলনে যেসব দেশ যোগ দিবে তার মধ্যে রয়েছে আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, চীন, কিউবা, জিবুতি, হুন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, লেবানন, মালয়েশিয়া, নামিবিয়া, নিকারাগুয়া, ওমান, পর্তুগাল, স্পেন, কাতার, তুরস্ক, সেইন্ট ভিসেন্ট এবং দ্য গ্রিনাডিনেস, উরুগুয়ে ও ফিলিস্তিনি।

এ ছাড়া সম্মেলনে জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষ কর্মকর্তা ফ্রান্সেসকা আলবানিস, ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ফিলিপে লাজ্জারিনি, জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ কর্মকর্তা তলালেং মোফোকেংসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

অন্তত ৬টি বোমা ছোড়া হয় ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যা করতে
দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক মন্ত্রী রোল্যান্ড লামোলা জানিয়েছেন, এই সম্মেলনে বার্তা দেওয়া হবে কোনো দেশ আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং কোনো অপরাধ জবাবদিহিতার বাইরে থাকবে না।

উল্লেখ্য, হেগ জোট আটটি রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গত ৩১ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডে গঠিত হয়েছে। দেশগুলো হলো বলিভিয়া, কলম্বিয়া, কিউবা, হন্ডুরাস, মালয়েশিয়া, নামিবিয়া, সেনেগাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।

RTV Bangladesh is a newly started online Bangla news portal to provide latest stories in several sections including Bangladesh, International, Sports, Entertainment, Features, Opinion, Tech & more.

 #কুষ্টিয়া জেলার  কুমারখালি উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ধলনগর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় বাবা শাহীনের সাথে ছেলের রাগারাগি হয়!  #একপ...
13/07/2025

#কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ধলনগর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় বাবা শাহীনের সাথে ছেলের রাগারাগি হয়!
#একপর্যায়ে ছেলের দিকে কাচি ছুরে মারে বাবা শাহিন, মুহুর্তেই কাচিটি ছেলে মাথায় গেথে যায়! দ্রুত নেয়া হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে।
#উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে ঢাকায়। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটাছুটির পর অবশেষে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও এখনো মাথা থেকে কাচি বেড় করা হয়নি, রাখা হয়েছে আইসিইউতে।

#রাগকে কন্ট্রোল করতে শিখি।
কারণ রাগ মানুষকে ধ্বংস করে
ফেলে।

মেহেরীন যখন আদালতে উ*ন্মা*দের মতো তার বাবা - মায়ের নামে অভিযোগ করছিলো তখন তার মা কাঠগড়ায় মাথা নিচু করে দাড়িয়ে ছিল আর তার...
12/07/2025

মেহেরীন যখন আদালতে উ*ন্মা*দের মতো তার বাবা - মায়ের নামে অভিযোগ করছিলো তখন তার মা কাঠগড়ায় মাথা নিচু করে দাড়িয়ে ছিল আর তার বাবা তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো। মেহেরীন তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। হয়তো তারা এই সন্তানের সমস্ত চাহিদা চাওয়া মাত্রই পূরণ করেছেন, নিজেরা কষ্ট করে হলেও তার স্বাদ আহ্লাদ পূরণ করতে কার্পণ্য করেননি। কিন্তু আজ তার সন্তান বলছেন, সে সমস্ত পৃথিবীকে জানাতে চায় তার বাবা - মা "অ*প*রা*ধী"। আপনাদের অনেকরই হয়তো ঐশীর কথা মনে আছে। পু*লি*শ বাবার সন্তান অগাধ টাকাপয়সা পেয়ে বখে গিয়ে একসময় তার বাবা - মাকেই শেষ করে দিয়েছিলো।
আমার মনে আছে একবার ছোটবেলায় স্কুল শেষে স্কুলের মাঠে বন্ধুদের সাথে খেলতে গিয়ে, জুতা হারিয়ে ফেলেছিলাম। সারা মাঠে আমি দোয়া ইউনুস পড়ে কেঁদে কেঁদে আল্লাহ কে ডেকে জুতা খুঁজতে থাকলাম, কারণ আমি জানতাম স্কুল থেকে সরাসরি বাসায় না গিয়ে, মাঠে খেলে জুতা হারিয়ে ফেলার কারণে আমাকে শা*স্তি পেতে হবে, স্কুলের জুতা ছাড়া কয়েকদিন স্কুলে গিয়ে স্যারের কাছেও শা*স্তি পেতে হবে। প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো বছরে ২/১ বার কেনা হয়, চাইলেই যখন তখন পাওয়া যায় না, ( আমার বাবা - মা যে অভাবী ছিলেন এমনটাও না, তারা এভাবেই আমাদের বড় করেছেন) অপেক্ষা করতে হয়।
আজকে মেহেরীন কিংবা ঐশীর এই অস্বাভাবিক আচরণের দায় তাদের বাবা - মাকেও নিতে হবে। সন্তানকে আদর ভালোবাসার নামে একটা বেয়াদব জেনারেশন তৈরি করেছেন তারা। তাদের কাছে এটা Good parenting! চোখের সামনে সন্তান নিজের জিনিসপত্রের যত্ন করছে না, বড়দের সামনে শান্ত থাকছে না, যখন যা মন চায় পেয়ে যাচ্ছে, প্রথম প্রথম এই কাজগুলো বাইরের মানুষের সাথে বেশি করে, তখন এই অতি আধুনিক বাবা -মায়ের কুসুম কুসুম হাসি পায়, সবাইকে ঢাকঢোল পিটিয়ে বলে আমার বাচ্চার যা জি*দ! যা চায় তাই দিতে হয়!তারপর এই অত্যাচার যখন খারাপ চাহিদা নিয়ে শুরু হয়, তখন তারা হঠাৎ করে লাগাম টানতে গিয়ে নিজেরাই ভি*লেন হয়ে যাচ্ছেন।
তাই সন্তানকে কিছুটা অভাব দেখানো উচিৎ, তাদের বোঝানো দরকার চাইলেই সবকিছু পাওয়া যায় না, অর্জণ করতে ও অপেক্ষা করতে হয়, ভুল করলে শা*স্তি পেতে হয় আর ভালো কাজে প্রশংসা ও আদর পাওয়া যায়।
আর না হলে এইভাবেই, নিজের কে নিজেরই প্রতিপক্ষ হিসেবে আদালতে আবিষ্কার করতে হবে।


12/07/2025

আন্তর্জাতিক সংবাদ।

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের পর ইরানকে ঘিরে আরব দেশগুলোর মনোভাব কেমন
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান
ছবির ক্যাপশান,ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান
গত মাসে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিন ধরে চলা যুদ্ধের পর থেকে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো একরকম নীরব অবস্থানে আছে, যদিও বিষয়টি অনেকের কাছে বিস্ময়কর লাগতে পারে।

কাতারের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের আল উদাইদ বিমান ঘাঁটিতে ইরানের হামলা চালানো সত্ত্বেও এই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা এই যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ওই বিমান ঘাঁটিতে হামলা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই হামলাটি ছিল নজিরবিহীন। কারণ কাতার ওই অঞ্চলে ইরানের অন্যতম শক্তিশালী মিত্র।

আরব উপসাগরীয় দেশগুলো আল উদাইদ বিমান ঘাঁটির ওপর হামলার ঘটনায় তৎক্ষণাৎ নিন্দা করেছিল। কিন্তু এই নিন্দা এবং হামলার খবর খুব তাড়াতাড়ি সংবাদ শিরোনাম থেকে হারিয়ে যায়।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (ফাইল ছবি)
ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের পর ইরানকে ঘিরে আরব দেশগুলোর মনোভাব কেমন
মিটফোর্ডে প্রকাশ্য সড়কে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
মিটফোর্ডের সামনে নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া, শুদ্ধি অভিযানের সিদ্ধান্ত বিএনপির
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
বিমানে 'বোমা আছে' ফোনকলের নেপথ্যে 'প্রেমিকাকে নিয়ে' নেপাল ভ্রমণ আটকাতে মা ও স্ত্রীর ব্যর্থ চেষ্টা
গত ১২ই জুন বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিলো
'এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগে জ্বালানি সুইচ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল'

তাদের জায়গায় এমন রিপোর্ট আসতে থাকে যা ইরান ও প্রধান উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে গড়ে ওঠা নতুন কূটনৈতিক সম্পর্কের দৃঢ়তাকে তুলে ধরে।

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত শেষ হওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের কূটনৈতিক উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাশের পক্ষ থেকে উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি আসে, যেটি তিনি 'এক্স' (সাবেক টুইটার)–এ পোস্ট করেন।

তিনি লেখেন, "ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলার ক্ষেত্রে উপসাগরীয় দেশগুলি দৃঢ় এবং কার্যকর অবস্থান নিয়েছিল। তা সত্ত্বেও ইরান ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ কাতারের সার্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ করেছে, যা আমাদের সকলকে প্রভাবিত করে।"

তিনি আরও বলেন, "যেহেতু এই অঞ্চলে যুদ্ধ শেষ হয়েছে, এখন উপসাগরীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে আবার আস্থার সম্পর্ক স্থাপন করার দায়িত্ব মূলত ইরানের।"

এখন প্রশ্ন হলো–– এই সংঘাত ইরানের সাথে উপসাগরীয় দেশগুলোর সম্পর্কে কেমন প্রভাব ফেলেছে?

যুক্তরাষ্ট্র জড়ালে তাকে কি লক্ষ্যবস্তু করবে ইরান, দেশটিতে সরকার পতন হলে কী হবে- পাঠকদের আরও কিছু প্রশ্নের উত্তর
২১ জুন ২০২৫
ইসরায়েলে কেন অনেক ভারতীয়, কী করেন তারা
২১ জুন ২০২৫
আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল
২৯ জানুয়ারি ২০২০
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ছবির উৎস,Getty Images
ছবির ক্যাপশান,সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির মধ্যে গত ৮ই জুলাই জেদ্দায় সাক্ষাৎ হয়
সৌদি আরব
ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আল উদাইদ ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর সৌদি আরবের প্রতিক্রিয়া থেকে বোঝা যায়, তারা ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী।

দুই দেশের মধ্যে দফায় দফায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।

বিশেষ করে গত ৮ই জুলাই জেদ্দায় সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সাক্ষাৎ হয়।

যদিও ২০২৩ সালের মার্চে চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে হওয়া চুক্তি বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে, তবে সৌদি গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা এ চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে খুব সীমিত মন্তব্য ও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

এ থেকে ধারণা করা যায়, যদি পরিস্থিতি কখনো বদলায় তাহলে সৌদি আরব ওই চুক্তিতে থেকে সরে আসতে পারে।

তবে ২০২৪ সালের শেষের দিক ও ২০২৫ সালের শুরুতে ইরান-সৌদি সম্পর্ক গতি পায় ঠিক তখনই যখন লেবাননে হেজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলি অভিযান হয় এবং সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের ফলে এই অঞ্চলে ইরানের প্রভাব দুর্বল হয়ে পড়ে।

সৌদি আরব লেবাননের নতুন নেতৃত্বের প্রতি তাদের সমর্থনের কথা জানিয়েছে, তারা চায় হেজবুল্লাহ অস্ত্র ছাড়ুক।

একইসঙ্গে সৌদি আরব সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন অস্থায়ী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করছে

,আরব উপসাগরীয় অঞ্চল,
ইরানের সঙ্গে দুর্বল হয়ে পড়া সম্পর্ক মজবুত করতে সৌদি আরব যে আগ্রহী তা স্পষ্ট হয় এপ্রিল মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ বিন সালমানের ঐতিহাসিক ইরান সফরের মাধ্যমে।

সেখানে তিনি ইরানের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাকেরি এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত শুরু হলে সৌদি শীর্ষ কর্মকর্তা ও প্রধান গণমাধ্যমগুলো ইরান সম্পর্কে আশ্চর্যজনকভাবে নরম মনোভাব দেখায়।

ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ১৩ই জুন ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানকে শোকবার্তা পাঠান।

সৌদি নেতৃত্ব ইরানি হজযাত্রীদের নিরাপদে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেয়।

যদিও সৌদি আরব কাতারের আল উদাইদ ঘাঁটিতে ইরান হামলা চালানোর সঙ্গে সঙ্গেই তীব্র নিন্দা করেছিল। সেখানকার সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে গণমাধ্যম সবাই আগের মতোই স্থিতিশীলতার বার্তা দেয়।

কিন্তু সৌদি গণমাধ্যম খুব তাড়াতাড়ি যুদ্ধবিরতির ঘোষণার দিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া শুরু করে।

গত ২৪শে জুন মোহাম্মদ বিন সালমান ও পেজেশকিয়ানের মধ্যে হওয়া আলোচনা নিয়ে রিপোর্টে সৌদি মিডিয়া আল উদাইদ হামলার কথা উল্লেখই করেনি।

পরবর্তী সপ্তাহগুলোয় সেখানকার গণমাধ্যম শুধু আঞ্চলিক উত্তেজনা কমাতে সৌদি ও ইরানি কর্মকর্তাদের মধ্যে চলমান আলোচনার খবর প্রকাশ করে।

এরপর জেদ্দায় মোহাম্মদ বিন সালমান ও ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সাক্ষাৎ হয়। সৌদি গণমাধ্যম আবারও দুই দেশের সম্পর্ককে 'ভ্রাতৃত্বপূর্ণ' বলে উল্লেখ করে, কিন্তু কাতারে ইরানি হামলার কোনো উল্লেখ করেনি।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি, ফাইল ছবিছবির উৎস,Getty Images
ছবির ক্যাপশান,কাতারের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ইরানে ইসরায়েলি হামলার তীব্র সমালোচনা করা হয়; কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির ফাইল ছবি
কাতার
কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেছেন, এই হামলার ফলে ইরানের সঙ্গে কাতারের সম্পর্কের ওপর 'নেতিবাচক' প্রভাব পড়েছে, তবে তিনি আশা করেন যে সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

অন্য উপসাগরীয় দেশগুলোর মতো, ১৯৭৯ সালে ইরান ইসলামি প্রজাতন্ত্র ঘোষণার পর থেকে কাতার আর ইরানের সম্পর্ক কখনোই পুরোপুরি স্থিতিশীল ছিল না।

হামলার পর দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা ফোনে কথা বলেছেন, যা ইঙ্গিত দেয় যে তারা এই ক্ষতিগ্রস্ত সম্পর্ক মেরামত করার চেষ্টা করছিলেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাতারের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সম্পর্কের ওপর সম্ভাব্য যেকোনো ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করেছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম আল উদাইদ ঘাঁটিতে ইরানের হামলা নিয়ে বিশেষ খবর প্রকাশ করেছে, যেখানে হামলার পর কয়েকদিন ধরে পরিস্থিতি এবং কাতারের প্রতি আরব ও আন্তর্জাতিক সমর্থনের খবর প্রচারিত হয়েছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ইরানে ইসরায়েলি হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।

কাতারের প্রধান সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার ওয়েবসাইটে বিশ্লেষকরা লিখেছেন, ইরানে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের ব্যাপারে ইসরায়েলি উদ্দেশ্য 'উল্টো ফল' দিতে পারে, কারণ 'ইরানি সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডের ফলে জনগণের সহানুভূতি সরকারের প্রতি বেড়েছে, দেশ অস্থির হয়নি'।

সেখানে একজন বিশ্লেষক বলেন, "ইসরায়েলের প্রবল হামলা ইরানকে একতাবদ্ধ করেছে, কারণ এখন বিরোধীদের রাজনৈতিক পরিবর্তনের দাবি পেছনে পড়ে গেছে এবং দেশের প্রতিরক্ষার কথাই বেশি হচ্ছে"।

ইরান-ইসরায়েল দুই দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক বজায় রেখেছে কাতার
সংযুক্ত আরব আমিরাত
সংযুক্ত আরব আমিরাত বা ইউএই হলো কিছু গুটিকয়েক আরব দেশের মধ্যে একটি, যাদের ইসরায়েল ও ইরান দুই দেশের সাথেই সম্পর্ক আছে।

এই কারণে তাদের জন্য কোনো এক পক্ষ বেছে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে এবং তারা 'সবার আগে শান্তি'- এই পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করতে বাধ্য হয়েছে।

সরকারি পর্যায়ে, ইউএই ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলা এবং তার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা করেছিল।

প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানকে ফোন করে "ইরান এবং তার জনগণের সঙ্গে সংহতি" প্রকাশ করেন।

ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে কাতারের আল উদাইদ বিমান ঘাঁটিতে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলারও নিন্দা করেছে ইউএই।

ইউএই পর্দার আড়ালে থেকে জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে যাতে এই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, আঞ্চলিক উত্তেজনা না বাড়ে এবং ইরানের প্রতিক্রিয়া থেকেও যাতে বাঁচা যায়।

ইউএই কোনোভাবেই ইরানে সরকার পরিবর্তনের পক্ষে কোনো ইঙ্গিত দেয়নি, সেইসাথে তারা আমেরিকার সমর্থিত ইসরায়েলি আধিপত্যকেও গুরুত্ব দেয়নি।

স্পষ্টতই মনে হয় উপসাগরীয় এই দেশটি এই অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি ইসরায়েল ও ইরান—দু'পক্ষের সাথেই সম্পর্ক বজায় রাখার পথ বেছে নিয়েছে।

ইউএই আমেরিকার মধ্যস্থতায় হওয়া ঐতিহাসিক আব্রাহাম চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা এবং যা অন্য আরব দেশগুলোর জন্যও তাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পথ খুলে দেওয়া।

তবে গাজা যুদ্ধ এবং এখন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে এই অঞ্চলের পরিবর্তন এই চুক্তির ভবিষ্যৎ ও সম্ভাবনাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

ইরানের সঙ্গে ভালো প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক রাখা ইউএই-এর স্বার্থেই জরুরি, যাতে তারা তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং লোহিত সাগরে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে।

সৌদি আরব ও ইরানের ঘনিষ্ঠতা দেখে ইউএই এই শিক্ষা পেয়েছে যে, সৌদি আরবের সঙ্গে নিঃশব্দ প্রতিযোগিতার মাঝেও তারা যেন নিজেকে একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলে—এই লক্ষ্যেই কাজ করতে হবে।

ইউএই-এর সংবাদমাধ্যমগুলোতে যুদ্ধ নিয়ে রিপোর্টিং চলতে থাকে, আর এতে উপসাগরীয় দেশ হিসেবে নিজেদের একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টাও করা হয়েছে।

দেশের একটি যারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিল
কুয়েত
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অঞ্চলে যেসব দেশে আমেরিকান ঘাঁটি আছে কুয়েত এর মধ্যে অন্যতম। এ কারণে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন ছিল। কুয়েতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।

তবে অন্যান্য দেশের মতো কুয়েতও ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা করেছে।

লক্ষ্য করার মতো বিষয় হলো, কুয়েত হলো ওই হাতেগোনা কয়েকটি দেশের একটি যারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিল।

অন্যদিকে বাহরাইন ও ইউএই-এর মতো অনেক দেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের সঙ্গে কুয়েতের সম্পর্ক অন্যান্য উপসাগরীয় দেশের তুলনায় কিছুটা শক্তিশালী ছিল, বিশেষ করে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে চীনের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির আগ পর্যন্ত।

তবে, দাররাহ গ্যাস ক্ষেত্র নিয়ে ইরান-কুয়েত সম্পর্ক মাঝে টালমাটাল হয়ে পড়ে।

২০২২ সালে সৌদি আরব এবং কুয়েতের মধ্যে চুক্তির বিরোধিতা করেছিল ইরান। ওই চুক্তিতে সৌদি ও কুয়েত 'আরাশ গ্যাস ক্ষেত্র' উন্নয়নে সম্মত হয়েছিল।

ইরান বলে, এই গ্যাস ক্ষেত্রে তাদেরও অংশ আছে এবং এই চুক্তিতে ইরানকেও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ছিল।

এই গ্যাস ক্ষেত্র নিয়ে এখনো উত্তেজনা চলছে, কারণ সৌদি আরব ও কুয়েত তাদের পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম যুদ্ধ চলাকালীন ঘটনাগুলো খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছে এবং কুয়েত ও ইরানের ভৌগোলিক অবস্থান কাছাকাছি হওয়ার এই নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কেননা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার প্রভাব কুয়েতেও পড়তে পারে।

ওমান
ওমান আঞ্চলিক বিষয়ে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে আসছে, কারণ দেশটির পররাষ্ট্রনীতি আলোচনা এবং হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে বিরোধ মেটানোর প্রতিশ্রুতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

ওমান এই বছর ইরান ও আমেরিকার মধ্যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একাধিক বৈঠকে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করেছে।

দেশটির পক্ষ থেকে এই মধ্যস্থতা শুরু হয় ২০১৩ সালে, যখন ওমান গোপন আলোচনার আয়োজন করেছিল, যা কয়েক দশকের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে প্রথম উচ্চ-স্তরের আলোচনা ছিল।

ইরান-ইসরায়েল ১২ দিনের সংঘাতের সময় পারমাণবিক আলোচনা স্থগিত থাকা সত্ত্বেও ওমান পর্দার আড়াল থেকে তার ভূমিকা পালন করে গিয়েছে।

অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মতো ওমানের স্থানীয় মিডিয়া মাঠের ঘটনাগুলোর কভারেজকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে।

আরব মিডিয়া প্রায়ই ওমানের আমেরিকা-ইরান মধ্যস্থতার প্রশংসা করে। অনেক সময় ওমানের এই "সক্ষমতার প্রশংসা করা হয়েছে" যে, তারা দুই পক্ষের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্কের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশ্বাস ও পারস্পরিক সম্মানের পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে।

তবে ইরানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখলেও ওমান কাতারের আল উদাইদ ঘাঁটিতে ইরানের হামলার নিন্দা করেছে এবং এই হামলা কাতারের "সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন" বলে উল্লেখ করেছে।

একই বিবৃতিতে, ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলকে সেই উত্তেজনার জন্য "দায়ী" বলে উল্লেখ করেছে এবং ইরানি হামলাগুলোকে আগে থেকে দেওয়া উসকানির ফলাফল বলে ব্যাখ্যা করেছে।

কাতারে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আনুষ্ঠানিক নিন্দার পরেও ওমানের সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত অনেক লেখাই ইরানের 'প্রতিরোধ করার সক্ষমতা'র প্রশংসা করেছে এবং ইসরায়েলের 'আক্রমণাত্মক' আচরণের সমালোচনা অব্যাহত রেখেছে।

একটি প্রতিবেদনে আমেরিকা-ইসরায়েল-ইরান সংঘাতকে ইরানের জন্য 'গৌরবের যুদ্ধ' বলা হয়েছে।

বাহরাইন
এই হামলাগুলো এমন এক সংবেদনশীল সময়ে ঘটেছে যখন বাহরাইন ও ইরান এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের পর তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় স্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

গত ২৬শে এপ্রিল বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে তারা ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে "দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক যত দ্রুত সম্ভব পুনঃস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত কাঠামো তৈরির ওপর কাজ করছে"।

বাহরাইন ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ইরানে সৌদি দূতাবাস ও কনস্যুলেটে হামলার প্রতিবাদে তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল।

বাহরাইন বারবার ইরানের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে শুরু হওয়া শিয়া-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভগুলোকে সমর্থনের অভিযোগ করেছে।

এই বিক্ষোভগুলোর উদ্দেশ্য ছিল শিয়া-সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে শাসন করা সুন্নি রাজপরিবারকে ক্ষমতা থেকে সরানো।

কাতারের বিমানঘাঁটিতে ইরানি হামলার খবর ২৪ ও ২৫শে জুন দুদিন ধরে বাহরাইনের সংবাদপত্রগুলোর বড় শিরোনাম ছিল।

দেশটির পত্রিকাগুলো "পারস্য উপসাগরের দেশগুলোর যৌথ ভবিষ্যৎ" নিয়ে সম্পাদকীয় ছেপেছে এবং কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলার নিন্দা করে মন্তব্যও প্রকাশ করেছে।

হে অমানুষ নরপিশাচ তোরা কবে মানুষ হবি। হে অসভ্য বর্বর কাপুরুষোচিত মানুষ তোদের বিচার কী হবে? ভিডিও টা দেখে নিজেকে ঠিক রাখত...
11/07/2025

হে অমানুষ নরপিশাচ তোরা কবে মানুষ হবি। হে অসভ্য বর্বর কাপুরুষোচিত মানুষ তোদের বিচার কী হবে? ভিডিও টা দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারছি না। শরীর কাপতেছে। অসহায় মানুষটি বাচার জন্য হে পাশ ওপাশ করে দেহটা কে ঘুরাচ্ছে তারপরও নরপিশাচরা পাথর মেরে চলছে। হে আল্লাহ অসভ্য বর্বরদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার করো। আমি র‍্যাব সেনাবাহিনী প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি প্রত্যক খুনিদের খুজি বের করে প্রকাশ্য বিচার করুন। অথবা অস্ত্র উদ্ধার নাম করে রাতে অন্ধকারে ব্যবস্থা নেন। প্লিজ প্লিজ।

11/07/2025

ময়ুরের ফ্যাশন। চিড়িয়াখানা রংপুর।

11/07/2025

শান্তিতে নোবেল পেয়েও অশান্তি সৃষ্টি ব্যক্তিদের নাম।

শান্তিতে নোবেলের জন্য ট্রাম্পের নাম সুপারিশ নেতানিয়াহুর, অতীতে যে ছয় নোবেলজয়ীকে নিয়ে ছিল বিতর্ক
অতীতে যে ছয় ব্যক্তির নোবেল পুরস্কার পাওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল
ছবির ক্যাপশান,অতীতে যে ছয় ব্যক্তির নোবেল পুরস্কার পাওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল
এক ঘন্টা আগে
শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। জনশ্রুতি আছে, ট্রাম্পেরও দীর্ঘদিনের ইচ্ছে শান্তিতে নোবেল পাওয়া।

সম্প্রতি এক বৈঠকে নোবেল পুরস্কার কমিটিকে পাঠানো চিঠির একটি কপি ট্রাম্পকে উপহার দেওয়ার সময় নেতানিয়াহু বলেন, "তিনি (প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প) একের পর এক দেশে, একের পর এক অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করছেন"।

শুধু ইসরায়েলই না, পাকিস্তানও গত জুনে ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবলে দেওয়ার জন্য সুপারিশের কথা জানায়। কারণ হিসেবে দেশটি জানায়, এর আগে মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সহায়তা করেছিলেন ট্রাম্প।

অবশ্য তার পরপরই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলা চালানোর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত নোবেল শান্তি পুরস্কার। প্রয়াত সুইডিশ বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী এবং সমাজসেবী আলফ্রেড নোবেলের নামে প্রণয়ন করা ছয়টি পুরস্কারের মধ্যে এটি একটি।

অতীতে যে ছয় ব্যক্তির নোবেল পুরস্কার পাওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল
শান্তিতে নোবেলের জন্য ট্রাম্পের নাম সুপারিশ নেতানিয়াহুর, অতীতে যে ছয় নোবেলজয়ীকে নিয়ে ছিল বিতর্ক

নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্টের নির্বাচিত পাঁচ জনের একটি কমিটি প্রতি বছর ছয়টি ক্যাটাগরিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।

ট্রাম্প জয়ী হলে অনেকেই তাকে বিতর্কিত বিজয়ী হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। তবে অতীতেও বহুবার এই পুরস্কার বিতর্কের মুখে পড়েছে।

বিশেষ করে এর রাজনৈতিক প্রকৃতির কারণে অন্য পাঁচটি ক্ষেত্রের তুলনায় শান্তি পুরস্কার অনেক বেশি বিতর্কের মুখে পড়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি খাম দিচ্ছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুছবির উৎস,Washington Post via Getty
ছবির ক্যাপশান,৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে এক নৈশভোজে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি খাম দেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু
বারাক ওবামা
২০০৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যখন শান্তি পুরস্কার পান, তখন অন্যরা তো বটেই - অবাক হয়েছিলেন ওবামা নিজেও।

নিজের স্মৃতিকথায় তিনি লিখেছেন, নোবেল পাওয়ার কথা শুনে সবার প্রথমে তার মনে প্রশ্ন জেগেছে–– "কীসের জন্য?"

প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার মাত্র ৯ মাসের মাথায় তিনি এই পুরস্কার পান। আরও মজার বিষয় হলো, ওবামার দায়িত্ব নেওয়ার ঠিক ১২তম দিন ছিল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন।

বারাক ওবামা ছবির উৎস,AFP
ছবির ক্যাপশান,সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নোবেল পাওয়া নিয়েও ছিল বিতর্ক
ওবামার দুই মেয়াদে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ায় সঙ্গে যুদ্ধরত ছিল।

পরবর্তী সময়ে কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুশোচনা করেছে বলে জানান নোবেল ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক গেইর লুন্ডেস্টাড। ২০১৫ সালে বিবিসিকে একথা জানান তিনি।

ইয়াসির আরাফাত ছবির উৎস,Sygma via Getty Images
ছবির ক্যাপশান,১৯৯৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পান ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত
ইয়াসির আরাফাত
১৯৯৪ সালে ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিমন পেরেসকে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়।

তারা অসলো শান্তি চুক্তি নিয়ে কাজ করেছিলেন। আশা করা হয়েছিল এটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান করবে।

তবে ইয়াসির আরাফাতের অতীতের সশস্ত্র ভূমিকা নিয়ে ইসরায়েল ছাড়াও বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এমনকি নোবেল কমিটির মধ্যেও এ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।

এর প্রতিবাদে নোবেল কমিটির সদস্য নরওয়েজিয়ান রাজনীতিবিদ কারে ক্রিস্টিয়ানসেন পদত্যাগ করেন।

হেনরি আলফ্রেড কিসিঞ্জারছবির উৎস,Gamma-Rapho via Getty Images
ছবির ক্যাপশান,১৯৭৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ছিলেনৈ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি আলফ্রেড কিসিঞ্জার
হেনরি কিসিঞ্জার
১৯৭৩ সালে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।

তবে কম্বোডিয়ায় গোপন বোমা হামলা ও দক্ষিণ আমেরিকার স্বৈরশাসকদের সমর্থনের মতো ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি আর তাতে সরাসরি জড়িত থাকার কারণে তার নোবেল পাওয়ার বিষয়টি বিতর্কের মুখে পড়ে।

ভিয়েতনামে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য হেনরি কিসিঞ্জার ও উত্তর ভিয়েতনামের নেতা লে ডাক থো যৌথভাবে শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।

এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নোবেল কমিটির দুই সদস্য পদত্যাগ করেন। আর এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় পুরস্কারটিকে ব্যঙ্গ করে "নোবেল ওয়ার প্রাইজ" বলে স্যাটায়ার করেছিল নিউ ইয়র্ক টাইমস।

অসলো সিটি হলে বক্তব্য রাখছেন নোবেল বিজয়ী অং সান সু চিছবির উৎস,Getty Images
ছবির ক্যাপশান,১৯৯১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান দেশটির রাজনীতিবিদ অং সান সু চি
অং সান সু চি
মিয়ানমারের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলনের জন্য ১৯৯১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান দেশটির রাজনীতিবিদ অং সান সু চি।

তবে ২০ বছর পর সু চি ক্ষমতায় এলে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর চলমান গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে নীরব থাকার অভিযোগে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

অনেকে তার পুরস্কার বাতিলের দাবিও জানায়। যদিও নোবেল পুরস্কারের নিয়ম অনুযায়ী তা সম্ভব নয়।

অসলো সিটি টাউন হলে ২০১৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর পোজ দিচ্ছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী আবি আহমেদ আলীছবির উৎস,Getty Images
ছবির ক্যাপশান,ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলী নোবেল শান্তি পুরস্কার পান ২০১৯ সালে
আবি আহমেদ
প্রতিবেশী দেশ ইরিত্রিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ মেটানোর জন্য ২০১৯ সালে শান্তিতে নোবেল পান ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।

কিন্তু এর এক বছরের মধ্যেই টাইগ্রে অঞ্চলে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি, যা পরবর্তী সময়ে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।

এতে বহু মানুষ প্রাণ হারান। লাখ লাখ মানুষ খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য সেবা থেকে বঞ্চিত হন। স্বাভাবিকভাবেই আবি'র নোবেল পাওয়া নিয়ে দেখা দেয় বিতর্ক।

কেনিয়ার পরিবেশ আন্দোলন ও রাজনৈতিক কর্মী ওয়াঙ্গারি মাথাইছবির উৎস,Corbis via Getty
ছবির ক্যাপশান,কেনিয়ার পরিবেশ আন্দোলন ও রাজনৈতিক কর্মী ওয়াঙ্গারি মাথাই
ওয়াঙ্গারি মাথাই
প্রথম কোনো আফ্রিকান নারী হিসেবে ২০০৪ সালে শান্তিতে নোবেল পান কেনিয়ার পরিবেশবাদী আন্দোলন কর্মী ও জীববিজ্ঞানী ওয়াঙ্গারি মাথাই।

গ্রীন বেল্ট আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য এই জীববিজ্ঞানী পুরস্কারটি পান। দেশটিতে লক্ষ লক্ষ গাছ লাগানোর কৃতিত্ব এই আন্দোলনের।

তবে পরবর্তী সময়ে এইচআইভি-এইডসকে "জৈব অস্ত্র" বলে করা তার একটি মন্তব্য বিতর্ক সৃষ্টি করে।

মাথাই বলেছিলেন, কৃষ্ণাঙ্গদের ধ্বংস করতে এইচআইভি ভাইরাসকে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে।

তবে তার এই দাবির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে অনশন করছেন ভারতীয় রাষ্ট্রনায়ক মহাত্মা গান্ধী ছবির উৎস,Keystone/Getty Images
ছবির ক্যাপশান,ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে অনশন করছেন ভারতীয় রাষ্ট্রনায়ক মহাত্মা গান্ধী
বাদ পড়া উল্লেখযোগ্য নাম: মহাত্মা গান্ধী
তালিকা থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বাদ পড়ার জন্যেও বিখ্যাত নোবেল পুরস্কার।

শান্তি ক্যাটাগরিতে, সম্ভবত সবচেয়ে লক্ষণীয়ভাবে অনুপস্থিত মহাত্মা গান্ধী।

বিংশ শতাব্দীতে অহিংস আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠা এই ভারতীয় রাজনীতিবিদ পাঁচবার মনোনয়ন পেলেও কখনও নোবেল পুরস্কার পাননি।

২০০৬ সালে শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নির্বাচনকারী কমিটির প্রধান হিসেবে নিযুক্ত নরওয়েজিয়ান ইতিহাসবিদ গেয়ার লুন্ডেস্টাড বলেন, গান্ধীর অর্জনের স্বীকৃতি না দেওয়াটাই নোবেল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অপূর্ণতা।

শান্তিতে নোবেলের জন্য ট্রাম্পের নাম সুপারিশ নেতানিয়াহুর, অতীতে যে ছয় নোবেলজয়ীকে নিয়ে ছিল বিতর্ক

শান্তিতে নোবেলের জন্য ট্রাম্পের নাম সুপারিশ নেতানিয়াহুর, অতীতে যে ছয় নোবেলজয়ীকে নিয়ে ছিল বিতর্ক

11/07/2025

ভিটামিন ১২ অভাবে কি রোগ হয়?৷৷

জাতীয়রাজনীতিসারাদেশবিশ্বখেলাশিক্ষাস্বাস্থ্যমতামতধর্মআইন-আদালতঅপরাধবাণিজ্যলাইফস্টাইলবিনোদনপ্রযুক্তিরাজধানীশিল্প-সাহিত্যপ্রবাসচাকরিচট্টগ্রাম সারাবেলানারী-শিশুআইন ও পরামর্শসোশ্যাল মিডিয়াবিচিত্র ভিডিও অডিও ই-পেপার

বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন হলো ভিটামিন ‘বি-১২’। বিশেষ কিছু খাবার গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের শরীর এই ভিটামিন নিজে উৎপাদন করতে পারে। কিন্তু না জানার কারণে অনেকেই ভোগেন ভিটামিন ‘বি-১২’ এর অভাবে।

ভিটামিন ‘বি-১২’ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি কোবলামিন নামেও পরিচিত। পানিতে দ্রবণীয় এই ভিটামিন রক্ত গঠন এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শরীরে এর ঘাটতি দেখা দিলে প্রায়ই দুর্বল লাগার অনুভূতি হয়। সেই সঙ্গে নানা সমস্যা চারদিক থেকে ঘিরে ধরে।

ভিটামিন বি-১২ এর অভাবের কারণ :

ভিটামিন ‘বি-১২’-এর অভাব হওয়ার দুটি প্রধান কারণ হলো রক্তস্বল্পতা এবং খাদ্য অপর্যাপ্ত ভিটামিন ‘বি-১২’ থাকা। রক্তস্বল্পতার ক্ষেত্রে ইমিউন সিস্টেম আপনার পেটের স্বাস্থ্যকর কোষ ধ্বংস করে। তাই পর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমেও শরীর ভিটামিন শোষণ করতে পারে না।

দ্বিতীয় কারণটি নির্ভর করে আপনি খাদ্যের মাধ্যমে শরীরের ভিটামিন ‘বি-১২’ এর অভাব পূরণ করতে পারছেন কি না। এই ভিটামিন খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ না করলে শরীরে এর অভাব দেখা দেওয়া সাধারণ বিষয়।

ভিটামিন ‘বি-১২’ এর অভাবের লক্ষণ :

শরীরে ভিটামিন ‘বি-১২’ এর অভাবে অবসাদ, ক্লান্তি, বিরক্তি, বিভ্রান্তি, বিষণ্ণতা, মনোযোগের অভাব, ভুলে যাওয়া, মানসিক চাপ, হতাশা ইত্যাদি সমস্যা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে এই ভিটামিনের অভাবে রক্তস্বল্পতার সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রও সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। অনেক সময় ভিটামিন ‘বি-১২’ এর অভাবে দেখা দেওয়া উপসর্গ টের পান না অনেকেই। ফলে সমস্যা আরও বাড়তে থাকে।

ভিটামিন ‘বি-১২’ এর ঘাটতিতে করণীয় :

শরীরে ভিটামিন ‘বি-১২’ এর ঘাটতির লক্ষণ দেখা দিলেই খাবারের দিকে গুরুত্ব দিন। গবেষণায় দেখা গেছে, ৮০-৯০ শতাংশ নিরামিষাশীদের মধ্যে ভিটামিন ‘বি-১২’ এর অভাব দেখা দেয়। কারণ ভিটামিন ‘বি-১২’ উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্যে নেই। তাই ভিটামিন ‘বি-১২’ এর অভাব পূরণ করতে অবশ্যই খেতে হবে প্রাণিজ খাবার।

ভিটামিন ‘বি-১২’ এর উৎস :

প্রাণিজ খাবার মাংস, মাছ, দুধ, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার- দই, পনির, পায়েস, সন্দেশ, ছানা এসব খাবার থেকে ভিটামিন ‘বি-১২’ পাওয়া যায়।

তবে যারা নিরামিষ ভোজী তারা সবুজ শাক, রঙিন সবজি ও ফলমূল, বাদাম, রুটি, পাস্তা, নুডলস, সিরিয়াল ও সয়ামিল্ক, সয়াবিন থেকে ভিটামিন-১২ পেতে পারেন। তবে দ্রুত ঘাটতি দূর করতে আপনাকে অবশ্যই প্রাণিজ খাবার খেতে হবে এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা।

প্রতিদিন কতটুকু ভিটামিন ‘বি-১২’ খাওয়া উচিত?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিটামিন ‘বি-১২’ খাওয়ার পরিমাণ বয়সের ওপর নির্ভর করে।

১। ৪-৮ বছর ১.২ মাইক্রোগ্রাম।

২। ৯-১৩ বছর ১.৮ মাইক্রোগ্রাম।

৩। ১৪-১৮ বছর ২.৪ মাইক্রোগ্রাম।

৪। প্রাপ্তবয়স্ক ২.৪ মাইক্রোগ্রাম।

৫। অন্তঃসত্ত্বা হলে ২.৬ মাইক্রোগ্রাম।

৬। বুকের দুধ খাওয়ানো মায়ের ক্ষেত্রে ২.৮ মাইক্রোগ্রাম নিয়মিত ভিটামিন ‘বি-১২’ প্রয়োজন।

যা ভিটামিন ‘বি-১২’ সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে পূরণ করতে হবে।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

ভিটামিন ‘বি-১২’ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পরও যদি ভিটামিন ‘বি-১২’ এর অভাবের লক্ষণগুলো স্পষ্ট থাকে তবে সতর্ক হন। খেয়াল করুন ত্বক ফ্যাকাশে দেখাচ্ছে কিনা, প্রায়ই দুর্বল বোধ করেন কিনা, আপনার চলাফেরায় সমস্যা হচ্ছে কি না, শ্বাসকষ্ট অনুভব করছেন কি না। যদি এসব সমস্যা অনুভব করেন তবে ভিটামিন ‘বি-১২’ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পাশাপাশি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

চিকিৎসক ভিটামিন ‘বি-১২’ এর অভাব নির্ণয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তিনি ডায়েটে পরিবর্তন আনার পরামর্শ বা সেই অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট ও ওষুধ লিখে দেবেন। চিকিৎসকের এ নির্দেশনা মেনে চললেই দ্রুত শরীরে ভিটামিন ‘বি-১২’ এর ঘাটতি থেকে মুক্তি পাবেন।

কালবেলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল ফলো করুন

ভিটামিন ১২ভিটামিন বি ১২বি ১২ভিটামিনভিটামিনের অভাব

11/07/2025

বিশ্ব
মধ্যপ্রাচ্য

হাজার হাজার প্রবাসীকে ফেরত পাঠাল কুয়েত

হাজার হাজার অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে কুয়েত। গত দুই মাসে দেশটি থেকে ছয় হাজারের বেশি প্রবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ ‍জুলাই) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরের মে ও জুন মাসে প্রায় ৬,৩০০ প্রবাসীকে দেশ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কারাগার বিভাগাধীন ডিপোর্টেশন ও ডিটেনশন বিভাগের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুয়েত সরকার রেসিডেন্সি (বসবাসের অনুমতি) এবং শ্রম আইনের কঠোর বাস্তবায়নে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, যারা আইন লঙ্ঘন করছেন, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া জোরদার করা হচ্ছে।

দেশে ফেরত পাঠানোদের মধ্যে অনেকেই আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন বিভাগের হাতে আটক হয়েছিলেন। এরপর তাদের ডিপোর্টেশন বিভাগে পাঠানো হয়। এছাড়া অনেককে আদালতের আদেশ অনুযায়ী দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

ডিপোর্টেশন বিভাগ জানিয়েছে, প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার পাশাপাশি আটক থাকা ব্যক্তিদের মানবিক সহায়তা ও প্রয়োজনীয় পরিষেবাও দেওয়া হচ্ছে।

গালফ নিউজ জানিয়েছে, দেশব্যাপী নিরাপত্তা বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অভিযানে অবৈধভাবে বসবাসকারী ও কাজ করা প্রবাসীদের বিরুদ্ধে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। অভিযানে আটক ব্যক্তিদের যাচাইবাছাই করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সম্প্রতি রেসিডেন্সি ও শ্রমবাজার ব্যবস্থাপনায় কড়াকড়ি আরোপের অংশ হিসেবে এই অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। অভিবাসন আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

10/03/2025

Address

Dinajpur

Telephone

+8801719541994

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Various blog Items posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Various blog Items:

Share