07/10/2025
মণিরামপুরে এক সন্তানের জননী সাথে দুই সন্তানের জনকের পরকীয়া, ভেঙে গেলে সংসার
যশোরের মনিরামপুর এক ১২ বছরের কন্যা সন্তানের জননী। অসম্ভব সুন্দরী বয়স ৩৫ ছুঁই ছুঁই। উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়নে হরিদাসকাঠি গ্রামের কর্মকার পাড়ার স্বর্ণকারের স্ত্রী। স্বামী কর্মকারের রয়েছে জুয়েলার্সের ব্যবসা হাজিরহাট বাজারে। সংসারে তেমন ঝুটঝামেলা নেই ১৬ বছরের সুখের সংসার। কিন্তু এই সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। শুরুটা দেড়মাস আগের। ফেসবুকের মাধ্যমে ত্রিশ বছরের বিবাহিত রাকেশ হৃদয়কে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান।
পাশবর্তী উপজেলা অভয়নগরের ঘোড়াদাইড় গ্রামের প্রেমিক রাকেশ হৃদয়ের সাথে স্বাভাবিক নিয়মেই হাই-হ্যালো হতো দু’জনের। আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে ফোনে চ্যাট। স্বামী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সকালে যায় রাতে ফিরে এদিকে দিন নেই, রাত নেই চ্যাট চলতেই থাকে রাকেশের সাথে।
স্ত্রী আর রাকেশ হৃদয় জড়িয়ে যান গন্তব্যহীন এক অন্ধকার সম্পর্কে। প্রযুক্তির কল্যাণে এমন সম্পর্কে আজকাল জড়িয়ে পড়ছেন অনেকেই। বিশেষ করে ফেসবুক ও মোবাইলফোনে নারী-পুুরুষের সম্পর্ক প্রথমে বন্ধু হিসেবে গড়ে ওঠে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বন্ধুতা থেকে তা প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। অদেখা ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন বিবাহিতরা। এই সম্পর্কের প্রভাব এতো বেশি যে, ধর্ম-বর্ণ, বয়সের বাঁধ না মেনেই তা এগিয়ে যায়। পরকীয়া এই প্রেমের ফলে অহরহ ভাঙছে সংসার।
রাকেশের কাহিনী এখানেই থেমে থাকে না। এবার দূর্গোৎসব ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২ অক্টোবর শেষ হবার কথা থাকলেও হাজিরহাটে হয়েছে এর ব্যতিক্রম। ২ অক্টোবর প্রতীমা বিষর্জন না দিয়ে উৎসব চলতে থাকে। প্রতিদিন বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মন্ডপে যাত্রাপালাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন মন্ডপ কমিটি। ফলে হরিদাসকাটি এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের অধিকাংশ লোক ওই দূর্গোৎসবে যোগ দেন। অভিযোগ উঠেছে এ সুযোগে কমিটির সাধারন সম্পাদকের স্ত্রী গত শনিবার সন্ধ্যার পর তার প্রেমিক রাকেশকে খবর দিয়ে বাড়িতে আনেন। কিন্তু এ খবর পেয়ে যান ওই গৃহবধুর স্বামী। ফলে রাত ১২ টার দিকে ঘরের মধ্যে স্ত্রীর সাথে তার প্রেমিক রাকেশকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে স্বামী দরজায় তালা মেরে দেন।
পরদিন রোববার সকালে স্থানীয় গন্যমান্যদের নিয়ে স্বামী তালা খুলে কতিথ প্রেমিক রাকেশসহ তার স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে বেঁধে মারপিট করেন। এ সময় বাড়িতে এলাকার উৎস্যুক মানুষের ভীড় হয়। এক পর্যায়ে হাজিরহাট পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিকাশ রায়, হরিদাসকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সনম্পাদক নবিরুজ্জমান আজাদসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে সালিশীসভার আয়োজন করা হয়। পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিকাশ রায় বলেন, সভায় গৃহবধু তার স্বামীর সাথে সংসার না করার কথা জানিয়ে প্রেমিক রাকেশেকে বিয়ে করতে চান। এ সময় স্বামী বলেন,আমি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। আমি কলঙ্কিনী এ স্ত্রীর সাথে আর সংসার করতে চাই না। ফলে রাকেশ এবং ওই গৃহবধুর অভিভাবকদের(পিতা এবং ভাই) খবর দেওয়া হয়। ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক নবিরুজ্জামান আজাদ বলেন, বিকেলের দিকে গৃহবধু এবং তার স্বামী ও প্রেমিক রাকেশের কাছ থেকে একটি সম্মতিপত্রে(ষ্ট্যাম্প) স্বাক্ষর নিয়ে তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হয়। মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।