Mr rtenr

Mr rtenr Hello friends! � I am a video creator and social media enthusiast. Here you will find all kinds of fun videos, information, and creative content.

Stay tuned, and contact me! � ”

04/05/2025

আমাদের গ্রাম বাংলার আবহমান চিত্র

30/04/2025

29/04/2025

weather💘💦

18/04/2025

30/08/2024

# # # **অনুরাগ ও মিথিলার গল্প**

অনুরাগ ও মিথিলা, কলেজ জীবনের প্রথম দিকে পরিচিত হয়েছিল। তাদের প্রথম দেখাতেই চোখে চোখ পড়েছিল, আর সেই থেকে এক অদৃশ্য বন্ধনে তারা বাঁধা পড়ে গিয়েছিল। দিন গড়াতেই তারা বুঝতে পারল, একে অপরের প্রতি তাদের গভীর আকর্ষণ শুধু বন্ধুত্বের সীমা অতিক্রম করেছে।

কলেজের প্রতিটি মুহূর্তে তারা একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করত। একসঙ্গে সময় কাটানো, ছোট ছোট উপহার বিনিময়, এবং লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করা—তাদের ভালোবাসা প্রতিদিন আরও দৃঢ় হয়ে উঠছিল। তারা স্বপ্ন দেখত একসাথে সুখী জীবনের, যেখানে শুধুই ভালোবাসা থাকবে।

কিন্তু বাস্তবতা ছিল কঠিন। মিথিলার পরিবার ছিল অভিজাত, এবং তাদের অনেক আশা ছিল মিথিলাকে নিয়ে। অন্যদিকে, অনুরাগ ছিল মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। তার পরিবারে অর্থনৈতিক সমস্যা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। অনুরাগ জানত, এই প্রেমের পথটি সহজ হবে না।

এদিকে, মিথিলার পরিবার তার জন্য একটি ধনী পাত্র খুঁজছিল। তারা জানত না মিথিলার অনুরাগের সাথে প্রেম চলছে। একদিন মিথিলার বাবা-মা তাকে জানাল, তারা তার জন্য একটি পাত্র ঠিক করেছে, আর এখন সময় হয়েছে বিয়ের প্রস্তুতি নেয়ার।

মিথিলা বাধ্য হয়ে অনুরাগকে জানাল তাদের বিচ্ছেদের কথা। মিথিলা তার বাবা-মাকে ছেড়ে যেতে পারল না, কারণ তার বাবার ব্যবসা তখন ক্ষতির মধ্যে পড়েছিল, এবং তারা মিথিলার বিয়েতে বড় কিছু আশা করছিল।

অনুরাগ আর মিথিলা দুজনেই হৃদয়ে কষ্ট নিয়ে বিচ্ছেদ মেনে নিল। তাদের প্রেম ছিল গভীর, কিন্তু পরিবারের প্রতি দায়িত্ব ও অর্থনৈতিক চাপে তারা দূরে সরে গেল।

কয়েক বছর কেটে গেল। মিথিলা বিয়ে করল না, যদিও তার পরিবারের চাপ ছিল প্রবল। অনুরাগও নিজের পরিবারের দায়িত্ব সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তারা একে অপরের থেকে দূরে চলে গেল, কিন্তু হৃদয়ের গভীরে ভালোবাসা রয়ে গেল।

অপ্রত্যাশিত একদিন, তারা আবার দেখা করল। একটি বন্ধুর বিয়েতে, হঠাৎ করেই তাদের মুখোমুখি হতে হলো। প্রথমে কথা বলতে তারা দ্বিধা করছিল, কিন্তু পুরোনো স্মৃতি ও ভালোবাসা জেগে উঠল। তারা আবার কথা বলতে শুরু করল, একে অপরের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলোর কথা মনে করল, এবং বুঝতে পারল যে তাদের ভালোবাসা কখনো শেষ হয়নি।

এইবার, অনুরাগ নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছিল। তিনি একটি সফল ব্যবসায়ী হয়েছিলেন, এবং অর্থনৈতিক সমস্যাগুলি তার জীবনে আর ছিল না। তারা দুজনেই জানত, এবার তারা নিজেদের ভালোবাসার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে।

শেষ পর্যন্ত, অনুরাগ ও মিথিলা পরিবারের সম্মতি নিয়ে বিয়ে করল। তাদের জীবনের সেই বিচ্ছেদপূর্ণ সময়কে পেছনে ফেলে, তারা একসাথে সুখী জীবন কাটানোর প্রতিজ্ঞা করল। তাদের ভালোবাসা, যা সময়ের পরীক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিল, অবশেষে পূর্ণতা পেল।

**শেষ।**

29/08/2024

**নাম: দিশাহীনতার পথে**

রাতের আকাশে ঝিলিক মারছে লাল আর নীল আলো, আর তার মধ্যে দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে বেপরোয়া গাড়ি। এটি কোনো মুভির দৃশ্য নয়, বরং আমাদের শহরের অন্ধকারময় এক বাস্তবতা। আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার মাঝেই যেন আমরা আমাদের জীবনের মূল্য হারিয়ে ফেলছি।

রাফি, একসময় স্বপ্নবাজ এক তরুণ। ছোটবেলা থেকেই সে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতো। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই স্বপ্নগুলো ফেসবুকের রঙিন ছবির মাঝে কোথাও হারিয়ে গেলো। রাতের পর রাত জেগে রাফি এখন ইনস্টাগ্রামের ভুয়া জীবনের পেছনে সময় কাটায়। বন্ধুদের সাথে পার্টি, নেশার আসর, আর নতুন নতুন গ্যাজেট কেনার প্রতিযোগিতা—এতটাই মগ্ন হয়ে পড়েছে যে নিজেই নিজের জীবনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে।

অন্যদিকে রয়েছে তৃষ্ণা। পড়াশোনায় মেধাবী তৃষ্ণা সবসময় চেয়েছিল কিছু করে দেখাতে। কিন্তু সমাজের অপ্রয়োজনীয় চাহিদা আর প্রভাব তাকে এমন এক পথের দিকে নিয়ে যায়, যেখানে নিজের অস্তিত্বই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। সেলফি তুলতে গিয়ে সে যেন নিজের সৌন্দর্যের উপর এতটাই আশ্রিত হয়ে পড়েছে যে, নিজের মনের সৌন্দর্যটাই ভুলে গেছে। অনলাইন পোস্টের লাইক আর কমেন্টের পেছনে সে এতটাই মত্ত হয়ে পড়েছে যে, নিজের প্রকৃত বন্ধুবান্ধবদের সাথে সম্পর্কই নষ্ট করে ফেলেছে।

রাফি আর তৃষ্ণার মতো অসংখ্য তরুণ-তরুণী নিজেদের ভুল পথে পরিচালিত করছে। তাদের সমাজের চাপে পিষ্ট হয়ে পড়ছে, ভুল উদাহরণ আর ভুল মূল্যবোধের দিকে ছুটছে। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে আমরা নিজেদের জীবনের শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছি। বাস্তবতা থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা নেশার আসর আর ভার্চুয়াল দুনিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ছি। এর ফলে, আমাদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

এই দিশাহীনতার পথে শুধু রাফি আর তৃষ্ণাই নয়, বরং পুরো একটি প্রজন্ম হারিয়ে যাচ্ছে। জীবনকে সহজ করার জন্য আমরা যে প্রযুক্তির শরণাপন্ন হয়েছি, তা এখন আমাদেরকে নিজের জীবনের দিক হারাতে সাহায্য করছে। সামাজিক মাধ্যমে নিজেদেরকে ‘পারফেক্ট’ হিসেবে উপস্থাপন করার চাপে আমরা নিজেদের প্রকৃত সত্তা হারিয়ে ফেলছি।

তৃষ্ণা আর রাফির গল্প এখানেই শেষ নয়। একদিন, এক গভীর রাতে, তৃষ্ণা নিজের বিছানায় বসে ইনস্টাগ্রামের একটি পোস্টে দৃষ্টি আটকে দেয়। একজন তরুণী, অবসাদের সাথে লড়াই করে জয়ী হয়েছে এবং তার জীবনের গল্প শেয়ার করেছে। এই পোস্টটি তৃষ্ণার চোখে জল এনে দেয়। সে উপলব্ধি করে যে, তার জীবন এই নয়। সে বুঝতে পারে যে, নিজেকে ভালোবাসা এবং নিজের জীবনের দিশা খুঁজে পাওয়া জরুরি।

রাফিও একই পথে। একদিন, এক বন্ধুর কাছ থেকে মেসেজ পায় যে, তার এক সময়ের কাছের বন্ধু এখন ড্রাগের কারণে নিজের জীবন ধ্বংস করে ফেলেছে। সেই মুহূর্তে রাফি বুঝতে পারে যে, এই জীবন নয় যা সে চেয়েছিল। সে সিদ্ধান্ত নেয়, তার নিজের স্বপ্নগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করবে, নিজের লক্ষ্যগুলোকে আবার খুঁজে বের করবে।

তৃষ্ণা আর রাফির গল্প আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। আমাদের উচিত নিজেদের জীবনের নিয়ন্ত্রণকে সামাজিক মাধ্যমে বা অন্য কারোর হাতে না তুলে দিয়ে, নিজের হাতেই রাখা। জীবনকে নিজের মতো করে গড়ে তোলার জন্য নিজেদের প্রতি ভালোবাসা, সম্মান এবং দায়িত্ববোধ জরুরি। আমাদের জীবনের দিশা আমাদের নিজেদের খুঁজে নিতে হবে, নয়তো আমরা হারিয়ে যাবো এই দিশাহীনতার পথে।

Address

Dinajpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mr rtenr posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mr rtenr:

Share

Category