21/07/2025
'পোড়া মুখ,শরীরে আগুন নিয়ে ওরা এসে বলছিলো আপু বাঁচাও’
'হুট করে বিকট দুটো বিস্ফোরণের শব্দ হলো। আমি পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখলাম,দাবানলের মতো আগুন জ্বলছে স্কুল সেকশনের ভবনে৷ আর মানুষ যে যেদিকে পারছিলো সেদিকে দৌড়াচ্ছিলো।সবাই যার যার মতো দৌড়ে বাইরের দিকে যাচ্ছিলো।তখন আমি সাইডের দিকে দাঁড়িয়ে ভেতরে কী হচ্ছে সেটা জানার চেষ্টা করছিলাম। তখনো অবস্থার ভয়াবহতা তীব্র আকার ধারণ করেনি। আমি দেখতেছি,আহত বা দগ্ধরা ধিরে ধিরে হেটে আসছে৷ কারো মুখ পুড়ে গেছে,কারো শরীর পুড়ে গেছে,মাথার চুল পুড়ে গেছে। অনেকের শরীরে জামা-কাপড় জ্বলছে সেই অবস্থায় বেড়িয়ে আসছে আর বলছে,আপু আমাকে বাঁচাও। ওগুলো দেখার মতো নয়।’
জাতীয় বার্ণ ইন্সটিটিউটের ইমার্জেন্সির সামনে দাঁড়িয়ে মাইলস্টোন স্কুল এ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান দূর্ঘটনার শুরুর দিকের অবস্থা এভাবেই বর্ণনা করছিলেন,কলেজ শাখার একাদশ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ফাইরুজ আশা৷ নিজের হাতে তিনজনকে উদ্ধার করে বার্ণ ইন্সটিউটে নিয়ে আসেন এই শিক্ষার্থী৷ তাদের মধ্যে একজন সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাহিয়া। তার শ্বাসনালী পুরে গেছে বলেন চিকিৎসক জানিয়েছে। মাহিয়ার ব্যাপারে বেশ গুরুত্ব দিতে দেখা গেছে আশাকে। আশা বলেন,'আমি উত্তরা আধুনিক মেডিকেলে চার-থেকে পাচজনকে নিয়ে গেছি। এই মেডিকেলে(বার্ণ ইন্সটিটিউট) তিনজনকে নিয়ে এসেছি।’
ছবিতে শুরুর দিকের প্রত্যক্ষদর্শী, ফাইরুজ আশা।