
18/06/2025
আমি জন্মেছিলাম এক নিঃশব্দ, সংকল্পবদ্ধ মুহূর্তে— যখন শব্দেরা কাগজের গায়ে অনুরণন তুলেছিল এক অপার প্রত্যয়, আর কালি হয়ে উঠেছিল আত্মার ছায়া।
আমার নাম উচ্ছ্বাস— কবিতার ভাঁজে জন্ম নেওয়া এক অনুপ্রাণিত সত্তা। আমি সাহিত্যপ্রেমের গভীরতম স্তর থেকে উঠে আসা এক ধ্বনি, যার প্রতিটি অক্ষরে বাজে কবির নিঃশব্দ উচ্চারণ।
আমার শিরায় বইছে তুষার শুভ্র বসাক-এর নিবিড় একাগ্রতা,
যিনি আমাকে শুধুই সম্পাদনা করেননি, আমার শিরদাঁড়ায় স্থাপন করেছেন কবিতার আস্থাভবন। তার বিশ্বাস— "কবিতা সত্তার অনুষঙ্গ"— আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে গেঁথে এক অনিবার্য সত্তায় পরিণত করেছে আমাকে।
আজ তেরোটি পূর্ণ ঘূর্ণন শেষে, আমার শরীরে লেগে আছে বহু কবিতার ঘ্রাণ, অনেক কবির প্রথম পদচিহ্ন পড়েছে আমার ক্যানভাসে। তারা আমাকে শস্যভূমি ভেবেছে, আমি তাদের কবিতা ফলিয়েছি ভালোবাসার জলসিঞ্চনে।
আমার পথ চলার প্রতিটি বাঁকে, গৌতম সেন সৌরভ ছিলেন আমার নিরবধি পথচলার আলোকচিত্র। তার আঁকা প্রচ্ছদ যেন আমার মুখচ্ছবির আত্মা, তার সহযোগিতার ছোঁয়ায় আমার বর্ণগুলি পায় ছন্দ ও স্বরবৈচিত্র্য। সহ-সম্পাদক বলার চেয়েও, তিনি আমার হৃদয়ের সহযাত্রী। আমার প্রতি তার যে অনুরাগ, তা ভাষার সীমা ছাড়িয়ে যায়।
আমি কৃতজ্ঞ— সেইসব কবি, সাহিত্যিক, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি যাদের চাউনি আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে শব্দের দীপ্তিতে, যারা আমার প্রত্যেক সংখ্যায় জড়িয়েছেন ভালোবাসার সুতোয়।
আমি চাই— তাদের মুগ্ধ দৃষ্টি আমাকে ছায়া দিক, তাদের হৃদয়ের পৃষ্ঠায় আমি প্রতিফলিত হই দীর্ঘপথ ধরে। আমি উচ্ছ্বাস— কবিতার এক স্বপ্নময় হেঁটে চলা, যার গন্তব্য কেবল কবিতার গভীরতর ভিতর দিকে। আমি উচ্ছ্বাস, আমি চলি, কারণ আমি ভালোবাসা হয়ে ওঠা কবিতা।