23/11/2025
ডোমারে বন উজাড়ের মহাউৎসব, জড়িত পুলিশ সহ বনদস্যুরা
⤵️
নীলফামারীর ডোমার বন বিভাগের অধীনস্থ গোসাইগঞ্জ বন বিটে গাছ নিধনে বনদস্যুদের দৌরাত্ম দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেড়শ একর বনে উজাড় হয়েছে বিশাল বড় এলাকা। মামলা হলেও প্রসাশনের আসামী ধরার ক্ষেত্রে নেই কোন তৎপরতা।
অপরদিকে প্রশাসন ও বন প্রহরীর সামনেই চলছে বন উজারের মহাউৎসব। বন বিভাগের গাছ নিধনে স্থানীয় প্রশাসন সহ এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ভিডিও বাত্রার মাধ্যমে গোসাইগঞ্জ এলাকার আমিনুল ইসলামের পুত্র ভ্যান চালক রুবেল ইসলাম বলেন, গত ১০ই অক্টোবর রাতে স্থানীয় একাধিক মামলার আসামি বনদস্যু তোফি ও তোফা উভয়ের পিতা- আব্দুস সুবাহান , নিধনের গাছ পাচার করে নিয়ে যেতে বলে। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন ভয়-ভিতি প্রদর্শন করে এবং আমাকে বলে পুলিশ প্রসাশন থেকে শুরু করে সকলকে টাকা দিয়ে মেনেজ করা হয়েছে তোর কোন সমস্যা হবে না।
আমি সহ আরো দুইজন ভ্যানচালক গাছ উঠালে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে পুলিশ, পলাশ ও আহসান হাবীব ঘটনাস্থলে আসে তারা ভ্যান তিনটি উদ্ধার করে আবুল মেম্বারের চৌরাস্তায় দুটি ভ্যানের গাছ ফেলে দেয় এবং আমার ভ্যানটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
অতঃপর আমাকে বেধড়ক মারপিঠ করে এবং জেলে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে। পুলিশ বলে, টাকা দিলে ভ্যান সহ তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
আমি আমার ভাই জুয়েলকে মুঠোফোনের মাধ্যমে জানালে স্থানীয় প্রভাবশালী গোসাইগঞ্জ এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের পুত্র আনিছারের মাধ্যমে ৫৩ হাজার টাকা পুলিশকে দিলে পুলিশ আমাকে ছেড়ে দেয়।
রুবেল ভিডিও বার্তায় আরো বলেন, রাতারাতি সুদের উপর পুলিশের দাবীকৃত টাকা পরিশোধ করি। পরবর্তীতে পুলিশ পলাশ ও আহসান হাবিব নিয়মিত গোসাইগঞ্জ বনবিভাগে আসে টাকা নিয়ে স্থানীয়দের গাছ কাটার হুকুম দেয় এবং আনিছার সহ সকলকে বলে রুবেল ৫৩ হাজার টাকার মধ্যে কিছু টাকা যেন সকলে তুলে দেয়।
এভাবেই প্রশাসনের সহযোগিতায় চলছে গাছ ও বন নিধন। রুবেল জানায় এ গাছ কাটার সাথে জড়িত রয়েছে- তোফি, তোফা,বাচ্চাউ, পারভেজ, রাকিব,মিজাউ, সাদ্দাম সহ আরও অনেক সকলের বাড়ি গোসাইগঞ্জ বনের পাশেই।
এই বিষয়ে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল কাদের সাথে যোগাযোগ করে পুলিশের টাকা নেওয়ার বিষয়টি বললে তিনি জানান, আমি আগেও শুনেছি। শুনার পর আমি হাবিব ও পলাশকে টাকা লেনদেনের বিষয়টি বললে, তারা পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে। ফলে আমার কিছুই করার নেই তবে ভিকটিম অভিযোগ করলে আমি যথাযথ ব্যবস্থা নিব।
তবে পুলিশ টাকা নিয়ে বন উজার করার সহযোগিতা নিয়ে এলাকায় চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। এলাকাবাসীর দাবি দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইন মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে বনটি রক্ষা করা হোক।