MD JAKER 077

MD JAKER 077 Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from MD JAKER 077, Digital creator, Noakhali, Eklaspur.

প্রেমের গল্প সবসময়ই দারুণ হয়, বিশেষ করে যদি সেটা বাস্তব জীবনের হয়! এমন একটা গল্প শুনবে?ধরা যাক, রাহুল আর রিয়ার কথা। তাদে...
02/10/2025

প্রেমের গল্প সবসময়ই দারুণ হয়, বিশেষ করে যদি সেটা বাস্তব জীবনের হয়! এমন একটা গল্প শুনবে?

ধরা যাক, রাহুল আর রিয়ার কথা। তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল একটা কফি শপে। রাহুল তার ল্যাপটপে কাজ করছিল, আর রিয়া বই পড়ছিল। হঠাৎ রিয়ার কফির কাপ হাত থেকে পড়ে যায়, আর সেটা রাহুলের ল্যাপটপের ওপর গিয়ে পড়ে।
প্রথম দেখায় এটা ছিল একটা বিশ্রী মুহূর্ত, কিন্তু এই ঘটনার পর তাদের মধ্যে কথা শুরু হয়। রাহুল প্রথমে একটু বিরক্ত হলেও, রিয়ার সরলতা আর সুন্দর হাসিতে মুগ্ধ হয়ে যায়। তারা কফি শপের বিল ভাগাভাগি করে দেয়, আর একে অপরের ফোন নম্বর নিয়ে নেয়।

প্রথম কয়েকদিন তাদের মধ্যে শুধু টেক্সট চালাচালি হয়, তারপর তারা আবার দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এবার তারা যায় একটা পার্কে। সেখানে তারা একে অপরের সাথে তাদের স্বপ্ন, ভয়, আর পছন্দের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলে। রাহুল জানতে পারে রিয়া একজন শিক্ষিকা হতে চায়, আর রিয়া জানতে পারে রাহুল একজন ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার হওয়ার স্বপ্ন দেখে।

তাদের মধ্যে ভালোবাসার জন্ম হয় খুব স্বাভাবিকভাবে। তাদের সম্পর্কটা ছিল বন্ধুত্ব আর বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে। তারা একে অপরের সব সিদ্ধান্তে পাশে থাকত, আর খারাপ সময়ে একে অপরের শক্তি হয়ে উঠত।

একবার রিয়ার পরিবারে খুব বড় একটা সমস্যা হয়েছিল। রিয়া তখন খুব ভেঙে পড়েছিল। রাহুল তখন তার পাশে ছিল ছায়ার মতো। সে রিয়াকে সাহস জোগায়, আর তার সাথে সব সমস্যার মোকাবিলা করে। এই সময়টা তাদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তোলে।

অনেক বাধা পেরিয়ে, অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে রাহুল আর রিয়া অবশেষে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের বিয়েটা ছিল খুব সাধারণ, কিন্তু ভালোবাসায় ভরা। আজ তারা সুখে সংসার করছে, আর তাদের ভালোবাসার গল্পটা তাদের পরিচিত সবার কাছে একটা অনুপ্রেরণা।

এই গল্পটা প্রমাণ করে যে ভালোবাসা শুধু সিনেমার পর্দায় নয়, বাস্তব জীবনেও ঠিক ততটাই সুন্দর আর শক্তিশালী হতে পারে। কী ভাবছ তুমি এই গল্পটা শুনে?

গরিব পরিবার একটা গল্পশহরের এক প্রান্তে, নোনা ধরা ইটের দেয়ালের এক ঝুপড়িতে বাস করতো রহিমা বেগম ও তার দুই সন্তান, আট বছরের ...
28/09/2025

গরিব পরিবার একটা গল্প

শহরের এক প্রান্তে, নোনা ধরা ইটের দেয়ালের এক ঝুপড়িতে বাস করতো রহিমা বেগম ও তার দুই সন্তান, আট বছরের সলিম আর ছয় বছরের ফাতেমা। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই তাদের জীবনে নেমে এসেছিল ঘোর অন্ধকার। রহিমা অন্যের বাড়িতে কাজ করে যা রোজগার করতেন, তাতে দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগাড় করাই কঠিন ছিল।

সলিমের স্বপ্ন ছিল স্কুলে যাওয়ার, বন্ধুদের সাথে হৈ-হুল্লোড় করার। কিন্তু বই-খাতার খরচ জোগানোর সামর্থ্য তাদের ছিল না। মায়ের ছেঁড়া শাড়ির আঁচল ধরে সে প্রায়ই ফাতেমাকে গল্প শোনাতো কীভাবে একদিন সে বড় হয়ে অনেক টাকা রোজগার করবে আর তাদের সব দুঃখ দূর করে দেবে। ফাতেমা নিষ্পাপ চোখে ভাইয়ের কথা শুনতো আর স্বপ্ন দেখতো এক সুন্দর ভবিষ্যতের।

একদিন সলিম স্কুল ফেরত একদল ছেলেকে খেলতে দেখছিল। হঠাৎ একটি ফুটবল এসে পড়লো তার পায়ে। সে আলতো করে কিক করে বলটি ফিরিয়ে দিল। ফুটবল দলের কোচ দৃশ্যটি দেখে মুগ্ধ হলেন। তিনি সলিমকে জিজ্ঞাসা করলেন, "তুমি ফুটবল খেলতে চাও?" সলিমের চোখে তখন এক নতুন স্বপ্ন ঝলসে উঠলো।

রহিমা প্রথমে রাজি ছিলেন না, কিন্তু কোচের অনুরোধ আর সলিমের প্রবল ইচ্ছার কাছে হার মানলেন। সলিম কঠোর অনুশীলন শুরু করলো। তার পায়ে যেন যাদু ছিল। অল্প দিনেই সে দলের সেরা খেলোয়াড় হয়ে উঠলো। তাদের দারিদ্র্যের কষাঘাতের মধ্যেও সলিমের এই প্রতিভা ছিল এক ঝলক আলোর দিশা।

একদিন বড় এক টুর্নামেন্টে সলিম অসাধারণ খেলে দলকে জিতিয়ে দিল। চারিদিকে তার নাম ছড়িয়ে পড়লো। খেলার পুরস্কার হিসেবে তারা বেশ কিছু টাকা পেল। সেই টাকায় প্রথমে সলিম তার মাকে ভালো খাবার কিনে দিল আর ফাতেমার জন্য নতুন জামা। এরপর সে ভর্তি হলো স্কুলে, সাথে ফাতেমাও।

তাদের জীবনে নতুন সূর্য উঠলো। সলিমের ফুটবল খেলা তাদের পরিবারে নিয়ে এলো স্বচ্ছলতা আর হাসি। রহিমা বেগম অশ্রুসিক্ত নয়নে সন্তানদের দিকে তাকিয়ে ভাবলেন, দুঃখের মেঘ কেটে গিয়ে সুখের আলোয় ভরে উঠেছে তাদের ছোট্ট কুঁড়েঘর।

সমাজ এবং ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে একটি সংবেদনশীল গল্প এটি।রিনা, একটি হাসিখুশি এবং প্রাণবন্ত মেয়ে, ছোটবেলা থেকেই তার ওজনে...
28/09/2025

সমাজ এবং ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে একটি সংবেদনশীল গল্প এটি।

রিনা, একটি হাসিখুশি এবং প্রাণবন্ত মেয়ে, ছোটবেলা থেকেই তার ওজনের জন্য অনেক কথা শুনেছে। "মোটা", "হাতি", "ভুঁড়ি" – এই শব্দগুলো তার জীবনের নিত্যসঙ্গী ছিল। তবুও সে স্বপ্ন দেখত, ভালোবাসত, এবং নিজের মতো করে বাঁচতে চাইত।

কলেজে পড়ার সময় রিনার পরিচয় হয় অভ্রর সাথে। অভ্র ছিল সুদর্শন, স্মার্ট এবং সকলের প্রিয়। রিনা অবাক হয়েছিল যখন অভ্র তার প্রতি আগ্রহ দেখায়। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রিনা ভেবেছিল, অবশেষে সে এমন একজনকে পেয়েছে যে তাকে তার শরীরের ওজনের ঊর্ধ্বে ভালোবাসে। অভ্রর ভালোবাসায় রিনা নিজেকে আরও আত্মবিশ্বাসী মনে করতে লাগল।

কিছুদিন পর তাদের বিয়ে হয়। প্রথম দিকে সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই অভ্রর আচরণে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। ছোট ছোট বিষয়ে সে রিনাকে দোষারোপ করত, বিশেষ করে তার ওজন নিয়ে। "আর কত মোটা হবে তুমি?", "তোমাকে নিয়ে বাইরে যেতে লজ্জা লাগে", "একটু শরীরচর্চা করতে পারো না?" – এই কথাগুলো রিনার হৃদয়ে ছুরির মতো বিঁধত।

রিনা চেষ্টা করত নিজেকে পরিবর্তন করার। সে ডায়েট করত, ব্যায়াম করত, কিন্তু তার শরীরের গঠন সহজে বদলানো সম্ভব ছিল না। অভ্রর কাছে তার এই চেষ্টাগুলো যথেষ্ট মনে হত না। বরং সে রিনার প্রতি আরও কঠোর হয়ে উঠত। একসময় অভ্র রিনার সাথে শারীরিক দূরত্ব তৈরি করে ফেলল। রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি করত, রিনার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিল।

রিনা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। সে বুঝতে পারছিল না তার কী করা উচিত। একদিন অভ্র সরাসরি রিনাকে বলল, "আমি আর তোমার সাথে থাকতে পারছি না। আমি এমন কাউকে চাই যে দেখতে সুন্দর, স্লিম। তোমাকে নিয়ে আমার আর কোনো ফ্যান্টাসি নেই।" এই কথাগুলো রিনার সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিল।

রিনা অনেক অনুরোধ করেছিল, কেঁদেছিল, কিন্তু অভ্র তার সিদ্ধান্তে অটল ছিল। অবশেষে, রিনার চোখের জলে তাদের সম্পর্ক শেষ হল। রিনা ডিভোর্সের কাগজে সই করল।

ডিভোর্সের পর রিনা আরও একা হয়ে পড়েছিল। সমাজের চোখে সে ছিল 'ডিভোর্সি' এবং 'মোটা'। কিন্তু রিনা এবার সিদ্ধান্ত নিল, সে আর কারও জন্য নিজেকে পরিবর্তন করবে না। সে নিজেকে ভালোবাসতে শিখবে। সে নিজের জন্য বাঁচবে।

রিনা তার পছন্দের কাজগুলো করা শুরু করল। সে রান্না করতে ভালোবাসত, তাই সে একটি ছোট ক্যাফে খুলল। তার হাতের রান্না খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠল। রিনা তার ক্যাফেতে নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হল, নতুন বন্ধু তৈরি করল। সে হাসতে শিখল, নিজেকে ভালোবাসতে শিখল।

একদিন অভ্রর এক বন্ধু রিনার ক্যাফেতে আসে। সে রিনাকে দেখে অবাক হয়ে যায়। রিনা এখন আরও আত্মবিশ্বাসী, আরও সুন্দর। তার চোখে আর আগের মতো কষ্ট নেই, বরং আছে জীবনের প্রতি এক নতুন উদ্দীপনা। বন্ধুটি অভ্রকে রিনার কথা জানায়। অভ্র রিনার ক্যাফেতে আসে। সে রিনাকে দেখে অনুতপ্ত হয়। সে বুঝতে পারে, সে কী মূল্যবান রত্ন হারিয়েছে।

কিন্তু রিনা তখন আর সেই আগের রিনা ছিল না। সে অভ্রকে দেখে হাসে এবং বলে, "আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। কিন্তু আমি এখন আমার জীবন নিয়ে খুশি। তুমি তোমার পথে যাও, আমি আমার পথে যাই।"

রিনা বুঝতে পেরেছিল, সত্যিকারের সৌন্দর্য শরীরের গঠনে নয়, বরং মনে এবং আত্মবিশ্বাসে। সে তার নিজের মূল্য বুঝতে শিখেছিল। এই ডিভোর্স তাকে নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছিল, নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছিল। রিনা তার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছিল, যেখানে সে ছিল নিজের গল্পের নায়িকা।

সত্যি কারের ভালোবাসা গল্প 💝 রুমা আর জয়ের গল্পটা শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। দুজনেই একই বিভাগে পড়তো, কিন্তু প্রথমদিকে...
27/09/2025

সত্যি কারের ভালোবাসা গল্প 💝
রুমা আর জয়ের গল্পটা শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। দুজনেই একই বিভাগে পড়তো, কিন্তু প্রথমদিকে তাদের মধ্যে তেমন কোনো যোগাযোগ ছিল না। রুমা ছিল শান্ত স্বভাবের, পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো, আর জয় ছিল একটু মিশুক, বন্ধুবান্ধব নিয়ে আড্ডা দিতে ভালোবাসতো। একদিন ডিপার্টমেন্টের একটি প্রজেক্টে তাদের দুজনকে একসাথে কাজ করতে হলো। প্রথমদিকে কাজ করতে গিয়ে একটু জড়তা থাকলেও, ধীরে ধীরে তারা একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করতে শুরু করলো। প্রজেক্টের কাজ শেষ হওয়ার পরও তাদের বন্ধুত্ব অটুট রইলো। তারা একসাথে কফি শপে আড্ডা দিতো, বই নিয়ে আলোচনা করতো, আর একে অপরের স্বপ্ন আর ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতো। এইভাবেই কখন যে তাদের বন্ধুত্ব ভালোবাসায় পরিণত হয়েছে, তা তারা নিজেরাও বুঝতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ হওয়ার পর রুমা একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি পেল, আর জয় নিজের ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল। নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে দুজনেরই কষ্ট হচ্ছিল, কিন্তু তারা একে অপরের পাশে ছিল সবসময়। জয়ের ব্যবসা শুরু করার সময় অনেক আর্থিক সংকটের মুখে পড়তে হয়েছিল, রুমা তখন নিজের সব সঞ্চয় দিয়ে জয়কে সাহায্য করেছিল। জয়ের খারাপ সময়ে রুমা ছিল তার সবচেয়ে বড় ভরসা। একসময় জয়ের ব্যবসা সফল হলো, আর রুমাও তার কর্মক্ষেত্রে ভালো উন্নতি করলো। দীর্ঘ আট বছরের ভালোবাসার পর তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিল। তাদের বিয়ের দিনটা ছিল খুবই সাদামাটা, কিন্তু ভালোবাসায় ভরা। তারা একে অপরের হাত ধরে নতুন জীবন শুরু করলো। তাদের জীবনেও ছোটখাটো সমস্যা এসেছে, মতের অমিল হয়েছে, কিন্তু তারা সবসময় একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল। তাদের ভালোবাসাটা শুধু মুখের কথা নয়, এটা ছিল একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, ভরসা আর সম্মান। আজও তারা একসাথে পথ চলছে, একে অপরের ভালো বন্ধু, জীবনসঙ্গী আর সবচেয়ে বড় সমর্থক হয়ে।

শুব সকাল
27/09/2025

শুব সকাল

Address

Noakhali
Eklaspur
438

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MD JAKER 077 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to MD JAKER 077:

Share