22/07/2025
একজন দুর্বল পুরুষ কখনই শক্তিশালী নারীর সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হয়, তা জানে না
একজন শক্তিশালী নারী কঠিন নয়, সে কেবল সরাসরি কথা বলে। সে অহংকারী নয়, বরং সত্যভাষী। কিন্তু যদি পুরুষটি আত্মবিশ্বাসহীন, মানসিকভাবে অপরিপক্ব বা নিজের ভিতরেই দ্বন্দ্বে ভোগে, তাহলে সেই নারীর স্পষ্টতা তার কাছে আশীর্বাদ নয়, বরং হুমকি মনে হবে।
সে যখন নিজের মনের কথা বলে, তখন সেই পুরুষ চমকে ওঠে। যখন সে সম্পর্কের বিষয়ে স্পষ্টতা চায়, তখন তাকে বলা হয় “তুমি বেশি চাও”। সে যখন সীমারেখা তৈরি করে, তখন বলা হয় সে “বড্ড নিয়ন্ত্রণ করতে চায়”। সে যখন সম্পর্ককে উন্নত করতে চ্যালেঞ্জ করে, তখন বলা হয় সে “বদলে দিতে চাইছে”। অথচ আসল কথা হলো, পুরুষটি জানে এই নারী তাকে ঠিকই চিনে ফেলেছে। তার মোহময় আচরণ এখানে চলে না, খালি কথা বলে তাকে সন্তুষ্ট করা যায় না, আর সামান্য মনোযোগ দিয়ে তাকে চুপ করানো যায় না।
তখন সে কী করে? সে দোষ চাপায় নারীর ওপর। নারীর আচরণ, তার স্বাধীনতা, তার প্রত্যাশা—সব কিছুতেই সমস্যা খোঁজে। কারণ এই স্বীকারোক্তি দেওয়া যে, সে আসলে এই নারীর জন্য প্রস্তুত ছিল না—তা তার ইগোর পক্ষে কঠিন। তার সাহস ছিল না এই নারীর আত্মসম্মান ধরে রাখতে। কারণ শক্তিশালী নারী কখনো কারো পেছনে ছোটে না, অনুনয় করে না, কিংবা নিজেকে ক্ষুদ্র করে তুলে না—শুধু এই জন্য যে কেউ তাকে হজম করতে পারবে।
সে ছিল না “অত্যাধিক স্পষ্টবাদী”—বরং সেই পুরুষ অভ্যস্ত ছিল চুপচাপ, মুখ বুঁজে সহ্য করা নারীর সঙ্গে। সে ছিল না “অত্যাধিক সাহসী”—বরং পুরুষটি ভয় পেত এমন একজনকে যে তাকে প্রয়োজন করে না, বরং নিজের ইচ্ছায় বেছে নেয়। এখানেই পার্থক্য—দুর্বল পুরুষ চায় নিয়ন্ত্রণ, শক্তিশালী নারী চায় পার্টনারশিপ। আর যদি সেই পুরুষ সমতার জায়গা থেকে এগিয়ে না আসে, তাহলে সেই নারী কখনোই নিজেকে ছোট করবে না।
সে মানুষকে বলবে, “ও ছিল খুব রাগী, ভালোবাসা কঠিন ছিল”। কিন্তু সত্যি হলো—সে ভয় পেয়েছিল, কারণ সেই নারীর আলোয় নিজের দুর্বলতাগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। সে ঐ নারীর উচ্চতায় উঠতে পারেনি, তাই চেষ্টা করেছে তাকে টেনে নামাতে।
তাকে নামতে দাও। কারণ শক্তিশালী নারী জানে নিজের মূল্য। সে দুর্বল পুরুষদের বোঝার জন্য নয়—সে অপেক্ষা করে এমন এক ভালোবাসার, যা সম্পূর্ণ, সম্মানজনক এবং এমন একজনের কাছ থেকে আসে, যে নারীর পাশে সমান হয়ে দাঁড়াতে পারে। যে পালিয়ে যায় না, বরং তার পাশে থেকে নিজেকে প্রমাণ করে।