দৈনিক বাংলা নিউজ

দৈনিক বাংলা নিউজ দৈনিক বাংলা নিউজ দেশ ও মানুষের কথা বলে।

05/08/2025

📰 "শেখ হাসিনার পতনের ঘোষণা দিয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ"

📅 ঢাকা | ৫ আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে উঠছে "জুলাই ঘোষণাপত্র", যেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনামলকে "ফ্যাসিবাদী, অগণতান্ত্রিক ও গণবিরোধী" আখ্যা দিয়ে তাঁর সরকারকে পতিত ঘোষণা করা হয়েছে।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে গণভবনমুখী গণঅভ্যুত্থানের চাপে শেখ হাসিনা পদত্যাগে বাধ্য হন এবং দেশত্যাগ করেন। ওইদিনকেই গণআন্দোলনের বিজয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

ঘোষণাপত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, একদলীয় শাসন কায়েম, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ এবং ভোটাধিকার হরণের মতো গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া, তথাকথিত উন্নয়নের আড়ালে ব্যাপক দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার ও পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগও উঠে এসেছে। ঘোষণায় বলা হয়, এই শাসনামলে বাংলাদেশ একটি "ফ্যাসিবাদী, মাফিয়া ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে" পরিণত হয়েছিল।

ঘোষণাপত্র অনুযায়ী, ৫ আগস্টের গণআন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে এবং এর ধারাবাহিকতায় ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।

🔍 শেখ হাসিনা সম্পর্কে ঘোষণাপত্রে যেসব অভিযোগ আনা হয়:

একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা

গুম-খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন

তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার হরণ (২০১৪, ২০১৮, ২০২৪)

মতপ্রকাশ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ

ব্যাপক দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক ধ্বংস

বিরোধী দল ও ছাত্র আন্দোলনের ওপর দমন-পীড়ন

ঘোষণাপত্রে আন্দোলনে নিহতদের "জাতীয় বীর" হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিও জানানো হয়। একই সঙ্গে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ সরকার গঠনের প্রত্যয় প্রকাশ করা হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘোষণাপত্র দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে ভবিষ্যতের শাসনব্যবস্থায় গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুশাসনের দাবি আরও জোরালো হয়ে উঠতে পারে।

05/08/2025

জুলাই ঘোষণাপত্র:

১। যেহেতু উপনিবেশ বিরোধী লড়াইয়ের সুদীর্ঘকালের ধারাবাহিকতায় এই ভূখণ্ডের মানুষ দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল এবং নির্বিচার গণহত্যার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করে জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল;

এবং
২। যেহেতু, বাংলাদেশের আপামর জনগণ দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই ভূখণ্ডে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বিবৃত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে;

এবং
৩। যেহেতু স্বাধীন বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রনয়ন পদ্ধতি, এর কাঠামোগত দুর্বলতা ও অপপ্রয়োগের ফলে স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছিল এবং গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারিতা ক্ষুণ্ণ করেছিল;

এবং
৪। যেহেতু স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার মূলমন্ত্র গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে বাকশালের নামে সাংবিধানিকভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করে এবং মতপ্রকাশ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করে, যার প্রতিক্রিয়ায় ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশে সিপাহী-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লব সংঘটিত হয় এবং পরবর্তী সময়ে একদলীয় বাকশাল পদ্ধতির পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র, মতপ্রকাশ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পুনঃপ্রবর্তনের পথ সুগম হয়,

এবং
৫। যেহেতু আশির দশকে সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় বছর ছাত্র-জনতার অবিরাম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয় এবং ১৯৯১ইং সনে পুনরায় সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।

এবং
৬। যেহেতু দেশী-বিদেশী চক্রান্তে সরকার পরিবর্তনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় ১/১১ -এর ষড়যন্ত্রমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার একচ্ছত্র ক্ষমতা, আধিপত্য ও ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করা হয়;

এবং
৭। যেহেতু গত দীর্ঘ ষোল বছরের ফ্যাসিবাদী, অগণতান্ত্রিক এবং গণবিরোধী শাসনব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে এবং একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অতি উগ্র বাসনা চরিতার্থ করার অভিপ্রায়ে সংবিধানের অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক পরিবর্তন করা হয় এবং যার ফলে একদলীয় একচ্ছত্র ক্ষমতা ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়;

এবং
৮। যেহেতু শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন, গুম-খুন, আইন-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং একদলীয় স্বার্থে সংবিধান সংশোধন ও পরিবর্তন বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধ্বংস করে;

এবং
৯। যেহেতু, হাসিনা সরকারের আমলে তারই নেতৃত্বে একটি চরম গণবিরোধী, একনায়কতান্ত্রিক, ও মানবাধিকার হরণকারী শক্তি বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিবাদী, মাফিয়া এবং ব্যর্থ রাষ্ট্রের রূপ দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে;

এবং
১০। যেহেতু, তথাকথিত উন্নয়নের নামে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী নেতৃত্বে সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের মধ্য দিয়ে বিগত পতিত দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ ও এর অমিত অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং এর পরিবেশ, প্রাণবৈচিত্র্য ও জলবায়ুকে বিপন্ন করে;

এবং
১১। যেহেতু শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দল, ছাত্র ও শ্রমিক সংগঠনসহ সমাজের সর্বস্তরের জনগণ গত প্রায় ষোল বছর যাবত নিরন্তর গণতান্ত্রিক সংগ্রাম করে জেল-জুলুম, হামলা-মামলা, গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়;

এবং
১২। যেহেতু বাংলাদেশে বিদেশী রাষ্ট্রের অন্যায় প্রভুত্ব, শোষণ ও খবরদারিত্বের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে বহিঃশক্তির তাবেদার আওয়ামী লীগ সরকার নিষ্ঠুর শক্তিপ্রয়োগের মাধ্যমে দমন করে;

এবং
১৩। যেহেতু অবৈধভাবে ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার তিনটি প্রহসনের নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচন) এদেশের মানুষকে ভোটাধিকার ও প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত করে;

এবং
১৪। যেহেতু, আওয়ামী লীগ আমলে ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, শিক্ষার্থী ও তরুণদের নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয় এবং সরকারী চাকুরীতে একচেটিয়া দলীয় নিয়োগ ও কোটাভিত্তিক বৈষম্যের কারণে ছাত্র, চাকুরী প্রত্যাশী ও নাগরিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের জন্ম হয়;

এবং
১৫। যেহেতু বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের ওপর চরম নিপীড়নের ফলে দীর্ঘদিন ধরে জনরোষের সৃষ্টি হয় এবং জনগণ সকল বৈধ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই চালিয়ে যায়;

এবং
১৬। যেহেতু, সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার বিলোপ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক ব্যাপক দমন-পীড়ন, বর্বর অত্যাচার ও মানবতাবিরোধী হত্যাকাণ্ড চালানো হয়, যার ফলে সারা দেশে দল-মত নির্বিশেষে ছাত্র-জনতার উত্তাল গণবিক্ষোভ গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়;

এবং
১৭। যেহেতু ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে অদম্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দল, ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, শ্রমিক সংগঠনসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষ যোগদান করে এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বাহিনী রাজপথে নারী-শিশুসহ প্রায় এক হাজার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে, অগনিত মানুষ পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরণ করে এবং আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সামরিক বাহিনীর সদস্যগণ জনগণের গণতান্ত্রিক লড়াইকে সমর্থন প্রদান করে;

এবং
১৮। যেহেতু, অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের পতন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে জনগণ অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে, পরবর্তী সময়ে ৫ আগস্ট ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ পরিচালনা করে এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনরত সকল রাজনৈতিক দল, ছাত্র-জনতা তথা সর্বস্তরের সকল শ্রেণী, পেশার আপামর জনসাধারণের তীব্র আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে গণভবনমুখী জনতার উত্তাল যাত্রার মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়;

এবং
১৯। যেহেতু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট মোকাবেলায় গণঅভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে ব্যক্ত জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রত্যয় ও প্রয়োগ রাজনৈতিক ও আইনি উভয় দিক থেকে যুক্তিসঙ্গত, বৈধ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত;

এবং
২০। যেহেতু জনগণের দাবি অনুযায়ী এরপর অবৈধ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয় এবং সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রীম কোর্টের মতামতের আলোকে সাংবিধানিকভাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে একটি অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন করা হয়;

এবং
২১। যেহেতু, বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের ফ্যাসিবাদবিরোধী তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়;

এবং
২২। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচন, ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধ, আইনের শাসন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বিদ্যমান সংবিধান ও সকল রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে;

এবং
২৩। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ বিগত ষোল বছরের দীর্ঘ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম কালে এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালীন সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক সংঘটিত গুম-খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ ও সকল ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধসমূহের দ্রুত উপযুক্ত বিচারের দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে;

এবং
২৪। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গনঅভ্যুত্থানের সকল শহীদদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করে শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রয়োজনীয় সকল আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।

এবং
২৫। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ যুক্তিসঙ্গত সময়ে আয়োজিতব্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদে প্রতিশ্রুত প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশের মানুষের প্রত্যাশা, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন ও মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।

এবং
২৬। সেহেতু বাংলাদেশের জনগণ এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে যে একটি পরিবেশ ও জলবায়ু সহিষ্ণু অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন কৌশলের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের অধিকার সংরক্ষিত হবে।

এবং
২৭। বাংলাদেশের জনগণ এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে যে, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে।

এবং
২৮। ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে এই ঘোষণাপত্র প্রনয়ণ করা হলো।

07/04/2025

ইসরাইল ও ফিলিস্তিন: সমসাময়িক ঘটনা ও বাস্তবতা কি জানুন প্রথম কমেন্টে।

04/04/2025

ইউনুস -মোদি বৈঠকে আশার আলো তৈরী হয়েছে -গুলশানে গন মাধ্যমে মির্জা ফখরুল।

04/04/2025

আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি: সারজিস আলম

04/04/2025

যারা বান্দরবান ভ্রমণে আগ্রহী তাদের জন্য এবং সকল পর্যটকদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নাম্বার।

সরকারি আবাসন:

1. সার্কিট হাউজ (সরকারি)
ঠিকানা: মেম্বার পাড়া, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬২২২৩
মোবাইল: ০১৭১৪২৩০৩৫৪ (এনডিসি)

2. হিলটপ রেস্ট হাউজ (সরকারি)
ঠিকানা: মেম্বার পাড়া, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬২৩০৩, ০৩৬১-৬২০৭৭

3. জেলা পরিষদ রেস্ট হাউজ (সরকারি)
ঠিকানা: ওয়াবদা ব্রিজ, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬২৩৫৪, ০৩৬১-৬২৩৮২

4. নীলাচল রেস্ট হাউজ (সরকারি)
ঠিকানা: নীলাচল পর্যটন স্পট, বান্দরবান সদর
মোবাইল: ০১৭১৪২৩০৩৫৪ (এনডিসি)

5. মেঘলা রেস্ট হাউজ (সরকারি)
ঠিকানা: মেঘলা, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬২৭৪১, ০৩৬১-৬২৭৪২
মোবাইল: ০১৭১৪২৩০৩৫৪ (এনডিসি)

6. পর্যটন মোটেল
ঠিকানা: মেঘলা, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬২৭৪১

বেসরকারি হোটেল ও রিসোর্ট:

1. হোটেল হিল ভিউ
ঠিকানা: বাস স্টেশন, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬২০৩৫
মোবাইল: ০১৬৮৬৬৫১৭৪০

2. হোটেল হলিডে ইন রিসোর্ট
ঠিকানা: মেঘলা, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬২৮৯৬
মোবাইল: ০১৫৫৬৯৮০৪৩২

3. হোটেল প্লাজা
ঠিকানা: উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকা, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬৩২৫২
মোবাইল: ০১৫৫৭২৫৬৮৮০

4. ভেনাস রিসোর্ট
ঠিকানা: মেঘলা, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬৩৪০০
মোবাইল: ০১৫৫২৮০৮০৬০

5. সাকুরা হিল রিসোর্ট
ঠিকানা: চিম্বুক সড়ক, বান্দরবান সদর
মোবাইল: ০১৮১৯১৮২৬২৩

6. হোটেল গ্রীন ল্যান্ড
ঠিকানা: লুসাই বাড়ী, হাফেজঘোনা, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬৩৬১৩
মোবাইল: ০১৮৩৯৯১০৬৪২

7. হোটেল থ্রি স্টার
ঠিকানা: বাস স্টেশন, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬৩৫৬৬
মোবাইল: ০১৭৩৭৪৪৫৭৬৬

8. জোভি গেস্ট হাউজ
ঠিকানা: থানচি বাস স্টেশন (৩ নম্বর), বান্দরবান সদর
মোবাইল: ০১৫৫৬৯৮০৪২৮

9. হোটেল রিভার ভিউ
ঠিকানা: ৯ নম্বর ওয়ার্ড, বান্দরবান পৌরসভা, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬২৭০৭

10. হোটেল সাংগু
ঠিকানা: জাদি পাড়া, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬৩৬০৫

11. হিল সাইট রিসোর্ট (মিলনছড়ি)
ঠিকানা: চিম্বুক সড়ক, বান্দরবান সদর
মোবাইল: ০১৭১১৮৫৮৪৯৬

12. হোটেল পূরবী
ঠিকানা: বান্দরবান বাজার, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬২৫৩১

13. হোটেল প্রু আবাসিক
ঠিকানা: মধ্যম পাড়া, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬২২৫৭

14. হোটেল ফোর স্টার
ঠিকানা: বান্দরবান বাজার, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬২৪৬৬

15. হোটেল হিলবার্ড
ঠিকানা: জীপ-মাইক্রোবাস স্টেশন, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬২৪৪১

16. হোটেল গ্রীণ হিল
ঠিকানা: বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬২৫৭৪

17. হোটেল অতিথি
ঠিকানা: বান্দরবান বাজার, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬২৫৩৫

18. হোটেল বিলকিছ
ঠিকানা: বান্দরবান বাজার, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬২০৬১

19. বান্দরবান গেস্ট হাউজ
ঠিকানা: ৭ নম্বর ওয়ার্ড, বান্দরবান পৌরসভা, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬৩৪১৬

20. হোটেল লোহাগাড়া
ঠিকানা: বান্দরবান বাজার, বান্দরবান সদর
মোবাইল: ০১৮২৮৮৪৩০৫৩

21. রয়েল হোটেল
ঠিকানা: মধ্যম পাড়া, বান্দরবান সদর
টেলিফোন: ০৩৬১-৬২৯২৬

বিমসটেক সম্মেলনে আবারও পাশাপাশি ড.ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি
04/04/2025

বিমসটেক সম্মেলনে আবারও পাশাপাশি ড.ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি

04/04/2025
04/04/2025
বিভিন্ন সময়ে ছুটি কাটাতে বা ব্যবসায়িক কাজে আমরা কক্সবাজার যাই। সেখানে থাকতে হলে আগে ভাগে হোটেল বুক করতে কক্সবাজারের কয়েক...
04/04/2025

বিভিন্ন সময়ে ছুটি কাটাতে বা ব্যবসায়িক কাজে আমরা কক্সবাজার যাই। সেখানে থাকতে হলে আগে ভাগে হোটেল বুক করতে কক্সবাজারের কয়েকটি ভালো মানের হোটেলের তালিকা ও মোবাইল নাম্বার নিচে দেয়া হলো।

হোটেল শৈবাল | মোটেল রোড, কক্সবাজার | ০১৯১১-৩৯০২০ ||

মোটেল লাবনী | মোটেল রোড, কক্সবাজার | ০১৩১২-৮৮৪৪২০, ০৩৪১-৬৪৭০৩ ||

হোটেল নে-তাউং | টেকনাফ, কক্সবাজার | ০১৯৯১-১৩৯০২৪, ০১৫৬৮-৬৭১৬৩০ ||

উইন্ডি টেরেস হোটেল | প্লট-৩৯-৪০, ব্লক সি, কলাতলী, কক্সবাজার | ০১৯৩৬-৪৪৪৭৭৭, ০১৭৫২-৩৬০৬৭৫ ||

হোটেল দ্য কক্স টুডে | প্লট-৭, রোড-০২, কলাতলী রোড, কক্সবাজার | ০১৭৫৫-৫৯৮৪৪৯ ||

লং বিচ হোটেল | ১৪ কলাতলী রোড, হোটেল মোটেল জোন, কক্সবাজার | ০১৭৭৭-৭৭৭০৩৫ ||

হোটেল বিচ ওয়ে | হাউস #২১, ব্লক # সি, কলাতলী রোড, কক্সবাজার | ০১৭৭৭-৯০৯৫৯৫, ০১৬১৭-৯০৯৫৯৫, ০১৮৪৯-৯০০০০০, ০১৯৬৭-১২২৪২২ ||

সীগাল হোটেলস লিমিটেড | হোটেল মোটেল জোন, কক্সবাজার সি বিচ | ০৯৬১৪-৪৪৪৪৪০, ০৯৬১৪-০০০৬৬৬, ০৯৬১৪-৬০০৭০০ ||

হোটেল এস.এ. ইন্টারন্যাশনাল | কক্সবাজার | ০১৮৪১-৫৮৮২৪৪ ||

হোটেল কোস্টাল পিস | হাউস - ৬, ব্লক - বি, কলাতলী রোড, কক্সবাজার | ০১৭৫৫-৫২১৭২৬, ০১৭৫৫-৫২১৭৯৭-৯৮ |

উপরোক্ত তথ্যসমূহ সংশ্লিষ্ট হোটেলগুলোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে সংগৃহীত। ভ্রমণের পূর্বে হোটেলের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে বিস্তারিত তথ্য ও রিজার্ভেশন নিশ্চিত করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

20/03/2025
20/03/2025

বিস্তারিত কমেন্টে—

Address

DC Road Faridpur
Faridpur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দৈনিক বাংলা নিউজ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to দৈনিক বাংলা নিউজ:

Share