Russell Raj

Russell Raj i am Russell Raj
(3)

জীবনের প্রতিটা সংগ্রামই একেকটা সম্ভাবনার দরজা। জীবন কখনোই সোজাসাপ্টা পথে চলে না। উত্থান-পতন, সুখ-দুঃখ, ব্যর্থতা আর সাফল্...
16/06/2025

জীবনের প্রতিটা সংগ্রামই একেকটা সম্ভাবনার দরজা। জীবন কখনোই সোজাসাপ্টা পথে চলে না। উত্থান-পতন, সুখ-দুঃখ, ব্যর্থতা আর সাফল্য—এই সব মিলিয়েই জীবন। অনেক সময় মনে হয়, সবকিছু থমকে গেছে। চারদিকে শুধু অন্ধকার, কোনো আলো নেই। কিন্তু ঠিক এই সময়েই আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা।

একটা কথা সবসময় মনে রাখা দরকার—আপনার গল্প এখনো শেষ হয়নি। আপনি হয়তো এখন যেখানে আছেন, সেটা আপনার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য নয়। কিন্তু এটাও ঠিক, আপনি থেমে থাকেননি। আপনি এখনো চলছেন, লড়ছেন, স্বপ্ন দেখছেন। আর যে স্বপ্ন দেখে, সে কখনোই হেরে যায় না।

প্রতিদিন একটু একটু করে নিজেকে গড়ে তুলুন। অন্যের সাফল্যে হতাশ না হয়ে অনুপ্রাণিত হোন। মনে রাখবেন, একটা ফুল ফোটার জন্য সময় লাগে, আর প্রতিটা ফুলের ফোটার সময়ও আলাদা। আপনি আপনার সময়েই ফোটবেন।

জীবনের ছোট ছোট পদক্ষেপই বড় সাফল্যের ভিত্তি গড়ে তোলে। তাই আজ যদি একটু ক'ষ্ট হয়, তাহলে মনে রাখবেন, এই ক'ষ্টই একদিন আপনার গল্পকে অনুপ্রেরণার রূপ দেবে।
নিজেকে ছোট ভাববেন না। আপনি যা করছেন, তার চেয়েও অনেক বড় কিছু আপনি করতে পারেন—শুধু একটু ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস আর নিয়মিত প্রচেষ্টা দরকার। আজ যে আপনি, কাল তার চেয়ে আরও ভালো আপনি হবেন—এটাই হোক আপনার লক্ষ্য।

সবশেষে বলবো বন্ধুরা, জীবনযু*দ্ধে নাটক এখনো শেষ হয়নি। চরিত্রটা এখনো নিজের পরিণতির অপেক্ষায়। ভুল হতে পারে, ক্লান্তি আসতে পারে, কিন্তু যতক্ষণ না শেষ দৃশ্যটা বাজে—আমি মঞ্চ ছাড়বো না!
- সংগৃহীত

ভাগ্য নয়, সংযমই আমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি – একটি অনুপ্রেরণামূলক লেখাটা পড়ে কমেন্টে জানাবেন কেমন লাগলো। আমাদের আশেপাশে অন...
16/06/2025

ভাগ্য নয়, সংযমই আমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি – একটি অনুপ্রেরণামূলক লেখাটা পড়ে কমেন্টে জানাবেন কেমন লাগলো।

আমাদের আশেপাশে অনেকেই আছেন, যারা জীবনের প্রতিটা ব্যর্থতার পেছনে ভাগ্যকে দায়ী করেন। “ভাগ্যে না ছিল”, “আমার কপালে সাফল্য নেই”—এই কথাগুলো যেন আমাদের জীবনের অজুহাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সত্যিটা হল, ভাগ্য নয়, সংযম আর অধ্যবসায়ই হলো সেই গোপন চাবিকাঠি, যা দরজা খুলে দেয় সাফল্যের রাজপথে।

সংযম মানে কি শুধু ত্যাগ?
অনেকেই ভাবেন, সংযম মানেই জীবন থেকে সবকিছু বাদ দিয়ে কঠিন পথে হাঁটা। না, সংযম মানে হল—নিজের ইচ্ছেগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখা, যখন দরকার তখন নিজেকে থামিয়ে দেওয়া, যাতে বড় কোনো লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। ছোট ছোট লোভ, তাত্ক্ষণিক আনন্দ—এইসব বাদ দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়াই সংযমের প্রকৃত মানে।

উদাহরণ দিয়ে বলি...
ধরো, তুমি একজন স্টুডেন্ট। তোমার সামনে দুইটা অপশন—একটা সিরিজ দেখা, আর একটা হলো পড়াশোনা করে পরের দিনের টেস্টের জন্য প্রস্তুত হওয়া। তোমার মাথা বলছে, “আজ একটু রেস্ট নিই”, কিন্তু হৃদয় জানে—এই একদিনের প্রস্তুতিই হয়তো তোমার রেজাল্ট বদলে দিতে পারে। যদি তুমি সেই মুহূর্তে সংযম দেখাতে পারো, তাহলে তুমি নিজের ভবিষ্যতের প্রতি সম্মান দেখালে। এটাই সাফল্যের শুরু।

বড় মানুষেরা কি ভাগ্যে ভরসা করতেন?
স্টিভ জবস, এপিজে আবদুল কালাম, স্বামী বিবেকানন্দ—এদের কারো সাফল্য ভাগ্যের দয়া ছিল না। ওরা নিজেদের চাওয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে, দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন। ওদের জীবনে একটা জিনিস ছিল—discipline এবং self-control।

সংযম আসলে কীভাবে সাফল্য এনে দেয়?
ফোকাস বাড়ায় – যখন তুমি নিজের ইচ্ছেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখো, তখন তোমার মন একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলে।
সময় নষ্ট হওয়া কমে – তোমার কাছে প্রতিটা মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সাহস আর আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় – নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে, তুমি বুঝতে পারো—তুমি সবকিছু পারো।
শেষ কথা
ভাগ্য কেবল একটা গল্প, যেটা আমরা বলি নিজের ব্যর্থতাকে লুকাতে। কিন্তু সংযম হল সেই বাস্তব শক্তি, যেটা দিয়ে মানুষ পাহাড়ও সরিয়ে ফেলে। তাই আজ থেকে অজুহাত নয়, নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনো। রোজ একটু একটু করে নিজেকে গড়ে তোলো। দেখবে, সাফল্য দরজায় কড়া নাড়বেই।

তোমার হাতে আছে সেই চাবিকাঠি। শুধু দরজাটা খোলার সাহস দেখাও।
- সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ঘনিয়ে এসেছে যুদ্ধের কালো মেঘ! যে ইসরায়েল বিশ্বকে চোখ রাঙিয়ে চলে, এবার তাদেরই বুকে কাঁপন ধরিয়েছে আরেক...
16/06/2025

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ঘনিয়ে এসেছে যুদ্ধের কালো মেঘ! যে ইসরায়েল বিশ্বকে চোখ রাঙিয়ে চলে, এবার তাদেরই বুকে কাঁপন ধরিয়েছে আরেক শক্তিধর দেশ ইরান।

দীর্ঘদিনের চিরশত্রু এই দুই দেশ, এতদিন ছায়াযুদ্ধে নিজেদের বৈরিতা প্রকাশ করলেও এবার নেমে এসেছে প্রকাশ্য যুদ্ধের ময়দানে।

একদিকে অত্যাধুনিক ফাইটার জেট, মিসাইল ও পারমাণবিক অস্ত্রে ভরপুর ইসরায়েল, অন্যদিকে ব্যালেস্টিক মিসাইল, সাবমেরিন ও ড্রোনের ভান্ডার ইরান। প্রশ্ন উঠতে পারে, সামরিক সক্ষমতায় কারা এগিয়ে?

সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, সামরিক শক্তির দিক থেকে ইসরায়েলের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে রয়েছে ইরান।

বিশ্বের ১৪তম সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্র ইরানের প্রধান অস্ত্র হলো ব্যালিস্টিক মিসাইল। অন্তত ১২ ধরনের স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে দেশটির সমর-ভান্ডারে। অন্যদিকে ইসরায়েলের ব্যালিস্টিক মিসাইল আছে মাত্র ৪ ধরনের।

তবে পারমাণবিক অস্ত্রের দিক থেকে বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে ইসরায়েল। জায়ানিস্টদের কাছে প্রায় ৯০টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

অন্যদিকে নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রহীন বলে দাবি করলেও ১৫টি পারমাণবিক বোমা তৈরির মতো উপাদান মজুদ রয়েছে তেহরানের ঘাঁটিতে।

স্থল ও জলভাগের সমর-শক্তিতে ইসরায়েলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ইরান। নেতানিয়াহুর বাহিনীর ৪০০টি যুদ্ধ ট্যাংকের বিপরীতে খামেনির ইরানের যুদ্ধ ট্যাংকের সংখ্যা ১০ হাজার ৫১৩টি।

এছাড়া ৬ হাজার ৭৯৮টি আর্টিলারি গান ও ৬৪০টির বেশি সাঁজোয়া যান রয়েছে ইরানের ঘাঁটিতে। যেখানে ইসরায়েলের আর্টিলারি গান ৫৩০টি ও সাঁজোয়া যান রয়েছে মাত্র ১ হাজার ১৯০টি।

১৭টি ট্যাকটিক্যাল সাবমেরিন, ৬৮টি উপকূলীয় টহল ও যুদ্ধজাহাজসহ বেশকিছু নেভি ফাইটার শীপ রয়েছে ইরানের কাছে।

বিপরীতে ইসরায়েলের সাবমেরিনের সংখ্যা ৫টি এবং উপকূলীয় টহল ও যুদ্ধজাহাজ রয়েছে মাত্র ৪৯টি।

ইসরায়েলের সামরিক সক্ষমতার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো আয়রন ডোম। এটি রাডারের সাহায্যে ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্রের গতি ও দিক নির্ণয় করে ভূপাতিত করতে পারে।

ইসরায়েলের কাছে এমন ১০টি আয়রন ডোম ইউনিট রয়েছে। মধ্যম ও দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে অন্যান্য ব্যবস্থাও আছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর।

ইরানের কাছে আয়রন ডোম না থাকলেও ‘আজারাখশ’(Azarakhsh) নামের স্বল্প পাল্লার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।

এটি ইনফ্রারেড, রাডার ও ইলেকট্রো-অপটিক প্রযুক্তির মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত ও ধ্বংস করতে পারে। এছাড়াও বেশকিছু রাশিয়ান, মার্কিন ও চীনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে ইরানের কাছে।

সৈন্যসংখ্যার দিক থেকে বলতে গেলে, এই মুহুর্তে ইরানের সক্ষমতাই বেশি। সেনাবাহিনী, আইআরজিসি ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর সব সেক্টর মিলিয়ে ৬ লাখ ১০ হাজার সৈন্য প্রস্তুত আছে ইরানের। এছাড়া রিজার্ভ বাহিনীতে রয়েছে আরও ৩ লাখ ৫০ হাজার সৈন্য।

অন্যদিকে ইসরায়েলের সক্রিয় সৈন্যের সংখ্যা মাত্র ১ লাখ ৬৯ হাজার। রিজার্ভ বাহিনীর সদস্যসহ হিসাব করলে সেটি ৬ লাখ ২৪ হাজারের কাছাকাছি।

উভয় দেশেই ১৮-ঊর্ধ্ব বয়সীদের সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক হওয়ায়, ফুল স্কেলে যুদ্ধ শুরু হলেও তারাও সক্রিয় যুদ্ধে যুক্ত হতে পারে।

তবে সামরিক সক্ষমতাই যুদ্ধের চূড়ান্ত শক্তি নয়, বৈশ্বিক সমর্থন ও হস্তক্ষেপও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ইরানে আক্রমণের জন্য সৌদি আরব ও জর্ডানের আকাশসীমা উন্মুক্ত করে দেওয়া, তেহরানের হামলা প্রতিরোধে আমেরিকার প্রকাশ্য সহায়তাই বলে দেয়, ইসরায়েলের বৈশ্বিক সমর্থনের পাল্লা কতটা ভারি।

ইরান-ইসরায়েলের এই পাল্টাপাল্টি সংঘাত মধ্যপ্রাচের ভূখন্ডে কি পরিণতি বনে আনে, তা দেখা এখন সময়ের বাকি।

ঘটনাটি ঘটেছিল কানাডায়। হিমশীতল রাত। চারিদিকে বরফ পড়ছে। এক ধনী ব্যক্তি তার বাড়ির সামনে এক অশীতিপর বৃদ্ধকে দেখতে পেলেন।...
12/06/2025

ঘটনাটি ঘটেছিল কানাডায়। হিমশীতল রাত। চারিদিকে বরফ পড়ছে। এক ধনী ব্যক্তি তার বাড়ির সামনে এক অশীতিপর বৃদ্ধকে দেখতে পেলেন। ধনী ব্যক্তিটি নিচে নেমে বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসা করলেন, এত ঠাণ্ডায় আপনি বাইরে আছেন কেন? আপনার গায়ে শীতের পোশাক কোথায়?

বৃদ্ধ জবাব দিলেন, আমি গরীব অসহায়, আমার কোনো গরম কাপড় নেই, কিন্তু আমি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি।

ধনী ব্যক্তিটি অবাক হয়ে বললেন, আপনি একটু অপেক্ষা করুন, আমি আপনার জন্য গরম কাপড় নিয়ে আসছি।

এরপর তিনি তার বাড়িতে ঢুকে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়লেন যে, বৃদ্ধের কথা বেমালুম ভুলে গেলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতের ঘটনা মনে পড়তেই দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে বৃদ্ধ আর বেঁচে নেই। ঠান্ডায় জমে গিয়ে রাতেই সলিল সমাধি ঘটেছে তার।

ধনী ব্যক্তিটি দেখলেন বৃদ্ধের পাশে একটি চিরকুট
পড়ে আছে যাতে লেখা:
যখন আমার কোনো উষ্ণ কাপড় ছিল না, তখন আমি মানিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু আপনি যখন আমাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিলেন, তখন সেই আশায় অপেক্ষা করতে করতে আমি ঠান্ডার সাথে লড়াই করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেললাম!

শিক্ষা: মি'থ্যা প্রতিশ্রুতি মানুষের হৃদয়কে র'ক্তাক্ত করে, মনোবল ধ্বংস করে দেয়। তাই কাউকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আগে ভালোভাবে চিন্তা করুন, আপনি সেটা রক্ষা করতে পারবেন কিনা।

"তোরা আমাকে শেষ করলি। আমি আল্লাহর কাছে কী জবাব দেব!"অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ মুসলিম ছিলেন হাজি দুলা মিয়া সওদাগর। ধর্মকর্মে তিনি...
10/06/2025

"তোরা আমাকে শেষ করলি। আমি আল্লাহর কাছে কী জবাব দেব!"

অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ মুসলিম ছিলেন হাজি দুলা মিয়া সওদাগর। ধর্মকর্মে তিনি কখনো আপোস করেন নাই।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেছেন। বৃদ্ধ বয়সে ফজরের আজান কখন হবে, এই চিন্তায় রাতে তাঁর ঘুমই হত না।

কিন্তু তাঁর কষ্ট ছিল একটা জায়গায়- তাঁর ছেলেরা কেন ধর্মকর্মে উদাসীন, কেন তারা নিয়মিত নামাজ পড়ছে না!

এই অবহেলার কারণে কী শাস্তি হতে পারে, সেটা তিনি ছেলেদের বোঝাতেন। কিন্তু কখনো তিনি ছেলেদের ওপর রাগ করেন নাই, মারধরও করেন নাই।

হাজি দুলা মিয়া সওদাগর ছিলেন চট্টগ্রামের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। স্বর্ণের বিরাট ব্যবসা ছিল তাঁর।

৮০ বছর আগে চট্টগ্রাম শহরে বিশাল দোতলা দালান ছিল তাঁর। নিচতলায় ব্যবসা, আর ওপরতলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি।

তাঁর এক ছেলের নাম মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি আজকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

বাবার ব্যপারে ড.ইউনূস কী বলছেন, সেটা তাঁর নিজের বয়ানেই শুনুন:

"বাবার মত এমন কট্টর মুসলমান, আবার এত উদার- এরকম দুটো বৈশিষ্ট্য আমি কারো মধ্যে দেখিনি। তাঁর ক্ষোভ ছিল তাঁর ছেলেরা নামাজ পড়ে না বলে।

কিন্তু এসবের মধ্যেই আমরা বিদেশ যাচ্ছি, পড়াশোনা করছি। আমাদের প্রয়োজনমত টাকাপয়সা দিচ্ছেন, কোনো বাধা-নিষেধ ছিল না।

আমি আমেরিকায় গিয়ে বিয়ে করলাম। বিদেশি মেয়ে বিয়ে করায় তাঁর মনে অনেক কষ্ট হয়েছে নিশ্চয়ই। কিন্তু কখনো তা প্রকাশ করেননি, আপত্তিও করেননি।

বউ নিয়ে দেশে এলাম, তিনি সাদরে গ্রহণ করেছেন। কোনো নেতিবাচক কথা বলেননি।

তিনি ধর্ম পালনে যেমন একনিষ্ঠ ছিলেন, কাজে ছিলেন তেমনই উদার। তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী আর স্বর্ণের কারিগরেরা সবাই ছিলেন হিন্দু।

সারাক্ষণ তাদের সাথে ছিল ওঠাবসা। আবার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথারীতি পড়তেন।

ভারতভাগের পরপর একদিন সকালে দেখি রেডিওতে গান্ধীর মৃত্যুর খবর শুনে আব্বা হাউমাউ করে কাঁদছেন। আমি অবাক হলাম।

সারাজীবন তিনি মুসলিম লীগ করলেন। গান্ধী কীভাবে আমাদের বাধা দিচ্ছে, মুসলমানদের দেশ করতে দিচ্ছে না- এসব বলতেন। অথচ গান্ধীর মৃত্যুতে তাঁর হাউমাউ কান্না!

তিনি বেশি লেখাপড়া জানতেন না, অথচ তাঁর মনে কোনো শত্রুভাব আসেনি। স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বাভাবিকভাবে তিনি তাঁর নিজস্ব মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।"

সূত্র: ড.মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎকার, প্রথম আলো ঈদসংখ্যা (নভেম্বর ২০০৩)

ধরো, তুমি একজন অসফল মানুষ।তোমার নেই কোন কর্পোরেট ডেজিগনেশন। সামাজিক গ্রহনযোগ্যতা। নেই ব্যাংকে অঢেল টাকা। রাজধানী শহরে দু...
08/06/2025

ধরো, তুমি একজন অসফল মানুষ।
তোমার নেই কোন কর্পোরেট ডেজিগনেশন। সামাজিক গ্রহনযোগ্যতা। নেই ব্যাংকে অঢেল টাকা। রাজধানী শহরে দুটো প্লট নেই। নতুন যে আল্ট্রা মডার্ন গাড়ি বাজারে এসেছে, তার দাম জানবার আগ্রহ নেই। অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার কারনে প্রেমিকাকে আজন্ম পাওয়ার সুযোগ নেই।

ধরো, তোমার মা গর্ব নিয়ে বলতে পারেনা- আমার সন্তান বড় চাকুরী করে। তোমার বাবা মাথা উচু করে কাউকে জানাতে পারেনা- মাস শেষে ছেলে আমার ভাল বেতন পায়।

ধরো, তোমার পরীক্ষার রেজাল্ট অন্য দশ জনের চেয়ে খারাপ। তোমার চাকরি হচ্ছেনা। পকেটে টাকা নেই। মাস শেষে মেস ভাড়া আটকে গেলে, বাড়িওয়ালা নানান কথা শোনায়।

ধরো, তোমার বয়স ২৩ পেরিয়েছে। গায়ের রং কালো বলে বিয়ে হচ্ছেনা। প্রতিবেশিরা তোমাকে নিয়ে নানান গুজব রটায়। প্রেমিক ধোকা দিয়ে চলে গেছে।
ধরো, সংসার, দায়িত্ব, দায়বদ্ধতাকে স্কিপ করে বাঁচতে চাইছো।

ধরো, তোমার ভাল লাগে সমুদ্র। যেখানে ঢেউ ও বালির মিলনে পাড় ভাঙার শব্দ হয়। বুকের ভেতর ভাংচূর লাগে।
ধরো, ইচ্ছে করে কোথাও পালিয়ে যাবে। পাহাড়ের উপর বসে চাঁদ দেখতে দেখতে দু কাপ রং চা খাবে।
ধরো, বৃষ্টি হলে ভিজতে ইচ্ছে করে। তীব্র শীতের ভেতর হাঁটতে ইচ্ছে করে সরিষার ক্ষেত। খুব ভোরে ঘাসের উপর জমা শিশিরে পা ভেজাতে ভাল লাগে।

বাঁচো।
যেভাবে, যা করে তুমি আনন্দ পাও; সেভাবেই বাঁচো। জীবন ছেড়ে পালিয়ে যেয়ো না। জীবন থেকে পালিয়ে গেলে, আর কখনোই ফিরে আসা যাবেনা। ক্ষুদ্র এই জীবন দ্বিতীয়বার পাওয়া যায়না। যেভাবে বাঁচতে ভাল লাগে, সেভাবেই বাঁচো।

জীবন একটাই।
বুক ভরে শ্বাস নাও।

আইনস্টাইনের এক সহকর্মী একদিন তাঁর কাছে তাঁর টেলিফোন নম্বরটা চাইলেন।তখন আইনস্টাইন একটি টেলিফোন বই খুঁজে বের করলেন এবং সেই...
08/06/2025

আইনস্টাইনের এক সহকর্মী একদিন তাঁর কাছে তাঁর টেলিফোন নম্বরটা চাইলেন।

তখন আইনস্টাইন একটি টেলিফোন বই খুঁজে বের করলেন এবং সেই বই থেকে তাঁর নম্বরটা খুঁজতে লাগলেন। তখন সহকর্মী তাকে বললেন, ‘কী ব্যাপার, নিজের টেলিফোন নম্বরটাও মনে নেই আপনার।’ আইনস্টাইন বললেন, ‘না, তার দরকারই বা কী? যেটা আপনি বইতে পাবেন, সে তথ্যটা মুখস্ত করে খরচ করবেন কেন ?’

আইনস্টাইন ছোটবেলায় তুলনামূলক অনেক দেরীতে কথা বলতে শেখেন। একারণে তাঁর বাবা মা অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলেন। একদিন রাতে খাবার টেবিলে বসে সকলে খাচ্ছেন এমন সময় বালক আইনস্টাইন চিৎকার করে বললেন, ‘এই স্যুপটা বড্ড গরম। তাঁর বাবা-মা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। ছেলের মুখে প্রথম কথা!

শুনে বাবা-মা বেশ অবাক হয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আগে তুমি কথা বলোনি কেন?’ উত্তরে আইনস্টাইন বললেন, ‘কারণ এর আগে
তো সব ঠিকই ছিল।’

1931 সালে কৌতুক অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ জানান তার একটি শো দেখার জন্য। তখন চ্যাপলিনের সিটি লাইটস্ সিনেমার স্কিনিং চলছিল। পরে তারা শহরের পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সবাই আমাকে সহজেই বোঝে, এজন্যই আমার এতো জনপ্রিয়তা। কিন্তু মানুষ আপনাকে কেন এতো পছন্দ করে বুঝলাম না।’ আইনস্টাইন সহাস্যে প্রত্যুত্তরে জানালেন, ‘কেউ আমাকে সহজে বুঝতে পারে না বলেই আমার এই জনপ্রিয়তা’।

একবার আইনস্টাইন ট্রেনে চেপে যাচ্ছিলেন। চেকার সকলের টিকিট চেক করার এক পর্যায়ে আইনস্টাইনের কাছে এসে টিকিট দেখতে চাইলেন। কিন্তু আইনস্টাইন তাঁর টিকিটটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। চেকার আইনস্টাইনকে চিনতে পেরে বললেন, ‘স্যার আপনাকে আমি চিনতে পেরেছি। আপনি নিশ্চয়ই টিকিট কেটে উঠেছেন। আপনাকে টিকিট দেখাতে হবে না।’ আইনস্টাইন কিছুটা চিন্তিত ভঙ্গিতে বললেন, ‘না, না, ওটা আমাকে খুঁজে বের করতেই হবে। না পেলে আমি জানব কি করে যে আমি কোথায় যাচ্ছিলাম।’

আইনস্টাইনের কাছে একবার আপেক্ষিকতার সহজ ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হলো। উত্তরে আইনস্টাইন বললেন, ‘আপনার হাত একটা জ্বলন্ত চুল্লীর উপর ধরে রাখুন, মনে হবে এক ঘন্টা পার হয়ে গেছে। কিন্তু একজন সুন্দরী মেয়ের পাশে একঘন্টা বসে থাকুন, আপনার কাছে মনে হবে মাত্র এক মিনিট পার হলো, এটাই আপেক্ষিকতা।’

একবার আইনস্টাইন বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে দরজায় কড়া নাড়লেন। ভেতর থেকে তাঁর স্ত্রী ভাবলেন অন্য কেউ হয়তো আইনস্টাইনকে খুঁজতে এসেছেন, তাই তিনি বেশ বিরক্ত হয়ে চেচিয়ে বললেন, আইনস্টাইন বাড়িতে নেই।

ব্যস, চিন্তিত আইনস্টাইন কোন কথা না বলে উল্টো হাঁটা ধরলেন। আরো_একটি_ঘটনা:-

আইনস্টাইনের যিনি ড্রাইভার ছিলেন, তিনি একদিন আইনস্টাইনকে বললেন - আপনি প্রতিটি সভায় যে ভাষণ দেন সেইগুলো শুনে শুনে আমার মুখস্থ হয়ে গেছে ।" -আইনস্টাইন তো অবাক!

উনি তখন বললেন "বেশ তাহলে এর পরের মিটিংয়ে যেখানে যাবো তারা আমাকে চেনেন না, তুমি আমার হয়ে ভাষণ দিও আর আমি ড্রাইভার হয়ে বসে থাকবো।"

-এরপরে সেই সভায় তো ড্রাইভার হুবহু আইনস্টাইন-এর ভাষণ গড় গড় করে বলে গেলেন, উপস্থিত বিদ্বজ্জনেরা তুমুল করতালি দিলেন। এরপর তাঁরা ড্রাইভারকে আইনস্টাইন ভেবে গাড়িতে পৌঁছে দিতে এলেন।

-সেই সময়ে একজন অধ্যাপক ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলেন "স্যার, ঐ আপেক্ষিক এর যে সংজ্ঞাটা বললেন, আর একবার সংক্ষেপে বুঝিয়ে দেবেন ?"-আসল আইনস্টাইন দেখলেন বিপদ, এবার তো ড্রাইভার ধরা পড়ে যাবে।কিন্তু তিনি ড্রাইভার-এর উত্তর শুনে তাজ্জব হয়ে গেলেন। ড্রাইভার উত্তর দিল।।

-"এই সহজ জিনিসটা আপনার মাথায় ঢোকেনি ? আমার ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করুন সে বুঝিয়ে দেবে।"

বিঃদ্রঃ- জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে চলাফেরা করলে আপনিও জ্ঞানী হবেন। আপনি যেমন মানুষের সাথে ঘুরবেন তেমনই হবেন।

এই জন্যে কথায় আছে–

"সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস,
অসৎ সঙ্গে সর্ব'না'শ"!

একটি পূর্ণবয়স্ক নিমগাছ একসাথে ১০টি এসি চালানোর সমান কাজ করে। আর নিমগাছের ছায়াতলে তাপমাত্রা বাইরের পরিবেশের চেয়ে ১০ ডিগ্র...
07/06/2025

একটি পূর্ণবয়স্ক নিমগাছ একসাথে ১০টি এসি চালানোর সমান কাজ করে। আর নিমগাছের ছায়াতলে তাপমাত্রা বাইরের পরিবেশের চেয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম থাকতে পারে।

নিম গাছ আসলে একটি ব্লেসিং! এটি পরিবেশগতভাবে যেমন উপকারী , তেমনি এটি অনেক বেশি মাত্রার দূষণও সহ্য করতে পারে। নিম গাছের পাতা প্রচুর পরিমাণে সীসা শোষণ করে।

ধূলিকণা, কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার অক্সাইড এবং নাইট্রোজেনের মতো দূষক শোষণ করার ক্ষমতাও নিম গাছের রয়েছে।

পরিবেশ শীতল আর বিশুদ্ধ করতে নিমগাছের তুলনা হয় না আসলে!

আপনার বাড়ির চারদিকে ঘুরিয়ে যদি নিম গাছ লাগাতে পারেন, তাহলে সেটা একটা সবুজ বেল্ট এর মতো কাজ করবে। যার কারনে আপনার বাসার ভেতরে একটা "মাইক্রোক্লাইমেট" তৈরি হবে। তাহলে হবে কী, আপনার বাড়ির তাপমাত্রা আশপাশের চেয়ে কয়েক ডিগ্রি কমে যাবে।

বাড়ির আশেপাশে নিমগাছ লাগিয়ে মাইক্রোক্লাইমেট তৈরি করে প্রাকৃতিক এসির ফিল নেওয়ার সময় এখনই। কারণ বর্ষাকাল চলছে। এই সময়ে বেশি বেশি নিমগাছ লাগিয়ে নিজের ও পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য ইনভেস্ট করা হতে পারে সেরা একটা আইডিয়া!

ছবিটি দেখে চমকে উঠলেন,তাইতো? ইনি ম্যাক্সিকো পার্লামেন্টের একজন সদস্য। সংসদে ডিবেটে অংশ গ্রহণ করার সময় শরীরে সব কাপড় খুলে...
07/06/2025

ছবিটি দেখে চমকে উঠলেন,তাইতো? ইনি ম্যাক্সিকো পার্লামেন্টের একজন সদস্য। সংসদে ডিবেটে অংশ গ্রহণ করার সময় শরীরে সব কাপড় খুলে ফেলেন।

তার যুক্তি, "আপনারা আমাকে দেখে লজ্জা পাচ্ছেন তাই না? লজ্জা তখন পান না যখন রাস্তায় কোন গরীব অসহায় ক্ষুধার্তমানুষ পয়সার অভাবে খালিপায়ে অর্ধ নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ায়", আর আপনি তাদের দেখে অব লীলায় পাশ কাটান অথচ ওদেরই শোষন করে আমি আপনি আজ সংসদের সদস্য।
অভিনব প্রতিবাদকেস্যালুট ,হোক প্রতিবাদ কি বলেন।
Collected

আগুন ও পানি পরস্পরের শত্রু! আগুন লাগলে তা নেভাতে ব্যবহার করা হয় পানি। কিন্তু সিলেটে এমন একটি পুকুর রয়েছে যেখানে পানিতেই ...
05/06/2025

আগুন ও পানি পরস্পরের শত্রু! আগুন লাগলে তা নেভাতে ব্যবহার করা হয় পানি। কিন্তু সিলেটে এমন একটি পুকুর রয়েছে যেখানে পানিতেই জ্বলে আগুন!

প্রায় ৭০ বছর ধরে অদ্ভুত এই দৃশ্য দেখে আসছে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার উতলারপাড় এলাকার মানুষ। রাত-দিন সারাক্ষণই পানিতে উঠতে থাকে বুদবুূদ। দিয়াশলাই কাঠি ফেললেই জ্বলে ওঠে আগুন।

শুধু পুকুর নয়, এর পার্শ্ববর্তী একটি টিলাতেও সবসময়ই জ্বলছে আগুন। স্থানীয়রা তাই এই টিলার নাম দিয়েছে আগুন পাহাড়।

ইতিহাস বলে, ১৯৫৫ সালে পাকিস্তান সরকার এখানে গ্যাসের সন্ধান পেয়ে উত্তোলনের জন্য খননকাজ শুরু করে। তবে অনুসন্ধান কাজ চলাকালীন অতিরিক্ত চাপের কারণে একটি বিস্ফোরণ হয়।

ফলে অনুসন্ধানের সব যন্ত্রপাতি মাটির নিচে তলিয়ে যায় এবং ভূমিধসে সেখানে একটি পুকুরের সৃষ্টি হয়। সেই থেকেই পুকুরের পানিতে বুদবুদ দেখা যায় এবং আগুন ধরালে তাতে আগুন লেগে যায়।

তবে লোকমুখে শোনা যায় এক ভিন্ন কাহিনি। তাদের দাবি, ওই এলাকায় শাহ আহমদ আলী একজন পীর ছিলেন, যিনি পুকুর খননের ব্যাপারে নিষেধ করেছিলেন।

কিন্তু তার নিষেধ অমান্য করে গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ নেওয়ায় এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর কয়েকদিন ধরে পুরো এলাকা জ্বলতে থাকে এবং স্থানীয়রা সেই পীরের সাহায্য নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ইতিহাস যাই হোক, উতলারপাড়ে এই আগুন পাহাড় কৌতূহলী মানুষদের কাছে এখন একটি পর্যটনকেন্দ্র। বিস্ময়কর এই প্রাকৃতিক ঘটনা দেখতে প্রতিদিন শতশত পর্যটক এখানে ভীড় করেন।

বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন পড়ালেখায় খুব দুর্বল ছিলেন। একবার স্কুলের পরীক্ষায় তিনি একেবারেই ভালো করতে পারেননি।রেজাল্টের দ...
03/06/2025

বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন পড়ালেখায় খুব দুর্বল ছিলেন। একবার স্কুলের পরীক্ষায় তিনি একেবারেই ভালো করতে পারেননি।

রেজাল্টের দিন তার হাতে একটি চিঠি ধরিয়ে দিয়ে হেডমাস্টার বললেন, "চিঠিটা খুলো না। সোজাসুজি বাড়ি গিয়ে মায়ের হাতে দেবে।"

এডিসন তাই করলেন আর কৌতূহলবশত মায়ের কাছে জানতে চাইলেন, "মা, চিঠিতে কি লেখা আছে?"

মা মৃদু হেসে ছেলেকে শুনিয়ে জোরে জোরে চিঠিটি পড়লেন, "আপনার পুত্র খুব মেধাবী। এই স্কুলটি তার জন্য অনেক ছোট এবং এখানে তাকে শেখানোর মতো যথেষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নেই। অনুগ্রহ করে আপনি নিজেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করুন।"

তারপর থেকে এডিসন মায়ের কাছেই শিক্ষা গ্রহণ করা শুরু করলেন। কালক্রমে তিনি হয়ে উঠলেন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। আবিষ্কার করলেন পৃথিবীর ইতিহাস বদলে দেওয়া ইলেকট্রিক বাল্ব। কিন্তু ছেলের এই সাফল্য নিজের চোখে দেখার জন্য তখন তার মা আর বেঁচে নেই।

হঠাৎ একদিন পুরোনো কাগজপত্র ঘাঁটতে ঘাঁটতে ভাঁজ করা একটা কাগজের দিকে এডিসনের চোখ আটকে গেল। তিনি কাগজটি হাতে নিয়ে খুলে দেখলেন সেটা সেই ছোটবেলার স্কুলের চিঠি। চিঠিতে লেখা ছিল, "আপনার সন্তান স্থুলবুদ্ধিসম্পন্ন এবং মেধাহীন। সে এই স্কুলের উপযুক্ত নয়। আমরা কোনোভাবেই তাকে আমাদের স্কুলে আর আসতে দিতে পারি না।"

পড়তে পড়তে এডিসনের চোখ ভিজে গেল। মায়ের কথা ভীষণ মনে পড়তে লাগল তার। তখনই তিনি ডায়েরিতে লিখলেন:

টমাস আলভা এডিসন ছিল মানসিকভাবে অসুস্থ এবং জড়বুদ্ধিসম্পন্ন শিশু, কিন্তু তার মা তাকে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ প্রতিভাবান বিজ্ঞানী হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন।

১. নিজেকে কখনো বড় করে প্রকাশ করবেন না। এতে আপনি ছোট হবেন।২. ভুল স্বীকার করার মানসিকতা দেখান। "Thank you", "Please" এই কথ...
01/06/2025

১. নিজেকে কখনো বড় করে প্রকাশ করবেন না। এতে আপনি ছোট হবেন।

২. ভুল স্বীকার করার মানসিকতা দেখান। "Thank you", "Please" এই কথাগুলো বলতে দ্বিধা করবেন না।

৩. কারো কাছে নিজের সিক্রেট শেয়ার করবেন না বা কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না।

৪. অভিজ্ঞতা ছাড়া ব্যবসা করতে যাবেন না।

৫. পর্ণে আসক্ত হবেন না। এতে করে আপনি ক্ষণস্থায়ী সুখের জন্য সুন্দর জীবন হারাবেন।

৫. পরচর্চা করবেন না। যে ব্যক্তি আপনার সামনে অন্যের নিন্দা করে, সে নিশ্চিতভাবে অন্যের সামনে আপনার নিন্দা করে।

৬. গাধার সাথে তর্ক করতে যাবেন না। তর্কের শুরুতেই গাধা আপনাকে তার স্তরে নামিয়ে আনবে, তারপর আপনাকে সবার সামনে অপদস্থ করবে।

৭. পরে করব ভেবে কোনো কাজ ফেলে রাখবেন না। আপনি যদি তা করেন শতকরা ৮০ ভাগ সম্ভাবনা কাজটি আপনি আর কখনোই করতে পারবেন না।

৮. 'না' বলতে ভয় পাবেন না।

৯. স্ত্রীর কারণে বাবা-মাকে বা বাবা মায়ের কারণে স্ত্রীকে অবহেলা করবেন না।

১০. সবাইকে সন্তুষ্ট করতে যাবেন না। এতে আপনি আপনার ব্যক্তিত্ব হারাবেন।

১১. ঝুঁকি ছাড়া সাফল্য আসে না। তাই জীবনে ক্যালকুলেটেড রিস্ক নিতে ভয় পাবেন না।

১২. স্মার্টফোনে আসক্ত হবেন না। গুগলে জীবনের সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন না।

১৩. মনের ইচ্ছা প্রকাশ করতে দেরি করবেন না। কারণ, এই একটি কাজের বিলম্বের জন্য আপনি সারাজীবন পস্তাতে পারেন।

১৩. রিলেশনসিপে অসুখী হলে সেটা আঁকড়ে ধরে থাকবেন না। যে সম্পর্ক মানসিক যন্ত্রণা দেয়, ভেতরে অশান্তি সৃষ্টি করে তা জীবন থেকে দ্রুত মুছে ফেলুন।

১৪. আপনি কখনোই জানেন না যে আপনি স্বপ্নপূরণের ঠিক কতটা কাছাকাছি। তাই, কখনোই লক্ষ্যের পিছু ধাওয়া করা বন্ধ করবেন না। বেশিরভাগ মানুষ সাফল্য লাভের কাছাকাছি গিয়ে হাল ছেড়ে দেয়।

১৫. অকারণে শত্রু বাড়াবেন না।

১৬. কারো ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দিয়ে কোনো কথা বলবেন না বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবেন না।

১৭. বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের সাথে একান্ত মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও করবেন না। তার সাথে আপনার বিয়ে হবেই বা সে আপনাকে ভবিষ্যতে ব্ল্যাকমেইল করবে না এটা আপনি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারেন না।

১৮. যে আপনার কথা শোনার জন্য প্রস্তুত নয়, তাকে কিছু শেখাতে যাবেন না। সে ঠকবে, ভুল করবে, ধাক্কা খাবে; তারপর একসময় ঠিকই আপনার মূল্য বুঝতে পারবে।

১৯. নিজের সম্মান বিসর্জন দিয়ে মানুষের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করবেন না। যেখানে আপনার সম্মান নেই সেখান থেকে এখনই নিজেকে গুটিয়ে নিন।

২০. টাকার পেছনে দৌড়াতে গিয়ে প্রিয়জনদের বঞ্চিত করবেন না।

২১. যেটা হাতছাড়া হয়ে গেছে সেটা নিয়ে আফসোস করবেন না।

Collected

Address

Faridpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Russell Raj posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share