গল্প কথায় রান্নার রেসিপি

গল্প কথায় রান্নার রেসিপি I am growing in to the best version of me. ...

ই/স/রা/ই/লের  উদ্দ্যেশে ইরান একি ছুড়লো।
21/06/2025

ই/স/রা/ই/লের উদ্দ্যেশে ইরান একি ছুড়লো।

ই/স/রা/ই/লের উদ্ধেশ্যে ইরান একি ছাড়লো ? তছনছ হবে তেলআবিব !

ইরানের ভয়ে পালাচ্ছে ই/স/রা/ইল বাসিন্দারা।
21/06/2025

ইরানের ভয়ে পালাচ্ছে ই/স/রা/ইল বাসিন্দারা।

ইরানের ডরে ইসলিরা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে | একি হুলুস্থুল কান্ড |

খামেনী পদত্যাগ করে কোথায় গেলেন?
20/06/2025

খামেনী পদত্যাগ করে কোথায় গেলেন?

ইরানের আকাশে কালো মেঘ | ক্ষমতা হস্তান্তর খামেনির |

বড় যুদ্ধের আশঙ্কা হচ্ছে না তো?
20/06/2025

বড় যুদ্ধের আশঙ্কা হচ্ছে না তো?

আরও বড় যু'দ্ধ হতে যাচ্ছে | যুক্তরাষ্ট্র ও জামানি ১৪ কার্গো বিমান সরঞ্জাম দিল |

20/06/2025

ইরান একি জিনিস নামালো। খবর আছে ই"স"র"ইলের।

যু'দ্ধের জন্য প্রস্তুতি হচ্ছে তুরস্ক। ই'স'রা'ই এর খেলা শেষ।
20/06/2025

যু'দ্ধের জন্য প্রস্তুতি হচ্ছে তুরস্ক। ই'স'রা'ই এর খেলা শেষ।

যু’দ্ধের জন্য প্রস্তুত নিচ্ছে তুরষ্ক | যে কোন মূহুর্তে হাম’ লা |

খুবই খারাপ পরিস্থিতিতে রুপ ধারন করছে।
19/06/2025

খুবই খারাপ পরিস্থিতিতে রুপ ধারন করছে।

ইরানের উপর একি মি'সা'ই'ল ঝড় | ৪০টির বেশি স্থানে বো'মাব'র্ষন |

গল্প : আনমনে সেপর্ব : ০২লেখিকা : ѕυcнηα αктєя ( সূচনা )সকালে জ্ঞান ফিরে আসতেই  তারওপর ছেলেটি ঘুমিয়ে আছে,, ঘুমের মধ্যে এত...
07/04/2025

গল্প : আনমনে সে
পর্ব : ০২
লেখিকা : ѕυcнηα αктєя ( সূচনা )

সকালে জ্ঞান ফিরে আসতেই তারওপর ছেলেটি ঘুমিয়ে আছে,, ঘুমের মধ্যে এতো নিষ্পাপ লাগছে তাকে,, যে কেউ একবার দেখাতেই ক্রাস খাবে,, কেউ বুঝবেও না যে সে রাতের বেলায় মেয়েটির সাথে এমন হিংস্র পশুর মতো করেছে,,মেয়েটি ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আনমনেই মুচকি হাসে,, তারপর হটাৎ এই গত রাতের কথা মনে পরে যায়,,মেয়েটি দেখে তার শরীরে কোনো কাপড় নেই,, তারপর মেয়েটা ধাক্কা দিয়ে ছেলেটিকে সরিয়ে দিয়ে চাদর দিয়ে নিজেকে কিছুটা ঢেকে ওয়াশ রুমে চলে যায়...

ওয়াশ রুমে গিয়া সাওয়ার এর নিচে দারিয়ে কান্না করতে করতে আগে কথা গুলো মনে করতে থাকে...

-------------------[ Flashback ]---------------------

বাবা আমার কলেজের পরীক্ষার রুটিন টা হয়তো ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে একটু দেখে দেবে প্লিজ!!

- ঠিক আছে দেখে দিচ্ছি কিন্তু মা তোমাকে কতো করে বললাম ফেসবুকে নিজের একটা একাউন্ট খুলো,, আমি কি সব সময় বাসায় থাকি বলো!!

- বাবা আমার এই ফেসবুক এপ টা না একটুও পছন্দ না তাই তুমিই দেখে দেবে সব সময়!!

- না মা তুমি আজকেই নিজের একটা একাউন্ট খুলো,, শুধু কারোর সাথে বেশি গভীর বন্ধুত্ব আর কোনো বাজে সম্পর্কে নিজেকে জরিও না তাহলেই হবে!!

- আচ্ছা বাবা ঠিক আছে!!,

- সেদিন বাবার কথা মতো ফেসবুকে নিজের নামে একটা একাউন্ট খুলি,, কিন্তু প্রোফাইলে নিজের কোনো ছবি দেইনি,, শুধু নিজের পছন্দের একটা কার্টুনের ছবি লাগিয়েই জীবনের প্রথম ফেসবুক জগৎ পা রাখি!!

- আসসালামু আলাইকুম আমি আর্শি!! এইবারের HSC candidate,, আমি ছোট্ট একটা গ্রামের খুবই সাধারণ ঘরের সাধারণ একটা মেয়ে,, আমরা এক ভাই এক বোন,, ছোট বেলা থেকে বাবার একটা ভুলের কারণে আম্মু কে এখন পর্যন্ত কান্না করতে দেখি,, যদিও বাবা ভুলটাকে শুধরে নিয়েছে,, তাও সেটার দাগ টা তো আম্মুর মনে ঠিকই রয়ে গিয়েছে,, আম্মু প্রেম ভালোবাসা কখনোই পছন্দ করে না,, নিজেও কখনো এসবে যরায় নি এবং আমাদের দু'ভাইবোনকেও নিষেধ করেছে..!!

- আমি আমার আম্মুর বাধ্য মেয়ে,, পৃথিবীর সব এক পাশে থাকলেও আমার আম্মু আরেক পাশে,, সে যা বলবে তাই হবে,, আম্মুকে আর নিজেকে সেই ছোট বেলায়ই কথা দিয়েছিলাম যে আমি কখনোই নিজেকে এই সব প্রেম ভালোবাসার নামে মিথ্যা মায়ায় নিজেকে যরাবো না!!

- তাই নিজেকে ঠিক ওমন ভাবেই তৈরি করেছি,, কখনো কোনো ছেলের প্রতি নিজেকে দূর্বল হতে দেই নি,, Inter 1st year পর্যন্ত মানে ফেসবুক একাউন্ট খোলার আগ পর্যন্ত কোনো ছেলে ফ্রেন্ডও ছিলোনা আমার,, আমি বরাবরই খুব চুপচাপ আর একা থাকতে পছন্দ করি,, খেলা ধুলোর প্রতি নেশা ছিলো কিন্তু আম্মু বলেছে,, আমি বড় হচ্ছি,, আর মেয়েদের না-কি এতো লাফালাফি করা ঠিক না!!

[ Flashback এর প্রথম টুকু বোরিং লাগতেই পারে কিছু করার নেই স্টোরি মেলাতে হইলে এইটুকু লিখতেই হবে ]

- তাই ক্লাস সেভেন থেকেই ছেড়ে দিলাম সবধরনের খেলাধুলো,, নিজের ইচ্ছেতেই বোরকা পড়া শুরু করলাম,, ক্লাস সেভেন থেকে আজ পযন্ত আমার চেহারা আমাদের গ্রামের কেউ কখনো আর দেখিনি,, কোনো অনুষ্ঠানে গেলেও হয় বোরকা নয়তো হিজাবের সাথে মাস্ক পরে যাই,, সব কিছু ঠিকই চলছিলো কিন্তু আমি গল্পের বই আর কার্টুনের প্রতি নেশাটা কখনোই কমাতে পারিনি!!

- আমার জীবনের প্রথম দূর্ঘটনা টা ঘটে ক্লাস 8 থেকে,, আমি গনিতে দূর্বল ছিলাম তাই পরীক্ষার সময় একটু সমস্যার জন্য JSC তে অনেক খারাপ করে বসি,, ঠিক ঐদিন থেকে শুরু হয় আমার জীবনের খারাপ দিন গুলো,, পাড়া-প্রতিবেশী হতে আত্বী-স্বজন মা বাবা কেউ তখন আমার পাশে ছিলো না সবাই যার মতো করে উঠতে বসতে কথা শুনিয়েছে!!

- তখন থেকেই শুরু হয় আমার ডিপ্রেশনের সাথে বন্ধুত্ব,, যেটা আজও আমাকে ছেড়ে যায় নি,, পুরো একটা বছর আমাকে এই সহ্য কর বিড়ম্বনার মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয়!!

- তারপর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি ঠিক না হলেও আমি সেটা কে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি,, যেহেতু আমাকে বাচতে হবে তাই এমন মরে মরে বাচা যায় না,, তাই সব কিছু ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেই,, দেখতে দেখতে কেটে গেলো কয়েকটা বছর আমি তখন নতুন নতুন কলেজে ওঠেছি!!

- আমাদের কলেজটা সরকারি,, এখানের সব ধরনের নোটিশই ফেসবুকের মাধ্যমে দেওয়া হয় এমনকি কবে কলেজ বন্ধ কবে খোলা সব কিছু!! আমার সব সময় এই পার্সোনাল ভাবে "ফেসবুক" "টিকটক" এই দুইটা এপ পছন্দ না,, কিন্তু বাবার কথায় ঐদিন একাউন্ট টা খুলেছিলাম!!

- ভালোই চলছিলো দিন গুলো,, আমি নতুন কোনো জিনিস পেলে ওটার প্রতি খুব আগ্রহ দেখাই সব সময়,, কিন্তু ফেসবুকের ক্ষেত্রে এমনটা হতো না,, তাও কলেজের জন্য বাধ্য হয়ে দেখা লাগতো,, আমার কলেজের বেস্টি ইশরাত ছাড়া,, অপরিচিত কারোর কোনো ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট ও একসেপ্ট করতাম না,, তবে কিছু দিন যাওয়ার পর বেছে বেছে ভালো প্রোফাইল ওয়ালা মেয়েদের ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট একসেপ্ট করতাম!!

- একদিন একটা id থেকে হটাৎ করে মেসেজ আসে,, আমি মেয়ে ভেবে ওকে রিপ্লাই দেই,, কিছুক্ষণ কথা বলার পরে জানতে পারি ওটা একটা ছেলে,, তারপর নাম খেয়াল করে দেখি আসলেই ওটা একটা ছেলের নাম দেওয়া কিন্তু আমি খেয়াল করি নি!!

- ছেলেটার কথা গুলো খুব সুন্দর ছিলো ওর নাম ছিলো রাফসান,, ওকে আমি সাথে সাথে ব্লোক দিতে চেয়েও কেনো জানি পারলাম না,, ওর সাথে কথা হতো প্রায় প্রতিদিন,,ওকে আমি প্রথম দিনই বলেছিলাম আমি প্রেম ভালোবাসা পছন্দ করি না যদি আমার সাথে কথা বলার হয় তাহলে যাতে সে শুধু ফ্রেন্ড হিসেবেই থাকে,,

- তারপর সেও রাজি হয়,, রাফসানকে আমার বেস্টি ইশার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই,, আস্তে আস্তে রাফসানও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে ওঠে!!

- সত্যি বলতে রাফসানের মতো করে আমি নিজেই কখনো নিজেকে বুঝিনি ও এতোটা নিখুদ ভাবে আমাকে বোঝে,, ওর এই দিকটাই আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো!!

- রাফসান আমার থেকে বয়সে মাত্র ১ বছরের বড় কিন্তু ক্লাসমেট,,তবে ওদের বাড়ি শহরে,, আমার থেকে ওর মধ্যে ম্যাচিউরিটি বেশি কারণ ও পৃথিবীটাকে একটু হলেও দেখেছে যেটা তখন আমি দেখিনি,, আমি তো সারাক্ষণ কার্টুন নিয়ে পরে থাকতাম তাই কাজ কর্মও বাচ্চাদের মতো,, আমার সব ফ্রেন্ডরা আমাকে বাচ্চা বেড়াল বলে ডাকে!!

- ওর সাথে ফ্রেন্ডশিপ হওয়ার পর আমি ওর কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখি,, ভালো লাগতো ওর সাথে কথা বলতে,, আমাদের ফ্রেন্ডশিপ টা ৫ মাসের ছিলো ভালোই ছিলাম আমরা,, একদিন ফেসবুকে একটা পোস্ট দেখতে পাই,,একটা বড় কোম্পানিতে ইমার্জেন্সি পিএর প্রয়োজন!!

- পড়ালেখা না কাজের দক্ষতা দেখে সিলেক্ট করা হবে,, আমি প্রথম দিন স্কিপ করে যাই পোস্ট টা!!

- কিছুদিন পরে আবার ঐ রকম একটা পোস্ট আমার চোখের সামনে আবার চলে আসে!! তখন মনে মনে ভাবি “ আচ্ছা আমার চাকরিটা যদি আমি পাই তাহলে কেমন লাগবে,, ওফ্ কি আনন্দ টাই না হবে আমি জীবনের প্রথম কোনো কাজ করবো নিজের পায়ে দারাবো,, কিন্তু এতো এতো মানুষ এপ্লাই করবে এখানে আমি কি আদোও চান্স পাবো ”!!

- আমি রাফসান কে তখন পোস্ট টা সম্পর্কে বলি,, রাফসান তখন সরাসরি না করে দেয়া,, বলে যে...

রাফসান : দেখ আর্শি তর এই ধরনের কাজ করা লাগবে না,, এই কোম্পানিটা তো শহরের আর তুই তো গ্রামে কি করে করবি বলতো কাজটা হুম.!!

আর্শি : কেনো রে কোম্পানিটা কি খুব খারাপ বলনা!! যদি খারাপ হয় তাহলে আমি কাজ করবো না কিন্তু যদি ভালো হয় তাহলে ক্ষতি কি!!

রাফসান : ও্মম না ওতোটা খারাপ না তবে তোর ইচ্ছে!!

- তখন আমি আর কিছু বলিনি তারপর একদিন,, পোস্টটা থেকে আরো ডিটেইলস বের করে আমি অনলাইনে ইন্টারভিউ দেই!! তখন আমি নিজেই নিশ্চিত ছিলাম না কাজটা নিয়ে তাই কাউকে কিছু বলি নি..!!! এমনকি রাফসান বা ইশরাত কেও না!!

- তারপর হটাৎ এই একদিন আমাকে উনাদের অফিসে যেতে বলা হয়...কিন্তু আমি তো গ্রামের মেয়ে ঢাকা শহর তেমন একটা চিনি না,, আর বাবা মাও একা একা ছাড়বে না,, তাই কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না,, তখন হটাৎ মাথা আম্মু আব্বু কে না জানিয়েই একা ঢাকা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই..

কলেজের জন্য বের হয়ে ঢাকা চলে যাই উনাদের লোকেশন অনুযায়ী গুগল ম্যাপ দেখে দেখে চলে যাই সেই অফিসে...

কিছুক্ষণ বাহিরে বসে ছিলাম তারপর একটা আপু আসে...সে আমাকে প্রাথমিক কিছু জিজ্ঞেসা করে তারপর ইন্টারভিউ রুমে নিয়ে যায়,, যদিও অনলাইনে ইন্টারভিউ দেওয়া তে তখন আর তেমন কিছু জিজ্ঞেস করে নি শুধু চাকরি টা কনফার্ম করার জন্য ডাকা হয়েছিলো...

ইন্টারভিউ রুমে উনারা ৫ জন ছিলো...আফিয়া আপু,, রুহি আপু,, আরিসা আপু,, শাওন ভাইয়া,, আর রিশান রহমান সবার সাথে মোটামুটি ভাবে পরিচিত হই...তারপর চাকরিটা কনফার্ম করে বাসায় ফিরে যাই...ওখানে বেশি সময় না লাগায় বাসায় ফিরতেও কোনো সমস্যা হইনি...

বাসায় আসার পর আম্মু আব্বু কে চাকরির কথাটা বলি...তারা প্রথমে রাজি না হলেও আমার জেদের কাছে হারমেনে তারাও রাজি হয়ে যায়,, আসলে আমি লোকের কথা মতে ভালোর ভালো আবার প্রচুর ঘাড়ত্যাড়া স্বভাবের,, তাই আম্মু আব্বু তেমন জোর করে নি...

কিন্তু আমাকে তো চাকরিটা করতে হলে ঢাকায় থাকতে হবে,, তাই বাবা মায় সিদ্ধান্ত নেয় আমাকে ফুপির বাড়িতে রেখে আসবে...কিন্তু আমি না করে দেই আর অফিসের কাছাকাছি একটা কলেজে ভর্তি হয়ে,, একা একটা বাসা ভাড়া নেই সেখানে আমি আর আমার এক ক্লাস মেট ( তাহিয়া ) এক সাথে থাকবো..

চলবে............🥴

07/04/2025

#প্রেয়সী
(কাজিন রিলেটেড গল্প)
১|

সকাল থেকে বাড়িতে হৈচৈ পড়ে গেছে। কারণ, আজ তন্ময় ভাই আসছে। উনি আবার সদা গোছানো সবকিছু পছন্দ করেন। কোথাও একটু ময়লা থাকতে পারবেনা, বিছানার চাদর সামান্য কুঁচকে যেতে পারবেনা, খাবার টেবিলের আশেপাশে কেউ চুল খোলা রেখে হাঁটতে পারবেনা। আরও যত্তসব হাবিজাবি নিয়মে ভরে রেখেছেন বাড়িটা।
এভাবে, এক দিক দিয়ে শান্তি যে সবসময় বাড়িতে থাকেনা। বেশিরভাগ সময় কাজের সূত্রে ঢাকা থাকেন।
আবার, এমন না যে উনার থেকে মুরুব্বি, এই বাড়িতে আর কেউ নেই। বড় চাচ্চু আছে, আমার আব্বু তারপর ছোট চাচ্চুও আছেন। কিন্তু, সবাইকে কি গুল খাইয়েছেন কে জানে, তন্ময় বলতে সবাই অজ্ঞান। তন্ময় বলেছে? তাহলে এটাই ঠিক, তন্ময় বলেনি তাহলে এটা জীবনেও হবেনা। বড় চাচ্চু এখানকার মেয়র, তার কথায় কতো মানুষ ওঠে বসে। কিন্তু, সেও তার দামড়া ছেলের কথায় চলে।
সবাই ভয় শ্রদ্ধার সাথে আর একটা জিনিস তন্ময় ভাইকে ফ্রিতে দেয়, তা হলো অফুরন্ত ভালোবাসা। আমার এসব দেখলে পিত্তি জ্বলে যায়, জ্বলে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট কারণও আছে।

স্কুলের গন্ডি পেরোনোর পরে, আমার বান্ধবীরা এই মফস্বল ছেড়ে কেউ ঢাকা, তো কেউ অন্য শহরে উড়াল দিতে লাগলো।
আমিও এই শাসনের জীবনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়লাম। সব নিয়ম কানুন ভেঙে ফেলতে চাইলাম, যা এখানে থাকলে কখনোই সম্ভব না।
তাই, আব্বুর কাছে বললাম,
- ' আমিও ঢাকায় যেতে চাই। ওখানকার কোনো কলেজে এডমিশন নিয়ে, হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করবো। '
আব্বু-আম্মু প্রথমে রাজি না হলেও আমার জোড়াজুড়িতে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে গেলেন। কিন্তু, বাঁধ সাধলেন তন্ময় ভাই।
সেদিন সন্ধ্যায় হুট করে ঢাকা থেকে চলে এলেন। রাতে খাবার টেবিলে যখন আম্মু বললেন,
--' অরু বলছিল ওর সব বান্ধবীরা নাকি ঢাকায় এডমিশন নিচ্ছে, অরুও চাচ্ছে। তুই একটা ভালো কলেজে...'
আম্মু কথা শেষ করতে পারলেন না, তার আগেই ভ্রু উঁচু করে, আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
--' ঢাকায় যাবার কি দরকার? এখানে কি কলেজ নেই?
আর মামনী তুমি কিভাবে রাজি হও? ও বোঝেটা কি? বাসা ছেড়ে কখনো একা থেকেছে কোথাও? মানিয়ে নিতে পারবেনা। তার থেকে এখানেই থাকুক। '
আমার সব স্বপ্ন চোখের সামনে ভেস্তে যেতে দেখে, প্রায় চেঁচিয়েই বলে উঠলাম,
-- ' আমি পারবো মানিয়ে নিতে। '
রাক্ষুসে দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
-- ' তোর কাছে জিজ্ঞেস করেছি আমি? '
আমি খাওয়া শেষ না করেই উঠে এলাম। রাতে আব্বু বাসায় এলে চেঁচামেচি করতে লাগলাম। আমার জীবনের সিদ্ধান্ত আমি নেবো, এখানে উনি বলার কে? আরও, বেশি খারাপ লাগছিল কারণ আব্বু-আম্মু রাজি ছিলেন, আমাকে ঢাকায় পাঠানোর জন্য। কিন্তু, শুধুমাত্র উনার কথায় এখন আমি যেতে পারছিনা। আমার কান্না থামছিলনা। আবার এসে, তন্ময় ভাই আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে, আব্বুকে বললেন,
-- ' চাচ্চু আমার যা ভালো মনে হয়েছে তাই বললাম। এবার তোমার যা ঠিক লাগে। '
উনার নারাজি উনার কথায়ই স্পষ্ট বোঝা গেছে। ব্যস, আমার ঢাকা যাওয়া ক্যান্সেল হয়ে গেল। রাতে ছাঁদে বসে একা একা কাঁদছিলাম। হঠাৎ, করেই চুলে টান অনুভব করলাম। মনে হচ্ছে কেউ তার সমস্ত শক্তি দিয়ে আমার চুল টেনে ধরেছেন। পিছনে ফিরতেই দেখি তন্ময় ভাই রক্তচক্ষু নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। আমার কোমড় ধরে ছাদের চওড়া রেলিং এর উপর বসিয়ে দিলেন, এক হাতে তখনও চুল ধরে আছেন।
-- ' কি? ছাঁদের উপর থেকে হাত পা বেঁধে ফেলে দেই তোকে? তারপর ভাঙা ঠ্যাং ঠিক করতে ঢাকায় যাবি। ঠ্যাং টানা দিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকবি। এতো ঢাকায় যাবার শখ তোর, শখ মিটিয়ে দেই এবার?'
আমি কোনো কথাই বলছিলাম না, শুধু ফুপিয়ে কেঁদেই যাচ্ছিলাম।এমনিতেই আমার উচ্চতা ভীতি আছে, তারপর যেই জোরে চুল আর কোমড় ধরে আছেন, তাতে আমি একচুলও নড়তে পারছিলাম না।আমাকে চুপ থাকতে দেখে আরও রেগে গেলেন, এবার ধমকে উঠলেন।
-- ' কি হলো কথা বলছিস না কেন? তোর মতো একটা পুঁচকে আমার কথার অবাধ্য হবে সেটা সহ্য করবো না আমি। এই ফাস্ট আর লাস্ট ওয়ার্নিং এরপর আর এসব বরদাস্ত করবো না। সোজা ছাঁদ থেকে ফেলে দেবো, মনে রাখিস। '
রাতে না খেয়েই উঠে গিয়েছিলাম, সকালেও রাগ করে খাইনি। দুপুরে খেতে যখন ডাইনিং এ যাই তন্ময় ভাই বললেন,
--' এই বেলায়ও তুই না খেয়ে থাক। অবাধ্যতার শাস্তি এটা। '
সেই থেকে আরও নিয়মের বেড়াজালে আঁটকে গেলাম।
কলেজ, বাসা আর কোচিং-এ আমার জীবন আঁটকে রইলো।
একদিন ফ্রেন্ডদের সাথে কলেজ থেকে একটু দূরে ঘুরতে গেলাম। কোথা থেকে অনেকগুলো ছেলে এসে হাজির। এদের সবাইকে বড় চাচ্চুর কাছে আমাদের বাসায় আসতে দেখেছি। এসেই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন ,
--' আপু এখানে কি করছো? কোনো কাজ থাকলে বলো আমরা করে দিচ্ছি। '
-- ' কোনো কাজ নেই এমনিতেই এসেছি। '
বলতেই একজন একটা ফোন হাতে ধরিয়ে দিয়ে কথা বলতে বললেন৷ কিছুই বুঝলাম না। তারপরও আস্তে আস্তে ফোন হাতে নিয়ে, " হ্যালো " বলতেই সেই রক্তহিম করা কন্ঠ কানে বাজলো, তন্ময় ভাই।
-- ' কলেজে কি ঘুরতে যাস? এইজন্যই ঢাকা আসতে চাইছিলি? চুপচাপ বাসায় যা, আবার কখনো এমন শুনলে তোর হাড্ডি-গুড্ডি ভেঙে বাসায় বসিয়ে রাখবো। '
চোখ ফেটে পানি আসতে চাইলো, চুপচাপ বাসায় চলে এলাম। এরপর থেকে আবার সেই আগের রুটিনে আমার দিন চলতে লাগলো।

আমার রঙিলা জীবনটা'কে সাদাকালো বানিয়ে ফেলা,
সেই তন্ময় ভাই আসছে। তারজন্য বাড়ি খুশিতে ভরপুর। আমার প্রত্যেককে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হয়, এতো নাচা-নাচি কিসের? কোন বাল আসবে যার জন্য এতোকিছু? কিন্তু সবসময় আপনি যা চাইবেন তা করতে পারবেন না।
দরজায় কে যেন নক করছে। সকাল সকাল এতক্ষণ এই তন্ময় নাম জপলাম, আজ নিশ্চিত দিনটা খারাপ যাবে। এলোমেলো চুল গুলো বেঁধে বিছানা থেকে উঠে গিয়ে, দরজা খুললাম।
--' কিরে তুই এখনো উঠিসনি? '
--' আজ ছুটির দিন আম্মু,এতো সকালে উঠতে হবে কেন?'
-- ' তন্ময় আসছে...'
-- ' তো আমি কি করবো আম্মু? তোমাদের আদরের দুলাল আসছে।কল্লার উপরে উঠিয়ে কিছুক্ষণ ধেইধেই করে নেচে এসো না কেন। '
-- ' বেয়াদবের মতো কথা বলিস না। এসব কেমন ছিড়ি কথা বলার?'
আমি দরজা ছেড়ে রুমে এসে বিছানার চাদর ঠিক করতে লাগলাম। এতো কথা ভালোলাগে না। যাকে সহ্য হয়না, তাকে নিয়ে কথা বলতেও ভালোলাগে না। আম্মুও আমার পিছন পিছন রুমে আসলেন।
--' তুই কি তন্ময়ের সামনেও এভাবে কথা বলবি? '
বিছানা ঝাড়ার কুঁচিটা হাত থেকে ফেলে দিলাম,
-- ' না, আম্মু ভুলেও না। আমাকে কি পাগলা কুত্তায় কামড়েছে? তন্ময় ভাই আসার সাথে সাথেই, আমি তার পা ধরে ঝুলে পড়বো। সেই যে ঝুলবো ঝুলেই থাকবো, লাত্থি দিয়েও ফেলতে পারবেনা। '
আম্মু কিছুক্ষণ কড়া দৃষ্টিতে, আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। তারপর কিছু না বলে চুপচাপ রুম থেকে বেড়িয়ে গেলেন। হয়তো বুঝে ফেলছেন এখন আমার সাথে কথা বলে সুবিধা করতে পারবেন না। বিছানা ঠিক করে ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে এলাম।
সাড়ে ছয়টা বাজে। এরমধ্যে সবাই উঠে পড়েছে, তাদের প্রানের তন্ময় যে আসবে। তন্ময় ভাই আটটার দিকে এসে বাড়িতেই নাস্তা করবেন। উনার সামনে পরার কোনো ইচ্ছে নেই। কিচেনে এসে এক কাপ চা আর দুই পিস বিস্কিট নিয়ে আবার রুমে চলে এলাম।
চা খেয়ে একটা বই নিয়ে বসতেই, দরজায় আবার কেউ নক করলো। চা খাওয়ার পর মাথাটা যে ফ্রেশ হয়েছিল, তা পরক্ষণেই বিগড়ে গেল। আবার যদি আম্মু আসে তো একটা দফারফা হয়ে যাবে এবার। চেঁচিয়ে উঠলাম,
--' কে? '
একটু পরেই চশমা চোখের ঝাকড়া চুলওয়ালা একটা মাঝারি সাইজের মাথা পর্দার আড়ালে উঁকি দিলো। দীপ্ত।
ওকে দেখেই ফিক করে হেসে উঠলাম। দীপ্ত ছোট চাচ্চুর ছেলে, ক্লাস নাইনে পড়ে। সবার মতো তন্ময় ভাইকে ভালোবাসলেও এই ছেলে পুরোই আমার ভক্ত।
-- ' কিরে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিস যে,ভেতরে আয়। '
-- ' বাব্বাহ। যে জোড়সে চেঁচালে, তাতে ভেতরে আসতে সাহস হচ্ছেনা। '
-- ' ঢং করিস না, কিছু বলবি? '
-- ' হেহ, যেভাবে চেঁচালে তাতে আর কথা বের হয় মুখ থেকে। '
-- ' মাফ চাই ভাই,যা বলার জলদি বল।'
-- ' বড়ো মা নিচে ডাকছে। '
বড় মা হচ্ছেন, আমাদের বড় চাচি। আমরা গুষ্টি-সুদ্ধ ভাইবোন সবাই বড় মা ডাকি। আমি নিশ্চিত বড় মা তন্ময় ভাইয়ের থেকে আমাকে বেশি ভালোবাসেন। এই মানুষটার সব কথা কেন জানি শুনতে ইচ্ছে করে আমার। কিন্তু এটা মানতে ইচ্ছে হলো না। দীপ্তকে বললাম,
--' আমার মাথা ব্যাথা করছে৷ নিচে যাবোনা এখন। '
মাথা ব্যাথার কথা বললে আর কেউ জ্বালাতে আসবেনা। দীপ্ত ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলো,
--' আসলেই কি মাথা ব্যাথা?'
এই ছেলেটা কুবই বুদ্ধিমান। সবকিছু বুঝে যায় ফেলে । কিন্তু এখন বুঝলেও কিছু করার নেই। বইটা বন্ধ করে উঠে দাঁড়ালাম,
--' তোর কথায় মাথা ব্যাথা এসে যাবে। যা ভাগ এখান থেকে। '
--' বাব্বাহ যে একটা মাথা৷ ' বলেই ফিক করে হেসে চলে গেলো দীপ্ত।
আমি দরজা বন্ধ করে দিলাম। চুপচাপ নিজের ঘরে বসে রইলাম। কিছুক্ষণ পর মনে হলো কেউ আমার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কেন মনে হলো জানিনা৷ তবে মনে হলো আসলেই কেউ দাঁড়িয়ে আছে। আস্তে উঠে দরজা খুললাম, না কেউ নেই। আবার এসে বই নিয়ে শুয়ে পড়লাম।
আমাদের বাসার অঘোষিত নিয়ম রয়েছে, সকাল-দুপুর আর রাতের খাবার সবাই একসাথে খাবে। যে যতই ব্যাস্ত থাকুক না কেন সবাই একসাথে খাওয়ার চেষ্টা করে। সকালটা রুমে আঁটকে থাকলেও জানতাম দুপুরে ওই তন্ময় ভাইয়ের সামনে যেতে হবে।উনাকে দেখলে আমার মাথায় ধপ করে আগুন জ্বলে যায়। যাবো না উনার সামনে। একটা সাদা কাগজে বড় বড় অক্ষরে লিখলাম,
--' মাথা ব্যাথা করছে,ঘুমুচ্ছি আমি। কেউ ডাকবে না। '
তারপর সেটা দরজায় সেটে দিয়ে শুয়ে পড়লাম। দুপুরে ঘুমানোর বদ অভ্যাস এমনিতেই আছে। তার উপরে সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠায় একটু পরেই ঘুমিয়ে পড়লাম। '
ঘুম ভাঙলো সাড়ে তিনটার দিকে। গোসল করে আসতে আসতে চারটা দশ। দরজা খুলে পা টিপে টিপে রুম থেকে বের হলাম। আমার টানানো নোটিশে একটা কঙ্কালের ছবি আঁকা।
নিশ্চয়ই দীপ্তর কাজ। খিদেয় পেট জ্বলছে, সোজা ডাইনিং এ চলে এলাম।
-- ' একি এভাবে বিড়ালের মতো হাঁটছিস কেন? '
হঠাৎ, কথা বলায় চমকে উঠে পিছনে তাকিয়ে দেখি ছোট কাকি।কোনো কথা না বলে প্লেট নিয়ে খেতে বসলাম। বড় মাও কোথা থেকে হাজির,
--' কিরে তোর মাথা ব্যাথা কমেছে? '
--' হু। '
-- ' আস্তে খা,গলায় বাঁধবে। '
-- ' কথা বলোনা তাহলে বাঁধবেনা। '
খাওয়া শেষে কিছুক্ষণ বাগানে হাঁটাহাঁটি করলাম। তন্ময় ভাই বাড়িতে নেই৷ মনেহয় তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের সাথে দেখা করতে গেছেন।আমি আরাম করে বাড়ির আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ালাম। সারাটাদিন ঘর বন্দী ছিলাম যেহেতু।

রাতে খেয়ে টেয়ে রুমে চলে আসলাম। তন্ময় ভাই তখনও বাসায় আসেনি। এতদিন পরে এসেছেন, নিশ্চয়ই জন্মের মতো আড্ডা দিচ্ছে। বাহ! তন্ময়ের বাচ্চা। নিজের বেলায় ষোল আনা, আর আমার বেলায় আধা আনাও নাহ। আল্লাহ তোর বিচার করবে শয়তান। শুয়ে শুয়ে কতক্ষণ তন্ময় ভাইকে শাপ শাপান্ত করলাম। ইয়ারফোন কানে দিয়ে রুমে ঘুরলাম৷ নাহ ঘুম আসছেনা।
আসবে কিভাবে? দুপুরে যে মরার মতো ঘুমালাম, তাতে তো রাতে জিন্দা লাশের মতো ঘোরাফেরা করাই স্বাভাবিক। ঘড়ির কাটায় রাত দুটো বেজে দশ মিনিট, কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে ছাঁদে চলে এলাম।সাইড থেকে একটা টুল নিয়ে খুব সাবধানে রেলিঙের উপর চড়ে বসলাম। পা ঝুলিয়ে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে গান শুনছি।
মৃদু বাতাসে চুলগুলো ছেড়ে দিলাম৷ ভুতে ধরলে ধরুক না। কয়েকটা পেত্নী এসে আমার চুলে বাসা বাধুক, নইলে উড়িয়ে নিয়ে কোনো গাছের মগডালে বসিয়ে দিক। আই ডোন্ট কেয়ার।

কিন্তু ভুতে না ধরলেও অন্য কিছুতে ধরেছে আমায়।
কেউ একজন একদম আমার পিছনে দাঁড়িয়ে। তার গরম নিশ্বাস আমার ঘাড়ে এসে লাগছে। আমার পুরো শরীর জমে যাচ্ছে।
এ বাড়িতে এতো রাতে শুধু একজনই ছাঁদে আসে,তন্ময় ভাই।

চলবে

নাবিলা ইষ্ক

04/03/2025

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars – they help me earn money to keep making content that you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars.

19/12/2024

শুভ রাএি

Address

Faridpur, Dhaka
Faridpur
7801

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when গল্প কথায় রান্নার রেসিপি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share