দোয়া ও সূরা সমূহ - Islamic Information

দোয়া ও সূরা সমূহ - Islamic Information ইসলামিক পোষ্ট শেয়ার, লাইক, কমেন্ট করে ইসলাম প্রচারে সহায়তা করুন। পেইজ টি লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন

19/11/2024

✅কাউকে ইসলামের নৈতিক বিষয়গুলো শেখানোর এবং কুরআনের আলোকে গড়ে তুলার ভালে সময় হচ্ছে শৈশবকাল , তাই সন্তানকে ইসলামের নৈতিকতা শিখাতে এবং রুচিশিল ও মার্জিত করে গড়ে তুলতে আমরা নিয়ে এসেছি , "এসো আলকুরানের গল্প পরি সিরিজ "
✅এই সিরিজে রয়েছে মোট দশটি বই। বইগুলো হলো- নবীর জ্ঞান অর্জন, 👉কাবা নির্মাণ,
👉ধৈর্যশীল নবী,
👉রাণী ও তার সিংহাসন,
👉পিতা পুত্রের কুরবানী,
👉এক বিস্ময়কর স্বপ্ন,
👉অহংকারীর কঠিন শাস্তি,
👉আসমানী খাবার,
👉বিশাল নৌকা ও
👉ছিন্নভিন্ন পহাড়।
✅আপনার সন্তানকে ছোট থেকেই কুরআনের জ্ঞানে আলোকিত করতে , রুচিশিল ও মার্জিত করে গড়ে তুলতে এখনি অর্ডার করুন "
অর্ডার করতে মেসেজ করুন অথবা কল করুন : 01710687700 এই নাম্বারে

16/11/2024

সন্তানকে উত্তম আদব শিক্ষা দেয়া পিতার পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ উপহার।
কাউকে আদব-আখলাক শেখানোর সবচেয়ে ভালো সময় শৈশবকাল।
বড় হয়ে শেখা অনেক কঠিন।
তাই সন্তানকে আদব-কায়দা শেখাতে, তাকে মার্জিত, রুচিশীল করে গড়ে তুলতে আমরা নিয়ে এসেছি চমতকার একটি সিরিজ।

‘ছোটদের আদব সিরিজ’ ,,
যেখানে গল্পে গল্পে আদব ও আখলাকের বিভিন্ন দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ছোটদের উপযোগী করে সহজ সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য গল্প।
সিরিজে রয়েছে মোট 10 টি বই রয়েছে।

✅এই সিরিজে বইগুলো হলো-
👉কথা বলার আদব।
👉সাক্ষাৎ করার আদব।
👉পড়াশোনা করার আদব।
👉খেলাধুলা করার আদব।
👉খাবার খাওয়ার আদব।
👉ঘুমানোর আদব।
👉রাস্তায় চলাচলের আদব।
👉পোশাক পরার আদব।
👉পবিত্রতার আর্জন করার আদব।
👉ইবাদত করার আদব।

✅আপনার সন্তানকে ছোট থেকেই কুরআনের জ্ঞানে আদর্শবান ,রুচিশিল ও মার্জিত করে গড়ে তুলতে "শিশুদের আদব সিরিজ" এখনি অর্ডার করুন- WebSide https://smosto.com/product/adob-series/
অর্ডার করতে মেসেজ করুন অথবা কল করুন : 01710687700

29/10/2024
18/10/2024

হযরত লূত (আলাইহিস সালাম)

হযরত লূত (আঃ) ছিলেন হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর ভাতিজা। চাচার সাথে তিনিও জন্মভূমি ‘বাবেল’ শহর থেকে হিজরত করে বায়তুল মুক্বাদ্দাসের অদূরে কেন‘আনে চলে আসেন। আল্লাহ লূত (আঃ)-কে নবুঅত দান করেন এবং কেন‘আন থেকে অল্প দূরে জর্ডান ও বায়তুল মুক্বাদ্দাসের মধ্যবর্তী ‘সাদূম’ অঞ্চলের অধিবাসীদের পথ প্রদর্শনের জন্য প্রেরণ করেন। এ এলাকায় সাদূম, আমূরা, দূমা, ছা‘বাহ ও ছা‘ওয়াহ নামে বড় বড় পাঁচটি শহর ছিল। কুরআন মজীদ বিভিন্ন স্থানে এদের সমষ্টিকে ‘মু’তাফেকাহ’ (নাজম ৫৩/৫৩) বা ‘মু’তাফেকাত’ (তওবাহ ৯/৭০, হাক্বক্বাহ ৬৯/৯) শব্দে বর্ণনা করেছে। যার অর্থ ‘জনপদ উল্টানো শহরগুলি’। এ পাঁচটি শহরের মধ্যে সাদূম (سدوم) ছিল সবচেয়ে বড় এবং সাদূমকেই রাজধানী মনে করা হ’ত। হযরত লূত (আঃ) এখানেই অবস্থান করতেন। এখানকার ভূমি ছিল উর্বর ও শস্য-শ্যামল। এখানে সর্বপ্রকার শস্য ও ফলের প্রাচুর্য ছিল। এসব ঐতিহাসিক তথ্য বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। ‘সাদূম’ সম্পর্কে সকলে একমত। বাকী শহরগুলির নাম কি, সেগুলির সংখ্যা তিনটি, চারটি না ছয়টি, সেগুলিতে বসবাসকারী লোকজনের সংখ্যা কয়শত, কয় হাযার বা কয় লাখ ছিল, সেসব বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। এগুলি ইস্রাঈলী বর্ণনা, যা কেবল ইতিহাসের বস্ত্ত হিসাবে গ্রহণ করা যায়। কুরআন ও হাদীছে শুধু মূল বিষয়বস্ত্তর বর্ণনা এসেছে, যা মানবজাতির জন্য শিক্ষণীয়।

উল্লেখ্য যে, লূত (আঃ) সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের ১৫টি সূরায় ৮৭টি আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।

লূত (আঃ)-এর দাওয়াত

লূত (আঃ)-এর কওম আল্লাহর ইবাদত ছেড়ে শিরক ও কুফরীতে লিপ্ত হয়েছিল। দুনিয়াবী উন্নতির চরম শিখরে উন্নীত হওয়ার কারণে তারা সীমা লঙ্ঘনকারী জাতিতে পরিণত হয়েছিল। পূর্বেকার ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিগুলির ন্যায় তারা চূড়ান্ত বিলাস-ব্যসনে গা ভাসিয়ে দিয়েছিল। অন্যায়-অনাচার ও নানাবিধ দুষ্কর্ম তাদের মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি পুংমৈথুন বা সমকামিতার মত নোংরামিতে তারা লিপ্ত হয়েছিল, যা ইতিপূর্বেকার কোন জাতির মধ্যে পরিদৃষ্ট হয়নি। জন্তু-জানোয়ারের চেয়ে নিকৃষ্ট ও হঠকারী এই কওমের হেদায়াতের জন্য আল্লাহ লূত (আঃ)-কে প্রেরণ করলেন। কুরআনে লূতকে ‘তাদের ভাই’ (শো‘আরা ২৬/১৬১) বলা হ’লেও তিনি ছিলেন সেখানে মুহাজির। নবী ও উম্মতের সম্পর্কের কারণে তাঁকে ‘তাদের ভাই’ বলা হয়েছে। তিনি এসে পূর্বেকার নবীগণের ন্যায় প্রথমে তাদেরকে তাওহীদের দাওয়াত দিয়ে বললেন,

إِنِّيْ لَكُمْ رَسُوْلٌ أَمِيْنٌ، فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيْعُوْنِ، وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلاَّ عَلَى رَبِّ الْعَالَمِيْنَ، (الشعراء ১৬২-১৬৪)-

‘আমি তোমাদের জন্য বিশ্বস্ত রাসূল। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। আমি এর জন্য তোমাদের নিকটে কোনরূপ প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্বপ্রভু আল্লাহ দিবেন’ (শো‘আরা ২৬/১৬২-১৬৫)। অতঃপর তিনি তাদের বদভ্যাসের প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন, أَتَأْتُوْنَ الذُّكْرَانَ مِنَ الْعَالَمِيْنَ- ‘বিশ্ববাসীর মধ্যে কেন তোমরাই কেবল পুরুষদের নিকটে (কুকর্মের উদ্দেশ্যে- আ‘রাফ ৭/৮১) এসে থাক’? ‘আর তোমাদের স্ত্রীগণকে বর্জন কর, যাদেরকে তোমাদের জন্য তোমাদের পালনকর্তা সৃষ্টি করেছেন? নিঃসন্দেহে তোমরা সীমা লঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়’ (শো‘আরা ২৬/১৬৫-১৬৬)। জবাবে কওমের নেতারা বলল,

لَئِن لَّمْ تَنتَهِ يَا لُوْطُ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْمُخْرَجِيْنَ، قَالَ إِنِّيْ لِعَمَلِكُم مِّنَ الْقَالِيْنَ- (الشعراء ১৬৭-১৬৮)-

‘হে লূত! যদি তুমি (এসব কথাবার্তা থেকে) বিরত না হও, তাহ’লে তুমি অবশ্যই বহিষ্কৃত হবে’। তিনি বললেন, ‘আমি তোমাদের এইসব কাজকে ঘৃণা করি’ (শো‘আরা ২৬/১৬৭-১৬৮)। তিনি তাদের তিনটি প্রধান নোংরামির কথা উল্লেখ করে বলেন,

وَلُوْطاً إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ إِنَّكُمْ لَتَأْتُوْنَ الْفَاحِشَةَ مَا سَبَقَكُمْ بِهَا مِنْ أَحَدٍ مِّنَ الْعَالَمِينَ، أَئِنَّكُمْ لَتَأْتُوْنَ الرِّجَالَ وَتَقْطَعُوْنَ السَّبِيْلَ وَتَأْتُوْنَ فِيْ نَادِيْكُمُ الْمُنْكَرَ فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلاَّ أَنْ قَالُوا ائْتِنَا بِعَذَابِ اللَّهِ إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِيْنَ، قَالَ رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِيْنَ- (العنكبوت ২৮-৩০)-

‘তোমরা এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে পৃথিবীর কেউ কখনো করেনি’। ‘তোমরা কি পুংমৈথুনে লিপ্ত আছ, রাহাজানি করছ এবং নিজেদের মজলিসে প্রকাশ্যে গর্হিত কর্ম করছ’? জবাবে তাঁর সম্প্রদায় কেবল একথা বলল যে, আমাদের উপরে আল্লাহর গযব নিয়ে এসো, যদি তুমি সত্যবাদী হও’। তিনি তখন বললেন, ‘হে আমার পালনকর্তা! এই দুষ্কৃতিকারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তুমি আমাকে সাহায্য কর’ (আনকাবূত ২৯/২৮-৩০; আ‘রাফ ৭/৮০)।

লূত (আঃ)-এর দাওয়াতের ফলশ্রুতি

নিজ কওমের প্রতি হযরত লূত (আঃ)-এর দাওয়াতের ফলশ্রুতি মর্মান্তিক রূপে প্রতিভাত হয়। তারা এতই হঠকারী ও নিজেদের পাপকর্মে অন্ধ ও নির্লজ্জ ছিল যে, তাদের কেবল একটাই জবাব ছিল, তুমি যে গযবের ভয় দেখাচ্ছ, তা নিয়ে আস দেখি? কিন্তু কোন নবীই স্বীয় কওমের ধ্বংস চান না। তাই তিনি ছবর করেন ও তাদেরকে বারবার উপদেশ দিতে থাকেন। তখন তারা অধৈর্য হয়ে বলে যে,أَخْرِجُوْهُم مِّنْ قَرْيَتِكُمْ إِنَّهُمْ أُنَاسٌ يَّتَطَهَّرُوْنَ- ‘এদেরকে তোমাদের শহর থেকে বের করে দাও। এই লোকগুলি সর্বদা পবিত্র থাকতে চায়’ (আ‘রাফ ৭/৮২; নমল ২৭/৫৬)। তারা আল্লাহভীতি থেকে বেপরওয়া হয়ে অসংখ্য পাপকর্মে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। কুরআন তাদের তিনটি প্রধান পাপ কর্মের উল্লেখ করেছে। (১) পুংমৈথুন (২) রাহাজানি এবং (৩) প্রকাশ্য মজলিসে কুকর্ম করা (আনকাবূত ২৯/২৯)।

বলা বাহুল্য, সাদূমবাসীদের পূর্বে পৃথিবীতে কখনো এরূপ কুকর্ম কেউ করেছে বলে শোনা যায়নি। এমনকি অতি বড় মন্দ ও নোংরা লোকদের মধ্যেও কখনো এরূপ নিকৃষ্টতম চিন্তার উদ্রেক হয়নি। উমাইয়া খলীফা অলীদ ইবনে আবদুল মালেক (৮৬-৯৭/৭০৫-৭১৬ খৃঃ) বলেন, কুরআনে লূত (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের ঘটনা উল্লেখ না থাকলে আমি কল্পনাও করতে পারতাম না যে, কোন মানুষ এরূপ নোংরা কাজ করতে পারে’।[3] তাদের এই দুষ্কর্মের বিষয়টি দু’টি কারণে ছিল তুলনাহীন। এক- এ কুকর্মের কোন পূর্ব দৃষ্টান্ত ছিল না এবং একাজ সম্পূর্ণ নতুনভাবে তারা চালু করেছিল। দুই- এ কুকর্ম তারা প্রকাশ্য মজলিসে করত, যা ছিল বেহায়াপনার চূড়ান্ত রূপ।

বস্ত্ততঃ মানুষ যখন দেখে যে, সে কারু মুখাপেক্ষী নয়, তখন সে বেপরওয়া হয়’ (আলাক্ব ৯৬/৬-৭)। সাদূমবাসীদের জন্য আল্লাহ স্বীয় নে‘মত সমূহের দুয়ার খুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা তার শুকরিয়া আদায় না করে কুফরী করে এবং ধনৈশ্বর্যের নেশায় মত্ত হয়ে বিলাস-ব্যসন, কাম-প্রবৃত্তি ও লোভ-লালসার জালে এমনভাবে আবদ্ধ হয়ে পড়ে যে, লজ্জা-শরম ও ভাল-মন্দের স্বভাবজাত পার্থক্যবোধটুকুও তারা হারিয়ে ফেলে। তারা এমন প্রকৃতি বিরুদ্ধ নির্লজ্জ কাজে লিপ্ত হয়, যা হারাম ও কবীরা গোনাহ তো বটেই, কুকুর-শূকরের মত নিকৃষ্ট জন্তু-জানোয়ারও এর নিকটবর্তী হয় না। তারা এমন বদ্ধ নেশায় মত্ত হয় যে, লূত (আঃ)-এর উপদেশবাণী ও আল্লাহর গযবের ভীতি প্রদর্শন তাদের হৃদয়ে কোন রেখাপাত করেনি। উল্টা তারা তাদের নবীকেই শহর থেকে বের করে দেবার হুমকি দেয় এবং বলে যে, ‘তোমার প্রতিশ্রুত আযাব এনে দেখাও, যদি তুমি সত্যবাদী হও’ (&আনকাবূত ২৯/২৯)। তখন লূত (আঃ) বিফল মনোরথ হয়ে আল্লাহর সাহায্য কামনা করলেন। ফলে যথারীতি গযব নেমে এল। উল্লেখ্য যে, বর্তমান বিশ্বে মহামারী আকারে যে মরণ ব্যাধি এইড্সের বিস্তৃতি ঘটেছে, তার মূল কারণ হ’ল পুংমৈথুন, পায়ু মৈথুন ও সমকামিতা। ইসলামী শরী‘আতে এই কুকর্মের একমাত্র শাস্তি হ’ল উভয়ের মৃত্যুদন্ড (যদি উভয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে একাজ করে)।[4]

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ملعونٌ منْ عَمِلَ عَمَلَ قومِ لوط অভিশপ্ত ঐ ব্যক্তি, যে লূতের কওমের মত কুকর্ম করে।[5] অন্যত্র তিনি বলেন, لاينظرُ اللهُ عزَّ وجلَّ إِلى رجلٍ أتى رجُلاً أو امرأةً فى دُبرها আল্লাহ তা‘আলা ঐ ব্যক্তির প্রতি ফিরে তাকাবেন না, যে ব্যক্তি কোন পুরুষ বা নারীর মলদ্বারে মৈথুন করে’।[6] তিনি বলেন, إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَى أُمَّتِى عَمَلُ قَوْمِ لُوطٍ আমি আমার উম্মতের জন্য সবচেয়ে (ক্ষতিকর হিসাবে) ভয় পাই লূত জাতির কুকর্মের’।[7] এইড্সের আতংকে ভয়ার্ত মানবজাতি শেষনবীর উক্ত বাণীগুলির প্রতি দৃষ্টি দিবে কি?

গযবের বিবরণ

আল্লাহর হুকুমে কয়েকজন ফেরেশতা মানুষের রূপ ধারণ করে প্রথমে হযরত ইবরাহীমের বাড়ীতে পদার্পণ করলেন। তিনি তাদেরকে মেহমানদারীর জন্য একটা আস্ত বাছুর গরু যবেহ করে ভুনা করে তাদের সামনে পরিবেশন করলেন। কিন্তু তারা তাতে হাত দিলেন না। এতে ইবরাহীম (আঃ) ভয় পেয়ে গেলেন (হূদ ১১/৬৯-৭০)। কেননা এটা ঐ সময়কার দস্যু-ডাকাতদেরই স্বভাব ছিল যে, তারা যে বাড়ীতে ডাকাতি করত বা যাকে খুন করতে চাইত, তার বাড়ীতে খেত না। ফেরেশতাগণ নবীকে অভয় দিয়ে নিজেদের পরিচয় দিয়ে বললেন, ‘আমরা এসেছি অমুক শহরগুলি ধ্বংস করে দিতে। ইবরাহীম একথা শুনে তাদের সাথে ‘তর্ক জুড়ে দিলেন’ (হূদ ১১/৭৪) এবং বললেন, ‘সেখানে যে লূত আছে। তারা বললেন, সেখানে কারা আছে, আমরা তা ভালভাবেই জানি। আমরা অবশ্যই তাকে ও তার পরিবারকে রক্ষা করব, তবে তাঁর স্ত্রী ব্যতীত। সে ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (আনকাবূত ২৯/৩১-৩২)। অতঃপর তারা ইবরাহীম দম্পতিকে ইসহাক-এর জন্মের সুসংবাদ শুনালেন।

বিবি সারা ছিলেন নিঃসন্তান। অতি বৃদ্ধ বয়সে এই সময় তাঁকে হযরত ইসহাকের জন্মের সুসংবাদ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় ইসহাকের পরে তার ঔরসে যে ইয়াকূবের জন্ম হবে সেটাও জানিয়ে দেওয়া হ’ল (হূদ ১১/৭১-৭২)। উল্লেখ্য যে, ইয়াকূবের অপর নাম ছিল ‘ইস্রাঈল’ এবং তাঁর বংশধরগণকে বনু ইস্রাঈল বলা হয়। যে বংশে হাযার হাযার নবীর আগমন ঘটে।

কেন‘আনে ইবরাহীম (আঃ)-এর নিকট থেকে বিদায় হয়ে ফেরেশতাগণ সাদূম নগরীতে ‘লূত (আঃ)-এর গৃহে উপস্থিত হ’লেন’ (হিজর ১৫/৬১)। এ সময় তাঁরা অনিন্দ্য সুন্দর নওজোয়ান রূপে আবির্ভূত হন। কেননা আল্লাহ তা‘আলা যখন কোন জাতিকে ধ্বংস করেন, তখন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের পরীক্ষা নেন। সাদূম জাতি তাদের এই চূড়ান্ত পরীক্ষায় ব্যর্থকাম হ’ল। তারা যখন জানতে পারল যে, লূত-এর বাড়ীতে অতীব সুদর্শন কয়েকজন নওজোয়ান এসেছে, ‘তখন তারা খুশীতে আত্মহারা হয়ে সেদিকে ছুটে এল’ (হূদ ১১/৭৮)। এ দৃশ্য দেখে লূত (আঃ) তাদেরকে অনুরোধ করে বললেন, فَاتَّقُوا اللهَ وَلاَ تُخْزُوْنِ فِيْ ضَيْفِي أَلَيْسَ مِنْكُمْ رَجُلٌ رَشِيْدٌ- ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। অতিথিদের ব্যাপারে তোমরা আমাকে লজ্জিত করো না। তোমাদের মধ্যে কি একজনও ভাল মানুষ নেই’? (হূদ ১১/৭৮)। কিন্তু তারা কোন কথাই শুনলো না। তারা দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢোকার উপক্রম করল। লূত (আঃ) বললেন, হায়! وَقَالَ هَـذَا يَوْمٌ عَصِيْبٌ- ‘আজকে আমার জন্য বড়ই সংকটময় দিন’ (হূদ ১১/৭৭)। তিনি বললেন, لَوْ أَنَّ لِيْ بِكُمْ قُوَّةً أَوْ آوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيْدٍ- ‘হায়! যদি তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোন শক্তি থাকত, অথবা আমি কোন সুদৃঢ় আশ্রয় পেতাম’ (হূদ ১১/৮০)। এবার ফেরেশতাগণ আত্মপরিচয় দিলেন এবং লূতকে অভয় দিয়ে বললেন, يَا لُوْطُ إِنَّا رُسُلُ رَبِّكَ لَنْ يَّصِلُوْا إِلَيْكَ ‘হে লূত! আমরা আপনার প্রভুর প্রেরিত ফেরেশতা। ওরা কখনোই আপনার নিকটে পৌঁছতে পারবে না’ (হূদ ১১/৮১)।

এজন্যেই আমাদের রাসূল (ছাঃ) বলেন, يَرْحَمُ اللَّهُ لُوطًا ، لَقَدْ كَانَ يَأْوِى إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ ‘আল্লাহ রহম করুন লূতের উপরে, তিনি সুদৃঢ় আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন’ (অর্থাৎ আল্লাহর আশ্রয়)।[8] অতঃপর জিবরীল তাদের দিকে পাখার ঝাপটা মারতেই বীর পুঙ্গরেরা সব অন্ধ হয়ে ভেগে গেল। আল্লাহ বলেন, وَلَقَدْ رَاوَدُوْهُ عَنْ ضَيْفِهِ فَطَمَسْنَا أَعْيُنَهُمْ فَذُوقُوا عَذَابِيْ وَنُذُرِ، ‘ওরা লূতের কাছে তার মেহমানদের দাবী করেছিল। তখন আমি তাদের দৃষ্টি বিলুপ্ত করে দিলাম। অতএব আস্বাদন কর আমার শাস্তি ও হুঁশিয়ারী’ (ক্বামার ৫৪/৩৭)।

অতঃপর ফেরেশতাগণ হযরত লূত (আঃ)-কে স্বীয় পরিবারবর্গসহ (ক্বামার ৫৪/৩৪) ‘কিছু রাত থাকতেই’ এলাকা ত্যাগ করতে বললেন এবং বলে দিলেন যেন ‘কেউ পিছন ফিরে না দেখে। তবে আপনার বৃদ্ধা স্ত্রী ব্যতীত’। নিশ্চয়ই তার উপর ঐ গযব আপতিত হবে, যা ওদের উপরে হবে। ভোর পর্যন্তই ওদের মেয়াদ। ভোর কি খুব নিকটে নয়’? (হূদ ১১/৮১; শো‘আরা ২৬/১৭১)। লূত (আঃ)-এর স্ত্রী ঈমান আনেননি এবং হয়তবা স্বামীর সঙ্গে রওয়ানাই হননি। তারা আরও বললেন, وَاتَّبِعْ أَدْبَارَهُمْ وَلاَ يَلْتَفِتْ مِنْكُمْ أَحَدٌ وَامْضُوْا حَيْثُ تُؤْمَرُونَ- ‘আপনি তাদের পিছে অনুসরণ করুন। আর কেউ যেন পিছন ফিরে না তাকায়। আপনারা আপনাদের নির্দেশিত স্থানে চলে যান’ (হিজর ১৫/৬৫)। এখানে আল্লাহ লূতকে হিজরতকারী দলের পিছনে থাকতে বলা হয়েছে। বস্ত্ততঃ এটাই হ’ল নেতার কর্তব্য।

অতঃপর আল্লাহর হুকুমে অতি প্রত্যুষে গযব কার্যকর হয়। লূত ও তাঁর সাথীগণ যখন নিরাপদ দূরত্বে পৌছেন, তখন জিবরীল (আঃ) আল্লাহর নির্দেশ পাওয়া মাত্র ছুবহে ছাদিক-এর সময় একটি প্রচন্ড নিনাদের মাধ্যমে তাদের শহরগুলিকে উপরে উঠিয়ে উপুড় করে ফেলে দিলেন এবং সাথে সাথে প্রবল বেগে ঘুর্ণিবায়ুর সাথে প্রস্তর বর্ষণ শুরু হয়। যেমন আল্লাহ বলেন,

فَلَمَّا جَاء أَمْرُنَا جَعَلْنَا عَالِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهَا حِجَارَةً مِّن سِجِّيلٍ مَّنضُودٍ، مُّسَوَّمَةً عِندَ رَبِّكَ وَمَا هِيَ مِنَ الظَّالِمِيْنَ بِبَعِيدٍ- (هود ৮২-৮৩)-

‘অবশেষে যখন আমাদের হুকুম এসে পৌঁছল, তখন আমরা উক্ত জনপদের উপরকে নীচে করে দিলাম এবং তার উপরে ক্রমাগত ধারায় মেটেল প্রস্তর বর্ষণ করলাম’। ‘যার প্রতিটি তোমার প্রভুর নিকটে চিহ্নিত ছিল। আর ঐ ধ্বংসস্থলটি (বর্তমান আরবীয়) যালেমদের থেকে বেশী দূরে নয়’ (হূদ ১১/৮২-৮৩)।

এটা ছিল তাদের কুকর্মের সাথে সামঞ্জস্যশীল শাস্তি। কেননা তারা যেমন আল্লাহর আইন ও প্রাকৃতিক বিধানকে উল্টিয়েছিল অর্থাৎ স্ত্রীসঙ্গ বাদ দিয়ে মানুষের স্বভাববিরুদ্ধ ভাবে পুংমৈথুনে ও সমকামিতায় লিপ্ত হয়েছিল, ঠিক তেমনি তাদেরকে মাটি উল্টিয়ে উপুড় করে শাস্তি দেওয়া হ’ল।

ডঃ জামু বলেন, তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন আকারের এক হাযার উল্কাপিন্ড সংগ্রহ করেন। তন্মধ্যে সবচেয়ে বড়টির ওযন ছিল ৩৬ টন। এর মধ্যে অনেকগুলি আছে নুড়ি পাথর, যাতে গ্রানাইট ও কাঁচা অক্সাইড লৌহ মিশ্রিত। তাতে লাল বর্ণের চিহ্ন অংকিত ছিল এবং ছিল তীব্র মর্মভেদী। বিস্তর গবেষণার পরে স্থির হয় যে, এগুলি সেই প্রস্তর, যা লূত জাতির উপরে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল’ (সংক্ষেপায়িত)।[9] ইতিহাস-বিজ্ঞান বলে, সাদূম ও আমুরার উপরে গন্ধক (Sulpher)-এর আগুন বর্ষিত হয়েছিল।[10]

হযরত লূত (আঃ)-এর নাফরমান কওমের শোচনীয় পরিণতি বর্ণনা করার পর দুনিয়ার অপরাপর জাতিকে সতর্ক করার জন্য আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, وَمَا هِىَ مِنَ الظَّلِمِيْنَ بِبَعِيْدٍ، ‘(জনপদ উল্টানো ও প্রস্তর বর্ষণে নিশ্চিহ্ন ঐ ধ্বংসস্থলটি) বর্তমান কালের যালেমদের থেকে খুব বেশী দূরে নয়’ (হূদ ১১/৮৩)। মক্কার কাফেরদের জন্য উক্ত ঘটনাস্থল ও ঘটনার সময়কাল খুব বেশী দূরের ছিল না। মক্কা থেকে ব্যবসায়িক সফরে সিরিয়া যাতায়াতের পথে সর্বদা সেগুলো তাদের চোখে পড়ত। কিন্তু তা থেকে তারা শিক্ষা গ্রহণ করতো না। বরং শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে অবিশ্বাস করত ও তাঁকে অমানুষিক কষ্ট দিত। আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন,

إذا استحلت أمتي خمسا فعليهم الدمار: إذا ظهر التلاعن وشربوا الخمور ولبسوا الحرير واتخذوا القيان واكتفى الرجال بالرجال والنساء بالنساء، رواه البيهقي-

‘যখন আমার উম্মত পাঁচটি বিষয়কে হালাল করে নেবে, তখন তাদের উপর ধ্বংস নেমে আসবে। (১) যখন পরস্পরে অভিসম্পাৎ ব্যাপক হবে (২) যখন তারা মদ্যপান করবে (৩) রেশমের কাপড় পরিধান করবে (৪) গায়িকা-নর্তকী গ্রহণ করবে (৫) পুরুষ-পুরুষে ও নারী-নারীতে সমকামিতা করবে’।

ধ্বংসস্থলের বিবরণ

কওমে লূত-এর বর্ণিত ধ্বংসস্থলটি বর্তমানে ‘বাহরে মাইয়েত’ বা ‘বাহরে লূত’ অর্থাৎ ‘মৃত সাগর’ বা ‘লূত সাগর’ নামে খ্যাত। যা ফিলিস্তীন ও জর্ডান নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে বিশাল অঞ্চল জুড়ে নদীর রূপ ধারণ করে আছে।[12] যেটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে বেশ নীচু। এর পানিতে তৈলজাতীয় পদার্থ বেশী। এতে কোন মাছ, ব্যাঙ এমনকি কোন জলজ প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে না। এ কারণেই একে ‘মৃত সাগর’ বা ‘মরু সাগর’ বলা হয়েছে। সাদূম উপসাগর বেষ্টক এলাকায় এক প্রকার অপরিচিত বৃক্ষ ও উদ্ভিদের বীজ পাওয়া যায়, সেগুলো মাটির স্তরে স্তরে সমাধিস্থ হয়ে আছে। সেখানে শ্যামল-তাজা উদ্ভিদ পাওয়া যায়, যার ফল কাটলে তার মধ্যে পাওয়া যায় ধূলি-বালি ও ছাই। এখানকার মাটিতে প্রচুর পরিমাণে গন্ধক পাওয়া যায়। Natron ও পেট্রোল তো আছেই। এই গন্ধক উল্কা পতনের অকাট্য প্রমাণ।[13] আজকাল সেখানে সরকারী প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের পক্ষ হ’তে পর্যটকদের জন্য আশপাশে কিছু হোটেল-রেস্তোঁরা গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু এ ঘটনা থেকে শিক্ষা হাছিলের জন্য কুরআনী তথ্যাদি উপস্থাপন করে বিভিন্ন ভাষায় উক্ত ঘটনা লিপিবদ্ধ করে তা থেকে উপদেশ গ্রহণের জন্য পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করাই হ’ত সবচাইতে যরূরী বিষয়। আজকের এইড্স আক্রান্ত বিশ্বের নাফরমান রাষ্ট্রনেতা, সমাজপতি ও বিলাসী ধনিক শ্রেণী তা থেকে শিক্ষা গ্রহণে সক্ষম হ’ত। কেননা এগুলি মূলতঃ মানুষের জন্য শিক্ষাস্থল হিসাবে আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত হয়েছে। যেমন আল্লাহ বলেন,

إِنَّ فِىْ ذَالِكَ لَآيَاتٍ لِّلْمُتَوَسِّمِيْنَ، ... إِنَّ فِىْ ذَلِكَ لَاَيَةً لِّلْمُؤْمِنِيْنَ-

‘নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন সমূহ রয়েছে চিন্তাশীলদের জন্য’ ... এবং বিশ্বাসীদের জন্য’ (হিজর ১৫/৭৫, ৭৭)। একই ঘটনা বর্ণনা শেষে অন্যত্র তিনি বলেন, وَلَقَدْ تَّرَكْنَا مِنْهَآ آيَةً بَيِّنَةً لِّقَوْمٍ يَّعْقِلُوْنَ- ‘জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য আমরা অত্র ঘটনার মধ্যে স্পষ্ট নিদর্শন রেখে দিয়েছি’ (আনকাবূত ২৯/৩৫)।

মুক্তিপ্রাপ্ত লোকদের সংখ্যা

তখন উক্ত জনপদে লূত-এর পরিবারটি ব্যতীত মুসলমান ছিল না। আল্লাহ বলেন, فَمَا وَجَدْنَا فِيْهَا غَيْرَ بَيْتٍ مِّنَ الْمُسْلِمِيْنَ- ‘আমরা সেখানে একটি বাড়ী ব্যতীত কোন মুসলমান পাইনি’ (যারিয়াত ৫১/৩৬)। কুরআনী বর্ণনা অনুযায়ী উক্ত গযব হ’তে মাত্র লূত-এর পরিবারটি নাজাত পেয়েছিল। তাঁর স্ত্রী ব্যতীত’ (আ‘রাফ ৭/৮৩)। তাফসীরবিদগণ বলেন, লূত-এর পরিবারের মধ্যে কেবল তাঁর দু’মেয়ে মুসলমান হয়েছিল। তবে লূত-এর কওমের নেতারা লূত-কে সমাজ থেকে বের করে দেবার যে হুমকি দেয়, সেখানে তারা বহুবচন ব্যবহার করে বলেছিল أَخْرِجُوْهُم مِّن قَرْيَتِكُمْ إِنَّهُمْ أُنَاسٌ يَّتَطَهَّرُونَ. ‘এদেরকে তোমাদের শহর থেকে বের করে দাও। কেননা এই লোকগুলি সর্বদা পবিত্র থাকতে চায়’ (আ‘রাফ ৭/৮২; নমল ২৭/৫৬)। এতদ্ব্যতীত শহর থেকে বের হবার সময় আল্লাহ লূতকে ‘সবার পিছনে’ থাকতে বলেন (হিজর ১৫/৬৫)। অন্যত্র বলা হয়েছে فَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ أَجْمَعِينَ ‘অতঃপর আমরা তাকে ও তার পরিবার সবাইকে নাজাত দিলাম’ (শো‘আরা ২৬/১৭০)। এখানে أجمعين বা ‘সবাইকে’ শব্দের মধ্যে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, ঈমানদারগণের সংখ্যা বেশ কিছু ছিল। অতএব এখানে লূত-এর ‘আহ্ল’ (আ‘রাফ ৮৩; হূদ ৮১; নমল ৫৭; ক্বামার ৩৪) বা পরিবার বলতে লূত-এর দাওয়াত কবুলকারী ঈমানদারগণকে সম্মিলিতভাবে ‘আহলে ঈমান’ বা ‘একটি ঈমানদার পরিবার’ গণ্য করা যেতে পারে। তবে প্রকৃত ঘটনা যেটাই হৌক না কেন, কেবলমাত্র নবীর অবাধ্যতা করলেই আল্লাহর গযব আসাটা অবশ্যম্ভাবী। তার উপরে কেউ ঈমান আনুক বা না আনুক। হাদীছে এসেছে, ‘ক্বিয়ামতের দিন অনেক নবীর একজন উম্মতও থাকবে না’।[14] এখানে লক্ষণীয় যে, নবীপত্নী হয়েও লূতের স্ত্রী গযব থেকে রেহাই পাননি। আল্লাহ নূহ পত্নী ও লূত পত্নীকে ক্বিয়ামতের দিন বলবেন- وَقِيلَ ادْخُلاَ النَّارَ مَعَ الدَّاخِلِينَ، ‘যাও জাহান্নামীদের সাথে জাহান্নামে চলে যাও’ (তাহরীম ৬৬/১০)।

শিক্ষণীয় বিষয় সমূহ

১. বান্দার প্রতিটি ভাল কিংবা মন্দ কর্ম আল্লাহর সরাসরি দৃষ্টিতে রয়েছে। বান্দার সৎকর্মে তিনি খুশী হন ও মন্দ কর্মে নাখোশ হন।

২. নবী কিংবা সংস্কারক পাঠিয়ে উপদেশ না দেওয়া পর্যন্ত আল্লাহ কোন অবাধ্য কওমকে ধ্বংসকারী আযাবে গ্রেফতার করেন না।

৩. কওমের নেতারা ও ধনিক শ্রেণী প্রথমে পথভ্রষ্ট হয় ও সমাজকে বিপথে নিয়ে যায়। তারা সর্বদা পূর্বেকার রীতি-নীতির দোহাই দেয় এবং তাদের হঠকারিতা ও অহংকারী কার্যকলাপের ফলেই আল্লাহর চূড়ান্ত গযব নেমে আসে (ইসরা ১৭/১৬; যুখরুফ ৪৩/২৩)। অতএব নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সর্বদা দূরদর্শী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা আবশ্যক।

৪. পুংমৈথুন বা পায়ুমৈথুন এমন একটি নিকৃষ্টতম স্বভাব, যা আল্লাহর ক্রোধকে ত্বরান্বিত করে। ব্যক্তিগত এই কুকর্ম কেবল ব্যক্তিকেই ধ্বংস করে না, তা সমাজকে বিধ্বস্ত করে। বর্তমান এইড্স আক্রান্ত বিশ্ব তার বাস্তব প্রমাণ।

৫. ঈমান না থাকলে কেবল বংশ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক মানুষকে আল্লাহর গযব থেকে মুক্তি দিতে পারে না। যেমন লূত (আঃ)-এর স্ত্রী গযব থেকে রক্ষা পাননি।

১০০টি বেলুন ফুলিয়ে, ক্লাসের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর হাতে ১টি করে দিলেন শিক্ষক। বললেন─ "বেলুনে নিজ-নিজ নাম লিখে, ফেরত দাও।"...
06/10/2024

১০০টি বেলুন ফুলিয়ে, ক্লাসের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর হাতে ১টি করে দিলেন শিক্ষক। বললেন─ "বেলুনে নিজ-নিজ নাম লিখে, ফেরত দাও।"

নাম সম্বলিত বেলুনগুলো নিয়ে, ক্লাসের মাঝখানে স্তুপ করে রাখলেন তিনি মিশিয়ে। তারপর বললেন─ "এবার এখান থেকে সবাই নিজের নামের বেলুনটি বেছে নাও।"

এতোগুলো বেলুন থেকে নিজের নামের বেলুনটি বেছে নিতে গিয়ে গলদঘর্ম অবস্থা প্রত্যেকেরই। সময় গড়াতে লাগলো, দু'য়েকজন খুঁজে পেলো নিজের বেলুনটি, বাকিরা হাতড়াতে লাগলোই, হতোদ্যম।

শিক্ষক বললেন─ "এক কাজ করো তাহলে; প্রত্যেকেই নিজের ঠিক সামনের বেলুনটি নাও, ওটায় তোমার যে-বন্ধুর নাম লিখা আছে তার হাতে তুলে দাও ওটা।"

এবার দেখা গেলো─ খুব অল্প সময়েই যার বেলুন তার কাছে পৌঁছে গেলো।

বেলুন হাতে বসে থাকা তাঁর সন্তানসম হাস্যোজ্জ্বল ছাত্রছাত্রীদের দিকে তাকালেন শিক্ষক। তাঁর চোখে আনন্দাশ্রু চিকচিক করছে।

─ "বাবারা, পৃথিবীতে সুখ ছড়িয়ে আছে, ঠিক ওই বেলুনগুলোর মতোই। খুঁজে নাও। কিন্তু, নিজের জন্য নয়; অন্যের জন্য খোঁজো সুখ, তাকে তোমার অর্জিত সুখের ভাগ দাও; সেও তোমাকে তার সুখের─ সমস্তটা না-পারলেও─ ভাগটুকু দেবে। মা রে, তোমরা মিলেমিশে বেঁচে থাকো সারাটা জীবন, থইথই সুখের ভাগাভাগিতে।"

জীবন মানে প্রতিযোগিতা নয়
জীবন মানে সহযোগিতা। এই শিক্ষা আমরা ও আমাদের ভবিষ্যতে প্রজম্মকে দিতে হবে তাহলেই পৃথিবী সুন্দর হবে।

ভালো লাগলে শেয়ার দিবেন! ""







ভেঙ্গে পড়ো না... নিরাশ হয়ো না,, সাহায্য আসবেই এটা আল্লাহর ওয়াদা!!  "জেনে রাখো,, নিশ্চয়ই আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে..।[সূর...
01/10/2024

ভেঙ্গে পড়ো না...
নিরাশ হয়ো না,, সাহায্য আসবেই এটা আল্লাহর ওয়াদা!! "জেনে রাখো,, নিশ্চয়ই আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে..।

[সূরা-বাকারা:২১৪]

সুবহানাল্লাহ…!
08/09/2024

সুবহানাল্লাহ…!

একবার এক লোক বলল, “আমি ইসলাম ভালোবাসি। মুসলিম থাকতে ভালোবাসি। কিন্তু নিষিদ্ধ কাজ আর অপরাধ থেকে নিজেকে সামলাতে পারি না।”জ...
07/09/2024

একবার এক লোক বলল, “আমি ইসলাম ভালোবাসি। মুসলিম থাকতে ভালোবাসি। কিন্তু নিষিদ্ধ কাজ আর অপরাধ থেকে নিজেকে সামলাতে পারি না।”

জ্ঞানীজন বললেন, “কোনো অপরাধ করার আগে চারটা জিনিস মাথায় রাখবেন: পাপ করতে চাইলে আল্লাহর রাজত্বের বাইরে গিয়ে করবেন।”
লোকটি বলল, “আল্লাহর রাজত্বের বাইরে গিয়ে কীভাবে করব? তিনিই তো সবকিছুর মালিক। তাঁর রাজত্বের বাইরে তো কিছুই নেই!”

অপর লোকটি বললেন, “আল্লাহকে তাঁর রাজত্বে অমান্য করতে একটুও কি লজ্জা করে না ভাই? ঠিক আছে, তারপরও যদি করতে চান আল্লাহর নি‘আমাত থেকে কিছু না খেয়ে তারপর করবেন। আল্লাহর খেয়ে আবার তারই নাফরমানি করা ঠিক না। যা কিছু আল্লাহর না, সেখান থেকে খেয়ে পাপ করবেন।”

প্রথম লোকটি বলল, “সেটাই বা কীভাবে করি! এগুলো সবই তো আল্লাহর। তার নি‘আমাত ছাড়া এক মুহূর্তও বাঁচা সম্ভব না।”

দ্বিতীয় লোকটি বললেন, “বলুন তো তা হলে আল্লাহর নি‘আমাত থেকে খেয়ে আবার তাকেই অমান্য করতে আপনার মনে কি একটুও লজ্জা লাগবে না? আচ্ছা, এরপরও যদি পাপ করতে চান তা হলে এমন জায়গায় লুকিয়ে করুন, যেখান আল্লাহ আপনাকে দেখতে পারবেন না।”

পাপেচ্ছু লোকটি বলল, “এটাই বা কীভাবে সম্ভব। আল্লাহ তো সবকিছু দেখেন!”

“তো এমন একটা পাপ কাজ করছেন যেটা কিনা আপনি জানেন যে আল্লাহ দেখছেন—এটা ভাবতেই কি লজ্জা লাগছে না? ঠিক আছে। যান, তা হলে আল্লাহকে না জানিয়ে পাপ কাজটি করুন।”

“এটাও তো সম্ভব না! আমার মনের ভেতর কী আছে না আছে তার সবই তো আল্লাহ জানেন।”

“তা হলে আপনিই বলুন, যখন জানেন যে আপনি কী করছেন না করছেন তার সবই আল্লাহ জানেন, তা হলে সে পাপ কাজটা করতে কি আপনার লজ্জা লাগবে না?”

প্রথম লোকটি তখন বলল, “আল্লাহর কসম, আজকের পর আর কোনো দিন আমি আল্লাহর অবাধ্য হবো না।”

[আবুল-ফাদ্‌ল বিন ‘আতাুল্লাহ ইস্কান্দারি (মৃত্যু: ৭০৯ সাল); আল-হিকাম (প্রবচন)]

➤হেদায়াত লাভের গল্পএকটু সময় নিয়ে পড়ুন। বদলে যেতে পারে আপনার জীবন, ইনশাআল্লাহ। এক দেশের ইমাম সাহেবের কথা।ইমাম সাহেবের দশ ...
06/09/2024

➤হেদায়াত লাভের গল্প

একটু সময় নিয়ে পড়ুন। বদলে যেতে পারে আপনার জীবন, ইনশাআল্লাহ। এক দেশের ইমাম সাহেবের কথা।

ইমাম সাহেবের দশ বছরের ছোট একটা ছেলে আছে।প্রতি শুক্রবার ইমাম সাহেব জুম্মার নামাজ শেষ করে ছেলেকে নিয়ে দাওয়াতের কাজে বের হতো।রাস্তায় যাকে পেত তাকেই ইসলামিক বই,ম্যাগাজিন ইত্যাদি ধরিয়ে দিতো।

শীতের সময়।প্রচুর শীতে তুষার পরছে।তাই ইমাম সাহেব ঠিক করে রেখেছেন আজ আর তারা বের হবেনা।এই দিকে ছোট ছেলেটা গরম কাপড় পরে রেডি হয়ে এসে বলছে, "বাবা আমি রেডি।"

ইমাম সাহেব বললো, "কেন?"

ছেলেটা বললো, "কেন, তোমার মনে নেই! আজ আমরা দাওয়াতের কাজে বের হবো?"

ইমাম সাহেব বললো,
"আজ যাবোনা,দেখছোনা বাহিরে তুষার পড়ছে?"

বাবার কথা শুনে ছেলেটা অবাক হয়ে বললো,

তুষার পরছে বলে কি
#মানুষের_জন্য_জাহান্নামে_যাওয়ার_পথ_বন্ধ_হয়ে_গেছে?"

ছেলের এমন গভীর প্রশ্ন শুনে বাবা বললো, "আমি আজ যাবো না।"

ছেলে বললো, "ঠিক আছে, তাহলে আমি যাই।" বাবা বললো যাও।

ছেলেটি বই নিয়ে বের হয়ে গেল।দুই ঘন্টা যাবত বিলি করছে, এর মধ্যে শীতে ছেলেটির হাত পা যেন জমে গেছে।শেষে আর একটা বই বাকি আছে কিন্তু কাউকে পাচ্ছেনা। এদিক সেদিক খুঁজে ছেলেটি বাড়ি ফেরার পথ ধরলো।ঠিক তখনি দেখলো একটা বাড়ি।ছেলেটি ভাবলো হয়তো বাড়িতে কেউ আছে তাই সে দরজায় গিয়ে কলিং বেল বাজাতে শুরু করলো।এক,দুই, তিন বার কলিং বেল বাজালো কিন্তুু ভেতর থেকে কোন সাড়া নেই।তারপর ছেলেটি চলে যেতে সামনে পা বাড়ালো।হঠাৎ কোন এক অজানা শক্তি যেন তাকে আবার দরজার সামনে টেনে নিয়ে গেল।ছেলেটি এবার দরজায় ঠকঠক করতে লাগলো।কিন্তুু না এবারও কোন সারা নেই।কিছুক্ষন অপেক্ষা করে আবার দরজায় ঠকঠক করলো।তারপর হঠাৎ ভেতর থেকে আস্তে করে একজন মধ্য বয়সের মহিলা দরজাটা খুললো।মহিলাকে দেখে ছেলেটি একটা হাসি দিল যেন তার সব কষ্ট শেষ হয়ে গেছে।

এবার মহিলার হাতে বইটি দিয়ে বললো,"আন্টি আপনাকে বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত। আসলে আমি বলতে এসে ছিলাম যে- {পৃথিবীতে আর কেউ আপনাকে ভালোবাসুক বা না বাসুক, একজন আপনাকে অনেক ভালোবাসে,কেউ আপনার কেয়ার করুক বা না করুক, একজন আপনার খুব কেয়ার করে,আপনার খোঁজ রাখে।তিনি হলেন আামাদের রব। আল্লাহ।}
এই বইটি পড়ে আপনি আপনার রব সম্পর্কে জানতে পারবেন।"

এই বলে ছেলেটি চলে গেল।মহিলাটি কিছুই বললো না।

তারপরের শুক্রবারে যথাক্রমে ইমাম সাহেব খুতবা শেষ করে বললেন, কারো কিছু বলার আছে?মহিলাদের সাইড থেকে একজন মহিলা দাড়িয়ে বললো,

"আমার কিছু বলার আছে।"

তারপর মহিলাটি বললো, "এখানকার কেউ আমাকে চেনেনা। কারণ, আমি আজই এখানে নামাজ পড়তে এসেছি। এর আগের শুক্রবার পর্যন্তও আমি ছিলাম অমুসলিম।আমার স্বামী মারা গেছে। তারপর থেকে কেউ আমার কোন খোঁজ নেয়না। আমার বাবা-মা কেউ আমাকে দেখতে আসেনা।আমার খবর নেয়না। নিজেকে খুব একা আর অসহায় মনে হচ্ছিলো। ভাবলাম আমার তো কেউ নেই আমি আর বেঁচে থেকে কি করবো।তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আমি আত্মহত্যা করবো। সব কিছু রেডি করে ফেলেছি। ফ্যানের মধ্যে দড়ি ঝুলছে আর আমি চেয়ারে দাঁড়িয়েছি বিদায় নেওয়ার জন্য। একদম শেষ মূহুর্তে আমি গলায় দড়ি দিব, ঠিক তখনই কে যেন বারবার আমার দরজায় ঠকঠক করছে,কলিং বেল বাজাচ্ছে। একবার ভাবলাম খুলবোনা। কিন্তুু বারবারই দরজায় ঠকঠক করছে। কিছুক্ষন ভেবে গেলাম দরজা খুলতে। খুলে দেখি ফুটফুটে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে হাতে একটা বই নিয়ে। আমাকে দেখে হাসি দিয়ে বললো,

"আন্টি পৃথিবীতে আপনাকে কেউ ভালোবাসুক আর না বাসুক একজন আপনাকে অনেক ভালোবাসে। আর তিনি আমাদের রব, আল্লাহ।"

তারপর দরজা বন্ধ করে ঘরে ঢুকলাম। তখনও আমার দড়ি ঝুলছে। ভাবলাম আগে বইটা পড়ি।বইটা খুলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। পড়া শেষে আমি আমার আসল ঠিকানা খুঁজে পেলাম। এক লাথি দিয়ে চেয়ার আর দড়ি ফেলে দিলাম। পেয়ে গেলাম আমার আপনজন।আমার বাঁচার পথ। পেয়ে গেলাম আমার রব আল্লাহকে! সাথে সাথে কালেমা পড়ে মুসলমান হয়ে গেলাম।
আলহামদুলিল্লাহ।

ছেলেটি আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচার পথ দেখিয়ে দিলো। যা ছিল আল্লাহর ইচ্ছা। আমি বইটার মধ্যে এই মসজিদের ঠিকানা পেয়েছি। আর এজন্য এসেছি যে, আমি ছেলেটার কপালে একটা চুমু দিব।"

মহিলার কথা শুনে সবাই কাঁদা শুরু করলো। ইমাম সাহেবের চোখ বেয়ে অঝোরে পানি পরছে। কোলে বসে আছে ছোট সেই ছেলেটি। ইমাম সাহেবের বুক যেন গর্বে ভরে গেল। এমন ছেলে আল্লাহ তাকে দান করেছেন।

একটু ভাবুন এই ছেলেটা কি ভেবেছে যে এখন আমি ছোট, বড় হয়ে এসব কাজ করবো?

আর আমরা!

যখন ১০বছর,

খুঁজি খেলার মাঠ।

যখন ২০বছর,

lIfe is enjoy

জীবন তো একটাই, তাই Enjoy করি।

যখন ৩০ বছর,

টাকা পয়সা ইনকাম করবো কিভাবে??

যখন ৪০বছর,

খুঁজি একটু অবসর।

যখন ৫০/৬০ বছর,

তখন দৌঁড়াই মসজিদে!

জানেন কি আপনি?

১ দিনের একটা শিশুও মারা যায়!

তাহলে কি করে এটা ভাবেন যে, বৃদ্ধ হয়ে আল্লাহকে ডাকবো!

এখনো সময় আছে, ফিরে আসুন আল্লাহর কাছে। নামাজ পড়ুন। এখনি দৌঁড়ান মসজিদে।

বোনেরা, আপনি নামাজ পড়ুন ঘরে।

আপনার থেকে আপনার সন্তান শিখবে।

প্রতিজ্ঞা করুন আজ থেকে আর নামাজ বাদ দিবোনা। ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন। আমিন

Address

Dhaka
Faridpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দোয়া ও সূরা সমূহ - Islamic Information posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share