06/07/2025
কারবালার পূর্বসূত্র: কাফনের কাপড় ও আসমানী বেদনার কাহিনী
একদিন হাবিবুল্লাহ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে হজরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম একটি কাফনের কাপড় নিয়ে আসেন।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই কাপড়টি ভাগ করে দেন—
▫️একটি টুকরো দিলেন তাঁর প্রিয় কন্যা ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা-কে,
▫️একটি দিলেন আল্লাহর সিংহ, হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে,
▫️আরেকটি দিলেন তাঁর নাতি হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে,
▫️একটি তিনি রেখে দিলেন নিজের জন্য।
এ দৃশ্য দেখে ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করেন:
"বাবা, আমার হুসাইনের জন্য কিছু রাখলেন না কেন?"
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অশ্রুসিক্ত নয়নে বললেন:
"ফাতিমা! কাফন তো তাকে পরানো হয়, যাকে গোসল দেওয়া হয়।
কিন্তু হুসাইন এমন মর্মান্তিক মৃত্যু বরণ করবে যে, তাঁকে গোসল দেওয়ার কেউ থাকবে না।
তাঁর শরীর ছিন্ন-ভিন্ন হবে, মাথা থাকবে না দেহে…"
বলতে বলতে নবীজীর দাড়ি মোবারক অশ্রুতে ভিজে যায়।
ফাতিমা (রাঃ) কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞেস করলেন:
"বাবা, আপনি কি আমার হুসাইনকে রক্ষা করবেন না?"
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
"মা রে, আমি তখন দুনিয়ায় থাকবো না।"
তিনি আবার বলেন:
"তাহলে তাঁর পিতা আলী তো জীবিত থাকবেন? তিনিই তো রক্ষা করবেন!"
নবীজী বললেন,
"আলীও তখন থাকবেন না।"
মা ফাতিমা বললেন,
"তাহলে আমিই যাবো ময়দানে! আমিই রক্ষা করবো আমার হুসাইনকে!"
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কষ্টভরা কণ্ঠে বলেন,
"তুমিও তো আমার পরেই চলে যাবে মা…"
ফাতিমা (রাঃ) ব্যাকুল হয়ে বলেন:
"তাহলে ওর ভাই হাসান তো থাকবে!"
রাসূল (সা.) বলেন,
"হাসানও থাকবেন না।"
এবার মা ফাতিমা (রাঃ) চিৎকার করে কেঁদে উঠেন:
"বাবা, তাহলে আমার হুসাইনের জন্য কাঁদবে কে? কে তাকে স্মরণ করবে?"
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
"হে ফাতিমা! আমি দোয়া করি—আল্লাহ্ দুনিয়াতে এমন একটি কওম সৃষ্টি করুন, যারা কেয়ামত পর্যন্ত হুসাইনের জন্য কাঁদবে, তাঁকে ভালোবাসবে ও স্মরণ করবে।"
ফাতিমা (রাঃ) তখন বলেন, "আমিন!"
এ সময় ছোট্ট হুসাইন (আঃ) এগিয়ে এসে নানার কাছে জিজ্ঞেস করেন:
"নানা! যারা আমার জন্য কাঁদবে, আপনি তাঁদের কী দেবেন?"
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাঁদতে কাঁদতে বলেন:
"আমি তাঁদের জন্য কিয়ামতে শাফায়াত করবো।"
এরপর হুসাইন (আঃ) তাঁর পিতা আলী (রাঃ)-এর