Ahmed Raju

Ahmed Raju ইয়া আল্লাহু! ইয়া রহমানু!! ইয়া রাহিম!!!

আল্লাহর নাম সরন করুন হযরত মুহাম্মাদ সাঃ কে ভালো বাসুন। Mohammad zahid hasan
(1)

06/07/2025

“তোমাদের মাঝে কি একজনও মুসলমান নাই?”
এটাই ছিল ইমাম হোসাইন (রা.)-এর শেষ ভাষণ…💔

এজিদের ২২,০০০ সৈন্যের মাঝে
৭,০০০ ছিল হাফেজে কোরআন,
৩,০০০ ছিল মুফতি!
তবুও একজনও এগিয়ে এল না!

ইমাম হোসাইন (রা.) বললেন—
❝কেন আমাকে হত্যা করতে চাও..?
আমি কি কোনো পাপ করেছি..?❞
সেই সৈন্যরা বোবা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকল! 😢

তিনি আবার বললেন—
❝আমাকে হত্যা করলে কিয়ামতের দিন
নবীজির (সা.) সামনে কী জবাব দেবে..?❞

তারপর সেই চিরন্তন আহ্বান—
🩷 "হাল্ মিন নাসিরিন ইয়ানসুরুনা..?"
আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে না কেউ..?

শেষে কাঁপিয়ে দেওয়া প্রশ্ন:
❝তোমাদের মাঝে কি একজনও মুসলমান নাই..?❞

না, ছিল না!
সবাই নামধারী ছিল…
তাই ইমাম হোসাইন (রা.) সেদিন
আসল মুসলমান আর নকল মুসলমানের পার্থক্যটা পরিষ্কার করে দিয়ে গেলেন।

কারবালায় তিনি একা ছিলেন,
কিন্তু সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর সাহসী প্রতীক হয়ে রয়ে গেলেন চিরকাল!

ইয়া হোসাইন… আমরা লজ্জিত! 🥲

#মোহাম্মদী_ইসলাম #ইসলামিকইতিহাস #আহলে_বাইত #কারবালা #ইয়া_হোসাইন

06/07/2025

কারবালার ৭২ জন শহীদের নাম 😭🙏

🔴 আহলে বাইত (ইমাম হুসাইনের পরিবারবর্গ ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয়)

1. ইমাম হুসাইন ইবনে আলী (রাঃ) – কারবালার প্রধান শহীদ

2. আলী আকবর ইবনে হুসাইন (রাঃ) – হুসাইনের বড় ছেলে

3. আলী আসগর (রাঃ) – হুসাইনের ৬ মাসের শিশু

4. আব্বাস ইবনে আলী (রাঃ) – হুসাইনের ভাই, “বাবুল হাওয়াইজ” নামে পরিচিত

5. আবদুল্লাহ ইবনে হাসান (রাঃ)

6. কাসিম ইবনে হাসান (রাঃ) – হুসাইনের ভাতিজা

7. আউন ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে জাফর (রাঃ)

8. মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে জাফর (রাঃ)

9. জাফর ইবনে আকিল (রাঃ)

10. আবদুর রহমান ইবনে আকিল (রাঃ)

11. মুস্‌লিম ইবনে আকিল (রাঃ) – কারবালার আগে শহীদ হলেও অন্তর্ভুক্ত

---

🟡 বনু হাশিম গোত্রের অন্য সদস্যরা

12. আবু বকর ইবনে আলী (রাঃ)

13. ওসমান ইবনে আলী (রাঃ)

14. জাফর ইবনে আলী (রাঃ)

15. আবু বকর ইবনে হাসান (রাঃ)

16. উমর ইবনে হাসান (রাঃ)

17. মুহাম্মদ ইবনে আবি সাঈদ (রাঃ)

---

🟢 সাহাবায়ে কিরাম ও আনসারগণ (ইমাম হুসাইনের সাথী ও অনুসারী)

18. হানযালা ইবনে আসআদ

19. সালিম মাওলা আবি হুযাইফা

20. নাফে ইবনে হিলাল

21. হুর ইবনে ইয়াজিদ রিয়াহি

22. মুসলিম ইবনে আওসাজা

23. হাবিব ইবনে মাযাহির

24. বুরাইর ইবনে খুযাইর

25. আব্দুল্লাহ ইবনে উমায়ের

26. জন (মাওলা আবু যর গিফারি)

27. উমর ইবনে জানদাব

28. যুহায়র ইবনে কাইন

29. আমের ইবনে জান

30. আব্দুল্লাহ ইবনে বাজী

31. সাঈদ ইবনে আবদুল্লাহ হান্নাফি

32. সুলাইমান ইবনে রেজীন

33. আসলাম মাওলা হুসাইন

34. সাওয়ার ইবনে মানসুর

35. কুরব ইবনে কাইস

36. নাসর ইবনে আব্দুল্লাহ

37. আব্দুল্লাহ ইবনে আমর

38. ওয়াহব ইবনে আবদুল্লাহ কালবি

39. রোমান ইবনে আমর

40. মুজাম্মিল ইবনে ওসফ

41. নাফি ইবনে হিলাল

42. সাঈদ ইবনে কাসির

43. হানজালা ইবনে সাদ

44. যারঘামা ইবনে মালেক

45. মালেক ইবনে আনাস

46. কাসির ইবনে আব্দুল্লাহ

47. আনাস ইবনে হারেস

48. আমর ইবনে জনদ

49. আমর ইবনে হযম

50. কাইস ইবনে মুশাহির

51. মাকবুল ইবনে উবায়দ

52. সা’দ ইবনে আবদুল্লাহ

53. কুলথুম ইবনে আমর

54. আদহাম ইবনে উমাইর

55. মুনকাদ ইবনে নুমান

56. সাকর ইবনে হারেস

57. রাশিদ ইবনে আবদুল্লাহ

58. জানাদ ইবনে হারেস

59. আমর ইবনে আব্দুল্লাহ

60. খালিদ ইবনে আমর

61. কাহতান ইবনে শাদ্দাদ

62. উবায়দুল্লাহ ইবনে যুহায়র

63. মুতাই’ ইবনে আওফ

64. হারিস ইবনে আমর

65. সুহায়ম ইবনে মালে

06/07/2025

আপনি ৭২ জনের পক্ষে যাবেন নাকি ২২০০০ এর পক্ষে যাবেন?
😭কারবালা😭🙏🙏🙏

06/07/2025

মহররম মাসে একজন মুসলমানের উচিত আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং তাওবার দিকে মনোযোগ দেওয়া। এই মাসে করণীয় কাজের মধ্যে রয়েছে বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, দান-সদকা এবং দরুদ পাঠ করা। এছাড়াও, আশুরার (মহররম মাসের ১০ তারিখ) রোজা রাখা সুন্নত, যা এই মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল।
মহররম মাসে করণীয় বিষয়সমূহ:
বেশি বেশি ইবাদত করা:
কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, তাসবিহ-তাহলিল, দান-সদকা এবং দরুদ পাঠ করা যেতে পারে।
আশুরার রোজা রাখা:
আশুরার (মহররম মাসের ১০ তারিখ) রোজা রাখা সুন্নত। এর সাথে ৯ তারিখ বা ১১ তারিখ রোজা রাখা মুস্তাহাব, আল-ওয়াহাব ফাউন্ডেশন।
বিদআত থেকে দূরে থাকা:
মহররম মাসকে কেন্দ্র করে তাজিয়া মিছিল বের করা, মাতম-মর্সিয়া করা বা শরীর রক্তাক্ত করা ইসলামে নিষিদ্ধ।
আত্মশুদ্ধি ও তাওবার দিকে মনোযোগ দেওয়া:
এই মাস আত্ম-উপলব্ধি এবং আল্লাহর দিকে ফিরে আসার উপযুক্ত সময়।
মহররম মাস একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ মাস এবং এই মাসে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।

06/07/2025

🌹🌹🌹নবীগো আপনি যে ঘুমান না রাতে_
👍👍👍দেখা দেন আশিকদের সাথে_
❤❤️❤️নিয়ে যান আপনার রওজাতে_
🤲🤲🤲 দরুদ ও সালাম হে জিতে_

কারবালার পূর্বসূত্র: কাফনের কাপড় ও আসমানী বেদনার কাহিনীএকদিন হাবিবুল্লাহ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এ...
06/07/2025

কারবালার পূর্বসূত্র: কাফনের কাপড় ও আসমানী বেদনার কাহিনী

একদিন হাবিবুল্লাহ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে হজরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম একটি কাফনের কাপড় নিয়ে আসেন।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই কাপড়টি ভাগ করে দেন—

▫️একটি টুকরো দিলেন তাঁর প্রিয় কন্যা ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা-কে,
▫️একটি দিলেন আল্লাহর সিংহ, হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে,
▫️আরেকটি দিলেন তাঁর নাতি হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে,
▫️একটি তিনি রেখে দিলেন নিজের জন্য।

এ দৃশ্য দেখে ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করেন:
"বাবা, আমার হুসাইনের জন্য কিছু রাখলেন না কেন?"

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অশ্রুসিক্ত নয়নে বললেন:
"ফাতিমা! কাফন তো তাকে পরানো হয়, যাকে গোসল দেওয়া হয়।
কিন্তু হুসাইন এমন মর্মান্তিক মৃত্যু বরণ করবে যে, তাঁকে গোসল দেওয়ার কেউ থাকবে না।
তাঁর শরীর ছিন্ন-ভিন্ন হবে, মাথা থাকবে না দেহে…"
বলতে বলতে নবীজীর দাড়ি মোবারক অশ্রুতে ভিজে যায়।

ফাতিমা (রাঃ) কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞেস করলেন:
"বাবা, আপনি কি আমার হুসাইনকে রক্ষা করবেন না?"
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
"মা রে, আমি তখন দুনিয়ায় থাকবো না।"

তিনি আবার বলেন:
"তাহলে তাঁর পিতা আলী তো জীবিত থাকবেন? তিনিই তো রক্ষা করবেন!"
নবীজী বললেন,
"আলীও তখন থাকবেন না।"

মা ফাতিমা বললেন,
"তাহলে আমিই যাবো ময়দানে! আমিই রক্ষা করবো আমার হুসাইনকে!"
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কষ্টভরা কণ্ঠে বলেন,
"তুমিও তো আমার পরেই চলে যাবে মা…"

ফাতিমা (রাঃ) ব্যাকুল হয়ে বলেন:
"তাহলে ওর ভাই হাসান তো থাকবে!"
রাসূল (সা.) বলেন,
"হাসানও থাকবেন না।"

এবার মা ফাতিমা (রাঃ) চিৎকার করে কেঁদে উঠেন:
"বাবা, তাহলে আমার হুসাইনের জন্য কাঁদবে কে? কে তাকে স্মরণ করবে?"

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
"হে ফাতিমা! আমি দোয়া করি—আল্লাহ্ দুনিয়াতে এমন একটি কওম সৃষ্টি করুন, যারা কেয়ামত পর্যন্ত হুসাইনের জন্য কাঁদবে, তাঁকে ভালোবাসবে ও স্মরণ করবে।"
ফাতিমা (রাঃ) তখন বলেন, "আমিন!"

এ সময় ছোট্ট হুসাইন (আঃ) এগিয়ে এসে নানার কাছে জিজ্ঞেস করেন:
"নানা! যারা আমার জন্য কাঁদবে, আপনি তাঁদের কী দেবেন?"
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাঁদতে কাঁদতে বলেন:
"আমি তাঁদের জন্য কিয়ামতে শাফায়াত করবো।"

এরপর হুসাইন (আঃ) তাঁর পিতা আলী (রাঃ)-এর

🌑৬ই মহররম — পিপাসার আর্তনাদে কারবালা কাঁদে কারবালার প্রান্তরে একে একে কেটে যাচ্ছে দিন। আজ ৬ই মহররম।এই দিনে ইয়াজিদি সেনার...
06/07/2025

🌑৬ই মহররম — পিপাসার আর্তনাদে কারবালা কাঁদে

কারবালার প্রান্তরে একে একে কেটে যাচ্ছে দিন। আজ ৬ই মহররম।
এই দিনে ইয়াজিদি সেনারা ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শিবিরের চারপাশ ঘিরে ফেলে।
নজরদারি বাড়িয়ে দেয়, যাতে কেউ শিবিরে পানি আনতে না পারে।

তাদের নিষ্ঠুর আদেশে ফোরাতের পানি বন্ধ করে দেওয়া হয় হুসাইন (আ.)-এর পরিবার ও সঙ্গীদের জন্য।
তৃষ্ণার্ত শিশুদের কাঁদতে দেখে হৃদয় ভেঙে যায় –
একটি শিশুর কান্না তখন যেন গোটা মানবতাকে প্রশ্ন করছিলঃ
"পানি কি শুধু অন্যায়ের জন্য?"

৬ই মহররমে হজরত হুসাইন (আ.) তার সাহাবীদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় বসেন।
তিনি জানান, শত্রুর সংখ্যা বহুগুণ বেশি –
যদি কেউ চায়, রাতের আঁধারে ছেড়ে যেতে পারেন।
কিন্তু এক একজন সাহাবী তখন উঠে দাঁড়ান, অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন,
“হে হুসাইন! আমরা আপনার পাশে মরতে এসেছি – পেছনে ফেরার নয়।”

কারবালার এ দিনে শুরু হয় সত্য ও অন্যায়ের মধ্যে চূড়ান্ত প্রস্তুতি।
একদিকে ক্ষমতা আর সেনাবাহিনীর বাহাদুরি,
অন্যদিকে ত্যাগ, সত্য এবং ঈমানের শক্তি।

৬ই মহররম আমাদের শেখায় –
ন্যায়ের পথে দাঁড়াতে হলে পিপাসা সহ্য করতেও প্রস্তুত থাকতে হয়।
জীবন নয়, আদর্শই চূড়ান্ত বিজয়!

🕊️ কারবালার প্রতিটি দিনই একেকটি পাঠশালা।
আজ ৬ই মহররমে সেই পিপাসার প্রতিধ্বনি যেন আমাদের হৃদয়েও বাজে।

#কারবালা #ইমাম_হুসাইন #ইয়া_হুসাইন

কারবালার প্রান্তরে একাই যথেষ্ট ছিলেন আমার মাওলা ইমাম হুসাইন (আঃ)।তিনি কাফের, মুনাফিক, বেঈমানদের বিরুদ্ধে সত্যের দীপ্ত শি...
06/07/2025

কারবালার প্রান্তরে একাই যথেষ্ট ছিলেন আমার মাওলা ইমাম হুসাইন (আঃ)।
তিনি কাফের, মুনাফিক, বেঈমানদের বিরুদ্ধে সত্যের দীপ্ত শিখা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন—সত্য আর মিথ্যার ফারাক কত স্পষ্ট!

কারবালার তপ্ত বালুতে নিজের জীবন উৎসর্গ করে বুঝিয়ে গেছেন—
কে ঈমানদার আর কারা মুনাফিক, কাফের, বেঈমান, মুশরিক!
তিনি দেখিয়ে গেছেন, কিভাবে হাসিমুখে স্বপরিবারে জীবন দিয়ে
ইসলাম ধর্মকে রক্ষা করতে হয়।

কারবালায় ৭২ জন ঈমানদার শহীদ হয়ে শুধু ধর্ম রক্ষা করেননি,
তারা ইসলামের নবজন্ম দিয়েছিলেন।

সেদিন যদি হুসাইন (আঃ) আত্মত্যাগ না করতেন,
তাহলে ইসলাম মিথ্যার সাথে বিলীন হয়ে যেতো,
সত্যেরও অকাল মৃত্যু ঘটতো।
আমরা সবাই হয়তো পথভ্রষ্ট হয়ে জাহান্নামের পথে চলতাম।

হুসাইন (আঃ) সত্যের পথ চিনিয়ে দিয়েছেন আমাদের।
প্রমাণ করে গেছেন—
হাজার হাজার কাফের, মুনাফিকের মোকাবেলায় একজন সত্যিকার মুসলমানই যথেষ্ট—
যার সাথে আল্লাহ আছেন, তার পাশে আমরা সবাই আছি।

মাওলা হুসাইন (আঃ), আমরা তোমার ত্যাগ ভুলিনি, ভুলবো না কখনো।
তোমার কারণেই আজ আমরা মুসলমান।

তুমি আছো প্রতিটি আশেকের অন্তরে।
যে তোমাকে চেনে না, সে অন্ধ—
আর যে তোমাকে পেয়েছে, সে পেয়েছে নবীজিকে, আর নবীজি মানেই খোদার দরবার।

এই মন, এই প্রাণ করেছি তোমার চরণে দান।
মাওলা! দয়া করো, আমাদের দান করো তোমার ধুলোরও সৌভাগ্য।
তোমার নূরের চেহারা যে দেখেছে, সে হয়ে গেছে আত্মহারা।
তোমার চরণেই রাখো আমাদের স্থান।

হায় হুসাইন! হায় হুসাইন!
হায় আলী আসগর!
হায় আলী আকবর!
হায় কাসেম! হায় আব্বাস!
হায় নিষ্ঠুর কারবালা!
লাব্বাইক ইয়া মেরে আঁকা!

মাওলা হুসাইন আঃ এর প্রতি লাখো সালাম, কোটি কোটি দুরুদ।

নিজেকে কুরবানী করে, নানাজির ইসলামকে পূর্ণজীবিত করে গেলাম—কারবালার মাটির কসম!"আমি শেরে খোদা মাওলা আলীর সন্তান,নবীজির কলিজ...
06/07/2025

নিজেকে কুরবানী করে, নানাজির ইসলামকে পূর্ণজীবিত করে গেলাম—
কারবালার মাটির কসম!"

আমি শেরে খোদা মাওলা আলীর সন্তান,
নবীজির কলিজার টুকরো,
বিশ্বমাতার নয়নের মণি।
ইমাম হাসান আমার ভাই,
বেহেশতের যুবকদের সরদার— আমি ইমাম হোসাইন (আঃ)।

পঞ্চশক্তি আমার বাহুতে,
যদি গর্জে উঠি একবার,
শুধু মু-না-ফি-ক ইয়াজিদ নয়—
সকল সৃষ্টি থেমে যাবে ভয়ে নিশ্চুপ হয়ে!

— হযরত মাওলা ইমাম হোসাইন (আঃ)

06/07/2025

কারবালার মাঠে একা দাঁড়িয়ে যখন ইমাম হোসাইন…

কারবালার ময়দানে একে একে সবাই শহীদ হয়ে গেলেন। প্রিয়জনেরা কেউ নেই পাশে। এখন শুধু একা হজরত ইমাম হোসাইন (আ.)। একা... অথচ পাহাড়সম সত্যের উপর অটল।

তিনি চারপাশে তাকিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন—
“কেন আমাকে হত্যা করতে চাও? আমি কি কোনো পাপ করেছি? আমি কি অন্যায় করেছি?”

চারপাশের হাজারো সৈন্য বোবা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। কেউ কোনো উত্তর দিতে পারে না। আবার ইমাম বলেন—
“আমাকে হত্যা করলে আল্লাহর কাছে কী জবাব দেবে? বিচার দিবসে কী বলবে আমার নানা মুহাম্মদের (সা.) সামনে?”

তাও নিস্তব্ধতা। পাথরের মতো দাঁড়িয়ে থাকে এজিদের সৈন্যরা।

এরপর ইমাম হুসাইন সেই বিখ্যাত আর বেদনাদায়ক আহ্বান করেন—
“হাল মিন নাসিরিন ইয়ানসুরুনা?”
“আমাদের সাহায্য করার মতো কি একজনও নেই?”

তারপর আসে সেই শেষ ডাক, সেই ইতিহাস কাঁপানো প্রশ্ন—
“আলাম তাসমাও? আলাইসা ফিকুম মুসলিমু?”
“তোমরা কি শুনছো না? তোমাদের মাঝে কি একজনও মুসলমান নেই?”

হ্যাঁ, ঠিক এই কথাটাই বলেছিলেন তিনি। অথচ যারা তাঁকে ঘিরে রেখেছিল, তাদের কারো গলায় ঝুলছিল কালেমার তাবিজ, কেউ নামাজ পড়ে, কেউ হয়তো হজও করেছিল। কিন্তু হোসাইন তাঁদের সবাইকে বললেন—
“তোমাদের মাঝে কি একজনও মুসলমান নেই?”

এটা কি একটা সাধারণ প্রশ্ন? না, এটা ছিল মূলত আসল আর নকল মুসলমান চেনানোর এক প্রকাশ্য চিৎকার।

তাঁর এই প্রশ্ন ছিল না শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে কিছু লোককে উদ্দেশ্য করে বলা কথা, এটা ছিল ইতিহাসের প্রতি, ভবিষ্যতের প্রতি, আমাদের প্রতি বলা এক প্রশ্ন—
তুমি মুসলমান? নাকি নকল?

কারণ হোসাইন জানতেন, যারা তাঁকে মারতে এসেছে, তারা সবাই নামাজি মুসলমান, তবু তিনি বললেন—
“একজনও আসল মুসলমান নেই?”
তাহলে বুঝতেই পারো, নামাজ, রোজা, দাড়ি—এসব দিয়ে মুসলমান পরিচয় হয় না। হয় হৃদয়, বিশ্বাস আর ত্যাগের মাধ্যমে।

খাজা বাবা যেমন বলেছেন, "ইমাম হোসাইন আসল আর নকলের দাগটা টেনে দিয়ে গেছেন", ঠিক তেমনই এই প্রশ্নের গভীরে আছে এক চিরন্তন সত্য।

এই প্রশ্ন আজও বাতাসে ভাসে...
আজও পৃথিবীর প্রত্যেকটি হৃদয়ে ধাক্কা দেয় হুসাইনের সেই শেষ আহ্বান—

"তোমাদের মাঝে কি একজনও মুসলমান নেই?"

খাজা কুতুবউদ্দীন বখতিয়ার কাকীর জানাযা: চারটি শর্ত ও এক অলৌকিক মুহূর্তওফাতের সময় এসে গেছে। খাজা কুতুবউদ্দীন বখতিয়ার কা...
06/07/2025

খাজা কুতুবউদ্দীন বখতিয়ার কাকীর জানাযা: চারটি শর্ত ও এক অলৌকিক মুহূর্ত

ওফাতের সময় এসে গেছে। খাজা কুতুবউদ্দীন বখতিয়ার কাকী (রহ.) তাঁর সন্তান, খলিফা ও প্রিয় সাথীদের উদ্দেশ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ ওসিয়ত করে গেলেন। বললেন:

> “আমার জানাযা যাকে-তাকে পড়ানোর অনুমতি দিও না।
আমি চাই, আমার জানাযা সেই ব্যক্তি পড়াক, যার জীবনে নিম্নোক্ত চারটি গুণ বিদ্যমান।
যদি এমন কাউকে না পাও, তবে বিনা জানাযায়ই আমাকে দাফন করে দিও।”

এই চারটি শর্ত ছিল—

১. যে ব্যক্তি জীবনে কখনোই তাকবিরে উলার (প্রথম তাকবিরের) ব্যতীত নামাজ আদায় করেনি।
২. যার কোনো দিন তাহাজ্জুদের নামাজ কাজা হয়নি।
৩. যে ব্যক্তি কখনো পরনারীর দিকে তাকিয়ে গোনাহের কল্পনাও করেনি।
৪. যে ব্যক্তি জীবনে একদিনও আছরের সুন্নাত কাজা করেনি।

খাজা কুতুবউদ্দীন বখতিয়ার কাকী (রহ.) ইন্তেকাল করলেন। তাঁর পবিত্র দেহ জানাযার মাঠে আনা হলো। সমবেত মানুষের সামনে ওসিয়তের চারটি শর্ত উচ্চারণ করে ঘোষণা করা হলো:

> “এ চারটি গুণ যার জীবনে রয়েছে, তিনি যেন সামনে এসে জানাযা পড়ান।”

মাঠ ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। কিন্তু কেউ সামনে এলো না।
সকলেই মাথা নিচু করে অশ্রু বিসর্জন করলো।
কারও কণ্ঠে কোনো শব্দ নেই, চোখে শুধু অনুশোচনার অশ্রু।
যত মাথা তত লজ্জা, যেন নিজেরাই নিজেদের অপরাধী হিসেবে ভাবছে।

কোনো সাড়া না পেয়ে, সন্তান ও খলিফাগণ সিদ্ধান্ত নিলেন—
বিনা জানাযায় দাফন করা হবে মহান ওলির দেহ মোবারক।

ঠিক তখনই—
সবার নীরবতা ভেঙে এক কণ্ঠ ধ্বনিত হলো:
“থামো!”

সামনের কাতার থেকে এক ব্যক্তি এগিয়ে এলেন,
কফিনের পাশে এসে দাঁড়িয়ে বললেন:
“আমি জানাযা পড়াব।”

তিনি ছিলেন না কোনো বড় মুফতি, না কোনো বড় পীর বা আলেম।
তিনি ছিলেন দিল্লির সুলতান— শামসুদ্দিন আল-তামাশ (রহ.)।

তিনি কফিনের পাশে গিয়ে কাফনের একাংশ সরিয়ে খাজা কুতুবউদ্দীন বখতিয়ার কাকী (রহ.)-এর কপালে চুমু খেলেন।
তারপর কাঁপা কণ্ঠে বললেন:

> “ওগো আল্লাহর ওলি!
সারা জীবন তুমি গোপনে আমল করে গেলে, কাউকে জানালে না।
আজ বিদায়ের ময়দানে তুমি আমার আমলগুলোকে সবার সামনে প্রকাশ করে দিলে।
আমি তো আমল গোপন রেখেছিলাম— তুমি তা ফাঁস করে দিলে!
আমি ভয় পাই, এ প্রকাশ আমার ধ্বংসের কারণ না হয়ে যায়...”

এইভাবে সেই অলৌকিক মুহূর্তে প্রকাশ পেল এক রাজাধিরাজের গোপন সাধনার রহস্য।

শিক্ষণীয়:
আল্লাহর ওলিরা গোপনে আমল করেন, লোক দেখানো নয়। আর আল্লাহ তাআলা নিজে

Address

Faridpur

Opening Hours

09:00 - 17:00

Telephone

+8801744444444

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ahmed Raju posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category