06/09/2025
ফরিদপুরে আবাসিক হোটেল সমাচার
গতকাল রাতে আমার পরিচিত একজনের অবাধ্য স্ত্রীর সন্ধানে তিনটি আবাসিক হোটেলে যাওয়ার সুযোগ হয়। একাই গিয়েছিলাম, ভেতরে ঢুকতে ভয় ভয় মনে হলো। কারন, হোটেল তিনটি এমনভাবে তৈরি করা, ভয় পাওয়ারই কথা। এগুলো করা অনুমতি লাগে না হয়তো।
তার আগে একটু বলি- রাত ৮ টার দিকে ওই ব্যক্তি ফোন করে জানায়- তাঁর স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকের সাথে আবাসিক হোটেলে গিয়েছে। মাঝে মধ্যেই রাত্রিযাপন করে থাকে। ছোট্ট একটি সন্তান আছে ওর, অবাধ্য স্ত্রীর কারনে সংসারটা ভেঙে তছনছ প্রায়। তবুও অবাধ্য স্ত্রী থেমে নেই৷ আর "ওর" শব্দটা ব্যবহারের কারন- ছোটবেলার বন্ধু। ছেলেটা খুবই সহজ-সরল প্রকৃতির। ওর কাছ থেকে শুনে খারাপ লাগায় ওর সন্দেহের তিনটি হোটেলে গেলেও সন্ধান পাইনি। হয়তো হোটেলের কর্মচারীরা তথ্য গোপন করেছে।
একটি হোটেলের কর্মচারী বলেই ফেললেন- এধরনের কেউ এলে ছদ্মনাম দিয়ে থাকে। তাঁর ভাষ্য- এগুলো যাচাই-বাছাই করা হয় না। আর আমারতো রুমে রুমে গিয়ে খোঁজার করার অধিকারও নেই।
তবে মজার বিষয়- হোটেলগুলোতে যখন প্রবেশ করি তখন কিছু একটা চোখে পড়ল। কিছু না বুঝার ভাব ধরে কাউন্টারের লোকদের সাথে একটু গল্পও করি আর আড়চোখে এদিক-ওদিক তাকালাম। তখন একটি রুম থেকে এক নারীকে উকিঁ দিতে দেখলাম, অস্বাভাবিক পোশাক পরিহিত ছিল। এভাবে কয়েকজন নারীর দেখা পেলাম।
অন্য একটি হোটেলের মালিক দাবিকৃত একজনের সাথে কথা হলো। কথায় কথায় তিনি বলেই ফেললেন- ঘন্টা অনুযায়ী প্রেমিক-প্রেমিকাদের রুম ভাড়া দেয়া হয়, এক ঘন্টা তিনশ টাকা থেকে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। অবশ্য তাঁরা দরদাম করে নিয়ে থাকে। তাতে নিরাপদেই তাঁরা অবৈধ মেলামেশা করতে পারে। এগুলো না হলে তাঁদের হোটেল ব্যবসায় টিকে থাকা কঠিন।
যতটুকু চোখে দেখতে পেলাম এবং অনুধাবন করলাম- এই শহরে আবাসিক হোটেল মানে রমরমা যৌ*ণ ব্যবসা।