Mystery of Science

Mystery of Science শিক্ষানীয় কথাবার্তা, বিজ্ঞান চর্চা || Educational conversations, pursuit of science.

24/07/2025

এ হৃদয়ে যদি দেখাতে পারতাম বাংলাদেশকে আমি কতোটা ভালোবাসি।

13/07/2025

গরুর রশি দেখলে ভদ্রভাবে এমন করে যাবেন।

খাদ্যশৃঙ্খল আজ কোথায়?
13/07/2025

খাদ্যশৃঙ্খল আজ কোথায়?

রাডার কীভাবে কাজ করেমানবজাতি যখন প্রথম আকাশে পাখির মতো উড়তে শিখল, তখন থেকেই আকাশের খবর জানার প্রয়োজন অনুভূত হতে থাকে। শত...
12/07/2025

রাডার কীভাবে কাজ করে

মানবজাতি যখন প্রথম আকাশে পাখির মতো উড়তে শিখল, তখন থেকেই আকাশের খবর জানার প্রয়োজন অনুভূত হতে থাকে। শত্রুর বিমান কখন আক্রমণ করতে পারে, কোন দিক থেকে আসছে, তার গতি কত—এসব জানতে চাই একটি নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি। ঠিক সেই প্রয়োজন থেকেই জন্ম নিয়েছিল রাডার নামক যন্ত্রটির। আজ শুধু যুদ্ধক্ষেত্র নয়, আবহাওয়া পূর্বাভাস থেকে শুরু করে বিমান চলাচল, এমনকি আধুনিক গাড়িতেও ব্যবহৃত হচ্ছে রাডার। কিন্তু এই জটিল প্রযুক্তি আসলে কীভাবে কাজ করে?

রাডার শব্দের মানে ও প্রাথমিক ধারণা

‘রাডার’ শব্দটি এসেছে ইংরেজি “Radio Detection and Ranging” থেকে, যার বাংলা করলে দাঁড়ায়—রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে বস্তু শনাক্ত করা এবং তার দূরত্ব নির্ণয় করা। সহজ করে বলতে গেলে, রাডার এমন এক প্রযুক্তি যা রেডিও তরঙ্গ পাঠিয়ে, তা কোনো বস্তুতে লাগলে প্রতিফলিত তরঙ্গ ধরে, সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে বস্তুটির অবস্থান, দূরত্ব, গতি এবং আকার সম্পর্কে ধারণা দেয়।

আমরা চোখ দিয়ে যেমন আলো দেখে বস্তু চিনতে পারি, তেমনি রাডার ‘দেখে’ রেডিও তরঙ্গ দিয়ে। তবে পার্থক্য হলো, রাডার চোখের চেয়ে অনেক দূরে ও সূক্ষ্মভাবে দেখতে পারে—তা দিন হোক কিংবা রাত, কুয়াশা হোক কিংবা বৃষ্টি।

রাডারের কাজ করার মূলনীতি

রাডারের কার্যপ্রক্রিয়া খুব সরল মনে হলেও এর পেছনের বিজ্ঞান বেশ গভীর ও চমকপ্রদ। পুরো প্রক্রিয়াকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করা যায়—

১. রেডিও তরঙ্গ পাঠানো

রাডারের প্রথম কাজ হলো একটি শক্তিশালী রেডিও তরঙ্গ পাঠানো। এটি একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে হয়ে থাকে, সাধারণত মাইক্রোওয়েভ বর্ণালীর মধ্যে। এই তরঙ্গ পাঠানো হয় একটি বিশেষ অ্যান্টেনা ব্যবহার করে, যা সাধারণত একটি ডিশ আকৃতির হয়। তরঙ্গটি একধরনের সংকেত বা pulse আকারে পাঠানো হয়—মনে করুন আপনি জোরে আওয়াজ করে বললেন “হ্যালো!” আর সেই শব্দ ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন।

২. বস্তুতে প্রতিফলন

যে তরঙ্গটি রাডার পাঠিয়েছে, তা সামনে থাকা যেকোনো বস্তুর গায়ে গিয়ে লাগে। যদি ওই বস্তুটি ধাতব বা কঠিন হয়, তাহলে তরঙ্গটির বেশিরভাগই প্রতিফলিত হয়ে আবার ফিরে আসে। একে বলে Echo বা প্রতিধ্বনি, অনেকটা পাহাড়ে চিৎকার করলে যেমন শব্দ ফিরে আসে।

৩. প্রতিফলিত তরঙ্গ সংগ্রহ

এবার রাডারের সেই অ্যান্টেনাই তরঙ্গ গ্রহণ করে, যেটি আগে তরঙ্গ পাঠিয়েছিল। অ্যান্টেনা আবার Receiver হিসেবে কাজ করে। রাডার ঠিকমতো বোঝে কোন তরঙ্গটি নিজের পাঠানো, আর সেটি কত সময় পরে ফিরে এসেছে।

৪. তথ্য বিশ্লেষণ

তরঙ্গ পাঠানো আর ফিরে আসার সময়ের ব্যবধান থেকেই রাডার বুঝতে পারে বস্তুটি কত দূরে আছে। কারণ, রেডিও তরঙ্গ আলোর গতিতে চলে—প্রায় প্রতি সেকেন্ডে তিন লাখ কিলোমিটার। রাডার সেই সময় মেপে হিসাব করে নেয়, কত দূর থেকে তরঙ্গটি প্রতিফলিত হয়ে ফিরেছে। এছাড়া, যদি বস্তুটি নড়তে থাকে, তবে তরঙ্গের ফ্রিকোয়েন্সি সামান্য পরিবর্তিত হয়। এই পরিবর্তন থেকেই রাডার বুঝে নেয় বস্তুটি কি দিকে যাচ্ছে এবং কত দ্রুত।

একটি সহজ উদাহরণ

ধরুন, আপনি একটি অন্ধকার কক্ষে ঢুকেছেন। হাতে একটি ব্যাটারি আছে, তাতে টর্চ জ্বালিয়ে আপনি সামনে আলোকছটা ছুড়লেন। আলোর প্রতিফলন দেখে বুঝলেন সামনে একটা দেয়াল আছে। রাডারও ঠিক তেমন—কেবল সে আলো নয়, রেডিও তরঙ্গ ছুড়ে কাজ করে।

রাডারের উপাদানসমূহ

একটি কার্যকর রাডার সিস্টেমে থাকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান:

ট্রান্সমিটার (Transmitter): এটি তরঙ্গ তৈরি করে এবং অ্যান্টেনার মাধ্যমে পাঠায়।

অ্যান্টেনা (Antenna): তরঙ্গ পাঠানো এবং গ্রহণ করার কাজ করে। একে রাডারের চোখ বলা যায়।

রিসিভার (Receiver): প্রতিফলিত তরঙ্গ গ্রহণ করে এবং তার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে।

সিগন্যাল প্রসেসর: এটি একটি কম্পিউটার বা অ্যানালগ যন্ত্র হতে পারে, যা তথ্য বিশ্লেষণ করে স্ক্রিনে বস্তুটির অবস্থান, গতি ইত্যাদি দেখায়।

বিভিন্ন ধরনের রাডার

রাডারেরও আবার নানা ধরন রয়েছে, প্রয়োজন ও ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে। যেমন—

Pulse Radar: এতে নির্দিষ্ট সময় পরপর শক্তিশালী তরঙ্গ পাঠানো হয়। এগুলো দূরত্ব মাপতে খুব ভালো।

Continuous Wave Radar: এখানে তরঙ্গ অবিরাম পাঠানো হয়, যা গতির নির্ভুলতা দেয়। তবে দূরত্ব মাপতে অতটা কার্যকর নয়।

Doppler Radar: এটি বস্তু চলমান কিনা তা নির্ধারণ করে ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তনের (ডপলার প্রভাব) ভিত্তিতে। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

Phased Array Radar: এতে বহু ছোট ছোট অ্যান্টেনা থাকে, যারা একসঙ্গে কাজ করে। এটি দ্রুত গতি বিশ্লেষণে বিশেষজ্ঞ।

কোথায় কোথায় রাডার ব্যবহৃত হয়?

রাডারের ব্যবহার এত বিস্তৃত যে আমরা অনেক সময় না জেনেই রাডারের সুবিধা ভোগ করি।

সামরিক ক্ষেত্রে

যুদ্ধক্ষেত্রে রাডার এক অনন্য আবিষ্কার। শত্রুপক্ষের বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র কখন আসছে তা আগে থেকেই শনাক্ত করা যায় রাডারের সাহায্যে। এজন্য বিভিন্ন দূরত্বে সতর্কতামূলক রাডার বসানো থাকে। এমনকি সাবমেরিনের অবস্থানও জানা যায় সনার ও রাডার একসঙ্গে ব্যবহার করে।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে

আমরা আজ বৃষ্টির পূর্বাভাস, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ, বজ্রপাতের সম্ভাবনা এসব জানতে পারি রাডার প্রযুক্তির মাধ্যমে। বিশেষ ধরনের Doppler রাডার ব্যবহার করে মেঘের ঘনত্ব, বৃষ্টির গতি, এমনকি বরফপাত পর্যন্ত নির্ণয় করা যায়।

বিমানবন্দরে

আকাশে শত শত বিমান একসঙ্গে চলাচল করে। এসব নিয়ন্ত্রণের জন্য এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারে রাডার থাকে। প্রতিটি বিমানের গতিবিধি, উচ্চতা, গতি নজরে রাখা হয় রাডার দিয়ে। এমনকি বিমান নিজেও রাডার ব্যবহার করে সামনের দিকের প্রতিবন্ধকতা বা আবহাওয়ার অবস্থা জানে।

নৌ-চালনায়

সমুদ্রের বুকে জাহাজ চলাচলের সময় রাডার খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষত রাতের অন্ধকারে বা ঘন কুয়াশায় যখন চোখে কিছুই দেখা যায় না, তখন রাডার জানায় সামনে কোন জাহাজ, পাথর বা ভূমি আছে কিনা। বড় জাহাজগুলোতে ঘূর্ণায়মান ডিশ রাডার প্রায় সব সময় সচল থাকে।

সাধারণ যানবাহনে

আজকের আধুনিক গাড়িতে রাডার প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে গতি নিয়ন্ত্রণ ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে। সামনে হঠাৎ কোনো কিছু আসলে রাডার সংকেত দেয়, এমনকি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রেকও করে ফেলে। অনেক গাড়িতে রয়েছে Adaptive Cruise Control—যেখানে রাডার অন্য গাড়ির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখে।

আইন প্রয়োগে

পুলিশ অনেক সময় রাস্তায় গাড়ির গতি পরিমাপ করতে রাডার গান ব্যবহার করে। গাড়ির দিকে রেডিও তরঙ্গ পাঠিয়ে তা ফেরত এসে বলছে গাড়িটি কত দ্রুত চলছে। গতি সীমা লঙ্ঘন করলে তাৎক্ষণিকভাবে ধরা যায়।

রাডারের কিছু চমৎকার বৈশিষ্ট্য

দিন-রাত সমান কাজ: রাডার আলো বা অন্ধকারে কোনোটির ওপর নির্ভর করে না।

খারাপ আবহাওয়ায় কার্যকর: মেঘ, কুয়াশা বা বৃষ্টির মধ্যেও রাডার ঠিকভাবে কাজ করে।

দূর থেকে তথ্য প্রদান: অনেক কিলোমিটার দূরের বস্তুও সনাক্ত করতে পারে।

গতি নির্ণয়ে দক্ষ: বস্তু সামনের দিকে আসছে না কি পেছনের দিকে যাচ্ছে, রাডার ঠিকমতো বোঝে।

রাডার প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ

দিন দিন রাডার আরও উন্নত হচ্ছে। আজকের রাডার শুধু বিমানের গতিপথ নয়, এমনকি একটি ক্ষুদ্র ড্রোনের উপস্থিতিও শনাক্ত করতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংযুক্ত করে রাডার এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিদ্ধান্তও নিতে পারে। এমনকি চিকিৎসাক্ষেত্রেও রাডার ব্যবহার শুরু হয়েছে—বুকের স্পন্দন, নিঃশ্বাস ইত্যাদি পর্যবেক্ষণের জন্য।

ক্লোনিং আসলে কী? নকল মানুষ?ক্লোনিং শব্দটা শুনলেই আমাদের মাথায় যেন সিনেমার মতো কিছু দৃশ্য ভেসে ওঠে—একজন মানুষের হুবহু কপি...
12/07/2025

ক্লোনিং আসলে কী? নকল মানুষ?

ক্লোনিং শব্দটা শুনলেই আমাদের মাথায় যেন সিনেমার মতো কিছু দৃশ্য ভেসে ওঠে—একজন মানুষের হুবহু কপি বানিয়ে ফেলা, একটা ‘নকল মানুষ’ তৈরি করে ফেলা। কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটা মোটেই এতটা সহজ বা অলৌকিক কিছু না। এটা আসলে বিজ্ঞানের একটা জটিল আর গুরুত্বপূর্ণ শাখা, যেখানে প্রাণী বা কোষের জেনেটিক কপি তৈরি করা হয়।
সবচেয়ে সহজভাবে বললে, ক্লোনিং মানে হচ্ছে কোনো প্রাণীর জেনেটিক তথ্য অবিকল রেখে আরেকটা নতুন কপি তৈরি করা। এই ‘নকল’ বললে আসলে ভুল হবে, কারণ ক্লোন জীবটা পুরোপুরি জীবন্ত, আর তারও নিজস্ব অস্তিত্ব থাকে।

ক্লোনিং কত রকম?
বিজ্ঞানীরা ক্লোনিংকে সাধারণভাবে তিন ভাগে ভাগ করে থাকেন:

১. জিন ক্লোনিং (Gene cloning) – এখানে শুধু কোনো নির্দিষ্ট জিন বা DNA অংশ কপি করা হয়। যেমন কোনো একটা ওষুধ তৈরি করতে হলে কোনো জীবাণুর জিন কপি করে কাজটা করা হয়।

২. প্রজনন ক্লোনিং (Reproductive cloning) – এতে গোটা একটা জীব তৈরি হয়। এটার সবচেয়ে আলোচিত উদাহরণ হচ্ছে ভেড়া ‘ডলি’।

৩. থেরাপিউটিক ক্লোনিং (Therapeutic cloning) – এটা মূলত চিকিৎসার জন্য করা হয়। যেমন, স্টেম সেল বানিয়ে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের চেষ্টা।

ডলি: ইতিহাসের প্রথম ক্লোনড স্তন্যপায়ী

১৯৯৬ সালে স্কটল্যান্ডে জন্ম নেয় ডলি নামে একটা ভেড়া। এটা ছিল বিজ্ঞানের এক বড় সাফল্য। ডলিকে বানাতে বিজ্ঞানীরা একটা প্রাপ্তবয়স্ক ভেড়ার শরীরের কোষ থেকে নিউক্লিয়াস বের করে নিয়ে সেটা আরেকটা ডিম্বাণুতে ঢুকিয়ে দেন, যার নিজের নিউক্লিয়াস আগে থেকেই ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তারপর সেটা মায়ের গর্ভে প্রতিস্থাপন করে জন্ম দেওয়া হয় ডলির।
তবে এটা করতে গিয়ে প্রায় ২৭৭ বার ব্যর্থতা আসে! এটা থেকেই বোঝা যায়, ক্লোনিং শুধু থিওরিতে নয়, বাস্তবেও অনেক কঠিন আর ঝুঁকিপূর্ণ।

মানুষ ক্লোন করা যাবে?

এই প্রশ্নটাই সবচেয়ে বেশি আলোচিত। টেকনিক্যালি, অর্থাৎ বিজ্ঞানগতভাবে এটা একেবারে অসম্ভব না। কিন্তু আসল সমস্যাটা হচ্ছে নৈতিকতা আর ঝুঁকি। এখন পর্যন্ত যেসব প্রাণী ক্লোন করা হয়েছে, তাদের অনেকেই অল্প বয়সেই মারা গেছে, কারও অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সমস্যা ছিল, কারও আবার বার্ধক্যজনিত লক্ষণ দেখা দিয়েছে খুব অল্প বয়সেই।
ধরা যাক কোনোদিন মানুষ ক্লোন করা সম্ভব হলোও—তবুও কি সেই মানুষটা হুবহু মূল মানুষের মতো হবে? আসলে না। কারণ মানুষ গড়ে ওঠে তার স্মৃতি, অভিজ্ঞতা, পরিবেশ আর বেড়ে ওঠার মাধ্যমে। জিন এক হলেও মনটা, চিন্তাভাবনা বা আচরণ কখনোই হুবহু কপি হয় না। ঠিক যেমন যমজ ভাইয়েরা দেখতে এক হলেও তারা আলাদা মানুষ।

ক্লোনিংয়ের ভালো দিকগুলো

সব দিকেই শুধু সমস্যা আছে, এমন না। ক্লোনিং প্রযুক্তি অনেক ভালো কাজেও ব্যবহার হতে পারে। যেমন—
কোনো দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির নিজের কোষ থেকে যদি অঙ্গ তৈরি করা যায়, তাহলে প্রতিস্থাপনে ঝুঁকি কমে যাবে।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীগুলো আবার ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। যেমন, ডাইনোসর নয়, কিন্তু ‘উলি ম্যামথ’ নিয়ে গবেষণা চলছে।
স্টেম সেল ক্লোন করে হয়তো ভবিষ্যতে ক্যানসার, পারকিনসনসের মতো রোগের চিকিৎসা আরও উন্নত করা যাবে।

তাহলে নকল মানুষ?

না, ক্লোনিং মানেই নকল মানুষ নয়। মানুষ এমন একটা জটিল প্রাণী যার মধ্যে শুধু DNA না, মন-মানসিকতা, মূল্যবোধ, অনুভূতি—সবকিছু থাকে। এগুলো কোনো ল্যাবে বানানো যায় না। কেউ যদি কোনোদিন ক্লোনড হয়েও যায়, সে তার নিজের মতোই ভাববে, হাসবে-কাঁদবে।
অতএব, ক্লোনিং মানে রোবট বানানো না। এটা জীববিজ্ঞানের একটা চমৎকার অংশ, যেটা নিয়ে এখনো অনেক গবেষণা চলছে। ভবিষ্যতে হয়তো চিকিৎসা ক্ষেত্রে এর প্রভাব আরও বড় হবে, কিন্তু "নকল মানুষ" তৈরি করে দুনিয়া বদলে যাবে—এই চিন্তাটা এখনো কল্পবিজ্ঞানেই ভালো মানায়।

ক্লোনিং একটা মজার কিন্তু গভীর বিজ্ঞানচর্চার বিষয়। এটা যেমন আশার আলো হতে পারে, তেমনি ভুলভাবে ব্যবহার হলে হতে পারে ভয়ংকরও। আমরা যদি এটাকে শুধু “নকল মানুষ বানানো” বলে ফেলি, তাহলে আসল বিজ্ঞানটাই আমরা মিস করবো। বরং, বোঝা দরকার—এই প্রযুক্তি মানুষ বা জীবনের প্রতি দায়িত্ববোধের সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত, যাতে ভবিষ্যত পৃথিবী হয় আরও ভালো, আরও মানবিক।

12/07/2025

“গুরু শিষ্যকে যদি একটি অক্ষরও শিক্ষা দেন, তবে পৃথিবীতে এমন কোনও জিনিস নেই, যা দিয়ে সেই শিষ্য গুরুর ঋণ শোধ করতে পারে। ”
_ চাণক্য

শূন্য কেলভিন কি অর্জন করা সম্ভব?তাপমাত্রা—এই শব্দটা আমরা প্রতিদিন শুনি, অনুভব করি, এমনকি মাপিও। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখে...
09/07/2025

শূন্য কেলভিন কি অর্জন করা সম্ভব?

তাপমাত্রা—এই শব্দটা আমরা প্রতিদিন শুনি, অনুভব করি, এমনকি মাপিও। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি, তাপমাত্রার একেবারে নিচের সীমা কোথায়? কতটা ঠান্ডা হতে পারে কোনো কিছু? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমরা পৌঁছে যাই এক গভীর বৈজ্ঞানিক সীমারেখায়—শূন্য কেলভিন বা যাকে বলা হয় "অ্যাবসোলুট জিরো" (Absolute Zero)। বিজ্ঞানীদের মতে, এই তাপমাত্রা হচ্ছে এমন একটি অবস্থা, যেখানে কোনো কণার মধ্যেই আর ন্যূনতম শক্তি থাকে না, কণাগুলো পুরোপুরি স্থির হয়ে যায়।
এখন প্রশ্ন—এই শূন্য কেলভিন কি আদৌ অর্জন করা সম্ভব? বিজ্ঞান তো আজ অনেক দূর এগিয়েছে। তাহলে?

শূন্য কেলভিন কী?

তাপমাত্রা বলতে আমরা সাধারণত বুঝি কণাগুলোর গতি। যত বেশি গতি, তত বেশি তাপ। কণাগুলোর এই গতি পুরোপুরি থেমে গেলে—অর্থাৎ তারা আর কাঁপবে না, নড়বে না, এমন এক নিঃস্পন্দ অবস্থা তৈরি হলে, সেটাই হচ্ছে শূন্য কেলভিন বা -২৭৩.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এটা তাত্ত্বিকভাবে এমন একটি অবস্থা যেখানে কোনো কণার মধ্যেও থার্মাল এনার্জি (তাপ শক্তি) থাকবে না। অর্থাৎ কোনো ধরনের কম্পন, ঘূর্ণন বা গতিশীলতা থাকবে না।

আজকের আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা ল্যাবরেটরিতে জিনিসপত্রকে আশ্চর্যজনকভাবে ঠান্ডা করতে পারি। লেজার কুলিং, ম্যাগনেটিক ইভ্যাপোরেশন কুলিং-এর মতো পদ্ধতিগুলো দিয়ে আমরা কণাগুলোর গতি ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলতে পারি। এর ফলে তাপমাত্রা নেমে আসে কোটি কোটি ভাগের এক ভাগ কেলভিন পর্যন্ত।
১৯৯৫ সালে বিজ্ঞানীরা বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট নামের এক নতুন পদার্থের অবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হন, যেটা হয় মাত্র কয়েক ন্যানোকেলভিন তাপমাত্রায়—অর্থাৎ শূন্য কেলভিনের একেবারে কাছাকাছি।
শূন্য কেলভিন কি অর্জন করা যায় না?
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে আমাদের ঢুকতে হবে তাপগতিবিদ্যার (Thermodynamics) গভীরে। এর তৃতীয় সূত্র (Third Law of Thermodynamics) বলছে—কোনো সিস্টেমকে একেবারে শূন্য কেলভিনে আনা তাত্ত্বিকভাবে অসম্ভব।
কারণ, কোনো কণাকে একেবারে স্থির করতে গেলে তার সব শক্তি কেড়ে নিতে হবে, এবং এই কাজ করতে গেলে অসীম শক্তি প্রয়োজন। অর্থাৎ আমরা যতই কুলিং করি না কেন, কণার কিছু না কিছু শক্তি থেকেই যাবে, কিছু না কিছু গতি থেকে যাবে।

আবার কোয়ান্টাম মেকানিক্স (Quantum Mechanics) অনুযায়ী, কোনো কণার অবস্থান এবং গতি আমরা একসাথে নির্ভুলভাবে জানতে পারি না। তাই যদি কেউ একে একেবারে স্থির করার চেষ্টা করে, তাহলে তার অবস্থান অস্পষ্ট হয়ে যাবে। ফলে কণাটি আসলে কোথায় আছে, তা-ই বোঝা যাবে না। এই অনিশ্চয়তা নিজেই বলে দেয়, শূন্য কেলভিনে যাওয়া অসম্ভব।

বাস্তব জীবনে এর মানে কী?
আমরা আজ পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী কুলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেও শূন্য কেলভিন পর্যন্ত যেতে পারিনি। তবে আমরা পৌঁছে গেছি তার খুব কাছাকাছি—যেমন ১০^-৯ কেলভিন বা তারও কম। এর ফলে আমরা বুঝতে পারছি বস্তু ও শক্তির আচরণ একেবারে চূড়ান্ত ঠান্ডায় কেমন হয়। যেমন, সুপারকন্ডাক্টিভিটি (যেখানে বৈদ্যুতিক প্রতিরোধ সম্পূর্ণ শূন্য হয়ে যায়), সুপারফ্লুইডিটি (যেখানে তরল পদার্থ কোনো ঘর্ষণ ছাড়াই প্রবাহিত হয়)—এগুলো এই চরম ঠান্ডার পরিবেশেই ঘটে।

তাহলে শেষ কথা কী?
তাত্ত্বিকভাবে, শূন্য কেলভিন হলো একটি সীমা—একটি গন্তব্য যেটির দিকে আমরা এগিয়ে যেতে পারি, কিন্তু কখনো ঠিক পৌঁছাতে পারি না। এটা অনেকটা দিগন্তরেখার মতো—দেখতে পাই, ধাওয়া করি, কিন্তু কখনো ছুঁতে পারি না।
বিজ্ঞান এই সীমার খুব কাছাকাছি পৌঁছেছে, আমাদের হাতে আছে শক্তিশালী প্রযুক্তি, এবং ভবিষ্যতে হয়তো আরও কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু তাপগতিবিদ্যার নিয়ম এবং কোয়ান্টাম অনিশ্চয়তা আমাদের একটা কথা বারবার মনে করিয়ে দেয়—শূন্য কেলভিনে যাওয়া, ঠিক সূর্য ছুঁয়ে ফেলার মতোই, চরম কল্পনা। বাস্তবতার এক কঠিন প্রান্ত।

বিজ্ঞান আমাদের অনেক দূর নিয়ে গেছে। আমরা এখন আণবিক গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, আলো দিয়ে কণা ঠান্ডা করতে পারি, এমনকি সময়ের ধারাও ধীরে করতে পারি। কিন্তু কিছু কিছু প্রাকৃতিক সীমা আছে যা অতিক্রম করা সম্ভব নয়—আর শূন্য কেলভিন সেই সীমার সবচেয়ে রহস্যময় একটি। এটা আমাদের শেখায় বিনয়, দেখায় বিজ্ঞানের সীমা, এবং মনে করিয়ে দেয়—প্রকৃতি এখনও অনেক রহস্য নিজের ভাঁজে গোপন করে রেখেছে।


মানুষ কেন ভয় পায়? ভয় কাজ করে কীভাবে?ভয়—একটা ছোট্ট শব্দ হলেও এর প্রভাব আমাদের মনে, শরীরে এবং আচরণে বিশাল। কখনো হঠাৎ করে আ...
07/07/2025

মানুষ কেন ভয় পায়? ভয় কাজ করে কীভাবে?

ভয়—একটা ছোট্ট শব্দ হলেও এর প্রভাব আমাদের মনে, শরীরে এবং আচরণে বিশাল। কখনো হঠাৎ করে আলো নেভে গেলে, কিংবা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে পেছনে কারো পায়ের শব্দ শুনলে বুক ধড়ফড় করে ওঠে। এমনকি ভবিষ্যতের চিন্তাও কখনো কখনো আমাদের মনে ভয় জাগায়। কিন্তু আসলে ভয় কী? আমরা ভয় পাই কেন? আর এই ভয় কীভাবে আমাদের শরীর ও মনে কাজ করে?
ভয়ের মূল কাজ আমাদের বাঁচিয়ে রাখা। এটা প্রকৃতির একটা আশ্চর্য সৃষ্টি, যেটা প্রাণীদের টিকে থাকার জন্য অত্যন্ত জরুরি। মানুষসহ প্রায় সব প্রাণীর মধ্যেই ভয় পাওয়ার প্রবণতা জন্মগতভাবে থাকে। ধরুন, কেউ যদি আগুনে হাত দেয়, শরীর সঙ্গে সঙ্গে সরে আসে, কারণ মস্তিষ্ক আগুনকে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ভয় আমাদের এইরকম পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করে।

ভয় আসলে কী?

ভয় হলো আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের (nervous system) একটি প্রতিক্রিয়া। যখন আমাদের মস্তিষ্ক কোনো কিছু বিপদজনক বা হুমকিস্বরূপ ভাবে, তখন শরীর এক ধরনের প্রস্তুতি নেয়—লড়ো বা পালাও (fight or flight)। এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে প্রধান কাজ করে আমাদের অ্যামিগডালা (amygdala) নামক মস্তিষ্কের একটি ছোট্ট অংশ।

ভয় কাজ করে কীভাবে?

ভয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয় ইন্দ্রিয়গুলোর (যেমন চোখ, কান) মাধ্যমে। ধরা যাক, আপনি অন্ধকার ঘরে হঠাৎ করে একটা শব্দ শুনলেন। কান সেই শব্দের তথ্য পাঠায় মস্তিষ্কে। তখন মস্তিষ্ক দ্রুত বিশ্লেষণ করে দেখে—"এটা কি বিপজ্জনক?" এই বিশ্লেষণের জন্য কাজ করে অ্যামিগডালা। যদি সেটা মনে করে যে এটা বিপদজনক, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে শরীরকে প্রস্তুত করতে নির্দেশ পাঠায়।
এই সময় শরীরে যেসব পরিবর্তন ঘটে: হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় রক্তচাপ বাড়ে শ্বাস দ্রুত ও গভীর হয় চোখের মণি (pupil) বড় হয়ে যায় হাত-পা কাঁপতে শুরু করে

শরীরে অ্যাড্রেনালিন (adrenaline) নামে এক হরমোন ছড়িয়ে পড়ে

এই সব পরিবর্তনের উদ্দেশ্য একটাই—আপনি যেন মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন: আপনি সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন, না পালিয়ে যাবেন।

ভয় কেন হয়?

মানুষ ভয় পায় কয়েকটা মূল কারণে:

১. অজানা জিনিসের প্রতি ভয়
আমরা যা জানি না, বুঝতে পারি না—তা থেকেই ভয় জন্মায়। যেমন ভূত, মৃত্যু, ভবিষ্যত ইত্যাদি বিষয়ে ভয়, কারণ এসব আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি না।

২. অভিজ্ঞতা থেকে শেখা
যদি কেউ কোনো সময় সাপের কামড় খায় বা আগুনে পুড়ে যায়, তখন সে জীবনে পরবর্তীতে সেই জিনিসগুলো দেখলেই ভয় পায়। মস্তিষ্ক শেখে, এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হয়।

৩. শিশু অবস্থায় শিখে ফেলা ভয়
ছোটবেলায় কেউ যদি অন্ধকার ঘরে ভয় পায়, তার প্রভাব অনেক সময় বড় বয়সেও থাকে। এটা মস্তিষ্কের দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতির অংশ হয়ে যায়।

৪. সামাজিক প্রভাব
আশেপাশের মানুষ যেটাকে ভয় পায়, সেটাকেও আমরা ভয় পেতে শিখি। যদি পরিবারে সবাই সাপকে ভয় পায়, তাহলে আপনার মধ্যেও সেই ভয় জন্ম নিতে পারে।

ভয় সবসময় খারাপ না

ভয়কে আমরা অনেক সময় দুর্বলতা বলে মনে করি, কিন্তু আসলে ভয় অনেকসময় আমাদের জীবন রক্ষা করে। আগুন, উঁচু জায়গা, অথবা বিপদজনক প্রাণী দেখে ভয় না পেলে হয়তো আমরা দুঃসাহসিক ভুল করতাম।
তবে সমস্যা তখনই শুরু হয়, যখন ভয় অতিরিক্ত মাত্রায় হয়ে যায়। কেউ কেউ অল্প কিছুতেই ভয় পায়, অস্থির হয়ে পড়ে, এমনকি স্বাভাবিক জীবনযাপনও কঠিন হয়ে পড়ে। একে বলে ফোবিয়া (phobia)। যেমন কেউ অন্ধকারকে ভয় পায়, কেউ উঁচু জায়গা, আবার কেউ রক্ত দেখে অজ্ঞান হয়ে যায়। এটা তখন মানসিক সমস্যায় রূপ নেয়।

ভয় নিয়ন্ত্রণ করা যায়?

হ্যাঁ, ভয় নিয়ন্ত্রণ শেখা যায়। এজন্য আমাদের মস্তিষ্কের যুক্তিবোধের অংশ—যেটাকে বলা হয় প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্স (prefrontal cortex)— সেটা কাজে লাগাতে হয়। মানে হলো, ভয় পেলেই পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার ভাবা—"আসলে এটা কতটা ভয়ংকর?"

অনেক সময় মনঃচিকিৎসা (therapy) বা ভয়কে ধাপে ধাপে মুখোমুখি হওয়া (exposure therapy) এইসব ভয় কমাতে সাহায্য করে।

মানুষ ভয় পায় কারণ এটা আমাদের টিকে থাকার জন্য দরকার। ভয় আমাদের সতর্ক করে, প্রস্তুত করে এবং মাঝে মাঝে দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিতেও সাহায্য করে। তবে যখন এই ভয় আমাদের জীবনের নিয়ন্ত্রণ নেয়, তখন সেটা নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন। ভয় আমাদের শত্রু না, বরং অনেক সময় বন্ধু। বিজ্ঞান আমাদের শেখায়, কীভাবে ভয় কাজ করে, আর যুক্তিবোধ আমাদের শেখায়, কীভাবে সেই ভয়কে জয় করতে হয়।

আপনার প্রিয় শিক্ষকরের নাম বলে যান
07/07/2025

আপনার প্রিয় শিক্ষকরের নাম বলে যান

চেইনে যদি কোনোভাবে ত্বক, বিশেষত সংবেদনশীল অংশ আটকে যায়, তখন যে ব্যথা হয়, তা হালকা নয়—একেবারে সুঁই দিয়ে খোঁচা দেয়ার মতো ত...
05/07/2025

চেইনে যদি কোনোভাবে ত্বক, বিশেষত সংবেদনশীল অংশ আটকে যায়, তখন যে ব্যথা হয়, তা হালকা নয়—একেবারে সুঁই দিয়ে খোঁচা দেয়ার মতো তীব্র, জ্বালাময়ী একটা অনুভূতি। ব্যথাটা মুহূর্তেই শরীরকে থমকে দেয়। কারণ ওই স্থানে প্রচুর স্নায়ু থাকে, যা খুব সংবেদনশীল।

বিজ্ঞানীরা ব্যথা পরিমাপের জন্য একটি স্কেল ব্যবহার করেন, যেটাকে বলে VAS (Visual Analog Scale)—যেখানে ০ মানে ব্যথা নেই, আর ১০ মানে অসহনীয় ব্যথা। চেইনে ত্বক আটকে গেলে ব্যথার স্কোর ৬ থেকে ৮ পর্যন্ত হতে পারে, নির্ভর করে ত্বক কতটা চেপে গেছে।

আরও মজার ব্যাপার হলো, এমন ঘটনায় "nociceptors" নামের ব্যথা সৃষ্টিকারী স্নায়ু একসঙ্গে সক্রিয় হয়ে ওঠে, এবং খুব দ্রুত মস্তিষ্কে সিগন্যাল পাঠায়। এতে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হয় চট করে লাফ দিয়ে চেইন খুলে ফেলা।

এই ব্যথা কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হলেও জ্বালাপোড়া, ফোলাভাব বা লালচে দাগ রয়ে যেতে পারে আরও ঘণ্টা দুয়েক। তাই সাবধানে জিপ চালানো শুধু শালীনতার জন্য নয়—ব্যথা বাঁচানোর জন্যও দরকারি!

চুমু খাওয়ার মধ্যে যে শুধু আবেগ বা ভালোবাসা জড়িত, তা নয়—এটার পেছনে কিছু বিজ্ঞানও আছে। গড়পড়তা একটা চুমু যদি ৩০ সেকেন্ড স্থ...
04/07/2025

চুমু খাওয়ার মধ্যে যে শুধু আবেগ বা ভালোবাসা জড়িত, তা নয়—এটার পেছনে কিছু বিজ্ঞানও আছে। গড়পড়তা একটা চুমু যদি ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়, তবে এতে প্রায় ২–৩ ক্যালরি পর্যন্ত খরচ হতে পারে। যদিও শুনতে অল্প মনে হয়, তবে প্রতিদিন যদি কেউ কয়েকবার করে চুমু খায়, তাহলে মাস শেষে তা ছোটখাটো ব্যায়ামের সমান হয়ে দাঁড়ায়।

চুমু খাওয়ার সময় শরীরের বেশ কয়েকটি পেশি একসাথে কাজ করে—বিশেষ করে মুখের ৩০টিরও বেশি পেশি একযোগে নড়ে। হৃদস্পন্দন বাড়ে, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, ফলে শরীরের বিপাকক্রিয়াও ত্বরান্বিত হয়। কেউ যদি একটানা ১ মিনিট গভীর চুমু খায়, তাহলে তা দিয়ে ৫–৬ ক্যালরি পর্যন্তও খরচ হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, চুমু খাওয়ার সময় শরীর "অক্সিটোসিন" ও "ডোপামিন" নামের হরমোন নিঃসরণ করে, যা মনকে আনন্দিত করে ও স্ট্রেস কমায়। কাজেই শুধু আবেগ নয়, চুমু খাওয়া একটা হালকা ব্যায়ামের মতো কাজ করে, যা শরীর ও মনের জন্য উপকারী। তবে হ্যাঁ, ওজন কমাতে হলে শুধু চুমুতে ভরসা করলে চলবে না!

03/07/2025

বাংলা কি তোর বাপ দাদার?

Address

Fatikchari

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mystery of Science posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mystery of Science:

Share