Shafiqul Islam

Shafiqul Islam Hi. I am Shafiqul Islam. Thanks for visit my page. In this page I will show TIPS & TRICKS Video.
(2)

গুড্ডুর আলাদা ঘর লাগবে বাবা। ও তো বড় হচ্ছে। এভাবে আর কতদিন! আপনি অনুগ্রহ করে যদি বাইরের ঘরে শিফট করেন। সোমার কথা শুনে অব...
15/07/2025

গুড্ডুর আলাদা ঘর লাগবে বাবা। ও তো বড় হচ্ছে। এভাবে আর কতদিন! আপনি অনুগ্রহ করে যদি বাইরের ঘরে শিফট করেন।

সোমার কথা শুনে অবাক হয়ে তাকালেন বিভাস। বয়স তো বাড়ছে। আটাত্তরে পা দিয়েছেন কিছুদিন হল।
বাইরের ঘর মানে সোফা- কাম- বেডটিতে কিভাবে পারবেন! অথচ গুড্ডুর প্রয়োজনটাও ফেলে দেবার নয়।
সত্যিই তো,ফাইভে উঠল। যদিও তৃতীয় একটি বেডরুম আছে,যা সোমার নিজস্ব , ব্যক্তিগত জিনিসে ভর্তি।

রাত দুটো অবধি সেখানেই কি সব খুট খুাট করে সে ল্যাপটপে। সেখানে কি ব্যবস্থা করা যেত না ! কিছুই বললেন না বিভাস। যদিও ফ্ল্যাটের মালিক তিনি, মোটা টাকা পেনশন পান |

সংসারের সিংহভাগ খরচ তিনিই করেন | বিভাসের নামে,সমস্ত ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সও। তাই কারো কাছে হাত পাতার প্রয়োজন নেই তাঁর। তবুও কিছু কিছু কথা না বলাই সৌজন্যতা । নিজেরই ছেলে, বৌমা , নাতি । একসঙ্গে থাকছেন,এতেই মাঝে মধ্যে সংকোচ হয় তাঁর।

রাগ করে ওরা চলে গেলে তাঁর আর রইল কী ! যুথিকা তো মাঝজীবনে তাকে একলা ফেলে চলে গেলেন , তারপর থেকে এদের সাথে জড়িয়ে রয়েছেন |

স্কুল থেকে ফেরার পর নতুন ব্যবস্থার কথা শুনে গুড্ডুর প্রতিক্রিয়া দেখে বিভাসও অবাক। "এটা কেমন ব্যবস্থা মা!"
"কেন,তুই যে বললি".. "হ্যাঁ,বলেছি। কিন্তু আমি কি বলেছি তুমি বুঝো নি।"

রাতে সোফা -কাম -বেডের অনভ্যস্ত পরিসরে ঘুম আসছিল না বিভাসের।হঠাৎ গুড্ডুর গলা।
"দাদু ওদাদু আমার একা শুতে ভয় করছে। চলো,আজ থেকে তুমি আর আমি।" " না,না রে দাদুভাই , তোর মা আবার"....
"আমি থাকতে তোমার কোনো ভয় নেই দাদু । এ নিয়ে আর একটাও কথা নয়।" একটি দশ বছরের ছেলে কথাটা বলছে না আটাশ বছরের যুবক তা বোধগম্য হচ্ছিল না বিভাসের। অবাক হতেও ভুলে যাচ্ছেন।

চোখ দুটো এত বেইমানি করলে তো মুশকিল। ঘুমন্ত গুড্ডুর পাশে শুয়ে অশ্রু আর বাধা মানল না বিভাসের।
অবহেলায় এক ফোঁটা কান্না আসেনি তাঁর কোনদিন । কিন্তুু ভালোবাসার সঙ্গে কে আর কবে জিততে পেরেছে!

এখন বিভাসের পঁচাশি চলছে । বয়সের ভারে ন্যুব্জ দেহ মন দুটোই । একজন সেবিকার আর এক রাধুনীর তত্ত্বাবধানে একা থাকেন ।
বাজার ঘাট রাধুনীর করে সাথে গোটা সংসারের দেখ ভাল । বিভাস কিছুই আর পারেন না।
তন্ময় আর সোমা তিন বছর হলো চলে গিয়েছে তাদের নতুন ফ্ল্যাটে। তাঁকে দেখতে আসার অবশ্য সময় হয় না কারো। তিনমাস পরপর এসে তন্ময় ব্যাঙ্কের টাকা তুলে দিয়ে যায়।
পাঁচ বছর পর পড়াশোনা শেষ করে আজ গুড্ডু আমেরিকা থেকে ফিরছে শুনেছিলেন আগেই | করব না করব না ভেবেও ফোন করেছিলেন সোমাকে |
গুড্ডুকে একবার দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করে। যদি যাবার ইচ্ছা...... এক কথায় নাকচ করে দিয়েছে সোমা ।
"অত দূর থেকে আসছে, ছেলেটাকে কদিন থিতু হতে দিন বাবা। নাতিকে দেখার দিন তো আর আপনার পালিয়ে যাচ্ছেনা।" মনটা খারাপ তাই বিভাসের।

একটা বই পড়ার চেষ্টা করলেন। রেখে দিলেন। চোখে অনেকদিনই ছানি পড়েছে।একা যেতে পারেন না। কেউ নিয়ে যাবে না জানেন। কাকে বা বলবেন? কারো সময় নেই। সবাই নিজেদের কে নিয়ে ব্যাস্ত | বেলটা বেজে উঠল না ?
কে এল এ সময়ে , সকাল তো আটটা সবে। রান্নার মাসি নয়টায় আসে। "দেখো তো সাবিত্রী কে এল।" "দাদাইইইই"..... কী শুনলেন!
পড়ে যাবেন যে খাট থেকে ! গুড্ডুর গলা না... আটাশ বছরের না দশ বছরের সেটা বোধগম্য হচ্ছেনা বিভাসের! "ওরে ছাড় ছাড়,আগে দেখি তোকে ভালো করে, কেমন সাহেব হয়েছিস , হ্যাঁরে, মেমসাহেব বৌ আনবি নাকি".আমার জন্য , চোখে এত জল কোথায় যে থাকে,কই কখনো তো দেখতে পাননা...
"হ্যাঁরে, মা বাবা কই, ওরা আনতে যায়নি তোকে?" " গিয়েছে ,আমি ওদের চোখ এড়িয়ে উবের নিয়ে পালিয়ে এলাম। ভয় নেই, মেসেজ করেছি।
আগে আমি আমার দাদাইএর কাছে আসব , তারপর কথা।" থমথমে মুখে সিঁড়ি দিয়ে উঠছিল তন্ময় আর সোমা । পুরোনো আমলের ফ্ল্যাটবাড়ি, লিফট নেই।
বেলের আওয়াজ শুনে সাবিত্রী দরজা খুলেছে। "বৌদি,আপনারা!" "গুড্ডু কই!" "ওর দাদুর ঘরে।" ঘরের দরজা ঠেলে ঢুকতেও গিয়েও থেমে গেল সোমা ।
দরজার ফাঁক দিয়ে দেখলো , দাদুর বুকে মাথা রেখে চোখ বুজে দাদুর আদর খাচ্ছে তার গুড্ডু | দাদু ওর মাথায় , পিঠে , শরীরে, চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
"দাদু , ঠিকমতো দেখতেও তো পাওনা তুমি। মোবাইলে আমার ছবি দেখে বলছ এটা কার ছবি! চোখের ছানি কেউ কাটাতে নিয়ে যায়নি?"
"নারে লাগবে না"... "আমি নিয়ে যাব। দিন দুই সময় দাও।জেটল্যাগটি কাটলেই"... " কি রে গুড্ডু ,তুই এখানে চলে এলি ?তোর জন্য কত রকমের রান্না করেছি ,বাড়িতে চল আগে"...
"আমি এখানেই থাকব , এটাই আমার নিজের বাড়ি , দাদুর কাছে", অদ্ভুত এক হিম ঠাণ্ডা চোখে তাকাল গুড্ডু , "তোমরা চলে যাও। বিকেলে গিয়ে দেখা করব। এখন স্নান করে ঘুমোব।"
হতভম্ব সোমার সামনে দিয়ে ট্রলি ব্যাগ দুখানা টেনে নিয়ে পাশের রুমে চলে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল গুড্ডু ।

তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে বিপুলের হাতে চড় খেয়ে তৃনা সামান্য টলতেই চেয়ারটা ধরে ফেললো। ত্রিশ সেকেন্ড মাত্র। ও ঠান্ডা দৃষ্টি...
15/07/2025

তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে বিপুলের হাতে চড় খেয়ে তৃনা সামান্য টলতেই চেয়ারটা ধরে ফেললো। ত্রিশ সেকেন্ড মাত্র। ও ঠান্ডা দৃষ্টিতে স্বামীর দিকে তাকালো। তারপর সে স্টিলের চেয়ারটা বিপুলের সামনে দরাম করে ফলে দিল। সিদ্ধান্ত যা নেবার সে নিয়ে ফেলেছে। কিছু না বলে রুম থেকে বেরুনোর সময়ে তৃনা শুনতে পেল, কালামুখী, তার আবার এত দেমাগ! আমি ঠাইঁ দিয়েছিলাম বলেতো ঘর হলো, তা না হলেতো পাঁকে পরে থাকতে হত। বুঝতে পেরেছিস.. বেরুতেই তৃনা দেখতে পেল, দরজার একপাশে শাশুড়ী, ননদ দুজন ফিসফাস করছে। কালামুখীর সাহস কত.....

তৃনা ওদের দিকে না তাকিয়ে সোজা মেয়ের ঘরে গেলো, সেখানে দেখতে পেল , কলি শক্ত হয়ে বসে আছে।

তৃনার যখন জন্ম হলো তখন মহিলা মহলে ফিসফাস শুরু হলো। মা এত ফর্সা কিন্তু মেয়েটা হলো বাপদাদার মত কালাচাঁদ! এ মেয়ের বিয়ে দিবে কি করে ! কালো, এতো যেনতেনো কালো না, এক্কেবারে কলকে কালো, এইসব।

দেখতে দেখতে তৃনা ষোল বছরে পা দিল। একহারা হালকা পাতলা মনকাড়া গড়ন, বড় বড় চোখে দীঘল পাপড়ি। কিন্তু সব থেকেও বাধ সাধে ঐ কালো রঙ। হয়তো একটু বেশিই কালো। ওছোট থেকেই সে শান্ত টাইপের। কালো বলে তাকে কম অবহেলা সইতে হয়নি! এমনকি স্কুলের বন্ধুরাও তাকে কিছু হলেই কালি বলে ক্ষেপাতো। রাস্তায় ছেলেরাও তাকে দেখে মাঝেমধ্যে টিটকিরি মারতো । মাঝে মাঝে মন যে খারাপ হত না, তা নয়। কিন্তু এটুকু বুঝেছিল তাকে যেভাবেই হোক দাড়াতে হবে। তা না হলে তাকে ঝরে পড়তে হবে। আর মার কঠিন শাসনতো ছিল, সে এম এ পাশ করে মোটামুটি একটা চাকুরী নিয়েছে। রঙের অযোগ্যতা সে লেখাপড়ার মাধ্যমে ঘুচিয়েছে।

এরই মধ্যে যে কটা বিয়ে এসেছে, সবই রঙের কারণে হয়নি। তাই সেদিন যখন বিপুল আর তার মা বাবারা ওকে দেখে পছন্দ করলো, মানে মেয়ে দেখে নয়, মেয়ের চাকুরী দেখে। তৃনা প্রথমে ছেলেপক্ষের সামনে বসতে চাইনি কিন্তু মা-বাবার জোরাজোরিতেই বসতে হলো। ছেলে পক্ষ এমনভাব করলো যেন তৃনাকে পছন্দ করে তৃনার পরিবারকে ধন্য করেছে! এসব দেখে তৃনা বেঁকে বসলো কিন্তু বাবার জেদের কাছে তাকে হার মানতে হলো। শেষমেষ বিয়ে হয়ে গেল।

বিয়ের পরেই স্বামী সহ শশুর বাড়ির সবাই তাকে ফাঁক পেলেই বুঝিয়ে দেয় যে তারা তাকে কৃপা করেছে। তৃনার সবচেয়ে খারাপ লাগে যখন তার স্বামী রেগে গেলেই তাকে কালামুখী বলে। তৃনার রুচিতে বাধঁতো। তৃনার প্রতিবাদে কোন লাভ হয়নি। অগত্যা মেনে নেওয়া।

তারই মাঝে ওদের প্রথম কন্যা কলি হলো। তৃনা কিন্তু মেয়ের যে কোন রঙের জন্য প্রস্তুত ছিলো। সে নামও ঠিক করে রেখেছিল। যদি মেয়ে কালো হয় তবে সে নাম রাখবে পুর্নিমা। সে মানুষকে বুঝিয়ে দেবে যে দেহের রঙ কোন মাপকাঠি নয়। ততদিনে বিপুল মদের নেশায় ধরেছে।

কেন জানি তৃনা মেয়েই চাচ্ছিলো। মেয়েটা একটু বড় হলেই সে আলাদা বাসা ভাড়া করে থাকবে। তৃনা একরকম মুক্তির পথ খুঁজে পেতে চাইছিল। আসলে এভাবে রঙের প্রাচীরে ঘেরা সম্পর্কের বোঝা আর তার সহ্য হচ্ছিল না।

শেষ মেশ তৃনার শ্যামল রঙা মেয়ে বাবু হলো। মেয়েটা হবার পর থেকে এবাড়িতে আর তৃনার নিজেকে একা মনে হতো না।

এখন কলি কলেজে পড়ছে। তৃনা ছোট থেকেই তার কলিকে এই শিক্ষা দিয়েছে যে মানুষের আসল রঙ তার গায়ে নয় মনের মধ্যে থাকে। এই রঙ দিয়েই মানুষের বিচার করতে হয়। তৃনা বহুবার এবাড়ি ছাড়তে চেয়েছে কিন্তু মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। ভাবনার ঘেরাটোপেই বন্দী থেকেছে এতদিন।
এখনতো মেয়েটা বেশ বড়সড় হয়ে গেছে।

কিন্তু আজ অফিস থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায়, গাড়িতে ড্রপ করে দেয়া কলিগ রাকিবকে নিয়ে যখন শাশুড়ি আর বিপুল বাজে বাজে কথা বলতে লাগলো তখন আর তৃনার সহ্য হচ্ছিল না। বিশেষ করে স্বামী যখন মদ খেয়ে তাকে নিয়ে অশ্লীলতার ইংগিত দেয় এবং গায়ে হাত তুলে, তখনই তৃনা সিদ্ধান্ত নেয় যে আর নয়। এবার সে একটু সাদা সফেদ ফেনায় স্বাধীনভাবে ডুব দিতে চাই। সে কালোর প্রাচীর পেরিয়ে এমন একটা ঘরে বাস করবে যেখানে কেউ তাকে কালামুখী বলে অপমান করবে না।

তৃনা ঘরে যেয়ে তার সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে যখনই সে দরজা দিয়ে বেরুবে তখনই মেয়ে কলি বললো, মাগো, দাড়াও। আমিও যাব। কলি বললো, যেখানে আমার মায়ের গায়ের রঙের অপমান হয়, সেখানে যতই আমার সাদা রঙ হোক সেখানে আমি থাকতে পারবো না, মা। আমাকেও সাথে নাও, মা।

তৃনা তার হাত বাড়িয়ে দিল। মা মেয়ে দুজনেই একে অন্যের হাত শক্ত ভাবে মুঠোয় ভরে, পায়ে পায়ে বেরিয়ে আসলো। তৃনা ভাবলো, যা মনে প্রানে বাঁধার নয়, তা আঁকড়ে ধরে কোন লাভ পাওয়া যায় না। তার চেয়ে এই ভালো, দুরে সরে গিয়ে একটু নিজের মত ভালো থাকা। একটু হেসে, উপরে খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলো কয়েক মূহুর্ত।

পেছনে বাবা বিপুল রহমান হুংকার দিয়ে বললো , খবরদার কলি তুই যেতে পারবি না। মেয়ের অগ্রাহ্যতা দেখে, চিৎকার করে বললো, তোদের কাঠগড়ায় উঠিয়ে ছাড়বো, দেখিস।

মা-মেয়ে দুজনেই ভ্রুক্ষেপহীনভাবে এক অজানা আলোয় চোখ মেলে লোহার গেটটা খুলে, সামনে এগিয়ে গেল....।

কালো_আলোয়_১ (আগামী পর্বে সমাপ্য)

ভ*য়ংকর এক নারী প্রজন্মের অপেক্ষায় আমরা!!৭৫% উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে ২৭ থেকে ৩০ বয়সেও বিয়েহীন। ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে এরা এমন এক...
15/07/2025

ভ*য়ংকর এক নারী প্রজন্মের অপেক্ষায় আমরা!!
৭৫% উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে ২৭ থেকে ৩০ বয়সেও বিয়েহীন। ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে এরা এমন এক সংকট তৈরী করেছে যে। আগামী ৫ বছরে লাখ লাখ মেয়ে বিয়েহীন থাকবে, তাদের যৌবনের চাহিদা, আবেগ, ভালোবাসা হারানোর ফলে। স্বামীর মন জয় করার পরিবর্তে স্বামীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েই সংসারে দরকষাকষি করবে৷ আর স্বামীও তাদের মাঝে আনুগত্য, কোমলত্ব, নারীত্ব না পেয়ে অসহ্য হয়ে উঠবে। তখন সংসার টিকানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। কারণ তার স্ত্রী ৩০ টা বছর পুরুষের ফিতরাতে টেক্কা দিয়ে সে নিজেই পুরুষে বিবর্তিত হয়ে গেছে। তার আস্ত দেহটাই নারীর বৈশিষ্ট্য হলেও সে মানসিকভাবে পুরুষ। স্বামী তাকে দৈহিক ভাবে নারী পেলেও সে মেন্টাল ভাবে পুরুষ। এমন একটা দিন আসতে যাচ্ছে। মেয়েরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যৌবন থেকে যেমন বঞ্চিত হবে। বঞ্চিত হবে সংসার থেকেও। বঞ্চিত হবে আখিরাতের মুক্তি থেকেও..

゚ ゚

📌 না বলে পারছি না, আজকালকার মেয়েদের একটা অংশ যেন নিজের শরীরকেই 'ডেবিট কার্ড' বানিয়ে ফেলেছে, যেখানে পিন নম্বর হলো 'লোভ'। ...
15/07/2025

📌 না বলে পারছি না, আজকালকার মেয়েদের একটা অংশ যেন নিজের শরীরকেই 'ডেবিট কার্ড' বানিয়ে ফেলেছে, যেখানে পিন নম্বর হলো 'লোভ'। লেটেস্ট আইফোন, দামী হোটেলের স্টেক, দেশ-বিদেশে রয়েল লাইফ শো করে টিকটক, ইন্টারকন্টিনেন্টালে চেক-ইন, ব্যাসিকালি সোশ্যাল মিডিয়ায় জৌলুস দেখানো, এই হলো তাদের 'ড্রিম লাইফ'। হাউ সিক দে আর!।

শরীরের বিনিময়ে স্বপ্ন পূরণ করার এই ট্রেন্ডে ওরাল লাইন হলো - 'সম্মান গেলে যাক, লাইফস্টাইল হতে হবে লাক্সারি'। একেকটা মেয়ের চোখে লোভের আগুন, মুখে মেকআপের দেয়াল আর অন্তরে শূন্যতা। নিজেকে তারা উপস্থাপন করে রাজকন্যার মতো, অথচ ভেতরে পুরোটাই ফাঁকা।

এরা যখন টাকাওয়ালা পুরুষ খুঁজে পায়, তখন নিজেকে প্রেমিকা নয়, বিনোদনমূলক প্যাকেজ বানিয়ে দেয়, নির্দিষ্ট মেয়াদে ব্যবহারের জন্য। আর যখন এই বিনোদনমূলক প্যাকেজ থেকে টাকাওয়ালা পুরুষের মন সরে যায়, তখন শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল, কান্নাকাটি, সম্মানহানির নাটক।

সবচেয়ে করুণ সত্য, এরা নিজেদের প্রস্টিটিউট বলে মানতেও রাজি না, কিন্তু আচরণে প্রফেশনালদের থেকেও ঘৃণ্য হয়ে ওঠে। কারণ প্রফেশনাল প্রস্টিটিউট-রা অন্তত জানে তারা কী দিচ্ছে, আর কী নিচ্ছে। কিন্তু এই অপেশাদার, মুখোশপরা, লোভী মেয়েগুলো পুরো সমাজকে পঁচিয়ে দিচ্ছে। তাদের কাছে ইজ্জত-সম্মান থেকেও কক্সবাজারের টিকিট মুল্যবান!।

খোঁজ নিয়ে দেখেন, বৃষ্টি আসলে নিজের ঘরের চালের ফুটো দিয়ে পানি পরে, অথচ ইনস্টাগ্রামে হ্যাশট্যাগ দিয়ে দুবাইয়ের লাইফস্টাইল দেখাতেই তারা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, যেন সে কোনো বংশীয় জমিদার কন্যা। অন্যের টাকায় ঠোঁট ফোলানো, গাল টানানো, ব্র্যান্ড শো-অফ করাই তাদের আত্মপরিচয়। 'এই মেয়েরা আজকাল শরীরকে ভাড়া দেয় না, শরীর দিয়েই ভাড়া নেয়'।

আজ টাকাওয়ালা পুরুষরা ছুড়ে ফেলছে, একটা সময় আসবে, যখন আয়নাও মুখ ফিরিয়ে নেবে। কারণ, নিজেকে এত সস্তায় বিক্রি করার পর, আয়নাও বলে দেবে - 'তুই তো মানুষ না, এক ফর্মুলায় বানানো ‘লাভ ফর সেল’ প্যাকেজ'।

゚ ゚

এক নে:তার মেয়েকে পড়াইতাম। আংকেল ফোন দিয়ে জানালেন, টেস্ট  পরিক্ষায় মেয়ে A+ পাইছে। 😍সেজন্য তারা অনেক খুশি। তাই আজ আমাকে ‘চ...
15/07/2025

এক নে:তার মেয়েকে পড়াইতাম। আংকেল ফোন দিয়ে জানালেন, টেস্ট পরিক্ষায় মেয়ে A+ পাইছে। 😍

সেজন্য তারা অনেক খুশি। তাই আজ আমাকে ‘চিফ গেস্ট’ করে বাসায় ছোটখাটো একটা ঘরোয়া প্রোগ্রাম প্লাস খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। আমি যেন অবশ্যই থাকি।😊

নে:তার বাড়িতে ছোটোখাটো ঘরোয়া প্রোগ্রাম মানেও বিশাল ব্যাপারস্যাপার। এমন আমন্ত্রণ ফেলে দেওয়া যায় না। তাই সুন্দর করে সেজেগুজে রেডি হয়ে রওনা দিলাম স্টুডেন্টের বাসার উদ্দেশ্যে। কিন্তু খালি হাতে তো আর যাওয়া যায় না। তাই রাজভোগের দুই কেজি মিষ্টিও নিলাম সাথে।☺️☺️

মিষ্টি হাতে বাসে যেতে যেতে প্ল্যান করছি— খাবার টেবিলে বসে কোন খাবারটা আগে খাব, কোন খাবারটা পরে খাব, আর কোন খাবারটা এভয়েড করব।

এমন সময় ফোনে স্টুডেন্টের মেসেজ—

''স্যার, আপনি আজকে কোনোভাবেই বাসায় আইসেন না। আমি আপনার পড়ানো সাব্জেক্টে ফেল করছি। এখন আব্বা আপনারে খুঁজতাছে। কাজী ডাকাও শেষ। আপনি আসলেই আব্বা আমাদের দুইজনের বিয়া দিয়া দিবে।'' 🙂

এই ঠুনকো জীবন নিয়ে কত দ'ড়ি টা'নাটানি!বাসন নেবে গো বাসন ! হাড়ি গামলা বাটি চাটু যা কিছু চাইবেন সব পাবেন ! হ্যাঁ কর্মজাত...
14/07/2025

এই ঠুনকো জীবন নিয়ে কত দ'ড়ি টা'নাটানি!
বাসন নেবে গো বাসন ! হাড়ি গামলা বাটি চাটু যা কিছু চাইবেন সব পাবেন ! হ্যাঁ কর্মজাত প্রতিদিনের মতো আজও

বাসন ওয়ালা বেরিয়েছিল পেটের দা'য়ে বাসন ফেরি করতে পাড়ায় পাড়ায় । সংসারে তার কত দায় স্ত্রী তিনটি ছোট ছোট বাচ্চা তাদের মুখে দুবেলা দুমুটা অন্য তুলে দেওয়ার জন্য এই কাইক পরিশ্রম প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি করতে হতো এই বাসন ওয়ালে কে বাসন ফেরি করতে। আজও সে বেরিয়েছিল তবে আজ অনেকটা আগেই বেরিয়েছিল কারণ বাসন ওয়ালার আর মাথায় চিন্তা আছে বড় ছেলেটার প্রাইভেট টিউশনের মাস্টারের অনেকগুলো টাকা বাকি পড়ে আছে। ছোট মেয়ে তার আজ কদিন যাব ত জ্বর সর্দি কাশি তাকেও ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যেতে হবে। এইসব চিন্তা করে বাসন ওয়ালা অধিক সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছিল পাড়ায় পাড়ায় বাসন নেবে গো বাসন। কিন্তু কে জানত সৃষ্টিকর্তা এই পর্যন্তই তার নিয়তি লিখে দিয়েছিল । চিরতরে সমস্ত ভারসাম্য থেকে বি'দায় নিলো বাসন ওয়ালা কিন্তু শিক্ষা দিয়ে গেল প্রকৃতি মানুষগুলোকে ।
যারা রূপ যৌলস টাকা সম্পদ নিয়ে অ'হংকার করে, পৃথিবীতে কোন কিছুই কারোর না । সময় আসলে একদিন চলে যেতেই হবে এটাই বাস্তব।

বাসন ওয়ালার আত্মার চিরশান্তি কামনা করি-------😭🙏🏼

সন্তানকে সাময়িকভাবে খুশি করার চেয়ে সঠিক শিক্ষা দেয়াটা বেশি জরুরি। এই পোস্টটি মূলত সেই সকল অভিভাবকের জন্য যাদের আয়-রোজগার...
14/07/2025

সন্তানকে সাময়িকভাবে খুশি করার চেয়ে সঠিক শিক্ষা দেয়াটা বেশি জরুরি। এই পোস্টটি মূলত সেই সকল অভিভাবকের জন্য যাদের আয়-রোজগার সীমিত।
ধরুণ ঈদ/পূজা বা কোন এক সামাজিক উৎসবের জন্য আপনি ৫ হাজার টাকার শপিং বাজেট করে রেখেছেন। এক্ষেত্রে অনেকেই আছেন যারা বাচ্চাকে পুরো টাকা দিয়ে নতুন জামাকাপড়-জুতো কিনে দেন। অথচ নিজেরা চালিয়ে দেন পুরান-জামাকাপড় দিয়ে৷ আবার দুপুরে খাওয়ার পর ১ টুকরো মাছ/ডিম বেঁচে গেলে তা বাচ্চাকে (বা বাচ্চাদেরকে) দিয়ে নিজেরা পেঁয়াজ-মরিচ দিয়ে চালিয়ে দেন। সন্তানের প্রতি আপনার অগাধ মমতার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি - 'সাময়িকভাবে খুশি করতে গিয়ে আপনি উল্টো আপনার বাচ্চার ক্ষতি করছেন। '
বাচ্চাকে সবসময় যদি বেশি দেন, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু নিজের জন্যেও বাজেট রাখতে হয়। যদি বাচ্চাকে ৫ হাজারের বদলে ৩ হাজার টাকার শপিং করান বা আস্ত মাছের জায়গায় একবেলা কোয়ার্টার পিস মাছ খাওয়ান তাতে কি আপনার বাচ্চার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে?? না....বরং সে একটা বাস্তবসম্মত সামাজিক দীক্ষা পাবে।সে শিখবে যেকোনো পরিস্থিতিতে পরিবারের সকলে মিলে কিভাবে আনন্দ/দুঃখ ভাগ করে নিতে হয়। আর এভাবেই বাচ্চারা সহানুভূতিশীল হতেও শেখে। সবসময় বেশি বেশি পেলে বাচ্চা হবে উচ্চাভিলাষী একটা স্বার্থপর। সে তখন সবসময় শুধু নিজেরটাই বুঝবে, বাকিরা গোল্লায় যাক।
শুধু নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত মা-বাবা নয়, ধনাঢ্য মা-বাবাদেরও এ বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত। সামর্থ্য থাকলেই বাচ্চাকে সবসময় সবকিছু দিতে হয়না। 'লাক্সারি' শুধু রাজকীয় জীবনযাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। অবস্থান,কাল,পরিস্থিতির তারতম্য অনুযায়ী সকল ক্ষেত্রে আত্মসম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে বাঁচাটাই সবচেয়ে বড় লাক্সারি।
তাই বাচ্চাকে এমনভাবে গড়ে তুলুন যাতে সে মানবিক হতে শেখে। আপনার অনুপস্থিতিতেও নিজের যোগ্যতায় লড়াই করে বাঁচতে শেখে।

পরকীয়া করে তোর স্ত্রী  তো চলে গিয়েছে ২ মাস হতে চললো,, একা একা আর কতদিন থাকবি বাবা! থাকতে দাওনা মা,,,,এমনই বেশ আছি,,তোর জ...
14/07/2025

পরকীয়া করে তোর স্ত্রী তো চলে গিয়েছে ২ মাস হতে চললো,, একা একা আর কতদিন থাকবি বাবা!

থাকতে দাওনা মা,,,,এমনই বেশ আছি,,

তোর জন্য নতুন আরেকটা পাএী দেখি,,,

মিসের রেণুর কথা কান পর্যন্ত যাওয়ার আগেই ইনান কানটা দুহাত দিয়ে চেপে ধরে, শান্ত ভঙ্গিতে বলে,,

পাএী দেখতে হবে না মা, আমার মনে সে ছাড়া আর কাউকে জায়গা দিতে পারবো না আমি,,,

মিসেস রেনু এবার রেগে যান, ঝাঁঝালো কন্ঠে বলেন,,

বিয়ে তোমাকে করতেই হবে, তোমার স্ত্রী তোমাকে ছেঁড়ে পরপুরুষ হাত ধরে ভেগে গিয়েছে বলে তুমি এখনও তার জন্য অপেক্ষা করবে???

করলে সমস্যা কই! বউটা তো আমারই, ও না হয় একটা ভুল করে ফেলেছে ক্ষমা করে দেব আমি।

চুপ বেয়াদব ছেলে,, চৌধুরী পরিবারে ওমন নষ্টা পুএ বধু আমি জীবনে দেখিনি,,এতো এতো ধনসম্পদ থাকার পরও সে কিনা সামান্য এক কলেজ প্রফেসর এর সাথে পালিয়ে গেলো???

ইনান নুইয়ে পড়ে মুখটা ফেঁকাসে হয়ে আসে ওর,,, মায়ের দিকে চোখ না তুলেই বলে,,

মা দেখো ধন সম্পদ থাকলেই সেখানে সুখ থাকেনা,,,রামিশার হয়তো ভালোবাসার অভাব ছিলো যা আমি তাকে দিতে পারিনি,,, হয়তো তার ছোট ছোট আবদার ছিলো আমার ওপর যা আমি সারাদিন অফিস সামলিয়ে বাসায় এসে পূরণ করতে পারিনি,,তাই সে আমার খাঁচা ভেঙে বেরিয়ে গেছে,,,,

রেনু খানম শান্ত হোন ছেলের মাথা কাছে এসে দাঁড়ান,, নরম কন্ঠে বলেন,,

সে পালিয়ে গিয়ে সুখ খুঁজে নিয়েছে ইনান দয়া করে তুই নতুন করে শুরু কর,,, কি দরকার অতীত নিয়ে পড়ে থাকার???

আমি ওকে ভালোবাসি মা,,, ওর ভালোবাসা না হয় মিথ্যা আর ছলনার ছিলো, কিন্তু আমার ভালোবাসায় ছিলো বিশ্বাস ভরসা। অথচ সে,,,,

আর বলতে পারেনা ইনান বাচ্চাদের মতো ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে,,রেনু খানম কি বলবেন ভেবে পাননা,,, তিনি নিজেও বাকরুদ্ধ ,,, রামিশাকে তিনি পুএ বধু নয়,নিজের মেয়ে করে রেখেছিলেন,,, এক মাএ ছেলের বউ হওয়ায় কখনোই তিনি তাকে রান্না ঘরে যাওয়া তো দূরেই থাক তার চারপাশেও কখনো যেতে দেননি, আর সেই মেয়েই কিনা পালিয়ে গেলো আর যাওয়ার আগে চৌধুরী পরিবারের পুএ বধুদের দিয়ে আসা সোনার গহনা গুলোও নিয়ে গেলো,,,,

রেনু খানম এর ভাবনার মাঝেই নিজেকে সামলে নিয়েছে ইনান,,, মায়ের কোল থেকে মাথাটা তুলে চোখ দুটো মুছে নিয়ে উঠে দাঁড়ায়,,, রেনু খানম ও উঠে দাঁড়ান,,,, ইনান দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে,,

মা টেনশন করো না রামিশা আমাদের বংশের যে সোনার গহনা গুলো নিয়ে গিয়েছে তা আমি যে কোনো মূল্য তে ফিরিয়ে আনবো,,,,

রেনু খানম ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলেন,,

ওই নষ্টার শরীরে সাথে ওই গহনা গুলো স্পর্শ পেয়েছে,,ওর নষ্টার গলায় ওই গহনা গুলো স্হান পেয়েছিলো,, আমি চাইনা ওইসব আর ফিরে আসুক,,, বাড়িটা আমি অপবিত্র করতে চাইনা ইনান।

ঠিক আছে মা,, তাহলে আমি আসছি অফিসে আজ গুরুত্বপূর্ণ মিটিং আছে,,,

রেনু খানম ছেলের কপালে চুমু দিয়ে বলেন,,

সাবধানে যাস বাবা,,,,

ইনান বেরিয়ে যায় বাড়ি থেকে রেনু খানম ও দরজা লাগিয়ে দিয়ে পুনরায় সোফায় গিয়ে বসেন,, তার মাথায় হাজারো চিন্তা, তিনি তার ছেলেকে চিনেন ,, ও যেহেতু বলেছে বলেছে বিয়ে করবে না,,সেহেতু সহজে সে করবে না,তবে রেনু খানম ও ঠিক করেন ছেলেকে বিয়ে তিনি দিবেনই,,,,,

গাড়িতে চুপচাপ বসে জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে ইনান,,তবে সে লক্ষ্য করেছে ড্রাইভার রতন মিয়া বার বার ইনান কে কিছু বলতে গিয়েও থেমে যাচ্ছে,,,,ইনান মুখ ঘুরিয়ে ড্রাইভার কে বলে,,,

রতন চাচা কিছু বলবেন???

হ্যা বাজান একটা কথা বলতাম,কিন্তু তোমার তো দেখি মন ভালো নেই তাই বলছিনা।

সে আমার মন ভালো থাকুক আর না থাকুক৷ আমি তোমার ছেলের মতো বলো কি বলবে???

বাজান আমার একটা বোনের মাইয়া ছিলো খুবই বুদ্ধিমান এইবারই অনার্স পাশ করছে,,, যদি তুমি ওরে তোমার অফিসে একটা চাকরি দিতা।

ইনান মুচকি হেঁসে পেছন থেকেই রতন মিয়ার কাঁধে হাত রেখে বলে,,,

শুনু চাচা এটা কোনো ভাবেই সম্ভব না,,তুমি সুপারিশ করছো না বরং চাকরি দিতে বলছো যা অসম্ভব,কারণ তোমার বোনের মেয়ের মতো আরো কারো না কারো ছেলে, ভাই, স্বামী ওই পদের জন্য আবেদন করে রেখেছে,,, কতো আশা তাদের মনে, চাকরি পাবে এই করবে সেই করবে,, এখন তুমি বলো তাদের বাদ দিয়ে কি ভাবে তোমার বোনের মেয়েকেই আমি চাকরি দেই???

রতম মিয়া চুপ হয়ে যান,লজ্জা পান ভীষণ,, কারণ তিনি এতোটা ভেবে বলেননি,,, ইনান আবারো বলে,,,

শুনো চাচা তোমার বোনের মেয়েকে নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতো বলো,,তার মেধা এবং যোগ্যতা থাকলে সে অবশ্যই চাকরি পাবে নয়তো না।

******
মা আমি বেরচ্ছি ফিরতে কিন্তু অনেক দেরি হতে পারে তুমি চিন্তা করোনা কেমন???

মেয়ের কথা শুনে অসহায় দৃষ্টিতে তাকায় রাহেলা বেগম,,,কোনো মতে ডান হাতের একটা আঙুল এর ইশারায় মেয়েকে কাছে ডাকেন তিনি,,,তারপর ভাঙা ভাঙা গলায় বলে,,

তোর খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে নারে মা???? প্যারালাইসিস হয়ে কেনো যে বিছানায় পড়ে গেলাম,, যদি সেইদিনই মারা যেতাম তবে তোর এতো কষ্ট করতে হতোনা।

মায়ের কথা শেষ হওয়ার আগেই ফিজা তাকে থামিয়ে দেন,,,মায়ের মাথায় হাত রেখে বলেন,,

দেখো মা মারা যাওয়ার কথা বলোনা,,তুমি এভাবে যে বেঁচে আছো এতেই আমি খুশি ,, তোমার কিছু হয়ে গেলে আমার কি হবে বলো।

কষ্ট লাগেরে মা,বছর দুয়েক হলো আমার শরীরের অর্ধেকটা অচল, তোর জন্য কিচ্ছু করতে পারিনা,, তুই আমাকে অভিশাপ দিসনা মা।

মা আর কিচ্ছু বলোনা,আমি কেঁদে দিবো কিন্তু,, আর তোমার কিচ্ছু করতে কে বলেছে আমি তো আছি।

আচ্ছা আচ্ছা কাঁদতে হবে না,,, তবে জানিস আজ যদি তোর একটা বড় ভাই থাকতো।

ফিজা খানিকটা রাগ দেখিয়ে বলে,,,

থাক আর বলতে হবে না,,তবে শুনে রাখো আমিই তোমার ছেলে আর আমিই তোমার মেয়ে,কারো প্রয়োজন নেই তোমার আমার।

রাহেলা বেগম হাঁসতে চেষ্টা করেন তবে পারেন না,,মুখের একপাশটাও যে অচল,,,, স্পষ্ট করে কথা বলতে না পারলেও ফিজা ওর মায়ের সব কথাই বুঝতে পারে,, ফিজা উঠে দাঁড়ায় মায়ের কপালে চুমু দিয়ে বলে,,

মা দোয়া করো রতম মামার বসের অফিসে আজ ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছি,,,চাকরিটা হয়ে গেলে তোমার চিকিৎসা করাবো, ভালো হয়ে যাবে তুমি,,,,

কথাটা বলে বেরিয়ে আসে ফিজা,,,,হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চমকে উঠে ৯ টা টা ৩০ বেজে গিয়েছে,, হাতে মাএ আর ৩০ মিনিট বাঁকি,, শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে ও,, মনে মনে বলতে থাকে,,,

উফফ দেরি হয়ে গেলো ৩ কিলো দূরে মামার অফিস,,এদিকে হাতে টাকাও আছে মাএ ১০০ রিকশা নিয়ে গেলে সব টাকা রিকশাওয়ালাই নিয়ে যাবে, তখন দুপুরে খাবো কি?? যাই হেঁটেই যাই, যা হবাব হবে,,

দ্রুত হাঁটতে শুরু করে ফিজা,, হাঁটছে বলতে ভুল হবে সে দৌড়াচ্ছে,,,,

*****
রতন মিয়ার সাথে কথা বলে সেই যে চোখটা বুঁজেছিলো আর খুলেনি,,, এমন সময় রতন মিয়ার কন্ঠ কানে আসে ইনান এর,,,

বাপজান অফিস আইসা পরছি নামবে না????

চোখ খুলো অলস ভঙ্গিতে বলে,,,

হ্যা চাচা এই তো যাচ্ছি,তুমি গাড়িটা পার্কিং করে আমার জন্য এক কাফ কোল্ড কফি নিয়ে এসো,,,

গাড়ি থেমে নামতেই ইনান এর চোখ কপালে উঠে যায়,,, বিশাল বড় লাইন,, অবাক হয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলে মেয়ের দিকে চেখ বুলিয়ে নেয় সে,, সবার চেহারতেই ভয়ের ছাপ,, চারিদিকে তাকিয়ে সামনে হাঁটতে থাকে ইনান ঠিক তখনই কারো সাথে সজোড়ে ধাক্কা লাগে ইনান এর,,, ধাক্কাটা এতো জোরে লাগে যে তাল সামলাতে না পেরে ছিঁটকে পড়ে যায় সে,,,,, ব্যাথায় কঁকিয়ে ওঠে,,

আহহহহহ,,

ঠিক তখনই একটা হাত এগিয়ে আসে ইনান এর দিকে,,, ইনান হাতটা এড়িয়ে গিয়ে নিজেই উঠে দাঁড়িয়ে সামনে তাকায়,,, ফাইল হাতে একটা মেয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে ওর সামনে,, ইনান কিছু বলতে বলতে যাবে তার আগেই মেয়েটা মাথা তুলে ওর দিকে তাকায়,,,,

চোখাচোখি হয় দুজনের,, মহূর্তে জন্য ইনান চমকে যায় এঁকি দেখছে সে? এতো

চলবে?
বধু_তুমি_আমার
পাঠ_০১

আজকে আমার বোনের বিয়েতে নিজেই বউ সেজে বসে আছি। আমার নাম মেঘা  অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ,,আমার বাবা আশরাফুল চৌধুরী, মা,...
13/07/2025

আজকে আমার বোনের বিয়েতে নিজেই বউ সেজে বসে আছি।

আমার নাম মেঘা অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ,,আমার বাবা আশরাফুল চৌধুরী, মা,রেখা বেগম,আর বোনের নাম নিলা,,আসলে আমি তাদের র*ক্তের কেউ হই না।

ছোটবেলা আমাকে একটা অনাথ আশ্রম থেকে দত্তক নিয়েছিল আমার মা আর আমার বাবা তখন তাদের কোন সন্তান ছিল না।

আমার বয়স যখন পাঁচ বছর তখন আমার মা প্রে*গনেন্ট হয়।

নিলা যখন বড় হতে থাকে আমার উপর অ*ত্যাচার বাড়তে থাকে মায়ের মন আমার উপর থেকে বি*ষিয়ে দিতে থাকে.

ছোটবেলা থেকেই আদর করত আমাকে সবাই কখনো মনে হয় নাই এরা আমার র*ক্তের কেউ না।

সেই ছোটবেলা থেকেই নিলা আমাকে হিং*সা করতোও আমাকে মে*রে নিজেই কান্না করত মায়ের কাছে আমাকে মা*ইর খাওয়াতো আস্তে আস্তে এই নি*র্যাতন টা বাড়তেই থাকে।

আজকে নীলার বিয়ে বিয়ে ঠিক হয়েছে নিলা যে মানুষটিকে ভালবাসে সেই মানুষ টার সাথে শুনেছি তারা সহরে থাকে, ছেলের নাম আবির পড়াশোনা শেষ করে বাবার বিজনেস সামলায়।

দুই পরিবার মিলে ওদের বিয়ের আয়োজন করে।

কিন্তু হটাৎ বিয়ের দিন নীলা ঘর থেকে পালিয়ে যায়। ছোট একটা চিঠি লিখে যে এই বিয়ে সে করতে পারবে না।

এত আয়োজন এত মানুষ মান সম্মান একবারও নীলা ভাবলো না কারো কথা।

আশরাফ চৌধুরীর মান সম্মান রক্ষার জন্য বিয়ের জন্য নীলার বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলে আপনার বড় মেয়েকে আমার ছেলের সাথে বিয়ে দিতে হবে আপনি আপনার বড় মেয়েকে রেডি করে নিয়ে আসুন।

বাবা কোনো কথা বললো না চুপচাপ রাজি হয়ে গেলো,,

রুমে এসে আমাকে বলল তৈরি হয়ে নাও বিয়ের জন্য।

হঠাৎ বিয়ে কথাটা শুনে যেন মাথায় আসমান ভে*ঙ্গে পড়লো।

বাবার মুখে সব টা শোনার পর বাবার হাতে পায়ে ধরে অনেক মিনতি করেছিলাম বাবা আমার কোন কথাই শুনে নাই।

বাবা আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো

ছোটবেলা থেকে তো অনেক খাইয়ে পড়িয়ে মানুষ করেছি কখনো নিজের মেয়ের থেকে তোকে কম ভালোবাসি নি আমার মান-সম্মান রক্ষার দায়িত্ব তোর এবার তুই ঠিক করে নে তুই কি করবি,,

আমার মা রেখা বেগম আমার উদ্দেশ্য করে বলল কপাল ভালো যে আমার মেয়েটা চলে গেছে।

তাই তোর এতো ভালো জায়গায় বিয়ে হইতেছে না হলে তোর তো নিজের জন্মেরই ঠিক ছিল না তোরে কোন ছেলে বিয়ে করতো।

একটা আশ্রিত মেয়েকে কে বিয়ে করতো চুপচাপ রেডি করে দেব চুপচাপ বিয়েটা করে বিদায় হও।

মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে চোখ দিয়ে শুধু পানি পড়ছিল কিছু বলার ভাষা পাচ্ছিলাম না। চুপচাপ রেডি হয়ে নিলাম।

আবির তার বাবা আলম চৌধুরী কে উদ্দেশ্য করে বলে এই বিয়ে আমি করতে পারব না বাবা আমি নীলা কে ভালোবাসি,, ও এমন টা আমার সাথে করতে পারে না আবির উদ্দেশ্যে বলছে তুমি যাকে ভালোবাসো তার সাথে তোমার বিয়ে ঠিক করেছিলাম।

সে তো বিয়ের সোনা গহনা সব নিয়ে পালিয়েছে এখন এই বিয়ে তোমাকে করতেই হবে তোমার কারণে আমার মান সম্মান ন*ষ্ট করতে পারবো না মেয়েকে ভালোবাসো যে তোমার ভালবাসার কদরই দিতে জানে না বিয়ের দিন পালিয়ে যায় একটা চিঠি লিখে,,

আবির অনেক চেষ্টা করেও বিয়েটা আটকাতে পারল না বিয়েটা হয়েই গেল বধু বেশে দাঁড়িয়ে আছি রাজপ্রাসাদের সামনে।

কলিংবেলের শব্দ শুনে ভিতরে দরজা খুলতেই বয়স্ক মহিলা বলে ওঠেন একটা অনাথ মেয়েকে বিয়ে করে নিয়ে এলি যার কোন জ*ন্মের ঠিকানা নাই এই মেয়েকে আমি বউ হিসেবে মানতে পারবো না। বরন তো অনেক দূরের কথা।

আবির আগে আগে রুমে ডুকে উপরে চলে যায় নিজের রুমে,,

আমার ননদ আর ওদের কাজের মাসি আমাকে উপরে আবিরের ঘরে রেখে গেলো,

আমার খুব ভয় করছিল অচেনা জায়গা অচেনা মানুষ আজকে আমার বোনের এখানে থাকার কথা ছিলো।

সেই জায়গায় আমি দাঁড়িয়ে আছি হঠাৎ আমার ভাবনা ছেদ করেই আবির ওয়াশরুম বের হলো,,

আমাকে রুমে দাড়িয়ে থাকতে দেখে সজরে একটা থা*প্পড় দিলো।

আবির আমার গাল দুটো চে'পে ধরে বললো এতো লো*ভ বড় লোকের ছেলেকে বিয়ে করার,,তুই আমাকে বিয়ে করবি বলে আমার নীলাকে আমার জীবন থেকে সরিয়ে দিয়েছিস সবটা মেসেজ করে বলেছে নীলা

তোর টা*কা লাগতো তুই আমাকে বলতি আমি তোকে দিতাম,, কেন আমার এত বড় ক্ষ*তি করলি তুই.

এখনো আবির আমার গাল দুটো চে*পে ধরে আছে ব্যথা সহ্য করতে না পেরে আবির উদ্দেশ্যে বললাম ছাড়ন লাগছে আমার।

লাগুক তো লাগার জন্যই ধরেছি তুই যে কষ্ট আমার এই মনে আজকে দিয়েছিস এ মনের কষ্ট দিয়ে বুঝতে পারবি তোর মত লো'ভী মেয়েরা কোনদিন বুঝতে পারবে না।

দেখুন আপনার কথা ভুল হচ্ছে আমি কিছু করিনি আমি তো আজকে আগে আপনাকে ভালো করে চিনতামও না। আর নিলা আপু নিজেই আপনাদের বিয়ের সব গহনা নিয়ে চলে গেছে,,

তুই আমার নীলাকে চো*র বললি গহনা তুই লুকিয়ে রেখেছিস তোর মতো লো*ভী মেয়েরাই পারে বল সত্যি কথাটা গহনা কোথায় এটা বলে বে*ল্ট দিয়ে আমাকে নির্মমভাবে আ*ঘাত করতে থাকে হাঁ*পিয়ে যায় আমাকে আ*ঘাত করতে করতে আমার হাত ধরে টেনে রুমের বাহিরে ফেলে দিয়ে দরজা লক করে দেয় ভিতর থেকে।

সারা শরীরে ব্যথায় র-ক্তা*ক্ত হয়ে গেছে বেল্টের আ*ঘাতে আমার ননদ এসে আমাকে দেখে হাতে হাতে ধরে রুমে নিয়ে গিয়ে আ*ঘাতের জায়গাগুলোতে মলম দিয়ে দেয়,,

শরীরের আ*ঘাত তো ওষুধ দিলে সেরে যায় কিন্তু কথাট আ*ঘাত কোন কিছু দিয়ে সাড়ে না। কিছুই বুঝতে পারছিলাম না নিলা কেন আমার নামে মি*থ্যা কথা বললো।

খুব কষ্ট হচ্ছে মনে মনে আল্লাহ কে বলছে আল্লাহ তুমি আমাকে এত কষ্ট কেন দিচ্ছ সবকিছুর অন্যায় কেন আমার মাথার উপরে দিচ্ছ আর সহ্য করতে পারছি না। মিথ্যা অপবাদ আর সহয় করতে পারছি না

সকাল হতেই শাশুড়ী ডাক পড়লো কইগো নবাবজাদি সকাল হলো তোর এতো সময় ধরে ডাকছি শুনতে পাস না।

মেঘা আস্তে আস্তে নিচে নামলো নুসরাত কে দেখে বলতে শুরু করলো...

বড়লোকের ছেলে দেখে লো*ভ সামলাতে পারিস নি তাই না এজন্য নিজের বোনটাকে সরিয়ে নিজের বোনের জায়গায় চলে এসেছিস. তুই হয়তো ভুলে গেছি জুতা পায়ে মানায় সো*না গলায়,,

জাত পাত নাই জ*ন্মে ঠিক নাই অনাথ আশ্রম থেকে নিয়ে এসে লালন করছে আমি কোনদিন আমার ছেলের বউ হিসেবে মানবো না তুইও আমার ছেলের আশেপাশে ঘি*সবি না এই বাড়িতে একটা কাজের লোকের মেয়ের মত থাকবি আমি উকিল ডেকে তোদের ডিভোর্সের ব্যবস্থা করছি ডি*ভোর্স দিয়ে জ*ন্মের মত এখান থেকে চলে যাবি।
জাত পাত নাই জ*ন্মে ঠিক নাই অনাথ আশ্রম থেকে নিয়ে এসে লালন করছে আমি কোনদিন আমার ছেলের বউ হিসেবে মানবো না তুইও আমার ছেলের আশেপাশে ঘি*সবি না এই বাড়িতে একটা কাজের লোকের মেয়ের মত থাকবি আমি উকিল ডেকে তোদের ডিভোর্সের ব্যবস্থা করছি ডি*ভোর্স দিয়ে জ*ন্মের মত এখান থেকে চলে যাবি।

(আপনাদের বোঝার জন্য ফাস্ট পার্টের কিছু অংশ এড করা হলো)

শরীরের ব্যাথা থেকে কথার ব্যাথা বেশি কষ্ট হচ্ছে।

শুধু আল্লাহর কাছে জানতে ইচ্ছে করছে আল্লাহ কেন আমাকে এত কষ্ট দিলেন আমার কি অপরাধ করেছি আমি কেন এত শা*স্তি পাচ্ছি।

আমার শাশুড়ী বাসার খালাকে উদ্দেশ্য করে বলল আজকে থেকে তুমি কোন কাজ করবা না সব কাজ এই ফকিন্নি অনাথ মেয়েটা করবে

দেখলাম উপর থেকে আবির শার্ট ঠিক করতে করতে নিচে নামছে খাবার টেবিলে বসলো খেতে খেতে আমার আমার দিকে চোখ পড়ে আবির তার মাকে উদ্দেশ্য করে বলছে এই আ*পদ টাকে তাড়াতাড়িব বিদায় করো।

লো'ভী মেয়ে মানুষ,, দেখলেও ঘৃ*না লাগে।

আমার ভালোবাসা কে আমার থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে,,

আবির ফোনে হটাৎ কল আসলো রিসিভ করতে কিছুক্ষণ কথা বলার পর আবির কল কেটে আবির এর মা সায়লা বেগম কে উদ্দেশ্য করে বলল মা সন্ধ্যা আমার কিছু ফ্রেন্ড আসবে, বিয়েতে আসতে পারে নি ওদের আমি না বলতে পারি নাই তুমি সব আয়োজন করো,,,

আমাকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আবির আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে একদম চুপ করে থাকবি বন্ধুের সামনে,,

সন্ধ্যায় আবিরের ফ্রেন্ডরা সবাই আসতে শুরু করেছে খুব সুন্দর করে রেডি করে দিয়েছে একটা শিপনের শাড়ি পরিয়ে দিয়েছে শাশুড়ি,,বলে আমি বোনের বাসাশ যাবো কিছুদিনের জন্য একদম আমার ছেলের আশে পাশে যাবি না,,

মেঘার অস্বস্তি হচ্ছে কারন এর আগেও এক দুই বার শাড়ি পরেছে আর শিপনের পাতলা শাড়িতে কখনোই পড়ে নাই অসস্থি হচ্ছিল খুব,, মেধা ওর শাশুড়ি কে উদ্দেশ্য করে বলে শাড়িটা অনেক পাতলা শাশুড়ি মেঘাকে কে উদ্দেশ্য করে বলে ছোট লেকের বা*চ্চা তুই এগুলো চোখে দেখেছিস কখনো জ*ন্মের ঠিক তো নাই কার পা*পের ফল কে জানে আমার ছেলের জীবন টা শেষ করে দিলো যেটা দিয়েছি সেটাই পর,,,মেঘা কোনো কথা বললো না চুপচাপ শাড়ি টা পরে নিলো,,মেঘা মাথায় লম্বা চুল গুলো ছেড়ে দিলো ব্লাউজের পিছনের গলা টা অনেক বড় ওর অস্বস্তি হচ্ছিলো তাই চুল ছেড়ে দিলো যাতে পিঠ না দেখা যায়,,

পার্টি তে সবাই আনন্দ করছে মেঘা হাই,হ্যালো ছাড়া কিছুই বলে নাই,, সবাই ডান্স করছে আর অনেক লাউডলি মিউজিক চালাচ্ছে,, আবির এর ৫ টা ছেলে আর ২ টা মেয়ে বন্ধু আসছে, মেঘাকে শুরু থেকেই আবিরের বন্ধু নাহিদ অনেক বা*জে ভাবে দেখছিলো মেঘা বুঝতে পারছিলো কিন্তুু কাকে বলবে কে শুনবে ওর কথা,, হঠাৎ নাহিদ আবিরের উদ্দেশ্য করে বলে দোস্ত তোর বউকে নিয়ে ডান্স করতে পারি আমি ভাবিকে ডান্স পার্টনার করি কি বলিস এমনি তে আমি এই পার্টিতে সিঙ্গেল মানুষ,, আবির হ্যা সূচক মাথা নারালো,,

নাহিদ মেঘের কাছে এসে হাত বাড়ালো মেঘা বললো ভাইয়া আমি ডান্স করতে পারিনা নাহিদ জোর করে ওর হাত ধরে এক টানে কাছে নিলো,,,মেঘা বার বার আবিরের দিকে তাকিয়ে বুঝাতে চাইলো ও নাচতে চায় না আবির কোনো পাত্তা দিল না,,,

নাহিদ কোমরের দিকে হাত নিয়ে আস্তে আস্তে পিঠের দিকে হাত নিতে থাকলো মেঘা কেঁপে উঠলো কি করছেন আপনি ছারুন আমাকে,,,নাহিদ মেঘাকে বললো চুপ করে ইনজয় করো আমি জানি আবির তোমাকে মেনে নেয়নি এমন র'সালো স*রিল টাকে আমাকে ইনজয় করতে দাও কথা দিচ্ছি তুমি জা চাও তাই পাবে বলতে বলতে মেঘার শাড়ির ভিতর থেকে পে*টের কাছ হাত নিয়ে আস্তে করে একটা চা*প ছিলো মেঘা এবার আর সহ্য করতে পারল নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে না ধাক্কা দিলো নাহিদ কে,,

নাহিদ তাও সামলাতে না পেরে পড়ে গেলো,,সাথে সাথে সবাই ওদের কাছে চলে আসলো আবির নাহিদ কে তুলে মেঘা কে জিজ্ঞেস করলে কেন ওকে ধা*ক্কা দিলে কেনো মেঘা কান্না করতে করতে আবির উদ্দেশ্যে বলে নাহিদ ভাইয়া অ*সভ্যতামি করছিল বাজে কথা বলছিলো,,

নাহিদ এবার আবির কে উদ্দেশ্য করে বলল দোস্ত এই মেয়েটা মিথ্যে কথা বলছে এই মেয়েটা আমার কাছে এসে আমাকে বলল যে তোমাকে আমি খুশি করে দিব আপনাকে,, আমাকে শুধু আপনি আবিরের কাছ থেকে ডিভোর্সটা করিয়ে দিন,, এমনি তো আবির আমাকে মেনে নিবে না কখনো আপনি আমাকে বিয়ে করে ফেলেন আপনি যা চান তাই পাবেন,,,

আবিরের বাকি বন্ধু রা নাহিদের কথার সাথে তাল মিলিয়ে বলতে শুরু করে ছি ছি ছি আবির শেষ পর্যন্ত একটা দু*শ্চরিত্র মেয়েকে বিয়ে করে আনলি তুই আমাদের বন্ধুদের মধ্যে কত হ্যান্ডসাম তুই কতো মেয়ে তোর জন্য পা*গল ছিল আর সেই তুই কিনা একটা চ*রিত্রহীন লো*ভী মেয়ের বিয়েকে বিয়ে করে আনলি,,

আবিরের সব কথা শুনে ওর মাথায় র*ক্ত উঠে যায় ভাবিকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আবির ঠাস ঠাস করে মেঘাকে থা*প্পড় দিতে থাকে আর বলতে থাকে চ'রিত্রহীন লো'ভী মেয়ে আমার আগেই বোঝা উচিত ছিল যে নিজের বোনের সংসারে ঢুকে পড়ে সে আর যাই হোক তার চ*রিত্র ভালো হতে পারে না,,,

বিশ্বাস করুন আমি কিছু করি নাই উনি আমাকে কু প্র*স্তাব দিচ্ছে যে আমাকে খুশি করে দাও তুমি যা চাও তাই পাবে,,

আমার শ*রীরে বিভিন্ন জায়গায় বা*জে ভাবে টাচ করছিল তাই আমি ওনাকে ধা"ক্কা দিয়েছি বিশ্বাস করেন আমাকে,, আবির এবার অট্ট হাসি দিয়ে বলতে শুরু করে বিশ্বাস করবো তোকে,, তুই তো একটা বা*জারে মেয়ের থেকেও খা*রাপ,, নিজের স্বা*র্থের জন্য নিজের বোনটাকে সরিয়ে আমাকে বিয়ে করেছিস,, যখন দেখলি আমাকে বিয়ে করে তুই তোর সাধ্য সিদ্ধি করতে পারলি না এখন তুই আমার বন্ধুদেরকে পর্যন্ত ছাড়লি না আমার বন্ধুদের সামনে আমার মান সম্মান টুকু রাখলি না আর তুই এটা কেনো পরেছিস পাতলা শাড়ি সরিল দেখানোর জন্য আমার বন্ধুদের সিডিউস করার চেষ্টা করেছিস,, সরিলের এতো চা*হিদা তোর তাহলে প*তি*তালয় যেতে পারতিস আমার জীবনটা কেন ধ্বং*স করলি,, মেঘা আবির কথা গুলো এক একরা ছু*রির মতো বিধছিলো,, মেঘা এবার আবিরের পায়ে পড়ে বলতে থাকে দয়া করে আমার চ*রিত্রে কোন দোষ দিবেন না এতটা ছোট আমাকে করবেন না,, আমি মিথ্যা বলছি না আপনার বন্ধুই আমার কে খুব প্রস্তাব দিচ্ছিলোএবার আবিরের মাথা গরম হয়ে যায় মেঘার চুলের মু*ঠি ধরে দাঁড় করায়ে জোরে ধা*ক্কা মা*রে মেঘা গিয়ে শিড়ির কাছে ঠা*স করে পড়ে যায় কাপাল কে*টে যায় মেঘার,,

দোস্ত তোদের সবার কাছে আমি ক্ষমা চাইছি আমার বাড়িতে এসে তোরা এতটা অ*পমানিত হবি আমি সত্যি বুঝতে পারি নাই আজকে আমি বাহিরে পার্টি দিব আবির বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে পার্টি করতে চলে যায়,,

মেঘা আস্তে আস্তে উঠে রুমে গিয়ে ঝরনা ছেড়ে নিচে বসে পড়ে,, কান্না করতে থাকে আল্লাহ আমাকে এত শা*স্তি দিচ্ছো আমার মত এতিম কে৷ কেনো বাঁ*চিয়ে রেখেছো,, নিজের স্বামী আমাকে দুশ্চরিত্রা বলে বললো আমার ভিতর টা ছি*ন্ন বি*ছিন্ন করে দিয়েছে,,, অনেক সময় সাওয়ার নেওয়ার পরে মেঘা নিচে গিয়ে রান্না ঘরে সুয়ে পড়লো,,, রাত ২:৪০ বাজে আবির বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করে অনেক ড্রি*ঙ্ক করে বাসায় ফিরলো, আবিরের দরজা কলিং দিতেই মেঘা গিয়ে দরজা খুলে দিলো,,

একটু আগে মেঘা গোসল করে বের হয়েছে মেঘার সরিলে ছিটা ছিটা পানি চুল গুলো ছারা,, সুতির শাড়ি পরা অপরূপ সুন্দরী লাগছিলো মেঘা কে আবির ঘোর লাগা চোখে তাকিয়ে আছে মেঘার দিকে,,

মেঘা বললো অনেক রাত হয়েছে আপনি কি এখন খাবার খাবেন আমি কি গরম করে দিবো,,আবির কোনো কথা না বলে সোজা মেঘাকে কোলে তুলে নিলো,,মেঘা নিজেকে নামানোর চেষ্টা করলে আবির মেঘার ঠোঁট দুটো নিজের দখলে করে নিলো,,,

মেঘার সব কিছু ঘোরের মতো লাগছে জীবনে প্রথম কোন পুরুষের এত কাছাকাছি এসেছে সে,, কিন্তু মেঘা মনে পড়ে যায় আবিরের অ*পমান করা কথা গুলো মেঘা নিজেকে ছারানোর চেষ্টা করছে আবির ওর ঠোঁট দুটো নিজের মতো করে আদর করে যাচ্ছে,, মেঘাকে কোলে নিয়ে উপরে নিজের রুমে চলে আসলো মেঘাকে দাড় করায় মেঘা ছারা পেয়ে চলে আসতে নিলে মেঘার শাড়ির আচল টেনে ধরে মেঘা দাড়িয়ে যায় আবির মেঘার শাড়ি টানতে টানতে খুলেই ফেলে মেঘা এবার দুই হাত নিজেকে বুকের দিকটা ডাকার চেষ্টা করে আবির এবার রহস্য হাসি দিয়ে বলে আজকে আমি শুধু তোমাকে চাই তোমার সব টা চাই মেঘা আবির কে উদ্দেশ্য করে বলে আপনি এখন নে*শার ঘোরে এগুলো বলছেন,, আমি নিচে গেলাম এটা বলে যেতে নিলে এক হাত ধরে টান দিয়ে নিজের কাছে টেনে নেয় কোলে তুলে বিছানার সুয়ে দেয়,,আস্তে আস্তে মেঘের গলায় ঘাড়ে কিস করতে থাকে মেঘা কেপে উঠে আবিরের প্রতিটা ছোয়াতে কিন্তু মেঘ চায় না নে*শা করে আবির তার কাছে আসুক তাই সে বাদা দিতে গেলে আবির মেঘার মুখে একটা হাত দিয়ে বলে চুপ কোনো কথা না আবির মেঘার ঠোঁট দুটো আবার নিজের করে নেয়,, গাড়ে পিঠে সব খানে পা*গলের মতো কিস করতে থাকে ভালোবাসার পরস দিতে থাকে,, মেঘা আবিরের ভালোবাসার কাছে হার মেনে নিজেকে সপে দেয় দু'জন মেতে উঠে ভালোবাসার পা*গলামিতে,,,৷ সকাল হতেই মেঘা সাওয়ার নিয়ে নামাজ পরে নেয়,,আস্তে আস্তে আবির কাছে গিয়ে কপালে একটা চুমু দিয়ে বলে ঘুম ভাঙতে আপনার সবকিছু ভুলে যাবেন,, অনেক চেষ্টা করেছিলাম আপনাকে বাধা দেওয়ার শেষ পর্যায়ে আপনার ভালোবাসার কাছে হার মেনে নেই,, আপনি নে*শা অবস্থা আমার কাছে এসেছেন আপনি আমার স্বামী এই প্রথম আপনি আমাকে কাছে টেনে নিয়েছেন মা*তাল অবস্থায় এই ভালোবাসা আমি চিরকাল এই রাতটা আমার সাক্ষী হয়ে থাকবে ভালোবাসার,,,

মেঘা নিচে গিয়ে নাস্তা রেডি করে,,আবিরের ঘুম ভেঙে যায় মাথা টা ভাড় হয়ে আগে,, নিজের সরিলে কোনো কাপড় না দেখে ঘবড়ে গেলো হটাৎ কাল রাতের সব কথা মনে পড়ে গেলো,, ও সিট আমি নে*শার ঘোরে এটা কি করে ফেললাম,,লো*ভী মেয়েটা এই সুযোগ টাই কাজে লাগালো,,,উপর থেকে মেঘা কে ডাকতে থাকে আবির,,

চলবে...

কি হতে চলেছে মেঘার সাথে...

Address

Fatulla

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shafiqul Islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Shafiqul Islam:

Share