
02/07/2025
মুহাররম ও আশুরা : কিছু কথা, কিছু প্রশ্নের উত্তর
❏ মুহাররাম মাসের ১০ম দিনকে আশুরা বলা হয়। এদিন আল্লাহ মুসা আলাইহিস সালাম এবং তাঁর জাতিকে ফেরাউনের জুলুম থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এ উপলক্ষে ইয়াহুদীরাও এ দিন সিয়াম পালন করতেন।
নবী ﷺ মদিনায় হিজরতের পর দেখেন ইয়াহুদীরা এ দিনে সিয়াম পালন করছে। নবী ﷺ বললেন, আমরা মূসার অনুসরণ করার ব্যাপারে তােমাদের চাইতে অধিক হকদার। তিনি নিজে সে দিনের সিয়াম পালন করলেন এবং সাহাবীদেরকেও নির্দেশ দিলেন [বুখারি : ১৮৬৫]।
❏ এ সিয়ামের ফজীলত কী?
এদিনের সিয়ামের ফজিলত সম্পর্কে রাসূল ﷺ বলেন, আল্লাহর কাছে আশা করি তিনি বিগত এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন [সহিহ মুসলিম : ১১৬২]।
❏ কেন ১০ তারিখের পাশাপাশি ৯ তারিখেও সিয়াম রাখা উচিত?
রাসূল ﷺ ইয়াহুদিদের ব্যতিক্রম করতে বলেছেন। যেহেতু এদিন ইয়াহুদিরাও সিয়াম রাখে তাই তাদের ব্যতিক্রম করার জন্য ৯ মুহাররামেও সিয়াম পালন করা উচিত। কেননা রাসূল ﷺ বলেছেন, আমি যদি আগামী বছর বেঁচে থাকি তাহলে ৯ এবং ১০ দুদিনই সিয়াম রাখবাে।
[মুসলিম : ১৯১৬]
❏ এবারের আশুরার সিয়াম কবে?
এবারের আশুরার সিয়াম ৬ জুলাই। তবে ওপরের হাদিস অনুযায়ী ৫ ও ৬ জুলাই বা ৬ ও ৭ জুলাই সিয়াম রাখতে পারেন।
আমরা পুরো মুহাররম মাস জুড়েই সাধ্যমতো বেশি বেশি রোজা রাখি। বিশেষ করে দশ তারিখ আশুরার রোজা, প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং হিজরি মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখের আইয়ামে বীজের সুন্নত রোজাগুলো রাখি। কারণ মুহাররম আল্লাহর মাস। আর রোজাও শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। এবং আল্লাহ ঘোষণা করেছেন রোজার প্রতিদান তিনি নিজেই দিবেন।
~ তথ্য সংগৃহিত