Trand News Bangla

Trand News Bangla সত্য প্রকাশে নির্ভীক

09/08/2025

৩ দিনের জন্য মূর্তি হালাল, তারপরে হারাম -

দাবি "শিবির" নেতার

এক সময়কার "শয়তানের বাক্স" আজ "ধর্ম ব্যবসার" অনেক বড় মাধ্যম- যখন গ্রামের সহজ-সরল মানুষরা টেলিভিশন কিনে ঘরে এনেছিলো- দুনিয়...
27/07/2025

এক সময়কার "শয়তানের বাক্স" আজ "ধর্ম ব্যবসার" অনেক বড় মাধ্যম-

যখন গ্রামের সহজ-সরল মানুষরা টেলিভিশন কিনে ঘরে এনেছিলো- দুনিয়ার খবর জানবে, গান শুনবে, নাটক দেখবে, সন্তানেরা বিনোদনের একটা মাধ্যম পাবে বলে। কিন্তু সেই সময় একদল তথাকথিত ধর্ম ব্যবসায়ী, যাদেরকে আমরা ‘মোল্লা-মুন্সি’ নামে চিনি, তারা মাঠে-ঘাটে ওয়াজ-মাহফিলে চিৎকার করে বলতো- “টেলিভিশন" দেখা হারাম! এটা শয়তানের বাক্স! তারা লোকজনকে বুঝিয়ে-সুজিয়ে, ভয় দেখিয়ে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে টেলিভিশন ভেঙেছে, আগুনে পুড়িয়েছে। সেই দৃশ্য আজও অনেকের চোখে স্পষ্ট। ঘরের কোণে রাখা কষ্টের টাকায় কেনা টেলিভিশন মুহূর্তে ছাই হয়ে যাচ্ছে, আর একদল দাড়িওয়ালা লোক মুখে- "নারায় তাকবি আল্লাহু আকবার" আর হাতে লাঠি নিয়ে "হারাম হারাম" বলে চিৎকার করছে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, আজ সেই "টেলিভিশন" হারাম ঘোষণাকারীরা কোথায়? তারা কি সেই মতবাদে এখনো অটল? না, বরং আজ তারা নিজেরাই দিনের বড় একটা সময় কাটান ফোনে চোখ গুঁজে! আজ ওয়াজ হয় ইউটিউবে, ভাইরাল হয় ফেসবুকে, টিকটকে ছোট ছোট ভিডিও বানিয়ে চলে ধর্ম ব্যবসার মার্কেটিং। এক সময় যারা ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেই গুনাহের ভয় দেখাত, আজ তারাই রিং লাইটে মুখটাকে ফর্সা করে ভিডিও বানায়। আজকের যুগে এদের অনেকেই একাধিক পেজ আর ইউটিউব চ্যানেল চালান। মোদ্দা কথা সেই টেলিভিশন, যেটা তারা এক সময় হারাম বলতেন, তার চেয়েও বড় স্ক্রিন এখন তাদের পকেটে!

তাহলে কী বদলেছে? কুরআন তো সেই একই আছে। কিন্তু, সেই টেলিভিশন হারাম থেকে হালাল হলো কীভাবে?

উত্তর তো জানি- আসলে টেলিভিশন কখনোই হারাম ছিল না, হারাম ছিল এদের অজ্ঞতা, সংকীর্ণতা, এবং নিজেদের সুবিধামতো ধর্মের অপব্যবহার। এরা সকালে এক কথা বলে, বিকেলে আরেক কথা বলে, আবার সন্ধ্যা বলে অন্য কথা।

এসব ভণ্ডদের কথা শুনে শত শত পরিবার তাদের সন্তানদের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে৷ এই ভন্ডরা মানুষকে মানসিকভাবে আতঙ্কিত করেছে। অথচ তারা নিজেরাই আজ সেই টেলিভিশনের আধুনিক রূপ স্মার্টফোন, ইউটিউব, ফেসবুক- সব কিছুর সুযোগ নিচ্ছে!

আজ সময় এসেছে প্রশ্ন তোলার- এই ভণ্ডামি আর কতদিন? কুরআনের ভাষা বদলায়নি, বদলেছে এদের মনোভাব, কারণ সমাজ বদলেছে, প্রযুক্তি এগিয়েছে। কিন্তু ধর্মের নামে প্রতারণা এখনো থামেনি।

আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন- যে টেলিভিশন এক সময় হারাম ছিল, তা কীভাবে হঠাৎ হালাল হলো? উত্তর চাই- তাদের কাছে, এবং আপনাদের কাছেও!

✍️ Trand News Bangla

24/07/2025

ক্ষমতার পরিণতি: নিঃসঙ্গ পলকের নিঃশেষতার গল্প

অভিনেত্রী সুনেত্রা: বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ৮০ ও ৯০ দশক ছিল এক সোনালি অধ্যায়। এই ...
17/07/2025

অভিনেত্রী সুনেত্রা: বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ৮০ ও ৯০ দশক ছিল এক সোনালি অধ্যায়। এই সময়টিকে আরও সমৃদ্ধ করেছিলেন যাঁরা, তাঁদের অন্যতম অভিনেত্রী সুনেত্রা। তাঁর রূপ, ব্যক্তিত্ব ও অভিনয়শৈলীতে মুগ্ধ হয়েছিল কোটি দর্শক। আজও তার নাম উচ্চারিত হলে স্মৃতিতে ভেসে ওঠে ঢালিউড, টলিউডের সেই জৌলুসপূর্ণ দিনগুলো।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন-
সুনেত্রার প্রকৃত নাম ছিল রীনা সুনেত্রা কুমার। ১৯৭০ সালের ৭ জুলাই ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পড়াশোনায়ও ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন, যা তার বর্ণাঢ্য জীবনের আরেকটি গৌরবময় অধ্যায়।

চলচ্চিত্রে আগমন-
মাত্র ১৫ বছর বয়সে, ১৯৮৫ সালে সুনেত্রা ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিনয় জগতে পা রাখেন। তার প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘উসিলা’, যেখানে নায়ক ছিলেন তৎকালীন জনপ্রিয় অভিনেতা জাফর ইকবাল। শুরু থেকেই তার অভিনয় দক্ষতা, সৌন্দর্য ও সাবলীল উপস্থিতি দর্শক-প্রশংসা কুড়াতে থাকে।

জনপ্রিয়তার শিখরে-
১৯৯০ সালে ‘পালকী’ ছবির মাধ্যমে সুনেত্রা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ছবি মুক্তি পেতে থাকে এবং তিনি শুধু ঢালিউড নয়, টলিউড, এমনকি পাকিস্তানি ও উর্দু চলচ্চিত্রেও অভিনয়ের সুযোগ পান।
শুধু অভিনয় নয়, তিনি ছিলেন দক্ষ নৃত্যশিল্পী, গায়িকা এবং মডেলও। একাধিক শিল্পমাধ্যমে তার বিচরণ তাকে বর্ণময় এক তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয়।

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র-
সুনেত্রা অভিনীত বহু চলচ্চিত্র দর্শক হৃদয়ে অমলিন হয়ে আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

উসিলা, পালকী, শিমুল পারুল, ভাই আমার ভাই, দুঃখিনী মা, লায়লা আমার লায়লা, স্ত্রীর স্বপ্ন, বাদশা ভাই, বোনের মতো বোন, ভাবীর সংসার- ইত্যাদি।

এইসব ছবিতে তার সাবলীল অভিনয়, আবেগপ্রবণতা ও আকর্ষণীয় উপস্থিতি তাকে বাংলা চলচ্চিত্রের স্মরণীয় এক মুখে পরিণত করেছে।

মৃত্যুর করুণ অধ্যায়-
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন সুনেত্রা। ২০২৪ সালের ২৩ এপ্রিল কলকাতায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৩ বছর। তার প্রয়াণে চলচ্চিত্র অঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া। সামাজিক মাধ্যমে ভক্ত, সহশিল্পী ও শুভানুধ্যায়ীরা তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।

চির স্মরণীয় সুনেত্রা-
সুনেত্রা ছিলেন কেবল এক জন অভিনেত্রী নন, ছিলেন এক অনন্য শিল্পী, যিনি তার রূপ, ব্যক্তিত্ব ও শিল্পপ্রতিভা দিয়ে দর্শকের মনে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। তার মৃত্যু আমাদের শোকাহত করলেও, তার অভিনীত অসংখ্য ছবি, সুনিপুণ শিল্পসৃষ্টি ও হৃদয়ছোঁয়া ব্যক্তিত্ব আমাদের স্মৃতিপটে চিরভাসমান থাকবে।

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সুনেত্রার নাম চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

Trand News Bangla

21/06/2025

"যদি একটি মিসাইল ছুটে আসে বাংলাদেশের দিকে" তাহলে পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে, বাংলাদেশ কি এর জন্য প্রস্তুত ??

20/06/2025
17/06/2025

ইসলামের মহা-গুরুত্বপূর্ণ বিষয় "তাওহীদ" অথচ মুসলিমরা না জেনে শুরু নামাজ রোজা করে যাচ্ছে..

লোক দেখানো “মার্চ ফর গাজা” নয়, প্রয়োজন টেকসই সমাধান!--------------------------------------------------------------------...
07/06/2025

লোক দেখানো “মার্চ ফর গাজা” নয়, প্রয়োজন টেকসই সমাধান!
-------------------------------------------------------------------------------
ঢাকার রাজপথ কাঁপিয়ে যারা “মার্চ ফর গাজা” করেছে, তাদের উদ্দেশ্যে তীব্র ক্ষোভ ও ধিক্কার জানানো প্রয়োজন। তারা গাজার জনগণের নাম ভাঙিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি তৈরির এক আয়োজন করেছে মাত্র। তারা ফেসবুক লাইভ, সেলফি আর স্লোগানে মুখর হলেও, গাজাবাসীর জন্য তাদের কার্যকর সহানুভূতি কোথায়? কোথায় বাস্তব সাহায্য, কোথায় ত্যাগ?

গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে মায়েরা কাঁদছে, খাবার নেই, পানি নেই—এই নির্মম বাস্তবতায় ঢাকা শহরে “গাজার জন্য মিছিল” করে এখন গরু কোরবানি দিয়ে গোস্ত রুটি খাওয়াকে সহানুভূতি বলা যায়? বরং এটি এক ভয়ানক ভণ্ডামি। যারা গাজার নাম নিয়ে রাজপথে হেঁটেছেন, তারা কি একটিবারও ভেবেছেন, গাজার বর্তমান পরিস্থিতি কি?

এই লোক দেখানো মিছিল-মিটিংয়ে গাজাবাসীর কোনো উপকার নেই। গাজার জন্য কিছু করা মানেই কি ঢাকার রাস্তায় হেঁটে বেড়ানো, স্লোগান দেওয়া, আর ছবি তোলা! এইসব কর্মকাণ্ড মূলত দায়িত্বহীনতা, সাময়িক আবেগ, এবং প্রকৃত সমস্যা থেকে দৃষ্টি ফেরানোর এক মোহজাল।

গাজাবাসীর প্রকৃত প্রয়োজন হলো—একটি স্থায়ী, অর্থবহ সমাধান। সেই সমাধান আসবে যখন মুসলিম জাতি তাওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হবে। আজ মুসলিম জাতি হাজারো ফিরকা, বিভক্তি ও স্বার্থের কারণে শক্তিহীন হয়ে পড়েছে। এটাই বাস্তবতা! এই বিভক্তি, এই আত্মকেন্দ্রিকতা না ভাঙলে গাজার মতো ট্র্যাজেডি চলতেই থাকবে।

গাজা বাঁচাতে হলে মিছিল নয়, চাই ঐক্য। লোক দেখানো আবেগ নয়, চাই বাস্তব ত্যাগ। কেবল তাওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ জাতিসত্তা গড়ে তুলাই এই জাতির পতন ঠেকাতে পারে, মুসলিমদের সম্মান ও হারানো গৌরব আবার ফিরিয়ে আনতে পারে।

তাই আজকের আহ্বান—মিছিল নয়, তাওহীদে ফিরে আসুন। বিভক্তি নয়, ঐক্য গড়ুন। লোক দেখানো সহানুভূতি নয়, গাজার জন্য বাস্তব দায়িত্ব গ্রহণ করুন।

✍️ Trand News Bangla

আরবরা ছিল এক ক্ষুধার্ত জাতি। তাদের চেহারা আর পোশাকে মিশে ছিল ক্ষুধা আর দারিদ্র্যের ছাপ। কিন্তু যখন ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলো,...
07/06/2025

আরবরা ছিল এক ক্ষুধার্ত জাতি। তাদের চেহারা আর পোশাকে মিশে ছিল ক্ষুধা আর দারিদ্র্যের ছাপ। কিন্তু যখন ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলো, আল্লাহর দেয়া অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু হলো, তখন আরবদের অর্থনীতিতে একটা বড় পরিবর্তন চলে এলো। ইসলাম সুদকে হারাম করলো। অন্যদিকে গরীবের হক আদায় করার ব্যাপারে ধনীদেরকে উৎসাহিত করলো। দান-সাদাকার ব্যাপারে উৎসাহিত করলো। যাকাতকে ফরজ করে দিলো।
বেশি নয়, মাত্র এক দশকের মতো এই ব্যবস্থাটি চর্চা করার পর দেখা গেল মানুষে মানুষে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর হয়ে গেল। দেখা গেলো, সামর্থ্যবান লোকেরা যাকাতের মাল নিয়ে গরীর মানুষের খোঁজে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কিন্তু সেই যাকাত গ্রহণ করার মতো লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এটা আমাদের মুখের দাবি নয়, বরং ঐতিহাসিক সত্য। ইসলাম মানুষের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করে যে ভারসাম্য সৃষ্টি করেছিল, ইতিহাসের আরো কোনো তন্ত্র-মন্ত্র সেই নজির স্থাপন করতে পারে নি।

29/05/2025

দেখুন.. ফি'লি'স্তি'নে'র পাশে দাঁড়িয়ে বরখাস্ত হলো মি'য়া খলিফা—কী বললেন তিনি?

26/05/2025

এইমাত্র..দেশের পরিস্থিতির অবনতি!! ৪৮ঘন্টার মধ্যে ঘটতে পারে যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা! ভিডিওতে দেখুন.. বিস্তারিত

Address

Feni

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Trand News Bangla posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share