19/08/2024
আপনাদের পুলিশকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়াটা, শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী নয়?
পুলিশ কর্মবিরতি থেকে ফেরার পর দেখলাম অনেকেই ফুল দিয়ে তাদের নতুন জামাইয়ের মত বরণ করে নিচ্ছে। আপনারা নিতেই পারেন। হয়তো আপনাদের আপন কাউকে এরা হত্যা করেনি। আপনার আপন কেউ হয়তো এদের মাধ্যমে নির্যাতিত হয়নি। আমার এদের জন্য কেবলই ঘৃণা ঘৃণা ঘৃণা।
আপনারা আপনাদের নিজেদের এলাকায়ও মিলিয়ে দেখবেন, কিছুদিন আগেও যে সকল ওসি,এসআই রা আপনাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে তাদেরকেও ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। কেনো এতো সুশিলতা ধোচাতে হবে ভাই?
এরা আমদের সাথে যুদ্ধে হেরে যাওয়া হাসিনার সহোদর। পুলিশকে যদি আমার সম্মান জানাতে হয় তাহলে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রত্যেকটা পুলিশকে ছাটাইয়ের পর যখন শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে। আমি তখন পুলিশ বাহিনীকে সম্মান জানাবো। এর আগে নয়।
কেনো এদের প্রতি আমার এতো ঘৃণা? কয়েকটা ঘটনা আপনাদের মনে করিয়ে দেই। সেই ঘটনা গুলোর ভিডিও কমেন্টে দিয়ে দিবো।
ঘটনা এক. একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কোনো এক ফ্লাইওভারের নিচে এক পাশে আশ্রয় নেয়া প্রায় ১০-১৫জন আন আর্মড ছেলেকে গুলি করে মেরে ফেলেছে পুলিশ। একটা ছেলেও আক্রমনাত্মক ছিলো না। প্রত্যেকে প্রান রক্ষার জন্য কিছু একটা পেছনে বসে ছিলো। পুলিশ আসলো , তাদের খুজে বের করলো, আর গুলি করলো নির্বিচারে হত্যা করলো।
ঘটনা দুই. একটা ছেলে ছাদে উঠেছে প্রান রক্ষার্থে। পুলিশ তাকে খুজতে ছাদে উঠলো। ছেলেটা বাচার জন্যে ছাদের রেলিং এর একপাশে আশ্রয় নেয়। পুলিশ তাকে সেখান থেকে খুজে বের করে গুলি করে।
ঘটনা তিন. সাভারের ইয়ামিন হত্যার ভিডিও সবাই দেখেছেন। ইয়ামিনের বডি যখন পুলিশের ট্যাংকের উপর ছিলো তখনও সে বেচে ছিলো। তার বডি ট্যাংকে নিয়ে পুলিশ ঘুরে বেড়ায়। তারপর সুযোগ বুঝেব তার বডিটা কুকুরের মত মাটিতে ফেলে দেয় ,তখনও ইয়ামিনের দেহে প্রাণ ছিলো।
[একটা ছবিতে দেখলাম সাভার থানার সেই ওসিকেও ফুল দিয়ে বরণ করা হয়েছে]
ঘটনা চার. পুলিশ একটা ছেলেকে ধরলো, তারপর পেটানো শুরু করলো। যিনি এই ভিডিও টি করেছেন, তিনিও ভেবেছিলেন পুলিশ ভয় দেখাবে। কিন্তু না , একজন পুলিশ সেই ছেলেটির সামনে আসলো তার মুখের সামনে এসে তাকে গুলি করে মেরে ফেল্লো।
আমি শুধু আপনাদের চারটি ঘটার বিবরণ দিলাম। এখন শত শত ঘটনা আছে। এমন শত শত ঘটনার ভিডিও আছে। আমরা দেখিনি, জানিনা এমন কত ঘটনা আছে, একমাত্র আল্লাহ মালুম।
তারপরও যদি এদের আপনারা ফুল দিয়ে বরণ করতে চান করেন। আমি এদের আজীবন ঘৃণার চোখে দেখে যাবো। যতদিন না হত্যাকান্ডে জড়িত প্রত্যেককে চাকুরিচুত করে ফাঁশিতে ঝুলানো হবে। আমি ততদিন ঘৃণা করে যাবো।