29/08/2025
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় শ্বাশত শান্তির বানী প্রদান করেছেন যে ,
''ভোক্তারং যজ্ঞতপসাং সর্বলোকমহেশ্বরম ।
সুহৃদং সর্বভূতানাং জ্ঞাতা মাং শান্তিমৃচ্ছতি।। গীতা ৫/২৯।।
অনুবাদঃ আমাকে সমস্ত যজ্ঞ ও তপস্যার পরম ভোক্তা , সর্বলোকের মহেশ্বর এবং সমস্ত জীবের সুহৃদরুপে জেনে যোগীরা জড় জগতের দুঃখ -দুর্দশা থেকে মুক্ত হয়ে শান্তি লাভ করেন" ।
মানুষকে কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করে জীবন-ধারন করতে হয় তেমনি তপস্যা করে পারমার্থিক উন্নতি করতে হয় । গীতায় কর্মযোগ ও কর্ম-সন্ন্যাস যোগে ভগবান বুঝিয়েছেন যে, কর্মত্যাগ নয় ,কর্মের মাধ্যমে কর্ম-বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়া যায় ।
পৃথিবীর প্রতিটি দেশ ও জাতি যদি গীতার জ্ঞান জানতো যে জীবের সমস্ত কাজের ফল দাতা হচ্ছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ । সমস্ত জীবকুল- এমন কি সকল দেবতারা তার আনুগত্য ভৃত্য এবং প্রতিটি ধুলিকনার মালিক তিনি এবং প্রতিটি জীবের পরম মংগলকারী ,পরমপিতা ও পরমবন্ধু । তাহলে বিশ্ববাসী সকল মানুষ ধর্ম, বর্ন, জাতি, সম্পত্তি ও দেশ নিয়ে কোন মিথ্যা সংঘর্ষ হত না ।
সবাই একমাত্র পুরুষোত্তম ভগবানের সেবায় তার সমস্ত কিছু অর্পন করত ।
তাহলে কৃষ্ণ-চেতনা জাগরন হয়ে ব্যাক্তি জীবন ও সমাজ-জীবনে পুর্ন-শান্তি প্রতিষ্টিত হত। তাছারা অন্য কোন ভাবে সম্ভব নয়।। হরেকৃষ্ণ।।
।। জয় শ্রীকৃষ্ণ।।