Mufti Shah Alam

Mufti Shah Alam Islam is the complete code of life. The holy Quran is my guide book. waz and sanggit is my hobby.

ইন্না-লিল্লাহ! কি ভয়ংকর সংবাদ দেখুন। আমার আত্মা কেঁপে উঠেছে। ভয়ে কাঁপছি! এটা এড়িয়ে যাবেন কিভাবে_________________________...
29/05/2025

ইন্না-লিল্লাহ! কি ভয়ংকর সংবাদ দেখুন। আমার আত্মা কেঁপে উঠেছে। ভয়ে কাঁপছি! এটা এড়িয়ে যাবেন কিভাবে_________________________________________

গাইয়ুন !
আপনি কি জানেন গাইয়ুন কি ?
ইবনে মাসুদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন গাইয়ুন হল জাহান্নামের এক অত্যন্ত গভীর ও ভয়ংকর উপত্যকার নাম । কেন এই উপত্যকা এত ভয়ংকর এত জঘন্য ?
জাহান্নামে মানুষের আকার হবে অনেক বড় । বসা অবস্থায় এক জাহান্নামীর আকার হবে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার ! তার চামড়া এবং মাংস হবে অত্যন্ত পুরু । তার দেহে থাকবে অনেক মাংস । জাহান্নামের আগুনে এই মাংস পুড়ে যখন হাড় বেরিয়ে যাবে তখন তা আবার মাংস দিয়ে পূর্ণ করে দেওয়া হবে । দুনিয়াতে আমরা দেখছি মানুষ আগুনে পুড়ে গেলে সেখানে পুঁজ জমে।
জাহান্নামের মানুষ বারবার আগুনে পুড়বে আর বারবার পুঁজ জমা হবে । সেই পুঁজ কোথায় গিয়ে জমা হবে জানেন ? তা জমা হবে জাহান্নামের গাইয়ুন উপত্যকায় । কারা থাকবে গাইয়ুনে ? যারা সময় মতো, সঠিকভাবে, নিখুত ভাবে সালাত আদায় করেনি ! ________________________________________________________________
সাকার !
আপনি কি জানেন সাকার কি ?
সাকার হল জাহান্নামের আরেকটি জঘন্য উপত্যকার নাম ।
সাকার হলো তাদের অবস্থান যারা দুনিয়াতে সালাত আদায় করবে না ।
সাকারবাসীদের সম্পর্কে আল্লাহ সুবাহানুওতায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন,
'আমি দাখিল করব সাকারে । তুমি কি জানো সে সাকার কি ? যা জীবীতও রাখবে না আবার একেবারে মৃত করেও ছাড়বে না । গায়ের চামড়া ঝলসিয়ে দেবে । সেখানে নিয়োজিত আছে ১৯ জন ফেরেস্তা ।‌' (সূরা মুদ্দাসসির : ২৬-৩০)_____________________________________________________________
ওয়াইল !
আপনি কি জানেন ওয়াইল কি ?
ওয়াল জাহান্নামের আরেকটি ভয়ানক উপত্যকা ।
'অতএব ওয়াইল সেসব সালাত আদায়কারীর জন্য যারা তাদের সালাত সম্পর্কে বেখবর । (সূরা মাউন : ০৪-০৫)
সাহাবীদের মতে ওয়াইল এমন একটি জায়গা যেখানে জাহান্নামীদের সাপ আর জীবজন্তুরা খেয়ে ফেলবে । তারপর তাদের দেহ পূর্ব অবস্থায় ফিরে আসবে । পুনরায় সাপ আর জীবজন্তুরা তাদেরকে খেয়ে ফেলবে । পুনরায় দেহ ফিরে পাবে । এ চলতেই থাকবে ।
ওয়াইল সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাওতায়ালা আরও বলেছেন,
যখন তাদেরকে বলা হবে নত হও তখন তারা নত হয় না । সেদিন মিথ্যা আরোপকারীদের জন্য ওয়াইল হবে ।
(মুরসালাত : ৪৮-৪৯)____________________________________________________________________
আর যারা সালাত আদায় করে না, কারা হবে আখেরাতে তার বন্ধু ?
'আর কেয়ামতের দিন সে ফেরাউন, হামান, কারুণ আর উবাই ইবন খালফদের সঙ্গে থাকবে । (ইবনে হিব্বান :১৪৬৭)
ফেরাউন আর সহচর হামান আর কারুণ কে তো অনেকেই জানেন । অনেকেই জানিনা উবাই ইবন খালফ কে । এ এমন এক জঘন্য ব্যক্তি যাকে দয়ার নবী নিজেই হত্যা করেছেন। এই পাপাচারীকে ছাড়া নবীজি আর কাউকে নিজ হাতে হত্যা করেননি ।

গাইয়ুন ! সাকার ! ওয়াইল হবে বাসস্থান ।
আর বন্ধু হবে ফেরাউন, হামান, কারুণ‌ আর উবাই ইবন খালফ !
নামাজ না পড়া আর নামাজ সঠিকভাবে না পড়ার পরিণতি খুবই ভয়াবহ ।
আল্লাহ আমাদেরকে এ আজাব থেকে হেফাজত করুন।
আমরা অনেকেই ভাবি সব পাপ ছেড়ে বদলে গিয়ে নামাজ ধরবো ।
প্রিয় ভাই আপনি যে অবস্থাই আছেন,নামাজ শুরু করেন,নামাজ ছাড়বেন না ।
বদলে গিয়ে নামাজ ধরা হয় না, বরং নামাজই একদিন আপনাকে বদলে দিবে ।
আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন, আমিন।

★★★ যারা বলে কুরআনের সাথে রাজনীতির সম্পর্ক নেই তাদের জন্য -------.শরীয়াকে অস্বীকার করা বা তার বিপরীতে অন্য কিছু উত্তম মন...
13/01/2025

★★★ যারা বলে কুরআনের সাথে রাজনীতির সম্পর্ক নেই তাদের জন্য -------.
শরীয়াকে অস্বীকার করা বা তার বিপরীতে অন্য কিছু উত্তম মনে করা সরাসরি কুফরী। এ সম্পর্কে কিছু আলোচনা। হয়তো মুহাক্কিক আলিমরা আরও ভালো বলতে পারবেন। তবে আমার বোঝাপড়া থেকে যা বুঝেছি:
শেয়ার দিয়ে ছড়িয়ে দিন সবাই জানুক।

আল্লাহ্ তা‘আলার দেয়া কল্যাণময় বিধানকে লঙ্ঘন করে মানব রচিত যে কোন বিধানের আলোকে বিচার কার্য পরিচালনা বা গ্রহণ করাও আরেকটি কবীরা গুনাহ্। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«وَمَنْ لَّمْ يَحْكُمْ بِمَآ أَنْزَلَ اللهُ فَأُوْلَآئِكَ هُمُ الْكَافِرُوْنَ»
‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা‘আলার দেয়া বিধানানুযায়ী বিচার করে না সে তো কাফির’’। (মা’য়িদাহ্ : ৪৪)
আল্লাহ্ তা‘আলা আরো বলেন:
«وَمَنْ لَّمْ يَحْكُمْ بِمَآ أَنْزَلَ اللهُ فَأُوْلَآئِكَ هُمُ الظَّالِـمُوْنَ»
‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা‘আলার দেয়া বিধানানুযায়ী বিচার করে না সে তো জালিম’’। (মা’য়িদাহ্ : ৪৫)
তিনি আরো বলেন:
«وَمَنْ لَّـمْ يَحْكُمْ بِمَآ أَنْزَلَ اللهُ فَأُوْلَآئِكَ هُمُ الْفَاسِقُوْنَ»
’’যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা‘আলার দেয়া বিধানানুযায়ী বিচার করে না সে তো ফাসিক্ব তথা ধর্মচ্যুত নাফরমান’’। (মা’য়িদাহ্ : ৪৪)
আল্লাহ্ তা‘আলা কুর‘আন মাজীদের মধ্যে মানব রচিত আইন গ্রহণকারীদেরকেও ঈমানশূন্য তথা কাফির বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِيْنَ يَزْعُمُوْنَ أَنَّهُمْ آمَنُوْا بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ يُرِيْدُوْنَ أَنْ يَّتَحَاكَمُوْا إِلَى الطَّاغُوْتِ وَقَدْ أُمِرُوْا أَنْ يَّكْفُرُوْا بِهِ، وَيُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّضِلَّهُمْ ضَلَالًا بَعِيْدًا،.. فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُوْنَ حَتَّى يُحَكِّمُوْكَ فِيْمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوْا فِيْ أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا»
‘‘আপনি কি ওদের ব্যাপারে অবগত নন? যারা আপনার প্রতি অবতীর্ণ কিতাব ও পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের উপর ঈমান এনেছে বলে ধারণা পোষণ করছে, অথচ তারা তাগূতের (আল্লাহ্ বিরোধী যে কোন শক্তি) ফায়সালা কামনা করে। বস্ত্তত: তাদেরকে ওদের বিরুদ্ধাচরণের আদেশ দেয়া হয়েছে। শয়তান চায় ওদেরকে চরমভাবে বিভ্রান্ত করতে। ... অতএব আপনার প্রতিপালকের কসম! তারা কখনো ঈমানদার হতে পারে না যতক্ষণ না তারা আপনাকে নিজেদের আভ্যন্তরীণ বিরোধের বিচারক বানিয়ে নেয় এবং আপনার সকল ফায়সালা নি:সঙ্কোচে তথা সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নেয়’’। (নিসা’ : ৬০-৬৫)

তবে মানব রচিত বিধান কর্তৃক বিচার কার্য পরিচালনা করার কয়েকটি পর্যায় রয়েছে। যা নিম্নরূপ:

ক. যে বিচারক বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ্ তা‘আলার বিধান বর্তমান যুগে বিচার কার্য পরিচালনার জন্য কোনভাবেই উপযোগী নয় তা হলে সে কাফির। এ ব্যাপারে সকল মুসলিমের ঐকমত্য রয়েছে। কারণ, সে আল্লাহ্ তা‘আলার বিধানকে অস্বীকার করেছে যা নিশ্চিত কুফরি।

খ. যে বিচারক বিশ্বাস করে যে, মানব রচিত বিধানই বর্তমান যুগে বিচার কার্য পরিচালনার জন্য অত্যন্ত উপযোগী; আল্লাহ্ তা‘আলার বিধান নয়, চাই তা সর্ব বিষয়েই হোক অথবা শুধুমাত্র নব উদ্ভাবিত বিষয়াবলীতে, তা হলে সেও কাফির। এ ব্যাপারেও সকল মুসলিমের ঐকমত্য রয়েছে। কারণ, সে মানব রচিত বিধানকে আল্লাহ্ তা’লার বিধানের উপর প্রাধান্য দিয়েছে, যা কুফরি।

গ. যে বিচারক বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ্ তা‘আলার বিধান যেমন বর্তমান যুগে বিচার কার্য পরিচালনার জন্য উপযোগী তেমনিভাবে মানব রচিত বিধানও, তা হলে সেও কাফির। কারণ, সে সৃষ্টিকে স্রষ্টার সমপর্যায়ে দাঁড় করিয়েছে যা শির্ক তথা কুফরিও বটে।

ঘ. যে বিচারক বিশ্বাস করে যে, বর্তমান যুগে আল্লাহ্ তা‘আলার বিধানের আলোকে যেভাবে বিচার কার্য পরিচালনা করা সম্ভব তেমনিভাবে মানব রচিত যে কোন বিধানের আলোকেও বিচার কার্য পরিচালনা করা সম্ভব তা হলে সেও কাফির। যদিও সে এ কথা বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ্ তা‘আলার বিধানই সর্বোত্তম। কারণ, সে নিশ্চিত হারাম বস্ত্তকে হালাল মনে করছে। যা কুফরিরই অন্তর্গত।

ঙ. যে বিচারক মনে করে যে, বর্তমান যুগের শরীয়ত বিরোধী আদালতসমূহই মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল; ইসলামী শরীয়ত নয় তা হলে সেও কাফির। কারণ, সেও নিশ্চিত হারাম বস্ত্তকে হালাল মনে করছে। যা কুফরিরই অন্তর্গত।

চ. যে গ্রাম্য মোড়ল মনে করে যে, তার এ অভিজ্ঞতালব্ধ বিচারই মানুষের সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় তা হলে সেও কাফির। কারণ, সেও নিশ্চিত হারাম বস্ত্তকে হালাল মনে করছে। যা কুফরিরই অন্তর্গত।

ছ. যে বিচারক মনে করে যে, আল্লাহ্ তা‘আলার বিধানই বিচারের ক্ষেত্রে একমাত্র গ্রহণযোগ্য বিধান; অন্য কোন মানব রচিত বিধান নয়। এর পরও সে মানব রচিত কোন বিধানের আলোকে বিচার কার্য পরিচালনা করে যাচ্ছে এবং সে এও মনে করছে যে, আমার এ কর্ম নীতি কখনোই ঠিক হতে পারে না তা হলে সে সত্যিই বড় পাপী। তবে যদি বড় কোনো পতিকল্পনার আওতায় এবং শরীয়াকে পূনর্স্থাপন করার নিমিত্তে হয়, তবে সে কাফির নয়। বরং মুসলিম থাকবে। কিন্তু যদি সতর্কতা অবলম্বন না করে তবে ফাসিকের কাতারে চলে যাওয়ার অবকাশ থাকবে।

মানব রচিত আইন গ্রহণকারীদেরও কয়েকটি পর্যায় রয়েছে যা নিম্নরূপ:

ক. যে বিচারপ্রার্থী এ কথা জানে যে, তার প্রশাসক বা বিচারক আল্লাহ্ তা‘আলার বিধান অনুযায়ী বিচার করছে না। তবুও সে তার প্রশাসক বা বিচারকেরই অনুসরণ করছে এবং এও মনে করছে যে, তার প্রশাসক বা বিচারকের বিচার কার্যই সঠিক। তারা যা হালাল বলে তাই হালাল এবং তারা যা হারাম বলে তাই হারাম তা হলে সে কাফির। আর যদি বিচার কার্য মানে কিন্তু মনে আছে যে এটা ইসলাম বিরুদ্ধ কাজ। যেহেতু শরীয়া নেই তাই সে বাধ্য তবে সে কাফির নয়।

আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«اِتَّخَذُوْا أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَابًا مِّنْ دُوْنِ اللهِ وَالْـمَسِيْحَ ابْنَ مَرْيَمَ وَمَا أُمِرُوْا إِلاَّ لِيَعْبُدُوْا إِلَهًا وَّاحِدًا، لَا إِلَهَ إِلاَّ هُوَ سُبْحَانَهُ عَمَّا يُشْرِكُوْنَ»
‘‘তারা আল্লাহ্ তা‘আলাকে ছেড়ে নিজেদের আলিম, ধর্ম যাজক ও মার্ইয়ামের পুত্র মাসীহ্ (ঈসা) (আঃ) কে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে। অথচ তাদেরকে শুধু এতটুকুই আদেশ দেয়া হয়েছে যে, তারা একমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলারই ইবাদাত করবে। তিনি ব্যতীত সত্যিকার কোন মা’বূদ নেই। তিনি তাদের শির্ক হতে একেবারেই পূতপবিত্র’’। (তাওবাহ্: ৩১)

‘আদি’ বিন্ হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
أَتَيْتُ النَّبِيَّ وَفِيْ عُنُقِيْ صَلِيْبٌ مِنْ ذَهَبٍ فَقَالَ : يَا عَدِيُّ! اِطْرَحْ عَنْكَ هَذَا الْوَثَنَ، وَسَمِعْتُهُ يَقْرَأُ فِيْ سُوْرَةِ بَرَاءَةٍ:
«اِتَّخَذُوْا أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَابًا مِّنْ دُوْنِ اللهِ»
قَالَ: أَمَا إِنَّهُمْ لَمْ يَكُوْنُوْا يَعْبُدُوْنَهُمْ وَلَكِنَّهُمْ كَانُوْا إِذَا أَحَلُّوْا لَـهُمْ شَيْئًا اِسْتَحَلُّوْهُ وَإِذَا حَرَّمُوْا عَلَيْهِمْ شَيْئًا حَرَّمُوْهُ.

‘‘আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে গলায় স্বর্ণের ক্রুশ ঝুলিয়ে উপস্থিত হলে তিনি আমাকে ডেকে বলেন: হে ‘আদি’! এ মূর্তিটি (ক্রুশ) গলা থেকে ফেলে দাও। তখন আমি তাঁকে উক্ত আয়াতটি পড়তে শুনেছি। ‘আদি’ বলেন: মূলতঃ খ্রিষ্টানরা কখনো তাদের আলিমদের উপাসনা করতো না। তবে তারা হালাল ও হারামের ব্যাপারে বিনা প্রমাণে আলিমদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতো। আর এটিই হচ্ছে আলিমদেরকে প্রভু মানার অর্থ তথা আনুগত্যের শির্ক’’। (তিরমিযী ৩০৯৫)

উক্ত বিধান আলিম ও ধর্ম যাজকদের ব্যাপারে যেমন প্রযোজ্য তেমনিভাবে বিচারক ও প্রশাসকদের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য।

খ. যে বিচারপ্রার্থী মনে করে যে, আল্লাহ্ তা‘আলার বিচারই সঠিক। তার বিচারকের বিচার সঠিক নয়। আল্লাহ্ তা‘আলা যাই হালাল বলেন তাই হালাল আর তিনি যাই হারাম বলেন তাই হারাম। তবুও সে তার বিচারকের বিচারই গ্রহণ করছে কারন এ ছাড়া তার আর কোনো কিছুর অবকাশ তবে সে কাফির নয়। তবে শরীয়া না থাকার জন্য তার অনুসূচনা থাকতে হবে।

আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
عَلَى الْـمَرءِ الْـمُسْلِمِ السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ فِيْمَا أَحَبَّ وَكَرِهَ إِلاَّ أَنْ يُّؤْمَرَ بِمَعْصِيَةٍ، فَإِنْ أَمَرَ بِمَعْصِيَةٍ فَلَا سَمْعَ وَلَا طَاعَةَ.
‘‘প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তি তার উপরস্থের যে কোন কথা শুনতে ও তাঁর আনুগত্য করতে বাধ্য তা তার পছন্দসই হোক বা নাই হোক যতক্ষণ না তিনি তাকে কোন গুনাহ্’র আদেশ করেন। তবে যদি তিনি তাকে কোন গুনাহ্’র আদেশ করেন তখন তার জন্য উক্ত কথাটি শুনা ও মানা বৈধ নয়’’। (বুখারী ৭১৪৪; মুসলিম ১৮৩৯)

‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক আনসারী সাহাবীকে আমীর বানিয়ে একটি সেনাদল পাঠান এবং তাদেরকে তাদের আমীরের যাবতীয় কথা শুনতে ও তাঁর আনুগত্য করতে আদেশ করেন। পথিমধ্যে তারা উক্ত আমীরকে কোন এক ব্যাপারে রাগিয়ে তুললে তিনি তাদেরকে আদেশ করলেন যে, তোমরা আমার জন্য কিছু জ্বালানি কাঠ একত্রিত করো। তখন তারা তাই করলো। আমীর সাহেব তাদেরকে সেগুলোতে আগুন ধরাতে বললেও তারা তাই করলো। অতঃপর তিনি তাদেরকে বললেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি তোমাদেরকে আমার যাবতীয় কথা শুনতে ও আমার আনুগত্য করতে আদেশ করেননি? তারা সকলেই বললো: অবশ্যই। আমীর বললেন: তা হলে তোমরা আগুনে প্রবেশ করো। তখন তারা একে অপরের চেহারা চাওয়া-চাওয়ি শুরু করলো। তারা বললো: আমরা তো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ছুটেই আসলাম আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে। এভাবেই কিছু সময় কেটে গেলো। ইতোমধ্যে তাঁর রাগ নেমে গেলো এবং আগুন নিভিয়ে দেয়া হলো। তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ফিরে এসে তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন:
لَوْ دَخَلُوْهَا مَا خَرَجُوْا مِنْهَا، إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِيْ الْـمَعْرُوْفِ.
‘‘যদি তারা তাতে (আগুনে) প্রবেশ করতো তা হলে তারা আর সেখান থেকে বের হতে পারতো না। নিশ্চয়ই আনুগত্য হচ্ছে (কুর‘আন ও হাদীস সম্মত) সৎ কাজেই’’। (বুখারী ৭১৪৫; মুসলিম ১৮৪০)

গ. যে বিচারপ্রার্থী বাধ্য হয়েই শরীয়ত বিরোধী বিচার গ্রহণ করেছে; সন্তুষ্ট চিত্তে নয় তা হলে সে কাফিরও নয়। গুনাহ্গারও নয়।
উম্মে সালামাহ্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
يُسْتَعْمَلُ عَلَيْكُمْ أُمَرَاءُ، فَتَعْرِفُوْنَ وَتُنْكِرُوْنَ، فَمَنْ كَرِهَ فَقَدْ بَرِئَ، وَمَنْ أَنْكَرَ فَقَدْ سَلِمَ، وَلَكِنْ مَنْ رَضِيَ وَتَابَعَ.
‘‘তোমাদের উপর এমন আমীর নিয়োগ করা হবে যাদের কিছু কর্মকান্ড হবে মেনে নেয়ার মতো আর কিছু মেনে নেয়ার মতো নয়। সুতরাং যা মেনে নেয়ার মতো নয় তা কেউ অপছন্দ করলে সে দায়মুক্ত হলো। আর যে তা মেনে নিলো না সে নির্ভেজাল থাকলো। আর যে তাতে তার সন্তুষ্টি প্রকাশ করলো এবং তার অনুসরণ করলো সেই হবে নিশ্চিত দোষী’’। (মুসলিম ১৮৫৪)©️

যখন উমর ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর উপর হত্যার চেষ্টা করা হলো এবং তিনি গুরুতর আহত হলেন, তখন তার ক্ষত চিকিৎসার জন্য দুধ পান করা...
08/01/2025

যখন উমর ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর উপর হত্যার চেষ্টা করা হলো এবং তিনি গুরুতর আহত হলেন, তখন তার ক্ষত চিকিৎসার জন্য দুধ পান করানো হয়। কিন্তু সেই দুধ তার ক্ষত থেকে বের হয়ে আসতে লাগল। এ অবস্থায় চিকিৎসক বললেন, “হে আমিরুল মুমিনিন! আপনার জীবনসীমা শেষ হয়ে আসছে। আপনি কোনো ইচ্ছা বা ওসিয়ত করে নিন।”

উমর (রা.) তার ছেলে আব্দুল্লাহকে ডেকে বললেন,
“হুযাইফা ইবনে ইয়ামানকে আমার কাছে নিয়ে আসো।”

হুযাইফা (রা.) ছিলেন সেই সাহাবি, যাকে রাসুলুল্লাহ (সা.) মুনাফিকদের নাম জানিয়েছিলেন। এই গোপন বিষয় কেবল আল্লাহ, রাসুলুল্লাহ (সা.), এবং হুযাইফা (রা.)-এর জানা ছিল।

যখন হুযাইফা (রা.) এলেন, তখন উমর (রা.) রক্তক্ষরণ সত্ত্বেও তাকে বললেন,
“হে হুযাইফা! আমি তোমাকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, রাসুলুল্লাহ (সা.) কি আমাকে মুনাফিকদের মধ্যে উল্লেখ করেছিলেন?”

হুযাইফা (রা.) চুপ করে থাকলেন এবং তার চোখ অশ্রুতে ভরে গেল। উমর (রা.) পুনরায় জোর দিয়ে বললেন,
“আল্লাহর কসম, আমাকে বলো, তিনি কি আমার নাম নিয়েছিলেন?”

হুযাইফা (রা.) কাঁদতে কাঁদতে বললেন,
“আমি এই গোপন বিষয় কাউকে জানাতে পারি না। তবে আমি আপনাকে নিশ্চিত করছি, রাসুলুল্লাহ (সা.) আপনার নাম মুনাফিকদের মধ্যে উল্লেখ করেননি।”

এ কথা শুনে উমর (রা.) তার ছেলে আব্দুল্লাহকে বললেন,
“এখন দুনিয়াতে আমার শুধু একটি ইচ্ছা বাকি আছে।”

আব্দুল্লাহ (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন,
“তা কী, আব্বা জান?”

উমর (রা.) বললেন,
“আয়েশা (রা.)-এর কাছে যাও এবং তাকে বলো, উমর ইবনে খাত্তাব সালাম পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাকে বলো না যে ‘আমিরুল মুমিনিন’ সালাম পাঠিয়েছেন, কারণ আজ আমি আর মুমিনদের আমির নই। তাকে বলো, উমর অনুরোধ করছেন যেন তাকে তার দুই সঙ্গীর (রাসুলুল্লাহ (সা.) এবং আবু বকর (রা.)) পাশে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।”

আব্দুল্লাহ (রা.) গেলেন এবং আয়েশা (রা.)-এর কাছে অনুমতি চাইলেন। তখন আয়েশা (রা.) কাঁদছিলেন। কিন্তু তিনি বললেন,
“আমি এই জায়গাটি আমার জন্য রাখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আজ আমি এটি উমরের জন্য উৎসর্গ করছি।”

আব্দুল্লাহ (রা.) খুশি মনে ফিরে এসে সংবাদটি জানালেন। কিন্তু উমর (রা.) তখনও মাটিতে মুখ রেখে ছিলেন। আব্দুল্লাহ তার মুখ নিজের হাঁটুর ওপর রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উমর (রা.) বললেন,
“আমার মুখ মাটিতে থাকতে দাও, যাতে আমি আমার রবের সামনে বিনীতভাবে হাজির হতে পারি। উমরের জন্য আফসোস, যদি তার রব তাকে ক্ষমা না করেন।”

উমর (রা.) তার ওসিয়ত করলেন,
“যখন আমার জানাজা হবে, তখন হুযাইফার প্রতি নজর রাখো। যদি তিনি আমার জানাজায় অংশগ্রহণ করেন, তবে বুঝে নিও আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন। এরপর আমাকে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কক্ষের দরজায় নিয়ে গিয়ে বলো, ‘হে মা! আপনার ছেলে উমর অনুমতি চাচ্ছে।’ যদি তিনি অনুমতি দেন, তাহলে আমাকে সেখানে দাফন করো। অন্যথায় আমাকে সাধারণ মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করো।”

অতঃপর যখন হুযাইফা (রা.) জানাজায় অংশগ্রহণ করলেন, তখন উমর (রা.)-কে আয়েশা (রা.)-এর কক্ষের দরজায় নিয়ে যাওয়া হলো এবং অনুমতি চাওয়া হলো। তিনি অনুমতি দিলেন। এভাবে উমর (রা.) তার দুই সঙ্গীর পাশে দাফন হলেন।

আল্লাহ উমর (রা.)-এর প্রতি দয়া করুন। যিনি জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত হয়েও আল্লাহর ভয়ে কাঁপতেন। কিন্তু আজ আমরা গাফলত ও নির্ভীকতায় জীবনযাপন করছি। আমরা আমাদের কাজের হিসাব করি না, আমাদের আখিরাতের কথাও ভাবি না।

اللهم احسن خاتمتنا ولا تقبض ارواحنا الا وانت راض عنا
হে আল্লাহ আমাদের শেষ পরিণতি টা সুন্দর করুন এবং আপনি আমাদের উপর সন্তুষ্ট না হয়ে আমাদের মৃত্যু দিয়েন না।

02/10/2024
30/09/2024

আপনি কী চান, মদিনা সনদে দেশ চলুক, যদি চান, তাহলে জামায়াতে ইসলামকে সাপোর্ট করুন।

03/08/2024

ভিডিওটি নিজে দেখুন এবং অন্য কে দেখার জন্য শেয়ার করুন।

বিশ্বনন্দিত ইসলামিক স্কলার, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীন এর কেন্দ্রীয়  সভাপতি আল্লামা লুৎফর রহমান সাহেব  ইন্তেকাল করেছে...
03/03/2024

বিশ্বনন্দিত ইসলামিক স্কলার, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা লুৎফর রহমান সাহেব ইন্তেকাল করেছেন । ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের আ'লা মাকাম দান করুন।

Address

Sonagazi
Feni
3931

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mufti Shah Alam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share