Actual Needs

Actual Needs Train your mind for success!

this page is dedicated to sharing positivity,uplifting and inspiring posts, quotes,books, stories, music, information.....

share inspiring messages or just get motivated !

10/10/2025

আমাদের সমাজে শৃঙ্খলার পতন

আজ আমরা এমন এক সমাজে বাস করছি, যেখানে “শিক্ষা” আছে, কিন্তু শিক্ষা নেই মনুষ্যত্বের।
স্কুল আছে, বিশ্ববিদ্যালয় আছে, কিন্তু নেই শিক্ষার শৃঙ্খলা, নেই নৈতিকতা, নেই মূল্যবোধের চর্চা।
আমাদের প্রজন্ম যেন হারিয়ে যাচ্ছে এক দিকহীন অন্ধকারে — যেখানে মানুষ জ্ঞানী হচ্ছে, কিন্তু মানবিক হচ্ছে না।

---

🎓 শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতি

আজকের শিক্ষার মূল লক্ষ্য হয়ে গেছে শুধু পাশ করা, চাকরি পাওয়া, বা নাম কামানো।
কিন্তু শিক্ষা মানে তো মানুষ তৈরি করা, চিন্তাশীল নাগরিক তৈরি করা।
আমরা সেটাই ভুলে গেছি।
স্কুলে নৈতিকতা শেখানো হয় না, শিক্ষকরা সময়ের চাপে বা দায়িত্বহীনতায় ক্লান্ত, অভিভাবকরা সন্তানের কাছে সময় দিতে পারেন না।
ফলাফল — এক প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে যারা ডিগ্রি পায়, কিন্তু মূল্যবোধ হারায়।

বড় দুঃখের বিষয় হলো, এখনকার শিক্ষার্থীরা জানে কিভাবে প্রতিযোগিতা করতে হয়, কিন্তু জানে না কিভাবে মানুষকে সম্মান করতে হয়।
জানে কিভাবে সফল হতে হয়, কিন্তু জানে না কিভাবে সৎ থাকতে হয়।

---

⚖️ সামাজিক শাসনের ভাঙন

একটা সময় ছিল যখন সমাজে বড়দের প্রতি সম্মান আর ছোটদের প্রতি ভালোবাসা ছিল জীবনের অংশ।
আজ সেই জায়গা দখল করেছে উদাসীনতা, রাগ, অহংকার।
এখন কেউ কারও কথা শোনে না।
শিক্ষক কিছু বললে ছাত্র প্রতিবাদ করে, বাবা-মা শাসন করলে সন্তান অভিমান করে, প্রতিবেশী কিছু বললে মারামারি লেগে যায়।

আমাদের সমাজ থেকে ভয় নয়, শ্রদ্ধা হারিয়ে গেছে।
মানুষ এখন শুধু নিজের স্বার্থ দেখে, নিজের সুবিধা বোঝে।
কেউ আর সমাজের জন্য কিছু করতে চায় না।

---

⚔️ মারামারি ও হানাহানির সংস্কৃতি

প্রতিদিন খবর খুললেই দেখি — কোথাও মারামারি, কোথাও খুন, কোথাও রাজনৈতিক সংঘর্ষ।
এ যেন আমাদের সংস্কৃতিরই অংশ হয়ে গেছে!
ছোট্ট তুচ্ছ বিষয় নিয়ে জীবন কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
এটা কেবল অপরাধ নয় — এটা মানবিকতার মৃত্যু।

একটা সময় মানুষ মতের অমিল হলে যুক্তি দিয়ে তর্ক করত, এখন তর্ক মানেই হুমকি।
একটা সময় প্রতিবেশী ছিল আপনজন, এখন সে-ই সন্দেহের চোখে দেখা হয়।
এই সমাজে নিরাপদ থাকা যেন ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে গেছে।

---

💔 পরিবার ভাঙছে, সম্পর্ক মরে যাচ্ছে

যে পরিবার একসময় ছিল শান্তির আশ্রয়, এখন সেখানে ঝড় বয়ে যায়।
বাবা-মা ব্যস্ত টাকা রোজগারে, সন্তান ব্যস্ত মোবাইলে, সবাই ব্যস্ত নিজের জীবনে।
ভালোবাসা, মমতা, শ্রদ্ধা — এসব এখন ছবির মতো হয়ে গেছে।

আমরা সন্তানকে বই দিই, মোবাইল দিই, কিন্তু সময় দিই না।
আমরা বলি “ভালো হও”, কিন্তু দেখাই না কিভাবে ভালো হতে হয়।
এই কারণেই আজকের প্রজন্ম বিভ্রান্ত, একা, অস্থির।

---

💬 কেন আমরা এমন হচ্ছি?

কারণ আমরা “আমি” শব্দে আটকে গেছি।
“আমরা”র জায়গা নেই এখন সমাজে।
আমরা সবাই চাই পরিবর্তন, কিন্তু কেউ নিজেকে বদলাতে চাই না।
সবাই চায় অন্যরা ভালো হোক, কিন্তু নিজে ভালো হতে চায় না।

আমরা সরকারকে দোষ দিই, রাজনীতিকে দোষ দিই, কিন্তু ভুলে যাই —
সমাজ পরিবর্তন শুরু হয় নিজের ভেতর থেকে।

---

🧭 সমাধানের পথ

হ্যাঁ, এই অন্ধকার থেকে বেরোনোর পথ আছে — যদি আমরা সত্যি চাই।

🌱 ১️⃣ শিক্ষায় মানবিকতা ফিরিয়ে আনতে হবে

শিক্ষককে শুধু পাঠদাতা নয়, মানবিকতার শিক্ষক হতে হবে।
শিক্ষার্থীদের শেখাতে হবে — কিভাবে মানুষ হতে হয়, কিভাবে অন্যকে সম্মান করতে হয়।
প্রতি স্কুলে “নৈতিকতা ও আচরণবিধি” বিষয় বাধ্যতামূলক করা উচিত।

🏡 ২️⃣ পরিবারে সময় ও ভালোবাসা দিতে হবে

বাবা-মা’রা যদি সন্তানদের সময় না দেন, তাহলে মোবাইল, টিকটক, বা ইউটিউবই তাদের শিক্ষক হয়ে যাবে।
সন্তানকে শেখাতে হবে ভালো-মন্দের পার্থক্য।
একটা আলিঙ্গন, একটা গল্প, একটা আন্তরিক কথা — এগুলোই সন্তানকে মানুষ করে তোলে।

🤝 ৩️⃣ সামাজিক দায়িত্ব বাড়াতে হবে

আমরা যদি সমাজের সদস্য হিসেবে একটু দায়িত্ব নেই —
যদি প্রতিবেশীর দিকে একবার মমতার চোখে তাকাই,
যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে শান্তভাবে দাঁড়াই,
তাহলে সমাজ বদলাতে সময় লাগবে না।

⚖️ ৪️⃣ আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে

অন্যায় করলে কেউ যেন ছাড় না পায়, আর ভালো কাজ করলে যেন স্বীকৃতি পায় — এই ন্যায্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
রাজনীতি, প্রভাব বা অর্থ যেন ন্যায়বিচারের পথে বাধা না হয়।

☪️ ৫️⃣ ধর্মীয় ও নৈতিক চেতনা জাগ্রত করতে হবে

ধর্ম মানে কেবল আচার নয়, আচরণও।
যদি আমরা ধর্মের মূল শিক্ষা — মানবতা, দয়া, সততা — জীবনে প্রয়োগ করি, তাহলে সমাজ আবারও সুন্দর হবে।

আমাদের এখন দরকার নতুন এক মানসিক বিপ্লব।
যে বিপ্লব অস্ত্রের নয়, ভালোবাসার।
যে বিপ্লব ঘৃণার নয়, মানবতার।

চলুন আমরা নিজেরা শুরু করি —
নিজের পরিবারে, নিজের সন্তানে, নিজের আচরণে।
আজ যদি আমি সৎ হই, কাল আমার সন্তানও সৎ হবে।
আজ যদি আমি কাউকে সম্মান করি, কাল সমাজও আমাকে সম্মান করবে।

আমরা প্রত্যেকে যদি নিজের জায়গা থেকে একটু বদলাই,
তাহলে একদিন পুরো দেশ বদলে যাবে।

বাংলাদেশ কোনোদিন উন্নত হবে না, যদি আমরা শুধু বিল্ডিং, রাস্তা আর ব্রিজ দিয়ে উন্নয়ন মাপি।
একটা দেশ তখনই সত্যিকারের উন্নত হয়,
যখন তার মানুষ নৈতিক, সহমর্মী, দায়িত্বশীল ও শিক্ষিত হয়।

আজ আমরা যদি শিক্ষা, শাসন ও সমাজে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারি —
তাহলে বাংলাদেশ শুধু উন্নত দেশ নয়,
একটা মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে পুরো বিশ্বের কাছে উদাহরণ হয়ে উঠবে।

তাই আজই শুরু করি পরিবর্তন —
নিজের ভেতর থেকে, নিজের পরিবার থেকে, নিজের সমাজ থেকে।
কারণ পরিবর্তন সবসময় “আমার থেকে” শুরু হয়। 🌿

#বাংলাদেশ #শিক্ষা #সমাজ #মানবতা #শৃঙ্খলা #নৈতিকতা #পরিবর্তন

🌸 “মেয়েরা শুধু স্বপ্ন নয়, তারা পরিবার ও সমাজের নীরব ভিত্তি।” 🌸সমাজে একটা কথা আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে আসি —“ছেলেরা বড় হ...
04/10/2025

🌸 “মেয়েরা শুধু স্বপ্ন নয়, তারা পরিবার ও সমাজের নীরব ভিত্তি।” 🌸

সমাজে একটা কথা আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে আসি —
“ছেলেরা বড় হয়ে বাবা–মায়ের দায়িত্ব নেবে, তাদের ভরসা হবে।”
কিন্তু বাস্তব জীবনের পাতা খুলে দেখলে দেখা যায়, অনেক সময় এই কথাগুলো কেবলই প্রথা, কেবলই মুখের বুলি। কারণ, আজকের দিনে অসংখ্য মেয়ে আছে যারা নিজের জীবনের সমস্ত কষ্ট, সীমাবদ্ধতা ও সংগ্রামের মাঝেও বাবা–মায়ের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে — ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, আর ত্যাগের এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে।

আমাদের সমাজে এখনও এমন ধারণা গভীরভাবে বসে আছে যে, মেয়েদের কাজ হলো সংসার সামলানো, আর ছেলেদের কাজ হলো উপার্জন করা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে — আজকের দিনে এই বিভাজন কতটা সত্যি?
অনেক ছেলেই বাবা–মায়ের প্রতি দায়িত্ব ভুলে গিয়ে নিজের পরিবার, নিজের স্বার্থ, এমনকি নিজের আরাম–আয়েশে মগ্ন থাকে। অথচ অনেক মেয়ে, যাদের থেকে সমাজ এত প্রত্যাশা রাখে না, তারাই চুপচাপ বাবা–মায়ের পাশে থেকে জীবনের সমস্ত কঠিন পথ পাড়ি দেয়।

মেয়েরা যেন জন্ম থেকেই শিখে যায় — ভালোবাসা মানে ত্যাগ, দায়িত্ব মানে নীরব সহ্যশক্তি।
বাবা অসুস্থ হলে তারা অফিসের ছুটি নিয়ে পাশে থাকে, মা যদি ক্লান্ত হয় তবে নিজের কাজের পরেও রান্নাঘরে দাঁড়ায়।
ছুটির দিনে বন্ধুরা যেখানে ঘুরতে যায়, সেখানে তারা বাবার ওষুধ কিনে আনতে দৌড়ায়, মায়ের চোখে ঘুম আসছে কিনা তা দেখে তৃপ্ত হয়।

তবুও সমাজের চোখে এই অবদান থাকে অদৃশ্য।
যখন কোনো ছেলে তার বাবা–মায়ের জন্য কিছু করে, সবাই প্রশংসা করে, সংবাদপত্রে খবর হয় — “অমুক ছেলে তার বৃদ্ধ বাবা–মায়ের জন্য নিজের ক্যারিয়ার ছেড়ে দিয়েছে।”
কিন্তু যদি কোনো মেয়ে একই কাজ করে, সেটি সমাজের চোখে “স্বাভাবিক দায়িত্ব” হিসেবে গণ্য হয়।
কেউ বলে না, “এই মেয়েটি কতটা সাহসী, কতটা মায়াবতী।”
কারণ পুরুষ-শাসিত সমাজে মেয়েদের ত্যাগকে স্বাভাবিক ধরা হয় — প্রশংসার যোগ্য নয়।

আজ আমরা এমন এক সময়ে আছি, যেখানে শিক্ষা, কর্মসংস্থান, প্রযুক্তি — সবক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। তবুও মানসিকতার শৃঙ্খল ভাঙা এখনো অনেক কঠিন।
একজন ছেলে নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকলে কেউ বলে না কিছু, কিন্তু একজন মেয়ে যদি নিজের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করে, তখন সমাজ প্রশ্ন তোলে — “বাবা-মায়ের খোঁজ রাখে?”
অথচ ঠিক সেই মেয়েটিই হয়তো প্রতিদিন রাতে বাবার জন্য চিন্তা করে, মায়ের জন্য ওষুধ পাঠায়, নিজের সব কিছু বিসর্জন দিয়ে তাদের মুখে হাসি রাখে।

আমাদের চারপাশে এমন অসংখ্য মেয়েকে দেখা যায় — কেউ শিক্ষক, কেউ ডাক্তার, কেউ দোকান চালায়, কেউ সেলাই করে সংসার টানে।
তাদের প্রত্যেকের পিছনে লুকিয়ে আছে এক একটি গল্প, এক একটি সংগ্রাম।
তাদের চোখে ঘুম কম, কিন্তু ভালোবাসা অনেক বেশি।
তারা হয়তো জানে না "সমাজের নিয়ম" কী, কিন্তু জানে “দায়িত্ব” কাকে বলে।

এই মেয়েরাই আসলে এক এক জন নীরব যোদ্ধা।
তারা কারও কাছ থেকে স্বীকৃতি চায় না, শুধু চায় বাবা–মায়ের মুখে একটুখানি হাসি দেখতে।
তাদের জীবনে স্বপ্ন থাকে, কিন্তু সেই স্বপ্নকে তারা প্রায়ই পাশে সরিয়ে রাখে, যেন বাবা–মা ভালো থাকে।
এমন ভালোবাসার কোনো প্রতিদান হয় না, তবুও তারা প্রতিদিন সেই ভালোবাসা বিলিয়ে দেয় নিঃস্বার্থভাবে।

আমাদের সমাজ যদি সত্যিই অগ্রসর হতে চায়, তাহলে এই নীরব অবদানগুলোকে সম্মান জানাতেই হবে।
বাবা–মায়ের দায়িত্ব পালন কোনো “লিঙ্গভিত্তিক কাজ” নয়।
এটা মানবিক দায়িত্ব — ছেলে বা মেয়ে, যার মধ্যেই মানবতা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আছে, সেই-ই সত্যিকারের সন্তান।

একটা কথা ভাবুন —
যে মেয়ে তার বাবার ওষুধ কিনে আনে, যে রাতে মায়ের পায়ে মালিশ করে, যে নিজের ইচ্ছাগুলো থামিয়ে রাখে তাদের হাসির জন্য, সে কি সমাজের চোখে শুধু “মেয়ে” না কি “সন্তান”?
আমার কাছে উত্তরটা একটাই — সে এক “গর্ব”, এক “প্রেরণা”, এক “আশীর্বাদ।”

আজ প্রয়োজন এমন একটি সমাজ, যেখানে মেয়েদের অবদান চাপা থাকবে না, যেখানে তাদের ত্যাগকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, যেখানে বলা হবে — “তুমি আমাদের গর্ব, কারণ তুমি শুধু কন্যা নও, তুমি একজন পূর্ণ মানুষ।”

🌼
আজ এই লেখাটা তাদের জন্য, যারা নীরবে বাবা–মায়ের হাসির কারণ হয়ে আছে।
যাদের কণ্ঠে নেই অহংকার, কিন্তু হৃদয়ে আছে অসীম শক্তি।
যারা প্রমাণ করেছে — ভালোবাসা মানে কর্তব্য নয়, ভালোবাসা মানে হৃদয়ের সংযোগ।
তাদের জন্য শ্রদ্ধা, তাদের জন্য অভিনন্দন।

কারণ তারা প্রমাণ করেছে —
“মেয়েরা দুর্বল নয়, তারা পরিবারের স্তম্ভ।” 💖





🚨সতর্কতা অবলম্বন করুন।একজন রোগীর কোলোনোস্কোপিতে দেখা গেল তার কোলনে জমে আছে ৩০টিরও বেশি চুইংগাম! এগুলো কোলনের দেয়ালে লেগে...
04/10/2025

🚨সতর্কতা অবলম্বন করুন।
একজন রোগীর কোলোনোস্কোপিতে দেখা গেল তার কোলনে জমে আছে ৩০টিরও বেশি চুইংগাম!
এগুলো কোলনের দেয়ালে লেগে ছিল, এমনকি কিছু চুইংগাম ডাইভার্টিকুলা-এর ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল যেগুলো আর বেরও করা যায়নি।

আমরা অনেকেই মনে করি "চুইংগাম গিলে ফেললে ক্ষতি নেই, হজম হয়ে যাবে!"
কিন্তু আসলেই এটা হজম হয় না। বছরের পর বছর জমে থেকে মারাত্মক সমস্যা তৈরি করতে পারে

কোলন ব্লকেজ

ইনফেকশন

ব্যথা ও রক্তক্ষরণ

অভ্যাসবশত চুইংগাম গিলে ফেলা কোনোভাবেই নিরাপদ নয়।

সচেতন হোন, শিশুদেরও সতর্ক করুন।

স্বাস্থ্য নিয়ে অবহেলা নয়
ফলো করুন, শেয়ার করুন, থাকুন পেইজের সাথেই
Dr-Abdur Rahman

‼️‼️সময়টা ছিল ১৮ মার্চ ১৯৯৯ সাল। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি পাহাড়ি নির্জন জায়গায়, এক যুবক হাইকিং করতে গিয়ে হঠাৎ চোখে ...
01/10/2025

‼️‼️সময়টা ছিল ১৮ মার্চ ১৯৯৯ সাল।
আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি পাহাড়ি নির্জন জায়গায়, এক যুবক হাইকিং করতে গিয়ে হঠাৎ চোখে পড়ে একটি পু*ড়ে যাওয়া গাড়ি। আগুনে ঝলসে যাওয়া সেই গাড়ির ভেতরে ছিল দুটি বিকৃত ও ভয়ানকভাবে পোড়া লা'শ—যাদের চেনার কোনো উপায় ছিল না। ভয়, বিস্ময় আর আতঙ্ক একসঙ্গে জমে ওঠে সেই দৃশ্য দেখে। কিন্তু কেন??

এই কাহিনীটি ৪২ বছর বয়সী 'ক্যারোল সান্ড' নামের এক ভদ্রমহিলাকে কেন্দ্র করে নির্মিত।

সময়টা ১২ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯! ক্যারোল তার মেয়ে জুলি (১৩) এবং মেয়ের বান্ধবী সিলভিনা (১৬) কে নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কে ঘুরতে আসেন। ১৩ ফেব্রুয়ারী জুলির একটি স্কুল প্রতিযোগিতা ছিল সেজন্য তারা একদিন আগে এসেছিলো।

তারা পার্কের কাছেই 'সিডার লজ' নামক একটি হোটেলে উঠেন এবং ঘোরার জন্য একটি লাল রঙের রেন্ট-এ-কার ভাড়া নেন। তাদের পরিকল্পনা ছিল ১৬ ফেব্রুয়ারী গাড়িটি ফেরত দেওয়ার, কিন্তু তারা গাড়ি ফেরত দেননি এবং জুলি প্রতিযোগিতাতেও অংশ নেয়নি।

১৬ ফেব্রুয়ারী বিকেলে, ক্যারোলের স্বামী জেনস যখন সানফ্রান্সিসকো এয়ারপোর্টে তাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তিনি বুঝতে পারেন কিছু একটা ভুল হচ্ছে। এরপর তিনি মিসিং রিপোর্ট করেন।

তারপর পুলিশ, হেলিকপ্টার ও ডগ স্কোয়াড নিয়ে ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কে ৪ দিনব্যাপী তল্লাশি চালায়, পুরো পার্ক তন্নতন্ন করে খোঁজা হয় কিন্তু কোথাও তাদের খোঁজ মিলেনি। সিডার লজ হোটেলে অনুসন্ধান করে পুলিশ জানতে পারে, তারা ১৫ ফেব্রুয়ারী ঘুরতে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি।

১৮ মার্চ, ১৯৯৯ – পার্ক থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে এক যুবক হাইকিং করতে গিয়ে একটি পুড়ে যাওয়া গাড়ি দেখতে পান। গাড়ির ভেতরে ছিল দুটি ভয়ংকরভাবে পোড়া ও বিকৃত লা'শ। গাড়িটি এমন এক উচ্চ এলাকায় ছিল যেখানে সাধারণত গাড়ি পৌঁছানোই অসম্ভব। কেননা গাড়ি চলাচলের জন্য আলাদা কোনো রাস্তা ছিল না।

পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লা'শ দুটি ফরেনসিক টেস্টের জন্য পাঠায়। রিপোর্টে নিশ্চিত হওয়া যায়, লা'শ দুটি হচ্ছে ক্যারোল এবং সিলভিনার। এছাড়া আরও জানা যায়, সিলভিনাকে ধ'র্ষ'ণে'র পর নির্মমভাবে হ'ত্যা করা হয়, এবং ক্যারোলকেও নির্মমভাবে হ'ত্যা করা হয়।

এই ঘটনার কয়েকদিন পর, ২৩ মার্চ, ১৯৯৯, পার্ক থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে 'লং বার্ন রোড' নামের এক দুর্গম বনাঞ্চলে জুলির লা'শ পাওয়া যায়। লা'শ'টি কম্বল দিয়ে মোড়ানো ছিল, দুটি বড় পাথরের মাঝে রাখা। ফরেনসিক রিপোর্ট বলছে, জুলিকে ঘন্টার পর ঘন্টা লাগাতার ধ'র্ষ'ণ করা হয়েছিল, তারপর গলা কে'টে হ'ত্যা করে ফেলে দেওয়া হয়।

এই নৃশংস ঘটনার সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে, সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরে সরকার কেসটি এফবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়।

২২ জুলাই, ১৯৯৯ — আবারও পার্কের ভেতরে গ'লা'কা'টা অবস্থায় ২৬ বছর বয়সী এক মহিলার লা'শ পাওয়া যায়। কিন্তু কেন? একের পর এক লা'শ পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু হ'ত্যা'কা'রী কে তা এখনো অজানা।

আমরা অনেক সময় রাজনীতিকে দোষ দিই। বলি—“এই রাজনৈতিক দল ভোট চুরি করছে”, “ওই দল দুর্নীতি করছে”, “ওরা দেশ নষ্ট করছে।” কথাগুল...
16/09/2025

আমরা অনেক সময় রাজনীতিকে দোষ দিই। বলি—“এই রাজনৈতিক দল ভোট চুরি করছে”, “ওই দল দুর্নীতি করছে”, “ওরা দেশ নষ্ট করছে।” কথাগুলো ভুল না, কিন্তু সত্যিটা আরও গভীরে। ভেবে দেখুন, আসলে সমস্যাটা কি শুধু রাজনীতিবিদদের মধ্যে সীমাবদ্ধ? নাকি সমস্যাটা আমাদের সমাজের প্রতিটি স্তরে, প্রতিটি সাধারণ মানুষের মধ্যেই গেঁথে আছে?

আমাদের দেশে ভোট চুরি, দুর্নীতি, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার—এসব দেখে আমরা খুব ক্ষুব্ধ হই। কিন্তু বাস্তবে আমরা নিজেরাই প্রতিদিন ছোট ছোট অপরাধে জড়িয়ে পড়ছি, আর সেই ছোট অপরাধগুলোই বড় অপরাধকে বৈধতা দিচ্ছে।

আপনি যখন পরীক্ষায় নকল করেন, তখন আসলে আপনি নিজের যোগ্যতার সাথে প্রতারণা করেন।

যখন ট্রাফিক পুলিশকে ২০০ টাকা ঘুষ দিয়ে ছেড়ে দেন, তখন আপনি একধরনের অন্যায়কে বৈধতা দেন।

যখন দোকানে মাপ কম দেন বা বেশি টাকা নেন, তখন আপনি একই প্রকার দুর্নীতির অংশীদার হন।

যখন অন্যায় দেখেও চুপ থাকেন, তখন আপনি অন্যায়কে টিকিয়ে রাখার সহযোগী হন।

তাহলে পার্থক্য কোথায়? একজন রাজনীতিবিদ কোটি টাকার দুর্নীতি করে, আর একজন সাধারণ মানুষ ২০০ টাকার অন্যায় করে। কিন্তু মানসিকতা একই—নিজের স্বার্থকে সবার উপরে রাখা।

আমরা ভাবি, উন্নত দেশগুলো কেবল শক্তিশালী অর্থনীতি, আধুনিক প্রযুক্তি, বা ভালো নেতৃত্ব দিয়ে উন্নত হয়েছে। কিন্তু আসল রহস্যটা হলো—তাদের নাগরিকদের মানসিকতা।

তাদের নাগরিকরা জানে—

লাইন ভাঙা অপরাধ।

মিথ্যা বলা লজ্জার।

কারো প্রাপ্য কেড়ে নেওয়া অনৈতিক।

নিয়ম না মানা মানে পুরো সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্ত করা।

আমাদের দেশে এখনো অনেক মানুষ মনে করে—“চালাকি করে যদি নিজের কাজটা এগিয়ে নেওয়া যায়, তাতে দোষ কি?”
এই একটিমাত্র চিন্তাধারা পুরো জাতিকে পিছিয়ে দিচ্ছে।

আজ ভোট চুরিকে আমরা বড় অপরাধ মনে করছি। কিন্তু এর শেকড় কোথায়? শেকড় হলো আমাদের প্রতিদিনের জীবনে।

ছোটবেলায় বাবা-মা যখন সন্তানকে বলে—“নকল করে পাস করলেও সমস্যা নেই, পাশ করাটাই আসল কথা”—তখন শিশুর মনে মিথ্যা বৈধ হয়ে যায়।

অফিসে যখন দেখি সহকর্মী সময়মতো কাজ না করেও বেতন পাচ্ছে, তখন আমরাও মনে করি—“আমি কেন পুরো মন দিয়ে কাজ করব?”

যখন দেখি বড় লোক কর ফাঁকি দিয়ে ধনী হচ্ছে, তখন মাঝারি আয়ের মানুষও ভাবে—“আমাকেও যদি একটু কর ফাঁকি দিতে হয়, তাতে দোষ কি?”

এভাবেই ছোট অন্যায় থেকে বড় অন্যায় জন্ম নেয়। আর শেষে সেটি গিয়ে মিশে যায় রাষ্ট্র পরিচালনার সাথে।

আমরা যতক্ষণ না নিজেদের পরিবর্তন করছি, ততক্ষণ দেশ পরিবর্তন হবে না।
আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা হঠাৎ করে চাঁদ থেকে আসে না। তারাও এই সমাজ থেকেই জন্ম নেয়। যদি সমাজ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, তবে রাজনীতিও দুর্নীতিগ্রস্ত হবে। যদি সমাজ সৎ হয়, তবে রাজনীতিও সৎ হতে বাধ্য।

প্রশ্ন হলো—আমরা কি পারি নিজেদের বদলাতে? উত্তর হলো—হ্যাঁ, অবশ্যই পারি।
পরিবর্তন শুরু করতে হবে খুব ছোট ছোট জায়গা থেকে।

পরীক্ষায় নকল না করা।

ঘুষ না দেওয়া।

রাস্তায় ময়লা না ফেলা।

ট্রাফিক সিগন্যাল মানা।

লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের পালা অপেক্ষা করা।

অন্যের প্রাপ্য কেড়ে না নেওয়া।

এসব ছোট ছোট কাজ যদি প্রতিটি নাগরিক করতে শুরু করে, তবে সেটাই হবে জাতীয় পরিবর্তনের প্রথম ধাপ।

জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া—এই দেশগুলো একসময় যুদ্ধবিধ্বস্ত ছিল, দারিদ্র্য ছিল, রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল। তবুও তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কিভাবে?
কারণ তারা বুঝতে পেরেছে—উন্নতি শুধু সরকারের হাতে নয়, বরং প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্বে লুকিয়ে আছে।

তারা শিক্ষা, নৈতিকতা, শৃঙ্খলা, আর সততাকে সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে বেছে নিয়েছে। আর তার ফলেই তারা এখন বিশ্বের সামনে অনুকরণীয় উদাহরণ।

আমাদেরও সেই পথ বেছে নিতে হবে। সরকার পরিবর্তন হতে পারে, দল পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু যদি আমাদের মানসিকতা একই থাকে—“চালাকি করে কাজ আদায় করতে হবে”—তাহলে শত বছর পরও আমরা একই জায়গায় রয়ে যাব।

সত্যিকার পরিবর্তন শুরু হবে যখন—

আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে না ভয় পেয়ে দাঁড়াবো।

আমরা নিজের সন্তানকে সৎ হতে শেখাবো।

আমরা ছোট ছোট নিয়ম মানাকে গুরুত্ব দেবো।

আমরা বুঝবো—দেশ মানে শুধু সরকার নয়, দেশ মানে আমি, আপনি, আমরা সবাই।

আজ আমরা ভোট চুরির জন্য রাজনীতিবিদদের দোষ দিচ্ছি। কিন্তু আগামীকাল যদি আমাদের হাতে ক্ষমতা আসে, আমরা কি সৎ থাকব?
যদি সৎ থাকতে না পারি, তবে আজকের অভিযোগগুলো শুধু ভণ্ডামি।

তাই এখন সময় এসেছে নিজের ভেতরের মানুষটাকে প্রশ্ন করার—
👉 “আমি কি সত্যিই সৎ?”
👉 “আমি কি অন্যের প্রাপ্য কেড়ে নিচ্ছি না?”
👉 “আমি কি দেশের জন্য ভালো উদাহরণ হতে পারছি?”

দেশকে ভালোবাসা মানে শুধু পতাকা নাড়া বা স্লোগান দেয়া নয়। দেশকে ভালোবাসা মানে নিজের ভেতরের অন্যায়কে পরাজিত করা।


⛔ সতর্কতামূলক পোস্ট ⛔অবশ্যই কাউকে ব্লাডের জন্য কল দেওয়ার আগে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখবেন,সেটা কি? ১- অবশ্যই ডোনারের যাতায়া...
10/09/2025

⛔ সতর্কতামূলক পোস্ট ⛔

অবশ্যই কাউকে ব্লাডের জন্য কল দেওয়ার আগে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখবেন,সেটা কি?

১- অবশ্যই ডোনারের যাতায়াত খরচ
২- যে বেলায় ব্লাড দিবে ঐ বেলার খাওয়ার খরচ দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
৩- অবশ্যই ডাব, স্যালাইন পানি, কিছু ফলমূল কিনে দেওয়ার খরচ দেয়াটা কমনসেন্সের ব্যাপার এবং পরবর্তী ২৪ ঘন্টা ডোনারের খোঁজ খবর রাখবেন পারলে ।
যদি পারলে কোন এক সময় বাসায় দাওয়াত দিবেন ।

অনেকে ভালবাসা নিয়ে আসে ব্লাড দিতে, কিন্তু পরবর্তী ব্যবহারে মন খারাপ করে ফেলে অনেক, যারা ব্লাড দেয় তারা বেশিরভাগই স্টুডেন্ট হয়ে থাকে, মেসে থেকে পড়াশুনা করে তারা। তারা প্রতিনিয়ত ব্লাড দেয় এভাবে । হয়তো পরের দিন এক্সাম, তবুও ব্লাড দেয় এভাবে । অনেক সময় প্রয়োজনীয় খাদ্য ইনটেক করার মত সুযোগ কিংবা সামর্থ্য থাকে না অনেকেরই ।

কিন্তু রোগীর রিলেটিভদের ব্যবহার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিবেকহীনতার পরিচয় দেন অনেকে । নামীদামী হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারেন,একদিনে ৩/৪ হাজার টাকা করে কেবিন ভাড়া দিতে পারেন। কিন্তু যে মানুষটা তার সবথেকে মূল্যবান জিনিস দিয়ে আপনাকে হেল্প করছে,তার কদর করবেন না, তা হতে পারেনা।

যে দেশে ২৫০মিলি গ্রাম পানির বোতল কিনে খেতে হয়,সে দেশে বিনা টাকায় ৪৫০ মিলি গ্রাম রক্ত দাতাকে সম্মান করা আপনার কর্তব্য।



একদিন একজন ইহুদির লা*শ যাওয়ার সময় রাসুল (দঃ) বসা থেকে দাঁড়ালেন। সাহাবীরা বললেন ইয়া রাসুলুল্লাহ  (সঃ) এটা একটা ইহুদির লা...
09/09/2025

একদিন একজন ইহুদির লা*শ যাওয়ার সময় রাসুল (দঃ) বসা থেকে দাঁড়ালেন। সাহাবীরা বললেন ইয়া রাসুলুল্লাহ (সঃ) এটা একটা ইহুদির লা*শ।

উত্তরে রাসুল (দঃ) বলেছেন সে একজন আদম সন্তান,মানুষ ছিল, দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে তার সাথে আর কোন দুশমনি নাই..!

রাসুলুল্লাহ (দঃ) আরো বলেন:
"তোমরা শত্রুর লা*শ বিকৃত করো না এবং তাদেরকে আগুন দিয়ে শাস্তি দিও না। কারণ আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়ার অধিকার কেবল আল্লাহর।"
— (সহীহ বুখারী, হাদীস: 3016; আবু দাউদ: 2675)

এটাই হচ্ছে একজন মুসলমানের চরিত্র..?
-যারা রাসূল (দঃ) হাদিসের বিপরীত চলে
তারা নিশ্চয়ই আবু জাহেলের অন্তর্ভুক্ত,,
আল্লাহ পাক সবাই বুজার তাওফিক দান করুক আমিন


একজন মানুষকে মে*রে ফেলা হলো—নির্মমভাবে, সবার সামনে। অথচ কেউ এগিয়ে এলো না। কেউ এক পা-ও বাড়াল না, কেউ বলল না ‘থামো!’চারপাশ...
11/07/2025

একজন মানুষকে মে*রে ফেলা হলো—নির্মমভাবে, সবার সামনে। অথচ কেউ এগিয়ে এলো না। কেউ এক পা-ও বাড়াল না, কেউ বলল না ‘থামো!’

চারপাশে লোক ছিল। কেউ দাঁড়িয়ে দেখেছে, কেউ মোবাইল বের করেছে ভিডিও করার জন্য, কেউ মুখ ঘুরিয়ে চলে গেছে। যে সংখ্যাটা একজন মানুষ ছিল, সেটা দুই, তিন বা তার চেয়ে বেশি—২০/২২ জন। তারা সবাই মিলে চাইলে জীবনটা হয়তো বাঁচাতে পারতো। কিন্তু না, কেউ এগোল না।

প্রশ্ন জাগে—আমরা এত ভীরু কেন? কিসের এত ভয়?
পুলিশে জড়ানো? বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা? নিজের ক্ষতির আশঙ্কা?
নাকি আমরা সত্যিই একেকটা দাসে পরিণত হয়েছি—ভয় আর স্বার্থের শিকলে বাঁধা?

একটা সময় ছিল, যখন অন্যায়ের প্রতিবাদে মানুষ প্রাণ দিতো। আজ আমরা প্রাণ না দিয়ে শুধু চুপ করে থাকি। আমরা শিখে গেছি—"যতক্ষণ নিজের গায়ে না লাগে, ততক্ষণ চুপ থাকা ভালো।" এই চুপ থাকাই আমাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে—একেকজন করে, ধীরে ধীরে।

আমরা এখন এমন একটা সমাজে বাস করি, যেখানে একজন মানুষকে প্রকাশ্যে হ*ত্যা করা হলে আশপাশের মানুষ সরে দাঁড়ায়।
এটা কেবল ভয় নয়—এটা অবজ্ঞা, অমানবিকতা আর মনুষ্যত্ব হারানোর চূড়ান্ত উদাহরণ।

আমরা এখন এমন একটা মানসিক বন্দিশালায় বাস করছি, যেখানে মানুষ দেখে দেখে চোখ বুজে ফেলে।
যেখানে একটি জীবনের মূল্য নেই—একটি আওয়াজ, একটি হাত বাড়ানো যেন দোষের বিষয়!
যেখানে নিজের নিরাপত্তার অজুহাতে অন্যের মৃ*ত্যু মেনে নেওয়াকে “বুদ্ধিমানের কাজ” ধরা হয়।

এই কি আমাদের সমাজ? এই কি আমাদের মানুষ হওয়া?

তবে ভাবতে হয়, এই ভয় আমরা কোথা থেকে পেলাম?
আমাদের জন্ম থেকেই কি আমরা দাস ছিলাম?
নাকি সিস্টেম আমাদের দাস বানিয়েছে?
আমাদের পরিবার, শিক্ষা, ধর্ম, রাষ্ট্র—সবাই কি আমাদের শেখায়নি শুধু চুপ থেকে নিজেরটা বাঁচাও?

আমরা স্বাধীন দেশে বাস করি—কাগজে-কলমে।
কিন্তু মানসিকভাবে আমরা এখনো দাস।
আমরা এখনো একেকজন করে নিজের ঘরের মধ্যে আটকে থাকি, অন্যের কষ্ট-অন্যায়ের দিকে পিঠ ফিরিয়ে থাকি।
মানুষ মরছে, নারী নিগৃহীত হচ্ছে, শিশু নির্যাতিত হচ্ছে, বৃদ্ধ লাঞ্ছিত হচ্ছে—আর আমরা বলি, "আল্লাহ দেখছেন", "নিজের ঝামেলায় যাই না জড়াই।"

আচ্ছা, যদি কালকে তোমার ভাই হতো ওই মানুষটা? যদি ওই মানুষরা তোমার বোনকে মারতো? যদি ওইখানে তুমি থাকতে?

তখনও কি তুমি চুপ থাকতে?

আজ না হয় তুমি চুপ ছিলে—কাল হয়তো কেউ তোমার জন্যও চুপ থাকবে।

এভাবেই একেকজন করে আমরা মরব।
কারণ আমাদের সমাজের সবচেয়ে বড় ব্যাধি হলো "অন্যায়ের বিরুদ্ধে একা না দাঁড়ানো"।

আমরা ভয় পাই—কারণ আমরা একা।
আর আমরা একা থাকি—কারণ আমরা কেউ কারো পাশে দাঁড়াই না।

তাই এখন সময়—ঘুম ভাঙানোর।
সময় এসেছে ভয়ের দেয়াল ভাঙার।
সময় এসেছে প্রতিবাদ করার, সাহসী হবার।
নাহলে এই সমাজ একদিন এমন হবে, যেখানে কেউ কারো জন্য কান্নাও করবে না।

একজন মানুষ যখন আরেকজন মানুষকে রক্ষা করতে চায় না, তখন সে আর মানুষ থাকে না।

এই সমাজকে আবার মানুষময় করতে হবে।
সাহসিকতা, বিবেক আর ভালোবাসায় গড়া সমাজই পারে এমন ভয়ঙ্কর নীরবতা থেকে আমাদের উদ্ধার করতে।
প্রতিটি মানুষ যেন আরেকজনের জন্য দাঁড়াতে পারে—এই হোক আজকের শপথ।

ভয় নয়, প্রতিবাদ হোক আমাদের নতুন পরিচয়।

#মানুষ_হও #ভয়েরশিকল_ভাঙো #প্রতিবাদকরো #অন্যায়ের_বিরুদ্ধে_একহই

করোনা কি আবার ফিরে আসছে? 🤔অনেকেই বলছেন, এটা নাকি গুজব।আবার কেউ কেউ বলছেন, নাহ, এটা সত্যি।তাহলে প্রশ্ন উঠছে – আমরা কি আবা...
18/06/2025

করোনা কি আবার ফিরে আসছে? 🤔
অনেকেই বলছেন, এটা নাকি গুজব।
আবার কেউ কেউ বলছেন, নাহ, এটা সত্যি।
তাহলে প্রশ্ন উঠছে – আমরা কি আবার সেই ভয়ঙ্কর দিনের দিকে যাচ্ছি? 😟

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো আগের মতো মারাত্মক না হলেও খুব দ্রুত ছড়ায়।
মানে আপনি বুঝে উঠার আগেই চারদিকে ছড়িয়ে যেতে পারে।
আর আমরা জানি, বাংলাদেশে একবার কিছু ছড়ালে কিভাবে হু হু করে বাড়ে!

২০২০-২০২১ সালে করোনা আমাদের জীবনকে যেভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল, সেটা ছিল ভয়াবহ। চারদিকে মৃত্যুর মিছিল, লকডাউনের কালো ছায়া, অর্থনৈতিক মন্দা, স্কুল-কলেজ বন্ধ, চাকরি হারানো, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা—সব মিলিয়ে একটা দুঃস্বপ্ন। তাই এই খবর যদি সত্যি হয় যে করোনা আবার ফিরে আসছে, তাহলে আমাদের অবশ্যই সতর্ক হতে হবে, সচেতন হতে হবে।

সম্প্রতি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, কিছু দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট (যেমন KP.2, FLiRT ভ্যারিয়েন্ট) ছড়াতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারতসহ কিছু দেশে হালকা মাত্রার সংক্রমণ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। যদিও আগের মতো ব্যাপক মৃত্যু বা হাসপাতাল ভর্তি হচ্ছে না, তবুও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাস বারবার রূপ পরিবর্তন করছে, যার ফলে নতুন করে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও কিছু জায়গায় সর্দি-কাশি-জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে, যা অনেকটা করোনার প্রাথমিক লক্ষণের মতো। এখনই আতঙ্কিত হবার কিছু নেই, তবে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।

করোনা ভাইরাসের প্রকৃত স্বভাবই হচ্ছে এটি মিউটেশন বা রূপ পরিবর্তন করতে পারে। এর আগেও আমরা দেখেছি, আলফা, বিটা, ডেলটা, ওমিক্রন—প্রতিটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট ভিন্নরকম বৈশিষ্ট্য নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে কিছু ভ্যারিয়েন্ট খুবই সংক্রামক, আবার কিছু তুলনামূলক কম বিপজ্জনক। এখন যে নতুন ভ্যারিয়েন্টের কথা বলা হচ্ছে, তা নাকি আগের চেয়ে দ্রুত ছড়াতে পারে, তবে গুরুতর অসুস্থতার হার কম। এই ধরনের ভাইরাস সাধারণত দীর্ঘদিন ধরেই মানুষের মধ্যে থাকতে পারে এবং মাঝে মাঝে জ্বর-সর্দির মতো হালকা উপসর্গ সৃষ্টি করে।

একটা বড় অংশের মানুষ ভাবছে, “আরে, আর কিসের করোনা! এখন তো সবই স্বাভাবিক!” আবার কেউ কেউ বলছেন, “আমরা তো টিকা নিয়েছি, সমস্যা হবে না।” এধরনের আত্মতুষ্টি আমাদের আবার ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। কারণ টিকা নেওয়া মানেই আপনি ১০০% সুরক্ষিত—তা নয়। বরং আপনি সংক্রমণ হলেও মারাত্মক অসুস্থতা থেকে কিছুটা সুরক্ষিত থাকতে পারেন, কিন্তু অন্যদের ছড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

কি করা উচিত এখন?

আমরা যদি চাই আগের মত ভয়াবহ পরিস্থিতি আবার না আসে, তাহলে এখনই কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে:

1. সচেতন হোন: নিজে জানুন, অন্যকেও জানান। মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়ায় যে খবর আসে, সেটি যাচাই করে বিশ্বাস করুন।

2. হালকা উপসর্গ দেখা দিলে টেস্ট করুন: হালকা সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা বা জ্বর হলে অবহেলা করবেন না। করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিন।

3. মাস্ক পরুন জনবহুল স্থানে: আবার পুরনো অভ্যাসটা ফিরিয়ে আনুন। বাস, বাজার, হাসপাতাল—এসব জায়গায় গেলে মাস্ক পরুন।

4. হাত ধোয়া ও জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন: নিয়মিত সাবান-পানিতে হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার চালিয়ে যান।

5. বুস্টার ডোজ নিন: যারা এখনো বুস্টার ডোজ নেননি, তারা নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।

6. অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন: অন্যদের রক্ষা করার জন্য নিজের দায়িত্ব পালন করুন। স্কুল, অফিসে অসুস্থ অবস্থায় না যান।

আমরা কি ভুলে গেছি আগের দিনগুলোর কথা?
স্কুল-কলেজ বন্ধ, রাস্তাঘাট ফাঁকা, চাকরি হারানো, প্রিয়জনকে হারানো...
সেই দুঃস্বপ্ন যেন আবার ফিরে না আসে – সেটাই আমাদের এখন লক্ষ্য হওয়া উচিত। 😔

অনেকে বলছেন, “টিকা তো নিয়েছি!”
হ্যাঁ, টিকা নেওয়া ভালো, কিন্তু টিকা মানেই আপনি ১০০% নিরাপদ – তা নয়।
আপনি আক্রান্ত হলেও হয়তো তেমন অসুস্থ হবেন না, কিন্তু অন্যকে সংক্রমিত করে দিতে পারেন।

এই সাবধানতাগুলো আমাদের নিজেদের জন্য, আমাদের পরিবার ও সমাজের জন্য।
ভাইরাস কখনো কাউকে বলে আসে না।
আমরাই যদি সচেতন না হই, তাহলে ক্ষতিটা আমাদেরই হবে। 😷

অনেকেই বলবেন, “আরে আর কিসের করোনা!”
এই আত্মতুষ্টি ভয়ংকর!
আজ যারা হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন, কাল তাদেরও হাসপাতালে ছুটতে হতে পারে।
তাই আগে থেকে সতর্ক থাকলেই ভালো।

করোনা এখন ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো হয়ে যেতে পারে, মাঝে মাঝে আসবে।
তবে আমরা যদি আগে থেকেই প্রস্তুত থাকি, তাহলে ক্ষয়ক্ষতি কম হবে।

করোনার চেয়েও বিপজ্জনক হচ্ছে অবহেলা।
জীবন একটাই, সেটা নিয়ে খেলবেন না।

আসুন, সবাই আবার একসাথে হই।
নিজে সচেতন হই, অন্যকেও সচেতন করি।
একটা মাস্ক, একবার সাবধানতা – হয়তো বাঁচাতে পারে একটি প্রাণ! ❤️

ভয় নয়, সচেতনতা হোক আমাদের শক্তি।
করোনা এসেছে, আসবেও – কিন্তু আমরা প্রস্তুত থাকলে কিছুই করতে পারবে না।

#করোনা #সচেতনতা

--

10/04/2025

মানুষজন চেঞ্জ হবে'ই! খা'রাপ সময় আসবেই দুনিয়া
অশান্তির মনে হবেই তবুও ভেঙ্গে পড়া যাবে না। খারাপ সময়ের মতো ভালো সময় ও আসে! সবই মেনে নিতে হবে! জীবন ভয়ংকর রকমের সুন্দর!🖤

08/04/2025

Hum 😊😌

08/04/2025

Hum.🤍😌

Address

Feni
3900

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Actual Needs posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Actual Needs:

Share