স্বামী ও স্ত্রীর আদর্শ জীবন

  • Home
  • Bangladesh
  • Feni
  • স্বামী ও স্ত্রীর আদর্শ জীবন

স্বামী ও স্ত্রীর আদর্শ জীবন আল্লাহর দ্বীন সঠিকভাবে প্রচার করাই এ পেইজের মূল উদ্দেশ্য

17/07/2025
16/07/2025

বিবাহের ক্ষেত্রে দ্বীনদার পাত্র চেনার বাহ্যিক কিছু বৈশিষ্ট্য :

✅ টাখনুর উপরে প্যান্ট পরা।

✅ এক মুষ্টি বা তার অধিক দাড়ি রাখা।

✅ মাহরাম-নন মাহরামের সীমারেখা মেনে চলা।
যেমন: ভাবী বা কাজিনদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ বা মেলামেশার ধরন কেমন, তা খোঁজ নেওয়া।

✅ ইনকামের উৎস পুরোপুরি হালাল হওয়া।

✅ তাকে চিনে জানে, এমন ভালো দ্বীনদার কারো কাছ থেকে খোঁজখবর নেওয়া।

✅ ভালোভাবে খোঁজ নিলে প্রকাশ্যে পাপ করে কিনা, আল্লাহর আদেশ-নিষেধ লঙ্ঘন করে কিনা তা যাচাই করা।

✅ কথা ও কাজ বিচক্ষণতার সাথে খেয়াল করলে তার দ্বীনদারিত্ব প্রকাশ পাবে।

✅ আচার-ব্যবহার নরম কিনা, নাকি কঠোর স্বভাবের সেটাও খেয়াল করা।

বিয়ের আগে অনেক বেশি যাচাই-বাছাই করা, ইস্তেখারা করা এবং আল্লাহর কাছে অনেক বেশি দোয়া করা দ্বীনদার স্বামীর জন্য।

রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘‘তোমরা যে ছেলের দ্বীনদারি ও চরিত্রের ব্যাপারে সন্তুষ্ট হতে পারবে, সে যদি প্রস্তাব দেয়, তাহলে তার কাছে (তোমাদের মেয়েকে) বিয়ে দিয়ে দাও। যদি তা না করো, তবে পৃথিবীতে মহাবিপর্যয় সৃষ্টি হবে।’’ সাহাবীগণ বলেন, ‘যদি তার মাঝে কিছু ত্রুটি থাকে?’ নবীজি তখন আগের কথারই পুনরাবৃত্তি করেন।

(ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ১০৮৫; হাদিসটি হাসান সহিহ)

©

15/07/2025

🔊 স্ত্রী যদি নিজের নগ্ন ছবি স্বামীকে প্রবাসে পাঠায়—এর বিধান কী? ⛔

📝 এ ব্যাপারে শাইখ সালেহ আল-ফাওযানের একটি বক্তব্য তাঁর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এসেছে, তাতে উপরের প্রশ্নের উত্তর এভাবে দেওয়া হয়েছে যে:

নারীদের ছবি তোলা সম্পূর্ণভাবে হারাম, কারণ এর মাধ্যমে বহু ফিতনা ও অনিষ্টের সৃষ্টি হয়, এর সাথে সাথে ছবির হুকুম মৌলিকভাবেও হারাম। তাই ভ্রমণের জন্য হোক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হোক, নারীদের ছবি তোলা বৈধ নয়।

সৌদি আরবের “হাইয়াতু কিবারিল উলামা”-ও এ বিষয়ে হারামের ফতওয়া দিয়েছেন।
সুতরাং

❌ স্বামী, স্ত্রী হওয়ার অজুহাতে স্ত্রীর নগ্ন ছবি তুলতে পারবে না। এই জঘন্য কাজ স্ত্রীর সাথে বৈধ সম্পর্ক থাকলেও হালাল হয়ে যায় না।

🟥 প্রবাসে স্ত্রীর অনুপস্থিতি এটিকে বৈধ করে না, বরং নারীদের ছবি তোলাই মূলত নিষিদ্ধ।
তাছাড়া,

🔻 স্ত্রীর নগ্ন বা অর্ধনগ্ন ছবি সংরক্ষণ করলে যা যা ক্ষতি হতে পারে:

1⃣ ছবিগুলো চুরি হয়ে যেতে পারে, হারিয়ে যেতে পারে, বা অসতর্কতাবশত কোথাও ফেলে রাখা হতে পারে—এর ফলে সেই ছবি অন্যদের হাতে পড়ে সমাজে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং নানা অনৈতিক কাজে ব্যবহৃত হতে পারে।

2⃣ যদি পরে তাদের তালাক হয়ে যায়, তাহলে সেই নারী স্বামীর জন্য পরপুরুষে পরিণত হবে—তখন তার নগ্ন ছবি রাখা বা দেখা সম্পূর্ণ হারাম হবে।

3⃣ স্বামীই হয়তো পরে সেই ছবি দিয়ে স্ত্রীর উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যেমন: অর্থিক পাওনা ছেড়ে দিতে বলা, কিংবা অবৈধ চাহিদা পূরণ করতে বাধ্য করা ইত্যাদি। বাস্তবে এমন বহু কাহিনী ঘটেছে যেখানে স্বামী স্ত্রীর ছবি দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করেছে।

4⃣ স্ত্রীর নগ্ন ছবি দেখলে তা যৌন উত্তেজনা কমানোর বদলে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে স্বামী হস্তমৈথুন, ব্যভিচার বা সমকামিতার মতো পাপ কাজে লিপ্ত হয়ে পড়তে পারে – আল্লাহর কাছে পানাহ চাই!

🚫 অতএব, স্ত্রীর নগ্ন ছবি তোলা বা রাখা কোনো অজুহাতে বৈধ নয়, বরং এটি স্পষ্টভাবে হারাম এবং বহু অনিষ্ট ও ফিতনার দরজা খুলে দেয়।

⛔ একজন স্বামীর উচিত স্ত্রীকে ঢেকে রাখা, নগ্ন করা নয়। কারণ আল্লাহ বলেন: “তারা তোমাদের জন্য পোশাক, আর তোমরা তাদের জন্য পোশাক।”📖 [সূরা আল-বাকারা: ১৮৭]

🔻 স্বামীর উচিত পরিবার থেকে দীর্ঘ সময় বিচ্ছিন্ন না থাকা, বরং নিজের ইফফাহ-চরিত্র রক্ষা ও পরিবারের দায়িত্ব পালনের জন্য যত দ্রুত সম্ভব পরিবারের কাছে ফিরে আসা।

📌 যদি দূরে থাকাটাই আবশ্যক হয় এবং স্ত্রী এতে রাজি থাকে, তাহলে স্বামীর অবশ্যই:

•নারীদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা,
•হারাম দৃষ্টির থেকে বাঁচা,
•একাকিত্ব ও হারাম পরিবেশ থেকে দূরে থাকা,
•বেশি বেশি নেক আমল করা (বিশেষত রোযা রাখা), এবং
•সৎ সঙ্গীদের সাথে থাকা জরুরি।

🕊️ আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের সকলকে তাঁর নিজের সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করেন এবং সকল প্রকার ফিতনা থেকে হেফাজত করেন।🤲

~~~শায়খ আবু বকর মোহাম্মদ জাকারিয়া হাফিঃ এর টাইমলাইন থেকে নেয়া।

স্ত্রী মোটেও জাতীয় সম্পদ নয়, যে আপনি সবাইকে দেখিয়ে বেড়াবেন , স্ত্রী একান্তই আপনার ব্যক্তিগত সম্পদ, যা ঢেকে রাখতে হয়, যা ...
07/07/2025

স্ত্রী মোটেও জাতীয় সম্পদ নয়, যে আপনি সবাইকে দেখিয়ে বেড়াবেন , স্ত্রী একান্তই আপনার ব্যক্তিগত সম্পদ, যা ঢেকে রাখতে হয়, যা হীরা মনি মুক্তার চেয়েও দামী, নেককার স্ত্রী দুনিয়াতে আল্লাহর দেওয়া সবচেয়ে বড় নেয়ামতের একটি। স্ত্রীকে পূর্ণ পর্দার মধ্যে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব আপনার। এটি আল্লাহর বিধান আর নারীর জন্য এতেই রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতের সার্বিক কল্যাণ ও নিরাপত্তা।

🎙️Ustad Jamal Bin Idrish

যেসব গৃহবধূ তাদের পরিবারের জন্য অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে থাকেন ইসলামের দৃষ্টিতে তাদের মর্যাদা ও প্রতিদানপ্রশ্ন: আমার শ্বশ...
05/07/2025

যেসব গৃহবধূ তাদের পরিবারের জন্য অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে থাকেন ইসলামের দৃষ্টিতে তাদের মর্যাদা ও প্রতিদান

প্রশ্ন: আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষের কাজ একদমই অগোছালো। প্রতিদিনই এসব বাড়তি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে করতে বিরক্ত হয়ে যাই। প্রশ্ন হলো, এই যে আমি চুপচাপ পরিশ্রম করে যাই এটা কি এক প্রকার ধৈর্য বিবেচিত হবে? এতে কি আমি সওয়াব পাবো?

উত্তর:
আমাদের সমাজের অধিকাংশ গৃহবধূকে তাদের স্বামী সংসারে প্রচুর কষ্ট ও পরিশ্রম করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে তারা নিজেরা বঞ্চিত হলেও অকাতরে তাদের আরাম-আয়েশ বিসর্জন দিয়ে স্বামী সন্তান এবং পরিবারকে ভালো রাখার জন্য হাসিমুখে সব কষ্ট মেনে নেয়। কিন্তু তারা অনেকে জানেই না, ইসলামে এ জন্য তাদের কী মর্যাদা রয়েছে এবং এ মর্যাদা লাভের শর্ত কী?

তাই নিম্নে এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিকোণ উপস্থাপন করা হলো:

▪️১. সদকার সওয়াব:

মানুষের সেবা করা বা উপকার করা নিঃসন্দেহে 'ভালো কাজ'। আর প্রতিটি ভালো কাজেই সদকার সওয়াব রয়েছে ইনশাআল্লাহ।

✪ রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

كلُّ معروفٍ صدقةٌ وإن من المعروفِ أن تَلْقَى أخاك بوجهٍ طَلْقٍ وأن تُفْرِغَ من دَلْوِكَ في إناءِ أَخِيك

"প্রত্যেক ভালো কাজই সদকা (দান)। আর ভালো কাজের মধ্যেই এটাও পড়ে যে, তুমি তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করবে এবং তোমার বালতির (অতিরিক্ত) পানি তোমার ভাইয়ের পাত্রে ঢেলে দেবে।"
[সহিহ বুখারি, হা/ ৬০২১]

✪ রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন,

لا تحْقِرَنَّ من المعرُوفِ شيْئًا ، ولوْ أنْ تلْقَى أخاكَ بوجْهٍ طلْقٍ

"সৎকর্মকে কখনোই তুচ্ছ মনে করো না, যদিও তা তোমার ভাইকে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাই হয়।" [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬২৬]

এখানে হাদিসগুলোর মূল বক্তব্য হলো, শুধু অর্থ সাহায্য করাই সদকা নয় বরং প্রতিটি ভালো কাজ, যেমন—কারো সাথে হাসিমুখে কথা বলা, অন্যের প্রয়োজনে সামান্য হলেও সাহায্য-সহযোগিতা করা সদকার অন্তর্ভুক্ত।

সে হিসেবে একজন গৃহবধূ তার স্বামী, সন্তান, শ্বশুর-শাশুড়ি বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের যত উপকার করবে প্রতিটি কাজের বিনিময়ে সে সদকার সওয়াব পাবে ইনশাআল্লাহ।

❑ শর্তাবলী:

এই সওয়াব লাভের শর্ত হল, তারা অবশ্যই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করবে এবং আল্লাহর নিকট এর প্রতিদানের নিয়ত করবে। আর উপকার করে কখনো কাউকে খোটা দেবে না। কেননা খোটা দিলে উক্ত সৎ কর্মের সওয়াব নষ্ট হয়ে যায়।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُبْطِلُوا صَدَقَاتِكُم بِالْمَنِّ وَالْأَذَىٰ

"হে ইমানদারগণ! তোমরা তোমাদের সদকাসমূহ বরবাদ করে দিও না উপকারের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া (খোটা দেওয়া) ও কষ্ট দেওয়ার মাধ্যমে।” [সূরা বাকারা: ২৬৪]
পাশাপাশি, যথাসময়ে সালাত আদায়, নন মাহরামদের সামনে পর্দা রক্ষা ইত্যাদি ইসলামের মৌলিক বিধানগুলো ঠিক রাখা আবশ্যক। কেউ যদি এই সকল অপরিহার্য বিধান লঙ্ঘন করে পরিবারের সেবায় লিপ্ত থাকে তাহলে তার এই সওয়াব পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং ফরজ বিধান লঙ্ঘণ করার অপরাধে সে পাপীষ্ঠ বলে গণ্য হবে।

▪️২. ইসলামের দৃষ্টিতে উপকার কারী মানুষই সেরা:

হাদিসে ওই ব্যক্তিকে "উত্তম বা সেরা মানুষ" বলা হয়েছে যে, অধিক পরিমাণে মানুষের উপকার করে।

✪ সাহাবি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

"خيرُ الناسِ أنفعُهم للناسِ"

"সর্বোত্তম মানুষ সে-ই, যে মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকার কারী।" [শাইখ আলবানি এটিকে হাসান বলেছেন। সহিহুল জামে, হা/ ৩২৮৯]

আরও বহু হাদিসে মানুষের উপকারের ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে।

▪️ ৩. মানুষের ভালোবাসা অর্জনের পাশাপাশি আল্লাহর বিশেষ প্রতিদান:

মানুষের সেবা করা বা তাদের উপকার করা তাদের ভালোবাসা অর্জনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কেননা সাধারণভাবে মানুষ তাকে ভালোবাসে যে তার উপকার করে। যদিও আমাদের সমাজে উপকারের উপকার স্বীকার করা বা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায়ের মনোভাব নিতান্তই কম। কিন্তু অকৃতজ্ঞ মানুষ উপকার কারীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলেও মহান আল্লাহ অবশ্যই তাকে আখিরাতে প্রতিদান দান করবেন ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

هَلْ جَزَاءُ الْإِحْسَانِ إِلَّا الْإِحْسَانُ

"উপকারের প্রতিদান কি উপকার ছাড়া আর কিছু হতে পারে?" [ সূরা রহমান: ৬০]

▪️ ৪. উত্তম চরিত্র:

আমরা আরও জানি, বিপদ-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সাথে সুন্দর ভাষায় ও হাসিমুখে কথা বলা, মানুষের সাথে ভালো আচরণ করা এবং তাদেরকে প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা করা, তাদেরকে খুশি রাখা ইত্যাদি সামাজিকভাবে যেমন প্রশংসনীয় বিষয় তেমনি ইসলামের দৃষ্টিতেও উত্তম চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।

তার হাদিসে উত্তম চরিত্রের বিশাল ফজিলতের কথা উল্লেখিত হয়েছে। যেমন:

আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

إِنَّ مِنْ أَحَبِّكُمْ إِلَيَّ، وَأَقْرَبِكُمْ مِنِّي مَجْلِسًا يَوْمَ القِيَامَةِ، أَحَاسِنَكُمْ أَخْلَاقًا

“তোমাদের মধ্যে আমার নিকট সর্বাধিক প্রিয় এবং কিয়ামতের দিন আমার কাছে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হবে সেই ব্যক্তি, যার চরিত্র হবে উত্তম।” [তিরমিজি, হাদিস: ২০১৮ | সহিহ]

▪️ ৫. এটি নিঃসন্দেহে মহৎ হৃদয়ের অধিকারী, ধৈর্যশীল এবং পরোপকারী মানুষের চরিত্র। ইসলামে এগুলো প্রতিটি অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ বিষয়।

তাই আমাদের সমাজের গৃহবধূরা যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আন্তরিকভাবে তাদের স্বামী، সন্তান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের যথাসাধ্য সেবা-শুশ্রূষা করে তাহলে তারা এর দ্বারা দুনিয়া অবারিত কল্যাণ এবং আখিরাতে পর্যাপ্ত সওয়াব অর্জন করতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহু তৌফিক দানকারী।

যেসব গৃহবধূ তাদের পরিবারের জন্য অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে থাকেন ইসলামের দৃষ্টিতে তাদের মর্যাদা ও প্রতিদান

প্রশ্ন: আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষের কাজ একদমই অগোছালো। প্রতিদিনই এসব বাড়তি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে করতে বিরক্ত হয়ে যাই। প্রশ্ন হলো, এই যে আমি চুপচাপ পরিশ্রম করে যাই এটা কি এক প্রকার ধৈর্য বিবেচিত হবে? এতে কি আমি সওয়াব পাবো?

উত্তর:
আমাদের সমাজের অধিকাংশ গৃহবধূকে তাদের স্বামী সংসারে প্রচুর কষ্ট ও পরিশ্রম করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে তারা নিজেরা বঞ্চিত হলেও অকাতরে তাদের আরাম-আয়েশ বিসর্জন দিয়ে স্বামী সন্তান এবং পরিবারকে ভালো রাখার জন্য হাসিমুখে সব কষ্ট মেনে নেয়। কিন্তু তারা অনেকে জানেই না, ইসলামে এ জন্য তাদের কী মর্যাদা রয়েছে এবং এ মর্যাদা লাভের শর্ত কী?

তাই নিম্নে এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিকোণ উপস্থাপন করা হলো:

▪️১. সদকার সওয়াব:

মানুষের সেবা করা বা উপকার করা নিঃসন্দেহে 'ভালো কাজ'। আর প্রতিটি ভালো কাজেই সদকার সওয়াব রয়েছে ইনশাআল্লাহ।

✪ রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

كلُّ معروفٍ صدقةٌ وإن من المعروفِ أن تَلْقَى أخاك بوجهٍ طَلْقٍ وأن تُفْرِغَ من دَلْوِكَ في إناءِ أَخِيك

"প্রত্যেক ভালো কাজই সদকা (দান)। আর ভালো কাজের মধ্যেই এটাও পড়ে যে, তুমি তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করবে এবং তোমার বালতির (অতিরিক্ত) পানি তোমার ভাইয়ের পাত্রে ঢেলে দেবে।"
[সহিহ বুখারি, হা/ ৬০২১]

✪ রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন,

لا تحْقِرَنَّ من المعرُوفِ شيْئًا ، ولوْ أنْ تلْقَى أخاكَ بوجْهٍ طلْقٍ

"সৎকর্মকে কখনোই তুচ্ছ মনে করো না, যদিও তা তোমার ভাইকে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাই হয়।" [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬২৬]

এখানে হাদিসগুলোর মূল বক্তব্য হলো, শুধু অর্থ সাহায্য করাই সদকা নয় বরং প্রতিটি ভালো কাজ, যেমন—কারো সাথে হাসিমুখে কথা বলা, অন্যের প্রয়োজনে সামান্য হলেও সাহায্য-সহযোগিতা করা সদকার অন্তর্ভুক্ত।

সে হিসেবে একজন গৃহবধূ তার স্বামী, সন্তান, শ্বশুর-শাশুড়ি বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের যত উপকার করবে প্রতিটি কাজের বিনিময়ে সে সদকার সওয়াব পাবে ইনশাআল্লাহ।

❑ শর্তাবলী:

এই সওয়াব লাভের শর্ত হল, তারা অবশ্যই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করবে এবং আল্লাহর নিকট এর প্রতিদানের নিয়ত করবে। আর উপকার করে কখনো কাউকে খোটা দেবে না। কেননা খোটা দিলে উক্ত সৎ কর্মের সওয়াব নষ্ট হয়ে যায়।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُبْطِلُوا صَدَقَاتِكُم بِالْمَنِّ وَالْأَذَىٰ

"হে ইমানদারগণ! তোমরা তোমাদের সদকাসমূহ বরবাদ করে দিও না উপকারের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া (খোটা দেওয়া) ও কষ্ট দেওয়ার মাধ্যমে।” [সূরা বাকারা: ২৬৪]
পাশাপাশি, যথাসময়ে সালাত আদায়, নন মাহরামদের সামনে পর্দা রক্ষা ইত্যাদি ইসলামের মৌলিক বিধানগুলো ঠিক রাখা আবশ্যক। কেউ যদি এই সকল অপরিহার্য বিধান লঙ্ঘন করে পরিবারের সেবায় লিপ্ত থাকে তাহলে তার এই সওয়াব পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং ফরজ বিধান লঙ্ঘণ করার অপরাধে সে পাপীষ্ঠ বলে গণ্য হবে।

▪️২. ইসলামের দৃষ্টিতে উপকার কারী মানুষই সেরা:

হাদিসে ওই ব্যক্তিকে "উত্তম বা সেরা মানুষ" বলা হয়েছে যে, অধিক পরিমাণে মানুষের উপকার করে।

✪ সাহাবি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

"خيرُ الناسِ أنفعُهم للناسِ"

"সর্বোত্তম মানুষ সে-ই, যে মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকার কারী।" [শাইখ আলবানি এটিকে হাসান বলেছেন। সহিহুল জামে, হা/ ৩২৮৯]

আরও বহু হাদিসে মানুষের উপকারের ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে।

▪️ ৩. মানুষের ভালোবাসা অর্জনের পাশাপাশি আল্লাহর বিশেষ প্রতিদান:

মানুষের সেবা করা বা তাদের উপকার করা তাদের ভালোবাসা অর্জনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কেননা সাধারণভাবে মানুষ তাকে ভালোবাসে যে তার উপকার করে। যদিও আমাদের সমাজে উপকারের উপকার স্বীকার করা বা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায়ের মনোভাব নিতান্তই কম। কিন্তু অকৃতজ্ঞ মানুষ উপকার কারীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলেও মহান আল্লাহ অবশ্যই তাকে আখিরাতে প্রতিদান দান করবেন ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

هَلْ جَزَاءُ الْإِحْسَانِ إِلَّا الْإِحْسَانُ

"উপকারের প্রতিদান কি উপকার ছাড়া আর কিছু হতে পারে?" [ সূরা রহমান: ৬০]

▪️ ৪. উত্তম চরিত্র:

আমরা আরও জানি, বিপদ-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সাথে সুন্দর ভাষায় ও হাসিমুখে কথা বলা, মানুষের সাথে ভালো আচরণ করা এবং তাদেরকে প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা করা, তাদেরকে খুশি রাখা ইত্যাদি সামাজিকভাবে যেমন প্রশংসনীয় বিষয় তেমনি ইসলামের দৃষ্টিতেও উত্তম চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।

তার হাদিসে উত্তম চরিত্রের বিশাল ফজিলতের কথা উল্লেখিত হয়েছে। যেমন:

আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

إِنَّ مِنْ أَحَبِّكُمْ إِلَيَّ، وَأَقْرَبِكُمْ مِنِّي مَجْلِسًا يَوْمَ القِيَامَةِ، أَحَاسِنَكُمْ أَخْلَاقًا

“তোমাদের মধ্যে আমার নিকট সর্বাধিক প্রিয় এবং কিয়ামতের দিন আমার কাছে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হবে সেই ব্যক্তি, যার চরিত্র হবে উত্তম।” [তিরমিজি, হাদিস: ২০১৮ | সহিহ]

▪️ ৫. এটি নিঃসন্দেহে মহৎ হৃদয়ের অধিকারী, ধৈর্যশীল এবং পরোপকারী মানুষের চরিত্র। ইসলামে এগুলো প্রতিটি অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ বিষয়।

তাই আমাদের সমাজের গৃহবধূরা যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আন্তরিকভাবে তাদের স্বামী، সন্তান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের যথাসাধ্য সেবা-শুশ্রূষা করে তাহলে তারা এর দ্বারা দুনিয়া অবারিত কল্যাণ এবং আখিরাতে পর্যাপ্ত সওয়াব অর্জন করতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহু তৌফিক দানকারী।

❇️ প্রশ্ন: একজন গৃহবধূ আন্তরিকভাবে সেবা দেওয়ার পরও যদি উক্ত পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে নানা দুর্নাম ও অপমানের শিকার হতে হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে কি করনীয়?

উত্তর:
আমাদের সমাজের নির্মম বাস্তবতা এটাই। একজন নারী যেখানে তার নিজের আরাম-আয়েশ বিসর্জন দিয়ে তার স্বামী, সন্তান এবং স্বামীর পরিবারের জন্য সেবা দিয়ে থাকে সেখানে তাদের উচিত ছিল, তার কৃতজ্ঞতা আদায় করা। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, কৃতজ্ঞতা স্বীকার তো দূরের কথা বরং তাকে সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে, অনেক সময় বিনা কারণে নানাভাবে অপমান-অপদস্থ করা হয় এবং তার দুর্নাম করা হয়।

যারা এমনটি করবে তারা নিঃসন্দেহে গুনাহগার হবে। এটি তাদের নিচু মানসিকতা ও হীন চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ এবং অকৃতজ্ঞ মানুষের চরিত্র।
এর বিপরীতে একজন গৃহবধূ যদি এসব খারাপ আচরণে ধৈর্যের পরিচয় দেয়, তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়, পাশাপাশি তাদের হেদায়েতের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করে তাহলে সে আল্লাহর নিকট বিশাল সওয়াব অর্জন করবে ইনশাআল্লাহ। কারন আল্লাহ ধৈর্য ধারণকারীদেরকে এবং ক্ষমাকারীদেরকে ভালোবাসেন এবং আখিরাতে পুরষ্কৃত করেন।

তবে এই পরিস্থিতিতে যদি কোনভাবেই ধৈর্য ধারণ করা সম্ভব না হয় বা ইমান, আমল ও আখলাক নিয়ে বসবাস করার মত পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকে তাহলে তার জন্য জায়েজ আছে, স্বামীর সাথে কথা বলে তার পরিবার থেকে আলাদা থাকা। কিন্তু স্বামী এক্ষেত্রে সহযোগিতা না করলে এবং সেখানে থাকা তার জন্য ক্ষতিকর মনে হলে, তার জন্য তালাকের মাধ্যমে স্বামী থেকেও বিচ্ছিন্ন হওয়ার অধিকার রয়েছে।
আল্লাহু আলাম-মহান আল্লাহ সর্বজ্ঞ।
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুবাইল দাওয়াহ অ্যাসোসিয়েশন, সৌদি আরব

কুমারী মেয়েকে বিয়ে করার নির্দেশ সম্বলিত হাদিসটি সহিহ নয়:অধিকাংশ মুহাদ্দিসের মতে কুমারি মেয়েকে বিয়ে করার নির্দেশ সম্বলিত ...
02/07/2025

কুমারী মেয়েকে বিয়ে করার নির্দেশ সম্বলিত হাদিসটি সহিহ নয়:

অধিকাংশ মুহাদ্দিসের মতে কুমারি মেয়েকে বিয়ে করার নির্দেশ সম্বলিত হাদিসটি মারফু কিংবা মাউকুফ কোন সূত্রেই বিশুদ্ধ নয়। অধিকাংশ মুহাদ্দিস এটি কে জয়ীফ বা দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
تَزَوَّجُوا الأبكارَ فإِنَّهُنَّ أعذبُ أفواهًا وأنتقُ أرحامًا وأرْضَى باليسيرِ
الراوي:عبدالله بن مسعود المحدث:الهيثمي المصدر:مجمع الزوائد الجزء أو الصفحة:4/262 حكم المحدث:فيه أبو بلال الأشعري ضعفه الدارقطني
“তোমরা কুমারী মেয়েদেরকে বিয়ে করো। কারণ তাদের মুখ সুমিষ্ট, বাচ্চাদানী পরিষ্কার এবং তারা অল্পতে তুষ্ট।”
হায়সামি বলেন, “এর বর্ণনাসূত্রে আবু বিলাল আশয়ারী নামক একজন বর্ণনাকারী আছে। সে দুর্বল।”
শাইখ আলবানি উপরোক্ত হাদিসটিকে একাধিক হাদিসের সমন্বয়ে হাসান বললেও অধিকাংশ মুহাদ্দিস এটিকে দুর্বল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

শায়খ আলবানী এর কাছাকাছি মর্মার্থ বোধক অন্য একটি হাদিসকে বানোয়াট বা রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নামে মিথ্যাচার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তা হলো:
تزوَّجوا الأبكارَ فإنَّهنَّ أعذَبُ أفواهًا، و أفتَحُ أرحامًا، و أثبَتُ مودَّةً
الراوي:الحسين بن علي بن أبي طالب المحدث:الألباني المصدر:السلسلة الضعيفة الجزء أو الصفحة:736 حكم المحدث:موضوع
“তোমরা কুমারী নারীদের বিয়ে কর। কারণ তারা কথাবার্তার দিক দিয়ে বেশী মিষ্টি, তাদের বাচ্চাদানী অধিক প্রশস্ত (বাচ্চা ধারণের ক্ষমতা অধিক) এবং ভালোবাসার দিক দিয়ে বেশী স্থায়ী (দৃঢ়)।”

হাদিসটি জাল।

এটিকে আল-ওয়াহেদী “আল-ওয়াসীত” (৩/১১৫/২) গ্রন্থে ইসহাক ইবনু জাফার ইবনু মুহাম্মাদ হতে ...বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছি: এ সনদটি বানোয়াট। এর সমস্যা হচ্ছে এই আলকাহেলী। তিনি মিথ্যুক যেমনটি একদল (মুহাদ্দিস) বলেছেন। দারাকুতনী বলেন, তিনি জালকারীদের অন্তর্ভুক্ত।” [ যঈফ ও জাল হাদিস ১/ বিবিধ]
উক্ত হাদিসটি সহিহ-জইফ হওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে এখানে:
https://islamqa.info/ar/522187

তবে অন্য হাদিসে কুমারি মেয়েকে বিয়ে করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। যেমন নিম্নোক্ত হাদিসটি:
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে জাবির! তুমি বিয়ে করেছ কি? আমি বললাম, হ্যাঁ।
তিনি বললেন, কুমারী না অকুমারী?
আমি বললাম, না (কুমারী নয়) বরং অকুমারী।
তিনি বললেন, কোন কুমারী মেয়েকে বিয়ে করলে না কেন? সে তো তোমার সাথে আমোদ-প্রমোদ করত। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার আব্বা উহুদের যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেছেন। এবং রেখে গেছেন নয়টি মেয়ে। এখন আমার নয় বোন। এ কারণে আমি তাদের সাথে তাদেরই মত একজন অনভিজ্ঞ মেয়েকে এনে একত্রিত করা পছন্দ করলাম না। বরং এমন একটি মহিলাকে (বিয়ে করা পছন্দ করলাম) যে তাদের চুল আঁচড়িয়ে দিতে পারবে এবং তাদের দেখাশোনা করতে পারবে। (এ কথা শুনে) তিনি বলেছেন, ঠিক করেছ।” [সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান)]

কিন্তু অকুমারী মেয়ে যদি দ্বীনদারিত্ব, জ্ঞান-বুদ্ধি ইত্যাদি দিক দিয়ে বেশি হয় তাহলে সাধারণ কুমারী মেয়ের চেয়ে অকুমারী মিয়েকে বিয়ে করা অধিক উত্তম।
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

প্রশ্ন: কোন মহিলার নামের সাথে যদি 'মা' কথা টা থাকে (যেমন: হিমা, সুমা, ফাতেমা ইত্যাদি) তাহলে সেই মহিলার স্বামী তাকে ডাকলে...
30/06/2025

প্রশ্ন: কোন মহিলার নামের সাথে যদি 'মা' কথা টা থাকে (যেমন: হিমা, সুমা, ফাতেমা ইত্যাদি) তাহলে সেই মহিলার স্বামী তাকে ডাকলে 'মা' কথাটার জন্য কোন অসুবিধা হবে কী তাদের দাম্পত্য জীবনে?
••••••••••••
উত্তর:
নামের শেষে ‘মা’ অক্ষর থাকলে (যেমন: হিমা, সুমা, ফাতেমা ইত্যাদি) তাকে সে নাম ধরে ডাকলে তাকে প্রকৃত মা বলা হল না। কেননা, এটা তার নাম। সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে উক্ত নাম ধরে ডাকে তাতে কোন অসুবিধা নেই।

‘স্বামী যদি এ ধরণের নাম ধরে তার স্ত্রীকে ডাকে তাহলে তাকে মা বলা হল’ বলে সমাজে কিছু মানুষের নিকট একটা ধারণা প্রচলিত রয়েছে। তা মূর্খতা বা কুসংস্কার ছাড়া কিছু নয়।

উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

Address

Feni

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when স্বামী ও স্ত্রীর আদর্শ জীবন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category