23/07/2025
আপনাকে একটা প্রশ্ন করি—
যদি কেউ আপনার ঘরে ঢুকে, আপনার সন্তানকে শেখায় :
তুমি ছেলে না মেয়ে, তা তোমার সিদ্ধান্ত!
হিজাব ভুল, বিয়ে ছাড়া সম্পর্ক স্বাভাবিক!
তাহলে আপনি কি চুপ করে থাকবেন?
আজ বাংলাদেশে ঠিক সেই আয়োজন শুরু হচ্ছে—জাতিসংঘের তথাকথিত মানবাধিকার মিশনের নামে।
তারা বলবে—
ইসলামী উত্তরাধিকার আইন ‘অন্যায়’।
নারীর হিজাব ‘লিঙ্গ বৈষম্য’।
তালাক ও একাধিক বিবাহ ‘নারী অধিকার লঙ্ঘন’।
আলেমদের বক্তব্য ‘হেট স্পিচ’।
মাদরাসা শিক্ষা মানেই ‘র্যাডিকালাইজেশন’।
স*ম*কা*মিতা, পতি*তা*বৃত্তি, এল*জি*বিটি—সবই 'মানবাধিকার'।
আপনি বলবেন—এগুলো তো ইসলামবিরোধী!
তারা বলবে—আপনি ‘ইনটলারেন্ট’, অসহিষ্ণু, রক্ষণশীল!
তারপর আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় রিপোর্ট ছাপাবে। ভিডিও বানাবে। বাংলাদেশকে ঘিরে ফেলবে চাপ ও নিষেধাজ্ঞার চক্রে।
তারা শুধু ধর্ম নয়—রাষ্ট্রকেও নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে:
বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন, সেনাবাহিনী, শিক্ষা, গণমাধ্যম—সব কিছুর ওপর ‘মানবাধিকারের’ নামে নজরদারি চাপানো হবে।
তারা আমাদের ধর্মকে প্রশ্ন করবে, সংস্কৃতিকে অপমান করবে, রাষ্ট্রকে দুর্বল করে দেবে। আর বলবে, 'এটাই উন্নত বিশ্বের মানবাধিকার'।
এমনকি দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে, বাণিজ্যে বাধা দিয়ে, অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়া হতে পারে।
বন্ধুরা, এই দেশে অনেক অন্যায় আছে—কিন্তু অন্যায় বন্ধ করার নামে যদি দেশের মানুষের ঈমান ও দেশের সার্বভৌমত্বের কবর খোঁড়া হয়, তাহলে সেটা অন্যায় নয়, সেটা চক্রান্ত।
আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে, আমরা মানবতার পক্ষে। কিন্তু ঈমান ও স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়ে নয়।
জেগে উঠুন। কথা বলুন। এটা শুধু মানবাধিকার ইস্যু নয়—এটা ইসলামের অস্তিত্ব এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন।
এই মুহূর্তে চুপ থাকলে—শুধু ইসলাম নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎও ধ্বংস হবে।
- শাইখ উমায়ের কোব্বাদী হাফি.