
07/08/2025
নামের সাথে মিল রেখে তার জীবনটা ছিল শান্ত — সেতু। একটা ছোট, সহজভাবে বাঁচতে চাওয়া মেয়ে। অন্য সব মেয়েদের মতো নয়, সে যেন একটা বইয়ের গল্প থেকে বেরিয়ে এসেছে।
তার দিন শুরু হয় এক কাপ চা আর জানালার পাশে বসে গেলে। কালো চোখের চশমার আড়ালে চোখ দুটো একদম গল্পের মতো — কিছু একটা খুঁজে ফেরে। আর তার হাতে থাকে হুমায়ূন আহমেদের কোনো একটা উপন্যাস — "রূপা", "মেঘের উপর বাড়ি", "আমার আছে জল"...
জানালার বাইরে প্রকৃতি তাকে বড়ো আকর্ষণে টানে। পাখি দেখে সে মন দিয়ে তাকায়। বৃষ্টি পড়লে দোলনা ছেড়ে ছুটে যায় ছাদে। দিনের চেয়ে রাতের আকাশ তাকে বেশি ভালোবাসে — যেখানে তারা গুলো ছিল তার বন্ধু।
কিন্তু এর মধ্যেও একটা অনুপস্থিতির খালি জায়গা ছিল — ভালোবাসা।
সেতু কখনো বলেনি, কিন্তু নিজের মনে একটা বড়ো ইচ্ছে পোষে,
“যদি জীবনে এমন একজন আসে, যে বুঝবে আমায়, আমার বইয়ের মতো… যেটা আমি মুখস্থ করে ফেলেছি, যেটা আমার চোখের মাঝে লেখা আছে…”
সে আশা নিয়ে সে একদিন বইয়ের দোকানে পড়লো। একজন ছেলে একদম তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল, হাতে “শঙ্খনীল কারাগার”। চোখে অবাক ভাব, বুক কাঁপানো কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো —
“আপনি কি সেতু? আমি শুনেছি একটা গল্পের মেয়ে এখানেই থাকে…”
সেতু হেসে দিলো। গল্প শুরু হলো।
গল্প:নিজের
photo: Esa's Creation