03/05/2025
আহ্ মৃত্যু!
আজকে বিকেলে আমি কুড়িল বিশ্বরোডে যাই ট্রেনের ভিডিও/ছবি নিতে, রেললাইনে যাওয়ার পরে দূর থেকে দেখি একজন ফটোগ্রাফার ক্যামেরা হাতে ছবি তুলছেন। পেছন থেকে দেখে আমার মনে হইছে উনি ইসতিয়াক আহমেদ রাফিদ ভাইয়া।
তাই আমি উনার একটা ছবি তুলে উনার ইনবক্সে দিয়ে জিজ্ঞেস করি উনি কুড়িল আসছে কি না, যেহেতু আমি উনার থেকে প্রায় ১৫-২০ কদম দূরে ছিলাম তাই কাছে আর যাই নাই।
আর যেহেতু ট্রেনের ভিডিও করতে গেছি ট্রেন আসায় আমি ভিডিও করা শুরু করি। ডাবল লাইনে দুইপাশেই ট্রেন চলাচল করে। রাফিদ ভাইয়া সামনে থেকে আসা ট্রেনের ছবি তুলছিলো কিন্তু উনার পিছন দিক থেকে আসা ট্রেনের হর্ণ উনি শুনতে পায় নাই। রাস্তার সাইডে থাকা মানুষ জন ও উনাকে অনেক ডাকছে কিন্তু ট্রেনের শব্দে উনি শুনতে পায় নাই....
তারপর মুহুর্তেই সব শেষ হয়ে গেলো। উনার মৃত্যুর আগেও আমি শিওর ছিলাম না উনি রাফিদ ভাই।
দৌড়ে উনার কাছে যাই, উনার সাথে আরেকটা ছেলে ছিলো উনাকে জিজ্ঞেস করি উনার নাম কি?? ছেলেটার কাছে জানতে পারি উনার নাম ইসতিয়াক আহমেদ রাফিদ। বাসা রাজশাহী,উনি ফটোগ্রাফার + ফটোগ্রাফি কম্পিটিশনের জন্যই ঢাকায় আসছে..
সাথে সাথে আমার পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে, কি এক নির্মম মৃ*ত্যুর সাক্ষী হয়ে গেলাম। তাও আবার পরিচিত একজনের। আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারতেছি না উনি রাফিদ ভাই।
কিছুক্ষণের মধ্যেই উনার আত্মীয়রা আসে, আমি শিওর হওয়ার জন্য ৪-৫ বার জিজ্ঞেস করছি উনার পরিচয়। উনি রাফিদ ভাইয়াই। আমি স্তব্ধ....
আল্লাহ উনাকে জান্নাত নসিব করুক আর উনার ফ্যামিলিকে ধৈর্য্য দান করুক..
যারা রেললাইনে ছবি তুলতে যান, অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন। ডাবল লাইনে দাঁড়িয়ে কখনোই ছবি তুলবেন না
লিখেছেন ফারহানা আক্তার