Just Hasib

Just Hasib ভালোবাসার বীজ বুনে ঘৃণার পরাজয়ে নিরন্তর ছুটে চলি

ধরুন, আপনি এক বিশাল হলে ঢুকলেন। আলো নিভিয়ে দেয়া হলো, ঘুটঘুটে অন্ধকার। কোথাও আলো নেই, নেই কোনো শব্দ। হঠাৎ আপনি অনুভব করলে...
27/07/2025

ধরুন, আপনি এক বিশাল হলে ঢুকলেন। আলো নিভিয়ে দেয়া হলো, ঘুটঘুটে অন্ধকার। কোথাও আলো নেই, নেই কোনো শব্দ। হঠাৎ আপনি অনুভব করলেন—এই অন্ধকারটাই যেন আপনাকে গিলে ফেলছে। অথচ, আপনি আলো বন্ধ করতে চাননি। আপনি শুধু চাইছিলেন, আলোটা বদলাক। কিন্তু যেহেতু নতুন কোনো আলো জ্বলেনি, তাই পুরনোটা নিভে যেতেই আপনি হারিয়ে গেলেন।

এটাই আজকের বাস্তবতা—যখন ইসলামপন্থী রাজনীতি শোবিজ নিয়ে কথা বলে ‘নিষেধ’ দিয়ে, কিন্তু সমমানের কোন ‘বিকল্প’ দেয় না।

--------------------------------------------------------------

বাংলাদেশের মিডিয়া ও বিনোদন খাতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যানের দিকে তাকাই।
- বাংলাদেশের মিডিয়া ও এন্টারটেইনমেন্ট মার্কেটের ২০২৪ সালের আয় ৩.১১ বিলিয়ন ডলার

- এর মধ্যে ডিজিটাল মিডিয়ার অংশ (ভিডিও গেম, স্ট্রিমিং ইত্যাদি) ১.১১৭ বিলিয়ন ডলার

- GP Music-এর কেবল ২০১৬ সালের পেইড সাবস্ক্রাইবার: ৬ লাখ+

- Nielsen ও NMS রিপোর্ট অনুযায়ী:
o ৯০.৯% দর্শক বাংলাদেশী অনুষ্ঠান নিয়মিত দেখেন
o ৪০.৭% দর্শক ভারতীয় চ্যানেল থেকে চলচ্চিত্র উপভোগ করেন
o মাত্র ৩৬% দর্শক বাংলা ভাষার নাটক, খবর ও টকশো পছন্দ করেন

--------------------------------------------------------------

জামায়াতে ইসলামীর প্রতি শোবিজ এবং বিনোদন সংশ্লিষ্টদের প্রধান ভয়—"তারা ক্ষমতায় এলে মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি কর্মহীন হয়ে পড়বে এবং ক্রমেই নিঃশেষ হয়ে যাবে"।

এই ভয় অমূলক নয়। কারণ, ইসলামী দল হিসেবে জামায়াত শোবিজ নিয়ে কখনোই স্পষ্ট কোনো পজিশন নেয়নি। বরং নেতিবাচক মনোভাবই দৃশ্যমান থেকেছে। ফলে, মিডিয়া বা এন্টারটেইনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি জামায়াতের প্রতি স্বাভাবিকভাবেই অবিশ্বাসী। এই বিভ্রান্তিই জামায়াতকে গণমানুষের কাছ থেকে দূরে রাখছে, বিশেষত তরুণ প্রজন্ম ও সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট শ্রেণির কাছে।

--------------------------------------------------------------

মিডিয়া ও বিনোদন ব্যবসা নিয়ে জামাতের জন্য সামনে দ্বিমুখী সংকট—

১। শোবিজের বর্তমান কাঠামো ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক – এটাকে জামায়াত অস্বীকার করে না।

২। তবুও তারা কোন ‘বিকল্প বিনোদন সংস্কৃতি’ গড়ে তোলেনি, যেটা ইসলামিক হলেও আধুনিক ও ট্রেন্ডি। আমি আবারো বলছি, আধুনিক ও ট্রেন্ডি।

শুধু ‘না’ বললে মানুষ থেমে যায় না। মানুষের অভ্যাস থামানো যায় না, কিন্তু বদলে দেয়া যায়—এই সত্যটা অনুধাবন না করলে, জামায়াত তরুণ সমাজের সঙ্গে সংযোগ হারিয়ে ফেলবেই।

--------------------------------------------------------------

কি হতে পারে সমাধান?

১। রাজনৈতিক দল হিসেবে ইতিবাচক ও স্পষ্ট নীতি ঘোষণা:

জামায়াতকে সাহস করে বলতে হবে—"আমরা শোবিজ বন্ধ করবো না। প্রচলিত ঘরনার পাশাপাশি আমরা বেটার অল্টারনেটিভ প্রপোজ করব যেন মানুষ তা থেকে ভালোটা বেছে নিতে পারে। এতে করে যারা শোবিজ ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবসা করছেন তারা ইসলামী কন্টেন্ট মেকিং এর প্রতি ঝুঁকে যাবেন এবং খুবই অরগানিক্যলি একটা শিফট মানুষ লক্ষ্য করবেন। এভাবেই আমরা সবার অংশগ্রহণে একে সংস্কার করবো। মানুষের চাহিদা আমরা বুঝি, কিন্তু আমরা তার দিকনির্দেশনা পরিবর্তন করতে চাই, সময়ের সাথে, সবাইকে সাথে নিয়ে।"

২। ইসলামি মিডিয়া হাব গঠন:

অনলাইন স্ট্রিমিং, শর্ট ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ, অ্যানিমেশন ও ভিডিও গেম—সবই ইসলামি আদর্শে ভিত্তি করে নির্মাণ করা সম্ভব। কিন্তু হতে হবে বিনোদনমূলক, মানসম্পন্ন, এবং বর্তমান সময়ের ট্রেন্ড অনুযায়ী। একটা বাস্তবতা বোঝা জরুরি যে, জামায়াত সমর্থিত যেসকল মিডিয়া এসব কাজ করে সেগুলো বর্তমান পৃথিবীর স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী অত্যন্ত নিম্নমানের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটা জামায়াতের নিজস্ব রুচি স্যাটিস্ফাই করলেও যখন তা মুক্ত সংস্কৃতির মাঝে ছেড়ে দেয়া হয় তখন তা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে।

৩। ইসলামি সাংস্কৃতিক উৎসব:

গান, আবৃত্তি, শর্ট ফিল্ম, থিয়েটার সবই ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উৎসাহিত করে আলাদা ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করা যেতে পারে। সে আয়োজনের জন্য বিশ্বমানের ট্রেন্ডিং কোয়ালিটি বোঝা লোককে সাথে নিয়ে কাজটা করতে হবে। উন্মুক্ত সংস্কৃতির যুগে আপনি জোর করে আপনার রুচিকে বেঞ্চমার্ক বানাতে পারবেন না। বরং আপনাকে সত্যি সত্যিই কোয়ালিটি কাজ করতে হবে।

৪। Digital Platforms:

ইসলামি কনটেন্ট ভিত্তিক OTT প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যেতে পারে, যাতে ইসলামি মূল্যবোধ বজায় রেখে মানুষ বিনোদন উপভোগ করতে পারে।

৫। Influencer & Content Creator তৈরির ইনিশিয়েটিভ:

ইসলামি মূল্যবোধসম্পন্ন সৃজনশীল তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ইসলামী ইউটিউবার, শর্ট ফিল্ম মেকার, পডকাস্টার তৈরি করতে হবে।

--------------------------------------------------------------

ভোটের হিসাবে শোবিজের প্রতি স্পষ্ট অবস্থান মানেই তরুণদের প্রতি অবস্থান। কেবল মাদ্রাসা কিংবা দলীয় ইসলামপন্থী ছাত্র নয়, ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম–এই প্ল্যাটফর্মে সময় কাটানো কোটি তরুণ-তরুণীই আগামী নির্বাচনের ভোটব্যাংক। শোবিজে গড়ে তোলা ইতিবাচক বার্তা এবং বাস্তবসম্মত ইসলামি বিকল্পই জামায়াতকে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারে।

"মানুষ গান চায়, নাটক চায়, গল্প চায়—কারণ এতে তারা জীবনের রং খুঁজে পায়। ইসলাম সেই রং কে কালো নয়, বরং অর্থপূর্ণ ও নূরানী করে তুলতে পারে। জামায়াত যদি সেই নূরের পথ দেখাতে চায়, তবে তাকে পথচলার জন্য লাইটহাউসও নির্মাণ করতে হবে—কেবল নিষেধের দেয়াল দিয়ে চলবে না।"

লুঙ্গির নিচ থেকে তুলা ছবি।
27/07/2025

লুঙ্গির নিচ থেকে তুলা ছবি।

27/07/2025

আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। অনেক কিছুই ধরতে পারি না। যেটা আমি এখনো ধরতে পারছি না সেটা হলো,

আমরা নমরুদের মা শেকাসিনা কে এই দেশ থেকে বয়জাংলা করে দিতে পারলাম কিন্তু প্রথম আলোকে কেন বয়জাংলা করতে পারি নাই কিংবা এখনো পারছি না?

আমি তো কোন সংঘবদ্ধ বুদ্ধিবৃত্তিক আক্র'মনও এই ভাঁড়তের বন্ধু মিডিয়ার উপরে করতে দেখি নাই। কারণটা কি কেউ সহজে ক্লিয়ার করতে পারবেন?

য়ে
26/07/2025

য়ে

এক প্লেট ভাত বেশি খেতে চেয়েছিলাম। সবাই মিলে আমাকে য়ে করে দিল।

#আমি_বাংলাদেশ_বলছি



#আমি_বাংলাদেশ_বলছি

জামায়াত তো দিন দিন পুরাই জোস হয়ে যাচ্ছে!জুবায়ের ভাই অন ফায়ার! দিয়েছেন সরলতম কার্যকর সমাধান।
26/07/2025

জামায়াত তো দিন দিন পুরাই জোস হয়ে যাচ্ছে!
জুবায়ের ভাই অন ফায়ার!
দিয়েছেন সরলতম কার্যকর সমাধান।

একটি জাতির ভবিষ্যৎ তখনই ঝুঁকির মুখে পড়ে, যখন তার তরুণেরা রাজনীতি নিয়ে উদাসীন থাকে। SANEM–ActionAid–এর সর্বশেষ জরিপ আমাদে...
25/07/2025

একটি জাতির ভবিষ্যৎ তখনই ঝুঁকির মুখে পড়ে, যখন তার তরুণেরা রাজনীতি নিয়ে উদাসীন থাকে। SANEM–ActionAid–এর সর্বশেষ জরিপ আমাদের সামনে এক ভয়ঙ্কর বাস্তবতা উন্মোচন করেছে।

বাংলাদেশের ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে ৮৩% রাজনীতি এবং ভোটের বিষয়ে সম্পূর্ণ অনাগ্রহী!

এই সংখ্যাটি নিছক কোনো পরিসংখ্যান নয়। এটি একটি নীরব বিপর্যয়ের সংকেত।

তবে, এই শূন্যতার মধ্যেই লুকিয়ে আছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জন্য সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সম্ভাবনা যদি তারা এটাকে সঠিকভাবে নেভিগেট করতে পারে। এজন্য তাদের সামনে সময় আছে আর কয়েক মাস।

৮৩% যারা রাজনীতি বিমুখ, তারা আসলে কী চায়?
• তারা সংলাপ চায়, দলীয় লড়াই নয়
• তারা সমাধান চায়, স্লোগান নয়
• তারা ভবিষ্যৎ চায়, অতীতের স্মৃতি নয়

তারা ক্ষুব্ধ—বেকারত্বে, শিক্ষা সংকটে, মাদকের দৌরাত্ম্যে, আর সবচেয়ে বড় কথা, তারা প্রতারণায় ক্লান্ত। তাদের কাছে বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগের তীব্র প্রচার অথবা বিরোধীতা দুটিই একঘেয়ে মনে হয়। তারা বিকল্প খুঁজছে।

আর এখন, সেই বিকল্প হতে পারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, যদি দলটি সময়োচিত পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের সাহস দেখায়।

জামায়াত কীভাবে এই ৮৩% তরুণকে মোবিলাইজ করতে পারে?

১️। কেবল আদর্শিক উপদেশ নয়, প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আসতে হবেঃ-

তরুণদের হৃদয়ে প্রবেশ করতে চাইলে “ইসলামী রাষ্ট্রনীতি” নয়, বরং “ইসলামী ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জনকল্যাণ”-এর বাস্তব উদাহরণ তুলে ধরতে হবে। মনে রাখতে হবে, নীতি নয়, উদাহরণ চায় এই তরুণ সমাজ। একবিংশ শতাব্দীর ভাষায় বলতে গেলে, আবেগ নয়, প্রমাণ দিন।

তবে এই কাজগুলো বিচ্ছিন্নভাবে করে গেলে হবেনা। একটা স্ট্র্যাটেজিক কম্যুনিকেশনের অংশ হিসেবে এই কাজগুলো একটা ন্যারেটিভ আকারে বিল্ড করতে হবে যেন তরুণদের টপ অফ দ্যা মাইন্ডে একটা লঙ লাস্টিং ইমপ্যাক্ট তৈরি করা যায়।

তরুণরা যেন তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় এই কাজগুলোকে ডিসিশন মেকিং ফ্যাক্টর হিসেবে রিকল করতে পারে এবং তাদের ডিসিশন মেকিংকে এসব কাজ প্রভাবিত করতে পারে। বিচ্ছিন্নভাবে করে গেলে তা অল্প সময়ে স্মৃতি থেকে হারিয়ে যায়।

২। ডিজিটাল ন্যারেটিভে আধিপত্য তৈরি করতে হবেঃ-

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক—এসব প্ল্যাটফর্মকে সাংগঠনিক প্ল্যাটফর্মে পরিণত করতে হবে। ড্রামাটিক শর্টফর্ম ভিডিও, রিলস, ইনফোগ্রাফিক—সবকিছুতেই ইসলামিক জাস্টিস, রাজনৈতিক বিকল্প, ও তরুণদের সম্ভাবনা তুলে ধরতে হবে। হাত ঝুলিয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে নয়, বরং তরুণদের সাথে নিয়ে দেশের বিভিন্নপ্রান্তে নির্দিষ্ট এলাকার তরুণদের মনস্তাত্ত্বিক চাহিদার বিচারে টেইলর মেইড ক্যাম্পেইন এবং এঙ্গেজমেন্ট করতে হবে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।

তবে মনে রাখতে হবে, এই কাজগুলো একটা ন্যারেটিভ আকারে বিল্ড করতে হবে যেন তরুণদের টপ অফ দ্যা মাইন্ডে একটা লঙ লাস্টিং ইমপ্যাক্ট তৈরি করা যায়।

৩। জাতীয় ইস্যুতে সাহসী কণ্ঠস্বর হতে হবেঃ-

গু’ম, গ্রেফ’তার, দুর্নীতি, ভোটা’ধিকার—তরুণদের হৃদয়ের স্পর্শকাতর ইস্যুগুলোতে সামনের কাতারে থাকতে হবে। শুধু স্টেটমেন্ট নয়, প্রতীকী অ্যাক’শন নিতে হবে, যেমন শৈল্পিক প্রতিবাদ, অনলাইন ক্যাম্পেইন, কিংবা বেকার যুবকদের নিয়ে কর্মশালা ইত্যাদি।

৪। "আমি জামায়াত করি না, কিন্তু..." এই জায়গায় পৌঁছাতে হবেঃ-

এই বাক্যটাই আজকের রাজনীতির “গ্রে জোন”। এই শ্রেণির তরুণদের আস্থা অর্জন করলেই—তারা একদিন মাঠেও নামবে, ব্যালটেও সিদ্ধান্ত নেবে।

জরিপে দেখা যায়—রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ১৭% তরুণদের মধ্যেঃ-
• BNP-এর প্রতি সমর্থন: ৩৮.৭৬%
• জামায়াতের প্রতি সমর্থন: ২১.৪৫%
• NCP (নাগরিক দল): ১৪–১৭%

অর্থাৎ এখনো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ যুব সমর্থন জামায়াতের প্রতি। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই ২১.৪৫%–এর বাইরে থাকা ৮৩% নিষ্ক্রিয় তরুণদের মন জয় করবে কে?

জামায়াত যদি নিজেদের সাংগঠনিক কাঠামোকে তরুণবান্ধব, স্মার্ট, আধুনিক এবং সক্রিয় করে তোলে—তাহলে এই নীরব ৮৩%–এর হৃদয়ের ভাষা বুঝে তাদের জাগানো অসম্ভব নয়। তারা ভোট দেবে, তারা মিছিলেও নামবে—শুধু তাদের হৃদয়ে আলো জ্বালাতে হবে।

সময় এসেছে জামায়াতের জন্য কেবল “ধর্মভিত্তিক দল” পরিচয়ের চেয়ে বড় কিছু হয়ে ওঠার— সময় এসেছে “তারুণ্যের রাজনৈতিক অভিভাবক” হয়ে ওঠার।



25/07/2025

চোখে দেখেও বিশ্বাস করে না, কিন্তু কানে শুনেই ঘৃ"ণা করে — এক অদ্ভুত প্রজন্মের গল্প!

একটি প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, যারা নিজের চোখে কিছু দেখেনি, ইতিহাস পড়েনি, প্রশ্নও করেনি; তবু মুখে মুখে শোনা ৫৩ বছরের পুরনো গল্প শুনেই কারো প্রতি অ"ন্ধ ঘৃ"ণা লালন করে!
মিডিয়ায় যা দেখেছে, সেটাকেই ধরেছে অমোঘ সত্য। যুক্তি নয়, বিশ্লেষণ নয়, শুধুই বিশ্বাস। Fair enough to understand this fact.

কিন্তু একই চোখ, এই একই প্রজন্ম, নিজেদের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া গত ১৬ বছরের নিপী"ড়ন, গু"ম, বিচা"রব"হির্ভূত হ"ত্যা, এবং জুলাই-আগস্টের ভয়া"বহ হিং"স্রতা; সেসব দেখে না! আর দেখলেও তাতে করে তাদের হৃদয় জাগে না!

আজও শেখ" হা"সিনাকে মানুষ ভাবে, আ"ওয়ামী লী"গকে রাজ"নৈতিক দল ভাবে! অথচ খুব সহজ যুক্তিতেই শে"খ হাসি"নাকে এক সন্ত্রা"সী গোষ্ঠী"র কমা"ন্ডার এবং আও"য়ামী লীগ"কে একটি স্বীকৃত সন্ত্রা"সী সংগ"ঠন বলে বিবেচনা করা উচিত।

একটা জাতির ইয়ুথ সেগমেন্টের একটা বিরাট অংশ কতটা মানসিক দাসত্বে আবদ্ধ হলে তাদের বিবেক, যুক্তি, মনন সব কিছুই যেন বন্দক দিয়ে দেয়। এই যে অপরা"ধপ্রবণ, অ"সৎ এবং বিভ্রা"ন্ত একটি প্রজন্ম; যারা দেশের বৃহৎ অংশ জুড়ে ছড়িয়ে আছে, তাদের মনস্তত্ত্বে আমূল পরিবর্তন আনা এখন সময়ের দাবি।

এটা করতে হলে চাই সৃজনশীল দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা, ধারাবাহিক এবং কার্যকর এক্সিকিউশন।

এই প্রজন্মকে জাগাতে না পারলে, এই দেশও আর জাগবে না।

24/07/2025

নামায মানে—আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে সব দুঃখ কষ্ট চুপিচুপি রেখে আসা।

24/07/2025

প্রধানমন্ত্রী হবু
ভোটার হননি কভু
🙄

স্টুডেন্ট ভাইয়া এবং আপুরা,অন্যা'য়ের বিরুদ্ধে তোমাদের আনকম্প্রোমাইজিং এটিচ্যুড এই দেশের জন্য বর্তমানে প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্...
23/07/2025

স্টুডেন্ট ভাইয়া এবং আপুরা,

অন্যা'য়ের বিরুদ্ধে তোমাদের আনকম্প্রোমাইজিং এটিচ্যুড এই দেশের জন্য বর্তমানে প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশাল একটি আশীর্বাদ। 'যেখানেই অন্যা'য়, সেখানেই প্রতি'রোধ' - এই অরা তোমরা ধরে রাখলে সামনের বাংলাদেশ ন্যায় এবং ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ হয়ে উঠবে বলেই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।

কিন্তু এর পাশাপাশি তোমাদেরকে এটা মনে রাখতে হবে যে, সময়ের কিছু প্রেক্ষাপট তৈরি হয় যে প্রেক্ষাপটে প্রতিরোধের ভাষা বদলে ফেলতে হয়। তা না হলে সেই প্রতিরোধ থেকেই জন্ম নিতে পারে বড় কোন এ'নার্কি বা নৈরা'জ্য।

কারণটা ব্যাখ্যা করি, তা না হলে আমাকে তোমরা ভুল বুঝবে।

৫ই আগস্টের গ'ণঅভ্যু'ত্থান পরবর্তী সময়ে পলা'তক পরা'জিত শক্তি আও'য়ামীলী'গ এবং ছা'ত্রলী'গ দেশের রাজনীতিতে এবং রাজপথে ফিরে আসার জন্য ক্রেইজি হয়ে আছে। কিন্তু জুলাই-আগস্টে তারা যে নৃ'শংস'তা চালিয়েছে, এরপরে নিজের পরিচয় নিয়ে মাঠে ফিরে আসা তাদের জন্য নিয়ার টু ইম্পসিবল।

তাই তারা চায় এমন কোন অস্থি'রতা এবং বিশৃ'ঙ্খলা তৈরি হোক যার ভেতরে তারা ঢুকে গিয়ে সেটাকে ব্যবহার করে বড় কোন ধ্বং'স ডেকে আনতে যাতে করে একটা চর'ম অরা'জকতা সৃষ্টি হয়। আর এই সুযোগে তারা আবার তাদের নিয়ন্ত্রণে অনেক কিছু নিয়ে ফেলে।

তোমাদের প্রতি'রোধের ভেতরে ঢুকে তারা এমন কিছু করে বসবে যা তোমরা কখনোই করতে না বা করতে চাও না। কিন্তু তারা সেটাই করবে এবং তোমাদের আর সকল জুলাই স্বপক্ষের শক্তিদের মাঝে বিভে'দের পাহাড় গড়ে তুলবে। দেশটাকে একটা ফেই'ল্ড স্টে'ট হিসেবে পৃথিবীর কাছে তুলে ধরবে।

সুতরাং, তোমাদেরকে এই অ'স্থির সময়ে খুব সাবধানে পথ চলতে হবে। 'যেখানেই অন্যা'য়, সেখানেই প্রতি'রোধ' এই ধারা অব্যাহত রেখেই প্রতিরোধের ভাষা বদলে ফেলতে হবে। খুবই শক্ত কিন্তু অ'হিংস প্রতি'রোধ গড়ে তুলে দা'বি আদায় করতে হবে। সঠিক দা'বি আদায়ও করতে হবে, আবার এটাও খেয়াল রাখতে হবে যেন ওই সন্ত্রা'সী আও'য়ামী'লীগ এবং ছাত্র'লী'গ কোনভাবেই তোমাদের ভেতরে ঢুকে পড়তে না পারে।

তোমরা কি চাও তোমাদের মাথার ওপর আবার আও'য়ামী'লীগ এবং ছাত্র'লী'গের মত হিং'স্র বো'ঝা আবার চেপে বসুক? যদি না চাও, তাহলে অ'ন্যায়ের বি'রুদ্ধে বুদ্ধিদীপ্ত প্রতি'রো'ধ গড়ে তোল। আগের সেই গতানুগতিক স'হিং'স প্রতি'রো'ধ থেকে তোমরা সরে আসো।

মনে রেখো, এই দেশটাকে তোমরাই পালটাতে পারবে। তোমরা না পারলে আর কেউই তা পারবে না। তোমাদের দিকেই তাকিয়ে আছে পুরো বাংলাদেশ।

Address

Fulbaria

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Just Hasib posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Just Hasib:

Share

Category