Tanvirul Islam

Tanvirul Islam Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Tanvirul Islam, Social Media Agency, Fulbaria.

মেহেরপুর জেলা: প্রাচীন যুগ১০ম–১২শ শতক: পাল ও সেন আমলে এ অঞ্চল গৌড় ও নদীয়ার অংশ ছিল। বৌদ্ধ ও হিন্দু সংস্কৃতি বিকাশ লাভ ...
26/09/2025

মেহেরপুর জেলা:

প্রাচীন যুগ

১০ম–১২শ শতক: পাল ও সেন আমলে এ অঞ্চল গৌড় ও নদীয়ার অংশ ছিল। বৌদ্ধ ও হিন্দু সংস্কৃতি বিকাশ লাভ করে।

১৩শ শতক: মুসলিম শাসনের প্রভাব বিস্তার; ধীরে ধীরে ইসলাম প্রচার শুরু হয়।

মোগল আমল

১৬শ–১৭শ শতক: মেহেরপুর মোগল প্রশাসনের অংশ হয়। কৃষি ও বাণিজ্যে উন্নতি ঘটে।

ঔপনিবেশিক যুগ

১৭৫৭: পলাশীর যুদ্ধের পর ইংরেজরা নদীয়া ও পার্শ্ববর্তী এলাকা দখল করে।

১৮৬১: মেহেরপুরকে নদীয়া জেলার অধীনে থানার মর্যাদা দেওয়া হয়।

পাকিস্তান আমল

১৯৪৭: ভারত বিভক্তির পর মেহেরপুর পূর্ব পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত হয়। তখন এটি কুষ্টিয়া জেলার অধীনে ছিল।

মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল:

বৈদ্যনাথতলার আমবাগানে (বর্তমান মুজিবনগর) বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ শপথ নেন।

এ স্থানকেই ঘোষণা করা হয় মুজিবনগর।

এ কারণে মেহেরপুর পরিচিত হয় বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী হিসেবে।

স্বাধীনতার পর

১৯৮৩: মেহেরপুরকে আলাদা মহকুমা ঘোষণা করা হয়।

১৯৮৪: মেহেরপুর পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৮৪–বর্তমান: শিক্ষা, কৃষি, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে অগ্রগতি। বিশেষ করে লিচু ও আম উৎপাদনে সারা দেশে খ্যাতি অর্জন করে।

২০০০-এর দশক: মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মিত হয়।

বর্তমান মেহেরপুর

আয়তন: প্রায় ৭১৬ বর্গকিমি

উপজেলা: ৩টি (মেহেরপুর সদর, গাংনী, মুজিবনগর)

বৈশিষ্ট্য: কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, সংস্কৃতির বৈচিত্র্য।

1. মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে প্রতীকী নকশা
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের তৈরি হয় ৯ ধাপের সিঁড়ি, যা ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসকে প্রতীক করে। এছাড়া স্মৃতিসৌধে কিছু রাউন্ড আকৃতি আছে যেগুলো হিন্দু হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত প্রায় এক কোটি বাঙালীর স্মৃতিকে তুলে ধরে।

2. রাজনৈতিক পরিবর্তন: মুজিবনগর প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠন
১৭ এপ্রিল ১৯৭১-তে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা (বর্তমানে মুজিবনগর)-এ বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ নেয়। এই এলাকাটি তখন “বৈদ্যনাথতলা” নামে পরিচিত ছিল, পরে নাম পরিবর্তন হয়।

3. ব্রিটিশ আমলের নীলকুঠি: Bhatpara ও Amjhupi Nilkuthi
গাংনী উপজেলার Bhatpara-তে একটি নীলকুঠি রয়েছে যা ব্রিটিশ আমলে ১৭৭৮ সালে তৈরি। Amjhupi Nilkuthi ও অন্যান্য নীলকুঠি ঐতিহাসিক এবং পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

4. স্থানীয় নদীর অবস্থা ও নদীভিত্তিক পরিবর্তন
মেহেরপুরের বেশ কিছু নদী রয়েছে--যেমন ভৈরব নদী, কাজলা, মাথাভাঙ্গা প্রভৃতি। কিন্তু অনেক নদী আজ প্রায় মৃতপ্রায়, জল প্রবাহ কম, পুরাতন নদীপথ ও শাখাগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে।

5. বিভিন্ন বিল ও হাওড়
জেলার মধ্যে বহু বিল ও হাওড় আছে যেমন: ধরলার বিল, চাঁদবিল, কলার বিল, পটাপুকুর বিল, গোপালপুর বিল, বাদমানডি বিল, সালিকা, তেরাঘরিয়া বিল, এলাঙ্গি বিল ইত্যাদি। এগুলো স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য মৎস্য আহরণ, প্রচলিত পরিবহন বা সেচ ও কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

6. আবহাওয়া ও জলবায়ু বৈশিষ্ট্য
গরমের মাসে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩৭.১°C, শীতকালে সর্বনিম্ন প্রায় ১১.২°C। বার্ষিক বৃষ্টিপাত প্রায় ১,৪৬৭ মিলিমিটার।

7. প্রাচীনতম পৌরসভাগুলোর একটি
মেহেরপুর পৌরসভাটি অনেক পুরোনো; ইতিহাসে জানা গেছে এটি পুরাতন সময় থেকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্র। যদিও কিছু উৎস বলেছে ১৮৫৯ সালে মেহেরপুর গ্রাম—নাদিয়া জেলার অংশ থাকাকালীন—এ অঞ্চলে পৌর প্রতিষ্ঠান শুরু হয়েছিল।

8. গ্রামীণ-লোকসংস্কৃতি ও গান
এখানে বাউল গান, মানিকপীরের গান, গাজীর গীতি, ভাবগান, কবিগান, পুঁথিপাঠ ইত্যাদি লোকসংস্কৃতির ধরণ এখনও ক্রিকেটে সক্রিয় আছে।

9. বাণিজ্যিক ও কৃষি বৈচিত্র্য
মেহেরপুরে ধান, গম, পাট, আলু, নানা ধরনের সবজি ও ফলের চাষ হয়। বিশেষভাবে লিচু ও আম জনপ্রিয়। এছাড়া মৎস্য আহরণও একটি বড় অর্থনৈতিক উৎস।

19/09/2025
06/04/2025

From the streets of Dhaka to the ruins of Rafah — we remember you. 🇧🇩🇵🇸

©Anirban Kaisar

05/04/2025

স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ 15 দিনে অংশগ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধের সম্পূর্ন ক্রেডিট নিয়ে নেওয়ার পেছনে লুকিয়ে থাকা ভয়ানক ইতিহাস।

Address

Fulbaria

Telephone

+8801972616975

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tanvirul Islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Tanvirul Islam:

Share