20/05/2025
অনেকেরই প্রশ্ন! আমি কিভাবে বুঝবো আমার জিন-যাদুর সমস্যা আছে কি না? এখানে বেশ কিছু লক্ষণ দেয়া হলো। বেশ কিছু লক্ষণ মিলে গেলেই বুঝতে হবে আমার জিন-যাদুগত সমস্যা আছে।
ক- ঘুমন্ত অবস্থায়:-
★ ঘুম হয় না। যার কারণে সারারাত শুয়ে থাকলেও অনিদ্রায় কাটানো
★ উদ্বিগ্নতা:হঠাৎ ঘুমের ভিতর লাফিয়ে ওঠা।
★ বোবায় ধরা: ঘুমের মাঝে কেউ চেপে ধরে খুব কষ্ট হয় , প্রায়ই রাতে এমন ঘটনা ঘটে !!
★ ঘুমের মাঝে প্রায়াই চিৎকার করা, গোঙানো, হাসি-কান্না করা
★ ঘুমন্ত অবস্থায় হাঁটাহাঁটি করা।
★ স্বপ্নে নিজেকে অনেক উঁচু কোনো যায়গা থেকে পড়ে যেতে দেখা।
★ স্বপ্নে মানুষের আকৃতির মতো ভয়ংকার কাউকে দেখা যেমন বেশ লম্বা, অনেক খাটো, মিডিয়াম ,অনেক সাদা, অনেক কালো, অথবা কেউ আপনাকে হত্যা করার চেষ্টা করছে ইত্যাদি।
★ স্বপ্নে কোন প্রাণী দেখা যেমনঃ কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, পেঁচা, সিংহ, শিয়াল, ষাড়, সাপ,বানর,পাখি,
আবার এমন হতে পারে এই প্রাণীগুলো আপনাকে আক্রমণ করতে চায় অথবা আক্রমণ করে।
★ স্বপ্নে গোরস্থান বা পরিত্যক্ত যায়গা, কোনো নির্জন স্থানে নিজেকে বারবার দেখা। অথবা কোনো মরুভূমি বা সাগর, নদীর পাড়ে নিজেকে দেখা।
★ স্বপ্নে জ্বিন-ভুত দেখা।
★ স্বপ্নে জিনা ব্যভিচার দেখা। মাহরামদেরকেও এই অবস্থায় স্বপ্নে দেখা।
★ বেশি বেশি স্বপ্নদোষ হওয়া।
★ স্বপ্নে নিজেকে উড়তে দেখা।
★ কোন বিপদ হলে সেগুলো আগে স্বপ্ন দেখা।
★ স্বপ্নে প্রায়ই বিভিন্ন জিনিস খাওয়া।
খ- জাগ্রত অবস্থায়:-
★ দীর্ঘক্ষন মাথাব্যথা : ডাক্তারের চিকিৎসায় তেমন কোন কাজ হয়না।
★ ইবাদত বিমুখতা: সালাত,যিকির, তিলাওয়াতে সময় দিতে ইচ্ছে করে না।ইবাদত বন্দেগীতে প্রচন্ড অনীহা, অস্বস্তি। ইবাদত বন্দেগীতে সমস্যার বৃদ্ধি।
★ অল্পতেই প্রচন্ড রেগে যাওয়া।
★ শ্বাসকষ্ট হওয়া যা দীর্ঘ চিকিৎসায় ভালো হয়না।
★ মৃগীরোগ, খিচুনী
★ শরীরের একাধিক স্থানে ব্যথা দৌড়াদৌড়ি করা কিংবা কোন অঙ্গ অকেজো হয়ে যাওয়া যাওয়া বা প্যারালাইজড হওয়া (spasticity, sclerosis) । যা ডাক্তারি চিকিৎসায় ভালো হয় না কিংবা অই সমস্যার কারণ ডাক্তার বের করতে পারে না।
★ একা একা কথা বলা আবার অনেক সময় ভিন্ন ভাষায় কথা বলা যে ভাষায় কথা বলতে সে অভ্যস্ত নয়।
★ স্বামী হঠাৎ স্ত্রীকে সহ্য না করা কিংবা স্ত্রী স্বামীকে সহ্য না করা, তাদের মাঝে দৈহিক সম্পর্কের অনীহা সৃষ্টি হওয়া কিংবা দীর্ঘদিন মিলন না করা।
★ বিয়ের কথা শুনলেই মেজাজ বিক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়া, কিংবা ক্রোধ তৈরি হওয়া। বিয়ের কথা আসলেই অসুন্দর হয়ে যাওয়া।
★ নিজের অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক সময় মাথায় অশ্লীল চিন্তা ঘোরাফেরা করা।
★ প্রায়ই অদ্ভুত আওয়াজ শোনা অথবা নাম ধরে ডাকা যা অই ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ শুনতে পায় না।
★ মাঝে মাঝে কোন কিছুই ভালো লাগেনা আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করে।
★ ভালো মানুষ হঠাৎ মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়া।
★ ভালো মানুষ হঠাৎ নাস্তিক টাইপের কথা বলা।
★ প্রায় সময় মনে হয় কেউ একজন ফলো করছে অথবা পিছনে পিছনে হাঁটছে।
★ অনিয়মিত পিরিয়ড হওয়া, যেমন: এক মাসে দুইবার হওয়া আবার অনেকের দুই মাসেও একবার হয় না।ঋতুস্রাবের অস্বাভাবিকতা (কম/বেশি, প্রচন্ড যন্ত্রণা ইত্যাদি)।
★ পুরুষদের প্রস্রাবে সমস্যা (Infection)।
★ প্রায় সময় ঘুম থেকে উঠার পর কোন কারণ ছাড়াই লজ্জাস্থানে ব্যথা অনুভব হওয়া। কিংবা দূর্বল লাগা বা জয়েন্টে ভাথা অনুভুত হওয়া।
★ ঘাড়ে, পিঠের উপরের অংশে ব্যথা।
★ মেরুদন্ডের নিচের দিকে ব্যথা।
★ প্রায় সময়ই শরীরে জ্বরজ্বর ভাব থাকা।
★ চোখের অবস্থার অস্বাভাবিকতা। কিংবা দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া।
★ পেটে বিভিন্ন সমস্যা লেগেই থাকা।
★ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা।
★ রুচি ও ক্ষুধা কমে যাওয়া, সর্বদা পেট ভরাভরা অনুভব করা।
★ প্রায় সময়ই বমিবমি ভাব।
★ প্রচন্ড গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা।
★ পেটে কোনো সমস্যা/অসুখ আছে, টেস্টে ধরা পড়ে না।
★ স্বামী/স্ত্রী/পরিবার/সমাজের প্রতি প্রচন্ড বিতৃষ্ণা/বিরক্তি অনুভব।
★ বিকেলে/সন্ধ্যার দিকে প্রচন্ড বিষন্নতা, মেজাজ খারাপ থাকা।
★ মাথা সবসময় ভারী হয়ে থাকা।
★ মাথায় প্রচন্ড উত্তাপ অনুভব।
★ প্রচন্ডভাবে ওয়াসওয়াসা বেড়ে যাওয়া।
★ কোনো রোগ দীর্ঘ্য-চিকিৎসায়ও ভালো না হওয়া।
★ শরীরে (ঘামে) পোড়া-পোড়া গন্ধ।
★ পঞ্চইন্দ্রীয়ের কোনো একটি দুর্বল বা অকেজো হয়ে যাওয়া।
★ শরীরের কোনো অঙ্গে সর্বদা ব্যথা থাকা।
★ পুরো শরীর অশাড়/নিশ্চল হয়ে যাওয়া।
★ চেহারা ধুসর/হলুদ হয়ে যাওয়া।
★ বুক ধড়পড় করা, দমবন্ধ অস্বস্তি লাগা।
★ অহেতুক মেজাজ বিগড়ে থাকা।
★ আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের সাথে দেখা হলেই ভালো না লাগা।
★ অতিরিক্ত চুল পড়া। শ্যাম্পুতে কাজ না করা।
★ ব্যবসা বাণিজ্যে ঝামেলা লেগে থাকা। কিংবা নির্দিষ্ট একটা সময় থেকে হুট করে ব্যবসা কলাপ্স করতে থাকা।
★ যে কাজে অভিজ্ঞ সেটা করতে গেলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া, কিংবা হুট করে অনীহা চলে আসা।
★ বন্ধ্যাত্ব- মেডিক্যাল কোনো কারণ ছাড়াই স্বামী-স্ত্রীর দীর্ঘদিনের বন্ধ্যাত্ব।
এছাড়াও আরো অনেক কারণ রয়েছে।
এখান থেকে যদি তিন চারটা কারণও আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে আপনি রুকইয়াহ করান।