18/09/2025
১৯৪৭ সালের দেশভাগের আগে এবং পরে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় ভয়ঙ্করভাবে অনেক মানুষ প্রাণ হারায়। ঐতিহাসিক নথি ও গবেষণা থেকে পাওয়া কিছু নির্ভরযোগ্য তথ্য নিচে দিলাম:
দেশভাগের আগের দাঙ্গা (১৯৪৬–৪৭)
গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং (আগস্ট ১৯৪৬): প্রায় ৪,০০০ মানুষ নিহত হয়, প্রায় ১ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছিল।
নোয়াখালী দাঙ্গা (অক্টোবর ১৯৪৬): সরকারি হিসাবে কয়েকশত, আর বেসরকারি হিসাবে প্রায় ৫,০০০ পর্যন্ত মানুষ নিহত হয়েছিল।
বিহার দাঙ্গা (১৯৪৬ শেষ ভাগ): আনুমানিক ৭,০০০–৮,০০০ মানুষের মৃত্যু।
দেশভাগের সময় ও পরের দাঙ্গা (১৯৪৭–৪৮)
ভারত–পাকিস্তান বিভাজনের পর কয়েক মাসে হিন্দু, মুসলিম ও শিখ সম্প্রদায়ের উপর ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ হয়।
বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্র অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ২ লাখ থেকে ২০ লাখ পর্যন্ত বলা হয়ে থাকে।
সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অনুমান হলো প্রায় ১০ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল এবং প্রায় ১.৪ থেকে ১.৮ কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছিল।
👉 সহজভাবে বললে:
দেশভাগের আগে (১৯৪৬ সালে বড় বড় দাঙ্গা): প্রায় ১৫,০০০–২০,০০০ মানুষ নিহত।
দেশভাগের সময় ও পরে (১৯৪৭–৪৮ সালে): প্রায় ১০ লাখ (কিছু সূত্রে ২০ লাখ পর্যন্ত) মানুষ নিহত।
বর্তমান সময়ে এসে এই দাঙ্গার প্রভাব আরও প্রশমিত হওয়া শুরু হয়েছে। এর প্রভাব পশ্চিম বঙ্গে ব্যাপকভাবে পড়বে যদি কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা পশ্চিম বঙ্গে ক্ষমতায় আসতে পারে। কারণ তাদের পূর্ব পুরুষদের ইতিহাস তারা বারবার স্বরণ করে। আর করবেই না বা কেন! পাকিস্তানের মুসলিম লীগের কারণে এইসব দাঙ্গার সূত্রপাত হয়েছিলো। এর সাথে এসব দাঙ্গায় পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলো বৃটিশরা। এর ফলে প্রথম ধাপে হিন্দুরা আক্রমণের শিকার হয়,,, আর পরবর্তীতে মুসলিমরাও আক্রমণের শিকার হয়, এর সাথে শিখরাও আছে।
আপনি যদি ধর্মীয় দিক থেকে একগুঁয়ে বিশ্লেষণ না করেন তাহলে পাকিস্তানের হিন্দু সম্প্রদায়ের দিকে তাকালে কত % হিন্দু বাস করে আর তাদের জীবনমান কেমন বুঝতে পারবেন।
অন্য দিকে ভারতে আজও ৩০ কোটিরও বেশি মুসলিমের বাস যাদের মধ্যে প্রায়ই উন্নত জীবনযাপন করে।
দেশ ভাগের আগে এবং পরে ভারতে মুসলিমরা দাঙ্গার শিকার হয়েছে কিন্তু এতো সংখ্যা নিয়েও কৌতুহল জাগে আমার! আসলেই হিন্দুরা যদি পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ চালাতো তাহলে এই সংখ্যা আজ-অব্দি হতো না। কিন্তু পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর যে নির্যাতন হয়েছিলো সেটা অবর্ণনীয়।
হিন্দুদের উপর এই রকম মনোভাব তৈরি হয়েছিলো এই অঞ্চলে মুসলিম শাসনের মধ্যেই। মুসলিমরা যখন শাসন করেছিলো তখন হিন্দু সম্প্রদায় মুসলমানদের সাথে বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধ করেছে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছিলো। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মারাঠিরা। আর সেই সময়ের সংঘাতের রেশ হিসেবে পাকিস্তান শাসন গোষ্ঠী পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করে এই দাঙ্গার আশ্রয় নিয়েছিলো।
বাংলাদেশেও প্রভাব পড়ছিলো এইসব দাঙ্গার।
এবং আবারও এই সম্ভাবনা সামনে এসে হাজির,,, যেহেতু ১৯৪৭ সালের আগে এবং পরে এতো সামাজিক যোগাযোগ ছিলো না তাই হয়তো ভারতে মুসলিম গুলো টিকে আছে।
কিন্তু এবার কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ ঠিক আছে। সুতরাং বাঁচার সম্ভবনা নেই বললেই চলে। আর এর প্রভাব বাংলাদেশেরও পড়বে।
বিজেপি যদি পশ্চিম বঙ্গের ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে হয়তো এই অঞ্চলের মানে বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য জায়গা তৈরি করে নিতেও পারে। আর যেদিন এটা ঘটবে ঠিক তার পরের বছরেই ভারতের মুসলমানদের উপর চরম নির্যাতন শুরু হতে পারে।
যার প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে কারণ বহু মুসলমানদের আশ্রয় দেওয়ার মত জায়গা আমাদের নেই। মানবিক বিপর্যয় মারাত্মক আকারে দেখা দেওয়ায় সম্ভবনা দেখা দিচ্ছে। অনেকে হয়তো আমার এই কথা এড়িয়ে যেতে পারেন। কিন্তু এটা সত্যি হওয়ার সময় সামনেই আসতেছে।
এইসবের জন্য আবারও দায়ী করা যেডে পারে USA প্রভাব,,, যাইহোক এই সময়ে ভারতের মুসলমানদের উপর পুরো ভারতের সমস্ত হিন্দু সম্প্রদায়কে একেবারে আক্রমণ করার জন্য আহ্বান করবে কট্টরপন্থী হিন্দুরা।
আমার এই কথা এড়িয়ে যাওয়ার আগে বিভিন্ন দেশের মুসলিম নির্যাতন প্রকট হচ্ছে সেটার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
তাই আমি বলতে চাই ধর্মের রাজনীতি বন্ধ করে,, স্বাভাবিক থাকুন সবাই আর বিদেশি শক্তির প্রভাব থেকে দেশকে রক্ষা করুন। আমরা আর দাঙ্গা চাই না এসবে কোনো লাভ নেই বললেও আমার এই কথার প্রভাব কম।
মানুষের ব্রেন ওয়েভে দাঙ্গা করার মত প্রভাব চলে এসেছে। এটাও প্রাকৃতিক নিয়মে মানুষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য । মহামারী কিংবা মহা যুদ্ধ না হলে মানুষের বৃদ্ধি কমবে না।
আর পৃথিবী অচল হয়ে যাবে।
আর একটা ইতিহাস "গজওয়াতুল হিন্দ" যেটার জন্য মুসলিমরা প্রস্তুতি নিয়ে আছে। কিন্তু কেন? মানুষ মারার জন্য!!
হায়রে পৃথিবী!! 🙏🙏🥲