Tanvir Ahmed

Tanvir Ahmed Who?

ব্যাটায় কামডা কি করছে 🥸 ভুল করে আবার আমিন লিখতে যায়েন না। 🥸🥸চ্যাট জিপিটি & উইল স্মিথ 🥵
31/03/2023

ব্যাটায় কামডা কি করছে 🥸 ভুল করে আবার আমিন লিখতে যায়েন না। 🥸🥸
চ্যাট জিপিটি & উইল স্মিথ 🥵

31/03/2023

মুনজেরিন শহীদ নিজে সারাদিন পড়ালেখা করে অক্সফোর্ডে গেসে এবং তার সিজি অনেক হাই।

বাট আমারে আপনারে পরামর্শ দেওয়ার সময় সে বলবে, আরে এতো পড়তে হয় না, অমুক কোর্সটা করলেই তুমিও চ্যালচ্যালাইয়া এই করতে পারবা, সেই করতে পারবা। প্যারা নাই, চিল।

আমার আব্বু একটা কথা বলতো, লেখাপড়াও একটা ইবাদত। এবং এই ইবাদাতের ভারটা তোমার নিজের বহন করতে হবে, আরেকজন কী বললো, সেইটা শুনে কখনও নিজের রাস্তা ঠিক করবা না।

আপনার টিউশন মাস্টার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিবে যাতে ঐ পরামর্শে তার টিউশনিটা অন্তত বাচে। মুনজেরিন বা আয়মান সাদিকদের পরামর্শ জুড়ে থাকবে বিজনেস, তাদের লক্ষ্য আপনাকে অক্সফোর্ডে চান্স পাওয়ানো না, বরং তাদের লক্ষ্য হইতেসে আপনাকে তাদের কোর্সগুলো ধরে ধরে গেলানো। কারণ এইগুলার উপরেই তাদের বিজনেসটা টিকে আছে।

কাজেই, ঐ যে কম পড়তে বলা, পরামর্শটা আপনাকে স্টুডেন্ট হিসেবে না, দেওয়া হয় ক্লায়েন্ট হিসেবে। এই জিনিসটা মাথায় রাখা সবসময়ই জরুরি।

অনলাইন একদিকে যেমন সবকিছু সহজ করসে, আরেকদিকে তেমন এক বস্তা গার্বেজ আইনাও আমাদের সামনে ফালাইয়া দিসে। এই গার্বেজগুলা পার্সোনাল লাইফে যা ই হোক, বিজনেসের ফিল্ডে আইসা হইসে একেকটা বিরাট বিরাট ধান্দাবাজ। এমনকি গ্রামের পোলাপাইনরে ইনসিস্ট করে করে ব্রিটিশ ইংলিশ শেখানোর কোর্সে ভর্তি করানো হইতেসে।

এদের ফাঁদে না পড়ার সবচে বড় সূত্রটা সক্রেটিস বলে গেসে অনেক আগেই। নো দাইসেল্ফ। নিজেকে আগে জানেন। নিজের ক্যাপাবিলিটি আগে শিওর হন। ঈগল আইসা আপনাকে বললো, আরে তুমি তো চেষ্টা করলে আমার চেয়েও বেশি আকাশে উড়তে পারবা, আর আপনি নিজে শালিক হইয়া ঝাপ দিলেন, ঐটা তো আর হইলো না, তাই না?

কেউ আপনাকে অক্সফোর্ড দেখাইলে, হার্ভার্ড দেখাইলে আপনার আগে উচিত নিজের থেকে সার্চ দিয়ে দিয়ে দেখা। এভারেজ কেমন প্রোফাইল ওখানে যায়, সেইটার সাথে নিজের প্রোফাইলের তুলনা করা। তারপর আপনি নিজেই ডিসিশন নিতে পারবেন, আসলেই আপনার ওখানে যাওয়ার সম্ভাবনা কতটুক।

বাংলাদেশের কোন পেইড কোর্সে ভর্তি হওয়ার আগে ইউটিউবে ঐ সেইম কন্টেন্টটাই সার্চ দেন। কোর্সেরাতে সার্চ দেন। ১০০% কোর্স ফ্রিতে পাওয়ার কথা। ঐগুলাই করে ফেলেন, আপনার প্রবলেম সলভ হয়ে যাওয়ার কথা।

ক্যারিয়ার রিলেটেড প্রশ্নগুলোর ক্ষেত্রে কোন সেলিব্রিটি কী বললো, সেইটা না শুইনা নিজের সিনিয়রদের কাছে থেকে শুনেন। ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড আর ফাইন্যান্সিয়াল কন্ডিশন ভালোভাবে বললে টিচার আর সিনিয়ররাই আপনাকে সবচে ভালো গাইডলাইনটা দিতে পারবে। অনেক সময় নিজের বন্ধুও হেল্প করতে পারে, যারা জানে আর কী।

এর বাইরে অনলাইনে বা অফলাইনে যারাই আপনাকে সোনার বাটি রূপার বাটি দেখাইতে চাইবে, হোক সে অক্সফোর্ডের বা স্ট্যানফোর্ডের, এদের চে একশো হাত দূরে থাকেন।

কম পড়ে, কম পরিশ্রম করে কোনদিন ভালো কিছু কেউ পায় নাই। যদি কেউ দাবি করে সে কম পরিশ্রম করেই অক্সফোর্ড হার্ভার্ড জয় করে ফেলেছে, তাহলে নিশ্চিত করেই ধরে নিতে পারেন, সে অসৎ, মিথ্যাবাদী এবং ভন্ড।

©সাদিকুর রহমান খান

31/03/2023

আমার জানা মতে ইংরেজি ভাষার কোন দেশে নারীদের “স্যার” সম্বোধন করা হয় না। করা যায় না। নারীদেরকে স্যার বললে উল্টো অপমানসূচক মনে করা হয়।

আমাদের দেশে নারীদেরকে স্যার সম্বোধনের প্রচলনটা অল্প কয়েক বছর পুরানো, এবং খুব সম্ভবত ভারত থেকে ধার করা। এ নিয়ে কি কোন তথ্য নির্ভর প্রবন্ধ আছে?

“ম্যাডাম স্যার” আরেকটা অদ্ভুত সম্বোধন!

09/01/2023

Hello there! Let's continue building our community with interesting discussions and engaging posts.

18/07/2022

যেকোনও বাটপারের সফলতার জন্য সমাজে কিছু গাড়ল থাকতে হয়। যেমন সীমান্তের পিলারের অলৌকিক শক্তি আছে বলে যে বাটপারটা বাটপারি করে, তার সফলতার জন্য ওই গল্প বিশ্বাস করবে এমন গাড়লকূল দরকার। এই গাড়লগুলাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখায় দিলেও তারা বাটপারকে পীর মানবে।

18/07/2022

বহুদিন আগে আমার বাবা তার খালি জমিতে একটা গরিব পরিবারকে থাকতে দিয়েছিলেন।
বেশ কয়েক বছর পর বাবা বাড়ি করার জন্য জমিটা ছাড়তে বললে তারা ছাড়তে রাজি হলো না। পরে অনেক কসরত করে, টাকা পয়সা দিয়ে তাদেরকে সরানো হয়েছিল।
শুনে যা বুঝলাম, তাহলো একটা জমিতে অনেকদিন থাকলে নাকি তাতে তার অধিকার জন্মে যায়।
আমিতো অবাক। দয়া করে থাকতে দিয়েছে। কোথায় কৃতজ্ঞ হবে, তানা উল্টো দখল করে বসে আছে। ভাবলাম জমির ব্যাপারতো
তাই লোভ সামলাতে পারেনি।

আমি যেখানে থাকি সেখানে এক রিক্সাওয়ালা আছে আমার দেশি। বাজারে সে থাকলে আমি তার রিক্সাতেই আসি। বাজার থেকে আমার বাসা পর্যন্ত ভাড়া ৪০ টাকা ফিক্সড। তবে আমি নিয়মিত ৫০ টাকা দিতাম।
একদিন আমার কাছে খুচরা ৪৫ টাকা ছিলো। ঐ টাকাই দিলাম। টাকাটা দেয়ার সাথে সাথে একরকম চিৎকার করে উঠলো, “ আর ৫ টাকা ? " আমি কিছুক্ষন চুপ থেকে বললাম, " ভাড়াতো ৪০ টাকা, বাকি ৫ টাকা ফেরত দেন। "লোকটা হেসে বলল না সবসময়তো ৫০ টাকা দেন তাই কইলাম। ভাবলাম থাক গরিব মানুষতো, তাই এমন করলো।

আমার এক প্রতিবেশী।
রোজ বাচ্চাকে স্কুলে দিতে যায়। তার গোয়ালাটা সে ফেরার আগে দুধ নিয়ে আসে। আমি বাড়িতে না থাকায় সেই দুধ নেয়ার দায়িত্বটা আমার কাজের লোকের উপর পড়ে।
প্রতিবেশি হিসেবে এটুকু উপকারতো করতেই হয়। একদিন আমার কাজের লোকটি কোথাও একটা কাজে বেড়াতে গেছে, দুধটা আর নেয়া হয়নি।
আমি বাসায় ফেরার পর উনি এসে বলল,
" আপনার কাজের লোক কোথায়? "
-- একটু বেড়াতে গেছে।
--আমাকে আগে বলল না। এখন দেখেনতো আমার ছোট ছেলেটা কি খাবে ?
আগে বললে আমি অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতাম।
--ভাবি ও হয়তো ভুলে গেছে।
--না যাই বলেন কোনো দায়িত্ব নিলে ঠিক ভাবে পালন করতে হয়।
--ভাবি ও হয়তো আপনার এই দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত পারিশ্রমিক পায়না তাই অবহেলা করেছে। আপনি বরং দায়িত্বটা অন্য কাউকে দিয়েন।
সে কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থেকে গটগট করে চলে গেলো।
ভাবলাম, অল্প শিক্ষিত মহিলাতো তাই এমন আরকি।

আমার এক কলিগ। গর্ভবতী হয়ে অফিসে কাজ করেন, আমি তার কষ্ট দেখে তার একটা কাজের দায়িত্ব নিজে থেকেই নিলাম।
সে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে গেলো। সে ফিরেও এলো। তাকে কাজটা ফিরিয়ে দিতে চাইলে সে গরিমসি শুরু করলো। ভাবটা এমন যে কাজটা আমারই ছিলো। এবার ভাবনাটা বদলালাম।

আসলে মানুষ একটা সুবিধা বেশিদিন ভোগ করলে সেটাকে তার অধিকার ভেবে নেয়।
ভুলে যায় --"It's facility, not right."
তাই শুধু সুবিধা দেয়া নয়, নেয়ার ক্ষেত্রেও সাবধান থাকা দরকার।
হিউম্যান বিহেভিয়ার খুব অদ্ভুত। এটা প্রায় সবার ক্ষেত্রেই কাজ করে।

টিউশনি করানোর সময় আন্টি প্রতিদিন নাস্তা দিতেন। হঠাৎ টানা ২-৩ দিন নাস্তা না দেয়ায় আমার খুব খারাপ লেগেছিল, আরে নাস্তাই দিল না।
পরে অবশ্য আমার নিজের আচরণে আমি নিজেই অবাক হই। আমার সাথে তো কখনো অভিভাবক এর নাস্তা নিয়ে চুক্তি হয়নি,
তারা তো আমাকে নাস্তা দিতে বাধ্য নন।
বরং নাস্তা দেয়ার জন্য আমার তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিৎ ছিল।
কোনটা অধিকার আর কোনটা অতিরিক্ত পাচ্ছি, সেটা বোঝা জরুরি।।

[সংগৃহীত] বাংলাদেশ ভ্যাট স্কুল Bangladesh VAT School

18/07/2022

যেভাবে চলছে দেশীয় কর্পোরেট জগৎ...

আমরা যেসব কোম্পানির চাকরি পেলে নিজেকে ধন্য মনে করি, সেই বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর (MNC) যাত্রা কিন্তু শুরু হয় কোনো না কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানি হিসেবেই। ব্যবসা যখন ক্রমশ সম্প্রসারিত হয়, সময়ের প্রযোজনে, বাস্তবতার নিরিখে এক পর্যায়ে মালিকপক্ষ কোম্পানির ভার/দায়-দায়িত্ব দক্ষ পেশাজীবীদের (corporate body) হাতে ন্যস্ত করেন। তারা তখন পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কোম্পানিকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। এভাবেই পৃথিবীর প্রত্যেকটি বহুজাতিক কোম্পানির জন্ম ও পথ চলা।

এক পর্যায়ে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর একক মালিকানা বলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না বললেই চলে, তারপরও কোম্পানিগুলো বেশ ভালোভাবেই চলতে থাকে; এমনকি দীর্ঘকাল সগৌরবে টিকেও থাকে। কারণ সেখানে কোনো মালিক না থাকলেও সিস্টেম আছে, আছে সুনির্দিষ্ট process। লাখ লাখ তরুণ তাই MNC-তে ঢোকার জন্য তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অবতীর্ণ হন এবং যোগ্যতমেরা সেখানে বছরের পর বছর সদর্পে চাকরি করেন। কেউ কেউ নিজ দক্ষতা ও যোগ্যতায় শীর্ষ পর্যন্ত পৌঁছেও যান।

প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া কোনো কোম্পানি কেন আজ অবধি বহুজাতিক (MNC) রূপ লাভ করল না? কারণটা খুবই স্পষ্ট- কোনো মালিকের বুকের পাটা এতোটা বড় নয় যে, নিজের মাতব্বরি কমিয়ে যোগ্য পেশাদার নেতৃত্বের হাতে কোম্পানির পুরো দায়-দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সাহস রাখেন! দিন শেষে তারা বহু মানুষের শ্রমে-ঘামে তিল তিল করে গড়ে ওঠা কোম্পানিকে ব্যক্তিগত সম্পত্তিই মনে করেন! অনেক ক্ষেত্রে quality-এর চেয়ে তাঁরা loyalty-কেই বেশি প্রাধান্য ও গুরুত্ব দেন!

ইদানীং কোনো কোনো মালিক পেশাদার CEO নিয়োগ দিলেও চেক-এর পাতায় স্বাক্ষরের ক্ষমতা কিন্তু নিজের কাছেই রেখে দেন!! বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতে বাজেট অনুযায়ী যে যার বিভাগের অর্থ ব্যয় করার সুযোগ পান। তাই বলে কি সেখানে সব টাকা লোপাট হয়ে যায়? যায় না। কারণ খরচেরও যথাযথ সিস্টেম ও process আছে। আর এদিকে আমাদের দেশীয় কোম্পানির কর্মীরা revenue-এর top line-টা (যেহেতু তারাই সেটা আয় করে আনেন) জানতে পারলেও bottom line-টা (Net profit) চিরকাল গোপন রাখা হয়। হায়, কর্মীদের সমন্বিত মেধা ও নিরলস পরিশ্রমে কোম্পানি প্রকৃতপক্ষে কত টাকা লাভ করল, কর্মীরা সে খবরটুকু কোনোদিন জানতেও পারেন না!

এর পাশাপাশি চলে ভ্যাট, ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা আর প্রত্যেক মাসে নিয়ম করে হুন্ডির মাধ্যমে সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ায় টাকা পাচার করে তথাকথিত ‘সেকেন্ড হোম’ (তত্ত্বাবধায়ক সরকার-এর আমলে সপরিবারে পালানোর জায়গা) গড়ে তোলার প্রবণতা!

মালিকপক্ষ কোম্পানিকে লাভজনক করার জন্য যত ফাঁক-ফোকড় খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন, যোগ্যতমদের সমন্বয়ে কোম্পানি চালালে নিয়মতান্ত্রিক উপায়েই তারচেয়ে বেশি লাভজনক করা সম্ভব। Process develop করে পর্যায়ক্রমে ownership বিভিন্ন স্তর-এ বণ্টন করে দেওয়া উচিত, কিন্তু তা না করে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখলে এক পর্যায়ে কোম্পানির গতি মন্থর হয়ে পড়তে বাধ্য।

কোম্পানিকে লাভজনক রাখার জন্য যতটা ভাবতে হবে, তারচেয়ে বেশি ভাবা উচিত কোম্পানির দীর্ঘস্থায়ীত্ব নিয়ে। সুদূরপ্রসারী চিন্তা-ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শুধুমাত্র যোগ্য লোক নিয়োগ করলে বাকি সবকিছু ঠিকঠাক মতো চলবে।

এক শ্রেণীর মালিক আবার কোম্পানির ভেতরে `Sunset Reporter' নিয়োগ করেন! এরা নিম্ন পদে (পিওন, ড্রাইভার, ক্লিনার ইত্যাদি) চাকরি করলেও তলে তলে বিশাল ক্ষমতার অধিকারী। মালিক এদেরকে GM, HOS-এর চাইতেও বেশি বিশ্বাস করেন এবং সরাসরি access দেন! এদের কাজ হলো মালিকের অনুপস্থিতিতে কে কী বলল, কী করছে সবকিছু মালিককে টেলিফোনে অবহিত করা। এরা যা-ই বলুক, মালিক সব বিশ্বাস করেন এবং সেই অনুযায়ী action-এ চলে যান। মালিকপক্ষ মনে করেন, কোম্পানির ভেতরে এ রকম বিক্ষিপ্ত কিছু নিজস্ব সোর্স থাকা মানে কোম্পানির সর্বত্র নিজের প্রভাব ধরে রাখা। এই সুযোগে অযোগ্য কিছু কর্মী মালিকের`Sunset Reporter'-দের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করে পিঠ বাঁচিয়ে চলেন, কিন্তু যোগ্য পেশাজীবীরা কখনোই এসব নোংরামিকে প্রশ্রয় দেন না। পরিস্থিতি সহ্যের বাইরে চলে গেলে তারা নিজেদেরকেই বরং গুটিয়ে নেন (মানে চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান)। আচ্ছা বলুন তো, ভালো লোকদের বেশিদিন ধরে রাখতে না পারলে কোম্পানি কি কখনোই শক্ত ভিত-এর ওপরে দাঁড়াতে পারবে?!?

যাদের কাছ থেকে মালামাল না পেলে ফ্যাক্টরির চাকাই ঘুরবে না, সেই কাঁচামাল সরবরাহকারীদের নায্য পাওনা সময়মতো পরিশোধ করতে বললে হিসাব বিভাগ মুখের উপর বলে দেয়- ফান্ডে টাকা নেই, কয়েকটা দিন (আসলে কয়েকটা মাস) অপেক্ষা করেন; তাজ্জব ব্যাপার- মালিক বললে সেই হিসাব বিভাগই মুহূর্তের মধ্যে টাকার বস্তা এনে হাজির করে (তখন আর তহবিলে ঘাটতি হয় না)! বলি- টাকা কি তখন ভুতে যোগায় নাকি?!?

এতোকিছুর পরেও নানা চাপাচাপিতে এবং বিক্রয়শিল্পীদের অসামান্য পারদর্শীতায় কোম্পানিগুলোর revenue তথা বাইরের দিকে শাখা-প্রশাখা হয়ত বাড়ে, কিন্তু সেই অনুপাতে মাটির নিচের শেকড় সমানতালে ছড়ায় না। নিশ্চিত করে বলতে পারি- এভাবে চলতে থাকা কোনো কোম্পানিই শেষ পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকবে না; অল্প ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছের মতোই তাদের অনিবার্য ধ্বংস খুব বেশি দুরে নয়।

পুনশ্চ :- সন্তান জন্ম দেওয়ার অধিকার আছে বলেই কোনো বাবা-মা কিন্তু সন্তানকে হত্যা করার অধিকারপ্রাপ্ত হন না। দেশী কোম্পানির মালিকেরাই ক্ষেত্রবিশেষে তাঁর প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘস্থায়ীত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ!

18/07/2022

বই পড়া ছেড়ে দিচ্ছে মানুষেরা সারা দুনিয়াতেই। বইয়ের ব্যবসা তার লাইফ সাইকেলের শেষ পর্যায়ে পৌছেছে। ছাপানো বই মানুষ আর পড়বে না। আমার প্রফেসর কিছুদিন আগে ক্লাস নেয়ার সময়ে বলছে, এই বইগুলো আমার রিকমেন্ডেশন যদিও জানি তোমারা এগুলো কখনো পড়বে না।

মানুষ কি তাহলে জ্ঞানের জগত থেকে সরে এসেছে? না সেটা আসেনি। সে অন্য মাধ্যমের উপরে নির্ভর করছে। সে ভিডিও দেখছে, অডিও বুক শুনছে। একাডেমিয়াতে ই বুকের ছড়াছড়ি। কোর্সে টিচার ছাত্রদের ই বুক দিয়ে দেয়। কপিরাইট ফ্রি ইন্টারনেট লাইব্রেরি আছে। সেখানে (বাংলা ছাড়া) প্রায় সব ভাষার বই বিনা পয়সায় ডাউনলোড করে পড়া যায়।

বই বিক্রি তাও চলবে। অন্তত সেল্ফ সাজানোর জন্য। এক ধরণের মানুষ আছে যারা বই কেনে তারা কিন্তু পড়েনা। তার মানে দুনিয়াতে যতো বই বিক্রি হয় ততো বই পঠিত হয়না। বই কিনে সেটা না পড়ার এই ফেনোমেননকে বলে বিবিলিওম্যানিয়া। বিবিলিওম্যানিয়ার অনেক কারণ আছে। একটা তো দেখানো, প্রদর্শনবাদিতা, যে "দেখো আমি বই পড়ি, আমি কতো জ্ঞানী রে"। আর আরেকটা হচ্ছে "অবসেসন"। গহনা কেনার অবসেসনে ভোগেন অনেক নারী। গহনা কেনেন কিন্তু পরেন না। ইমেলদা মার্কোসের জুতার অবসেসন ছিলো। যতো জুতা ছিলো তা পরেন নাই কখনো জিন্দেগীতে।

বই না ছুয়ে গ্রাজুয়েশন এমনকি মাস্টার্স করা যায়। ছাপা বইই যদি না থাকে তবে সামনের দিনগুলোতে জ্ঞানের প্রদর্শনবাদিতার জন্য প্রোডাক্ট লাগবে। সেই প্রোডাক্ট এখনো মার্কেটে নাই। "আমি জ্ঞানি" "আমি সবাত্তে বেশী বুঝি" "অন্যরা মুর্খ" এই তিনটা বাক্য যাদের বেচে থাকার অবলম্বন তাদের সামনে ঘোর দুঃসময়।

দুঃসময় আমারো। ভেবেছিলাম একসময় বই লিখে পেট চালাবো। সেইটা পারা যাবে বলে মনে হচ্ছেনা। অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকায়ে যায়।

এই সাগর শুকায়ে যাওয়ার প্রবাদ কোথায় থেকে এসেছে জানেন?

আমাদের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা ছিলো সিন্ধু সভ্যতা। সম্পদে আর প্রাচুর্যে ভরা। দারুণ নগর, পানি ব্যবস্থাপনা, সুয়ারেজ দিয়ে একেবারে আধুনিক নগরের প্রতিচ্ছবি ছিলো যেন সিন্ধু। কৃষিতে ছিলো আধুনিক সেচ ব্যবস্থা।

সিন্ধু উপত্যকায় ছিলো সাত নদী। আমাদের পুর্বপুরুষেরা বলতো সপ্তসিন্ধু। সপ্ত সিন্ধুর অঞ্চল ছিলো কাশ্মীর পাঞ্জাব সিন্ধু ও আফগানিস্তানের কিছু এলাকা।

এই নদীগুলো এতোই বেগবতি ছিলো যে প্রাচীন মানুষের কাছে ছিলো সাগরের মতো। আমরা এই সাত সাগরের ওপারের জগতকে আলাদা জগত বলে মনে করতাম। একটা গান আছে, প্রেমিক প্রেমিকাকে বলছে, আমি সাত সাগরের ওপার হতে তোমায় দেখেছি আর মন ভ্রমরার কাজল পাখায় ছবি একেছি।

একদিন সেই সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গেলো বন্যা আর খরায়। নিরাশ্রয় উদবাস্তু মানুষ চলতে চলতে এসে পৌছালো স্বরস্বতি নদির তীরে। বিশাল আর বেগবতী স্বরস্বতির তীরে আবার নতুন করে গড়ে উঠতে শুরু করলো সভ্যতা।

স্বারস্বতির তীরে নতুন করে বসতি গড়া মানুষের কাছে স্বরস্বতি শুধু আর নদী থাকলো না হয়ে উঠলো দেবী।

কিন্তু একদিন স্বরস্বতিও শুকিয়ে গেলো। হারিয়ে গেলো তার জলস্রোত। আবার শুরু হলো উদবাস্তুর যাত্রা। আমাদের পুর্বপুরুষের কালেক্টিভ মেমোরিতে জ্বলজ্বল করছে সাগর শুকিয়ে দুইটা সভ্যতার ধ্বংসের করুণ ইতিহাস। জন্ম নিলো প্রবাদের,

"অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকায়ে যায়"

Address

Fulbaria

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tanvir Ahmed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share