Great Mymensingh

Great Mymensingh Historical City

ট্রেনঃ পৃথিবীর সবচেয়ে আন্ডাররেটেড ঘাতকের রহস্য এবং "হ্যাবিচুয়াল কনফিডেন্স"২০১৭ সালের পহেলা এপ্রিল আমেরিকান নিউজ চ্যানেল ...
04/05/2025

ট্রেনঃ পৃথিবীর সবচেয়ে আন্ডাররেটেড ঘাতকের রহস্য এবং "হ্যাবিচুয়াল কনফিডেন্স"

২০১৭ সালের পহেলা এপ্রিল আমেরিকান নিউজ চ্যানেল "এনবিসি" তে একটা আশ্চর্যজনক ভিডিও প্রচার করা হয়। জেফ রোসেন নামের একজন রিপোর্টারের করা এক্সপেরিমেন্টাল রিপোর্ট। এক্সপেরিমেন্টের নাম "আসলেই কি ট্রেন লাইনে দাঁড়ালে পেছনে আসা ট্রেনের শব্দ শোনা যায় না?"

এক্সপেরিমেন্টে পরে আসি। প্রথমে প্রেক্ষাপট।

আমাদের অনেকেরই ধারণা ট্রেনে কাটা পড়ে কেবল বাংলাদেশীরাই মারা যায়। বাংলাদেশের মানুষজন বেকুব, ইতর। তারা সিগন্যাল মানে না। হেডফোন লাগিয়ে লাইনে হাঁটে। ট্রেনে কাটা পড়ার এটাই মূল কারণ।

ট্রেনে চাপা পড়ার এটা অবশ্যই একটা কারণ, কিন্তু একমাত্র না। সম্ভবত সবচেয়ে বড়ো কারণও নয়। মোবাইল ও হেডফোনের সঙ্গে মানুষের পরিচয়ের বয়স ১৫-২০ বছর। তার আগে কি এসব ঘটনা ঘটেনি? অনেক ঘটেছে, প্রচুর ঘটেছে।

ব্রিটেনের মতো দেশে প্রতি বছর ৫০০ টার মতো ঘটনা ঘটে যেখানে লোকজন অসতর্কভাবে ট্রেনের নিচে পড়ে বা একদম শেষ মুহূর্তে উদ্ধার পায়। মানুষ মরে খোদ আমেরিকাতেও। শুধু ২০১৩ সালেই আমেরিকায় ট্রেনের লাইনে জীবন গেছে ৭৮৪ জন মানুষের।

ব্যাক টু এক্সপেরিমেন্ট।

ট্রেনে কাটা পড়ার খবর দেখলে প্রায় প্রত্যেকটা মানুষের মাথায় প্রশ্ন আসে, "লোকটা ট্রেনের শব্দ শুনল না কেন?" এত ভারী একটা বাহন। ঝকঝক শব্দ, হুইসেলের তীব্র আওয়াজ..কিছুই কীভাবে কারো কানে যায় না?

সদূর আমেরিকায় এনবিসি রিপোর্টার জেফ রোসেনও একই ধাঁধায় আটকে যান। ধাঁধার উত্তর না পেয়ে ক্যামেরা সমেত একদিন নিজেই চলে যান ট্রেন লাইনে। ট্রেন আসার উল্টো দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকেন লাইনে। সামনে ক্যামেরা। লোকজন আছে যথাযথ প্রোটেকশন নিয়ে।

কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর একটা ট্রেন আসে রোসেনের পেছনে। সাপের মতো বাক নিয়ে এগোয়৷ কিন্তু একি! রোসেনের খবর নেই! ট্রেন আরো কাছে আসে, তবুও রোসেনের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। একসময় পেছনে ঘাতকের উপস্থিতি টের পান রোসেন, ট্রেন তাকে অতিক্রম করে। তিনি হিসেব কষে দেখেন, ট্রেনের শব্দ প্রথম শোনা ও ট্রেন তাকে অতিক্রম করে চলে যাবার মাঝখানের সময় মাত্র ৫ সেকেন্ড!

আরেকটা ফ্যাক্টর আছে এখানে। এই বিশেষ স্থানে ট্রেনটার গতি ছিল বেশ কম। মাত্র ২৫ মাইল পার ঘন্টা। ইউএসএ তে গড়ে ৭০ মাইল বেগে চলে এই অজগর। আরেকবার হিসেব করা হলো। দেখা গেল, ট্রেনের গতি ৭০ থাকলে রোসেন সময় পেতেন মাত্র দুই সেকেন্ডেরও কম। অর্থাৎ সরে যাবার কোনো সুযোগই ছিল না। (এই ভিডিও লিংক কমেন্ট বক্সে দিচ্ছি)

আমেরিকান জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল 'এনবিসি' অবশেষে স্বীকার করতে বাধ্য হয়, ট্রেনের শব্দ শোনা ব্যাপারটা এতটা সরল না। এসব এক্সিডেন্টে ভিক্টিমের খামখেয়ালির পাশাপাশি আছে বিরাট এক রহস্য। কিছুটা সায়েন্স, কিছুটা সাইকোলজি। সেই রহস্যের ব্যাখা পরে দিই।

গতকালকে এক তরুণ ফটোগ্রাফার মারা গেছে। একটা লাইনে দাঁড়িয়ে সে অন্য লাইনে ট্রেনের ভিডিও করছিল। কেউ বলছে ট্রেন নয়, ফুলের ছবি তোলা ছিল তার উদ্দেশ্য। যাই হোক, ঠিক তখনই পেছন থেকে এসে দ্বিতীয় একটা ট্রেন তাকে ধাক্কা মারে। স্পট ডেড।

দুইটা ট্রেন একসাথে চলে আসার কারণে সবাই ভাবছে এটাই তাহলে মূল কারণ। দুইটা ট্রেনের শব্দকে সে আলাদা করতে পারেনি। হতেও পারে কারণ আসলে তাই। কিন্তু ট্রেন দুইটার জায়গায় একটা হলেও আসলে এমন ঘটার সম্ভাবনা ছিল। এর কারণটা জেফ রোসেন কিছুটা ব্যাখা করেছেন।

আচ্ছা বলুন তো, বাংলাদেশে কত মানুষ এমন দুর্ঘটনায় মারা যায়? এক্সাক্ট ফিগার আমার ধারণা খুব কম মানুষ জানেন।

প্রথম আলো বলছে, ২০২৩ সালে ট্রেনে চাপা পড়ে মৃত্যু ঘটেছে ১ হাজার ৬৪ জনের। দিনে গড়ে প্রায় ৩ জন। মৃত্যুগুলোর বিস্তারিত ক্যাটাগরি আলাদা করা হয়েছে সেই রিপোর্টে।

১০৬৪ জনের ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে মরেছে ২৩ জন, আত্মহনন ও কারণ জানা যায়নি এমন মৃত্যু ১৩৪ টি। সবচেয়ে আলোচিত "কানে এয়ারফোন" ঘটনায় মারা গেছে মাত্র ১৮ জন। ট্রেনের লাইনে বসে গল্প, আড্ডাবাজি ও গেইম খেলা এবং লাইন ধরে হাঁটার সময় এক্সিডেন্টে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০২ জন। রেল ক্রসিং এ প্রাণ গেছে ৩৮৭ জনের।

প্রচুর ঘটনা ঘটেছে যেখানে একসাথে একাধিক মানুষ চাপা পড়েছে। এই সংখ্যা দুইজন থেকে পাঁচজন অব্দি আছে। এখন বলুন তো, পাঁচজন মানুষ যখন এক দল হয়ে বসবে বা হাঁটবে, এদের কানে কি এয়ারফোন থাকার কথা?

এক সঙ্গে সকলে বধির হয়ে গেল কীভাবে? এই ম্যাজিকটা কী?

আমি অনেক ঘাটাঘাটি করেছি। কোনো গবেষণা, কোনো এনালাইসিস কোথাও ঠিকঠাক মতো প্রশ্নটার জবাব দিতে পারেনি। কিন্তু প্রচুর আর্টিকেল পেয়েছি যেখানে এই রহস্যটাকে স্বীকার করা হয়েছে। বহু লোক বলেছেন, তাদের লাইফে এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাদের কানে এয়ারফোন ছিল না, তারা খুব অসতর্ক ছিলেন তাও নয়। শুধু লাইনটার দিকে নজর ছিল না এবং হঠাৎ তারা আবিষ্কার করেছেন গায়ের সাথে ঘেষে একটা ট্রেন বুলেটের মতো চলে যাচ্ছে।

দুর্বল কিছু ব্যাখা আছে। এসব ব্যাখার একাংশ সায়েন্টিফিক, অন্য অংশ সাইকোলজিক্যাল। সায়েন্টিফিক একটা ব্যাখামতে, ধাতব মোটা লাইন ট্রেনের কিছু শব্দ ভাইব্রেশনের মতো করে খেয়ে ফেলে। লাইনের কাছাকাছি দাঁড়ানো মানুষের কাছে মূল শব্দটা পৌঁছায় না।

আরেক ব্যাখা বলে, ট্রেন দৈর্ঘ্য-প্রস্থে অসম একটা বাহন। অনেক লম্বা কিন্তু কম চওড়া। তার শব্দ সামনের দিকে V এর উল্টো শেইপে বাতাস কেটে আসে। এ কারণে একদম মুখোমুখি দাঁড়ানো ব্যক্তির কানে পুরোপুরি যায় না।

ট্রেন লাইনের অবস্থান নিয়েও আলোচনা আছে। সড়ক-মহাসড়কের পাশে বিল্ডিং থাকে। বিল্ডিং না থাকলেও গাছগাছালি খুব একটা থাকে না দুপাশে। কিন্তু ট্রেন লাইনের ব্যাপারটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিপরীত। চারপাশে গাছ থাকে বেশিরভাগ স্থানে। গাছের পাতা ট্রেনের শব্দ এবসর্ব করে ফেলে অনেকটা। ঐ যে সাউন্ডপ্রুফ ঘরের দেয়ালের মতোন।

সায়েন্টিফিক ব্যাখাগুলোর চেয়ে সাইকোলজিক্যাল ব্যাখা আমার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য লেগেছে।

শহরের কথা যদি ভাবেন, একজন পথচারীকে মোটামুটি সব সময় সকল ইন্দ্রিয় সজাগ রেখে পথ চলতে হয়। মূল সড়কের কথা বাদই দিলাম। একটা ছোটো গলির ভেতরেও অসতর্ক থাকলে রিকশা ধাক্কা দিয়ে দিতে পারে। ইন্দ্রিয়গুলোর এক্টিভ থাকার একটা সীমা আছে। মানুষ যখন রেল ক্রসিং এর কাছাকাছি আসে, নিজের অজান্তে সে রিলাক্সড হয়ে যায়। সড়কে বহু রকম বাহন চলে। ট্রেন লাইনে চলে একটা বাহনই। সেটাও অনেকক্ষণ পরপর আসে। একাধিক নয়, একটা। সো, চিল। একটু ফোন বের করে নোটিফিকেশন চেক করি। অফিস, বাসা, বাচ্চা, প্রেমিক বা প্রেমিকার কথা ভাবি।

দ্বিতীয় ব্যাখাটা ইন্টারেস্টিং এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য।

এটা ব্যাখা করার আগে ট্রেনে চাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনাগুলো গভীরভাবে এনালাইসিস করা দরকার।

সর্বশেষ মারা যাওয়া আলোচিত ফটোগ্রাফের কথাই বলি। তার পোস্ট করা সর্বশেষ ভিডিও রেল স্টেশনের। ২৩ এপ্রিল কুমিল্লায় ট্রেনে একসাথে কাটা পড়েছিল ৩ কিশোর। এরা স্টেশনের টোকাই। সারাদিনই ট্রেন লাইনের আশেপাশে ছিল তাদের আনাগোনা।
গত বছরের জুলাইয়ে নরসিংদীতে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করার সময় একজন উদ্ধারকারী কাটা পড়ে আরেক ট্রেনে। গত বছরের নভেম্বরে লালমনিরহাটে ট্রেনের লাইনে বসে টাকা ভাগাভাগির সময় মারা যান ৪ দিনমজুর। লাইনে বসার আগে তারা স্টেশন মসজিদে নামাজ পড়ে আসে।

এই চারটা ঘটনাকেই এনালাইসিস করেন।

ফটোগ্রাফার তরুণের রেল স্টেশনে পোস্ট করা ভিডিও বলছে, ট্রেন লাইন ও ট্রেনের সাথে তার সখ্য আগেই ছিল। জীবনে প্রথমবার লাইনে দাঁড়িয়ে সে দুর্ঘটনার শিকার হয়নি। তিনটা কিশোরের ঘর বাড়িই রেল স্টেশন। তারা নিশ্চয়ই জানে ট্রেন কত দ্রুত আসে, কীভাবে যায়। লাইনে কাটা পড়া লাশ উদ্ধারে যে ব্যক্তি এসেছেন তিনি দক্ষ ও অভিজ্ঞ। অনকোরা ও অস্থানীয় কেউ লাশ উদ্ধারে যাবে না। রেল লাইনে বসে টাকা ভাগ করা ও স্টেশনে নামাজ পড়া শ্রমিকেরাও স্টেশন এলাকার বলেই ধারণা করা যায়।

প্রশ্ন হলো, এদের সবার এমন পরিণতি কেন ও কীভাবে হলো?

উত্তরটাই হলো সর্বশেষ ব্যাখা।

"হ্যাবিচুয়াল কনফিডেন্স"।

দীর্ঘদিনের অভ্যস্ততা মানুষের মনে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস তৈরি করে। যে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে প্রথমে ভয় লাগে। ঐ যে কোনো এলাকায় প্রথম গেলে লোকজন ফোন মানিব্যাগ শক্ত করে চেপে ধরে যেরকম। এই বুঝি পকেট কেটে ফেলল কেউ। পেছনে পায়ের শব্দ শুনলে সতর্ক হয়। বেশ কিছুদিন যাবার পরেও যখন কিছুই ঘটে না, শুরুর সতর্কভাবটা ধীরে ধীরে আর থাকে না। এটা প্রত্যেকটা মানুষের খুবই ন্যাচারাল একটা অভ্যাস। তারপর যখন একদিন পকেটটা সত্যি সত্যিই কাঁটা যায়, মানুষের মনে পড়ে সতর্কতায় কোনো ছুটির দিন নাই। টার্গেট ফিলআপ নাই। সতর্ক ও সাবধান প্রতিদিনের কাজ।

যারা ট্রেনের সাথে বেশি পরিচিত, স্টেশনে বা স্টেশনের কাছাকাছি কাজ করে, প্রতিদিন ক্রসিং পার হতে হয়...এরা জীবনে বহুবার লাইন পার হবার আগে হয়তো সাবধানে পেছনে ফিরে তাকিয়েছে। প্রতিবার দেখেছে, ট্রেনের খোঁজ নেই। এরপর নিজের অজান্তে তারা অভ্যস্ত হয়েছে। ব্রেনে সিগন্যাল গেছে, লাইনে ট্রেন থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। আমি ৩-৪ ফুটের লাইনে পা রাখব আর ঠিক তখনই বাতাস ফুঁড়ে একটা জিনিস এসে আমাকে ধাক্কা মারবে এমন হয় নাকি! এই জিনিস এমনিই লেট করে। সো, নো টেনশন।

এটাই হ্যাবিচুয়াল কনফিডেন্স। এই আত্মবিশ্বাসে মানুষ চোখকে কাজে লাগায় না। কান ঠিকমতো কাজ করে না। হ্যাবিচুয়াল কনফিডেন্স তাকে আরো বলে, পুরো শহরে ট্রেন লাইনটাই সেইফ। যত জায়গা দিয়ে সে হেঁটেছে, প্রত্যেকটা জায়গায় রিক্সা, গাড়ি, বাইক এমনকি মানুষের ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ট্রেন লাইন এমন একটা স্থান যেখানে কেবল ট্রেনই চলে। আর ট্রেন আসে দীর্ঘ সময়ের বিরতিতে। ক্রসিং এ গদা ফেলার পরেও কয়েক মিনিট পাওয়া যায়। লাইন পার হতে লাগে কয়েক সেকেন্ড। অর্থাৎ, নিশ্চিন্তে সামনে ফেলো পা।

ভাগ্য ও ইন্দ্রিয় বিশ্বাসঘাতকতা করে ফেলে একদিন। পত্রিকায় ছোটো করে নিউজ "অমুক জায়গায় ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু"। মানুষ সেই খবর স্কিপ করে। যেমন স্কিপ হয়তো ভিক্টিমও করতো। মানুষ খবর পড়লে শুরুতেই প্রশ্ন করে " এত শব্দ কানে শুনলো না কেন?" এই প্রশ্ন ভিক্টিমের মাথায়ও একদিন ছিল।

লেখা প্রায় শেষ।

ট্রেনে কতটা ভয়ানক, ট্রেনে কত মানুষের প্রাণ যায় এটা কম মানুষ জানতেন বলে আমার ধারণা। গত বছর শুধু ভৈরবে মারা গেছেন ৮৫ জন, আখাউড়ায় ৬৫। বছরে এক হাজার মানুষের প্রাণ চলে যাচ্ছে রেললাইনে। এটা সেই বিরল দুর্ঘটনা যেখানে চালকের দায় শূন্য। ক্রসিং এ সিগন্যালম্যানের অবহেলা বাদ দিলে কর্তৃপক্ষ ও সরকারের দায় খুব বেশি নেই। দায় ও দুর্ভাগ্যের প্রায় পুরোটাই ভিক্টিমের।

এখন বলি, এই লেখা কেন লিখেছি।

জেফ রোসেনসহ দুনিয়ার সকলের মতো আমার মনেও প্রশ্ন ছিল, মানুষ কেন ট্রেনের শব্দ শুনে না? কান কি বন্ধ করে রাখে নাকি?

গত বছরের কোনো একদিন কাওলা রেল ক্রসিং এ প্রশ্নের আংশিক উত্তর পেলাম। আমার স্ত্রী সহ হেঁটে যাচ্ছিলাম ক্রসিং এর দিকে। রাস্তায় গদা ফেলে রাখা। আমাদের দুজনের কারো কানেই হেডফোন এয়ারফোন নেই। কথাবার্তা বলছি না কেউই। তবে কিছুটা অন্যমনস্ক ছিলাম। মুহূর্তের খামখেয়ালিতে ক্রসিং এর বাঁশের সাইড ঘেষে একটু সামনে চলে গেছি। না, ক্রসিং পার করার ইনটেনশন ছিল না। শুধু একটা পা চলে গেছে সামনে। তারপর খেয়াল হয়েছে। থেমে গেছি দুজনেই। মাথা তুলেছি। আর তখনই ভীষণ অবাক ও ভয়ংকর আতংক নিয়ে দেখলাম একটা ট্রেন চলে যাচ্ছে বাতাস কেটে।

একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করলাম আমরা। দুজনের চোখেমুখে একটাই প্রশ্ন।

"শব্দ পেলাম না কেন?"

যাই হোক, এটা লেখাটা ভিক্টিমের কেয়ারলেস হবার জাস্টিফিকেশন নয়। কেউ দয়া করে বেশি বুঝে এমন উপসংহারে যাইয়েন না। আমি শুধু ট্রেনের কাঁটা পড়ে মৃত্যুর সংখ্যার ভয়াবহ বাস্তবতা ও পেছনের কারণে একটা ব্যাখা দিলাম।

অনুরোধ করছি, ট্রেনের লাইনের কাছাকাছি গেলে নিজের কানকে একবিন্দু বিশ্বাস করবেন না। ট্রেনের শব্দ আসলেই শোনা যায় না নতুবা বিশেষ সময়ে কান প্রতারণা করে এটা বাস্তব ফ্যাক্ট। লাইন ও ক্রসিং এ গেলে শুধুমাত্র ও একমাত্র চোখের ওপর নির্ভরশীল হোন। আর অবশ্যই সিগন্যাল ভেঙে দৌড় বা হাঁটা দেবেন না।

সকল ভিক্টিমের আত্মার শান্তি কামনা করছি।

লেখা ক্রেডিটঃ Joynal Abedin

পারভেজ হ-ত্যা-র আসামী ( শিক্ষার্থী নামে স-ন্ত্রা-সী ),২ জন মেয়ের জন্য ৪টা মায়ের বুক খালি হলো 🙂"নিশ্চয়ই নারীদের চ"ক্রান্...
20/04/2025

পারভেজ হ-ত্যা-র আসামী ( শিক্ষার্থী নামে স-ন্ত্রা-সী ),
২ জন মেয়ের জন্য ৪টা মায়ের বুক খালি হলো 🙂
"নিশ্চয়ই নারীদের চ"ক্রান্ত মহা ভ"য়া"নক।" (সূরা ইউসুফ: ১২:২৮)
রাসূল (সা.) বলেন:
“আমি আমার পরে পুরুষদের জন্য নারীদের চেয়ে বড় কোনো ফি"ত"না রেখে যাচ্ছি না।” (বুখারী: ৫০৯৬, মুসলিম: ২৭৪০)

যে মেয়েটি রিক্সা টানছে সে  ২০১৮ সালের ইন্ডিয়ান আডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (IAS) পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে। যাত্রী তার বাবা। যার ...
12/07/2023

যে মেয়েটি রিক্সা টানছে সে ২০১৮ সালের ইন্ডিয়ান আডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (IAS) পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে। যাত্রী তার বাবা। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে তার স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হয়েছে, তাকে রিক্সায়(কলকাতার) চড়িয়ে সে শহর প্রদক্ষিণ করে। মেধাবী মেয়েটির বাবার ত্যাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা ও সন্মান জানানোর এক অভিনব প্রয়াস...সারা ভারতবাসী সহ সারা বিশ্বকে জানান দেয়া হলো।পিতার প্রতিটি ঘামের ফোটায় শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় কণ্যার অফুরন্ত ত্যাগ ও প্রতিদান।
অবাক পৃথিবী চেয়ে চেয়ে দেখো।পিতা-কন্যার এই ভালবাসার বিনিময়ে আমরা বাকরুদ্ধ।
সংগৃহীত

পুইশাকআমাদের দেশে পুঁইশাক একটি অতি পরিচিত সুপ্রিয় সবজি । শুধু গ্রামেই নয়, শহরেও পুইশাকের কদর প্রুচুর । প্র।য় প্রতিদিনই আ...
28/09/2022

পুইশাক
আমাদের দেশে পুঁইশাক একটি অতি পরিচিত সুপ্রিয় সবজি । শুধু গ্রামেই নয়, শহরেও পুইশাকের কদর প্রুচুর । প্র।য় প্রতিদিনই আমাদের খাদ্য তালিকায় পুঁইশাকের উপস্হিতি থাকে পুইশাক যে কতটা জনপ্রিয় তা বুঝা যায় একটি বহুল প্রচরিত প্রবাদ থেকেই । বলা হয় ‘মাছের রাজা রুই’ আর শাকের রাজা পুঁই ।, পুঁইশাক যে শুধু সবজি হিসেবে সুস্বাদু তাই নয় বরং এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিগুন ।পুঁইশাকে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘বি’ । আমাদের দেশে কয়েক জাতের পুঁইশাক পাওয়া যায় । এর মধ্যে রয়েছে সবুজ পুঁই,লাল পুঁই, বন পুঁই প্রভৃতি । আমাদের দেশের মানুষ এর প্রত্যেকটির সাথেই পরিচিত । খাদ্য হিসেবেও সবাই এসব গ্রহন করে । অনেকে আবার রং-এর ভেদাভেদ মনে না রেখেই যে কোন রং-এর পুঁইশাককেই সবজি হিসেবে খেয়ে থাকে । তবে বিভিন্ন রং এর পুইয়ের মধ্যে পুষ্টিমানের কিছুটা পার্থক্য থাকলেও লাল পুঁই, সবুজ পুঁই বা বনপুঁই সমান উপকারী ওভিটামিন সমৃদ্ধ । পুঁইশাক এত জনপ্রিয় হবার একটি কারণ হলো,এটি প্রধানত গ্রীষ্মকালীন সবজি হলেও বছরের সকল সময়ে পাওয়া যায় । বলা যায়, সহজলভ্যতাও এর জনপ্রিয়তাকে বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক গুণে । আর পুঁইশাক এমন একটি সহজে উৎপাদনশীল চমৎকার সবজি, যেখানে-সেখানে এর চাষ করা যায় । বসত বাড়িতে, ঘরের চালে, আঙিনায়,বেড়ায়,মাচায়,ক্ষেতে-খামারে –যে কোনো জায়গায় পুঁইশাকের চাষ করা যায । এই চাষের জন্য তেমন পরিশ্রম বা নানা ধরনের ঝুটঝামেলাও পোহাতেত হয় না । বেশ সহজে যে কেউ এর চাষ করতে পারে । পুঁইশাক মূলতকোমল কান্ডবিশিষ্ট র্দীঘজীবী লতানো একটি উদ্ভিদ । বারবার লতা ,ডগা বা এর পাতা কাটলেও মূল গাছের বৃদ্ধিতে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি করেনা । এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষের দিকে এগিয়ে এসেছে । সৌখিনভাবে যারা পুঁইশাকের চাষ করে,তারা মূলত বাড়ির আঙিনা বা মাচাকেই ব্যবহার করে । আর যারা এটাকে বাণিজ্যিকভাবে চাষের সিদ্ধান্ত নেয়, তারা ক্ষেতে-খামারে এর চাষ করে থাকে । সেই ক্ষেত্রে তাদের প্রয়োজন পড়ে চাষপদ্ধতিটা ভালভাবে জানার । সাধারণত পুঁই- এর চারা ক্ষেতে রোপণের আগে জমি ভালোভাবে চাষ করে তারপর মই দিয়ে মাটিতে মসৃণভাবে ঝুরঝুরে করে তৈরি করতে হয । শাক-সবজি চাষের ক্ষেত্রে গোবর বা কমপোষ্ট সার ব্যবহার করলে ভাল হয় । এতে করে মাটির গুণাগুণ ভাল থাকে ও পরিবেশও দূষিত হয় না ।

পুঁই চাষের জন্য প্রতি শতকে বা ৪০ বর্গ কিলোমিটার জমিতে গোবর সার ৬০ কেজি, ইউরিয়া সার ৯০০ গ্রাম, টিএসপি ৪০০ গ্রাম ও এমপি সার ৪০০ গ্রাম ব্যবহার করতে হয় । ইউরিয়া ছাড়া বাকি সকল সার জমি তৈরীর শেষচাষে দিতে হবে । চারা রোপণের ১৫ দিন পর অর্ধেক ইউরিয়া এবং বাকি অর্ধেক এক মাস পর দুই সারির মাঝখানে মাটিতে ছিটিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে । জমিতে রসের অভাব দেখা দিলে অবশ্যই পানি সেচের ব্যবস্হা করতে হবে । পুঁইশাকের চারা ৬০-৮০সেঃ মিঃ ফাঁকা করে রোপণ করতে হয় । জমিতে যেন আগাছা জন্মাতে না পারে, সেই ব্যপারেও খেয়ালে রাখতে হবে । খরার সময় নিয়মিত পানি সেচের পর ক্ষেতে নিড়ানী দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে দিতে হয় । আবার পুঁই এর ক্ষেতে যাতে পানি জমতে না পারে সেই ব্যাপারেও দৃষ্টি রাখতে হবে । কারন ক্ষেতে পানি থাকলে পুঁইশাকে পচন ধরতে পারে । এই ভাবে একটু যত্ন নিলেই পুঁইশাক খুব দ্রুত বেড়ে উঠবে ।যখন লতা লম্বা বিস্তার লাভ করবে, তখনই এর ডগা বা লতা কাটা শুরু করা যাবে । পুঁইশাক এমন একটি সবজি যে,এর লতা বা ডগা কাটলে পুনরায় লতা বা ডগা গজিয়ে ওঠে । পুঁইশাক দ্রুত বর্ধনশীল একটি সবজি । যেহেতু পুঁইশাকের চাহিদা ও পুষ্টিমান প্রচুর, সেই জন্য এর চাষ বৃদ্ধিতে আরও যত্নবান হওয়া উচিত

এক পৃথিবী কষ্ট আর অভিযোগ নিয়ে তাকিয়ে আছে চোখগুলো! নরমাল ডেলিভারী কিংবা পেট কেটে নয়, পেট ফেটে বের হয়ে পৃথিবীর আলো দেখেছে ...
18/07/2022

এক পৃথিবী কষ্ট আর অভিযোগ নিয়ে তাকিয়ে আছে চোখগুলো!
নরমাল ডেলিভারী কিংবা পেট কেটে নয়, পেট ফেটে বের হয়ে পৃথিবীর আলো দেখেছে সে। এখনো জানে না কতটা নিষ্ঠুর এই পৃথিবী। আসলে কত নিষ্ঠুর আর কষ্টকর হতে পারে এই পৃথিবী এটা সে টের পেয়েছে জন্মের সাথে সাথেই। যে মা ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে লালন করেছিলেন কিংবা যে বাবা অপেক্ষায় ছিলেন একটা সুস্থ সন্তানের জন্য, তারা জানতেই পারলেন না তাদের অনাগত সন্তানের কি অবস্থা হলো। সে কি বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে? ইস! কি মর্মান্তিক। যতবার এই খবর দেখি আমার কান্না চলে আসে। অস্থির লাগে। এই বাচ্চা কোনদিন তার মা-বাবার স্নেহ, মমতা, আদর পাবে না। কোনদিন জানতে পারবে না কতটা মধুর হয় মা-বাবার ভালবাসা! হতভাগ্য এই শিশুটিকে আল্লাহ হেফাযত করুক। যেখানেই থাকুক ভাল থাকুক।
© Sheikh Marufa Nabila

16/07/2022

বুদ্ধিমান কিছু পশুপাখি😊

Muhammad Ali kisses the Black Stone in the Kaaba while performing Hajj in 1972. 🕋💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚
16/07/2022

Muhammad Ali kisses the Black Stone in the Kaaba while performing Hajj in 1972. 🕋

💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚

14/07/2022

ভয়ঙ্কর দৃশ্য

31/05/2022

মায়ের ভালবাসা পৃথিবীর সেরা ভালবাসা. সেটা মানুষ হোক বা প্রাণী হোক

31/05/2022

আর্জেন্টিনার মিডিয়া বাংলাদেশি ফ্যানদের নিয়ে আলোচনা।🇦🇷🇧🇩

Address

Fulbaria

Telephone

01611225521

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Great Mymensingh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share