রবীন্দ্র টেলিভিশন

রবীন্দ্র টেলিভিশন News media

24/10/2024

সত্যি মায়ের ভালোবাসার সাথে কোনো ভালোবাসার তুলনা হয় না....

এমপি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর এশিউর গ্রুপের চেয়ারম্যান----------------------------------------------------------------------হ...
24/10/2024

এমপি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর এশিউর গ্রুপের চেয়ারম্যান
----------------------------------------------------------------------
হানিফের ছায়াতলে থেকে হঠাৎ করে বিএনপির শীর্ষ পদ চাই শেখ সাদী

বিশেষ প্রতিনিধি।।আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে একদিনের জন্যও তাকে রাজপথে দেখা যায়নি। কোন মিছিল মিটিং ও সমাবেশে অংশ গ্রহণ করেননি। যেখানে বিএনপির সব নেতার নামে শত মামলা, সেখানে তার নামে নেই একটি মামলা। বরং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ছায়াতলে থেকে ব্যবসা-বানিজ্যে করে শতশত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। দলের দূর্দিনে তাকে দেখা না গেলেও ৫ আগষ্ট পরবর্তি সময়ে নিজেকে বিএনপি নেতা বলে জাহির করে এলাকায় মহড়া দেওয়া থেকে শুরু করে তৎপরতা বাড়িয়েছেন। অলোচিত এই ব্যাক্তি নাম শেখ সাদী। তিনি এশিউর গ্রুপ’র প্রতিষ্ঠাতা। এলাকার মানুষ যাকে ফ্লাট ব্যবসায়ী হিসেবে চিনে। বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের সদরপুরে।২০০৮ সালে এলাকা ছেড়ে ঢাকায় গিয়ে হাউজিং ব্যবসা করে শতশত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া এই শেখ সাদী এখন এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। বিএনপির টিকিটে আগামী নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসন থেকে মনোনয়নে ধানের শীষের এমপি হতে চান। তবে দলে নেই কোন পদ-পদবি। অঢেল টাকার মালিক সাদী এলাকায় দেদারছে টাকা বিলাচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। বিগত সময়ে বিএনপির নেতা-কর্মিদের মামলা-হামলা ও নির্যাতন করেছে অনেক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মিরা। এখন সেসব আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মিদের সাথে নিয়ে এক সাথে বসে রাজনীতি করছেন বলেও অভিযোগ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবউল আলম হানিফসহ বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতার সাথে তার ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে হঠাৎ বিএনপি নেতা বনে যাওয়া শেখ সাদীর বিষয়ে তার ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বার ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জেল-জুুলুম সহ্য করে আমরা ১৫টি বছর টিকে আছি। উনাকে কখনো কোন রাজনৈতিক কর্মসুচীতে দেখিনি। স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন সংগ্রাম ও জেল-জুলুম সহ্য করে যদি রাজনীতির মাঠে থাকতেন তাহলে বুঝতাম ত্যাগী নেতা। এখন দলের সুদিন। এসময় এমন নেতারা আসবে যাবে। তবে তাদের যদি দলে পুনর্বসান করা হয় তাহলে কর্মিরা মেনে নেবে না।’
কুমারখালী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ৫ আগস্টের আগে সাদীকে এলাকার কেউ চিনতো না। তিনি ১০ তারিখে বহিরাগত লোকজনকে সাথে নিয়ে মহড়া দিয়ে এলাকায় আসেন। এরপর তিনি নিজেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ঘনিষ্ঠজন বলে প্রচার দেন বিভিন্ন সভায়। বিএনপির কিছু নেতাকে টাকা দিয়ে সাথে নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। যা দলের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি পতিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মিরা তার সাথে এলাকায় রাজনীতি করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। বিএনপির নেতা-কর্মিরা এটা মানবে না। কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও কুমারখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু বলেন, আমি দীর্ঘ কয়েক যুগ বিএনপির রাজনীতি করছি। শেখ সাদীকে কোনদিন আমি কোন কর্মসুচীতে দেখিনি। এলাকার কেউ তাকে বিএনপি হিসেবে চেনে না। তিনি ব্যবসায়ী ও সুবিধাবাদী। বরং বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে অঢেল সম্পদ কামিয়ে এখন এলাকায় এসে বিএনপি-জামায়াতকে যারা দমন করেছে তাদের নিয়েই রাজনীতি করছেন। এটা দলের জন্য অশনিসংকেত। সাদীর অনুসারী কয়েকজন নেতার সাথে কথা হলে তারা বলেন, সাদীর দলে কোন পদ-পদবি নেই। এরপর ২০০৮ সালের দিকে ঢাকায় চলে যায়। এখন বিএনপির একটি অংশ তাকে এলাকায় এনে রাজনীতির মাঠে নামানোর চেষ্টা করছে।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, হঠাৎ আবির্ভাব হওয়ায় এই ব্যবসায়ী জেলা বিএনপির আহবায় কমিটিতে পদ-পদবি পাওয়ার জন্য দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন। তিনি যুগ্ম আহবায়ক পদ পেতে টাকা দিয়ে নেতাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন। যা নিয়ে এলাকার বিএনপি নেতারা ক্ষ্ব্ধু। তাকে পদ দেওয়া হলে বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মিরা গন পদত্যাগ করবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে। বরং বিএনপির ত্যাগী নেতা-কর্মিদের মুল্যায়ন করার দাবি তাদের। কুমারখালী থ্নাা বিএনপির সিনিয়র দুই নেতা বলেন, দলের এখন সুদিন। এমন কাউকে আমরা নেতৃত্বে চাই না, যিনি বিগত সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুবিধা নিয়ে ব্যবসা-বানিজ্যে করে তাদের দলের নেতাদের মোটাতাজা করেছে। এসব নেতারা পদে আসলে কর্মিরা দল করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। হঠাৎ করে শেখ সাদী নিজেকে সমাজ সেবক বলছে, উনি খোকসা-কুমারখালী কোন একটি সমাজ সেবা করেছে এমন নজির নেই।
দলীয় সুত্র জানায়, দলের সুবিধাবাদী একটি পক্ষ তাকে এলাকায় এনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করছে। সেখানে তাকে আগামী দিনের বিএনপির কান্ডারি বলে প্রচার করা হচ্ছে। বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম আব্দুল মান্নান ভুইয়ার পিএস শাহীন এবং বর্তমান মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলামের পিএস ইউনুসের সাথে সখ্যতা করে কুষ্টিয়া-৪ আসনের নতুন মুখ শেখ সাদী এমন গুঞ্জন চলছে দলের মধ্যে। এতে চরম ক্ষুব্ধ ও হতাশ নেতা-কর্মিরা। কুষ্টিয়ায় বিএনপি দমনের মুল ভুমিকায় থাকা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবউল হানিফের সাথে তার ব্যবসা-বানিজ্যে আছে বলেও নেতারা জানিয়েছেন। হানিফকে ছাতা হিসেবে ব্যবহার করে অর্থ কামিয়ে নিয়েছেন।
শেখ সাদীর সাথে রাজনীতি ও ব্যবসা নিয়ে কথা হলে বলেন, আমি ঢাকায় গিয়ে ব্যবসা শুরু করি। হানিফের সাথে ব্যবসা নিয়ে জানতে চাইলে সাদী বলেন, হানিফ সাহেবের সাথে একটি অনুষ্ঠানে তার সাথে আমার ছবি আছে। দলে আমি কোন গ্রুপিং চাই না। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তখন তার পক্ষে আমি কাজ করবো।

23/10/2024
23/10/2024

বাংলাদেশ
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করল সরকার

নিউজ

২৩ অক্টোবর ২০২৪, ২১:৩৩

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর আগে বিভিন্ন সংগঠন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে আল্টিমেটাম দিয়েছিল। ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৫ জুলাই থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে জড়িত আছে।

এমন অবস্থায় বর্তমান সরকার ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং ওই আইনের তফসিল-২ এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এই প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ পাঁচ দফার দাবি জানায়। এ সপ্তাহের মধ্যেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের আল্টিমেটাম দেয় সংগঠনটি।

এ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, এই শহীদ মিনার থেকেই ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ করানো এবং সংবিধান বাতিলসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৫ দফা ঘোষণা দেওয়া হলো।

পাঁচ দফা দাবি- ১. অনতিবিলম্বে ৭২ এর সংবিধান বাতিল করতে হবে। সেই জায়গায় ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষ থেকে নতুন করে সংবিধান লিখতে হবে। ২. এই সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। তাদেরকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। ৩. এই সপ্তাহের মধ্যে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে পদচ্যুত করতে হবে। ৪. জুলাই বিপ্লব ও গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটের আলোকে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে। ৫. ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। এসব নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হয়েছিল তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। একই সঙ্গে তারা যেন ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক হতে না পারে এবং নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে হাসনাত বলেন, অনলাইনে সক্রিয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী মুজিববাদীদের বলতে চাই, আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা রাজপথে নেমে পুলিশ লীগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছি। মৃত্যুর ভয় আমরা পাই না। মৃত্যুর পরোয়া আমরা করি না। শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসিত করার স্বপ্ন ভুলে গিয়ে নিজেরাই বিচারের আওতায় চলে আসুন। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে আসব। আমাদের বিপ্লব শেষ হয়ে যায়নি। আমরা ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে পারলেও এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে পারিনি। বিগত ১৬ বছর বিএনপি, জামায়াত, শিবির, ছাত্রদলের নেতাদের নির্যাতিত হতে দেখেছি। যতদিন পর্যন্ত সুষ্ঠু ধারার রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে আমরা ভালো পরিবেশ করে দিতে না পারছি, ততদিন পর্যন্ত আমাদের বিপ্লব শেষ হবে না।

23/10/2024
23/10/2024

চুপ্পুকে দুর্নীতি দমন কমিশনে বসানো হয়েছিল পদ্মাসেতুর দুর্নীতি আড়াল করতে : আসাদুজ্জামান রিপন

22/10/2024

বঙ্গভবনের সামনে তু'মু'ল উ'ত্তে'জনা, আ'হ'তদের শরীরে বি'স্ফো'র'কের স্প্লি'ন্টা'র

হানিফের ছায়াতলে থেকে হঠাৎ করে বিএনপির শীর্ষ পদ চান শেখ সাদীএমপি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর এশিউর গ্রুপ’র চেয়ারম্যানস্টাফ রিপোর্...
22/10/2024

হানিফের ছায়াতলে থেকে হঠাৎ করে বিএনপির শীর্ষ পদ চান শেখ সাদী

এমপি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর এশিউর গ্রুপ’র চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার ॥

আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে একদিনের জন্যও তাকে রাজপথে দেখা যায়নি। কোন মিছিল মিটিং ও সমাবেশে অংশ গ্রহণ করেননি। যেখানে বিএনপির সব নেতার নামে শত মামলা, সেখানে তার নামে নেই একটি মামলা। বরং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ছায়াতলে থেকে ব্যবসা-বানিজ্যে করে শতশত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। দলের দূর্দিনে তাকে দেখা না গেলেও ৫ আগষ্ট পরবর্তি সময়ে নিজেকে বিএনপি নেতা বলে জাহির করে এলাকায় মহড়া দেওয়া থেকে শুরু করে তৎপরতা বাড়িয়েছেন। অলোচিত এই ব্যাক্তি নাম শেখ সাদী। তিনি এশিউর গ্রুপ’র প্রতিষ্ঠাতা। এলাকার মানুষ যাকে ফ্লাট ব্যবসায়ী হিসেবে চিনে। বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের সদরপুরে।
২০০৮ সালে এলাকা ছেড়ে

ঢাকায় গিয়ে হাউজিং ব্যবসা করে শতশত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া এই শেখ সাদী এখন এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। বিএনপির টিকিটে আগামী নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসন থেকে মনোনয়নে ধানের শীষের এমপি হতে চান। তবে দলে নেই কোন পদ-পদবি। অঢেল টাকার মালিক সাদী এলাকায় দেদারছে টাকা বিলাচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। বিগত সময়ে বিএনপির নেতা-কর্মিদের মামলা-হামলা ও নির্যাতন করেছে অনেক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মিরা। এখন সেসব আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মিদের সাথে নিয়ে এক সাথে বসে রাজনীতি করছেন বলেও অভিযোগ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবউল আলম হানিফসহ বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতার সাথে তার ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে হঠাৎ বিএনপি নেতা বনে যাওয়া শেখ সাদীর বিষয়ে তার ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বার ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জেল-জুুলুম সহ্য করে আমরা ১৫টি বছর টিকে আছি। উনাকে কখনো কোন রাজনৈতিক কর্মসুচীতে দেখিনি। স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন সংগ্রাম ও জেল-জুলুম সহ্য করে যদি রাজনীতির মাঠে থাকতেন তাহলে বুঝতাম ত্যাগী নেতা। এখন দলের সুদিন। এসময় এমন নেতারা আসবে যাবে। তবে তাদের যদি দলে পুনর্বসান করা হয় তাহলে কর্মিরা মেনে নেবে না।’
কুমারখালী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ৫ আগস্টের আগে সাদীকে এলাকার কেউ চিনতো না। তিনি ১০ তারিখে বহিরাগত লোকজনকে সাথে নিয়ে মহড়া দিয়ে এলাকায় আসেন। এরপর তিনি নিজেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ঘনিষ্ঠজন বলে প্রচার দেন বিভিন্ন সভায়। বিএনপির কিছু নেতাকে টাকা দিয়ে সাথে নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। যা দলের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি পতিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মিরা তার সাথে এলাকায় রাজনীতি করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। বিএনপির নেতা-কর্মিরা এটা মানবে না। কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও কুমারখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু বলেন, আমি দীর্ঘ কয়েক যুগ বিএনপির রাজনীতি করছি। শেখ সাদীকে কোনদিন আমি কোন কর্মসুচীতে দেখিনি। এলাকার কেউ তাকে বিএনপি হিসেবে চেনে না। তিনি ব্যবসায়ী ও সুবিধাবাদী। বরং বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে অঢেল সম্পদ কামিয়ে এখন এলাকায় এসে বিএনপি-জামায়াতকে যারা দমন করেছে তাদের নিয়েই রাজনীতি করছেন। এটা দলের জন্য অশনিসংকেত। সাদীর অনুসারী কয়েকজন নেতার সাথে কথা হলে তারা বলেন, সাদীর দলে কোন পদ-পদবি নেই। এরপর ২০০৮ সালের দিকে ঢাকায় চলে যায়। এখন বিএনপির একটি অংশ তাকে এলাকায় এনে রাজনীতির মাঠে নামানোর চেষ্টা করছে।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, হঠাৎ আবির্ভাব হওয়ায় এই ব্যবসায়ী জেলা বিএনপির আহবায় কমিটিতে পদ-পদবি পাওয়ার জন্য দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন। তিনি যুগ্ম আহবায়ক পদ পেতে টাকা দিয়ে নেতাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন। যা নিয়ে এলাকার বিএনপি নেতারা ক্ষ্ব্ধু। তাকে পদ দেওয়া হলে বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মিরা গন পদত্যাগ করবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে। বরং বিএনপির ত্যাগী নেতা-কর্মিদের মুল্যায়ন করার দাবি তাদের। কুমারখালী থ্নাা বিএনপির সিনিয়র দুই নেতা বলেন, দলের এখন সুদিন। এমন কাউকে আমরা নেতৃত্বে চাই না, যিনি বিগত সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুবিধা নিয়ে ব্যবসা-বানিজ্যে করে তাদের দলের নেতাদের মোটাতাজা করেছে। এসব নেতারা পদে আসলে কর্মিরা দল করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। হঠাৎ করে শেখ সাদী নিজেকে সমাজ সেবক বলছে, উনি খোকসা-কুমারখালী কোন একটি সমাজ সেবা করেছে এমন নজির নেই।
দলীয় সুত্র জানায়, দলের সুবিধাবাদী একটি পক্ষ তাকে এলাকায় এনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করছে। সেখানে তাকে আগামী দিনের বিএনপির কান্ডারি বলে প্রচার করা হচ্ছে। বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম আব্দুল মান্নান ভুইয়ার পিএস শাহীন এবং বর্তমান মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলামের পিএস ইউনুসের সাথে সখ্যতা করে কুষ্টিয়া-৪ আসনের নতুন মুখ শেখ সাদী এমন গুঞ্জন চলছে দলের মধ্যে। এতে চরম ক্ষুব্ধ ও হতাশ নেতা-কর্মিরা। কুষ্টিয়ায় বিএনপি দমনের মুল ভুমিকায় থাকা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবউল হানিফের সাথে তার ব্যবসা-বানিজ্যে আছে বলেও নেতারা জানিয়েছেন। হানিফকে ছাতা হিসেবে ব্যবহার করে অর্থ কামিয়ে নিয়েছেন।
শেখ সাদীর সাথে রাজনীতি ও ব্যবসা নিয়ে কথা হলে বলেন, আমি ঢাকায় গিয়ে ব্যবসা শুরু করি। হানিফের সাথে ব্যবসা নিয়ে জানতে চাইলে সাদী বলেন, হানিফ সাহেবের সাথে একটি অনুষ্ঠানে তার সাথে আমার ছবি আছে। দলে আমি কোন গ্রুপিং চাই না। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তখন তার পক্ষে আমি কাজ করবো।

Address

Fulbaria

Opening Hours

Monday 09:00 - 19:00
Tuesday 09:00 - 19:00
Wednesday 09:00 - 19:00
Thursday 09:00 - 19:00
Friday 09:00 - 19:00
Saturday 09:00 - 19:00
Sunday 09:00 - 19:00

Telephone

+9613030000

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রবীন্দ্র টেলিভিশন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share