
23/07/2025
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর।
কী হয়েছিল বিধ্বস্ত হওয়ার শেষ মুহূর্তে। ফ্ল্যাইট লেফট্যানেন্ট তৌকির ইসলাম সাগর কী ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন? বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন, ‘তৌকিরের আজ প্রথম একক মিশন ছিল, একটু আগে তিনি ডুয়াল ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন। এয়ারক্রাফট টেকঅফ করার একটুখানি যাওয়ার পর এয়ারক্রাফট কোন রিঅ্যাক্ট করছিল না। তারপরে এয়ারক্রাফট স্টল করে, তখন তার কন্ট্রোলে ছিল না। মোবাইল টাওয়ার থেকে তাকে ইজেক্ট করতে বলা হচ্ছিল, কিন্তু এত লোয়ার ফ্লাইয়িং হচ্ছিল যে, ওই সময়ে ইজেক্ট করা আসলে পসিবলও ছিল না। তিনি চেষ্টা করছিলেন যে, অন্যভাবে কিছু করা যায় কি না। কিন্তু দুর্ভাগ্য।’
ওই সদস্য আরও বলেন, ফ্ল্যাইটটি দিয়াবাড়ির ফাঁকা স্থানে ফেলতে চেয়েছিলেন তৌকির ইসলাম। এজন্য বেশ কিছু সময় ধরে চেষ্টাও চালাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি; জেটটি বাউন্স করে মাইলস্টোন এলাকায় গিয়ে আছড়ে পড়ে।
Source: the daily campus
F-7 মডেলে এই সমস্যা আগেও হয়েছে। ২০১৫ সালে যেই বিমানটা বঙ্গোপসাগরে দুর্ঘটনায় পড়ে সেটা। কোনো এক সূত্রের মাধ্যমে জেনেছিলাম টেক অফ এর পর বিমান আর পাইলটের নিয়ন্ত্রণে ছিলো না কোনো রিয়েক্ট রেসপন্স কিছু করছিলো না। এরকম অবস্থায় সাধারণত পাইলটের কিছুই করার থাকে না। সে জানতো যে এটা একটা স্কুল, সে জানতো যে আশেপাশে বাচ্চারা আছে। এই জন্যই তিনি বের করেন নি। সে শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত থেকে গেছে, জেটটিকে দূরে সরাতে চেষ্টা করছে। সে সব দিয়ে দিয়েছে। সে এটা নিয়ে নিচে নেমে গিয়েছিল।
দয়া করে পাইলটকে দোষারোপ করবেন না। সে চেষ্টা করেছে! সে সত্যিই করেছে।
সংগৃহীত