HMC Daily Update

HMC Daily Update ইসলামিক ও জনকল্যাণমূলক প্রচার মাধ্যম

ধীরে ধীরে রাসুল (‎ﷺ) এর অনেক হাদিস আমরা ভুলেই যাচ্ছি... ১। মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে ভিজা।📖(সহীহ মুসলিম- ৮৯৮)২। রাতে স্ত্রীকে স...
29/06/2025

ধীরে ধীরে রাসুল (‎ﷺ) এর অনেক হাদিস আমরা ভুলেই যাচ্ছি...

১। মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে ভিজা।
📖(সহীহ মুসলিম- ৮৯৮)

২। রাতে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে নির্জনে হাঁটা।
📖(বুখারী- ৫২১১)

৩। বৃষ্টি আসলে দোয়া করা।
📖(সহীহ বুখারী- ১০৩২)

৪। স্ত্রীর রান্না করা হালাল খাবারের দোষ না ধরা।
খেতে মন না চাইলে চুপ থাকা।
📖(মুসলিম- ২০৬৪)

৫। কোনো কিছু জানা না থাকলে স্বীকার করা যে, আমি জানি না।
📖(বায়হাকী- ১৭৫৯৫)

৬। মাঝে মাঝে বিপদে আকাশের দিকে মাথা তোলা।
আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজের কষ্টগুলো আল্লাহকে বলা।
📖(মুসলিম- ২৫৩১)

৭। খুব খুশি হলে সিজদায় লুটিয়ে পড়া।
📖(মুখতাসার যাদুল মা' আদ- ১/২৭)।

৮। ধোঁয়া ওঠা গরম খাবার ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত না খাওয়া।
📖(বায়হাকি-৪২৮)।

৯। নফল ও সুন্নাহ সালাতগুলো নিজের ঘরে পড়া।
📖(বুখারী- ৭৩১)।

১০। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় এবং বাসা ফিরে দুই রাকাআত সালাত আদায় করা।
📖(মুসনাদে বাযযার- ৮৫৬৭)।

১১। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জুতা না পরা।
বিশেষ করে শু জুতা ( স্যান্ডেল না)।
📖(আবু দাউদ- ৪১৩৫)।

১২। যতই ভালো খাবার হোক ভরা পেটে না খাওয়া।
📖(তিরমিযী- ২৪৭৮)।

১৩। ফজরের সালাতের পর সালাতের স্থানে বসে তসবি পড়া।
অতঃপর সূর্য উঠার পর দুই রাকাআত সালাত আদায় করা।
📖(আরশিফু মুলতাকা- ৪৫৬৯)।

১৪। দ্বীনের দাওয়াত সহজ করার উদ্দেশ্যে নতুন একটি ভাষা শিখা।
📖(মুসনাদে আহমাদ- ২১৬১৮)।

১৫। বাড়িতে অজু করে রুমাল দিয়ে হাতপা মুছে মসজিদে জামায়াতে যাওয়া।
📖(তাবরানী- ৬১৩৯)।

১৬। মানুষের মাঝে বিবাদ মিটিয়ে দেয়া।
📖(মুসনাদে আহমাদ- ২৭৫০৮)।

১৭। রাতে অজু অবস্থায় ঘুমানো।
📖(ফাতহুল বারি- ১১/১১০)।

১৮। মাঝে মাঝে খালি পায়ে হাঁটা।
📖(আবু দাউদ- ৪১৬০)।

১৯। যদি কারো উপর কোনো কষ্ট আসে, আল্লাহ তাআলা এর কারণে তার গুনাহসমূহ ঝরিয়ে দেন; যেমনভাবে গাছ থেকে পাতা ঝরে পড়ে।
📖(বুখারি, হাদিস নং: ৫৬৮৪)।

২০। রাসুলুল্লাহ(‎ﷺ) বলেনঃ
আমি টেক(হেলান) লাগানো অবস্থায় কোনো কিছু ভক্ষণ করি না।
📖 (বুখারি, হাদিস নং: ৫১৯০)।

✅ উটের গোশত খেলে অজু ভেঙে যায় — ইসলামে স্পষ্ট নির্দেশনা,উটের গোশত খেলে অজু ভেঙে যায়। তাই সালাত আদায় বা কুরআন স্পর্শ করতে...
10/06/2025

✅ উটের গোশত খেলে অজু ভেঙে যায় — ইসলামে স্পষ্ট নির্দেশনা,

উটের গোশত খেলে অজু ভেঙে যায়। তাই সালাত আদায় বা কুরআন স্পর্শ করতে চাইলে নতুন করে ওযু করা আবশ্যক।

📖 হাদীস দ্বারা প্রমাণিত
জাবের বিন সামুরা (রাঃ) বলেন:
“রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো —
‘ছাগলের গোশত খেলে কি অজু করতে হবে?’
তিনি বললেন: ‘ইচ্ছা করলে করো।’
পরে জিজ্ঞেস করা হলো —
‘উটের গোশত খেলে কি অজু করতে হবে?’
তিনি বললেন: ‘হ্যাঁ, করো।’
📚 (সহীহ মুসলিম)

🔍 অতএব, উটের যেকোনো অংশ—মাংস, নাড়িভুঁড়ি, কলিজা, চর্বি ইত্যাদি খেলে ওযু ভেঙে যাবে। কারণ রাসূল (সা.) এতে কোনো ব্যতিক্রম করেননি।

📚 এ বিষয়ে মত প্রদান করেছেন বহু ইমাম ও সাহাবাগণ:
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল, ইমাম ইসহাক, ইমাম বায়হাকী, ইবনে খুজাইমা, আবু বকর ইবনে মুনজির এবং আরও অনেক মুহাদ্দিসগণ।
[সহীহ মুসলিম, ইমাম নববীর ব্যাখ্যা ৪/৪৮-৪৯]

📝 উটের গোশত খাওয়ার পর ওযুর কারণ কী?
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন:

🗣️ “উট শয়তান থেকে সৃষ্টি হয়েছে।”
📚 [ইবনু মাজাহ: ৭৬৯]

🗣️ “প্রত্যেক উটের পৃষ্ঠে শয়তান থাকে। তাই তাতে আরোহণের সময় বিসমিল্লাহ বল।”
📚 [আহমাদ: হাদীস ২২৭১]

🔎 ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রঃ) বলেন:
“উটের গোশত খাওয়ার ফলে দেহে শয়তানী প্রভাব সৃষ্টি হয়। আর ওযু সেই প্রভাব দূর করে।”

🔎 শাইখ উছাইমীন (রঃ) বলেন:
“উটের গোশত দেহে স্নায়ুবিক উত্তেজনা তৈরি করে। ওযু করলে তা হ্রাস পায়।”
📚 [শারহুল মুমতেঃ ১/৩০৮]



❗ তাই, এ বিষয়ে কোনো মুসলিমের প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। কারণ, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
📚 [সহীহ মুসলিম, মিশকাত: ৩০৫]



🔁 আপনি যদি মনে করেন এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে দয়া করে শেয়ার করুন।
হয়তো আপনার একটি শেয়ার কারো ইলম বৃদ্ধি করবে।
📢 আসুন সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন গড়ি, রাসূল (সাঃ)-এর নির্দেশ মেনে চলি।

06/06/2025

تَقَبَّلَ اللَّهُ مِنَّا وَمِنْكُمْ
"তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম"

(আল্লাহ আপনাদের এবং আমাদের নেক আমলগুলো কবুল করুন)

রাসূল (সা:) বলেছেন তোমাদের মধ্যে কেউ জুম" আর সালাতে আসলে সে যেন গোসল করে।                                  সহিহ বুখারী ৮...
06/06/2025

রাসূল (সা:) বলেছেন তোমাদের মধ্যে কেউ
জুম" আর সালাতে আসলে সে যেন গোসল করে।
সহিহ বুখারী ৮৭৭

06/06/2025

কোরবানি ব্যক্তির উপরে ফরজ হয় ফ্যামিলির উপরে নয়, যে ইনকাম করে শুধু তার উপরে নয়, যেই নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হবে তার উপরেই ফরজ।

05/06/2025

***মেয়েদের কি ঈদের সালাতে যাওয়া জায়েয আছে?

*** হ্যা, অবশ্যই।
উলামায়ে কিরাম এটাকে জরুরী বলেছেন। তারা যাবে।

পাঁচওয়াক্ত সালাত ও জুমু‘আর জামাতে শরীক হওয়ার জন্য মেয়েদেরকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুমতি দিয়েছেন। আর ঈদের সালাতের যাওয়ার জন্য তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। হাদীসে আছে যে,

عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ أَمَرَنَا رَسُوْلُ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- أَنْ نُخْرِجَ فِي الْفِطْرِ وَالأَضْحَى الْعَوَائِقَ وَالْحَيْضَ وَذَوَاتِ الْخُدُرِ فَأَمَّا الْحَيْض فَيَعْتَزِلن الصَّلاَةَ وَيَشْهَدْنَ الْخَيْرَ وَدَعْوَةِ الْمُسْلِمِيْنَু قَالَتْ يَارَسُوْلَ اللهِ إِحْدَانَا لاَ يَكُوْنُ لَهَا حِلْبَابَ قَالَ لتلبسَهَا أُخْتِهَا

‘‘উম্মে আতীয়াহ থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এ মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমরা যেন পরিণত বয়স্কা, ঋতুবতী ও গৃহিনীসহ সকল মহিলাকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সালাতে শরীক হওয়ার জন্য ঘর থেকে বের করে নিয়ে যাই। এমনকি মাসিক হায়েয চলাকালীন মেয়েরাও (ঈদগাহে হাজির হবে। তবে তারা) সালাত আদায় থেকে বিরত থাকবে। কিন্তু ঈদের কল্যাণকর অবস্থা তারা প্রত্যক্ষ করবে এবং মুসলিমদের সাথে দু‘আয় ঋতুবতী মহিলারাও শরীক হবে।

উম্মে আতীয়াহ  বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমাদের মধ্যে কারো কারো উড়না নেই (বড় চাদর নাই যা পরিধান করে ঈদগাহে যেতে পারে)। উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যার ওড়না নেই সে তার অন্য বোন থেকে (ধার করে) ওড়না নিয়ে তা পরিধান করে ঈদগাহে যাবে। (মুসলিম: ৮৯০)

বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বর্ণিত এ হাদীসে যে ঋতুবতী মহিলার উপর সালাত আদায় ফরজ নয় তাকেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং যার উড়না নেই তাকেও একটা উড়না ধার করে নিয়ে ঈদের সালাতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ হাদীস দ্বারা অনেক বিজ্ঞ উলামায়ে কিরাম মেয়েদের ঈদের সালাতে যাওয়া ওয়াজিব বলেছেন।

যেসব লোক একথা বলেন যে, বর্তমান যুগ ফিতনার যুগ, মেয়েদের নিরাপত্তা নেই এসব কথা বলে মেয়েদেরকে ঈদের সালাত থেকে বঞ্চিত রাখছেন। তাদের এ অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়।

তারা যেন প্রকারান্তরে এ হাদীসের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। শেষ যামানার ফিতনা বাড়বে একথা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের চেয়ে বেশি অবগত থাকার পরও মহিলাদেরকে ঈদের সালাতে যেতে হুকুম দিয়েছেন। আর এ হুকুম সুন্নাত নয়, বরং ওয়াজিব।

প্রসঙ্গত মেয়েরা তবলিক জামাত করলে কোনো ফিতনা হয় না ! যেখানে কোনো নবী/সাহাবাদের স্ত্রীরা কোনো দিন তবলিক জামাত করে বেড়াতো না।😢
রমজান মাসে মেয়েরা রাতের অন্ধকারে একটা নির্দিষ্ট জায়গার গিয়ে খতম তারাবি পড়লে ফিতনা হয় না। i. e. No Fitnah কিন্তু ঈদের দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরুলেই যত ফিতনা ।😢

মেয়েরা ঈদের সালাতে গেলে পথিমধ্যে তাকবীর বলা, সালাতে শরীক হওয়া, বয়ান ও ওয়াজ নসীহত শোনার সৌভাগ্য তাদের হয়ে থাকে। কাজেই ক্ষতির যে আশংকা করা হয় এর চেয়ে তাদের উপকারের দিকই বেশি।

তাই সম্মানিত ঈদগাহ কর্তৃপক্ষের উচিৎ তারা যেন মেয়েদের জন্য পৃথক প্যান্ডেল তৈরীকরে দেন আর মেয়েরাও যেন সম্পূর্ণ শরয়ী পর্দা করে অত্যন্ত শালীনভাবে পথ চলেন, ঈদগাহে যাওয়া আসা করেন। কাউকে ডিস্টার্ব না করেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে সহীহ হাদীস আমল করার ও হক পথে থাকার তাওফীক দান করুন- আমীন!

31/05/2025

কুরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যা মুসলিমদের জন্য ওয়াজিব। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসালা তুলে ধরা হলো:
১. কাদের উপর কুরবানি ওয়াজিব?
* প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যারা ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজন অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তাদের উপর কুরবানি ওয়াজিব।
* নেসাব হল: স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি। টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নেসাব হলো এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া।
* যদি সোনা, রূপা বা টাকা-পয়সার কোনো একটি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে, কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলেও কুরবানি ওয়াজিব হবে।
* মুসাফিরের ওপর কুরবানি ওয়াজিব নয়।
* অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তান বা পাগল ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব নয়, যদিও তারা নেসাবের মালিক হয়। তবে তাদের অভিভাবক যদি তাদের পক্ষ থেকে কুরবানি করেন, তা মুস্তাহাব হবে।
২. কুরবানির সময়:
* ১০ যিলহজ্ব থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই তিনদিন কুরবানি করার সময়।
* ঈদের নামাজের আগে কুরবানি করা জায়েজ নয়। ঈদের নামাজের পর কুরবানি করতে হবে।
* প্রথম দিন কুরবানি করা সবচেয়ে উত্তম, এরপর দ্বিতীয় দিন ও তারপর তৃতীয় দিন।
* রাতের বেলায়ও কুরবানি করা জায়েজ, তবে দিনের বেলায় করা উত্তম।
৩. কোন পশু দ্বারা কুরবানি করা যাবে?
* উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দ্বারা কুরবানি করা জায়েজ।
* এসব গৃহপালিত পশু ছাড়া অন্য কোনো পশু যেমন হরিণ, বন্য গরু ইত্যাদি দ্বারা কুরবানি জায়েজ নয়।
৪. পশুর বয়সসীমা:
* উট কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে।
* গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে।
* ছাগল কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে।
* ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। তবে যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয়, তাহলে তা দ্বারাও কুরবানি জায়েজ। এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬ মাস বয়সের হতে হবে।
৫. পশুর ত্রুটি:
* স্পষ্ট খোঁড়া, স্পষ্ট কানা, স্পষ্ট রোগী এবং জীর্ণশীর্ণ পশু দ্বারা কুরবানি করা জায়েজ নয়।
* অর্ধেক কান কাটা বা ছিদ্র করা এবং অর্ধেক শিং ভাঙ্গা পশু দ্বারা কুরবানি জায়েজ নয়।
* নিখুঁত পশু কেনার পর যদি নতুন করে কোনো খুঁত হয় বা পুরনো কোনো দোষ বেরিয়ে আসে, তাহলে ঐ পশু দ্বারাই কুরবানি বৈধ হবে।
* খাসি করা কোনো খুঁত নয় এবং খাসি দ্বারা কুরবানি করা জায়েজ।
৬. অংশীদারিত্ব:
* উট, গরু ও মহিষ সাত ভাগে এবং সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কুরবানি করা জায়েজ।
* কুরবানির পশুতে আকীকার নিয়তে শরীক হতে পারবে। এতে কুরবানি ও আকীকা দুটোই সহীহ হবে।
৭. গোশত বন্টন:
* উত্তম হলো কুরবানির গোশত তিন ভাগ করা। এক ভাগ নিজের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতজনদের জন্য এবং এক ভাগ গরিব, অসহায়, অনাথ ও মিসকিনদের জন্য।
* যারা কুরবানির পশু কাটায় সহযোগিতা করেন, তাদের পারিশ্রমিক হিসাবে কুরবানির গোশত দেওয়া বৈধ নয়। বরং তাদের পারিশ্রমিক হিসাবে টাকা-পয়সা বা অন্য কিছু দিতে হবে।
৮. মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানি:
* মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানি করা জায়েজ। মৃত ব্যক্তি যদি ওসিয়ত না করে থাকে তবে সেটি নফল কুরবানি হিসেবে গণ্য হবে এবং এর গোশত নিজেরাও খেতে পারবে এবং আত্মীয়-স্বজনকেও দিতে পারবে।
* যদি মৃত ব্যক্তি কুরবানির ওসিয়ত করে গিয়ে থাকে তবে এর গোশত নিজেরা খেতে পারবে না, বরং সদকা করে দিতে হবে।
৯. কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার পর আদায় না করলে:
* যে ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব, সে যদি কুরবানির তিনদিনে কুরবানি না করে পশু বা তার মূল্য সদকা করে দেয়, তাহলে কুরবানি আদায় হবে না।
* যদি কেউ কুরবানির দিনগুলোতে ওয়াজিব কুরবানি দিতে না পারে, তাহলে কুরবানির পশু ক্রয় না করে থাকলে তার উপর কুরবানির উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করেছিল, কিন্তু কোনো কারণে কুরবানি দেওয়া হয়নি তাহলে ঐ পশু জীবিত সদকা করে দিতে হবে।
এই মাসালাগুলো কুরবানির সময় বিশেষত জানা থাকা জরুরি। যেকোনো মাসআলার বিশদ ব্যাখ্যার জন্য নির্ভরযোগ্য আলেমদের সাথে পরামর্শ করা যেতে পারে।

28/05/2025

নখ, চুল কাটার প্রয়োজন থাকলে আজ সূর্যাস্তের পূর্বেই কাটুন!

27/05/2025

৭ জুন শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে,
৬ জুন শুক্রবার সৌদি আরবে ঈদের তারিখ ঘোষনা।
আগাম ঈদের শুভেচ্ছা ।

27/05/2025

"দুর্নীতি করলেই বরখাস্ত" এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার মানেই হলো আপনি দুর্নীতিবাজ!

Address

Fulbaria

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when HMC Daily Update posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to HMC Daily Update:

Share